দু'আ

সাহরী খাওয়া

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

সাহরী খাওয়া

share dua

সাহরীর গুরুত্ব: রোযার নিয়তে সুবহে সাদিকের পূর্বে যে খাবার গ্রহণ করা হয় তা হল সাহরী। সাহরী খাওয়া সুন্নত। সাহরীতে পেট ভরে খাওয়া আবশ্যক নয়; এক দুই ঢোক পানি পান করেও এ সুন্নত আদায় করা যায়। শেষ ওয়াক্তে সাহরী গ্রহণ করা উত্তম: সাহরী করা যেমন মুস্তাহাব তেমনি তা ওয়াক্তের শেষ দিকে করাও উত্তম। অর্থাৎ সতর্কতামূলক সময় হাতে রেখে সুবহে সাদিকের পূর্ব-নিকটবর্তী সময়ে সাহরী করা ভালো। নবীজী (ﷺ) বলেন, আমরা নবীগণ এ মর্মে আদিষ্ট হয়েছি যে, সময় হওয়ার সাথে সাথেই ইফতার করব এবং শেষ ওয়াক্তে সাহরী গ্রহণ করব। (আল-মুজামুল আওসাত, তবারানী, হাদীস নং: ১৮৮৪; মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাদীস নং: ৪৮৮০) সাহাবায়ে কেরামের আমলও এরকম ছিল। হযরত আমর ইবনে মাইমুন আলআউদী রাহ. বলেন সাহাবায়ে কেরাম সময় হওয়ার সাথে সাথেই দ্রুত ইফতার করতেন আর শেষ ওয়াক্তে সাহরী করতেন। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস ৭৫৯১; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৮৯৩২) সাহরীতে রয়েছে বরকত কিন্তু তা গ্রহণ করা ওয়াজিব নয়। কেননা নবী (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীগণ একটানা রোযা পালন করেছেন অথচ সেখানে সাহরির কোন উল্লেখ নেই।

উৎসঃ সহীহ বুখারী, হাদীস নং: ১৯২৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং: ১০৯৫

উপকারিতাঃ

১. সাহরীতে রয়েছে বরকত: রাসূলুল্লাহ ইরশাদ করেন, তোমরা সাহরী কর। কেননা সাহরীর খাবারে বরকত রয়েছে। অতএব সাহরীর খাবার রোযা রাখতে শক্তি যোগায়। তেমনি এতে খায়র বরকত এবং পুণ্য কল্যাণও নিহিত রয়েছে। ২. যারা সাহরী গ্রহণ করে তাদের উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়: আরেক হাদীসে এসেছে সাহরী খাওয়াতে বরকত রয়েছে। অতএব তোমরা তা পরিত্যাগ করো না; এক ঢোক পানি পান করে হলেও সাহরী গ্রহণ কর। কেননা যারা সাহরী খায় আল্লাহ তাদের উপর রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতাগণ তাদের জন্য রহমতের দু‘আ করতে থাকে।

উৎসঃ ১. সহীহ বুখারী, হাদীস নং: ১৯২৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং: ১০৯৫ ২. মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং: ৯০১০; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং: ৩৪৭৬; কানযুল উম্মাল, হাদীস নং: ২৩৯৭৮


এ সম্পর্কিত আরও দু’আ...