মা'আরিফুল হাদীস
معارف الحديث
ঈমান অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৪০ টি
হাদীস নং: ৪১
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ প্রতিবেশীকে ক্ষুধার্ত রেখে যে ব্যক্তি পেট পুরে খায় সে মুমিন নয়
৪১. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি; সেই ব্যক্তি মু'মিন নয়, যে পেট পুরে খায় এবং তার পাশে তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে। -বায়হাকী, শু'আবুল ঈমান
کتاب الایمان
عَنِ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَيْسَ الْمُؤْمِنُ الَّذِي يَشْبَعُ، وَجَارُهُ جَائِعٌ إِلَى جَنْبِهِ» (رواه البيهقي فى شعب الايمان)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪২
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ উত্তম চরিত্রবান ব্যক্তি উত্তম ঈমানের অধিকারী
৪২. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: মুসলমানদের মধ্যে অধিক উত্তম চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তি অধিক পূর্ণাঙ্গ ঈমানের অধিকারী। -আবু দাউদ, দারেমী
کتاب الایمان
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَكْمَلُ الْمُؤْمِنِينَ إِيمَانًا أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا» (رواه ابو داؤد والدارمى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৩
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ বেহুদা কথাবার্তা ও কাজকর্ম ত্যাগ করা ইসলামের সৌন্দর্য
৪৩. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: কোন ব্যক্তির ইসলামের সৌন্দর্য ও পূর্ণতার মধ্যে এও অন্তর্ভুক্ত যে, সে বেহুদা কথাবার্তা ও কামকর্ম পরিহারকারী হবে। -ইবনে মাজাহ, তিরমিযী, বায়হাকী-শু'আবুল ঈমান
کتاب الایمان
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مِنْ حُسْنِ إِسْلاَمِ الْمَرْءِ تَرْكُهُ مَا لاَ يَعْنِيهِ.(رواه ابن ماجة والترمذى والبيهقى فى شعب الايمان)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ প্রত্যেক নবীর মন্দ সহচরদের বিরুদ্ধে জিহাদ মুমিনের কর্তব্য
৪৪. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা আমার পূর্বে কোন কওমের নিকট যে নবীই পাঠিয়েছেন, তার কিছু শাগরিদ ও আসহাব ছিলেন। যারা নবীর প্রদর্শিত পথে চলতেন এবং তাঁর হুকুমের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করতেন। তারপর তাদের সহচরদের মধ্যে কিছু লোক হত তারা যা বলত তা আমল করত না এবং এমন সব কাজ করত যার জন্য তারা আদিষ্ট ছিল না। তাদের বিরুদ্ধে যে ব্যক্তি হাতের দ্বারা জিহাদ করেছে সে মুমিন। যে জিহ্বার দ্বারা তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করেছে সে মুমিন এবং যে অন্তরের দ্বারা তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করেছে সেও মুমিন। এছাড়া সরিষার কণার পরিমাণও ঈমান নেই। -মুসলিম
کتاب الایمان
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَا مِنْ نَبِيٍّ بَعَثَهُ اللهُ فِي أُمَّةٍ قَبْلِي إِلَّا كَانَ لَهُ مِنْ أُمَّتِهِ حَوَارِيُّونَ، وَأَصْحَابٌ يَأْخُذُونَ بِسُنَّتِهِ وَيَقْتَدُونَ بِأَمْرِهِ، ثُمَّ إِنَّهَا تَخْلُفُ مِنْ بَعْدِهِمْ خُلُوفٌ يَقُولُونَ مَا لَا يَفْعَلُونَ، وَيَفْعَلُونَ مَا لَا يُؤْمَرُونَ، فَمَنْ جَاهَدَهُمْ بِيَدِهِ فَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَمَنْ جَاهَدَهُمْ بِلِسَانِهِ فَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَمَنْ جَاهَدَهُمْ بِقَلْبِهِ فَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَلَيْسَ وَرَاءَ ذَلِكَ مِنَ الْإِيمَانِ حَبَّةُ خَرْدَلٍ» (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৫
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ হাত, রসনা ও অন্তর দ্বারা মন্দ কাজের পরিবর্তন সাধন
৪৫. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ মন্দ কাজ দেখলে সে যেন তা হাত (শক্তি) দ্বারা সংশোধনের চেষ্টা করে। বল প্রয়োগে অসমর্থ হলে সে যেন তা বাকশক্তি দ্বারা সংশোধন করে। তাও করতে অসমর্থ হলে যে তার অন্তরে ঘৃণা করতে হবে। এটা হল ঈমানের দুর্বলতম স্তর। -মুসলিম
کتاب الایمان
عَنْ أَبِىْ سَعِيد الْخُدْرِى عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ رَأَى مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ، فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ، فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ، وَذَلِكَ أَضْعَفُ الْإِيمَانِ» (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আমানতহীন ব্যক্তি ঈমানহীন, প্রতিশ্রুতিহীন ব্যক্তি দীনহীন
৪৬. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদের এমন কোন ভাষণ দেন নি, যাতে তিনি বলেন নি। যার মধ্যে আমানতদারী নেই, তার ঈমান নেই এবং যার মধ্যে প্রতিশ্রুতি নেই তার দীন নেই। -বায়হাকী শু'আবুল ঈমান
کتاب الایمان
عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: خَطَبَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: " لَا إِيمَانَ لِمَنْ لَا أَمَانَةَ لَهُ، وَلَا دِينَ لِمَنْ لَا عَهْدَ لَهُ " (رواه البيهقى فى شعب الايمان)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৭
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ঈমান বিনষ্টকারী আমল ও আখলাক
৪৭. হযরত বাহয ইবনে হাকীম (রা) থেকে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা ও দাদা মু'আবিয়া ইবনে হায়দা কাশিরীর সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ রাগ এবং ক্রোধ ঈমানকে এমনভাবে নষ্ট করে দেয়, যে রূপ ঘৃতকুমারী মধুকে নষ্ট করে। -বায়হাকী শু'আবুল ঈমান
کتاب الایمان
عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ الْغَضَبَ لَيُفْسِدُ الْإِيمَانَ كَمَا يُفْسِدُ الصَّبْرُ الْعَسَلَ " (رواه البيهقى فى شعب الايمان)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৮
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ যালিমের সাহায্যকারী ইসলাম থেকে বহির্ভূত
৪৮. হযরত আওস ইবনে শুরাহবীল (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন ব্যক্তিকে যালিম জানা সত্ত্বেও তাকে শক্তিশালী করার জন্য তার সঙ্গদান করে সে অবশ্যই ইসলাম থেকে বের হয়ে গেছে। -বায়হাকী শু'আবুল ঈমান
کتاب الایمان
عَنْ أَوْسِ بْنِ شُرَحْبِيلَ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " مَنْ مَشَى مَعَ ظَالِمٍ لِيُقَوِّيَهِ وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّهُ ظَالِمٌ فَقَدْ خَرَجَ مِنَ الْإِسْلَامِ " (رواه البيهقى فى شعب الايمان)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৯
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ অভিশাপ ও ভর্ৎসনাকারী এবং মন্দবাক্য প্রয়োগকারী মুমিন নয়
৪৯. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মুমিন ব্যক্তি না অভিসম্পাতকারী, না ভর্ৎসনাকারী, না অশ্লীল বাক্য প্রয়োগকারী, আর না মন্দ বাক্য উচ্চারণকারী হতে পারে। -তিরমিযী, বায়হাকী
کتاب الایمان
عَنِ ابْنِ مَسْعُوْدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَيْسَ الْمُؤْمِنُ بِالطَّعَّانِ وَلَا اللَّعَّانِ، وَلَا الْفَاحِشِ الْبَذِيءِ " (رواه الترمذى والبيهقى فى شعب الايمان)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫০
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মুমিন ব্যক্তি মিথ্যাবাদী হতে পারে না
৫০. হযরত সাফওয়ান ইবনে সুলাইমান (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো, মুমিন ব্যক্তি কি কাপুরুষ হতে পারে? তিনি বললেন: হাঁ। তাঁকে পুনরায় জিজ্ঞাসা করা হল, মুমিন ব্যক্তি কি কৃপণ হতে পারে? তিনি বললেনঃ হাঁ। অতঃপর তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, মুমিন ব্যক্তি কি মিথ্যাবাদী হতে পারে? তিনি বললেন: না। -মুয়াত্তা ইমাম মালিক, বায়হাকী শু'আবুল ঈমান
کتاب الایمان
عَنْ صفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ، أَنَّهُ قِيلَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَيَكُونُ الْمُؤْمِنُ جَبَانًا؟ قَالَ: " نَعَمْ " قِيلَ: أَيَكُونُ الْمُؤْمِنُ بَخِيلًا؟ قَالَ: " نَعَمْ " فَقِيلَ لَهُ: أَيَكُونُ الْمُؤْمِنُ كَذَّابًا؟ قَالَ: " لَا " (رواه مالك والبيهقى فى شعب الايمان مرسلا)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫১
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ যিনা, চুরি, মদ্যপান, লুণ্ঠন, খেয়ানত এবং হত্যা করার সময় মানুষ মুমিন থাকে না
৫১. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যেনাকারী যিনাকর্মের সময় মুমিন থাকে না। চোর চুরি করার সময় মুমিন থাকে না। মদ্যপায়ী মদ্যপানের সময় মুমিন থাকে না। যে লুটেরা মানুষের চোখের সামনে (অন্যের) সম্পদ লুণ্ঠন করে সে তার লুণ্ঠনকার্যের সময় মুমিন থাকে না। তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি খেয়ানতকারী সে খেয়ানত করার সময় মুমিন থাকে ন। অতএব (হে ঈমানদারগণ) তোমরা (ঈমানের পরিপন্থী এসব তৎপরতা থেকে) নিজেদের রক্ষা কর, রক্ষা কর। -বুখারী, মুসলিম
کتاب الایمان
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَلَا يَسْرِقُ السَّارِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَلَا يَشْرَبُ الْخَمْرَ حِينَ يَشْرَبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ» وَلَا يَنْتَهِبُ نُهْبَةً يَرْفَعُ النَّاسُ إِلَيْهِ فِيهَا أَبْصَارَهُمْ حِينَ يَنْتَهِبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ» وَلَا يَغُلُّ اَحَدُكُمْ حِيْنَ يَغُلُّ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَاِيَّاكُمْ اِيَّاكُمْ ۔ (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫২
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ কতিপয় মুনাফিকী আমল ও স্বভাব
৫২. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ চারটি জিনিস এমন যে, যার মধ্যে এগুলো একত্রিত হয়েছে সে খাটি মুনাফিক। এসবের একটা থাকলে তা ত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে নিফাকের একটা স্বভাব থাকবে। তার নিকট আমানত রাখলে সে তা খেয়ানত করে, কথা বললে মিথ্যা বলে, ওয়াদা করলে ভঙ্গ করে এবং ঝগড়া করলে মন্দ বাক্য প্রয়োগ করে। -বুখারী, মুসলিম
کتاب الایمان
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَرْبَعٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ كَانَ مُنَافِقًا خَالِصًا، وَمَنْ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنْهُنَّ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنَ النِّفَاقِ حَتَّى يَدَعَهَا: إِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ، وَإِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا عَاهَدَ غَدَرَ، وَإِذَا خَاصَمَ فَجَرَ " (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৩
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জিহাদে অংশগ্রহণ বা এ সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা না করে মৃত্যুবরণ এক ধরনের নিফাক
৫৩. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জিহাদে অংশগ্রহণ না করে এবং এ সম্পর্কে কোনরূপ চিন্তা ভাবনা না করে মৃত্যুবরণ করে সে নিফাকের এক অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। -মুসলিম
کتاب الایمان
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ مَاتَ وَلَمْ يَغْزُ، وَلَمْ يُحَدِّثْ بِهِ نَفْسَهُ، مَاتَ عَلَى شُعْبَةٍ مِنْ نِفَاقٍ» (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মুনাফিক নামাযে বিলম্ব করে
৫৪. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: এটা হল মুনাফিকের নামায, বসে বসে সূর্যকে দেখতে থাকে, এমনকি সূর্য হলদে রং ধারণ করলে এবং তা ডুবে যাওয়ার নিকটবর্তী হলে নামাযে দাঁড়ায় এবং পাখীর মত চার ঠোকর মেরে নামায শেষ করে এবং তাতে আল্লাহর যিকির খুব কমই করে থাকে। -মুসলিম
کتاب الایمان
عَنْ اَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، «تِلْكَ صَلَاةُ الْمُنَافِقِ، يَجْلِسُ يَرْقُبُ الشَّمْسَ حَتَّى إِذَا كَانَتْ بَيْنَ قَرْنَيِ الشَّيْطَانِ، قَامَ فَنَقَرَهَا أَرْبَعًا، لَا يَذْكُرُ اللهَ فِيهَا إِلَّا قَلِيلًا» (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৫
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি আযান হওয়ার পর বিনা প্রয়োজনে মসজিদ থেকে বেরিয়ে যায় এবং ফিরে আসারও ইচ্ছা রাখে না সে এক ধরনের মুনাফিক
৫৫. হযরত উসমান ইবনে আফফান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মসজিদে থাকা অবস্থায় আযান শুনল এবং বিনা কারণে বের হয়ে গেল, আর ফিরে আসার ইচ্ছাও করল না সে মুনাফিক। -ইবনে মাজা
کتاب الایمان
عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَدْرَكَهُ الْأَذَانُ فِي الْمَسْجِدِ، ثُمَّ خَرَجَ، لَمْ يَخْرُجْ لِحَاجَةٍ، وَهُوَ لَا يُرِيدُ الرَّجْعَةَ، فَهُوَ مُنَافِقٌ» (رواه ابن ماجة)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৬
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ওয়াসওয়াসা ঈমান বিলোপকারী নয় এবং এজন্য জবাবদিহিও নেই
৫৬. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অন্তরে উদিত কুচিন্তা ও ওয়াসওয়াসা মাফ করেছেন যদি তা কার্যকর না করা হয় বা মুখে প্রকাশ না করা হয়। -বুখারী, মুসলিম
کتاب الایمان
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ فِي صُدُورِهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ، أَوْ تَتَكَلَّمْ» رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৭
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ কল্পনা প্রকাশ করার চেয়ে পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া অধিক শ্রেয়
৫৭. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন, আমার মনে কোন কোন সময় এমন নিকৃষ্ট চিন্তার উদয় হয় যা প্রকাশ করার চেয়ে পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া আমার কাছে অধিক প্রিয়। আল্লাহর রাসূল বলেন: আল্লাহর প্রশংসা, যিনি তার ব্যাপারটিকে ওয়াসওয়াসার দিকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। -আবু দাউদ
کتاب الایمان
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ اَنَّ النَّبِيَّ -صَلَّى اللَّه عليه وسلم جاءه رجل فقال انى احدث نفسى بالشيى لَأَن يَكُون حُمَمَةً أحَبُّ إِليه من أن اَتَكَلَّمَ به، قَالَ الحمد للَّه الذي رَدَّ اَمْرَهُ إِلىَ الْوَسْوَسَةِ" (رواه ابو داؤد)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ওয়াসওয়াসার বিরুদ্ধে সংগ্রাম খালেস ঈমান
৫৮. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কতিপয় সাহাবী তাঁর কাছে এসে বললেনঃ আমরা কোন কোন সময় অন্তরে এমন জিনিসের কল্পনা করি যা আমাদের কারও পক্ষে প্রকাশ করা ভারী অন্যায় এবং খবু কঠিন মনে হয়। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা কি তা অনুভব করে থাক? তাঁরা বললেন, হাঁ। তিনি বললেন: এতো খালেস ঈমান। -মুসলিম
کتاب الایمان
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: جَاءَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَأَلُوهُ: إِنَّا نَجِدُ فِي أَنْفُسِنَا مَا يَتَعَاظَمُ أَحَدُنَا أَنْ يَتَكَلَّمَ بِهِ، قَالَ: «وَقَدْ وَجَدْتُمُوهُ؟» قَالُوا: نَعَمْ، قَالَ: «ذَاكَ صَرِيحُ الْإِيمَانِ» (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৯
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহকে সৃষ্টি করার প্রশ্ন মনে আসলে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা কর
৫৯. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: তোমাদের কোন ব্যক্তির কাছে শয়তান আসে এবং বলে, অমুক জিনিস কে তৈরী করেছে? অমুক জিনিস কে তৈরী করেছে? এমনকি সে বলে, তোমার রবকে কে সৃষ্টি করেছে? যখন প্রশ্নের ধারা এ পর্যায়ে পৌঁছে তখন বান্দাহ যেন আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করে এবং থেমে যায়। -বুখারী, মুসলিম
کتاب الایمان
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَأْتِي الشَّيْطَانُ أَحَدَكُمْ فَيَقُولَ: مَنْ خَلَقَ كَذَا وَكَذَا؟ حَتَّى يَقُولَ لَهُ: مَنْ خَلَقَ رَبَّكَ؟ فَإِذَا بَلَغَ ذَلِكَ، فَلْيَسْتَعِذْ بِاللهِ وَلْيَنْتَهِ " (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬০
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহকে সৃষ্টি করার প্রশ্ন উঠলে বলবেঃ আমি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের উপর বিশ্বাসী
৬০. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: মানুষ প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকবে না এমন কি এ প্রশ্ন করা হবে যে, আল্লাহ সৃষ্টির স্রষ্টা, তাহলে আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে? যখন কেউ অনুরূপ কিছুর সম্মুখীন হবে তখন সে যেন বলে: আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর ঈমান এনেছি। -বুখারী, মুসলিম
کتاب الایمان
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا يَزَالُ النَّاسُ يَتَسَاءَلُونَ حَتَّى يُقَالَ: هَذَا خَلَقَ اللهُ الْخَلْقَ، فَمَنْ خَلَقَ اللهَ؟ فَمَنْ وَجَدَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا، فَلْيَقُلْ: آمَنْتُ بِاللهِ وَرُسُلِهِ" (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক: