মা'আরিফুল হাদীস
معارف الحديث
রিকাক অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১০০ টি
হাদীস নং: ৬১
রিকাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ সর্বাবস্থায় মিসকীন থাকার জন্য রাসূল ﷺ-এর দু'আ
৬১. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, নবী ﷺ আল্লাহর কাছে দু'আ করতেনঃ
اَللّٰهُمَّ أَحْيِنِي مِسْكِينًا، وَأَمِتْنِيْ مِسْكِينًا، وَاحْشُرْنِيْ فِيْ زُمْرَةِ الْمَسَاكِيْنِ.
হে আল্লাহ! আমাকে মিসকীনের জীবন দান কর, মিসকীন অবস্থায় আমার মৃত্যু দান কর এবং মিসকীনদের সাথে আমার হাশর কর। [তিরমিযী ও বায়হাকী: শুয়াবুল ঈমান এবং ইবন মাজাহ হাদীসটি আবু সাঈদ (রা) সূত্রে বর্ণনা করেছেন]
اَللّٰهُمَّ أَحْيِنِي مِسْكِينًا، وَأَمِتْنِيْ مِسْكِينًا، وَاحْشُرْنِيْ فِيْ زُمْرَةِ الْمَسَاكِيْنِ.
হে আল্লাহ! আমাকে মিসকীনের জীবন দান কর, মিসকীন অবস্থায় আমার মৃত্যু দান কর এবং মিসকীনদের সাথে আমার হাশর কর। [তিরমিযী ও বায়হাকী: শুয়াবুল ঈমান এবং ইবন মাজাহ হাদীসটি আবু সাঈদ (রা) সূত্রে বর্ণনা করেছেন]
کتاب الرقاق
عَنْ أَنَسٍ ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : اللَّهُمَّ أَحْيِنِي مِسْكِينًا وَأَمِتْنِي مِسْكِينًا وَاحْشُرْنِي فِي زُمْرَةِ الْمَسَاكِينِ . (رواه الترمذى والبيهقى فى شعب الايمان ورواه ابن ماجه عن ابى سعيد)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬২
রিকাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ খাদ্যের ব্যাপারে আল্লাহর নবীর দু'আ
৬২. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল ﷺ বলতেনঃ
اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ رِزْقَ آلِ مُحَمَّدٍ قُوتًا، وَفِي رِوَايَةٍ كَفَافًا.
হে আল্লাহ! মুহাম্মদের পরিবার-পরিজনকে তুমি পরিমিত রিযক দান কর। অন্য রিওয়ায়াতে বলা হয়েছে, সামান্য। (বুখারী ও মুসলিম)
اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ رِزْقَ آلِ مُحَمَّدٍ قُوتًا، وَفِي رِوَايَةٍ كَفَافًا.
হে আল্লাহ! মুহাম্মদের পরিবার-পরিজনকে তুমি পরিমিত রিযক দান কর। অন্য রিওয়ায়াতে বলা হয়েছে, সামান্য। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الرقاق
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، ان رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال : « اللهُمَّ اجْعَلْ رِزْقَ آلِ مُحَمَّدٍ قُوتًا » ، وَفِي رِوَايَةِ كَفَافًا . (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৩
রিকাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ একাধারে দু'দিন পেটপুরে না খেয়ে নবীর পরিবার
৬৩. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল ﷺ-কে দুনিয়া থেকে উঠিয়ে নেয়া পর্যন্ত মুহাম্মদের পরিবার-পরিজন একাধারে দু'দিন পেট পুরে যবের রুটি খাননি। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الرقاق
عَنْ عَائِشَةَ ، أَنَّهَا قَالَتْ : « مَا شَبِعَ آلُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، مِنْ خُبْزِ شَعِيرٍ يَوْمَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ ، حَتَّى قُبِضَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ » (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৪
রিকাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ নবী করীম ﷺ কোনদিন পেট পুরে যবের রুটি খেতে পাননি
৬৪. হযরত সাঈদ আল-মাকবুরী আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন একদিন আবু হুরায়রা (রা) কতিপয় লোকের নিকট গিয়েছিলেন। তাদের সামনে ভুনা বকরী ছিল। তারা তাঁকে খাওয়ার জন্য আহ্বান করলে, তিনি খেতে অস্বীকার করে বললেনঃ নবী ﷺ দুনিয়া থেকে এমন অবস্থায় চলে গেছেন যে, কোনদিন পেটপুরে যবের রুটি খেতে পাননি। (বুখারী)
کتاب الرقاق
عَنْ سَعِيدٍ المَقْبُرِيِّ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ : أَنَّهُ مَرَّ بِقَوْمٍ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ شَاةٌ مَصْلِيَّةٌ ، فَدَعَوْهُ ، فَأَبَى أَنْ يَأْكُلَ ، وَقَالَ : « خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الدُّنْيَا وَلَمْ يَشْبَعْ مِنْ خُبْزِ الشَّعِيرِ » (رواه البخارى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৫
রিকাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ নবী করীম ﷺ-কে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয়া হয়েছে
৬৫. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল ﷺ বলেছেন, আল্লাহর রাস্তায় আমাকে যা ভয় দেখানো হয়েছে তা অন্য কাউকে দেখানো হয়নি। আল্লাহর রাস্তায় আমাকে যে কষ্ট দেয়া হয়েছে তা অন্য কাউকে দেয়া হয়নি। এবং এমন এক সময় আমার উপর এসেছে যে, ত্রিশ দিন ও রাত বিলালের বগলের নীচে যা রাখা হয়েছিল তা ছাড়া আমার এবং বিলালের জন্য কোন বস্তু ছিল না যা কোন প্রাণী খেতে পারে। (তিরমিযী)
کتاب الرقاق
عَنْ أَنَسٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : لَقَدْ أُخِفْتُ فِي اللهِ وَمَا يُخَافُ أَحَدٌ ، وَلَقَدْ أُوذِيتُ فِي اللهِ وَمَا يُؤْذَى أَحَدٌ ، وَلَقَدْ أَتَتْ عَلَيَّ ثَلاَثُونَ مِنْ بَيْنِ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ وَمَا لِي وَلِبِلاَلٍ طَعَامٌ يَأْكُلُهُ ذُو كَبِدٍ إِلاَّ شَيْءٌ يُوَارِيهِ إِبْطُ بِلاَلٍ . (رواه الترمذى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৬
রিকাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ একাধারে দু'মাস হযরতের গৃহে উনুন জ্বলেনি
৬৬. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি উরওয়াকে বললেন: হে আমার বোনের ছেলে, দু'মাসে তিন চাঁদের উদয় আমরা দেখেছি, কিন্তু মুহাম্মদের বাসগৃহে আগুন (উনুন) জ্বালান হয়নি। আমি (উরওয়া) জিজ্ঞেস করলাম, কি জিনিস আপনাদেরকে বাঁচিয়ে রাখত। তিনি বললেন, খেজুর ও পানি। অবশ্য প্রতিবেশী আনসারদের দুগ্ধ দানকারী উটনী ছিল। (কোন কোন সময়) তারা আল্লাহর রাসূলের জন্য দুধ হাদিয়া পাঠাত, আমরা সে দুধ পান করতাম। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الرقاق
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا ، أَنَّهَا قَالَتْ لِعُرْوَةَ : ابْنَ أُخْتِي « إِنْ كُنَّا لَنَنْظُرُ إِلَى الهِلاَلِ ، ثُمَّ الهِلاَلِ ، ثَلاَثَةَ أَهِلَّةٍ فِي شَهْرَيْنِ ، وَمَا أُوقِدَتْ فِي أَبْيَاتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَارٌ » ، فَقُلْتُ يَا خَالَةُ : مَا كَانَ يُعِيشُكُمْ؟ قَالَتْ : " الأَسْوَدَانِ : التَّمْرُ وَالمَاءُ ، إِلَّا أَنَّهُ قَدْ كَانَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جِيرَانٌ مِنَ الأَنْصَارِ ، كَانَتْ لَهُمْ مَنَائِحُ ، وَكَانُوا يَمْنَحُونَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ أَلْبَانِهِمْ ، فَيَسْقِينَا " (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৭
রিকাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মহানবী ﷺ একাধারে বহু রাত্রি না খেয়ে কাটিয়েছেন
৬৭. হযরত আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসুলুল্লাহ ﷺ একাধারে বহু রাত না খেয়ে কাটিয়েছেন। তিনি ও তাঁর পরিবার-পরিজন বহুরাতে খাবার পাননি। (এবং যখন পেতেন) তাও হতো যবের রুটি। (তিরমিযী)
کتاب الرقاق
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ ، قَالَ : « كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَبِيتُ اللَّيَالِي المُتَتَابِعَةَ طَاوِيًا وَأَهْلُهُ لَا يَجِدُونَ عَشَاءً وَكَانَ أَكْثَرُ خُبْزِهِمْ خُبْزَ الشَّعِيرِ » (رواه الترمذى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৮
রিকাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ নবীর বর্ম ৩০ সা' যবের বিনিময়ে বন্ধক
৬৮. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আল্লাহর রাসূলের ইনতেকালের সময় তাঁর বর্ম ৩০ সা' যবের বিনিময়ে জনৈক ইয়াহূদীর নিকট বন্ধক ছিল। (বুখারী)
کتاب الرقاق
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا ، قَالَتْ : « تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَدِرْعُهُ مَرْهُونَةٌ عِنْدَ يَهُودِيٍّ ، بِثَلاَثِينَ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ » (رواه البخارى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯
রিকাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ রাসূল ﷺ-এর শরীরে মাদুরের দাগ
৬৯. হযরত উমর (রা) বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি আল্লাহর রাসূলের নিকট গেলাম। তিনি খেজুর পাতার মাদুরে শুয়েছিলেন। তাঁর (শরীর) ও মাদুরের মধ্যস্থলে কোন বিছানা ছিল না। তাঁর শরীরের পাশে মাদুরের দাগ পড়ে গিয়েছিল। তিনি পাতা ভর্তি চামড়ার বালিশে ভর দিয়েছিলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন, তিনি আপনার উম্মতকে প্রাচুর্য দান করবেন। পারস্য ও রোমকে প্রাচুর্য দান করা হয়েছে। অথচ তারা আল্লাহর ইবাদত করে না। আল্লাহর রাসূল বললেনঃ হে খাত্তাবের পুত্র! তুমি কি এরূপ চিন্তা কর? তারা এমন কওম যাদেরকে তাদের যাবতীয় কল্যাণ দুনিয়ার যিন্দেগীতে দান করা হয়েছে। অন্য এক রিওয়ায়াতে বলা হয়েছে। তুমি কি রাযী নও (বা কেন তুমি রাযী নও) যে, তাদের জন্য দুনিয়া এবং আমাদের জন্য আখিরাত? (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الرقاق
وَعَن عمر قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِذَا هُوَ مُضْطَجِعٌ عَلَى رِمَالِ حَصِيرٍ ، لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ فِرَاشٌ ، قَدْ أَثَّرَ الرِّمَالُ بِجَنْبِهِ ، مُتَّكِئًا عَلَى وِسَادَةٍ مِنْ أَدَمٍ حَشْوُهَا لِيفٌ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ فَلْيُوَسِّعْ عَلَى أُمَّتِكَ ، فَإِنَّ فَارِسَ وَالرُّومَ وُسِّعَ عَلَيْهِمْ ، وَهُمْ لاَ يَعْبُدُونَ اللَّهَ ، فَقَالَ : « أَوَفِي شَكٍّ أَنْتَ يَا ابْنَ الخَطَّابِ أُولَئِكَ قَوْمٌ عُجِّلَتْ لَهُمْ طَيِّبَاتُهُمْ فِي الحَيَاةِ الدُّنْيَا » وَفِىْ رِوَايَةٍ أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ لَهُمُ الدُّنْيَا وَلَنَا الآخِرَةُ . (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭০
রিকাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ছায়ার জন্য অপেক্ষমান মুসাফিরের মত দুনিয়ার সাথে আমার সম্পর্ক
৭০. হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ মাদুরের উপর ঘুমিয়েছিলেন। ঘুম থেকে উঠার পর তাঁর শরীরে মাদুরের চিহ্ন ছিল। ইবন মাসউদ বললেনঃ হে আল্লাহর রাসুল। আপনি হুকুম করলে আমরা আপনার জন্য ব্যবস্থা করব এবং (কোন কিছু) তৈরি করব। তিনি বললেন: আমি কেন দুনিয়ার জন্য এরূপ করব? দুনিয়ার সাথে আমার সম্পর্ক এক আরোহী (পথিকের) ন্যায়, যে গাছের নীচে ছায়ার জন্য বসে। অতঃপর তা ত্যাগ করে (মনযিলের দিকে) যাত্রা শুরু করে। (আহমদ, তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ)
کتاب الرقاق
عَنِ ابْنِ مَسْعُوْدٍ اَنَّ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَامَ عَلَى حَصِيرٍ فَقَامَ وَقَدْ أَثَّرَ فِي جسده فَقَالَ اِبْنِ مَسْعُوْدٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ اَمَرْتَنَا اَنْ نَبْسُطَ لَكَ وَنَعْمَلَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « مَا أَنَا وَالدُّنْيَا إِنَّمَا أَنَا وَالدُّنْيَا كَرَاكِبٍ اسْتَظَلَّ تَحْتَ شَجَرَةٍ ، ثُمَّ رَاحَ وَتَرَكَهَا » (رواه احمد والترمذى وابن ماجه)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭১
রিকাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ যে আল্লাহকে ভয় করে তার জন্য সম্পদ আপত্তিকর নয়: মনের প্রফুল্লতা আল্লাহর নিয়ামতের অন্তর্গত
৭১. নবী ﷺ-এর জনৈক সাহাবী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা এক মজলিসে ছিলাম। আল্লাহর রাসূল ﷺ আমাদের নিকট এলেন। তাঁর মাথায় পানির চিহ্ন ছিল (মনে হচ্ছিল তিনি এখন গোসল করেছেন)। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনাকে প্রফুল্ল দেখছি। তিনি বললেন: হ্যাঁ। অতঃপর মজলিসের লোকেরা ধন-দৌলত সম্পর্কে আলোচনা শুরু করল। নবী ﷺ বললেন: মহান ইযযত ও জালালের অধিকারী আল্লাহকে যে ভয় করে, তার জন্য ধন-দৌলত আপত্তিকর নয়। যে আল্লাহকে ভয় করে, তার কাছে স্বাস্থ্য সম্পদের চেয়ে উত্তম এবং মনের প্রফুল্লতা আল্লাহর নিয়ামতের অন্তর্গত। (আহমদ)
کتاب الرقاق
عَنْ رَجُلٍ مِنْ اَصْحَابِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : كُنَّا فِي مَجْلِسٍ فَطَلَعَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَى رَأْسِهِ أَثَرُ مَاءٍ ، فَقُلْنَا : يَا رَسُولَ اللهِ ، نَرَاكَ طَيِّبَ النَّفْسِ ، قَالَ : " أَجَلْ " ، قَالَ : ثُمَّ خَاضَ الْقَوْمُ فِي ذِكْرِ الْغِنَى ، فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " لَا بَأْسَ بِالْغِنَى لِمَنْ اتَّقَى ، عَزَّ وَجَلَّ وَالصِّحَّةُ لِمَنْ اتَّقَى خَيْرٌ مِنَ الْغِنَى ، وَطِيبُ النَّفْسِ مِنَ النِّعِيْمِ " (رواه احمد)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭২
রিকাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ধনী মুত্তাকী গোপনে অবস্থানকারী বান্দাকে আল্লাহ পসন্দ করেন
৭২. হযরত সা'দ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: আল্লাহ মহব্বত করেন মুত্তাকী-মালদার, চোখের অন্তরালে অবস্থানকারী বান্দাকে। (মুসলিম)
کتاب الرقاق
عَنْ سَعْدٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « إِنَّ اللهَ يُحِبُّ الْعَبْدَ التَّقِيَّ ، الْغَنِيَّ ، الْخَفِيَّ » (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৩
রিকাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ নেক নিয়্যতে ধন উপার্জনের ফযীলত
৭৩. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যে সমস্যা থেকে বাঁচবার, পরিবার-পরিজনের ভরণ-পোষণ করার এবং প্রতিবেশীদের সাথে সহানুভূতি প্রকাশ করার জন্য হালাল উপায়ে দুনিয়া তলব করে, সে কিয়ামতের দিন পূর্ণিমা রাতের চাঁদের চেহারা (উজ্জ্বল ও সুশোভিত) নিয়ে আল্লাহর সাথে মুলাকাত করবে এবং যে অতি মালদার হওয়ার, ফখর করার এবং প্রদর্শনের জন্য হালাল উপায়ে দুনিয়া তলব করে, সে আল্লাহর সাথে যখন মুলাকাত করবে তখন তিনি তার উপর ভীষণ রাগান্বিত থাকবেন। (বায়হাকী শুয়াবুল ঈমান এবং আবু নুআঈম: হিলইয়া)
کتاب الرقاق
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " مَنْ طَلَبَ الدُّنْيَا حَلَالًا اسْتِعْفَافًا عَنِ الْمَسْأَلَةِ , وَسَعْيًا عَلَى أَهْلِهِ , وَتَعَطُّفًا عَلَى جَارِهِ لَقِىَ اللهَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَوَجْهُهُ مِثْلُ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ , وَمَنْ طَلَبَ الدُّنْيَا مُفَاخِرًا مُكَاثِرًا مُفَاخِرًا مُرَائِيًا لَقِيَ اللهَ تَعَالَى وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ " . (رواه البيهقى فى شعب الايمان وابو نعيم فى الحلية)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৪
রিকাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ রাসূল ﷺ-এর শপথকৃত তিনটি জিনিস
৭৪. হযরত আবু কাবশাহ আল-আনমারী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি আল্লাহর রাসুল ﷺ-কে বলতে শুনেছেন: আমি তিনটি জিনিসের শপথ করছি এবং এ ছাড়া আরো একটা কথা বলছি, তোমরা তা স্মরণ রেখো। যে সব জিনিসের শপথ করছি, সেগুলো হল দান-খয়রাতের দ্বারা বান্দার সম্পদ হ্রাস পায় না, যুলমে ধৈর্যধারণকারী কোন মযলুম বান্দা নেই যার ইযযত আল্লাহ বৃদ্ধি করেন না এবং এমন কোন বান্দা নেই যে সওয়ালের দরজা খুলেছে অথচ আল্লাহ তার উপর দারিদ্র্যের দরজা খুলে দেননি। অতঃপর নবী ﷺ বললেনঃ তোমাদের যা বলছি তোমরা তা স্বরণ রেখ। নিশ্চয়ই দুনিয়া চার প্রকার ব্যক্তির জন্য। (এক) যে বান্দাকে আল্লাহ সম্পদ ও ইলম দিয়েছেন এবং এজন্য সে আল্লাহকে ভয় করে তা দিয়ে আত্মীয়-স্বজনের প্রতি দয়া ও সহানুভূতি প্রদর্শন করে এবং তাতে আল্লাহর যে হক রয়েছে তা তাঁর সন্তুষ্টির জন্য ব্যয় করে। সে শ্রেষ্ঠ মনযিলের অধিকারী। (দুই) যে বান্দাকে আল্লাহ ইলম দিয়েছেন সম্পদ দেননি; কিন্তু তার সৎ নিয়্যত রয়েছে। সে বলে, আমার সম্পদ থাকলে আমিও অমুক ব্যক্তির মত করতাম। তাদের উভয়ের সমান সওয়াব হবে। (তিন) যে বান্দাকে আল্লাহ সম্পদ দিয়েছেন, ইলম দেননি এবং সে মূর্খের ন্যায় আল্লাহকে ভয় না করে নিজের সম্পদ যথেচ্ছভাবে ব্যয় করে, তা দিয়ে আত্মীয়-স্বজনের প্রতি রহম করে না এবং যেভাবে ব্যয় করা দরকার সেভাবে ব্যয় করে না, সে নিকৃষ্ট মনযিলের অধিকারী। (চার) যে বান্দাকে আল্লাহ সম্পদ ও ইলম কোনটাই দেননি এবং সে বলে, যদি আমার সম্পদ থাকত তাহলে আমি অমুক ব্যক্তির মত ব্যয় করতাম। সুতরাং এটাই তার নিয়্যত এবং তাদের উভয়ের সমান গুনাহ হবে। (তিরমিযী)
کتاب الرقاق
عَنْ أَبِىْ كَبْشَةَ الأَنَّمَارِيُّ ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ : « ثَلَاثٌ أُقْسِمُ عَلَيْهِنَّ وَأُحَدِّثُكُمْ حَدِيثًا فَاحْفَظُوهُ » فَامَّا الَّذِىْ اُقْسِمُ عَلَيْهِنَّ فَاِنَّهُ « مَا نَقَصَ مَالُ عَبْدٍ مِنْ صَدَقَةٍ ، وَلَا ظُلِمَ عَبْدٌ مَظْلِمَةً صَبَرَ عَلَيْهَا إِلَّا زَادَهُ اللَّهُ بِهَا عِزًّا ، وَلَا فَتَحَ عَبْدٌ بَابَ مَسْأَلَةٍ إِلَّا فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهَا بَابَ فَقْرٍ وَاَمَّا الَّذِىْ أُحَدِّثُكُمْ فَقَالَ : حَدِيثًا فَاحْفَظُوهُ » "إِنَّمَا الدُّنْيَا لِأَرْبَعَةِ نَفَرٍ ، عَبْدٍ رَزَقَهُ اللَّهُ مَالًا وَعِلْمًا فَهُوَ يَتَّقِي فِيهِ رَبَّهُ ، وَيَصِلُ رَحِمَهُ ، وَيَعْمَلُ لِلَّهِ فِيهِ بِحَقِّهِ ، فَهَذَا بِأَفْضَلِ المَنَازِلِ ، وَعَبْدٍ رَزَقَهُ اللَّهُ عِلْمًا وَلَمْ يَرْزُقْهُ مَالًا فَهُوَ صَادِقُ النِّيَّةِ يَقُولُ : لَوْ أَنَّ لِي مَالًا لَعَمِلْتُ بِعَمَلِ فُلَانٍ فَأَجْرُهُمَا سَوَاءٌ ، وَعَبْدٍ رَزَقَهُ اللَّهُ مَالًا وَلَمْ يَرْزُقْهُ عِلْمًا ، فَهُوَ يَتَخَبَّطُ فِي مَالِهِ لِغَيْرِ عِلْمٍ لَا يَتَّقِي فِيهِ رَبَّهُ ، وَلَا يَصِلُ فِيهِ رَحِمَهُ ، وَلَا يَعْمَلُ فِيْهِ بِحَقٍّ ، فَهَذَا بِأَخْبَثِ المَنَازِلِ ، وَعَبْدٍ لَمْ يَرْزُقْهُ اللَّهُ مَالًا وَلَا عِلْمًا فَهُوَ يَقُولُ : لَوْ أَنَّ لِي مَالًا لَعَمِلْتُ فِيهِ بِعَمَلِ فُلَانٍ فَهُوَ نِيَّتُهُ وَوِزْرُهُمَا سَوَاءٌ " (رواه الترمذى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৫
রিকাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পাপ করা সত্ত্বেও অঢেল ধন-সম্পদ লাভ আল্লাহর তরফ থেকে দেয়া অবকাশ
৭৫. হযরত উকবা ইবন আমির (রা) থেকে বর্ণিত, নবী ﷺ বলেছেন: যখন দেখবে মহান ইযযত ও জালালের অধিকারী আল্লাহ নাফরমানী ও পাপ করা সত্ত্বেও বান্দাকে তার আকাঙ্ক্ষিত বস্তু দিচ্ছেন, তাহলে তা ইস্তেদরাজ (রশি ঢিল দেয়া) মনে করবে। অতঃপর নবী ﷺ তিলাওয়াত করলেনঃ
فَلَمَّا نَسُوا مَا ذُكِّرُوا بِهِ فَتَحْنَا عَلَيْهِمْ أَبْوَابَ كُلِّ شَيْءٍ حَتَّى إِذَا فَرِحُوا بِمَا أُوتُوا أَخَذْنَاهُمْ بَغْتَةً فَإِذَا هُمْ مُبْلِسُونَ
"যখন তারা ভুলে গেল তাদেরকে যা নসীহত করা হয়েছিল, তখন আমরা তাদের উপর প্রত্যেক জিনিসের (নিয়ামতের) দরজা খুলে দিলাম। এমনকি যা তাদেরকে দেয়া হয়েছে তার জন্য যখন তারা খুব আনন্দ-স্ফূর্তি করতে লাগল, তখন তাদেরকে আকস্মিকভাবে পাকড়াও করলাম এবং তারা নিরাশ হয়ে পড়ল।" (মুসনাদে আহমদ)
