মা'আরিফুল হাদীস

معارف الحديث

ঈমান অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৪০ টি

হাদীস নং: ৮১
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামতের জ্ঞান আল্লাহর কাছেঃ পৃথিরীর প্রত্যেক প্রাণীর একশত বছরে মৃত্যু
৮১. হযরত জাবের (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী করীম (ﷺ)-কে তাঁর ইন্তেকালের একমাস পূর্বে বলতে শুনেছি। তোমরা আমাকে কিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে থাক। তার জ্ঞান একমাত্র আল্লাহর নিকট। আল্লাহর শপথ! পৃথিবীর বুকে এমন কোন প্রাণী নেই যে, তার উপর দিয়ে একশত বছর অতিক্রান্ত হবে এবং সে তখনও জীবিত থাকবে। -মুসলিম
کتاب الایمان
عَنْ جَابِرٍ قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ قَبْلَ أَنْ يَمُوتَ بِشَهْرٍ: «تَسْأَلُونِي عَنِ السَّاعَةِ؟، وَإِنَّمَا عِلْمُهَا عِنْدَ اللهِ، وَأُقْسِمُ بِاللهِ مَا عَلَى الْأَرْضِ مِنْ نَفْسٍ مَنْفُوسَةٍ تَأْتِي عَلَيْهَا مِائَةُ سَنَةٍ وَهِىَ حَيَّةٌ يَوْمَئِذٍ» (رواه مسلم)
হাদীস নং: ৮২
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ দুনিয়া থেকে আল্লাহর স্মরণকারীগণ নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার পর কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে
৮২. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যতক্ষণ দুনিয়াতে আল্লাহ আল্লাহ বলা (সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত নিকৃষ্ট সময় না আসবে) ততক্ষণ কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে না। অন্য রেওয়ায়েতে আছে। এমন কোন বাক্তির উপর কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে না যে আল্লাহ আল্লাহ বলবে। -মুসলিম
کتاب الایمان
عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى لَا يُقَالَ فِي الْأَرْضِ : اللهُ، اللهُ " وَفِىْ رِوَايَةٍ لَا تَقُومُ السَّاعَةُ عَلَى أَحَدٍ يَقُولُ: اللهُ، اللهُ " (رواه مسلم)
হাদীস নং: ৮৩
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মন্দ লোকের উপরই কিয়ামত হবে
৮৩. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, মন্দ লোকের উপরই কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। -মুসলিম
کتاب الایمان
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ لَا تَقُومُ السَّاعَةُ إِلَّا عَلَى شِرَارِ الْخَلْقِ
হাদীস নং: ৮৪
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ দুনিয়াতে দাজ্জালের আবির্ভাব ও হযরত ঈসা (আ)-এর আগমন
৮৪. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ কিয়ামতের পূর্বে দাজ্জাল বের হবে এবং চল্লিশ দিন পর্যন্ত অবস্থান করবে। বর্ণনাকারী বলেন, জানিনা তা চল্লিশ দিন না চল্লিশ মাস না চল্লিশ বছর? অতঃপর আল্লাহ ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ)-কে দুনিয়ায় প্রেরণ করবেন। তিনি উরওয়া ইবনে মাসউদের সাদৃশ হবেন। তিনি তাকে (দাজ্জালকে) তালাশ করে হত্যা করবেন। অতঃপর ঈসা (আ) দুনিয়ার মানুষের সাথে সাত বছর অবস্থান করবেন এবং (তাঁর কল্যাণে মানুষের মধ্যে এতটা ঐক্য ও সংহতি স্থাপিত হবে যে) এমন দুই ব্যক্তিও পাওয়া যাবে না যাদের মধ্যে শত্রুতা থাকবে। অতঃপর আল্লাহ্ তা'আলা সিরিয়া থেকে শীতল হাওয়া প্রবাহিত করবেন। তাতে দুনিয়ার বুকে এমন কোন মানুষ বাকী থাকবেনা যার অন্তরে বিন্দু পরিমাণ নেকী বা বিন্দু পরিমাণ ঈমান অবশিষ্ট থাকবে। এমনকি তোমাদের কেউ পাহাড়ের মধ্যে চলে গেলেও হাওয়া সেখানে প্রবেশ করে তাকে খতম করবে। নবী (ﷺ) বলেনঃ অতঃপর এমন নিকৃষ্ট মানুষ বাকী থাকবে যারা পাখীর চঞ্চলতা ও হিংস্র প্রাণীর মানসিকতার অধিকারী হবে। তারা উত্তম কাজ সম্পর্কে অজ্ঞ থাকবে এবং মন্দকাজকে মন্দ মনে করবে না। শয়তান আকৃতি ধারণ করে তাদের কাছে এসে বলবে, তোমরা কি লজ্জাবোধ কর না? তারা বলবে, তুমি আমাদের কি হুকুম কর? অতঃপর সে তাদেরকে মূর্তিপুজার হুকুম করবে। তখন তাদের কাছে প্রচুর রিযিক ও উন্নতমানের জীবনোপকরণ থাকবে। অতঃপর শিংগায় ফুঁ দেয়া হবে। যে ব্যক্তি তা শুনবে তার ঘাড় একদিকে ঝুঁকে পড়বে এবং অন্যদিকে উঁচু হয়ে যাবে। নবী (ﷺ) বলেন: উটের পানির হাউজ মেরামতকারী ব্যক্তি শিঙ্গার ফুৎকার প্রথম শুনবে। সে বেহুশ হয়ে পড়ে যাবে এবং সকল মানুষ বেহুশ হয়ে যাবে। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা বৃষ্টি বর্ষণ করবেন যা শিশিরের (বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি) ন্যায় হবে এবং তা থেকে মানুষের শরীর জন্ম হবে। অতঃপর দ্বিতীয়বার শিঙ্গায় ফু দেয়া হবে এবং তারা দাঁড়িয়ে যাবে ও দেখতে থাকবে। অতঃপর বলা হবে, হে মানুষ! তোমাদের প্রভুর নিকট আস এবং (ফিরিশেতাদেরকে বলা হবে) তাদেরকে দাঁড় করাও (হিসাব-নিকাশের জন্য) এবং তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে। অতঃপর বলা হবে, আগুনের জন্য একদল বের কর। জিজ্ঞাসা করা হবে, কত জনের মধ্যে কতজন। বলা হবে, হাজারের মধ্য থেকে নয়শত নিরানব্বই জন। নবী (ﷺ) বলেন: সেই দিন যা বাচ্চাদেরকে বুড়ো করে দেবে এবং এ সেই দিন যা খুব কঠিন দিন হবে। -মুসলিম
کتاب الایمان
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنَ عَمْرٍو قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ يَخْرُجُ الدَّجَّالُ فَيَمْكُثُ أَرْبَعِينَ - لَا أَدْرِي: أَرْبَعِينَ يَوْمًا، أَوْ شَهْرًا، أَوْ عَامًا فَيَبْعَثُ اللهُ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ كَأَنَّهُ عُرْوَةُ بْنُ مَسْعُودٍ، فَيَطْلُبُهُ فَيُهْلِكُهُ، ثُمَّ يَمْكُثُ النَّاسُ سَبْعَ سِنِينَ، لَيْسَ بَيْنَ اثْنَيْنِ عَدَاوَةٌ، ثُمَّ يُرْسِلُ اللهُ رِيحًا بَارِدَةً مِنْ قِبَلِ الشَّأْمِ، فَلَا يَبْقَى عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ أَحَدٌ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ خَيْرٍ أَوْ إِيمَانٍ إِلَّا قَبَضَتْهُ، حَتَّى لَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ دَخَلَ فِي كَبِدِ جَبَلٍ لَدَخَلَتْهُ عَلَيْهِ، حَتَّى تَقْبِضَهُ " قَالَ: سَمِعْتُهَا مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " فَيَبْقَى شِرَارُ النَّاسِ فِي خِفَّةِ الطَّيْرِ وَأَحْلَامِ السِّبَاعِ، لَا يَعْرِفُونَ مَعْرُوفًا وَلَا يُنْكِرُونَ مُنْكَرًا، فَيَتَمَثَّلُ لَهُمُ الشَّيْطَانُ، فَيَقُولُ: أَلَا تَسْتَجِيبُونَ؟ فَيَقُولُونَ: فَمَا تَأْمُرُنَا؟ فَيَأْمُرُهُمْ بِعِبَادَةِ الْأَوْثَانِ، وَهُمْ فِي ذَلِكَ دَارٌّ رِزْقُهُمْ، حَسَنٌ عَيْشُهُمْ، ثُمَّ يُنْفَخُ فِي الصُّورِ، فَلَا يَسْمَعُهُ أَحَدٌ إِلَّا أَصْغَى لِيتًا وَرَفَعَ لِيتًا، قَالَ: وَأَوَّلُ مَنْ يَسْمَعُهُ رَجُلٌ يَلُوطُ حَوْضَ إِبِلِهِ، قَالَ: فَيَصْعَقُ، وَيَصْعَقُ النَّاسُ، ثُمَّ يُرْسِلُ اللهُ - أَوْ قَالَ يُنْزِلُ اللهُ - مَطَرًا كَأَنَّهُ الطَّلُّ أَوِ الظِّلُّ - نُعْمَانُ الشَّاكُّ - فَتَنْبُتُ مِنْهُ أَجْسَادُ النَّاسِ، ثُمَّ يُنْفَخُ فِيهِ أُخْرَى، فَإِذَا هُمْ قِيَامٌ يَنْظُرُونَ، ثُمَّ يُقَالُ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ هَلُمَّ إِلَى رَبِّكُمْ، وَقِفُوهُمْ إِنَّهُمْ مَسْئُولُونَ، قَالَ: ثُمَّ يُقَالُ: أَخْرِجُوا بَعْثَ النَّارِ، فَيُقَالُ: مِنْ كَمْ؟ فَيُقَالُ: مِنْ كُلِّ أَلْفٍ تِسْعَمِائَةٍ وَتِسْعَةً وَتِسْعِينَ، قَالَ فَذَاكَ يَوْمَ يَجْعَلُ الْوِلْدَانَ شِيبًا، وَذَلِكَ يَوْمَ يُكْشَفُ عَنْ سَاقٍ " (رواه مسلم)
হাদীস নং: ৮৫
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ হযরত ইসরাফিল (আ) মুখে শিঙ্গা ধারণ করে রয়েছেন
৮৫. হযরত আবু সাঈদ আল খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমি কিভাবে নিশ্চিন্তে আরাম-আয়েশ ও আনন্দ-স্ফূর্তিতে মগ্ন থাকতে পারি। অথচ শিঙ্গার অধিকারী ফেরেশতা (ইসরাফিল) শিঙ্গা মুখে ধারণ করে নিজের কান পেতে এবং নিজের কপাল নত করে অপেক্ষা করছেন কখন তাঁকে শিঙ্গায় ফুঁ দেয়ার হুকুম করা হয়। সাহাবাগণ বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল। তাহলে আপনি আমাদের কি হুকুম করেন? তিনি বললেন: তোমরা বল, আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট এবং তিনিই উত্তম অভিভাবক। -তিরমিযী
کتاب الایمان
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَيْفَ أَنْعَمُ وَصَاحِبُ الصُّوْرِ قَدِ الْتَقَمَهُ ، وَأَصْغَى سَمْعَهُ وَقَنَى جَبْهَتَهُ، يَنْتَظِرُ مَتَى يُؤْمَرُ بِالنَّفْخِ» ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ فَمَا تَأْمُرُنَا؟ قَالَ: " قُولُوا: حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ (رواه الترمذى)
হাদীস নং: ৮৬
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্ মৃতকে জীবিত করবেন
৮৬. হযরত আবু রযীন আল উকাইল (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ কিভাবে তার মাখলুককে পুনঃজীবন দান করবেন এবং এর কী নিদর্শন তাঁর সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে? তিনি বললেন: তুমি কি কখনো তোমার কাওমের উপত্যকা এমন অবস্থায় অতিক্রম করনি যখন তা শস্যহীন ছিল, অতঃপর তা এমন অবস্থায় অতিক্রম করনি যখন শস্য-শ্যামল ছিল? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বললেন: ইহাই আল্লাহর মখলুকের মধ্যে তাঁর নিদর্শন এবং এভাবেই আল্লাহ মৃতকে জীবিত করবেন। -রযীন
کتاب الایمان
عَنْ أَبِي رَزِيْنٍ الْعُقَيْلِىْ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ يُعِيدُ اللَّهُ الْخَلْقَ وَمَا اٰيَةُ ذَالِكَ فِىْ خَلْقِهِ قَالَ اَمَا مَرَرْتَ بِوَادِىْ قَوْمِكَ جَدْبًا ثُمَّ مَرَرْتَ بِهِ يَهْتَزُّ خَضِرًا قُلْتُ نَعَمْ قَالَ فَتِلْكَ اٰيَةُ اللهِ فِىْ خَلْقِهِ كَذَالِكَ يُحْيِى اللهُ الْمَوْتٰى (واه رزين)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৭
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামতের দৃশ্য চোখে দেখার জন্য কুরআনের সূরা সমূহের তিলাওয়াত
৮৭. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কিয়ামতের দৃশ্য স্বচক্ষে দেখে খুশী হতে চায়-সে যেন সূরা কুব্বিরাত, সূরা ইনফিতার ও সূরা ইনশিকাক তিলাওয়াত করে। -আহমদ, তিরমিজী
کتاب الایمان
عَنِ ابْنَ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ كَأَنَّهُ رَأْيُ عَيْنٍ فَلْيَقْرَأْ: إِذَا الشَّمْسُ كُوِّرَتْ، وَإِذَا السَّمَاءُ انْفَطَرَتْ، وَإِذَا السَّمَاءُ انْشَقَّتْ (رواه احمد والترمذى)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৮
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পৃথিবীর বুকে মানুষ ভাল-মন্দ যে কাজই করে কিয়ামতের দিন যমীন এ সম্পর্কে সাক্ষ্য দেবে
৮৮. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সূরা যিলযাল-এর আয়াত "কিয়ামতের দিন যমীন তার খবর প্রদান করবে" তিলাওয়াত করলেন, অতপর বললেন: তোমরা কি জান যমীনের খবর প্রদানের অর্থ কি? সাহাবায়ে কিরাম বললেন: আল্লাহ ও তাঁর রাসূল অধিক ভালো জানেন। তিনি বললেন: তাঁর খবর প্রদানের অর্থ হল, পৃথিবীর উপর প্রত্যেক বান্দা ও বান্দী যে আমল করেছে সে সম্পর্কে যমীন সাক্ষদান করবে যে, সে আমার উপর অমুক অমুক দিন এরূপ কাজ করেছে। অতঃপর তিনি বললেন: এটাই হল যমীনের খবর। -মুসনাদে আহমদ, তিরমিযী
کتاب الایمان
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَرَأَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: هَذِهِ الْاٰيَةَ {يَوْمَئِذٍ تُحَدِّثُ أَخْبَارَهَا} قَالَ: أَتَدْرُونَ مَا أَخْبَارُهَا؟ قَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: فَإِنَّ أَخْبَارَهَا أَنْ تَشْهَدَ عَلَى كُلِّ عَبْدٍ أَوْ أَمَةٍ بِمَا عَمِلَ عَلَى ظَهْرِهَا أَنْ تَقُولَ: عَمِلَ كَذَا وَكَذَا يَوْمَ كَذَا وَكَذَا، قَالَ: فَهَذِهِ أَخْبَارُهَا. (رواه احمد والترمذى)
হাদীস নং: ৮৯
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামতের দিন সূর্য নিকটবর্তী হবে এবং মানুষ আমল অনুযায়ী ঘামের মধ্যে ডুবে থাকবে
৮৯. হযরত মিকদাদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ কিয়ামতের দিন সূর্য সৃষ্টিকুলের খুব নিকটবর্তী হয়ে যাবে। এমনকি তা তাদের থেকে একমাইলের দূরত্বে থাকবে। অতঃপর মানুষ নিজের আমল অনুযায়ী ঘামের মধ্যে থাকবে, কেউ হাঁটু পর্যন্ত, কেউ কোমর পর্যন্ত এবং কেউ মুখ পর্যন্ত ঘামের মধ্যে থাকবে। (একথা বলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)) নিজের মুখের দিকে হাতের ইশারা করলেন। -মুসলিম
کتاب الایمان
عَنِ الْمِقْدَادُ بْنُ الْأَسْوَدِ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «تُدْنَى الشَّمْسُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنَ الْخَلْقِ، حَتَّى تَكُونَ مِنْهُمْ كَمِقْدَارِ مِيلٍ» - قَالَ سُلَيْمُ بْنُ عَامِرٍ: فَوَاللهِ مَا أَدْرِي مَا يَعْنِي بِالْمِيلِ؟ أَمَسَافَةَ الْأَرْضِ، أَمِ الْمِيلَ الَّذِي تُكْتَحَلُ بِهِ الْعَيْنُ - قَالَ: «فَيَكُونُ النَّاسُ عَلَى قَدْرِ أَعْمَالِهِمْ فِي الْعَرَقِ، فَمِنْهُمْ مَنْ يَكُونُ إِلَى كَعْبَيْهِ، وَمِنْهُمْ مَنْ يَكُونُ إِلَى رُكْبَتَيْهِ، وَمِنْهُمْ مَنْ يَكُونُ إِلَى حَقْوَيْهِ، وَمِنْهُمْ مَنْ يُلْجِمُهُ الْعَرَقُ إِلْجَامًا» قَالَ: وَأَشَارَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ إِلَى فِيه . (رواه المسلم)
হাদীস নং: ৯০
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামতের দিন মানুষকে তিন শ্রেণীতে ভাগ করা হবে
৯০. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন মানুষকে তিন দলে ভাগ করে উঠান হবে। একদল পদব্রজে চলবে অপরদল সাওয়ারীতে চলবে এবং অন্য দল কপাল হেঁচড়িয়ে (উপুড় হয়ে) চলবে। জিজ্ঞাসা করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! তারা কিভাবে কপাল হেঁচড়িয়ে চলবে? তিনি বললেনঃ যে আল্লাহ তাদেরকে পদব্রজে চলার সামর্থ দিয়েছেন তিনি তাদেরকে কপাল হেঁচড়িয়ে চালাতে পূর্ণ সক্ষম। তারা কপাল হেঁচড়িয়ে প্রতিটি উঁচু-নীচু পথ ও কাটা থেকে নিজেদের রক্ষা করবে।-তিরমিযী
کتاب الایمان
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يُحْشَرُ النَّاسُ يَوْمَ القِيَامَةِ ثَلاَثَةَ أَصْنَافٍ: صِنْفًا مُشَاةً، وَصِنْفًا رُكْبَانًا، وَصِنْفًا عَلَى وُجُوهِهِمْ، قِيلَ: يَا رَسُولَ اللهِ، وَكَيْفَ يَمْشُونَ عَلَى وُجُوهِهِمْ؟ قَالَ: إِنَّ الَّذِي أَمْشَاهُمْ عَلَى أَقْدَامِهِمْ قَادِرٌ عَلَى أَنْ يُمْشِيَهُمْ عَلَى وُجُوهِهِمْ، أَمَا إِنَّهُمْ يَتَّقُونَ بِوُجُوهِهِمْ كُلَّ حَدَبٍ وَشَوْكٍ. (رواه الترمذى)
হাদীস নং: ৯১
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মৃত্যুর পর প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ নিজ আমলের জন্য অনুতপ্ত ও লজ্জিত হবে
৯১. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: যে কোন ব্যক্তি মৃত্যুর পর নিজ নিজ কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত ও লজ্জিত হবে। সাহাবীগণ বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! কেন তারা অনুতপ্ত ও লজ্জিত হবে ? তিনি বললেন: নেককার ব্যক্তি কেন অধিক পরিমাণে ভালো কাজ করে নি তার জন্য এবং মন্দ ব্যক্তি কেন মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকেনি তার জন্য আক্ষেপ করবে। -তিরমিযী
کتاب الایمان
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْ أَحَدٍ يَمُوتُ إِلَّا نَدِمَ»، قَالُوا: وَمَا نَدَامَتُهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «إِنْ كَانَ مُحْسِنًا نَدِمَ أَنْ لَا يَكُونَ ازْدَادَ، وَإِنْ كَانَ مُسِيئًا نَدِمَ أَنْ لَا يَكُونَ نَزَعَ» (رواه الترمذى)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯২
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সামনে উপস্থিতি ও আমলের হিসাব নিকাশ: একটি খেজুরের টুকরা দিয়ে হলেও নিজেকে রক্ষা কর
৯২. হযরত আদী ইবনে হাতিম (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তোমাদের প্রত্যেকের সাথে তার রব কথা বলবেন। তার রব ও তার মধ্যে কোন দোভাষী থাকবে না এবং কোন অন্তরালও থাকবে না। অতঃপর সে ডানদিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে কেবল নিজের কৃতকর্মই দেখতে পাবে। অতঃপর সে বামদিকে দৃষ্টিপাত করবে। কিন্তু নিজের কৃতকর্ম ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাবে না। অতঃপর সে সম্মুখের দিকে দৃষ্টি ফেলবে কিন্তু তার চেহারার সামনে আগুন ছাড়া আর কিছু দেখতে পাবে না। অতএব এক টুকরো খেজুর দিয়ে হলেও তোমরা আগুন থেকে নিজেদের রক্ষা কর। -বুখারী ও মুসলিম
کتاب الایمان
عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا مِنْكُمْ أَحَدٌ إِلَّا سَيُكَلِّمُهُ رَبُّهُ لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ تُرْجُمَانٌ، فَيَنْظُرُ أَيْمَنَ مِنْهُ فَلاَ يَرَى إِلَّا مَا قَدَّمَ مِنْ عَمَلِهِ، وَيَنْظُرُ أَشْأَمَ مِنْهُ فَلاَ يَرَى إِلَّا مَا قَدَّمَ، وَيَنْظُرُ بَيْنَ يَدَيْهِ فَلاَ يَرَى إِلَّا النَّارَ تِلْقَاءَ وَجْهِهِ، فَاتَّقُوا النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ " (رواه البخارى ومسلم)
হাদীস নং: ৯৩
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মেঘমুক্ত পূর্ণিমার চাঁদের মত কিয়ামতের দিন আল্লাহকে দেখা যাবে
৯৩. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! কিয়ামতের দিন কি আমরা আমাদের রবকে দেখতে পাব? তিনি বললেন: মেঘমুক্ত আকাশে দুপুর বেলা সূর্য অবলোক করতে কি তোমাদের কোন অসুবিধা হয়? তাঁরা বললেন, না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ মেঘশূন্য পূর্ণিমার রাতে চাঁদ দেখতে কি তোমাদের অসুবিধা হয়? তারা বলল, না। তিনি বললেন: সেই সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ! চন্দ্র ও সূর্য দেখতে যেরূপ অসুবিধা হয় না, সেরূপ তোমাদের রবকে দেখতেও তোমাদের কোন অসুবিধা হবে না। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন: যখন আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর বান্দার সাথে মুলাকাত করবেন তখন তিনি জিজ্ঞাসা করবেন: হে অমুক! আমি কি তোমাকে সম্মানিত করি নি, তোমাকে জনগণের নেতা করি নি, তোমাকে স্ত্রী দান করি নি, তোমাকে ঘোড়া ও উট দেইনি এবং তোমাকে নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব দান করি নি? সে বলবে হাঁ। আল্লাহ্ বলবেন: তুমি কি চিন্তা করনি যে, তোমাকে আমার সাথে মুলাকাত করতে হবে? সে বলবে, না। আল্লাহ বলবেন: আমি তোমাকে অনুগ্রহ করতে ভুলে যাব। যেরূপ তুমি আমাকে ভুলে ছিলে। অতঃপর আল্লাহ আরেক ব্যক্তির সঙ্গে মুলাকাত করবেন এবং তাকেও অনুরূপ কথা বলবেন। অতঃপর আরেক ব্যক্তির সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হবে এবং তাকেও অনুরূপ বলবেন। সে বলবে, হে আমার রব! আমি আপনার উপর, আপনার কিতাবের উপর এবং আপনার রাসুলদের উপর ঈমান এনেছি, নামায পড়েছি, রোযা রেখেছি এবং দান-খয়রাত করেছি। সে যথাসাধ্য নিজের ভালো ভালো কাজকর্মের উল্লেখ করবে। আল্লাহ বলবেন, বাস এ পর্যন্তই যথেষ্ট। অতঃপর তিনি বলবেন, এখন তোমার বিরুদ্ধে সাক্ষী ডাকব। সে মনে মনে চিন্তা করবে, কে আমার বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবে? অতঃপর তার বাকশক্তি রহিত করে দেয়া হবে এবং তার উরুকে বলা হবে, কথা বল। অতএব উরু তার গোশত ও তার হাড় তার কার্যকলাপ সম্পর্কে সাক্ষ্য দেবে। এরূপ করার কারণ যাতে তার আপত্তি করার কোন সযোগ অবশিষ্ট না থাকে। সে মুনাফিক এবং আল্লাহ তার উপর নারাজ থাকবেন। -মুসলিম
کتاب الایمان
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ هَلْ نَرَى رَبَّنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ؟ قَالَ: «هَلْ تُضَارُّونَ فِي رُؤْيَةِ الشَّمْسِ فِي الظَّهِيرَةِ، لَيْسَتْ فِي سَحَابَةٍ؟» قَالُوا: لَا، قَالَ: «فَهَلْ تُضَارُّونَ فِي رُؤْيَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ، لَيْسَ فِي سَحَابَةٍ؟» قَالُوا: لَا، قَالَ: " فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَا تُضَارُّونَ فِي رُؤْيَةِ رَبِّكُمْ، إِلَّا كَمَا تُضَارُّونَ فِي رُؤْيَةِ أَحَدِهِمَا، قَالَ: فَيَلْقَى الْعَبْدَ، فَيَقُولُ: أَيْ فُلْ أَلَمْ أُكْرِمْكَ، وَأُسَوِّدْكَ، وَأُزَوِّجْكَ، وَأُسَخِّرْ لَكَ الْخَيْلَ وَالْإِبِلَ، وَأَذَرْكَ تَرْأَسُ وَتَرْبَعُ؟ فَيَقُولُ: بَلَى، قَالَ: فَيَقُولُ: أَفَظَنَنْتَ أَنَّكَ مُلَاقِيَّ؟ فَيَقُولُ: لَا، فَيَقُولُ: فَإِنِّي أَنْسَاكَ كَمَا نَسِيتَنِي، ثُمَّ يَلْقَى الثَّانِيَ فَيَقُولُ: أَيْ فُلْ أَلَمْ أُكْرِمْكَ، وَأُسَوِّدْكَ، وَأُزَوِّجْكَ، وَأُسَخِّرْ لَكَ الْخَيْلَ وَالْإِبِلَ، وَأَذَرْكَ تَرْأَسُ، وَتَرْبَعُ، فَيَقُولُ: بَلَى، أَيْ رَبِّ فَيَقُولُ: أَفَظَنَنْتَ أَنَّكَ مُلَاقِيَّ؟ فَيَقُولُ: لَا، فَيَقُولُ: فَإِنِّي أَنْسَاكَ كَمَا نَسِيتَنِي، ثُمَّ يَلْقَى الثَّالِثَ، فَيَقُولُ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ، فَيَقُولُ: يَا رَبِّ آمَنْتُ بِكَ، وَبِكِتَابِكَ، وَبِرُسُلِكَ، وَصَلَّيْتُ، وَصُمْتُ، وَتَصَدَّقْتُ، وَيُثْنِي بِخَيْرٍ مَا اسْتَطَاعَ، فَيَقُولُ: هَاهُنَا إِذًا، قَالَ: ثُمَّ يُقَالُ لَهُ: الْآنَ نَبْعَثُ شَاهِدَنَا عَلَيْكَ، وَيَتَفَكَّرُ فِي نَفْسِهِ: مَنْ ذَا الَّذِي يَشْهَدُ عَلَيَّ؟ فَيُخْتَمُ عَلَى فِيهِ، وَيُقَالُ لِفَخِذِهِ وَلَحْمِهِ وَعِظَامِهِ: انْطِقِي، فَتَنْطِقُ فَخِذُهُ وَلَحْمُهُ وَعِظَامُهُ بِعَمَلِهِ، وَذَلِكَ لِيُعْذِرَ مِنْ نَفْسِهِ، وَذَلِكَ الْمُنَافِقُ وَذَلِكَ الَّذِي سَخِطَ اللهُ عَلَيْهِ "(رواه مسلم)
হাদীস নং: ৯৪
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ ঈমানদার ব্যক্তিকে নিকটবর্তী করবেন এবং তার গুনাহ ঢেকে দিবেন
৯৪. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা'আলা ঈমানদার বান্দাকে নিকটবর্তী করবেন, তাঁর রহমতের আশ্রয় দান করবেন এবং অন্যদের থেকে পর্দার অন্তরালে রাখবেন। অতঃপর তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করবেন: তুমি কি অমুক অমুক গুনাহ করেছিলে? সে জবাব দিবে, হে আমার রব! হা আমি তা করেছি। এমন কি সে তার (যাবতীয়) গুনাহের স্বীকারোক্তি করবে এবং সে মনে মনে ভাববে, সে বরবাদ হয়ে গেছে। আল্লাহ তাকে বলবেন: আমি দুনিয়াতে তোমার এসব গুনাহ ঢেকে রেখেছিলাম এবং আজ তা মাফ করে দিলাম। অতঃপর তিনি (আল্লাহ) তাঁর সৎকর্মের আমলনামা দেবেন। কাফের ও মুনাফিকদের সম্পর্কে প্রকাশ্যে এলান করা হবে, এসব লোক তাদের রবের প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছিলো। সাবধান! এ ধরনের যালিমদের উপর আল্লাহর অভিসম্পাত। -বুখারী, মুসলিম
کتاب الایمان
عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ يُدْنِي المُؤْمِنَ، فَيَضَعُ عَلَيْهِ كَنَفَهُ وَيَسْتُرُهُ، فَيَقُولُ: أَتَعْرِفُ ذَنْبَ كَذَا؟ فَيَقُولُ: نَعَمْ أَيْ رَبِّ، حَتَّى إِذَا قَرَّرَهُ بِذُنُوبِهِ، وَرَأَى فِي نَفْسِهِ أَنَّهُ هَلَكَ، قَالَ: سَتَرْتُهَا عَلَيْكَ فِي الدُّنْيَا، وَأَنَا أَغْفِرُهَا لَكَ اليَوْمَ، فَيُعْطَى كِتَابَ حَسَنَاتِهِ، وَأَمَّا الكَافِرُ وَالمُنَافِقُونَ، فَيَقُولُ الأَشْهَادُ: {هَؤُلاَءِ الَّذِينَ كَذَبُوا عَلَى رَبِّهِمْ أَلاَ لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى الظَّالِمِينَ} (رواه البخارى ومسلم)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯৫
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ তিন স্থানে কেউ কাউকে স্মরণ করবে না
৯৫. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি দোযখের কথা স্মরণ করে কাঁদলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, কোন জিনিস তোমাকে কাঁদাচ্ছে? তিনি বললেন, দোযখের কথা স্মরণ করে কাঁদছি। আপনারা কি কিয়ামতের দিন আপনাদের পরিজন দের স্মরণ করবেন? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন: তিনস্থানে কেউ কাউকে স্মরণ করবে না। ওজনের সময় যতক্ষণ না এটা জানা যায় যে, তার পাল্লা হালকা না ভারী, আমলনামা প্রদানের সময় যতক্ষণ না জানা যায় যে, তার আমলনামা ডান হাতে না পেছনের দিক দিয়ে বাম হাতে দেয়া হচ্ছে এবং (মুমিন ব্যক্তি আমলনামা পেয়ে খুশী হয়ে) একথা না বলা পর্যন্ত যে, পড় আমার আমলনামা আর জাহান্নামের উপর অবস্থিত পুলসিরাত পার হওয়ার সময়। -আবু দাউদ
کتاب الایمان
عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا ذَكَرَتِ النَّارَ فَبَكَتْ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا يُبْكِيكِ؟» قَالَتْ: ذَكَرْتُ النَّارَ فَبَكَيْتُ، فَهَلْ تَذْكُرُونَ أَهْلِيكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَمَّا فِي ثَلَاثَةِ مَوَاطِنَ فَلَا يَذْكُرُ أَحَدٌ أَحَدًا: عِنْدَ الْمِيزَانِ حَتَّى يَعْلَمَ أَيَخِفُّ مِيزَانُهُ [ص:241] أَوْ يَثْقُلُ، وَعِنْدَ الْكِتَابِ حِينَ يُقَالُ {هَاؤُمُ اقْرَءُوا كِتَابِيَهْ} حَتَّى يَعْلَمَ أَيْنَ يَقَعُ كِتَابُهُ أَفِي يَمِينِهِ أَمْ فِي شِمَالِهِ أَمْ مِنْ وَرَاءِ ظَهْرِهِ، وَعِنْدَ الصِّرَاطِ إِذَا وُضِعَ بَيْنَ ظَهْرَيْ جَهَنَّمَ ". (رواه ابو داؤد)
হাদীস নং: ৯৬
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামতের দিন হক্কুল ইবাদের বিচার
৯৬. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি এসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সামনে আসন গ্রহণ করল, অতঃপর বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার কয়েকটি ক্রীতদাস আছে। তারা আমার সাথে মিথ্যা বলে, আমার সম্পদের খিয়ানত করে এবং আমার অবাধ্যচরণ করে। আমি তাদেরকে গালি দেই, মারপিট করি, তাদের সম্পর্কে (কিয়ামতে) আমার কি হবে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন: তারা তোমার যে খেয়ানত করেছে, তোমার অবাধ্যতা করেছে, তোমার সাথে মিথ্যা বলেছে আর তুমি তাদের যে শাস্তি দিয়েছ কিয়ামতের দিন তার হিসাব নেয়া হবে। তোমার দেয়া শাস্তি তাদের অপরাধের সমপরিমাণ হলে কোন কথা নেই, তুমি কিছু পাবে না এবং তোমাকে কিছু দিতে হবে না। তোমার দেয়া শাস্তি তাদের অপরাধের তুলনায় কম হলে তুমি তোমার হক লাভ করবে। আর তোমার দেয়া শাস্তি তাদের অপরাধের তুলনায় বেশী হলে তাদেরকে তোমার নিকট থেকে প্রতিশোধ নেয়া হবে। অতঃপর সে একপ্রান্তে সরে গিয়ে চিৎকার করে কাঁদতে লাগল। রাসূল (ﷺ) বললেন: তুমি কি আল্লাহর বাণী পাঠ করনি: "কিয়ামতের দিন, আমরা ইনসাফের পাল্লা কায়েম করব, ফলে কারো প্রতি সামান্য যুলুমও হবে না। বিন্দু পরিমাণ আমল হলেও আমরা হাযির করব। আর হিসাব সম্পন্ন করার জন্য আমরাই যথেষ্ট।" (সূরা আম্বিয়া: ৪৭) সে বলল, তাদেরকে পৃথক করে দেয়া ছাড়া আমার এবং তাদের জন্য মঙ্গলজনক কিছু পাচ্ছি না। আপনি সাক্ষী থাকুন, আমি তাদেরকে আযাদ করে দিলাম। তিরমিযী
کتاب الایمان
عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَجُلًا قَعَدَ بَيْنَ يَدَيِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ لِي مَمْلُوكِينَ يُكَذِّبُونَنِي وَيَخُونُونَنِي وَيَعْصُونَنِي، وَأَشْتُمُهُمْ وَأَضْرِبُهُمْ فَكَيْفَ أَنَا مِنْهُمْ؟ قَالَ: «يُحْسَبُ مَا خَانُوكَ وَعَصَوْكَ وَكَذَّبُوكَ وَعِقَابُكَ إِيَّاهُمْ، فَإِنْ كَانَ عِقَابُكَ إِيَّاهُمْ بِقَدْرِ ذُنُوبِهِمْ كَانَ كَفَافًا، لَا لَكَ وَلَا عَلَيْكَ، وَإِنْ كَانَ عِقَابُكَ إِيَّاهُمْ دُونَ ذُنُوبِهِمْ كَانَ فَضْلًا لَكَ، وَإِنْ كَانَ عِقَابُكَ إِيَّاهُمْ فَوْقَ ذُنُوبِهِمْ اقْتُصَّ لَهُمْ مِنْكَ الفَضْلُ». قَالَ: فَتَنَحَّى الرَّجُلُ وَجَعَلَ يَهْتِفُ وَيَبْكِي ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَمَا تَقْرَأُ كِتَابَ اللَّهِ {وَنَضَعُ المَوَازِينَ القِسْطَ لِيَوْمِ القِيَامَةِ فَلَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا وَإِنْ كَانَ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِنْ خَرْدَلٍ أَتَيْنَا بِهَا وَكَفَى بِنَا حَاسِبِينَ }. فَقَالَ الرَّجُلُ: مَا أَجِدُ لِي وَلِهَؤُلَاءِ شَيْئًا خَيْرًا مِنْ مُفَارَقَتِهِمْ، أُشْهِدُكَ أَنَّهُمْ كُلُّهُمْ أَحْرَارٌ. (رواه الترمذى)
হাদীস নং: ৯৭
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আমলের পাল্লায় সবকিছুর তুলনায় আল্লাহর নামের ওজন বেশী হবে
৯৭. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলা কিয়ামতের দিন সমস্ত সৃষ্টির সামনে আমার উম্মতের মধ্য থেকে এক বাক্তিকে বেছে নেবেন। তিনি তার সামনে আমলের রেকর্ড সম্বলিত ৯৯টি কিতাব উন্মুক্ত করবেন। প্রত্যেক কিতাবের দৈর্ঘ্য দৃষ্টিসীমা পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। অতঃপর তিনি তাকে বলবেন। এ থেকে তুমি কি কিছু অস্বীকার করতে পার? আমার রেকর্ডকারী ফিরিশেতারা কি তোমার উপর কিছু যুলুম করেছে? সে বলবে, হে রব না। আল্লাহ বলবেন: তোমার কি কোন কৈফিয়ত দেয়ার আছে? সে বলবে, হে রব! না। আল্লাহ বলবেন: হাঁ আমার উপর তোমার একটা সৎকর্ম রয়েছে এবং আজ তোমার উপর কোন যুলুম করা হবে না। অতঃপর কাগজের একটি টুকরা বের করা হবে যাতে লিখা থাকবে, "আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মদ তাঁর দাস ও রাসূল।" আল্লাহ তাঁকে বলবেন: তোমার আমলের ওজনের কাছে হাযির হও। সে বলবে, হে রব! এসব রেকর্ডের সাথে এ টুকরার কি তুলনা হতে পারে? আল্লাহ বলবেনঃ তোমার উপর কোন যুলুম করা হবে না। রাসূল (ﷺ) বলেন: অতঃপর পাল্লার একদিকে কাগজের টুকরাটি এবং অপরদিকে যাবতীয় রেকর্ড রাখা হবে। রেকর্ডের পাল্লা হালকা হবে এবং কালেমার কার্ড ভারী হবে। আল্লাহর নামের সামনে কোন জিনিস ভারী হতে পারে না। -তিরমিযী, ইবনে মাজা
کتاب الایمان
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنَ عَمْرٍو ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللَّهَ سَيُخَلِّصُ رَجُلاً مِنْ أُمَّتِي عَلَى رُءُوسِ الخَلاَئِقِ يَوْمَ القِيَامَةِ فَيَنْشُرُ عَلَيْهِ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ سِجِلًّا كُلُّ سِجِلٍّ مِثْلُ مَدِّ البَصَرِ، ثُمَّ يَقُولُ: أَتُنْكِرُ مِنْ هَذَا شَيْئًا؟ أَظَلَمَكَ كَتَبَتِي الحَافِظُونَ؟ فَيَقُولُ: لاَ يَا رَبِّ، فَيَقُولُ: أَفَلَكَ عُذْرٌ؟ فَيَقُولُ: لاَ يَا رَبِّ، فَيَقُولُ: بَلَى إِنَّ لَكَ عِنْدَنَا حَسَنَةً، فَإِنَّهُ لاَ ظُلْمَ عَلَيْكَ اليَوْمَ، فَتَخْرُجُ بِطَاقَةٌ فِيهَا: أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، فَيَقُولُ: احْضُرْ وَزْنَكَ، فَيَقُولُ: يَا رَبِّ مَا هَذِهِ البِطَاقَةُ مَعَ هَذِهِ السِّجِلاَّتِ، فَقَالَ: إِنَّكَ لاَ تُظْلَمُ، قَالَ: فَتُوضَعُ السِّجِلاَّتُ فِي كَفَّةٍ وَالبِطَاقَةُ فِي كَفَّةٍ، فَطَاشَتِ السِّجِلاَّتُ وَثَقُلَتِ البِطَاقَةُ، فَلاَ يَثْقُلُ مَعَ اسْمِ اللهِ شَيْءٌ. (رواه الترمذى وابن ماجه)
হাদীস নং: ৯৮
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ সহজ হিসাব: আমলনামার প্রতি নযর দেয়া এবং মাফ করা
৯৮. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে তাঁর কোন নামাযে এ দু‘আ করতে শুনেছিঃ "হে আল্লাহ! আমার হিসাব সহজভাবে গ্রহণ করিও। আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী! সহজ হিসাবের অর্থ কি? তিনি বললেনঃ বান্দার আমলনামা দেখা হবে এবং তার প্রতি উদারতা প্রদর্শন করা হবে। হে আয়েশা! সেদিন যার হিসাব সম্পর্কে জেরা হবে, সে বরবাদ হবে। মুসনাদে আহমাদ
کتاب الایمان
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي بَعْضِ صَلَاتِهِ: «اللَّهُمَّ حَاسِبْنِي حِسَابًا يَسِيرًا» فَلَمَّا انْصَرَفَ، قُلْتُ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، مَا الْحِسَابُ الْيَسِيرُ؟ قَالَ: «أَنْ يَنْظُرَ فِي كِتَابِهِ فَيَتَجَاوَزَ عَنْهُ، إِنَّهُ مَنْ نُوقِشَ الْحِسَابَ يَوْمَئِذٍ يَا عَائِشَةُ هَلَكَ . (رواه احمد)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯৯
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ঈমানদার লোকের জন্য কিয়ামতের দিনটি সহজ ও সংক্ষিপ্ত হবে
৯৯. হযরত আবু সাঈদ আল-খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খিদমতে হাযির হয়ে আরয করলেন, আমাকে বলুন, কিয়ামতের দিন সম্পর্কে মহামহিম আল্লাহ্ বলেছেনঃ "লোকেরা সেদিন রাব্বুল আলামীনের সামনে দাঁড়াবে", সেদিন দাঁড়াবার মত কার সাহস শক্তি থাকবে? রাসূল (ﷺ) বললেন: দিনটি মুমিন ব্যক্তির জন্য হালকা করে দেয়া হবে, এমনকি তার জন্য ফরয নামাযে দাঁড়ানোর ন্যায় তা সহজ করে দেয়া হবে। -বায়হাকী আল-বা'আসু ওয়াননুশুর প্রন্থে
کتاب الایمان
عَنْ اَبِىْ سَعِيْدِ الْخُدْرِىْ، اَنَّهُ اَتَى رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَقَالَ اَخْبِرْنِىْ مَنْ يَّقْوِىْ عَلَى الْقِيَامِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الَّذِىْ قَالَ عَزَّوَ جَلَّ {يَوْمَ يَقُومُ النَّاسُ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ} فَقَالَ يُخَفَّفُ عَلَى الْمُؤْمِنِ حَتَّى يَكُوْنَ عَلَيْهِ كَالصَّلَوةِ الْمَكْتُوْبَةِ (رواه البيهقى فى البعث والنشور)
হাদীস নং: ১০০
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ রাত জেগে ইবাদতকারীদের বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ
১০০. আসমা বিনতে ইয়াযীদ (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন মানুষকে এক প্রশস্ত সমতল ভূমিতে একত্রিত করা হবে। অতঃপর এক ঘোষণাকারী ডেকে বলবে, যারা রাতের বেলা নিজেদেরকে বিছানা থেকে পৃথক রাখত? তারা কোথায়? তাঁরা উঠে দাঁড়াবে এবং তাদের সংখ্যা খুব কম হবে। অতঃপর তারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে। অতঃপর সকল মানুষকে হিসাবের সম্মুখীন হওয়ার জন্য হুকুম করা হবে। -বায়হাকীর শু'আবুল ঈমান
کتاب الایمان
عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ يَزِيدَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " يُحْشَرُ النَّاسُ فِي صَعِيدٍ وَاحِدٍ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيُنَادِي مُنَادٍ فَيَقُولُ: أَيْنَ الَّذِينَ كَانَتْ تَتَجَافَى جُنُوبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ , فَيَقُومُونَ وَهُمْ قَلِيلٌ فَيُدْخَلُونَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ، ثُمَّ يُؤْمَرُ سَائِرُ النَّاسِ الى الحساب". (رواه البيهقى فى شعب الايمان)
tahqiq

তাহকীক: