মা'আরিফুল হাদীস
معارف الحديث
ঈমান অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৪০ টি
হাদীস নং: ২১
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পূর্ববর্তী গুনাহ্ মাফ ও সৎকর্মের দশ থেকে সাতশ গুণ সওয়াব
২১. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত তিনি আল্লাহর রাসূল ﷺ-কে বলতে শুনেছেন: যখন বান্দাহ ইসলাম কবুল করে এবং তার ইসলাম সৌন্দর্যমণ্ডিত হয় তখন আল্লাহ তা'আলা তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেবেন। অতঃপর তার ভাল এবং মন্দ কাজের হিসাব এরূপ হয় যে, প্রত্যেক সৎকর্মের জন্য দশ থেকে সাতশ গুণ পর্যন্ত সওয়াব দেয়া হয় এবং খারাপ কাজের ক্ষেত্রে তাকে কেবল ঐ খারাপ কাজেরই শাস্তি দেয়া হয়। তবে আল্লাহ্ যদি তার গুনাহ মাফ করে দেন তো ভিন্ন কথা। -বুখারী
کتاب الایمان
عَنْ أَبِىْ سَعِيدٍ الخُدْرِيَّ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " إِذَا أَسْلَمَ العَبْدُ فَحَسُنَ إِسْلاَمُهُ، يُكَفِّرُ اللَّهُ عَنْهُ كُلَّ سَيِّئَةٍ كَانَ زَلَفَهَا، وَكَانَ بَعْدَ ذَلِكَ القِصَاصُ: الحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعِ مِائَةِ ضِعْفٍ، وَالسَّيِّئَةُ بِمِثْلِهَا إِلَّا أَنْ يَتَجَاوَزَ اللَّهُ عَنْهَا (رواه البخارى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২২
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ইসলাম গ্রহণের পর জান মালের নিরাপত্তা
২২. হযরত ওমর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, "লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ" না পড়া পর্যন্ত মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে আমাকে হুকুম করা হয়েছে। যে ব্যক্তি "লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ" পাঠ করল তার সম্পদ ও তার প্রাণ আমার কাছে সুরক্ষিত। অবশ্য গুনাহের কাজ করলে শাস্তি পাবে এবং তার হিসাব আল্লাহর কাছে। -সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম
کتاب الایمان
عَنْ عُمَرَ قَال۔ قَالَ رسول الله ْﷺ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا: لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، فَمَنْ قَالَ: لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، فَقَدْ عَصَمَ مِنِّي مَالَهُ وَنَفْسَهُ إِلَّا بِحَقِّهِ، وحسابه على اللَّهُ (رواه البخاري ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ কালেমা পাঠ করার পর জান-মাল সুরক্ষিত
২৩. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, 'লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ'-এর সাক্ষ্যদান এবং আমার উপর আর আমি যা নিয়ে এসেছি তার উপর ঈমান না আনা পর্যন্ত মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আমি আদিষ্ট। যখন তারা এরূপ করল তখন তাদের রক্ত ও তাদের মাল আমার কাছে সুরক্ষিত। অবশ্য গুনাহের কাজ করলে শস্তি পাবে এবং তাদের হিসাব আল্লাহর কাছে। -মুসলিম
کتاب الایمان
عَنْ اَبِىْ هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَشْهَدُوْا اَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَيُؤْمِنُوْا بِىْ وَبِمَا جِئْتُ بِهِ فَإِذَا فَعَلُوْا ذَالِكَ عَصَمُوا مِنِّي دِمَاءَهُمْ، وَأَمْوَالَهُمْ إِلَّا بِحَقِّهَا، وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللهِ (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ তাওহীদ ও রিসালাতের ঘোষণার সাথে নামায ও যাকাত আদায় করা
২৪. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, 'আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (ﷺ) তাঁর রাসূল'-এর সাক্ষ্যদান এবং নামায কায়েম ও যাকাত আদায় না করা পর্যন্ত মানুষের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে আমি আদিষ্ট হয়েছি। যখন তারা এসব করতে থাকবে তখন নিজেদের জানমাল আমার থেকে নিরাপদ করল। অবশ্য ইসলামের হকের ব্যাপারে স্বতন্ত্র কথা এবং তাদের হিসাব আল্লাহর কাছে। -বুখারী, মুসলিম
کتاب الایمان
عَنِ ابْنِ عُمَرَ اَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ، وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ، وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ، ثُمَّ قَدْ حُرِّمَ عَلَيَّ دِمَاؤُهُمْ وَأَمْوَالُهُمْ، وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللهِ (رواه البخاري ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ তাওহীদ ঘোষণার সাথে ইবাদত-বন্দেগী ইসলাম অনুমোদিত হতে হবে
২৫. হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ” না বলা পর্যন্ত মানুষের বিরুদ্ধে আমাকে সংগ্রাম করতে হুকুম করা হয়েছে। অতঃপর তারা আমাদের মত নামায পড়লে, আমাদের কিবলার দিকে মুখ করলে এবং আমাদের যবেহকৃত পশুর গোশত খেলে তাদের রক্ত ও বিত্ত আমাদের জন্য হারাম হয়ে যাবে। অবশ্য গুনাহের কাজ করলে শাস্তি পাবে। তার হিসাব আল্লাহর কাছে। -বুখারী
کتاب الایمان
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، فَإِذَا قَالُوهَا، وَصَلَّوْا صَلاَتَنَا، وَاسْتَقْبَلُوا قِبْلَتَنَا، وَذَبَحُوا ذَبِيحَتَنَا، فَقَدْ حَرُمَتْ عَلَيْنَا دِمَاؤُهُمْ وَأَمْوَالُهُمْ، إِلَّا بِحَقِّهَا وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ» (رواه البخارى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৬
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ঈমান ও ইসলামের কয়েকটি বাহ্যিক নিদর্শন
২৬. হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের মত নামায পড়ল, আমাদের কিবলামুখী হল এবং আমাদের যবেহকৃত পশুর গোশত খেল সে মুসলিম। তার জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ)-এর নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। অতএব তার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তোমরা আল্লাহর প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ কর না। -সহী বুখারী
کتاب الایمان
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ صَلَّى صَلاَتَنَا وَاسْتَقْبَلَ قِبْلَتَنَا، وَأَكَلَ ذَبِيحَتَنَا فَذَلِكَ المُسْلِمُ الَّذِي لَهُ ذِمَّةُ اللَّهِ وَذِمَّةُ رَسُولِهِ، فَلاَ تُخْفِرُوا اللَّهَ فِي ذِمَّتِهِ (رواه البخارى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মন্দ আমলের কারণে কোন মুসলমানকে কাফের বলা নিষেধ
২৭. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তিনটি জিনিস ইসলামের মূলনীতির অন্তর্ভুক্ত। (এক) "আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই"-এর সাক্ষ্যদানকারী ব্যক্তি সম্পর্কে জিহ্বা সংযত রাখা। কোন গুনাহের কাজ করার জন্য তাকে কাফের বলো না এবং তার মন্দ আমলের জন্য তাকে ইসলাম থেকে খারিজ করে দিও না। (দুই) আমাকে আল্লাহ তা'আলা নবী হিসাবে পাঠানোর সময় থেকে দাজ্জালের বিরুদ্ধে এ উম্মতের শেষ দলের লড়াই পর্যন্ত জিহাদ চলতে থাকবে। কোন ন্যায়পরায়ণ শাসকের ইনসাফ বা কোন স্বৈরাচারী শাসকের যুলুম জিহাদকে খতম করতে পারবে না। (তিন) তাকদীরের উপর ঈমান আনয়ন। -আবু দাউদ
کتاب الایمان
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " ثَلَاثٌ مِنْ أَصْلِ الْإِيمَانِ: الْكَفُّ عَمَّنْ، قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَلَا نُكَفِّرُهُ بِذَنْبٍ، وَلَا نُخْرِجُهُ مِنَ الْإِسْلَامِ بِعَمَلٍ، وَالْجِهَادُ مَاضٍ مُنْذُ بَعَثَنِي اللَّهُ إِلَى أَنْ يُقَاتِلَ آخِرُ أُمَّتِي الدَّجَّالَ لَا يُبْطِلُهُ جَوْرُ جَائِرٍ، وَلَا عَدْلُ عَادِلٍ، وَالْإِيمَانُ بِالْأَقْدَارِ (رواه ابو داؤد)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ দীন ও ঈমানের বিভাগ ও শাখা-প্রশাখা
২৮. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ঈমানের সত্তরেরও অধিক শাখা রয়েছে। তার মধ্যে উত্তম হল, 'লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্' বলা এবং সাধারণ পর্যায় হল, পথ থেকে কষ্টদানকারী জিনিস দূর করা। লজ্জাশীলতা ঈমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। -বুখারী, মুসলিম
کتاب الایمان
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْإِيمَانُ بِضْعٌ وَسَبْعُونَ شُعْبَةً، فَأَفْضَلُهَا قَوْلُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَأَدْنَاهَا إِمَاطَةُ الْأَذَى عَنِ الطَّرِيقِ، وَالْحَيَاءُ شُعْبَةٌ مِنَ الْإِيمَانِ (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ঈমানের প্রভাব ও তার ফল
২৯. হযরত আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট জিজ্ঞেস করল, ঈমান কি? তিনি বললেন, তোমার ভাল কাজ তোমাকে আনন্দিত করলে এবং তোমার মন্দ কাজ তোমাকে অস্থির করলে তুমি মুমিন। -মুসনাদে আহমাদ
کتاب الایمان
عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا الْإِيمَانُ؟ قَالَ: " إِذَا سَرَّتْكَ حَسَنَتُكَ، وَسَاءَتْكَ سَيِّئَتُكَ فَأَنْتَ مُؤْمِنٌ (رواه احمد)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ঈমানের পরিপূর্ণ উপাদান এবং বিশেষ শর্তাবলী
৩০. হযরত আব্বাস ইবনে আবদিল মুত্তালিব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছেন: যে ব্যক্তি আল্লাহকে নিজের প্রতিপালক, ইসলামকে নিজের দীন এবং মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে নিজের রাসূল ও পথপ্রদর্শক রূপে গ্রহণ করে সন্তুষ্ট সে ঈমানের স্বাদ পেয়েছে। -মুসলিম
کتاب الایمان
عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «ذَاقَ طَعْمَ الْإِيمَانِ مَنْ رَضِيَ بِاللهِ رَبًّا، وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا، وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولًا» (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩১
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ঈমানের স্বাদ
৩১. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যার মধ্যে তিনটি জিনিস রয়েছে সে ঈমানের স্বাদ লাভ করেছে। (এক) যাবতীয় জিনিসের চেয়ে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অধিক ভালবাসা। (দুই) শুধু আল্লাহর জন্য কোন ব্যক্তিকে ভালবাসা এবং (তিন) কুফরের দিকে প্রত্যাবর্তনকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার মত অপছন্দ করা।
کتاب الایمان
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " ثَلاَثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ وَجَدَ حَلاَوَةَ الإِيمَانِ: أَنْ يَكُونَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا، وَأَنْ يُحِبَّ المَرْءَ لاَ يُحِبُّهُ إِلَّا لِلَّهِ، وَأَنْ يَكْرَهَ أَنْ يَعُودَ فِي الكُفْرِ كَمَا يَكْرَهُ أَنْ يُقْذَفَ فِي النَّارِ " (رواه البخارى و مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ রাসুল (সা) কে ভালোবাসার পরিমান
৩২. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন: তোমাদের কেউ মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ সে আমাকে তার পিতা-মাতা ও সকল মানুষের চেয়ে অধিক ভাল না বাসবে। -সহীহ বুখারী, সহীহ্ মুসলিম
کتاب الایمان
عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لاَ يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ، حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَالِدِهِ وَوَلَدِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ» (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ প্রবৃত্তিকে রাসূলের হেদায়াতের অধীন করা
৩৩ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: তোমাদের কেউ মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ সে তার প্রবৃত্তিকে আমার আনিত হিদায়েতের অধীন না করবে। -শরহুস সুন্নাহ্
کتاب الایمان
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ،«لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى يَكُونَ هَوَاهُ تَبَعًا لِمَا جِئْتُ بِهِ» (رواه البغوى فى شرح السُّنَّة)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মুমিন ব্যক্তি নিজের জন্য যা পছন্দ করে তার ভাইয়ের জন্যও তাই পছন্দ করবে
৩৪. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ) বলেছেন: তোমাদের কেউ মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য সেই জিনিস পছন্দ করে যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে। -বুখারী, মুসলিম
کتاب الایمان
عَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لاَ يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ، حَتَّى يُحِبَّ لِأَخِيهِ مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ» (رواه البخارى و مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৫
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ভালবাসা, শত্রুতা ও জিহ্বার প্রয়োগ আল্লাহর জন্য
৩৫. হযরত মা'আয ইবনে জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূল (ﷺ)-কে উত্তম ঈমান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। (অর্থাৎ ঈমানের সর্বোচ্চ ও সর্বোত্তম স্তর কি এবং তা কি ধরনের কাজ ও চরিত্রের মাধ্যমে অর্জন করা যায়।)। রাসূল (ﷺ) বললেনঃ তুমি ভালবাসবে আল্লাহর জন্য, শত্রুতা করবে আল্লাহর জন্য, (অর্থাৎ বন্ধুত্ব ও শত্রুতা কেবল আল্লাহর জন্য) এবং তোমার জিহ্বাকে আল্লাহর স্মরণে ব্যস্ত রাখবে। মা'আয (রা) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আর কি? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমার নিজের জন্য যা পছন্দ কর তা অন্যদের জন্যও পছন্দ করবে এবং তোমার নিজের জন্য যা অপছন্দ করবে তা অন্যের জন্যও অপছন্দ করবে। -মুসনাদে আহমাদ
کتاب الایمان
عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ أَنَّهُ سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أَفْضَلِ الْإِيمَانِ قَالَ: «أَنْ تُحِبَّ لِلَّهَ، وَتُبْغِضَ لِلَّهِ، وَتُعْمِلَ لِسَانَكَ فِي ذِكْرِ اللَّهِ» . قَالَ: وَمَاذَا يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «وَأَنْ تُحِبَّ لِلنَّاسِ مَا تُحِبُّ لِنَفْسِكَ وَتَكْرَهَ لَهُمْ مَا تَكْرَهُ لِنَفْسِكَ» (راه احمد)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ভালবাসা, শত্রুতা, দান ও নিষেধ আল্লাহর জন্য
৩৬. হযরত আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য ভালবাসে, আল্লাহর জন্য শত্রুতা পোষণ করে, আল্লাহর জন্য দান করে এবং আল্লাহর জন্য নিষেধ করে সে অবশ্যই ঈমানকে পরিপূর্ণ করল। -আবূ দাউদ
کتاب الایمان
عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «مَنْ أَحَبَّ لِلَّهِ، وَأَبْغَضَ لِلَّهِ، وَأَعْطَى لِلَّهِ، وَمَنَعَ لِلَّهِ فَقَدِ اسْتَكْمَلَ الْإِيمَانَ» (رواه ابو داؤد)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৭
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পারস্পরিক সম্পর্ক, ভালবাসা ও শত্রুতা আল্লাহর জন্য
৩৭. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবূ যার (রা)-কে জিজ্ঞেস করলেন; বল তো ঈমানের কোন বন্ধনটি সবচেয়ে মযবুত (অর্থাৎ ঈমানের শাখাসমূহের মধ্যে কোন শাখাটি অধিক মযবুত ও স্থায়ী)? আবূ যার (রা) বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ)-ই তা অধিক ভলো জানেন। রাসূল (ﷺ) বললেন: আল্লাহর জন্য পরস্পরিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা, আল্লাহর জন্য ভালবাসা এবং আল্লাহর জন্যই শত্রুতা পোষণ করা। -বায়হাকী: শু'আবুল ঈমান
کتاب الایمان
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لِأَبِي ذَرٍّ: " أَيُّ عُرَى الْإِيمَانِ أَوْثَقُ؟ " قَالَ: اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: " الْمُوَالَاةُ فِي اللهِ، وَالْحُبُّ فِي اللهِ، وَالْبُغْضُ فِي اللهِ " (رواه البيهقى فى شعب الايمان)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৮
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পারস্পরিক মহব্বত ছাড়া মুমিন হওয়া যায় না
৩৮. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: তোমরা ঈমানদার না হওয়া পর্যন্ত বেহেশতে যেতে পারবে না এবং তোমরা পরস্পরকে ভালো না বাসা পর্যন্ত পূর্ণ মুমিন হতে পারবে না। আমি কি তোমাদের এমন একটি বিষয় সম্পর্কে বলব না, যা কার্যকর করলে তোমাদের পারস্পরিক মহব্বত সৃষ্টি হবে? তা হচ্ছে তোমদের মধ্যে সালামের বহুল প্রচলন কর। -মুসলিম
کتاب الایمان
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ حَتَّى تُؤْمِنُوا، وَلَا تُؤْمِنُوا حَتَّى تَحَابُّوا، أَوَلَا أَدُلُّكُمْ عَلَى شَيْءٍ إِذَا فَعَلْتُمُوهُ تَحَابَبْتُمْ؟ أَفْشُوا السَّلَامَ بَيْنَكُمْ» (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৯
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মুসলিম ও মুমিনের পরিচয়
৩৯. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: সে ব্যক্তি মুসলমান যার হাত এবং জিহ্বা থেকে অন্যান্য মুসলমান নিরাপদ। আর সে ব্যক্তি মুমিন, যার কাছে মানুষ তাদের প্রাণ এবং সম্পদ নিরাপদ মনে করে। -তিরমিযী, নাসাঈ
کتاب الایمان
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْمُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُوْنَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ، وَالْمُؤْمِنُ مَنْ أَمِنَهُ النَّاسُ عَلَى دِمَائِهِمْ وَأَمْوَالِهِمْ» (رواه الترمذى والنسائى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০
ঈমান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ সে মুসলমান নয়, যার অনিষ্টতা থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয়
৪০. হযরত আবূ শুরায়হ আল-খুযাঈ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: আল্লাহর শপথ, সে মুসলমান নয়, আল্লাহর শপথ সে মুসলমান নয়, আল্লাহর শপথ সে মুসলমান নয়। জিজ্ঞেস করা হল; হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) সে কে? তিনি বললেন: যার অনিষ্ট থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয়। -বুখারী
کتاب الایمان
عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «وَاللَّهِ لاَ يُؤْمِنُ، وَاللَّهِ لاَ يُؤْمِنُ، وَاللَّهِ لاَ يُؤْمِنُ» قِيلَ: وَمَنْ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «الَّذِي لاَ يَأْمَنُ جَارُهُ بَوَايِقَهُ» (رواه البخارى)
তাহকীক: