মা'আরিফুল হাদীস
معارف الحديث
আখলাক অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৬২ টি
হাদীস নং: ১২১
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ উহুদসম স্বর্ণের প্রতি রাসূলের নির্লিপ্ততা
১২১. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যদি আমার নিকট ওহুদ পাহাড়ের পরিমাণ সোনা থাকে এবং তিন রাত শেষ না হতেই তা শেষ হয়ে যায় এবং ঋণ পরিশোধ করার জন্য যা রাখব তাছাড়া কিছু না থাকে, তাহলে আমি খুশি। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الاخلاق
عَنْْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « لَوْ كَانَ عِنْدِىْ مِثْلُ أُحُدٍ ذَهَبًا لَسَرَّنِي أَنْ لاَ يَمُرَّ عَلَيَّ ثَلاَثٌ لِيَالٍ ، وَعِنْدِي مِنْهُ شَيْءٌ إِلَّا شَيْءٌ أُرْصِدُهُ لِدَيْنٍ » (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১২২
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ বান্দার অন্তরে কৃপণতা ও ঈমান একত্র হতে পারে না
১২২. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেছেন, বান্দার অন্তরে কৃপণতা ও ঈমান কখনো একত্র হতে পারে না। (নাসাঈ)
کتاب الاخلاق
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " لَا يَجْتَمِعُ الشُّحُّ وَالْإِيمَانُ فِي قَلْبِ عَبْدٍ اَبَدًا . (رواه النسائى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৩
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ অনুগ্রহ প্রচারক জান্নাতে প্রবেশ করবে না
১২৩. হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী ﷺ থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন: প্রতারক, কৃপণ এবং দয়া-দাক্ষিণ্যের প্রচারকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (তিরমিযী)
کتاب الاخلاق
عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : " لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ خَبٌّ ، وَلا بَخِيلٌ ، وَلا مَنَّانٌ . (رواه الترمذى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৪
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আবু বকর (রা) গালির জবাব দিলে রাসূল ﷺ রাগান্বিত হলেন
১২৪. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি আবূ বকর (রা)-কে গালি দিল। নবী ﷺ বসে হাসছিলেন এবং বিস্মিত হচ্ছিলেন। অতঃপর সে খুব বেশি গালি দিল। আবু বকর (রা) তার কতিপয় গালির জবাব দিলেন। নবী ﷺ রাগান্বিত হলেন এবং উঠে গেলেন। অতঃপর আবু বকর (রা) তাঁর কাছে পৌঁছে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! সে গালি দিচ্ছিল, আপনি বসেছিলেন। কিন্তু আমি তার কতিপয় গালির উত্তর দিলাম। আপনি রাগান্বিত হলেন এবং উঠে গেলেন। নবী ﷺ বললেন : ফেরেশতা তোমার সাথে থেকে তার গালির জবাব দিচ্ছিলেন। যখন তুমি তাকে গালির জবাব দিলে, তখন শয়তান সে স্থান দখল করল। অতঃপর নবী ﷺ বললেন: হে আবু বকর! তিনটি জিনিস পুরোপুরি সত্য। যখন কোন বান্দার উপর যুলম করা হয় এবং সে ইযযত ও জালালের অধিকারী আল্লাহর খাতিরে তার প্রতি কোন ভ্রূক্ষেপ না করে, তখন আল্লাহ প্রতিদান হিসেবে তার সাহায্যের জন্য তাকে শক্তিশালী ও সম্মানিত করেন। যখন কোন ব্যক্তি সিলায়ে রেহেমী বা আত্মীয়-স্বজনের প্রতি দয়া প্রদর্শনের জন্য দান-খয়রাতের দরজা উন্মুক্ত করে, তখন আল্লাহ তার প্রতিদান হিসেবে তাকে অনেকগুণ দান করেন। যখন কোন ব্যক্তি সম্পদ বৃদ্ধির জন্য সওয়ালের দরজা উন্মুক্ত করে, তখন আল্লাহ তা (তার ধন) হ্রাস করে দেন। (মুসনাদে আহমদ)
کتاب الاخلاق
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَجُلًا شَتَمَ أَبَا بَكْرٍ وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ ، يَتَعَجَّبُ وَيَتَبَسَّمُ فَلَمَّا أَكْثَرَ رَدَّ عَلَيْهِ بَعْضَ قَوْلِهِ ، فَغَضِبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَامَ ، فَلَحِقَهُ أَبُو بَكْرٍ ، وَقَالَ : يَا رَسُولَ اللهِ كَانَ يَشْتُمُنِي وَأَنْتَ جَالِسٌ ، فَلَمَّا رَدَدْتُ عَلَيْهِ بَعْضَ قَوْلِهِ ، غَضِبْتَ وَقُمْتَ ، قَالَ : "كَانَ مَعَكَ مَلَكٌ يَرُدُّ عَنْكَ ، فَلَمَّا رَدَدْتَ عَلَيْهِ وَقَعَ الشَّيْطَانُ ، ثُمَّ قَالَ : " يَا أَبَا بَكْرٍ ثَلَاثٌ كُلُّهُنَّ حَقٌّ : مَا مِنْ عَبْدٍ ظُلِمَ بِمَظْلَمَةٍ فَيُغْضِي عَنْهَا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ، إِلَّا أَعَزَّ اللهُ بِهَا نَصْرَهُ ، وَمَا فَتَحَ رَجُلٌ بَابَ عَطِيَّةٍ ، يُرِيدُ بِهَا صِلَةً ، إِلَّا زَادَ اللهُ بِهَا كَثْرَةً ، وَمَا فَتَحَ رَجُلٌ بَابَ مَسْأَلَةٍ ، يُرِيدُ بِهَا كَثْرَةً ، إِلَّا زَادَ اللهُ بِهَا قِلَّةً " (رواه احمد)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৫
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সর্বাধিক প্রিয় বান্দা
১২৫: হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল ﷺ বলেছেন: মুসা ইবন ইমরান (আ) আল্লাহকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ইয়া রব্ব! আপনার বান্দাদের মধ্যে কে আপনার নিকট সর্বাধিক সম্মানিত? আল্লাহ বললেন, যে ক্ষমতা লাভ করার পর মাফ করে দেয়। (বায়হাকী: শুয়াবুল ঈমান)
کتاب الاخلاق
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " قَالَ مُوسَى بْنُ عِمْرَانَ عَلَيْهِ السَّلَامُ : يَا رَبِّ ، مَنْ أَعَزُّ عِبَادِكَ عِنْدَكَ؟ قَالَ : مَنْ إِذَا قَدَرَ غَفَرَ " (رواه البيهقى فى شعب الايمان)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৬
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ খাদিমকে প্রতিদিন সত্তরবার মাফ কর
১২৬. হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী করীম ﷺ-এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে বললঃ হে আল্লাহর রাসূল! খাদিমকে কতবার মাফ করব? নবী ﷺ চুপ থাকলেন। পুনরায় লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসুল! খাদিমকে কতবার মাফ করব? তিনি বললেন: প্রতিদিন সত্তরবার। (তিরমিযী)
کتاب الاخلاق
عَنِ عَبْدِاللهِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ : جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللهِ ، كَمْ أَعْفُو عَنِ الْخَادِمِ؟ فَصَمَتَ عَنْهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ : يَا رَسُولَ اللهِ ، كَمْ أَعْفُو عَنِ الخَادِمِ؟ فَقَالَ : كُلَّ يَوْمٍ سَبْعِينَ مَرَّةً . (رواه الترمذى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৭
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ইহসান ও পরোপকার
দয়া অনুগ্রহের একটি শাখা অথবা বলা যায় যে, দয়া-অনুগ্রহের একটি ফল হচ্ছে ইহসান ও পরোপকার গুণ। ইহসানের অর্থ হচ্ছে কারো উপকার করা, চাই তাকে হাদিয়া দিয়ে হোক, তার কোন কাজ করে দিয়ে হোক, তাকে শান্তি ও আরাম দিয়ে হোক অথবা এমন কোন কাজ করে হোক, যা তার খুশী ও আনন্দের কারণ হয়। এগুলো সবই ইহসান ও পরোপকারের বিভিন্ন পদ্ধতি ও ধরন। রাসূলুল্লাহ ﷺ আপন উম্মতকে এ সবকিছুর প্রতিই উৎসাহ দিয়েছেন।
তামাম মাখলুকের মধ্যে আল্লাহ কাকে অধিক মহব্বত করেন
দয়া অনুগ্রহের একটি শাখা অথবা বলা যায় যে, দয়া-অনুগ্রহের একটি ফল হচ্ছে ইহসান ও পরোপকার গুণ। ইহসানের অর্থ হচ্ছে কারো উপকার করা, চাই তাকে হাদিয়া দিয়ে হোক, তার কোন কাজ করে দিয়ে হোক, তাকে শান্তি ও আরাম দিয়ে হোক অথবা এমন কোন কাজ করে হোক, যা তার খুশী ও আনন্দের কারণ হয়। এগুলো সবই ইহসান ও পরোপকারের বিভিন্ন পদ্ধতি ও ধরন। রাসূলুল্লাহ ﷺ আপন উম্মতকে এ সবকিছুর প্রতিই উৎসাহ দিয়েছেন।
তামাম মাখলুকের মধ্যে আল্লাহ কাকে অধিক মহব্বত করেন
১২৭. হযরত আনাস (রা) ও আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত, তাঁরা বলেন, আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেছেন, মাখলুক আল্লাহর পরিবার। সুতরাং আল্লাহ তামাম মাখলুকের মধ্যে তাকে অধিক মহব্বত করেন যে তার পরিবার-পরিজনের প্রতি ভাল আচরণ করে। (বায়হাকী: শুয়াবুল ঈমান)
کتاب الاخلاق
عَنْ أَنَسٍ وَعَبْدِاللهِ قَالَا قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " الْخَلْقُ عِيَالُ اللهِ ، فَأَحَبُّ الْخَلْقِ إِلَى اللهِ مَنْ اَحْسَنَ اِلَى عِيَالِهِ " (رواه البيهقى فى شعب الايمان)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৮
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মানুষ মন্দ করলেও যুলম করবে না
১২৮. হযরত হুযায়ফা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আল্লাহর রাসুল ﷺ বলেছেন: তোমরা সুযোগ সন্ধানী সেজে এ কথা বল না যে, মানুষ ভাল করলে আমরা ভাল করব এবং তারা যুলম করলে আমরাও যুলম করব, বরং তোমরা মনের মধ্যে এ দৃঢ়তা অবলম্বন কর যে, মানুষ ভাল করলে তোমরা ভাল করবে এবং তারা মন্দ করলে তোমরা যুলম করবে না। (তিরমিযী)
کتاب الاخلاق
عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : لاَ تَكُونُوا إِمَّعَةً ، تَقُولُونَ : إِنْ أَحْسَنَ النَّاسُ أَحْسَنَّا ، وَإِنْ ظَلَمُوا ظَلَمْنَا ، وَلَكِنْ وَطِّنُوا أَنْفُسَكُمْ ، إِنْ أَحْسَنَ النَّاسُ أَنْ تُحْسِنُوا ، وَإِنْ أَسَاءُوا فَلاَ تَظْلِمُوا . (رواه الترمذى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৯
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি নবীর উম্মতকে খুশি করে, সে জান্নাতী
১২৯. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি আমার উম্মতের কোন ব্যক্তিকে খুশি করার জন্য তার কোন প্রয়োজন পূরণ করল, সে আমাকের খুশি করল এবং যে আমাকে খুশি করল, সে আল্লাহকে খুশি করল। যে আল্লাহকে খুশি করল, আল্লাহ তাকে জান্নাতে দাখিল করবেন। (বায়হাকীঃ শুয়াবুল ঈমান)
کتاب الاخلاق
عَنْ أَنَسِ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " مَنْ قَضَى لِأَحَدٍ مِنْ أُمَّتِي حَاجَةً يُرِيدُ أَنْ يَسُرَّهُ بِهَا فَقَدْ سَرَّنِي ، وَمَنْ سَرَّنِي فَقَدْ سَرَّ اللهَ ، وَمَنْ سَرَّ اللهَ أَدْخَلَهُ اللهُ الْجَنَّةَ " (رواه البيهقى فى شعب الايمان)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩০
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ বিধবা ও মিসকীনের জন্য প্রচেষ্টাকারীর সুখবর
১৩০. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেছেন: বিধবা এবং মিসকীনের কাজ-কর্মে চেষ্টাকারী আল্লাহর রাস্তায় চেষ্টাকারীর সমতুল্য। বর্ণনাকারী বলেন, আমি মনে করি আল্লাহর রাসূল ﷺ আরো বলেছিলেন: এমন রাত্রি জাগরণকারীর মত, যে ক্লান্ত হয় না এবং এমন রোযাদারের মত, যে কখনো রোযা ত্যাগ করে না। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الاخلاق
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « السَّاعِي عَلَى الْأَرْمَلَةِ وَالْمِسْكِينِ ، كَالسَّاعِىْ فِي سَبِيلِ اللهِ وَأَحْسِبُهُ قَالَ وَكَالْقَائِمِ لَا يَفْتُرُ ، وَكَالصَّائِمِ لَا يُفْطِرُ » (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩১
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ভাল কাজকে হেয় জ্ঞান করো না
১৩১. হযরত আবু যর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেছেন: তোমাদের মধ্যে কেউ যেন কোন কল্যাণের কাজকে হেয় জ্ঞান না করে। যদি দেবার মত সে কিছু না পায় তবুও যেন প্রফুল্ল মুখে তার ভাইয়ের সাথে সাক্ষাত করে। যখন তুমি গোশত খরিদ কর বা কোন কিছু রান্না কর তখন একটু শুরুয়া বাড়িয়ে দাও এবং তা থেকে প্রতিবেশীকে এক চামচ দান কর। (তিরমিযী)
کتاب الاخلاق
عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : لاَ يَحْقِرَنَّ أَحَدُكُمْ شَيْئًا مِنَ الْمَعْرُوفِ ، وَإِنْ لَمْ يَجِدْ فَلْيَلْقَ أَخَاهُ بِوَجْهٍ طَلْقٍ ، وَإِنْ اشْتَرَيْتَ لَحْمًا أَوْ طَبَخْتَ قِدْرًا فَأَكْثِرْ مَرَقَتَهُ وَاغْرِفْ لِجَارِكَ مِنْهُ . (رواه الترمذى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩২
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ভাল কাজের পরিচয়
১৩২. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল ﷺ বলেছেন: কোন কল্যাণের কাজকে হেয় জ্ঞান করো না। তোমার ভাইয়ের সাথে প্রফুল্ল মুখে মুলাকাত করা এবং তোমার পানির পাত্র থেকে তোমার ভাইয়ের পাত্রে কিছু পানি ঢেলে দেয়াও কল্যাণকর কাজের অন্তর্গত। (তিরমিযী)
کتاب الاخلاق
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : كُلُّ مَعْرُوفٍ صَدَقَةٌ ، وَإِنَّ مِنَ الْمَعْرُوفِ أَنْ تَلْقَى أَخَاكَ بِوَجْهٍ طَلْقٍ ، وَأَنْ تُفْرِغَ مِنْ دَلْوِكَ فِي إِنَاءِ أَخِيكَ . (رواه الترمذى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩৩
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ত্যাগ স্বীকার: প্রয়োজন সত্ত্বেও রাসূল ﷺ চাদর দিয়ে দিলেন
১৩৩. হযরত সাহল ইবন সা'আদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক মহিলা একখানা চাদর নিয়ে নবী ﷺ-এর খিদমতে উপস্থিত হলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনাকে চাদরটি পরিধান করতে দিতে চাই। নবী করীম ﷺ-এর চাদরের প্রয়োজন ছিল, তিনি তা গ্রহণ করলেন এবং পরিধান করলেন। অতঃপর তাঁর জনৈক সাহাবী তাঁর গায়ে চাদর দেখে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এটা কি সুন্দর। আমাকে তা পরিধান করতে দিন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন: হ্যাঁ। যখন নবী ﷺ মজলিস থেকে উঠে গেলেন, তখন তাঁর সাহাবিগণ সওয়ালকারীকে দোষারোপ করে বললেন: যখন তুমি জান যে, নবী করীম ﷺ-এর কাছে কোন সওয়াল করা হলে তা তিনি প্রত্যাখান করেন না এবং তুমি দেখেছ, নবী ﷺ প্রয়োজনের খাতিরে চাদরটি গ্রহণ করেছেন, তখন তুমি তাঁর কাছে তা চেয়ে ভাল কাজ করনি। সওয়ালকারী জবাব দিলেন, যেহেতু নবী ﷺ তা পরিধান করছেন, তাই আমি তাঁর বরকতের আশা পোষণ করেছি। আমি আশা করি, এটা দিয়ে আমার কাফন হবে। (বুখারী)
کتاب الاخلاق
عَنْ سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ قَالَ : جَاءَتِ امْرَأَةٌ اِلَى النَّبِىِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : بِبُرْدَةٍ ، فَقَالَتْ : يَا رَسُولَ اللَّهِ أَكْسُوكَ هَذِهِ ، فَأَخَذَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُحْتَاجًا إِلَيْهَا ، فَلَبِسَهَا ، فَرَآهَا عَلَيْهِ رَجُلٌ مِنْ اَصْحَابِهِ ، فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، مَا أَحْسَنَ هَذِهِ ، فَاكْسُنِيهَا ، فَقَالَ : « نَعَمْ » فَلَمَّا قَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لاَمَهُ أَصْحَابُهُ ، قَالُوا : مَا أَحْسَنْتَ حِينَ رَأَيْتَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذَهَا مُحْتَاجًا إِلَيْهَا ، ثُمَّ سَأَلْتَهُ إِيَّاهَا ، وَقَدْ عَرَفْتَ أَنَّهُ لاَ يُسْأَلُ شَيْئًا فَيَمْنَعَهُ ، فَقَالَ : رَجَوْتُ بَرَكَتَهَا حِينَ لَبِسَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، لَعَلِّي أُكَفَّنُ فِيهَا . (رواه البخارى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩৪
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ এক মেহমানদারীতে আল্লাহ হেসেছেন
১৩৪: হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি আল্লাহর রাসুল ﷺ-এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে বলল: আমি ক্ষুধার্ত ও অভাবগ্রস্ত। আল্লাহর নবী ﷺ তাঁর কোন বিবির কাছে সংবাদ পাঠালেন। তিনি উত্তর দিলেন, যিনি আপনাকে হক দীনসহকারে পাঠিয়েছেন, তাঁর শপথ! আমার কাছে পানি ছাড়া আর কিছু নেই। অতঃপর তিনি অপর বিবির কাছে খবর পাঠালেন। তিনিও অনুরূপ জবাব দিলেন এবং তাঁদের প্রত্যেকে অনুরূপ জবাব দিলেন। অতঃপর নবী ﷺ-বললেন: যে এ ব্যক্তির মেহমানদারী করবে, আল্লাহ তাকে রহম করবেন। আবু তালহা নামক এক আনসার সাহাবী দাঁড়িয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি। অতঃপর তিনি মেহমানকে তাঁর ঘরে নিয়ে গেলেন। তিনি তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন: তোমার কাছে কি মেহমানদারী করার মত কোন জিনিস আছে? তাঁর স্ত্রী জবাব দিলেন, আমার কাছে বাচ্চাদের খাবার ছাড়া কিছু নেই। তিনি বললেন, বাচ্চাদেরকে কোন কিছুর দ্বারা ব্যস্ত রাখ এবং ঘুম পাড়িয়ে দাও। আমাদের মেহমান এলে তাকে এরূপ ভাব দেখাও যে আমরা খাব। মেহমান খাওয়ার জন্য হাত বাড়ালে তুমি বাতি ঠিক করার ভান করে বাতির কাছে যাও এবং তা নিভিয়ে দাও। তাঁর বিবি তাই করলেন। মেহমান খেলেন এবং তাঁরা বসে থাকলেন। ফলে তাঁরা অভুক্ত রাত কাটালেন। ভোর হলে আবু তালহা নবী করীম ﷺ-এর কাছে গেলেন। নবী ﷺ তাদের নাম নিয়ে বললেন: আল্লাহ তাঁর অমুক বান্দা ও তার স্ত্রীর উপর খুব খুশি হয়েছেন। বর্ণনাকারী বলেন, অথবা আল্লাহর নবী বলেছিলেন, আল্লাহ তাঁর অমুক বান্দা ও তার স্ত্রীর ব্যাপারে হেসেছেন। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الاخلاق
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَقَالَ : إِنِّي مَجْهُودٌ ، فَأَرْسَلَ إِلَى بَعْضِ نِسَائِهِ ، فَقَالَتْ : وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ ، مَا عِنْدِي إِلَّا مَاءٌ ، ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَى أُخْرَى ، فَقَالَتْ مِثْلَ ذَلِكَ ، حَتَّى وَقُلْنَ كُلُّهُنَّ مِثْلَ ذَلِكَ : فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « مَنْ يُضِيفُهُ يَرْحَمُهُ اللهُ؟ » ، فَقَامَ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ ، يُقَالُ لَهُ اَبِىْ طَلْحَةَ فَقَالَ : أَنَا ، يَا رَسُولَ اللهِ ، فَانْطَلَقَ بِهِ إِلَى رَحْلِهِ ، فَقَالَ لِامْرَأَتِهِ : هَلْ عِنْدَكِ شَيْءٌ؟ قَالَتْ : لَا إِلَّا قُوتُ صِبْيَانِي ، قَالَ : فَعَلِّلِيهِمْ بِشَيْءٍ ، وَنَوِّمِيْهِمْ فَإِذَا دَخَلَ ضَيْفُنَا ، فَأَرِيهِ أَنَّا نَأْكُلُ ، فَإِذَا أَهْوَى بِيَدِهِ لِيَأْكُلَ ، فَقُومِي إِلَى السِّرَاجِ كَىْ تُصْلِحِيْهِ فَأَطْفِئِيْهِ فَفَعَلَتْ فَقَعَدُوا وَأَكَلَ الضَّيْفُ وَبَاتَا طَاوِيَيْنِ ، فَلَمَّا أَصْبَحَ غَدَا عَلَى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « لَقَدْ عَجِبَ اللهُ مِنْ اَوْ ضَحِكَ اللهُ مِنْ فُلَانٍ وَفُلَانَةٍ » (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩৫
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মুমিন ভালবাসার বস্তু
১৩৫. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, নবী ﷺ বলেছেন: মুমিন ভালবাসার বস্তু এবং তার মধ্যে কোন মঙ্গল নেই, যে অপরকে ভালবাসে না এবং অপর লোকও তাকে ভালবাসে না। (মুসনাদে আহমদ: বায়হাকী ও শুয়াবুল ঈমান)
کتاب الاخلاق
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : « الْمُؤْمِنُ مَأْلَفٌ ، وَلَا خَيْرَ فِيمَنْ لَا يَأْلَفُ ، وَلَا يُؤْلَفُ » (رواه احمد والبيهقى فى شعب الايمان)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩৬
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ভালবাসা ও ঘৃণা করা: আল্লাহর জন্য মহব্বত ও শত্রুতা আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা প্রিয় আমল
১৩৬. হযরত আবু যর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: আল্লাহর কাছে বান্দার আমলের মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রিয় আমল হল আল্লাহর জন্য মহব্বত এবং আল্লাহর জন্য শত্রুতা। (আবু দাউদ)
کتاب الاخلاق
عَنْ أَبِي ذَرٍّ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « أَفْضَلُ الْأَعْمَالِ الْحُبُّ فِي اللَّهِ ، وَالْبُغْضُ فِي اللَّهِ » (رواه ابو داؤد)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩৭
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর জন্য মহব্বতকারী মহান আল্লাহর সম্মানকারী
১৩৭. হযরত আবূ উমামা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেছেন: যে বান্দা আল্লাহর জন্য অপর বান্দাকে মহব্বত করে, সে ইযযত ও জালালের অধিকারী তার রব্বের সম্মান করে থাকে। (মুসনাদে আহমদ)
کتاب الاخلاق
عَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " مَا أَحَبَّ عَبْدٌ عَبْدًا لِلَّهِ إِلَّا أَكْرَمَ رَبَّهُ عَزَّ وَجَلَّ " (رواه احمد)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩৮
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর জন্য যারা পরস্পর ভালবাসে, তাদের জন্য আল্লাহর মহব্বত অপরিহার্য
১৩৮. হযরত মু'আয ইবন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল ﷺ-কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তা'আলা বলেন: আমার মহব্বত তাদের জন্য ওয়াজিব হয়ে গিয়েছে যারা আমার জন্য একে অন্যকে ভালবাসে, আমার জন্য একত্রে উপবেশন করে, আমার জন্য পরস্পর মুলাকাত করে এবং আমার জন্য পরষ্পর খরচ করে। (মুয়াত্তাঃ ইমাম মালিক)
کتاب الاخلاق
عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ : قَالَ اللَّهُ تَعَالَى : « وَجَبَتْ مَحَبَّتِي لِلْمُتَحَابِّينَ فِيَّ وَالْمُتَجَالِسِينَ فِيَّ وَالْمُتَزَاوِرِينَ فِيَّ وَالْمُتَبَاذِلِينَ فِيَّ » (رواه مالك)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩৯
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মুসলিম ভাইয়ের মুলাকাতের পথে ফেরেশতার সংলাপ
১৩৯. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী ﷺ থেকে বর্ণনা করেন: এক ব্যক্তি অন্য এক গ্রামে তার ভাইয়ের সাথে মুলাকাত করার জন্য রওনা হল। আল্লাহ তার রাস্তায় এক ফেরেশতা মোতায়েন করে রাখলেন। ফেরেশতা তাকে বললেন, তুমি কোথায় যেতে চাও? সে বলল, আমি এ গ্রামে আমার ভাইয়ের সাথে মুলাকাত করতে চাই। ফেরেশতা বললেন, সেখানে কি তোমার কোন সম্পদ রয়েছে যা বৃদ্ধি করার জন্য তুমি যাচ্ছ? সে বলল, না। আমি আল্লাহর খাতিরে তাকে ভালবাসি। ফেরেশতা বললেন, আল্লাহ আমাকে তোমার কাছে পাঠিয়েছেন খবর দেয়ার জন্য যে, আল্লাহ তোমাকে সেরূপ ভালবাসেন যেরূপ তুমি আল্লাহর খাতিরে তাকে ভালবাস। (মুসলিম)
کتاب الاخلاق
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، " أَنَّ رَجُلًا زَارَ أَخًا لَهُ فِي قَرْيَةٍ أُخْرَى ، فَأَرْصَدَ اللهُ لَهُ ، عَلَى مَدْرَجَتِهِ ، مَلَكًا ، قَالَ : أَيْنَ تُرِيدُ؟ قَالَ : أُرِيدُ أَخًا لِي فِي هَذِهِ الْقَرْيَةِ ، قَالَ : هَلْ لَكَ مِنْ نِعْمَةٍ تَرُبُّهَا؟ قَالَ : لَا ، غَيْرَ أَنِّي أَحْبَبْتُهُ فِي اللهِ ، قَالَ : فَإِنِّي رَسُولُ اللهِ إِلَيْكَ ، بِأَنَّ اللهَ قَدْ أَحَبَّكَ كَمَا أَحْبَبْتَهُ فِيهِ " (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪০
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামতে আম্বিয়া ও শুহাদার ঈর্ষান্বিত ব্যক্তি
১৪০. হযরত উমর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেছেন: আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে এমন মানুষও রয়েছেন যারা নবী এবং শহীদ মন; কিন্তু কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাদেরকে যে মাকাম দান করবেন তার জন্য আম্বিয়া কিরাম এবং শুহাদা তাদেরকে ঈর্ষা করবেন। সাহাবিগণ বললেন: হে আল্লাহর রাসুল! আমাদেরকে বলুন তারা কারা? তিনি বললেন: তারা হলেন এমন লোক যারা আল্লাহর খাতিরে কোনরূপ আত্মীয়তার সম্পর্ক ও লেনদেন ছাড়া পরস্পরকে ভালবাসতেন। আল্লাহর শপথ! তাদের চেহারা নূরানী হবে, তারা নূরের উপর থাকবেন এবং যখন মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত হবে, তখন তারা ভীত হবেন না এবং যখন মানুষ চিন্তিত ও পেরেশান হবে, তখন তারা কোনরূপ দুশ্চিন্তা করবেন না। অতঃপর আল্লাহর নবী তিলাওয়াত করলেন:
أَلَا إِنَّ أَوْلِيَاءَ اللَّهِ لَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ
"জেনে রাখ! আল্লাহর দোস্তদের কোন ভয়-ভীতি ও দুশ্চিন্তা থাকবে না।" (আবু দাউদ)
أَلَا إِنَّ أَوْلِيَاءَ اللَّهِ لَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ
"জেনে রাখ! আল্লাহর দোস্তদের কোন ভয়-ভীতি ও দুশ্চিন্তা থাকবে না।" (আবু দাউদ)
کتاب الاخلاق
عَنْ عُمَرَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « إِنَّ مِنْ عِبَادِ اللَّهِ لَأُنَاسًا مَا هُمْ بِأَنْبِيَاءَ ، وَلَا شُهَدَاءَ يَغْبِطُهُمُ الْأَنْبِيَاءُ وَالشُّهَدَاءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ، بِمَكَانِهِمْ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى » قَالُوا : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، تُخْبِرُنَا مَنْ هُمْ ، قَالَ : « هُمْ قَوْمٌ تَحَابُّوا بِرُوحِ اللَّهِ عَلَى غَيْرِ أَرْحَامٍ بَيْنَهُمْ ، وَلَا أَمْوَالٍ يَتَعَاطَوْنَهَا ، فَوَاللَّهِ إِنَّ وُجُوهَهُمْ لَنُورٌ ، وَإِنَّهُمْ عَلَى نُورٍ لَا يَخَافُونَ إِذَا خَافَ النَّاسُ ، وَلَا يَحْزَنُونَ إِذَا حَزِنَ النَّاسُ » وَقَرَأَ هَذِهِ الْآيَةَ {أَلَا إِنَّ أَوْلِيَاءَ اللَّهِ لَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ} (رواه ابو داؤد)
তাহকীক: