মা'আরিফুল হাদীস
সালাত অধ্যায়
হাদীস নং: ৪১
সালাত অধ্যায়
আযান ও ইকামত সম্পর্কীয় কতিপয় নির্দেশ
৪১. হযরত মালিক ইবনে হুওয়াইরিস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আমি এবং আমার এক চাচাত ভাই নবী কারীম ﷺ-এর কাছে উপস্থিত হলাম। তিনি বললেন: যখন তোমরা উভয়ে সফর করবে তখন আযান দিবে ও ইকামত বলবে। তারপর তোমাদের মধ্যে যে বয়োজ্যেষ্ঠ সে তোমাদের সালাতের ইমামতি করবে। (বুখারী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ مَالِكِ بْنِ الحُوَيْرِثِ ، قَالَ : اَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، أَنَا وَابْنُ عَمٍّ لِي ، فَقَالَ لَنَا : إِذَا سَافَرْتُمَا فَأَذِّنَا وَأَقِيمَا ، وَلْيَؤُمَّكُمَا أَكْبَرُكُمَا. (رواه البخارى)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
সহীহ্ বুখারীর অন্য সূত্রে বর্ণিত আছে যে, হযরত মালিক ইবনে হুওয়াইরিস (রা) নিজ গোত্রের কিছু সংখ্যক লোকের সাথে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর খিদমতে যান এবং তাঁর সাহচর্য-ধন্য হওয়ার আশায় দীর্ঘ বিশদিন অবস্থান করেন। এ হাদীসে যে কথা বলা হয়েছে তা মূলত তাদের রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর দরবার থেকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সময়ের ঘটনা। এ পর্যায়ে তিনি তাদেরকে দু'টি বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেন।
১. সফরে থাকাকালে আযান ও ইকামত দিবে। ২. তোমাদের মধ্যকার বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি যেন সালাতের ইমামতি করে। সম্ভবত ইলমে দীন এর ক্ষেত্রে তাঁর সাথীগণ একই মানের ছিলেন, কারো উপর কারো বিশেষ মর্যাদা কিংবা মাহাত্ম্য ছিল না। তাই রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁদের উদ্দেশ্য বলেছেন: তোমাদের মধ্যকার বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি যেন সালাতের ইমামতি করে। বলাবাহুল্য, ইমামতির ক্ষেত্রে এটাই নীতি।
১. সফরে থাকাকালে আযান ও ইকামত দিবে। ২. তোমাদের মধ্যকার বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি যেন সালাতের ইমামতি করে। সম্ভবত ইলমে দীন এর ক্ষেত্রে তাঁর সাথীগণ একই মানের ছিলেন, কারো উপর কারো বিশেষ মর্যাদা কিংবা মাহাত্ম্য ছিল না। তাই রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁদের উদ্দেশ্য বলেছেন: তোমাদের মধ্যকার বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি যেন সালাতের ইমামতি করে। বলাবাহুল্য, ইমামতির ক্ষেত্রে এটাই নীতি।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)