মা'আরিফুল হাদীস
আখলাক অধ্যায়
হাদীস নং: ১২৫
আখলাক অধ্যায়
আল্লাহর সর্বাধিক প্রিয় বান্দা
১২৫: হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল ﷺ বলেছেন: মুসা ইবন ইমরান (আ) আল্লাহকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ইয়া রব্ব! আপনার বান্দাদের মধ্যে কে আপনার নিকট সর্বাধিক সম্মানিত? আল্লাহ বললেন, যে ক্ষমতা লাভ করার পর মাফ করে দেয়। (বায়হাকী: শুয়াবুল ঈমান)
کتاب الاخلاق
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " قَالَ مُوسَى بْنُ عِمْرَانَ عَلَيْهِ السَّلَامُ : يَا رَبِّ ، مَنْ أَعَزُّ عِبَادِكَ عِنْدَكَ؟ قَالَ : مَنْ إِذَا قَدَرَ غَفَرَ " (رواه البيهقى فى شعب الايمان)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
ঈমানদারদের বৈশিষ্ট্য হল তারা অন্যের অপরাধ ক্ষমা করেন। শাস্তি দান করার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও মানুষকে মাফ করে দেন। মাফ করার একমাত্র উদ্দেশ্য হল, আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিল করা। কিন্তু যে ব্যক্তি আল্লাহর সীমালংঘন করে, আল্লাহর আইন অমান্য করে, তাকে ঈমানদারগণ মাফ করেন না; বরং তারা আল্লাহর আইন লংঘনকারীকে আল্লাহর আইন মোতাবিক শাস্তিদান করেন। এ ব্যাপারে তারা অপরাধীর প্রতি কোন সহানুভূতি প্রদর্শন করেন না। বলা বাহুল্য, নবী করীম ﷺ তাঁর যিন্দেগীতে সর্বদা এই নীতি অনুসরণ করেছেন। তিনি বিজিতদেরকে মাফ করে দিয়েছেন, অধীনস্থদের ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমার চোখে দেখেছেন এবং তাঁর সাথে যারা বে-আদবী করেছে, তাদেরকে মাফ করে দিয়েছেন। কিন্তু যারা আল্লাহর আইন লংঘন করেছে, তাদেরকে মাফ করেননি; বরং ঘোষণা করেছেন: "মুহাম্মদ ﷺ-এর কন্যা ফাতেমা চুরি করলেও তার হাত কেটে দেয়া হবে।" তাই এ ব্যাপারে রাসূলের দৃষ্টান্ত আমাদের অনুসরণ করতে হবে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)