মা'আরিফুল হাদীস

معارف الحديث

সলাত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ৩৫১ টি

হাদীস নং: ২৪১
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জুমু'আর সালাত আদায়ের গুরুত্ব এবং তা আদায়ের নিয়ম
২৪১. উবায়দ ইবনে সাব্বাক (র.) তাবিঈ সূত্রে মুরসালরূপে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এক জুমু'আর খুতবায় বলেছেন: হে মুসলমানগণ! মহান আল্লাহ্ জুমু'আর দিনকে ঈদ স্বরূপ করেছেন। সুতরাং তোমরা এদিন গোসল করবে এবং যার নিকট সুগন্ধি আছে সে তা দেহে মাখলে তার কোন ক্ষতি হবে না এবং তোমরা অবশ্যই মিসওয়াক করবে। (মালিক ও ইবনে মাজাহ ইবনে আব্বাস (রা.) সূত্রে হাদীসটি অবিচ্ছিন্ন সনদে বর্ণনা করছেন।)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عُبَيْدِ ابْنِ السَّبَّاقِ مُرْسَلًٍا قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : فِي جُمُعَةٍ مِنَ الْجَمْعِ : « يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ ، إِنَّ هَذَا يَوْمٌ جَعَلَهُ اللَّهُ عِيدًا لِلْمُسْلِمِينَ ، فَاغْتَسِلُوا ، وَمَنْ كَانَ عِنْدَهُ طِيبٌ فَلَا يَضُرُّهُ أَنْ يَمَسَّ مِنْهُ ، وَعَلَيْكُمْ بِالسِّوَاكِ » (رواه مالك ورواه ابن ماجه وهو عن ابن عباس متصلا)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪২
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জুমু'আর দনি ক্ষৌরকর্ম করা এবং নখকাটা
২৪২. হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত যে, নবী কারীম ﷺ জুমু'আর দিন মসজিদে যাওয়ার পূর্বে তাঁর নখ এবং গোঁফ কেটে নিতেন।' (মুসনাদে বাযযার ও তাবারানীর মু'জামুল আওসাত গ্রন্থ)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ « يُقَلِّمُ أَظْفَارَهُ ، ويَقُصُّ شَارِبَهُ ، يَوْمَ الْجُمُعَةِ ، قَبْلَ أَنْ يَخْرُجَ إِلَى الصَّلَاةِ » (رواه البزار والطبرانى فى الاوسط)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৩
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জুমু'আর দিন উত্তম পোশাক পরিধানের প্রতি গুরুত্বারোপ
২৪৩. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে সালাম (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমাদের কারো যদি সামর্থ্য থাকে, তবে জুমু'আর সালাতের জন্য কাজের কাপড় ব্যতীত একজোড়া উত্তম কাপড় রাখার কোন ক্ষতি নেই। (ইবনে মাজাহ, মালিক ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ সূত্রে বর্ণনা করেন)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ سَلَّامٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « مَا عَلَى أَحَدِكُمْ إِنْ وَجَدَ أَنْ يَتَّخِذَ ثَوْبَيْنِ لِلْجُمُعَةِ سِوَى ثَوْبَيْ مِهْنَةِ. (رواه ابن ماجه ورواه مالك عن يحيى بن سعيد)
হাদীস নং: ২৪৪
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ প্রথম ওয়াক্তে জুমু'আর সালাতে যাওয়ার ফযীলাত
২৪৪. হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি জুমু'আর দিন জানাবাত (অপবিত্রতা) থেকে পবিত্র হওয়ার উদ্দেশ্যে গোসল করে এবং সালাতের জন্য (মসজিদে) যায় সে যেন একটি উট কুরবানী করল। যে ব্যক্তি এরপর গমন করবে সে যেন একটি গাভী কুরবানী করল। তৃতীয় গমনকারী ব্যক্তি যেন একটি শিং বিশিষ্ট দুম্বা কুরবানী করল। চতুর্থ গমনকারী ব্যক্তি যেন একটি মুরগী কুরবানী করল। পঞ্চম গমনকারী ব্যক্তি যেন একটি ডিম কুরবানী করল। এর পর ইমাম যখন খুতবা দানের জন্য মিম্বরের উদ্দেশ্যে বের হন, তখন ফিরিশতাগণ নিজেদের রেজিষ্টার বন্ধ করে খুতবা শুনায় শরীক হয়ে যান। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « إِذَا كَانَ يَوْمُ الجُمُعَةِ وَقَفَتِ المَلاَئِكَةُ عَلَى بَابِ المَسْجِدِ يَكْتُبُونَ الأَوَّلَ فَالأَوَّلَ ، وَمَثَلُ المُهَجِّرِ كَمَثَلِ الَّذِي يُهْدِي بَدَنَةً ، ثُمَّ كَالَّذِي يُهْدِي بَقَرَةً ، ثُمَّ كَبْشًا ، ثُمَّ دَجَاجَةً ، ثُمَّ بَيْضَةً ، فَإِذَا خَرَجَ الإِمَامُ طَوَوْا صُحُفَهُمْ ، وَيَسْتَمِعُونَ الذِّكْرَ » (رواه البخارى ومسلم)
হাদীস নং: ২৪৫
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জুমু'আর সালাত ও খুতবা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর আমল
২৪৫. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী কারীম ﷺ প্রচণ্ড শীতের সময় সকাল সকাল (প্রথম ওয়াক্তেই জুমু'আর) সালাত আদায় করতেন। আর তীব্র গরমের সময় ঠাণ্ডা করে (বিলম্বে) সালাত আদায় করতেন। অর্থাৎ জুমু'আর সালাত। (বুখারী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَنَسٍ قَالَ : « كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا اشْتَدَّ البَرْدُ يُبَكِّرُ بِالصَّلاَةِ ، وَإِذَا اشْتَدَّ الحَرُّ أَبْرَدَ بِالصَّلاَةِ » يَعْنِي الجُمُعَةَ . (رواه البخارى)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৬
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জুমু'আর সালাত ও খুতবা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর আমল
২৪৬. হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: নবী কারীম ﷺ এর খুতবা হতো দু'টি। তিনি উভয়ের মাঝে বসতেন। তিনি তাতে কুরআন পাঠ করতেন এবং লোকদের উদ্দেশ্যে উপদেশ দিতেন। তাঁর সালাত ও খুতবা ছিল মধ্যম ধরনের (দীর্ঘও নয় একেবারে সংক্ষিপ্তও নয়) (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ ، قَالَ : « كَانَتْ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُطْبَتَانِ يَجْلِسُ بَيْنَهُمَا يَقْرَأُ الْقُرْآنَ ، وَيُذَكِّرُ النَّاسَ فَكَانَتْ صَلَاتُهُ قَصْدًا ، وَخُطْبَتُهُ قَصْدًا » (رواه مسلم)
হাদীস নং: ২৪৭
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জুমু'আর সালাত ও খুতবা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর আমল
২৪৭. হযরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন খুতবা দিতেন তখন চোখ দু'টি রক্তিমাভ হতো, কণ্ঠস্বর উঁচু হতো এবং তীব্র ক্রোধ প্রকাশ পেত। মনে হতো তিনি যেন আক্রমণকারী শত্রুসেনা সম্পর্কে সতর্ক করছেন এবং বলছেন তারা সকালে তোমাদের উপর চড়াও হবে এবং বিকালে আক্রমণ করবে। তিনি আরো বলতেন, আমি প্রেরিত হয়েছি এমন অবস্থায় যে. আমি ও কিয়ামত এই দু'টির ন্যায় (এই বলে তিনি) মধ্যম আঙ্গুল ও তর্জনী মিলিয়ে দেখাতেন। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ جَابِر قَالَ : كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا خَطَبَ احْمَرَّتْ عَيْنَاهُ ، وَعَلَا صَوْتُهُ ، وَاشْتَدَّ غَضَبُهُ ، حَتَّى كَأَنَّهُ مُنْذِرُ جَيْشٍ يَقُولُ : « صَبَّحَكُمْ وَمَسَّاكُمْ » ، وَيَقُولُ : « بُعِثْتُ أَنَا وَالسَّاعَةُ كَهَاتَيْنِ » ، وَيَقْرُنُ بَيْنَ إِصْبَعَيْهِ السَّبَّابَةِ ، وَالْوُسْطَى. (رواه مسلم)
হাদীস নং: ২৪৮
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জুমু'আর (ফরয) সালাতের পূর্বের ও পরের সালাত
২৪৮. হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ ﷺ জুমু'আর সালাতের পূর্বে চার রাক'আত এবং পরে চার রাক'আত১ সালাত আদায় করতেন। (তাবারাণীর কাবীর গ্রন্থ)
টিকা: ১. হযরত ইবনে আব্বাস (রা) বর্ণিত এই হাদীস জামউল ফাওয়াইদে তাবারানীর বরাতে উদ্ধৃত হয়েছে এবং বলা হয়েছে, সনদসূত্রে হাদীসটি দুর্বল।
কিন্তু 'আযাবুল মাওয়ারিদ' গ্রন্থে একটি ভিন্ন সূত্রে হযরত আলী (রা) থেকে এই হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। এই সনদে কোন দুর্বলতা নেই। বরং ইরাকী এই হাদীসটিকে উত্তম সনদে বর্ণিত বলে আখ্যায়িত করেছেন।
کتاب الصلوٰۃ
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ : « كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، يَرْكَعُ قَبْلَ الْجُمُعَةِ أَرْبَعًا ، وَبَعْدَهَا أَرْبَعًا » (رواه الطبرانى فى الكبير)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৯
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জুমু'আর (ফরয) সালাতের পূর্বের ও পরের সালাত
২৪৯. হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: সুলায়ক গাতফানী জুমু'আর দিন মসজিদে এলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ তখন মিস্বরের উপর বসাছিলেন। সুলায়ক (রা.) সালাত আদায় না করে বসে পড়লেন। তখন নবী কারীম ﷺ তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি দুই রাক'আত সালাত আদায় করেছ? তিনি বললেন, না। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেনঃ তুমি দাঁড়াও এবং দুই রাক'আত সালাত আদায় করে নাও। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِقَالَ : جَاءَ سُلَيْكٌ الْغَطَفَانِيُّ يَوْمَ الْجُمُعَةِ ، وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَاعِدٌ عَلَى الْمِنْبَرِ ، فَقَعَدَ سُلَيْكٌ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ ، فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « أَرَكَعْتَ رَكْعَتَيْنِ؟ » قَالَ : لَا ، قَالَ : « قُمْ فَارْكَعْهُمَا » (رواه مسلم)
হাদীস নং: ২৫০
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জুমু'আর (ফরয) সালাতের পূর্বের ও পরের সালাত
২৫০. হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমাদের কেউ জুমু'আর (ফরয) সালাত আদায় করলে সে যেন তারপর চার রাক'আত সালাত আদায় করে নেয়। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمُ الْجُمُعَةَ فَلْيُصَلِّ بَعْدَهَا أَرْبَعًا » (رواه مسلم)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫১
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জুমু'আর (ফরয) সালাতের পূর্বের ও পরের সালাত
২৫১. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ ﷺ জুমু'আর পর কোন সালাত আদায় করতেন না। তবে বাড়ীতে ফিরে দুই রাক'আত সালাত আদায় করতেন। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ : كَانَ لَا يُصَلِّي بَعْدَ الْجُمُعَةِ حَتَّى يَنْصَرِفَ ، فَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ فِي بَيْتِهِ. (رواه البخارى ومسلم)
হাদীস নং: ২৫২
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা

প্রত্যেক জাতিরই কিছু কিছু বিশেষ জাতীয় উৎসব রয়েছে যাতে তারা সামর্থ্যানুযায়ী উত্তম পোশাক পরিধান করে এবং উপাদেয় খাবার পাকায় এবং বিভিন্নভাবে মনের আনন্দ প্রকাশ করে। বলাবাহুল্য এ হচ্ছে, মানব স্বভাবের সহজাত দাবি। তাই এমন কোন মানব গোষ্ঠি নেই, যাদের বিশেষ কোন জাতীয় উৎসব নেই।
ইসলামে জাতীয় উৎসবের দু'টি দিন রয়েছে। যথা:- ১. ঈদুল ফিতর এবং ২. ঈদুল আযহা। এদু'টিই হল মুসলমানদের ধর্মীয় বড় উৎসব। এছাড়া মুসলমানরা যে সব অনুষ্ঠান পালন করে তার কোন ধর্মীয় ভিত্তি নেই, বরং তার বেশির ভাগই রয়েছে নানা আজে বাজে উপাদান।
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর মদীনায় হিজরতের মধ্য দিয়ে মুসলমানদের সামাজিক ও সামষ্টিক জীবন শুরু হয়। আর ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা এ সময় থেকেই শুরু হয়।

উল্লেখ্য, ঈদুল ফিতর রমযানের অব্যবহিত পরে ১লা শাওয়াল অনুষ্ঠিত হয়। আর ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হয় যিলহাজ্জ মাসের দশ তারিখে। ধর্মীয় পবিত্রতা সংরক্ষণ ও আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ বিধানের লক্ষ্যে মুবারক মাস। এ মাসেই কুরআন অবতরণের শুভ সূচনা ঘটে। এ মাসের পুরো সময়ে সিয়াম পালন করা মুসলিম উম্মাতের উপর ফরয। এ মাসে স্বতন্ত্র জামা'আতবদ্ধ সালাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং প্রতিটি সৎকাজে অধিক লাভের বিষয় অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। মোদ্দাকথা, পুরো মাসটিকে প্রবৃত্তি দমন ও কৃচ্ছতা অবলম্বন এবং সর্ববিধ আনুগত্য ও বেশি বেশি ইবাদত করার মাসরূপে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ঈমানী ও আধ্যাত্মিক উভয় দিক থেকে এ মাসের পর যেদিন আসে সে দিনের সবচেয়ে বড় দাবি হল, মুসলিম উম্মাত এদিনে আনন্দ-স্ফূর্তি করবে। তাই এ দিনকে ঈদুল ফিতরের দিন বলা হয়েছে।

দশই যিলহাজ্জ একটি ঐতিহাসিক দিন। এদিনে মুসিলম উম্মাতের পিতা হযরত ইব্রাহীম (আ) আল্লাহ্ কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে স্বীয় কলিজার টুকরা (সন্তান) হযরত ইসমাঈল (আ) কে আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে গলায় ছুরি চালিয়ে দিয়ে ছিলেন এবং তিনি আল্লাহর নির্দেশ পালনে চূড়ান্ত আনুগত্য ও আত্মসমর্পণের প্রমাণ রেখে ছিলেন। আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর এই প্রিয় বান্দাকে কুরবানীর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ঘোষণা দিয়ে হযরত ইসমাঈল (আ) কে জীবিত রেখে একটি পশুর কুরবানী কবুল করেন। তার পর আল্লাহ্ হযরত ইব্রাহীম (আ) এর মাথায় أنِّي جَاعِلُكَ لِلنَّاسِ امَامًا (আমি তোমাকে বিশ্বমানবতার নেতা নির্বাচন করেছি।) এর মুকুট পরিয়ে দেন এবং তিনি কুরবানীর এই ধারাকে কিয়ামত পর্যন্ত প্রীতির স্মারকরূপে স্বীকৃতি দেন। কাজেই এই বিরাট ঘটনা সংঘটিত হওয়ার দিনকে স্মরণীয় করে রাখা হলে তা মুসলিম উম্মাতের জন্য ইব্রাহিমী উত্তরাধিকারের স্মারক হতে পারে। এ ঘটনা স্মরণীয় করে রাখার ক্ষেত্রে দশই যিলহজ্জের চেয়ে উত্তম কোন দিন ধার্য করা যায় না। তাই দ্বিতীয় ঈদ হিসেবে ঈদুল আযহাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। যে উপত্যকায় হযরত ইসমাঈল (আ) এর কুরবানী হওয়ার ঘটনা সংঘটিত হয় উক্ত উপত্যকায় সম্মিলিতভাবে সমবেত হওয়া, হজ্জ অনুষ্ঠান পালন ও কুরবানী করা মূলতঃ মূল ঘটনাকেই বারবার স্মরণ করিয়ে দেয় এটাই মূল স্মারক। আর প্রত্যেক ইসলামী রাষ্ট্রে কিংবা মহল্লায় যে সালাত ও কুরবানী অনুষ্ঠিত হয় তা যেন দ্বিতীয় পর্যায়ের স্মারক মোটকথা এ দু'দিনের (১ শাওয়াল ও ১০ যিলহজ্জ) উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যের কারণে এ গুলোকে মুসলমানদের উৎসবের দিন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

এই দীর্ঘ ভূমিকার পর উভয় ঈদ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিম্নোক্ত হাদীস সমূহ পাঠ করা যেতে পারে। আলোচ্য সালাত অধ্যায়ে দুই ঈদের সালাতের বর্ণনাই মূল উদ্দেশ্য, তবুও দুই ঈদ ও তৎসংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজের বিধান সম্বলিত হাদীসসমূহ ও হাদীস বিশারদগণের সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী এখানে আনা হয়েছে।

দুই ঈদের উৎপত্তি
২৫২. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: নবী কারীম ﷺ মদীনায় পৌঁছে দেখতে পান যে, সেখানকার অধিবাসীরা যাদের অনেকেই ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন তারা বছরে দুই দিন খেলাধূলা ও আনন্দ উৎসব করে থাকে। তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলেন, এই দু'টি দিন কিসের এর মূল ভিত্তি ও তাৎপর্য কি? তারা বলল, জাহিলিয়্যা যুগে আমরা এই দুই দিন খেলাধূলা ও আনন্দ উৎসব করতাম সেই প্রথা এখনও বহাল রয়েছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন: আল্লাহ্ তা'আলা তোমাদের এই দুই দিনের বিনিময়ে অন্য দু'টি উত্তম দিন দান করেছেন এখন এগুলোই তোমাদের জাতীয় ও ধর্মীয় উৎসব রূপে গণ্য হবে। তাহল, ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতর। (আবু দাউদ)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَنَسٍ ، قَالَ : قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ وَلَهُمْ يَوْمَانِ يَلْعَبُونَ فِيهِمَا ، فَقَالَ : مَا هَذَانِ الْيَوْمَانِ؟ قَالُوا : كُنَّا نَلْعَبُ فِيهِمَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " قَدْ أَبْدَلَكُمْ بِهِمَا خَيْرًا مِنْهُمَا : يَوْمَ الْأَضْحَى ، وَيَوْمَ الْفِطْرِ " (رواه ابوداؤد)
হাদীস নং: ২৫৩
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ঈদের সালাত ও খুতবা
২৫৩. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: নবী কারীম ﷺ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিনে ঈদগাহে গিয়ে সর্বপ্রথম যে কাজ করতেন তা হলো সালাত। আর সালাত শেষ করে তিনি লোকদের দিকে মুখ করে দাঁড়াতেন এবং তারা তাদের কাতারে বসে থাকত। তিনি তাদের উপদেশ দিতেন, ওয়াসীয়াত করতেন এবং নির্দেশ দান করতেন। যদি তিনি কোন সেনাদল পাঠাবার ইচ্ছা করতেন, তাহলে (নামায ও খুতবার পর) তাও প্রেরণ করতেন অথবা যদি কোন বিষয়ে নির্দেশ জারী করার ইচ্ছা করতেন, তবে তা জারী করতেন। এরপর তিনি ফিরে যেতেন। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِيِّ ، قَالَ : « كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْرُجُ يَوْمَ الفِطْرِ وَالأَضْحَى إِلَى المُصَلَّى ، فَأَوَّلُ شَيْءٍ يَبْدَأُ بِهِ الصَّلاَةُ ، ثُمَّ يَنْصَرِفُ ، فَيَقُومُ مُقَابِلَ النَّاسِ ، وَالنَّاسُ جُلُوسٌ عَلَى صُفُوفِهِمْ فَيَعِظُهُمْ ، وَيُوصِيهِمْ ، وَيَأْمُرُهُمْ ، وَإِنْ كَانَ يُرِيدُ أَنْ يَقْطَعَ بَعْثًا قَطَعَهُ ، أَوْ يَأْمُرَ بِشَيْءٍ أَمَرَ بِهِ ، ثُمَّ يَنْصَرِفُ » (رواه البخارى ومسلم)
হাদীস নং: ২৫৪
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ বিনা আযান ও ইকামাতে দুই ঈদের সালাত আদায় করা সুন্নাত
২৫৪. হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর সাথে একাধিকবার দুই ঈদের সালাত আযান-ইকামাত ছাড়াই আদায় করেছি। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ ، قَالَ : « صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعِيدَيْنِ ، غَيْرَ مَرَّةٍ وَلَا مَرَّتَيْنِ ، بِغَيْرِ أَذَانٍ وَلَا إِقَامَةٍ » (رواه مسلم)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৫
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ বিনা আযান ও ইকামাতে দুই ঈদের সালাত আদায় করা সুন্নাত
২৫৫. হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আমি একবার ঈদের দিন নবী কারীম ﷺ এর সাথে সালাতে উপস্থিত ছিলাম। দেখলাম, তিনি খুতবার পূর্বে আযান-ইকামাত ছাড়াই সালাত শুরু করে দিয়েছেন। এর পর সালাত আদায় করে বিলালের শরীরের ভর দিয়ে দাঁড়ালেন। তারপর তিনি আল্লাহর মহিমা ও প্রশংসা বর্ণনা করলেন। এর পর লোকদের উপদেশ দিলেন। তাদের (আখিরাতের কথা) স্মরণ করালেন এবং আল্লাহর আনুগত্যের প্রতি অনুপ্রানিত করলেন। তিনি বিলাল (রা) কে সাথে নিয়ে মহিলাদের দিকে অগ্রসর হলেন। এরপর তিনি তাদেরকে তাওয়া অবলম্বনের নির্দেশ দিলেন। তাদের কিছু বিষয়ে উপদেশ দেন এবং আখিরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন। (নাসায়ী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِاللهِ ، قَالَ : شَهِدْتُ الصَّلَاةَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي يَوْمِ عِيدٍ ، فَبَدَأَ بِالصَّلَاةِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ بِغَيْرِ أَذَانٍ وَلَا إِقَامَةٍ ، فَلَمَّا قَضَى الصَّلَاةَ قَامَ مُتَّكِّئًا عَلَى بِلَالٍ ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ، وَوَعَظَ النَّاسَ وَذَكَّرَهُمْ وَحَثَّهُمْ عَلَى طَاعَتِهِ ، ثُمَّ مَالَ وَمَضَى إِلَى النِّسَاءِ وَمَعَهُ بِلَالٌ ، فَأَمَرَهُنَّ بِتَقْوَى اللَّهِ وَوَعَظَهُنَّ وَذَكَّرَهُنَّ. (رواه النسائى)
হাদীস নং: ২৫৬
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ দুই ঈদের সালাতের আগে কিংবা পরে কোন সুন্নাত সালাত নেই
২৫৬. হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী কারীম ﷺ ঈদুল ফিতরের দিন মাত্র দুই রাক'আত সালাত আদায় করেন। এর পূর্বেও কোন সালাত আদায় করেন নি এবং পরেও না। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ : « أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى يَوْمَ الفِطْرِ رَكْعَتَيْنِ لَمْ يُصَلِّ قَبْلَهُمَا وَلاَ بَعْدَهُمَا. (رواه البخارى ومسلم)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৭
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ দুই ঈদের সালাতের সময়
২৫৭. হযরত ইয়াযীদ ইবনে খুমায়র রাহবী (র) নামক তাবিঈ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে ইউসর (রা) ঈদুল ফিতর বা ঈদুল আযহার দিন লোকদের সাথে সালাত আদায়ের জন্য রওয়ানা হন, ইমামের বিলম্বের কারণে তিনি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর যুগে আমরা এমন সময় অর্থাৎ ইশরাকের সময় বর্ণনাকারী বলেন সময়টি ছিল নফল সালাত। (আবূ দাউদ)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ يَزِيْدِ بْنُ خُمَيْرٍ الرَّحَبِيُّ ، قَالَ : خَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُسْرٍ ، صَاحِبُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ النَّاسِ فِي يَوْمِ عِيدِ فِطْرٍ ، أَوْ أَضْحَى ، فَأَنْكَرَ إِبْطَاءَ الْإِمَامِ ، فَقَالَ : « إِنَّا كُنَّا قَدْ فَرَغْنَا سَاعَتَنَا هَذِهِ وَذَلِكَ حِينَ التَّسْبِيحِ » (رواه ابوداؤد)
হাদীস নং: ২৫৮
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ দুই ঈদের সালাতের সময়
২৫৮. হযরত আবূ উমায়র ইবনে আনাস (রা) তাঁর কয়েকজন চাচা থেকে বর্ণনা করেন, যারা নবী কারীম ﷺ এর সাহাবী ছিলেন, একবার এক কাফেলা নবী কারীম ﷺ-এর খিদমতে অবস্থিত হয়ে বললেন যে, তাঁরা গতকাল চাঁদ দেখেছেন। তখন তিনি তাদের সিয়াম ভংগ করতে এবং পরের দিন সকালে ঈদের সালাত আদায় করতে বলেন। (আবু দাউদ ও নাসায়ী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي عُمَيْرِ بْنِ أَنَسٍ ، عَنْ عُمُومَةٍ لَهُ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، « أَنَّ رَكْبًا جَاءُوا إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَشْهَدُونَ أَنَّهُمْ رَأَوُا الْهِلَالَ بِالْأَمْسِ ، فَأَمَرَهُمْ أَنْ يُفْطِرُوا ، وَإِذَا أَصْبَحُوا أَنْ يَغْدُوا إِلَى مُصَلَّاهُمْ » (رواه ابوداؤد والنسائى)
হাদীস নং: ২৫৯
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ দুই ঈদের সালাতে কিরা'আত
২৫৯. উবায়দুল্লাহ্ (র) থেকে বর্ণিত। একবার উমর (রা) আবূ ওয়াকিদ লায়সীকে জিজ্ঞেস করলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরের সালাতে কোন্ সূরা পাঠ করতেন? তিনি বললেন: তিনি উভয় ঈদের সালাতে সূরা কা'ফ, সূরা 'কামার' পাঠ করতেন। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ سَأَلَ أَبَا وَاقِدٍ اللَّيْثِيَّ : " مَا كَانَ يَقْرَأُ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْأَضْحَى وَالْفِطْرِ؟ فَقَالَ : « كَانَ يَقْرَأُ فِيْهِمَا بِق وَالْقُرْآنِ الْمَجِيدِ وَاقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ » (رواه مسلم)
হাদীস নং: ২৬০
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ দুই ঈদের সালাতে কিরা'আত
২৬০. হযরত নু'মান ইবনে বাশীর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ ﷺ উভয় ঈদে এবং জুমু'আর সালাতে সূরা গাশিয়া ও সূরা আ'লা পাঠ করতেন। বর্ণনাকারী বলেন, ঈদ ও জুমু'আ একই দিনে একত্র হলে উক্ত সূরা দু'টি তিনি উভয় সালাতে পাঠ করতেন। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ ، قَالَ : « كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ فِي الْعِيدَيْنِ ، وَفِي الْجُمُعَةِ بِسَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى ، وَهَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ » ، قَالَ : « وَإِذَا اجْتَمَعَ الْعِيدُ وَالْجُمُعَةُ ، فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ ، يَقْرَأُ بِهِمَا فِي الصَّلَاتَيْنِ ». (رواه مسلم)