মা'আরিফুল হাদীস

معارف الحديث

ঈমান অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৪০ টি

হাদীস নং: ১০১
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ উম্মতে মুহাম্মদীর ৭০ হাজার লোক বিনা হিসাবে বেহেশতে যাবে
১০১. হযরত আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি: আমার রব আমার সাথে ওয়াদা করেছেন যে, আমার উম্মাতের ৭০ হাজার ব্যক্তিকে বিনা হিসাবে ও শাস্তি ছাড়াই জান্নাতে দাখিল করবেন। উল্লেখিত (সত্তর হাজারের) প্রতি হাজারের সাথে আরো ৭০ হাজার (বিনা হিসাবে বেহেশতে যাবে) এছাড়াও আমার রবের মুষ্ঠির তিন মঠো পরিমাণ লোক বিনা হিসাবে বেহেশতে যাবে। মুসনাদে আহমাদ, তিরমিযী, ইবনে মাজা
کتاب الایمان
عَنْ أَبِىْ أُمَامَةَ ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «وَعَدَنِي رَبِّي أَنْ يُدْخِلَ الْجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِي سَبْعِينَ أَلْفًا، لَا حِسَابَ عَلَيْهِمْ، وَلَا عَذَابَ، مَعَ كُلِّ أَلْفٍ سَبْعُونَ أَلْفًا، وَثَلَاثُ حَثَيَاتٍ مِنْ حَثَيَاتِ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ» (رواه احمد والترمذى وابن ماجه)
হাদীস নং: ১০২
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ হাওযে কাওসার, পুলসিরাত ও মিযান

হাদীসে আখিরাতের যেসব জিনিসের বর্ণনা করা হয়, তাতে সাধারণতঃ তিনটি জিনিস যথা- (১) হাওযে কাওসার, (২) পুলসিরাত, (৩) মিযান উল্লিখিত হয়ে থাকে।

কোন কোন হাদীসে 'হাওয' এবং কোন কোন হাদীসে 'নহর' শব্দের দ্বারা কাওসার বুঝান হয়েছে। আবার কোন কোন হাদীস থেকে জানা যায় যে, কাওসার জান্নাতের মধ্যে অবস্থিত। আবার কোন কোন হাদীস থেকে জানা যায় যে, কাওসার জান্নাতের বাইরে অবস্থিত এবং ঈমানদারগণ জান্নাতে যাওয়ার পূর্বে এ হাওযের নিকটে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খেদমতে আকদাসে হাযির হবেন এবং তাঁর দস্ত মোবারক থেকে নেহায়ত শুভ্র, স্বচ্ছ এবং বে-ইনতেহা সুস্বাদু পানি করবেন। অনুসন্ধান ও গবেষণা থেকে অনুমিত হয় যে, কাওসারের মূল কেন্দ্রীয় জলাশয়, জান্নাতের অভ্যন্তরে অবস্থিত এবং জান্নাতের সর্বত্র তার শাখা নহরের ন্যায় প্রবাহিত। যে নহর হাওযে কাওসার নামে খ্যাত তা হাজার মাইল দৈর্ঘ্য ও প্রস্তের খুব সুন্দর একটি 'তালাব' (পুকুর) যা জান্নাতের বাইরে অবস্থিত। অবশ্য জান্নাতের ভিতরে অবস্থিত জলাশয়ের সাথে সংযুক্ত। এর অর্থ হল জান্নাতের ভিতরের জলাশয় থেকে বিভিন্ন নহরের মাধ্যমে পানি প্রবাহিত হয়ে বাইরে অবস্থিত হাওযে আসবে। আধুনিককালে বিভিন্ন শহরে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা থেকে কাওসারের এ বৈশিষ্ট্য অনুমান করা সহজ।

প্রণিধানযোগ্য বিষয় হল 'হাওয' শব্দের দ্বারা মানুষের দৃষ্টি দুনিয়ার হাওযের দিকে ধাবিত হতে পারে। কিন্তু অর্থ ও সুদৃশ্যের দিক থেকে হাওযে কাওসার দুনিয়ার হাওয থেকে এতটুকু বৈশিষ্টমণ্ডিত যতটুকু বেহেশতের অপরাপর সামগ্রী দুনিয়ার সাধারণ সামগ্রী থেকে বৈশিষ্টমণ্ডিত হবে। অধিকন্তু হাদীস থেকে জানা যায় যে, হাওযে কাওসার এমন প্রশস্ত ও বিস্তীর্ণ হবে যে, একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে যেতে হলে একজন ভ্রমণকারীর একমাস সময় ব্যয়িত হবে। অপর এক হাদীসে একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের দূরত্ব এডেন এবং ওম্মানের মধ্যবর্তী দূরত্বের সাথে তুলনা করা হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য যে, আখিরাতের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে হাদীসে যে বিবরণ প্রদান করা হয়েছে তার আলোকেও এসব বিষয় বাস্তবে না দেখা পর্যন্ত সঠিকভাবে অনুধাবন করা যাবে না। বলা বাহুল্য, হাওয, সিরাত এবং মিযান এ ধরনেরই তিনটি বিষয়।

হাওযে কাওসারে নবী করীম (ﷺ)
১০২. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: আমি জান্নাতে ভ্রমণ করছিলাম। তখন একটি নহরের কাছে পৌছলাম। উহার উভয় পার্শ্ব ছিল ফাঁকা মুক্তা দিয়ে কুব্বা (গম্বুজাকৃতি) নির্মাণ করা ছিল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম। হে জিবরাঈল! এটা কি? তিনি বললেনঃ ইহা কাওসার যা আপনার রব আপনাকে দান করেছেন। রাসূল (ﷺ) দেখলেন তার তলদেশের মাটি সুরভিত মিশকের ন্যায় সুগন্ধি। -বুখারী
کتاب الایمان
عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " بَيْنَا أَنَا أَسِيرُ فِي الجَنَّةِ، إِذَا أَنَا بِنَهَرٍ، حَافَتَاهُ قِبَابُ الدُّرِّ المُجَوَّفِ، قُلْتُ: مَا هَذَا يَا جِبْرِيلُ؟ قَالَ: هَذَا الكَوْثَرُ، الَّذِي أَعْطَاكَ رَبُّكَ، فَإِذَا طِينُهُ مِسْكٌ أَذْفَرُ ".(رواه البخارى)
হাদীস নং: ১০৩
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ হাওযে কাওসারের পানি যে পান করবে সে পিপাসা বোধ করবে না
১০৩. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: আমার হাওযের (একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের বা চতুর্দিকের) দূরত্ব এক মাসের এবং তার কোনসমূহ সমান, তার পানি দুধের চেয়ে বেশী সাদা, তার খোশবু মেশক থেকেও অধিক এবং তার পাত্র আসমানের সিতারার ন্যায় (অসংখ্য)। যে লোক তা থেকে পান করবে সে কখনো পিপাসা বোধ করবে না। বুখারী, মুসলিম
کتاب الایمان
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو: قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «حَوْضِي مَسِيرَةُ شَهْرٍ، وَزَوَايَاهُ سَوَاءٌ مَاؤُهُ أَبْيَضُ مِنَ اللَّبَنِ، وَرِيحُهُ أَطْيَبُ مِنَ المِسْكِ، وَكِيزَانُهُ كَنُجُومِ السَّمَاءِ، مَنْ يَشْرَبُ مِنْهَا فَلاَ يَظْمَأُ أَبَدًا» (رواه البخارى ومسلم)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১০৪
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ নবী করীম (ﷺ) হাওযে কাওসারে প্রথম পৌছবেন এবং যাদেরকে তাড়িয়ে দেওয়া দেয়া হবে
১০৪. হযরত সাহল ইবনে সা'দ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: আমি তোমাদের আগেই হাওযে কাওসারে পৌছব। যে ব্যক্তি আমার কাছে আসবে সে পান করবে, যে পান করবে সে আর কখনো পিপাসার্ত হবে না। কিছু লোক আমার কাছে পৌছবে, আমি তাদেরকে চিনব, তারা আমাকে চিনবে। অতঃপর তাদের ও আমার মাঝে পরদা ঢেলে দেয়া হবে। আমি বলব, তারা আমারই লোক। কিন্তু বলা হবে, তুমি জান না, তোমার ইন্তেকালের পর তারা কি উদ্ভাবন করেছে। আমি বলব, তারা ধ্বংস হোক, ধ্বংস হোক যারা আমার পর (দিনের মধ্যে) পরিবর্তন সাধন করেছে। বুখারী, মুসলিম
کتاب الایمان
عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنِّي فَرَطُكُمْ عَلَى الحَوْضِ، مَنْ مَرَّ عَلَيَّ شَرِبَ، وَمَنْ شَرِبَ لَمْ يَظْمَأْ أَبَدًا، سَيَرِدَنَّ عَلَيَّ أَقْوَامٌ أَعْرِفُهُمْ وَيَعْرِفُونِي، ثُمَّ يُحَالُ بَيْنِي وَبَيْنَهُمْ فَأَقُولُ إِنَّهُمْ مِنِّي، فَيُقَالُ: إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ، فَأَقُولُ: سُحْقًا سُحْقًا لِمَنْ غَيَّرَ بَعْدِي» (رواه البخارى ومسلم)
হাদীস নং: ১০৫
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ সর্বপ্রথম যাদেরকে পানি পান করতে দেয়া হবে
১০৫. হযরত সাওবান (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) বলেন: আমাকে হাওয (কাওসার) আদন (এডেন) থেকে উম্মান আম্মানে বালকাআ পর্যন্ত বিস্তৃত, তার পানি দুধের চেয়ে অধিক সাদা, মধুর চেয়ে অধিক মিষ্ট এবং তার পানপাত্র আকাশের তারকার ন্যায় (অগণিত)। যে ব্যক্তি একবার তার পানি পান করবে সে আর কখনোও পিপাসার্ত হবে না। সর্বপ্রথম হাওযের কাছে গমনকারীগণ হবে দরিদ্র মুহাজির যাদের মাথার চুল এলোমেলো, পোশাক পরিচ্ছদ মলিন এবং যারা সুখ সাচ্ছন্দ্যের অধিকারী মহিলাদেরকে বিবাহ করতে অপারগ এবং যাদের স্বাগত জানাবার জন্য দ্বার উন্মুক্ত হয়নি। -আহমাদ, তিরমিযী, ইবনে মাজা
کتاب الایمان
عَنْ ثَوْبَانَ عَنِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : «حَوْضِي مِنْ عَدَنَ إِلَى عَمَّانَ الْبَلْقَاءِ، مَاؤُهُ أَشَدُّ بَيَاضًا مِنَ اللَّبَنِ، وَأَحْلَى مِنَ الْعَسَلِ، وَأَكْوَابُهُ عَدَدُ نُجُومِ السَّمَاءِ مَنْ شَرِبَ مِنْهُ شَرْبَةً لَمْ يَظْمَأْ بَعْدَهَا أَبَدًا. أَوَّلُ النَّاسِ وُرُودًا فُقَرَاءُ الْمُهَاجِرِينَ الشُّعْثُ رُءُوسًا الدُّنْسُ ثِيَابًا الَّذِينَ لَا يَنْكِحُونَ الْمُتَنَعِّمَاتِ، وَلَا تُفْتَحُ لَهُمْ السُّدَدِ»(رواه احمد والترمذى وابن ماجه)
হাদীস নং: ১০৬
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ সর্বাধিক সংখ্যক পানকারী নবীর হাওযে পৌছবে
১০৬. হযরত সামুরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, প্রত্যেক নবীর একটি করে হাওয রয়েছে, তাঁদের মধ্যে কার নিকট বেশী সংখ্যক পানকারী আগমন করে তা নিয়ে তাঁরা গর্ববোধ করবেন। আমি নিশ্চিত আশা করি আমার নিকট সর্বাধিক সংখ্যক পানকারী আগমন করবে। তিরমিযী
کتاب الایمان
عَنْ سَمُرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ لِكُلِّ نَبِيٍّ حَوْضًا وَإِنَّهُمْ لَيَتَبَاهَوْنَ أَيُّهُمْ أَكْثَرُ وَارِدَةً، وَإِنِّي لَأَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَكْثَرَهُمْ وَارِدَةً» (رواه الترمذى)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১০৭
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামতের দিন নবী (ﷺ) পুলসিরাত, মীযান ও হাওযের নিকটে উপস্থিত থাকবেন
১০৭. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, কিয়ামতের দিন কি তিনি আমার জন্য শাফা'আত করবেন? তিনি বললেন: তা করব। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনাকে কোথায় তালাশ করব? তিনি বললেনঃ যখন তুমি প্রথমবার আমাকে খুঁজবে তখন পুলসিরাতের কাছে খুঁজবে। আমি বললাম, সিরাতে যদি আপনার সাথে সাক্ষাৎ না পাই। নবী (ﷺ) বললেন: তাহলে মীযানের কাছে খুঁজবে। আমি বললাম, মীযানের কাছে যদি আপনার সাক্ষাৎ না পাই। তিনি জবাব দিলেন: তাহলে হাওযে কাওসারের কাছে আমাখে খুঁজবে। কেননা আমি ঐ সময় এ তিন স্থান ছাড়া কোথাও যাব না। তিরমিযী
کتاب الایمان
عَنْ أَنَسٍ قَالَ: سَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَشْفَعَ لِي يَوْمَ القِيَامَةِ، فَقَالَ: «أَنَا فَاعِلٌ» قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ فَأَيْنَ أَطْلُبُكَ؟ قَالَ: «اطْلُبْنِي أَوَّلَ مَا تَطْلُبُنِي عَلَى الصِّرَاطِ». قَالَ: قُلْتُ: فَإِنْ لَمْ أَلْقَكَ عَلَى الصِّرَاطِ؟ قَالَ: «فَاطْلُبْنِي عِنْدَ المِيزَانِ». قُلْتُ: فَإِنْ لَمْ أَلْقَكَ عِنْدَ المِيزَانِ؟ قَالَ: «فَاطْلُبْنِي عِنْدَ الحَوْضِ فَإِنِّي لَا أُخْطِئُ هَذِهِ الثَّلَاثَ المَوَاطِنَ» (رواه الترمذى)
হাদীস নং: ১০৮
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ সিরাতে মুমিনদের দু‘আ
১০৮. হযরত মুগীরা ইবনে শু'বা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: কিয়ামতের দিন সিরাতে মুমিনদের এই বৈশিষ্ট্য হবে যে, তারা দু‘আ করতে থাকবে: হে আমাদের রব! আমাদেরকে নিরাপদে রাখুন, আমাদেরকে শান্তিতে রাখুন। -তিরমিযী
کتاب الایمان
عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: شِعَارُ الْمُؤْمِنِ عَلَى الصِّرَاطِ، رَبِّ سَلِّمْ سَلِّمْ. (رواه الترمذى)
হাদীস নং: ১০৯
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ শাফা'আত

হাদীস শরীফে হাশরের ময়দানের যেসব ঘটনাবলী স্পষ্টভাবে উল্লেখিত হয়েছে এবং যার উপর ঈমান আনা একজন বিশ্বাসী ব্যক্তির অবশ্য কর্তব্য তার মধ্যে আল্লাহর রাসূলের শাফা'আতের বিষয়টি অন্যতম। শাফা'আত সংক্রান্ত হাদীসের সংখ্যা খুব বেশী এবং একই ধরনের হাদীস একাধিকবার বিবৃত হয়েছে।
হাদীসবেত্তাগণ এসব হাদীস থেকে এ রায় কায়েম করেছেন যে, আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-এর শাফা'আত কয়েক ধরনের হবে এবং বার বার হবে। হাশরের ময়দানের লোকজন যখন ভীত ও সন্ত্রস্ত থাকবে, একটু নড়াচড়া করারও সাহস পাবে না এবং আদম (আ) থেকে শুরু করে ঈসা (আ) পর্যন্ত তামাম উলুম আযম পয়গম্বর ইয়া নফসি ইয়া নফসি করতে থাকবেন এবং কারও জন্য শাফা'আত করার মত সাহস থাকবে না। তখন সাধারণ হাশরবাসীদের দরখাস্তের পরপ্রেক্ষিতে এবং তাদের কষ্ট ও দুশ্চিন্তায় ব্যথিত হয়ে সর্বপ্রথম আল্লাহর রাসূল (ﷺ) হিম্মত করে অগ্রসর হবেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের লুতফ ও করমের উপর ভরসা করবেন এবং অত্যন্ত বিনয় ও আদবের সাথে রাব্বুল ইযযতের দরবারে হাশরবাসীদের জন্য সুপারিশ করবেন। হাশরের ময়দানের লোকদেরকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি প্রদান এবং তাদের হিসাব-নিকাশ শুরু করার জন্য আখেরী নবী (ﷺ) আল্লাহ্ তা'আলার দরবারে দরখাস্ত পেশ করবেন। কিয়ামতের দিন মহামহিম আল্লাহর দরবারে এটাই হবে প্রথম শাফা'আত এবং তা আখেরী নবীর পক্ষ থেকে হবে। অতঃপর হিসাব ও ফয়সালার কাজ শুরু হবে। পূর্বে উল্লেখিত হয়েছে যে, এই শাফা'আত সাধারণ আহলে মাহশরের জন্য হবে। এজন্য এটা শাফা'আতে কুবরা (বড় শাফা'আত) হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। অতঃপর নবী করীম (ﷺ) তার উম্মতের বিভিন্ন পর্যায়ের যে সব ব্যক্তি গুনাহের কারণে জাহান্নামের শাস্তি প্রাপ্ত হবে বা জাহান্নামের নিক্ষিপ্ত হবে সে সব ব্যক্তিদের মুক্তির জন্য আল্লাহর দরবারে সুপারিশ করবেন। তার এ সুপারিশও কবুল হবে। তাঁর সুপারিশের কারণে তাঁর উম্মতদের গুনাহগারদের এক বিরাট অংশ জাহান্নাম থেকে বের হবে। এছাড়াও তিনি তাঁর উম্মতের সৎকর্মশীল ব্যক্তিদেরকে বিনা হিসেবে বেহেশতে প্রবেশ করার জন্য আল্লাহর দরবারে দরখাস্ত পেশ করবেন। তার এ আরযি মোতাবেক বিনা হিসাবে তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করা অনুমতি প্রদান করা হবে। অনুরূপভাবে তিনি তাঁর উম্মতের বহু সংখ্যক ব্যক্তির মর্যাদার উন্নতির জন্য আল্লাহর নিকট সুপারিশ পেশ করবেন। হাদীসে বিভিন্ন পর্যায়ের শাফা'আত এবং বিভিন্ন ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ প্রদান করা হয়েছে।
হাদীস থেকে একথাও জানা যায় যে, নবী করীম (ﷺ) -এর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শাফা'আতের দরজা উন্মুক্ত হওয়ার পর অন্যন্য নবীগণ এবং সালেহীনে উম্মত তাদের সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তিদের জন্য শাফা'আত করবেন। এমন কি নাবালিগ অবস্থায় মৃত সন্তানগণও তাদের পিতামাতার জন্য সুপারিশ করবেন। অনুরূপভাবে কোন কোন সৎকর্মশীল ব্যক্তি তাদের ভক্ত ও খাদিমদের জন্য সুপারিশ করবেন। তাদের সুপারিশ কবুল করা হবে এবং এসব সুপারিশের কারণে বিরাট সংখ্যক লোক পরিত্রাণ লাভ করবে।
উল্লেখ্য যে, এসব শাফা'আত আল্লাহ্ তা'আলার ইচ্ছা এবং হুকুম মোতাবেক হবে। অন্যথায় কোন নবী, কোন ফিরিশতাও আল্লাহর অনুমতি ব্যতিরেকে কোন এক ব্যক্তিকেও দোযখ থেকে বের করতে পারবে না। এমন কি আল্লাহর অনুমতি ব্যতিরেকে কোন ব্যক্তির পক্ষে কেহ কথা পর্যন্ত বলতে সক্ষম হবেন না।

مَنۡ ذَا الَّذِیۡ یَشۡفَعُ عِنۡدَہٗۤ اِلَّا بِاِذۡنِہٖ

-তাঁর অনুমতি ব্যতিত কে তাঁর নিকট শাফা'আত করতে পারে? অন্যত্র বলা হয়েছেঃ-

ولا يَشْفَعُونَ إلا لمن أذن له

যার জন্য তিনি রাজী একমাত্র তার জন্যই তারা সুপারিশ করতে পারেন।

ওলামায়ে কিরাম বলেছেন যে, শাফা'আতকারীর মর্যাদা ও সম্মানের জন্যই তাদের শাফা'আত কবুল করা হবে। অন্যথায় আল্লাহর ফায়সালার বিপরীত কিছু বলার শক্তি এবং সাধ্য কার রয়েছে?
يفعل ما يشاء ويحكم ما يريد

শাফা'আতে কুবরার পূর্বে হাশরবাসীদের অস্থিরতা
১০৯. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন (যখন গোটা মানবজাতি হাশরের ময়দানে একত্র হবে তখন) মানুষের মধ্যে চরম সন্ত্রাস ও কঠিন ভীর হবে। তারা আদম (আ)-এর খেদমতে হাযির হবে এবং বলবে, আপনার রবের কাছে (আমাদের জন্য) সুপারিশ করুন। তিনি বলবেন, আমি এ কাজের উপযুক্ত নই, বরং ইবরাহীম (আ)-এর নিকট যাও, কেননা তিনি দয়াময় রহমানের প্রিয়বন্ধু (খলীল)। অতঃপর তারা ইবরাহীম (আ)-এর নিকট হাযির হবে। তিনি বলবেন: আমি একাজের উপযুক্ত নই, বরং তোমরা মূসা (আ)-এর নিকটে যাও। কেননা তিনি আল্লাহর সাথে সরাসরি কথোপকথন করেছেন।
অতঃপর তারা মূসা (আ)-এর নিকট হাযির হবে। তিনি বলবেন: আমি এ কাজের উপযুক্ত নই, বরং তোমরা ঈসা (আ)-এর নিকট যাও। কেননা, তিনি আল্লাহর রূহ ও তাঁর কালেমা। অতঃপর তারা ঈসা (আ)-এর নিকট যাবে। তিনি বলবেন আমি এ কাজের উপযুক্ত নই। বরং তোমাদের অবশ্যই মুহাম্মদ (ﷺ)-এর নিকট যাওয়া উচিত। অতঃপর তারা আমার নিকট আসবে। আমি বলব: এটা আমার কাজ, অতঃপর আমি আমার রবের নিকট অনুমতি চাইব। আমাকে অনুমতি দেওয়া হবে এবং ঐ সময় আল্লাহ্ আমার উপর তার প্রশংসা সূচক এক বিশেষ বাক্য ইলহাম করবেন। যা এখন আমার জানা নেই। সেই বাক্যে আমি আল্লাহর প্রশংসা করব। এবং তাঁর সামনে সিজদায় লুটিয়ে পড়ব। (মুসনাদে আহমদের এক বর্ণনা থেকে জানা যায়, তিনি এক সপ্তাহ এভাবে সিজদায় পড়ে থাকবেন।) অতঃপর বলা হবে, হে মুহাম্মদ! মাথা উঠাও, বল তোমার কথা শুনা হবে, প্রার্থনা কর তোমাকে দান করা হবে, সুপারিশ কর তোমার সুপারিশ কবুল করা হবে। আমি বলবঃ ইয়া রব! আমার উম্মত! আমার উম্মত! তখন বলা হবে যাও, যাদের অন্তরে বালির দানার পরিমাণ ঈমান আছে তাদেরকে বের করে আন। আমি যাব এবং তা করব। অতঃপর ফিরে এসে আমি ইলহামকৃত বাক্যে আল্লাহর প্রশংসা করব এবং তাঁর সামনে সিজদায় লুটিয়ে পড়ব। বলা হবে হে মুহম্মদ! তোমার মাথা ওঠাও, বল তোমার কথা শোনা হবে, প্রার্থনা কর তোমাকে দান করা হবে, সুপারিশ কর কবুল করা হবে। আমি বলবঃ ইয়া বর! আমার উম্মত, আমার উম্মত। বলা হবে যাও, যার অন্তরে অনু পরিমাণ বা সরিষার দানা পরিমাণ ঈমান রয়েছে তাদের বের কর। অতঃপর আমি ফিরে যাব এবং তাই করব। আবার এসে সেই বাক্যে তাঁর প্রশংসা করব এবং তাঁর সামনে সিজদায় লুটিয়ে পড়ব। বলা হবে হে মাহাম্মদ! মাথা ওঠাও। বল, তোমার কথা শুনা হবে, সওয়াল কর দেয়া হবে, সুপারশ কর কবুল করা হবে। অতঃপর আমি বলব: হে রব! আমার উম্মত! আমার উম্মত! তখন বলা হবে যাও, যাদের অন্তরে সরিষার দানার চেয়েও অনেক অনেক কম ঈমান আছে তাদের জাহান্নাম থেকে বের করে নিয়ে এস। অতএব আমি তাই করব। চতুর্থবার এসে আমি ইলহামকৃত বাক্যে আল্লাহর প্রশংসা করব এবং তাঁর সামনে সিজদায় লুটিয়ে পড়ব। বলা হবে, হে মুহাম্মদ! মাথা ওঠাও। বল, তোমার কথা শুনা হবে, প্রার্থনা কর দান করা হবে, সুপারিশ কর কবুল করা হবে। আমি বলব? হে আমার রব! যারা লা-ইলাহা ইল্লল্লাহ পড়েছিল তাদের ব্যাপারে আমাকে অনুমতি দিন। আল্লাহ বলবেন, এ কাজ তোমার নয়, আমার ইযযত, আমার সম্মান আমার গৌরব ও আমার মহত্বের শপথ। আমি অবশ্যই তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করব, যারা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ পড়েছিল। -বুখারী, মুসলিম
کتاب الایمان
عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ" إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ مَاجَ النَّاسُ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ، فَيَأْتُونَ آدَمَ فَيَقُولُونَ لَهُ: اشْفَعْ لِذُرِّيَّتِكَ، فَيَقُولُ: لَسْتُ لَهَا، وَلَكِنْ عَلَيْكُمْ بِإِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَإِنَّهُ خَلِيلُ اللهِ، فَيَأْتُونَ إِبْرَاهِيمَ فَيَقُولُ: لَسْتُ لَهَا وَلَكِنْ عَلَيْكُمْ بِمُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَإِنَّهُ كَلِيمُ اللهِ، فَيُؤْتَى مُوسَى، فَيَقُولُ: لَسْتُ لَهَا، وَلَكِنْ عَلَيْكُمْ بِعِيسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ ، فَإِنَّهُ رُوحُ اللهِ وَكَلِمَتُهُ، فَيُؤتَى عِيسَى، فَيَقُولُ: لَسْتُ لَهَا، وَلَكِنْ عَلَيْكُمْ بِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأُوتَى، فَأَقُولُ: أَنَا لَهَا، فَأَنْطَلِقُ فَأَسْتَأْذِنُ عَلَى رَبِّي، فَيُؤْذَنُ لِي، فَأَقُومُ بَيْنَ يَدَيْهِ فَأَحْمَدُهُ بِمَحَامِدَ لَا أَقْدِرُ عَلَيْهِ الْآنَ، يُلْهِمُنِيهِ اللهُ، ثُمَّ أَخِرُّ لَهُ سَاجِدًا، فَيُقَالُ لِي: يَا مُحَمَّدُ، ارْفَعْ رَأْسَكَ، وَقُلْ: يُسْمَعْ لَكَ، وَسَلْ تُعْطَهْ، وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ، فَأَقُولُ: رَبِّ، أُمَّتِي أُمَّتِي، فَيُقَالُ: انْطَلِقْ، فَمَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةٍ مِنْ بُرَّةٍ، أَوْ شَعِيرَةٍ مِنْ إِيمَانٍ، فَأَخْرِجْهُ مِنْهَا، فَأَنْطَلِقُ فَأَفْعَلُ، ثُمَّ أَرْجِعُ إِلَى رَبِّي فَأَحْمَدُهُ بِتِلْكَ الْمَحَامِدِ، ثُمَّ أَخِرُّ لَهُ سَاجِدًا، فَيُقَالُ لِي: يَا مُحَمَّدُ، ارْفَعْ رَأْسَكَ، وَقُلْ يُسْمَعْ لَكَ، وَسَلْ تُعْطَهْ، وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ، فَأَقُولُ: أُمَّتِي أُمَّتِي، فَيُقَالُ لِي: انْطَلِقْ فَمَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةٍ مِنْ خَرْدَلٍ مِنْ إِيمَانٍ فَأَخْرِجْهُ مِنْهَا، فَأَنْطَلِقُ فَأَفْعَلُ، ثُمَّ أَعُودُ إِلَى رَبِّي فَأَحْمَدُهُ بِتِلْكَ الْمَحَامِدِ، ثُمَّ أَخِرُّ لَهُ سَاجِدًا، فَيُقَالُ لِي: يَا مُحَمَّدُ، ارْفَعْ رَأْسَكَ، وَقُلْ يُسْمَعْ لَكَ، وَسَلْ تُعْطَهْ، وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ، فَأَقُولُ: يَا رَبِّ، أُمَّتِي أُمَّتِي، فَيُقَالُ لِي: انْطَلِقْ فَمَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ أَدْنَى أَدْنَى أَدْنَى مِنْ مِثْقَالِ حَبَّةٍ مِنْ خَرْدَلٍ مِنْ إِيمَانٍ فَأَخْرِجْهُ مِنَ النَّارِ فَأَنْطَلِقُ فَأَفْعَلُ "، هَذَا حَدِيثُ أَنَسٍ الَّذِي أَنْبَأَنَا بِهِ، فَخَرَجْنَا مِنْ عِنْدِهِ، فَلَمَّا كُنَّا بِظَهْرِ الْجَبَّانِ، قُلْنَا: لَوْ مِلْنَا إِلَى الْحَسَنِ فَسَلَّمْنَا عَلَيْهِ وَهُوَ مُسْتَخْفٍ فِي دَارِ أَبِي خَلِيفَةَ، قَالَ: فَدَخَلْنَا عَلَيْهِ، فَسَلَّمْنَا عَلَيْهِ، فَقُلْنَا: يَا أَبَا سَعِيدٍ، جِئْنَا مِنْ عِنْدِ أَخِيكَ أَبِي حَمْزَةَ، فَلَمْ نَسْمَعْ مِثْلَ حَدِيثٍ حَدَّثَنَاهُ فِي الشَّفَاعَةِ، قَالَ: هِيَهِ، فَحَدَّثْنَاهُ الْحَدِيثَ، فَقَالَ: هِيَهِ قُلْنَا: مَا زَادَنَا، قَالَ: قَدْ حَدَّثَنَا بِهِ مُنْذُ عِشْرِينَ سَنَةً وَهُوَ يَوْمَئِذٍ جَمِيعٌ، وَلَقَدْ تَرَكَ شَيْئًا مَا أَدْرِي أَنَسِيَ الشَّيْخُ، أَوْ كَرِهَ أَنْ يُحَدِّثَكُمْ، فَتَتَّكِلُوا، قُلْنَا لَهُ: حَدِّثْنَا، فَضَحِكَ وَقَالَ: {خُلِقَ الْإِنْسَانُ مِنْ عَجَلٍ} ، مَا ذَكَرْتُ لَكُمْ هَذَا إِلَّا وَأَنَا أُرِيدُ أَنْ أُحَدِّثَكُمُوهُ، " ثُمَّ أَرْجِعُ إِلَى رَبِّي فِي الرَّابِعَةِ، فَأَحْمَدُهُ بِتِلْكَ الْمَحَامِدِ، ثُمَّ أَخِرُّ لَهُ سَاجِدًا، فَيُقَالُ لِي: يَا مُحَمَّدُ، ارْفَعْ رَأْسَكَ، وَقُلْ يُسْمَعْ لَكَ، وَسَلْ تُعْطَ، وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ، فَأَقُولُ: يَا رَبِّ، ائْذَنْ لِي فِيمَنْ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، قَالَ: لَيْسَ ذَاكَ لَكَ - أَوْ قَالَ: لَيْسَ ذَاكَ إِلَيْكَ - وَلَكِنْ وَعِزَّتِي وَكِبْرِيَائِي وَعَظَمَتِي وَجِبْرِيَائِي، لَأُخْرِجَنَّ مَنْ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، " (رواه البخارى ومسلم)
হাদীস নং: ১১০
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ যাদেরকে জাহান্নামী বলা হবে
১১০. হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমার সুপারিশের ফলে আমার উম্মতের একদল লোককে জাহান্নাম থেকে বের করে আনা হবে এবং তাদরকে জাহান্নামী বলা হবে।-বুখারী
کتاب الایمان
عَنْ عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «يَخْرُجُ قَوْمٌ مِنْ اُمَّتِىْ مِنَ النَّارِ بِشَفَاعَتِىْ يُسَمَّوْنَ الجَهَنَّمِيِّينَ» (رواه البخارى)
হাদীস নং: ১১১
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ শাফা'আতের সুযোগ গ্রহাণকারী নবী (ﷺ)
১১১. হযরত আওফ ইবেন মালেক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমার প্রভুর নিকট থেকে একজন আগমনকারী এসেছেন এবং আল্লাহ্ তা'আলা আমাকে দু'টো জিনিসের একটা কবুল করার এখতিয়ার দিয়েছেন। আমার উম্মতের অর্ধেককে জান্নাত দান করা কিংবা আমাকে শাফা'আতের সুযোগ দেয়, আমি শাফা'আতের সুযোগ গ্রহণ করেছি এবং যে লোক আল্লাহর সাথে কোনরূপ শিরক না করে মৃত্যুবরণ করেছে তার জন্য আমার সুপারিশ হবে। -তিরমিযী, ইবনে মাজা
کتاب الایمان
عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَتَانِي آتٍ مِنْ عِنْدِ رَبِّي فَخَيَّرَنِي بَيْنَ أَنْ يُدْخِلَ نِصْفَ أُمَّتِي الجَنَّةَ وَبَيْنَ الشَّفَاعَةِ، فَاخْتَرْتُ الشَّفَاعَةَ، وَهِيَ لِمَنْ مَاتَ لاَ يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا. (رواه الترمذى وابن ماجه)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১২
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আন্তরিকতাসহকারে কালেমা পাঠকারীদের শাফা'আত
১১২. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন আমার শাফা'আত এমন লোকদের নসীব হবে যারা আন্তরিকতা সহকারে কালেমা পাঠ করেছিল। -বুখারী
کتاب الایمان
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: أَسْعَدُ النَّاسِ بِشَفَاعَتِي يَوْمَ القِيَامَةِ مَنْ قَالَ: لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، خَالِصًا مِنْ قَلْبِهِ، أَوْ نَفْسِهِ» (رواه البخارى)
হাদীস নং: ১১৩
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ কবীরা গুনাহকারীদের জন্য রাসূলের শাফা'আত
১১৩. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন: আমার উম্মদের কবীরা গুনাহকারীদের জন্য আমার শাফা'আত। -তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনে মাজা (-জাবির (রা) সূত্রে বর্ণিত)
کتاب الایمان
عَنْ أَنَسِ اَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «شَفَاعَتِي لِأَهْلِ الْكَبَائِرِ مِنْ أُمَّتِي» (رواه الترمذى و ابو داؤد وابن ماجه عن جابر)
হাদীস নং: ১১৪
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্ উম্মতের ব্যাপারে নবীকে খুশী করবেন
১১৪. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইবরাহীম (আ) সম্পর্কে কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াত তিলাওয়াত করলেনঃ "হে রব! এসব মূর্তি বহুসংখ্যক মানুষকে গোমরাহ করেছে। যারা আমার অনুসরণ করে তারা আমার অন্তর্গত।" তিনি ঈসা (আ)-এর এ কথাও তিলাওয়াত করলেন: "আপনি তাদেরকে আযাব দিতে চাইলে দিতে পারেন, তারা আপনারই বান্দা।"
অতঃপর তিনি তাঁর হাত উঠিয়ে বললেন: হে আল্লাহ! আমার উম্মত। আমার উম্মত। তিনি কাঁদলেন। আল্লাহ তা'আলা বললেন: হে জিবরাঈল! যদিও তোমার রব জ্ঞাত রয়েছেন তবুও তুমি মুহাম্মদের নিকট যাও এবং তাকে জিজ্ঞাসা কর কি জিনিস তাকে কাঁদাচ্ছে? জিবরাঈল (আ) তাঁর নিকট এসে কারণ জিজ্ঞাসা করলেন।
নবী (ﷺ) তাঁকে তাই বললেন যা তিনি আল্লাহকে বলেছিলেন। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা জিবরাঈল (আ)-কে বললেনঃ মুহাম্মদের নিকট যাও এবং বল, আমি অচিরেই আপনাকে আপনার উম্মতের ব্যাপারে খুশী করব। আপনাকে চিন্তিত ও দুঃখীত করব না। -মুসলিম
کتاب الایمان
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: تَلَا قَوْلَ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ فِي إِبْرَاهِيمَ: {رَبِّ إِنَّهُنَّ أَضْلَلْنَ كَثِيرًا مِنَ النَّاسِ فَمَنْ تَبِعَنِي فَإِنَّهُ مِنِّي} وَقَالَ عِيسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ: {إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ} فَرَفَعَ يَدَيْهِ وَقَالَ: «اللهُمَّ أُمَّتِي أُمَّتِي»، وَبَكَى، فَقَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: «يَا جِبْرِيلُ اذْهَبْ إِلَى مُحَمَّدٍ، وَرَبُّكَ أَعْلَمُ، فَسَلْهُ مَا يُبْكِيكَ؟» فَأَتَاهُ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، فَسَأَلَهُ فَأَخْبَرَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَا قَالَ، وَهُوَ أَعْلَمُ، فَقَالَ اللهُ: " يَا جِبْرِيلُ، اذْهَبْ إِلَى مُحَمَّدٍ، فَقُلْ: إِنَّا سَنُرْضِيكَ فِي أُمَّتِكَ، وَلَا نَسُوءُكَ " (رواه مسلم)
হাদীস নং: ১১৫
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ তিন প্রকারের লোক শাফা'আত করবেন
১১৫. হযরত উসমান ইবনে আফফান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: কিয়ামতের দিন তিন পর্যায়ের লোক শাফা'আত করবেন, আম্বিয়ায়ে বিরাম, অতঃপর আলিমগণ, অতঃপর শহীদগণ। ইবনে মাজা
کتاب الایمان
عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَشْفَعُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ثَلَاثَةٌ: الْأَنْبِيَاءُ، ثُمَّ الْعُلَمَاءُ، ثُمَّ الشُّهَدَاءُ "(رواه ابن ماجه)
হাদীস নং: ১১৬
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ কোন কোন লোক বহু লোকের শাফা'আত করবে
১১৬. হযরত আবু সায়ীদ (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ আমার উম্মতের কোন কোন লোক জামা'আতের (সমষ্টির) শাফা'আত করবে কোন কোন লোক গোত্রের শাফা'আত করবে, কোন কোন লোক ছোট ছোট গ্রুপের শাফা'আত করবে, কোন কোন লোক শাফা'আত করবে এক ব্যক্তির এবং তারা শেষ পর্যন্ত (যাদের জন্য শাফা'আত করা হবে) জান্নাতে পৌঁছে যাবে। -তিরমিযী
کتاب الایمان
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ مِنْ أُمَّتِي مَنْ يَشْفَعُ لِلْفِئَامِ مِنَ النَّاسِ وَمِنْهُمْ مَنْ يَشْفَعُ لِلْقَبِيلَةِ، وَمِنْهُمْ مَنْ يَشْفَعُ لِلْعَصَبَةِ، وَمِنْهُمْ مَنْ يَشْفَعُ لِلرَّجُلِ حَتَّى يَدْخُلُوا الجَنَّةَ. (رواه الترمذى)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১৭
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জান্নাতী জাহান্নামীর পক্ষে সুপারিশ করবেন
১১৭. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ দোযখবাসীগণ সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়াবে এবং একজন জান্নাতবাসী তাদের নিকট দিয়ে যাবে। সাবির মধ্য থেকে একজন বলবে, হে অমুক! তুমি কি আমাকে চিনতে পারনি? আমি তোমাকে পানীয় পান করতে দিয়েছিলাম তাদের কোন কোন লোক বলবে, আমি তোমাকে ওযুর পানি দিয়েছিলাম। জান্নাতী ব্যক্তি উক্ত জাহান্নামীর পক্ষে সুপারিশ করবে। অতঃপর তাকে জান্নাতে দাখিল করা হবে। -ইবনে মাজা
کتاب الایمان
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَصُفُّ أَهْلُ النَّارِ فَيَمُرُّ بِهِمُ الرَّجُلُ مِنْ اَهْلِ الْجَنَّةِ فَيَقُوْلُ الرَّجُلُ مِنْهُمْ يَا فُلَانُ اَمَا تَعْرِفْنِىْ اَنَا الَّذِىْ سَقَيْتُكَ شَرْبَةً وَقَالَ بَعْضُهُمْ اَنَا الَّذِىْ وَهَبْتُ لَكَ وَضُوْءً فَيَشْفَعُ لَهُ فَيُدْخِلُهُ الْجَنَّةَ . (رواه ابن ماجه)
হাদীস নং: ১১৮
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জান্নাত ও তার নি'আমতসমূহ

আখিরাতের যিন্দেগীর যেসব হাকীকতের সম্পর্কের উপর ঈমান আনা এক মুমিন ব্যক্তির অবশ্য কর্তব্য এবং যার উপর ঈমান গ্রহণ না করে এক ব্যক্তি মুসলমান হতে পারে না জান্নাত ও জাহান্নাম সেসব বিষয়ের অন্তর্গত। এ দু'টো স্থান মানুষের অনন্ত ও চিরস্থায়ী নিবাস। কুরআন শরীফে জান্নাত ও তার নি'আমত এবং জাহান্নাম এবং তার তখলিফ সম্পর্কে এতবেশী বর্ণনা রয়েছে যে, যদি এসব সংকলিত করা হয় তাহলে এক পুস্তিকা হয়ে যাবে।
অনুরূপভাবে জান্নাত ও দোযখ সম্পর্কে আল্লাহর রাসূলের হাদীসেও অনেক বিবরণ রয়েছে এবং যা থেকে যথেষ্ট তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু উল্লেখ্য যে কুরআন এবং হাদীস শরীফে দোযখ এবং বেহেশত সম্পর্কে যে বিবরণ দান করা হয়েছে এবং তার আসল হাকীকত আখিরাতের যিন্দেগীতে পৌছার পর প্রকৃত ঘটনা বাস্তবে দেখে অনুধাবন করা যাবে। একটা উদাহরণের দ্বারা জান্নাত ও জাহান্নাম সম্পর্কিত যথার্থতা অনুধাবন করা যাবে। যদি কোন ব্যক্তি আমাদের পৃথিবীর কোন জমজমাট শহরের বাগান ও বাজারের বিবরণ আমাদেরকে প্রদান করে তাহলে তার বিবরণ বাস্তবের তুলনায় অনেক কম বিবেচিত হয়।

কুরআন ও হাদীসে জান্নাত ও জাহান্নাম সম্পর্কে যে বিবরণ প্রদান করা হয়েছে তার দ্বারা জান্নাতের ভৌগোলিক বিবরণ বা নক্শা প্রদান করা নয় বরং তার লক্ষ্য হল দোযখের আযাব সম্পর্কে মানুষের মনে ভয়ভীতি উৎপাদন করা এবং দোযখে নিক্ষেপকারী মন্দ আমল থেকে তাদেরকে হেফাযত করা আর জান্নাত এবং তার ভোগ ও আরাম আয়াশ সম্পর্কে মানুষের মনে সখ ও আগ্রহ সৃষ্টি করা যাতে তারা জান্নাতের দিকে আকর্ষণকারী সুন্দর আমল করতে পারে। তাই এসব হাদীসের দাবী হল তা পাঠ করে বা শুনে আমাদের মনে ভয়ভীতি এবং আগ্রহ সৃষ্টি করা।

জান্নাত ও তার নিয়ামত যা চোখে দেখেনি, কানে শোনেনি এবং হৃদয় কল্পনা করেনি
১১৮. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ আমি আমার সৎকর্মশীল বান্দাদের জন্য এমন জিনিস তৈরী করে রেখেছি যা কোন চোখ দেখেনি, কোন কান শোনেনি এবং না তখনো কোন মানুষের হৃদয় কল্পনা করেছে। তোমরা যদি চাও তাহলে (কুরআনের আয়াত) তিলাওয়াত কর।" তাদের জন্য চোখ শীতলকারী যে নি'আমত লুকিয়ে রাখা হয়েছে তা কোন নফস জ্ঞাত নয়।"-বুখারী, মুসলিম
کتاب الایمان
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قَالَ اللَّهُ «أَعْدَدْتُ لِعِبَادِي الصَّالِحِينَ مَا لاَ عَيْنٌ رَأَتْ، وَلاَ أُذُنٌ سَمِعَتْ، وَلاَ خَطَرَ عَلَى قَلْبِ بَشَرٍ، فَاقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ فَلاَ تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ» (رواه البخارى ومسلم)
হাদীস নং: ১১৯
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জান্নাতের এক চাবুকের স্থান দুনিয়া ও তার মধ্যস্থ সবকিছু থেকে উত্তম
১১৯. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ জান্নাতে এক চাবুকের পরিমাণ স্থান দুনিয়া ও তার মধ্যস্থ সবকিছু থেকে উত্তম। -বুখারী
کتاب الایمان
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «مَوْضِعُ سَوْطٍ فِي الجَنَّةِ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا» (رواه البخارى ومسلم)
হাদীস নং: ১২০
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহর পথে সফর দুনিয়া ও তার মধ্যস্থ সবকিছু থেকে উত্তম
১২০. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: সকাল অথবা সন্ধ্যায় আল্লাহর পথে একবার বের হওয়া দুনিয়া ও তার মধ্যস্থ সবকিছু থেকে উত্তম। যদি জান্নাতের কোন মহিলা দুনিয়ার দিকে তাকায় তবে দুনিয়া ও আসমানের মধ্যে যা রয়েছে সব আলোকময় হয়ে যাবে এবং খোশবুতে ভরে যাবে। আর তার মাথার চাদর দুনিয়া ও তার মধ্যস্থ সবকিছু থেকে উত্তম। -বুখারী
کتاب الایمان
عَنْ اَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «غَدْوَةٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَوْ رَوْحَةٌ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا، وَلَوْ أَنَّ امْرَأَةً مِنْ نِسَاءِ أَهْلِ الجَنَّةِ اطَّلَعَتْ إِلَى الأَرْضِ لَأَضَاءَتْ مَا بَيْنَهُمَا، وَلَمَلَأَتْ مَا بَيْنَهُمَا رِيحًا، وَلَنَصِيفُهَا عَلَى رَأْسِهَا خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا» (رواه البخارى)