মা'আরিফুল হাদীস
معارف الحديث
সলাত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩৫১ টি
হাদীস নং: ১২১
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ফজরের সালাতে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কিরা'আত
১২১. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ ﷺ জুমু'আর দিন ফজরের সালাতের প্রথম রাক'আতে সূরা আস-সাজদা এবং দ্বিতীয় রাকা'আতে সূরা আদ-দাহর পাঠ করতেন। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : يَقْرَأُ فِي الصُّبْحِ ، يَوْمَ الْجُمُعَةِ : بِالم تَنْزِيلُ فِي الرَّكْعَةِ الْأُولَى ، وَفِي الثَّانِيَةِ هَلْ أَتَى عَلَى الْإِنْسَانِ. (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১২২
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ যুহর ও আসরের সালাতে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কিরা'আত
১২২. হযরত আবু কাতাদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: নবী কারীম ﷺ যুহরের প্রথম দুই রাক'আতে সূরা ফাতিহা ও তার সাথে দু'টি সূরা এবং শেষ দুই রাক'আতে কেবল সূরা ফাতিহা পাঠ করতেন। কখনো কখনো আমরা আয়াত শুনতে পেতাম। যুহরের প্রথম রাক'আতে দীর্ঘ কিরা'আত পাঠ করতেন। কিন্তু দ্বিতীয় রাক'আতের কিরা'আত (প্রথম রাক'আতের ন্যায়) দীর্ঘ হতো না। অনুরূপ তিনি আসর ও ফজরের সালাতেও করতেন। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي قَتَادَةَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ فِي الأُولَيَيْنِ بِأُمِّ الكِتَابِ ، وَسُورَتَيْنِ ، وَفِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُخْرَيَيْنِ بِأُمِّ الكِتَابِ وَيُسْمِعُنَا الآيَةَ ، وَيُطَوِّلُ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى مَا لاَ يُطَوِّلُ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ ، وَهَكَذَا فِي العَصْرِ وَهَكَذَا فِي الصُّبْحِ » (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৩
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ যুহর ও আসরের সালাতে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কিরা'আত
১২৩. হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: নবী কারীম ﷺ যুহরের সালাতে সূরা আল-লায়ল পাঠ করতেন। অন্য বর্ণনা মতে সূরা আলা পাঠ করতেন। আসরের সালাতে অনুরূপ সূরা এবং ফজরের সালাতে তার চেয়েও দীর্ঘ সূরা পাঠ করতেন। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ : كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ بِاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَى ، وَفِىْ رِوَايَةٍ بِسَبِّحِ اسْمِ رَبِّكَ الْاَعْلَى وَفِي الْعَصْرِ نَحْوَ ذَلِكَ. وَفِي الصُّبْحِ أَطْوَلَ مِنْ ذَلِكَ. (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৪
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মাগরিবের সালাতে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর কিরা'আত
১২৪. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে উতবা ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ ﷺ মাগরিবের সালাতে সূরা আদ্-দুখান পাঠ করতেন। (নাসায়ী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنَ مَسْعُودٍ قَالَ قَرَأَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي صَلَاةِ الْمَغْرِبِ بِحم الدُّخَانِ » (رواه النسائى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৫
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মাগরিবের সালাতে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর কিরা'আত
১২৫. হযরত জুবাইর ইবনে মুতঈম (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে মাগরিবের সালাতে সূরা আত-তুর পাঠ করতে শুনেছি। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ قَالَ : " سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ فِي المَغْرِبِ بِالطُّورِ. (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৬
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মাগরিবের সালাতে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর কিরা'আত
১২৬. হযরত উম্মুল ফাযল বিনত হারিস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে মাগরিবের সালাতে সূরা মুরসালাত পাঠ করতে শুনেছি। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أُمِّ الفَضْلِ بِنْتِ الحَارِثِ ، قَالَتْ : سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ يَقْرَأُ فِي المَغْرِبِ بِالْمُرْسَلاَتِ عُرْفًا. (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৭
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মাগরিবের সালাতে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর কিরা'আত
১২৭. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ মাগরিবের সালাতের দুই রাক'আতে পুরো সূরা আ'রাফ ভাগ করে পাঠ করেন। (নাসায়ী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَائِشَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرَأَ فِي صَلَاةِ الْمَغْرِبِ بِسُورَةِ الْأَعْرَافِ فَرَّقَهَا فِي رَكْعَتَيْنِ » . (رواه النسائى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৮
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ এশার সালাতে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কিরা'আত
১২৮. হযরত বারা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আমি নবী কারীম ﷺ কে এশার সালাতে সূরা আত্-তীন পাঠ করতে শুনেছি। আমি কাউকে তাঁর চাইতে সুমধুর কণ্ঠে কিরা'আত পাঠ করতে শুনি নি (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ البَرَاءَ ، قَالَ : " سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ فِي العِشَاءِ : وَالتِّينِ وَالزَّيْتُونِ وَمَا سَمِعْتُ أَحَدًا أَحْسَنَ صَوْتًا مِنْهُ ". (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৯
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ এশার সালাতে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কিরা'আত
১২৯. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মু'আয ইবনে জাবাল (রা) নবী কারীম ﷺ এর সাথে সালাত আদায় করতেন এবং নিজ গোত্রের লোকদের সালাতের ইমামতি করতেন। এক রাতে তিনি নবী কারীম ﷺ এর সাথে এশার সালাত আদায় করেন। তারপর নিজ গোত্রের লোকদের কাছে আসেন এবং তাদের সালাতের ইমামতি করেন। এতে তিনি সূরা বাকারা পাঠ করা শুরু করেন। ফলে জনৈক ব্যক্তি সরে গিয়ে সালাম ফিরায় এবং একাকী সালাত আদায় করে চলে যায় (বিষয়টি অস্বাভাবিক ছিল, কেননা মুনাফিক ছাড়া কেউ জামা'আত ছাড়া সালাত আদায় করত না)। লোকেরা তাকে বলল, তুমি কি মুনাফিক হয়ে গেছ? সে বলল, না আল্লাহর শপথ! আমি মুনাফিক নই। আমি অবশ্যই রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট যাব এবং তাঁকে বিষয় জানাব। তারপর সে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর নিকট গেল এবং বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা দিনে উটের সাহায্যে পানি সেচের কাজ করি ও সারাদিন পরিশ্রম করি। (রাতে) মু'আয (রা) আপনার সাথে ইশার সালাত আদায় করে আসেন এবং (সালাতে ইমামতি করতে গিয়ে) সূরা বাকারা পাঠ করা শুরু করেন। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ ﷺ মু'আযের দিকে তাকান এবং বলেন, হে মু'আয! তুমি কি মানুষকে ফিতনায় ফেলতে চাও? তুমি (এশার সালাতে) সূরা শাম্স, আদ্-দুহা, আল-লায়ল ও সূরা আ'লা পাঠ করবে। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ جَابِرٍ قَالَ : كَانَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ ، يُصَلِّي مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ يَأْتِي فَيَؤُمُّ قَوْمَهُ ، فَصَلَّى لَيْلَةً مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعِشَاءَ ثُمَّ أَتَى قَوْمَهُ فَأَمَّهُمْ فَافْتَتَحَ بِسُورَةِ الْبَقَرَةِ فَانْحَرَفَ رَجُلٌ فَسَلَّمَ ثُمَّ صَلَّى وَحْدَهُ وَانْصَرَفَ فَقَالُوا لَهُ : أَنَافَقْتَ؟ يَا فُلَانُ ، قَالَ : لَا. وَاللهِ وَلَآتِيَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَأُخْبِرَنَّهُ. فَأَتَى رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللهِ ، إِنَّا أَصْحَابُ نَوَاضِحَ نَعْمَلُ بِالنَّهَارِ وَإِنَّ مُعَاذًا صَلَّى مَعَكَ الْعِشَاءَ ، ثُمَّ أَتَى قَوْمَهُ فَافْتَتَحَ بِسُورَةِ الْبَقَرَةِ فَأَقْبَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى مُعَاذٍ فَقَالَ : « يَا مُعَاذُ أَفَتَّانٌ أَنْتَ؟ اقْرَأْ وَالشَّمْسِ وَضُحَاهَا وَالضُّحَى ، وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَى ، وَسَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى » (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩০
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ এর বিভিন্ন সালাতে পঠিত কিরা'আত
১৩০. হযরত সুলায়মান ইবনে ইয়াসার সূত্রে আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি (সে সময়কার এক ইমাম সম্পর্কে) বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর সালাতের (এই ইমামের মত) আর কাউকে অনুরূপ সালাত আদায় করতে দেখিনি। সুলায়মান বলেন, আমিও তাঁর পেছনে সালাত আদায় করেছি। তিনি যুহরের প্রথম দুই রাক'আত দীর্ঘ এবং শেষ দুই রাক'আত সংক্ষেপ করতেন। আর তিনি আসরের সালাতকে সংক্ষেপ করতেন এবং মাগরিবের সালাতে কিসারে মুফাস্সাল, এশায় আওসাতে মুফাস্সাল এবং ফজরে তিওয়ালে মুফাস্সাল পাঠ করতেন। (নাসায়ী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : « مَا صَلَّيْتُ وَرَاءَ أَحَدٍ أَشْبَهَ صَلَاةً بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ فُلَانٍ - قَالَ سُلَيْمَانَ – صَلَّيْتُ خَلْفَهُ فَكَانَ يُطِيلُ الرَّكْعَتَيْنِ الْأُولَيَيْنِ مِنَ الظُّهْرِ ، وَيُخَفِّفُ الْأُخْرَيَيْنِ ، وَيُخَفِّفُ الْعَصْرَ ، وَيَقْرَأُ فِي الْمَغْرِبِ بِقِصَارِ الْمُفَصَّلِ ، وَيَقْرَأُ فِي الْعِشَاء بِوَسَطِ الْمُفَصَّلِ ، وَيَقْرَأُ فِي الصُّبْحِ بِطُوَلِ الْمُفَصَّلِ » (رواه النسائى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩১
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জুমু'আ ও দুই ঈদের সালাতে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কিরা'আত
১৩১. হযরত উবায়দুল্লাহ্ ইবনে আবু রাফি' (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মারওয়ান আবু হুরায়রা (রা) কে মদীনায় তাঁর স্থলাভিষিক্ত করে মক্কায় চলে যান। সে মতে আবূ হুরায়রা (রা) আমাদের নিয়ে জুমু'আর সালাত আদায় করেন। তিনি প্রথম রাক'আতে সূরা জুমু'আ এবং দ্বিতীয় রাক'আতে সূরা মুনাফিকূন পাঠ করেন। তারপর তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে জুমু'আর দিন এ সূরা দু'টি পাঠ করতে শুনেছি। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ ، قَالَ : اسْتَخْلَفَ مَرْوَانُ أَبَا هُرَيْرَةَ عَلَى الْمَدِينَةِ ، وَخَرَجَ إِلَى مَكَّةَ ، فَصَلَّى لَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ الْجُمُعَةَ ، فَقَرَأَ سُورَةِ الْجُمُعَةِ ، فِي السَّجْدَةِ الْأُولَى وَفِي الْآخِرَةِ : إِذَا جَاءَكَ الْمُنَافِقُونَ فَقَالَ : « سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، يَقْرَأُ بِهِمَا يَوْمَ الْجُمُعَةِ » . (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩২
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জুমু'আ ও দুই ঈদের সালাতে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর কিরা'আত
১৩২. হযরত নু'মান ইবনে বাশীর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ ﷺ উভয় ঈদের ও জুমু'আর সালাতে সূরা গাশিয়া ও সূরা আ'লা পাঠ করতেন। বর্ণনাকারী বলেন, ঈদ ও জুমু'আ একই দিনে একত্র হলে উক্ত সূরা দু'টি তিনি উভয় সালাতে পাঠ করতেন। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ ، قَالَ : « كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ فِي الْعِيدَيْنِ ، وَفِي الْجُمُعَةِ بِسَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى ، وَهَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ » ، قَالَ : « وَإِذَا اجْتَمَعَ الْعِيدُ وَالْجُمُعَةُ ، فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ ، يَقْرَأُ بِهِمَا أَيْضًا فِي الصَّلَاتَيْنِ » . (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩৩
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জুমু'আ ও দুই ঈদের সালাতে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কিরা'আত
১৩৩. হযরত উবায়দুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণিত। উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) আবু ওয়াকিদ লায়সীকে জিজ্ঞেস করেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরে কোন সূরা পাঠ করতেন। তিনি বলেন, তিনি উভয় ঈদের সালাতে সূরা কাফ ও সূরা কামার পাঠ করতেন। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عُبَيْدِ اللهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ، سَأَلَ أَبَا وَاقِدٍ اللَّيْثِيَّ : مَا كَانَ يَقْرَأُ بِهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْأَضْحَى وَالْفِطْرِ؟ فَقَالَ : « كَانَ يَقْرَأُ فِيهِمَا بِ ق وَالْقُرْآنِ الْمَجِيدِ ، وَاقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ. (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩৪
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ সূরা ফাতিহা পাঠ শেষে 'আমীন' বলা
সূরা ফাতিহা পাঠ করা প্রত্যেকে সালাতের প্রত্যেক রাক'আতের ক্ষেত্রেই জরুরী। কেননা তার প্রথম তিন আয়াতে আল্লাহর পশংসা ও গুণকীর্তন, চতুর্থ আয়াতে তাওহীদের স্বীকারোক্তি ও দু'আ এবং তার পরবর্তী তিন আয়াতে আল্লাহর কাছে সৎপথে প্রাপ্তির আবেদন করে সূরা সমাপ্ত হয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ এই সূরা পাঠ সমাপনান্তে 'আমীন' পাঠের নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি যখন কেউ ইমামের পেছনে সালাত আদায় করে এবং ইমাম সূরা ফাতিহা পাঠ শেষে 'আমীন' বলেন তখন মুক্তাদীকেও তার সাথে 'আমীন' বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ মর্মে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: মুসল্লীদের 'আমীন' বলার সাথে সাথে ফিরিশতারাও 'আমীন' বলে থাকেন।
সূরা ফাতিহা পাঠ করা প্রত্যেকে সালাতের প্রত্যেক রাক'আতের ক্ষেত্রেই জরুরী। কেননা তার প্রথম তিন আয়াতে আল্লাহর পশংসা ও গুণকীর্তন, চতুর্থ আয়াতে তাওহীদের স্বীকারোক্তি ও দু'আ এবং তার পরবর্তী তিন আয়াতে আল্লাহর কাছে সৎপথে প্রাপ্তির আবেদন করে সূরা সমাপ্ত হয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ এই সূরা পাঠ সমাপনান্তে 'আমীন' পাঠের নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি যখন কেউ ইমামের পেছনে সালাত আদায় করে এবং ইমাম সূরা ফাতিহা পাঠ শেষে 'আমীন' বলেন তখন মুক্তাদীকেও তার সাথে 'আমীন' বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ মর্মে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: মুসল্লীদের 'আমীন' বলার সাথে সাথে ফিরিশতারাও 'আমীন' বলে থাকেন।
১৩৪. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: ইমাম যখন 'আমীন' বলবে তোমরাও তখন 'আমীন' বলবে। কেননা যে ব্যক্তি ফিরিশতাদের 'আমীন' বলার সাথে একই সময় 'আমীন' বলবে, তার পূর্ববর্তী পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « إِذَا أَمَّنَ الْإِمَامُ فَأَمِّنُوا ، فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ تَأْمِينُهُ تَأْمِينَ الْمَلَائِكَةِ ، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ » (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩৫
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ সূরা ফাতিহা পাঠ শেষে 'আমীন' বলা
১৩৫. হযরত আবূ মূসা আশ'আরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমরা যখন সালাতে দাঁড়াবে তখন (প্রথমেই) কাতার সোজা করে নিবে। এরপর তোমাদের কেউ যেন সালাতের ইমামতি করে। যখন সে তাকবীর বলে তখন তোমরাও তাকবীর বলবে এবং যখন সে 'গাইরিল মাগদূবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দাল্লীন' বলে তখন তোমরা আমীন (কবুল করুন) বলবে। আল্লাহ্ তোমাদের দু'আ কবুল করে নিবেন। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِذَا صَلَّيْتُمْ فَأَقِيمُوا صُفُوفَكُمْ ثُمَّ لْيَؤُمَّكُمْ أَحَدُكُمْ ، فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا ، وَإِذَا قَالَ {غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ} فَقُولُوا : آمِينَ ، يُجِبْكُمُ اللهُ. (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩৬
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ রাফি ইয়াদাঈন (সালাতে হাত উত্তোলন)
'রাফি ইয়াদাইন' (সালাতে তাকবীরে উলার সময় হাত উত্তোলন ছাড়াও হাত উত্তোলন) বিষয়ক মাসআলা ও পূর্বোক্ত মাসআলার অনুরূপ। রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকবীরে তাহরীমা ব্যতীত রুকূতে যাবার সময়, রুকু থেকে উঠার সময় বরং সিজদা থেকে উঠার সময় এবং তৃতীয় রাক'আতের জন্য দাঁড়ানোর সময় যে রাফি ইয়াদাইন করতেন এতে সন্দেহের অবকাশ নেই। যেমন, এ বিষয়ে হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর, ওয়ায়িল ইবনে হুজর এবং আবূ হুমায়দ সাঈদী (রা) ও অন্যান্য সাহাবী থেকে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। অনরূপভাবে এতে সন্দেহের অবকাশ নেই যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ কেবল তাকবীরে তাহরীমার সময় হাত উত্তোলন করতেন, পুরো সালাতে আর কখনো হাত উত্তোলন করতেন না। যেমন, এ বিষয়ে হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ, রাবা ইবনে আযিব (রা) প্রমুখ সাহাবা সূত্রে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। একইভাবে সাহাবা কিরাম একটি বিরাট জনগোষ্ঠির মধ্যে উভয়বিধ আমল পরিলক্ষিত হয়। সুতরাং মুজতাহিদ আলিমগণের মধ্যে কেবল উত্তম ও অগ্রাধিকার নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে উভয়বিধ পদ্ধতি জায়িয ও প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই।
'রাফি ইয়াদাইন' (সালাতে তাকবীরে উলার সময় হাত উত্তোলন ছাড়াও হাত উত্তোলন) বিষয়ক মাসআলা ও পূর্বোক্ত মাসআলার অনুরূপ। রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকবীরে তাহরীমা ব্যতীত রুকূতে যাবার সময়, রুকু থেকে উঠার সময় বরং সিজদা থেকে উঠার সময় এবং তৃতীয় রাক'আতের জন্য দাঁড়ানোর সময় যে রাফি ইয়াদাইন করতেন এতে সন্দেহের অবকাশ নেই। যেমন, এ বিষয়ে হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর, ওয়ায়িল ইবনে হুজর এবং আবূ হুমায়দ সাঈদী (রা) ও অন্যান্য সাহাবী থেকে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। অনরূপভাবে এতে সন্দেহের অবকাশ নেই যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ কেবল তাকবীরে তাহরীমার সময় হাত উত্তোলন করতেন, পুরো সালাতে আর কখনো হাত উত্তোলন করতেন না। যেমন, এ বিষয়ে হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ, রাবা ইবনে আযিব (রা) প্রমুখ সাহাবা সূত্রে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। একইভাবে সাহাবা কিরাম একটি বিরাট জনগোষ্ঠির মধ্যে উভয়বিধ আমল পরিলক্ষিত হয়। সুতরাং মুজতাহিদ আলিমগণের মধ্যে কেবল উত্তম ও অগ্রাধিকার নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে উভয়বিধ পদ্ধতি জায়িয ও প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই।
১৩৬. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন সালাত শুরু করতেন তখন দুই হাত উভয় কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন। তারপর যখন রুকূর জন্য তাকবীর বলতেন এবং যখন রুকূ হতে মাথা উঠাতেন তখনও একইভাবে দুই হাত উঠাতেন এবং বলতেন। 'সামি'আল্লাহু লিমান হামিদা' তবে সিজদায় যাবার সময় এরূপ করতেন না। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلاَةَ ، وَإِذَا كَبَّرَ لِلرُّكُوعِ ، وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ ، رَفَعَهُمَا كَذَلِكَ ، وَقَالَ : سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ، رَبَّنَا لَكَ الحَمْدُ ، وَكَانَ لاَ يَفْعَلُ ذَلِكَ فِي السُّجُودِ " (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩৭
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ রাফি ইয়াদাঈন (সালাতে হাত উত্তোলন)
১৩৭. হযরত আলকামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনে মাসউদ (রা) আমাদের বলেছেন: আমি কি তোমাদেরকে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ন্যায় সালাত আদায় করে দেখাব না? সে মতে তিনি সালাত আদায় করলেন, কিন্তু প্রথমবার (তাকবীরে তাহরীমার সময়) ছাড়া আর কোথাও রাফি ইয়াদাইন করেন নি। (তিরমিযী, আবু দাউদ ও নাসাঈ)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَلْقَمَةَ ، قَالَ : قَالَ لَنَا اِبْنُ مَسْعُودٍ : أَلاَ أُصَلِّي بِكُمْ صَلاَةَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَصَلَّى ، فَلَمْ يَرْفَعْ يَدَيْهِ إِلاَّ فِي أَوَّلِ مَرَّةٍ. (رواه الترمذى وابوداؤد والنسائى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩৮
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ রুকু ও সিজদা
সালাত কি? এর জবাবে বলা যায় যে, আন্তরিকতার সাথে কথা ও কাজের এক বিশেষ পদ্ধতিতে নিজ দাসত্ব ও বিনয় প্রকাশ করে অসীম ক্ষমতা ও মাহাত্ম্যের অধিকারী আল্লাহর সামনে পূর্ণ আনুগত্য প্রকাশ করা। এটাই হচ্ছে সালাতে দাঁড়ানো বৈঠক রুকু ও সিজদা এবং তাতে যা কিছু পাঠ করা হয়, সবকিছুই মূল বিষয়। তবে দাসত্ব ও বিনয়ের সর্বাধিক প্রকাশ ঘটে সালাতের রুকু-সিজদায় মাথা উঁচু করে রাখা, অহঙ্কার বা নিজের বড়ত্ব প্রদর্শনের লক্ষণ। পক্ষান্তরে এর বিপরীতে মাথা অবনমিত করাও ঝুঁকিয়ে দেওয়া, বিনয়-নম্রতা প্রকাশের লক্ষণ। রুকূর ন্যায় মাথা অবনমিত করা এবং গভীর শ্রদ্ধাবোধ প্রদর্শন করা কেবল মহান স্রষ্টা ও সর্বময় ক্ষমতার আধার আল্লাহরই প্রাপ্য। আর সিজদা হচ্ছে বিনয় প্রকাশের সর্বশেষ সোপান। সিজদার মাধ্যমে বান্দাহ্ তার দেহের সর্বশ্রেষ্ঠ অঙ্গ মাটিতে রাখে। এদিক থেকে রুকু ও সিজদা সালাতের সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ রুকূন। তাই রাসূলুল্লাহ ﷺ রুকু ও সিজদা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিশুদ্ধ পন্থায় আদায় করার ব্যাপারে সবিশেষ তাগিদ দিয়েছেন। এবং এগুলোতে আল্লাহর দরবারে তাঁর পবিত্রতা ও গুণগান ঘোষণার ব্যাপারে বাণী প্রদান করেছেন এবং কার্যত তা করেও দেখিয়েছেন। এ ভূমিকার পর এ পর্যায়ে কিছু সংখ্যক হাদীস করা যেতে পারে।
ভালভাবে রুকু ও সিজদা আদায় করার গুরুত্ব
সালাত কি? এর জবাবে বলা যায় যে, আন্তরিকতার সাথে কথা ও কাজের এক বিশেষ পদ্ধতিতে নিজ দাসত্ব ও বিনয় প্রকাশ করে অসীম ক্ষমতা ও মাহাত্ম্যের অধিকারী আল্লাহর সামনে পূর্ণ আনুগত্য প্রকাশ করা। এটাই হচ্ছে সালাতে দাঁড়ানো বৈঠক রুকু ও সিজদা এবং তাতে যা কিছু পাঠ করা হয়, সবকিছুই মূল বিষয়। তবে দাসত্ব ও বিনয়ের সর্বাধিক প্রকাশ ঘটে সালাতের রুকু-সিজদায় মাথা উঁচু করে রাখা, অহঙ্কার বা নিজের বড়ত্ব প্রদর্শনের লক্ষণ। পক্ষান্তরে এর বিপরীতে মাথা অবনমিত করাও ঝুঁকিয়ে দেওয়া, বিনয়-নম্রতা প্রকাশের লক্ষণ। রুকূর ন্যায় মাথা অবনমিত করা এবং গভীর শ্রদ্ধাবোধ প্রদর্শন করা কেবল মহান স্রষ্টা ও সর্বময় ক্ষমতার আধার আল্লাহরই প্রাপ্য। আর সিজদা হচ্ছে বিনয় প্রকাশের সর্বশেষ সোপান। সিজদার মাধ্যমে বান্দাহ্ তার দেহের সর্বশ্রেষ্ঠ অঙ্গ মাটিতে রাখে। এদিক থেকে রুকু ও সিজদা সালাতের সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ রুকূন। তাই রাসূলুল্লাহ ﷺ রুকু ও সিজদা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিশুদ্ধ পন্থায় আদায় করার ব্যাপারে সবিশেষ তাগিদ দিয়েছেন। এবং এগুলোতে আল্লাহর দরবারে তাঁর পবিত্রতা ও গুণগান ঘোষণার ব্যাপারে বাণী প্রদান করেছেন এবং কার্যত তা করেও দেখিয়েছেন। এ ভূমিকার পর এ পর্যায়ে কিছু সংখ্যক হাদীস করা যেতে পারে।
ভালভাবে রুকু ও সিজদা আদায় করার গুরুত্ব
১৩৮. হযরত আবূ মাসউদ আনসারী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: মুসল্লীর সালাত ততক্ষণ পর্যন্ত পুরোপুরি আদায় হয় না যতক্ষণ পর্যন্ত রুকু ও সিজদার পিঠ সোজা না রাখে। (আবূ দাউদ, তিরমিযী নাসায়ী, ইবনে মাজাহ্ ও দারেমী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الْاَنْصَارِىْ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « لَا تُجْزِئُ صَلَاةُ الرَّجُلِ حَتَّى يُقِيمَ ظَهْرَهُ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ » (رواه ابوداؤد والترمذى والنسائى وابن ماجة والدارمى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩৯
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ভালভাবে রুকু ও সিজদা আদায় করার গুরুত্ব
১৩৯. হযরত তালক ইবনে আলী হানাফী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি সালাতের রুকু ও সিজদায় পিঠ সোজা রাখে না। আল্লাহ্ তা'আলা তার সালাতের প্রতি সুদৃষ্টি দেন না। (আহমাদ)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ طَلْقِ بْنِ عَلِيٍّ الْحَنَفِيِّ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " لَا يَنْظُرُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَى صَلَاةِ عَبْدٍ لَا يُقِيمُ فِيهَا صُلْبَهُ بَيْنَ رُكُوعِهَا وَسُجُودِهَا " (رواه احمد)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪০
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ভালভাবে রুকু ও সিজদা আদায় করার গুরুত্ব
১৪০. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমরা সিজদার সময় অংগ প্রত্যঙ্গসমূহ সঠিক রাখবে কুকুরের ন্যায়ে দুই হাত বিছিয়ে দিবে না। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَنَسِ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « اعْتَدِلُوا فِي السُّجُودِ ، وَلاَ يَبْسُطْ أَحَدُكُمْ ذِرَاعَيْهِ انْبِسَاطَ الكَلْبِ » (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক: