মা'আরিফুল হাদীস
আখলাক অধ্যায়
হাদীস নং: ১২২
আখলাক অধ্যায়
বান্দার অন্তরে কৃপণতা ও ঈমান একত্র হতে পারে না
১২২. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেছেন, বান্দার অন্তরে কৃপণতা ও ঈমান কখনো একত্র হতে পারে না। (নাসাঈ)
کتاب الاخلاق
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " لَا يَجْتَمِعُ الشُّحُّ وَالْإِيمَانُ فِي قَلْبِ عَبْدٍ اَبَدًا . (رواه النسائى)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
যে ব্যক্তির অন্তরে ঈমানের প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত, তিনি জ্ঞানী ও দূরদর্শী। তিনি আল্লাহর কুদরত ও বদান্যতার উপর সম্পূর্ণ বিশ্বাসী। তিনি আখিরাতের প্রাচুর্যের তুলনায় দুনিয়াকে খুব নগণ্য মনে করেন। ঈমানদার ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য শুধু ধন নয়, জীবন পর্যন্ত কুরবান করেন। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ধন-দৌলত ব্যয় করাকে ঈমানদার ব্যক্তি সৌভাগ্য মনে করেন। রিযকের ব্যাপারে তিনি আল্লাহর ওপর সম্পূর্ণ বিশ্বাসী। আল্লাহর পথে যে সম্পদ নিয়োজিত হয়, আল্লাহ তা বর্ধিত আকারে বান্দাকে ফিরিয়ে দেন। ঈমানদার ব্যক্তির অন্তর আল্লাহর মহব্বতে পরিপূর্ণ।
কৃপণ ব্যক্তির অন্তরে ধন-দৌলতের মহব্বত খুব বেশি। বখিল দুনিয়ার সম্পদের প্রতি এত বেশি অনুরক্ত যে, আখিরাতের যিন্দেগীর জন্য সামান্যতম সম্পদ ব্যয় করতে প্রস্তুত নয়। বখিল মনে করে আল্লাহর পথে সম্পদ ব্যয় করলে তার সম্পদ হ্রাস পাবে। ঈমান এবং কৃপণতা পরস্পর বিরোধী দুটো জিনিস। তাই একই অন্তরে এ দুটো একত্র হতে পারে না। ঈমানদার কৃপণ হতে পারেন না এবং কৃপণ ঈমানের দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে সে ঈমানদার হতে পারে না। প্রত্যেক ব্যক্তি নবী করীম ﷺ-এর দেয়া এ কষ্টিপাথরে নিজের ঈমান যাচাই করতে পারেন।
আবু দাউদ শরীফে বর্ণিত এক হাদীসে নবী করীম ﷺ কৃপণতা সম্পর্কে বলেনঃ
شر ما في رجل شح هالع وجبن خالع -
"মানুষের মন্দ জিনিস হল, অদম্য লোভ এবং কলবকে ভীত-সন্ত্রস্তকারী কাপুরুষতা।"
যেরূপ হৃদয়কে ভীত-সন্ত্রস্তকারী কাপুরুষতা মানুষের কল্যাণ করে না, বরং অকল্যাণ করে, সেরূপ লোভ যার অন্য নাম কৃপণতা-মানুষের কোন মঙ্গল করে না বরং অমঙ্গল করে। এ মারাত্মক মন্দ অভ্যাস মানুষের দীন এবং দুনিয়া কিভাবে বরবাদ করে তা নবী করীম ﷺ অপর এক হাদীসে উল্লেখ করেছেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে আবূ দাউদে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছেঃ
إِيَّاكُمْ وَالشُّحَّ فَإِنَّمَا هَلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ بِالشُّحِّ أَمَرَهُمْ بِالْبُخْلِ فَبَخَلُوا وَأَمَرَهُمْ بِالْقَطِيعَةِ فَقَطَعُوا وَأَمَرَهُمْ بِالْفُجُورِ فَفَجَرُوا "
নবী ﷺ বলেন: "লোভ থেকে তোমরা সাবধান! তোমাদের পূর্ববর্তিগণ লোভের দ্বারা বরবাদ হয়েছে। লোভ তাদেরকে কৃপণতার হুকুম করেছে। তারা কৃপণতা করেছে। তাদেরকে আত্মীয়তার সম্পর্কচ্ছেদ করতে হুকুম করেছে। তারা আত্মীয়তার সম্পর্কচ্ছেদ করেছে। তাদেরকে অশ্লীলতা ও অসৎকর্ম করতে হুকুম করেছে। তার অশ্লীলতা ও অসৎকর্ম করেছে।"
কৃপণ ব্যক্তির অন্তরে ধন-দৌলতের মহব্বত খুব বেশি। বখিল দুনিয়ার সম্পদের প্রতি এত বেশি অনুরক্ত যে, আখিরাতের যিন্দেগীর জন্য সামান্যতম সম্পদ ব্যয় করতে প্রস্তুত নয়। বখিল মনে করে আল্লাহর পথে সম্পদ ব্যয় করলে তার সম্পদ হ্রাস পাবে। ঈমান এবং কৃপণতা পরস্পর বিরোধী দুটো জিনিস। তাই একই অন্তরে এ দুটো একত্র হতে পারে না। ঈমানদার কৃপণ হতে পারেন না এবং কৃপণ ঈমানের দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে সে ঈমানদার হতে পারে না। প্রত্যেক ব্যক্তি নবী করীম ﷺ-এর দেয়া এ কষ্টিপাথরে নিজের ঈমান যাচাই করতে পারেন।
আবু দাউদ শরীফে বর্ণিত এক হাদীসে নবী করীম ﷺ কৃপণতা সম্পর্কে বলেনঃ
شر ما في رجل شح هالع وجبن خالع -
"মানুষের মন্দ জিনিস হল, অদম্য লোভ এবং কলবকে ভীত-সন্ত্রস্তকারী কাপুরুষতা।"
যেরূপ হৃদয়কে ভীত-সন্ত্রস্তকারী কাপুরুষতা মানুষের কল্যাণ করে না, বরং অকল্যাণ করে, সেরূপ লোভ যার অন্য নাম কৃপণতা-মানুষের কোন মঙ্গল করে না বরং অমঙ্গল করে। এ মারাত্মক মন্দ অভ্যাস মানুষের দীন এবং দুনিয়া কিভাবে বরবাদ করে তা নবী করীম ﷺ অপর এক হাদীসে উল্লেখ করেছেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে আবূ দাউদে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছেঃ
إِيَّاكُمْ وَالشُّحَّ فَإِنَّمَا هَلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ بِالشُّحِّ أَمَرَهُمْ بِالْبُخْلِ فَبَخَلُوا وَأَمَرَهُمْ بِالْقَطِيعَةِ فَقَطَعُوا وَأَمَرَهُمْ بِالْفُجُورِ فَفَجَرُوا "
নবী ﷺ বলেন: "লোভ থেকে তোমরা সাবধান! তোমাদের পূর্ববর্তিগণ লোভের দ্বারা বরবাদ হয়েছে। লোভ তাদেরকে কৃপণতার হুকুম করেছে। তারা কৃপণতা করেছে। তাদেরকে আত্মীয়তার সম্পর্কচ্ছেদ করতে হুকুম করেছে। তারা আত্মীয়তার সম্পর্কচ্ছেদ করেছে। তাদেরকে অশ্লীলতা ও অসৎকর্ম করতে হুকুম করেছে। তার অশ্লীলতা ও অসৎকর্ম করেছে।"
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)