فَلَمَّا نَسُوا مَا ذُكِّرُوا بِهِ فَتَحْنَا عَلَيْهِمْ أَبْوَابَ كُلِّ شَيْءٍ حَتَّى إِذَا فَرِحُوا بِمَا أُوتُوا أَخَذْنَاهُمْ بَغْتَةً فَإِذَا هُمْ مُبْلِسُونَ
"যখন তারা ভুলে গেল তাদেরকে যা নসীহত করা হয়েছিল, তখন আমরা তাদের উপর প্রত্যেক জিনিসের (নিয়ামতের) দরজা খুলে দিলাম। এমনকি যা তাদেরকে দেয়া হয়েছে তার জন্য যখন তারা খুব আনন্দ-স্ফূর্তি করতে লাগল, তখন তাদেরকে আকস্মিকভাবে পাকড়াও করলাম এবং তারা নিরাশ হয়ে পড়ল।" (মুসনাদে আহমদ)
کتاب الرقاق
عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : " إِذَا رَأَيْتَ اللهَ يُعْطِي الْعَبْدَ مِنَ الدُّنْيَا عَلَى مَعَاصِيهِ مَا يُحِبُّ ، فَإِنَّمَا هُوَ اسْتِدْرَاجٌ " ثُمَّ تَلَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : {فَلَمَّا نَسُوا مَا ذُكِّرُوا بِهِ فَتَحْنَا عَلَيْهِمْ أَبْوَابَ كُلِّ شَيْءٍ حَتَّى إِذَا فَرِحُوا بِمَا أُوتُوا أَخَذْنَاهُمْ بَغْتَةً فَإِذَا هُمْ مُبْلِسُونَ} (رواه احمد)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৬
রিকাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ বদকারের খোশহালে ঈর্ষা করো না
৭৬. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: বদকার ব্যক্তির খোশহালের জন্য কখনো ঈর্ষা করো না। তুমি জান না মৃত্যুর পর সে কীরূপ মসীবতে পতিত হবে। আল্লাহর কাছে তার জন্য এক হত্যাকারী রয়েছে যার কখনো মৃত্যু হবে না। অর্থাৎ দোযখের আগুন। (ইমাম বাগাবী: শারহুস সুন্নাহ)
کتاب الرقاق
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " لَا تَغْبِطَنَّ فَاجِرًا بِنِعْمَةٍ ، فَإِنَّكَ لَا تَدْرِىْ مَا هُوَ لَاقٍ بَعْدَ مَوْتِهِ اِنَّ لَهُ عِنْدَ اللهِ قَاتلًا لَا يَمُوتُ يَعْنِى النَّارَ" . (رواه البغوى فى شرح السنة)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৭
রিকাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ধনী ও গরীব ব্যক্তি সম্পর্কে রাসূলের মন্তব্য: অসংখ্য ধনীর চেয়ে গরীব মুত্তাকী ব্যক্তি উত্তম
৭৭. হযরত সাহল ইবন সা'আদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসুল ﷺ-এর সম্মুখ দিয়ে গেল, আল্লাহর রাসূল তাঁর নিকটে উপবেশনকারী ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলেন: এ ব্যক্তির ব্যাপারে তোমার অভিমত কি? তিনি জবাব দিলেন, এ ব্যক্তি আশরাফ বা অভিজাতদের একজন। আল্লাহর শপথ, সে যদি বিয়ের প্রস্তাব দেয় তার সাথে বিয়ে দেয়া হবে। কোন ব্যাপারে সে সুপারিশ করলে তা মেনে নেয়া হবে। বর্ণনাকারী বলেন, নবী ﷺ নীরবতা অবলম্বন করলেন। অতঃপর আর এক ব্যক্তি তাঁর নিকট দিয়ে গেল। আল্লাহর রাসূল ﷺ জিজ্ঞেস করলেন: এ ব্যক্তি সম্পর্কে তোমার ধারণা কি? তিনি জবাব দিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি একজন ফকির মুসলমান, তিনি যদি কোথাও বিয়ের প্রস্তাব করেন তার সাথে বিয়ে দেয়া হবে না, কোন সুপারিশ করলে তা কবুল করা হবে না, কোন কথা বললে তা কেউ শুনবে না। আল্লাহর রাসূল ﷺ বললেন: ঐ ধরনের দুনিয়াভরা লোকের চেয়ে এই এক ব্যক্তি উত্তম। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الرقاق
عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ ، قَالَ : مَرَّ رَجُلٌ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَقَالَ لرَجُلٍ عِنْدَهُ جَالِسٍ : « مَا رَأْيُكَ فِي هَذَا » فَقَالَ : رَجُلٌ مِنْ أَشْرَافِ النَّاسِ ، هَذَا وَاللَّهِ حَرِيٌّ إِنْ خَطَبَ أَنْ يُنْكَحَ ، وَإِنْ شَفَعَ أَنْ يُشَفَّعَ ، قَالَ : فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ مَرَّ رَجُلٌ آخَرُ ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « مَا رَأْيُكَ فِي هَذَا » فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، هَذَا رَجُلٌ مِنْ فُقَرَاءِ المُسْلِمِينَ ، هَذَا حَرِيٌّ إِنْ خَطَبَ أَنْ لاَ يُنْكَحَ ، وَإِنْ شَفَعَ أَنْ لاَ يُشَفَّعَ ، وَإِنْ قَالَ أَنْ لاَ يُسْمَعَ لِقَوْلِهِ ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « هَذَا خَيْرٌ مِنْ مِلْءِ الأَرْضِ مِثْلَ هَذَا » (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৮
রিকাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ যাদের শপথ কবুল করেন
৭৮. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল ﷺ বলেছেন: অনেক লোক রয়েছে যাদের চুল এলোমেলো, শরীর ধূলা-বালিতে পূর্ণ এবং যাদেরকে সকল দরজায় ধাক্কা দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হয় (কোথাও তাদের খাতির ও মেহমানদারী করা হয় না) কিন্তু তারা আল্লাহর নামে শপথ করলে আল্লাহ তা পূরণ করেন। (মুসলিম)
کتاب الرقاق
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : « رُبَّ أَشْعَثَ ، اَغْبَرَ مَدْفُوعٍ بِالْأَبْوَابِ لَوْ أَقْسَمَ عَلَى اللهِ لَأَبَرَّهُ » (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৯
রিকাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ যাদের জন্য ধনীদের রিযক দেয়া হয়
৭৯. হযরত মুসআব ইবন সা'আদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (তাঁর পিতা) সা'আদ ভাবতেন, গরীব-মিসকীনদের উপর তার ফযীলত রয়েছে। আল্লাহর রাসূল ﷺ বললেনঃ তোমাদের গরীব-মিসকীনদের কারণেই, তোমাদেরকে সাহায্য করা হয় এবং রিযক দেয়া হয়। (বুখারী)
کتاب الرقاق
عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ ، قَالَ : رَأَى سَعْدٌ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، أَنَّ لَهُ فَضْلًا عَلَى مَنْ دُونَهُ ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « هَلْ تُنْصَرُونَ وَتُرْزَقُونَ إِلَّا بِضُعَفَائِكُمْ » (رواه البخارى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮০
রিকাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ নিজের চেয়ে ধনী বা সুন্দর লোক দেখলে কি করতে হবে
৮০. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমাদের কেউ যদি কোন ব্যক্তিকে দেখে যে সম্পদ ও চেহারা-সুরতের দিক থেকে তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ, তাহলে সে যেন এমন ব্যক্তির দিকে দৃষ্টিপাত করে যে (এসব ব্যাপারে) তার চেয়ে নিকৃষ্ট। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الرقاق
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : « إِذَا نَظَرَ أَحَدُكُمْ إِلَى مَنْ فُضِّلَ عَلَيْهِ فِي المَالِ وَالخَلْقِ ، فَلْيَنْظُرْ إِلَى مَنْ هُوَ أَسْفَلَ مِنْهُ » (رواه البخارى)
তাহকীক: