সাহাবায়ে কেরাম রা. বিশ্বাসঘাতকতা করে বেঈমান হয়ে গিয়েছিলেন! হেযবুত তওহীদ। পর্ব–৪৪
সাহাবায়ে কেরাম রা. বিশ্বাসঘাতকতা করে বেঈমান হয়ে গিয়েছিলেন! হেযবুত তওহীদ। পর্ব–৪৪
সাহাবায়ে কেরাম রা. ছিলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সবচে প্রিয়জন। যাঁরা তাঁদের জান, মাল, সময় সবকিছু উৎসর্গ করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে প্রোটেক্ট করতেন। যখন যে হুকুম আসতো সাথে সাথেই পালন করার জন্য প্রতিযেগীতা করতেন৷ কোনও একজন সাহাবী নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা তো দূরের কথা, তাঁর ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র হুকুমের অবাধ্যতা করেননি। হেযবুত তওহীদ কী বলে? তাদের দাবী হলো, সাহাবায়ে কেরাম রা. নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দেওয়া দায়িত্ব ভুলে গিয়েছিলেন এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন। এ ছাড়াও তারা বেশ অনেক শব্দে সাহাবায়ে কেরাম রা.-এর সমালোচনা করেছে। নিন্মে উল্লেখ্য করা হলো– ক. এক. সাহাবায় কেরাম রা. নবীজি সা.-এর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন! (অর্ধেক পৃথিবীতে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা হওয়ার) পর ঘটল এক মহা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ঐ জাতি হঠাৎ তার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ভুলে গেল। ভুলে গেল তার জন্ম হয়েছে কেন, ভুলে গেল তাকে গঠন কেন করা হয়েছিল, ভুলে গেল আল্লাহ রাসুল স্বয়ং প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে পৃথিবীতে সবচেয়ে দুর্ধর্ষ যোদ্ধা জাতিতে কেন পরিণত করেছিলেন। জাতি ভুলে গেল যে কাজের জন্য তাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে, গঠন করা হয়েছে, প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে সেই কাজ ছেড়ে দেওয়া আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা। কিন্তু জাতির লোকদের আকিদা অর্থাৎ উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্বন্ধে ধারণা বিকৃত হয়ে যাওয়ায় জাতি তাই করল, আল্লাহ দীন সমস্ত পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠার জেহাদ অর্থাৎ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সংগ্রাম ত্যাগ করল এবং ত্যাগ করে অন্যান্য রাজা-বাদশারা যেমন রাজত্ব করে তেমনি শান শওকতের সঙ্গে তাদের মতই রাজত্ব করতে শুরু করল। এই সর্বনাশা কাজের অর্থ কি, পরিণতী কী তারা উপলব্ধি করতে পারলেন না। –ইসলামের প্রকৃত রূপরেখা, পৃ. ৭-৮ দুই. সাহাবায়ে কেরাম রা. জাহেলিয়্যাত ফিরিয়ে এনেছিলেন! আল্লাহর রসুল বিদায় নেওয়ার কিছুদিন না যেতেই আরবরা এই কথাটি ভুলে গেল। তারা আবারো পূর্বের সেই জাহেলিয়াতের মূল্যবোধ, কৃষ্টি-সংস্কৃতি ফিরিয়ে নিয়ে এল। –ধর্মব্যবসার ফাঁদে, পৃ. ১২০; (পিডিএফ পৃ. ১৪৬ রাসুল চোলে যাওয়ার পরে জাতির খলিফাগণ এ উম্মাহর হাল ধোরলেন। তখন তারাই হোলেন জাতির এমাম। এই খেলাফতের ধারাবাহিকতার সূত্র কখনো ছিন্ন হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তা-ই হোল। ৩০ বছরের মধ্যে জাতির আকীদায় বিকৃতি প্রবেশ করায় ইসলামের প্রকৃত খেলাফত লুপ্ত হোয়ে গেল। জন্ম হোল রাজতন্ত্রের। এ জাতির নেতারা সাম্রাজ্য বিস্তার ও পাশবিক ভোগবিলাসে লিপ্ত হোয়ে জাহিলিয়াতে রাজা-বাদশাদের মতো জীবন যাপন কোরতে লাগল। সেই থেকে গত ১৩০০ বছরে জাতি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বহীন। –এ জাতির পায়ে লুটিয়ে পড়বে বিশ্ব, পৃ. ৩৮ তিন. সাহাবাদের রা. জন্য মানবজাতী মুসলমান হতে পারেনি! শেষ নবী (দঃ) সমগ্র মানব জাতির জন্য প্রেরিত হোয়েছেন অর্থাৎ তাঁর নবুয়্যত সমস্ত পৃথিবী পরিব্যপ্ত। তার উম্মাহর ব্যর্থতার জন্য তাঁর নবুওয়াত সমস্ত মানবজাতিকে এর অন্তর্ভুক্ত কোরতে পারে নি। যদিও সেটাই ছিলো উম্মতে মোহাম্মদীর উপর অর্পিত সর্বপ্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ দায়িত্ব। –শোষণের হাতিয়ার, পৃ. ৫৮ চার. পৃথিবীর সকল অন্যায় ও রক্তপাতের জন্য সাহাবারা দায়ি! তখন যদি তারা না থামতেন তবে সমস্ত পৃথিবীতে দ্বীন প্রতিষ্ঠা হবে মানবজাতির জীবন থেকে সমস্ত অন্যায় অবিচার অশান্তি রক্তপাত বন্ধ হয়ে শান্তি ও নিরাপত্তায় ভরপুর হয়ে যেতো। তাদের ওই থেমে যাওয়ার ফলে মানবজাতির মধ্যে যত অশান্তি, অন্যায়, অবিচার, যুদ্ধ, রক্তপাত হয়েছে, হচ্ছে ও হবে তার জন্য দায়ী তারা যারা নবীর ঐ প্রকৃত সুন্নাহ পরিত্যাগ করেছিলেন। –আকিদা, পৃ. ১৯ পাঁচ. সাহাবায়ে কেরাম রা. বেঈমান হয়ে গিয়েছিলেন! দুর্ভাগ্যবশত বিশ্বনবীর ওফাতের ৬০/৭০ বছর পর ইবলিস এই উম্মাহর আকিদায় বিকৃতি ঢুকিয়ে দিতে সমর্থ হলো। যার ফলে এই জাতি আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ ও ঐ ৫ দফা কর্মসূচী দু'টোই ত্যাগ করে ইসলাম ও উম্মতে মোহাম্মদীর দু'টো থেকেই বহিষ্কৃত হয়ে গেল। –এসলামের প্রকৃত রুপরেখা, পৃ. ৪৮ কাজেই এই জাতির পথভ্রষ্ট লোকেরা যখন নীতি হিসেবে জেহাদ ত্যাগ করলেন, তখন তারা বুঝলেন না যে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের দৃষ্টিতে আর তারা মোমেন রইলেন না। –ইসলামের প্রকৃত রূপরেখা, পৃ. -৮-৯ উপরিউক্ত বক্তব্যে হেযবুত তওহীদ সাহাবায়ে কেরাম রা.-কে নিয়ে কয়েকটা মন্তব্য করেছে। যথা– এক. সাহাবায়ে কেরাম রা. নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন। দুই. সাহাবায়ে কেরাম রা. জাহেলিয়্যাত ফিরিয়ে এনেছিলেন! তিস. সাহাবাদের রা. জন্য মানবজাতী মুসলমান হতে পারেনি! চার. পৃথিবীর সকল অন্যায় ও রক্তপাতের জন্য সাহাবারা দায়ি! পাঁচ. সাহাবায়ে কেরাম রা. বেঈমান হয়ে গিয়েছিলেন! এই সকল অভিযোগের কারণ হিশাবে তারা দেখিয়েছে যে, সাহাবারা নাকি নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শেখানো যুদ্ধ ছেড়ে দিয়েছিলেন। ইসলাম কী বলে? প্রিয় পাঠক, ‘সাহাবায়ে কেরাম রা. নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শেখানো জিহাদ ছেড়ে দিয়েছিলেন’ এমন দাবী সর্বৈব মিথ্যাচার। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনও ঐতিহাসিক এমন অভিযোগ করেননি, বরং দ্বীনের জন্য যখন যে-সব বিধান সাহাবায়ে কেরাম রা.-এর সামনে এসেছে, তাঁরা সাথে সাথেই অকপটে আঞ্জাম দিয়েছেন। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইন্তেকালের পরেও সাহাবায়ে কেরাম রা. নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে দেশ থেকে দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়েছিলেন। যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হলে জানবাজি রেখে ঝাপিয়ে পড়েছেন। যা ইতিহাসের পাতায় আজও স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ। সাহাবায়ে কেরাম রা.-এর অবদান তো বর্ণনাতীত। নিন্মে শুধু একজন তাবেয়ীর অবদান তুলে ধরছি। আশা করি এতেই অনুমেয় হবে যে, দীনের জন্য সাহাবাদের অবদান কত বেশি হতে পারে! ইয়াকুত আল-হামাওয়ী রহি. ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন –আফ্রীকা অঞ্চলে বিজয় করার জন্য হযরত উকবা ইবনে নাফে আল ফিহরী রা.-কে সেনাপ্রধান হিশাবে যখন পাঠানো হয়, সে সময় তাঁর নেতৃত্বে ১০,০০০ মুসলমান সেনাবাহিনী দামেস্ক থেকে রওনা হয়ে বাইজেন্টাইন আফ্রিকার দিকে অগ্রসর হয়। এই বাহিনী মিশরীয় মরুভূমি অতিক্রম করেন এবং বর্তমানে উত্তর-মধ্য তিউনিসিয়ায় অবস্থিত একটি শহর ‘কাইরোয়ান’ নামক স্থানে নিয়মিত বিরতিতে সামরিক ছাউনি স্থাপন করেন। তারিখের কিতাবে ঘটনাটি বিস্তারিত এসেছে এভাবে– فجاؤوا إلى موضع القيروان وهي في طرف البرّ وهي اجَمَة عظيمة وغَيْضَة لا يشقها الحيّات من تشابك أشجارها তারা ‘কাইরোয়ান’ নামক স্থানে এসে পৌঁছালেন, যা মরুভূমিরপ্রান্তে অবস্থিত এবং একটি বিশাল ঝোপঝাড় এবং বনজঙ্গল এলাকা ছিলো। (এত গহীন জঙ্গল ছিল যে) জঙ্গলের ঘনত্বের কারণে কোনও সাপও তা ভেদ করতে পারতো না। সেখানে পৌঁছে হযরত উকবা বিন নাফে রহি. বললেন, إنما اخترت هذا الموضع لبعده من البحر لئلا تطرقها مراكب الروم فتهلكها وهي في وسط البلاد ثم أمر أصحابه بالبناء সমুদ্র থেকে এ জায়গাটি দূরত্বের কারণে আমি এই স্থানটি বেছে নিয়েছি, যাতে রোমান জাহাজগুলো এখানে আক্রমণ করে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে না পারে। কারণ, এটি দেশের মাঝখানে অবস্থিত। অতঃপর তিনি তাঁর সৈন্যদেরকে নির্মাণের নির্দেশ দিলেন। অতঃপর সৈন্যরা বললেন, فقالوا: هذه غياض كثيرة السباع والهوام فنخاف على أنفسنا هنا এটা অনেক হিংস্র প্রাণী এবং বন্য প্রাণী ভরা ঝোপঝাড়, তাই আমরা এখানে নিজেদের প্রাণভয় পাচ্ছি। وكان عقبة مستجاب الدعوة فجمع من كان في عسكره من الصحابة وكانوا ثمانية عشر কিন্তু উকবা রহি. ছিলেন ‘মুস্তাজাবুদ দাওয়াহ’ (যাঁর দুআ কবুল হয়) ফলে তিনি তার সেনাবাহিনীতে থাকা আঠারোজন সাহাবীকে একত্রিত করলেন এবং বন্যপ্রাণীদের উদ্দেশ্য করে ভাষণ দিলেন, أيتها الحشرات والسباع نحن أصحاب رسول الله، صلّى الله عليه وسلّم، فارحلوا عنّا فإنّا نازلون فمن وجدناه بعد قتلناه، হে অরণ্যে বিচ্ছিন্নভাবে বিচরণকারী হিংস্র, হে জন্তুকূল, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাহাবা। তোমরা আমাদের কাছ থেকে দূরে চলে যাও। আমরা এখানে অবতরণ করবো। (শুনে রাখো,) এ ঘোষণার পর আমরা যাকে এখানে পাবো, তাকে হত্যা করবো। فنظر الناس يومئذ إلى أمر هائل، كان السبع يحمل أشباله والذئب يحمل أجراءه والحيّة تحمل أولادها وهم خارجون أسرابا أسرابا فحمل ذلك كثيرا من البربر على الإسلام সেদিন মানুষ এক ভয়াবহ ঘটনা দেখতে পেয়েছিলো যে, সিংহ তার শাবকদের বহন করে, নেকড়ে তার ছানাদের নিয়ে, সাপ তার বাচ্চাদের বহন করে সবাই ঝাঁকে ঝাঁকে বেরিয়ে যাচ্ছিলো। এর ফলে অনেক ’বারবার’ অধীবাসীরা ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। –মু'জামুল বুলদান, খ. ৪ পৃ. ৩২০-৪২১ হযরত উকবা ইবনে নাফি গোটা মরক্কো জয় করে আটলান্টিক মহাসাগর তীরের বার্লিয়ান নামক স্থানে পৌঁছে অত্যন্ত অনুতাপের সাথে বলেছিলেন, يا رب ، لولا هذا البحر لمضيت في البلاد مجاهدا في سبيلك হে রব্ব, আমার সামনে যদি সাগর না থাকতো, তাহলে আমি তোমার পথে তাওহীদের দাওয়াত পৌঁছানোর জন্য যুদ্ধ করতে করতে বিজয়ী বেশে এই দেশের প্রান্ত সীমায় উপনীত হয়ে যেতাম। –আল-কামেল, খ. ৩ পৃ. ৪৫১ এ ঘটনা খোদ হেযবুত তওহীদও স্বীকার করে লিখেছে– উম্মতে মোহাম্মদীর মুজাহিদ বাহিনী শেষ ইসলাম পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠা করতে করতে আফ্রিকা মহাদেশের পশ্চিম উপকূলে যখন যেয়ে পৌঁছলেন তখন তারা দেখলেন তাদের সম্মুখে মহাসমুদ্র, আর সামনে এগোবার পথ নেই। তখন নেতার (দ.) ও উম্মাহর উদ্দেশ্য সাধনে নিবেদিত প্রাণ সেনাপতি উকবা বিন না’ফে আটলান্টিক মহাসমুদ্রে তার ঘোড়া নামিয়ে দিলেন এবং যতদূর পর্যন্ত ঘোড়ার পায়ের নীচে মাটি পাওয়া গেল ততদূর এগিয়ে গেলেন এবং তারপর আসমানের দিকে দু'হাত তুলে বললেন- ইয়া আল্লাহ! এই মহাসমুদ্র বাধা না দিলে আমরা তোমার রাস্তায় আরও সম্মুখে অগ্রসর হতাম। –শ্রেনিহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম, পৃ. ১৪৫ তাছাড়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে ব্যার্থ প্রমাণ করতে গিয়ে হেযবুত তওহীদ লিখেছে, তার সৃষ্ট জাতি কিন্তু ভুলে গেলেন না যে তাদের নেতার দায়িত্ব শেষ হয়নি, তার উপর আল্লাহ দেয়া দায়িত্ব হচ্ছে সমস্ত পৃথিবীতেই দ্বীন প্রতিষ্ঠা করা। –শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম, পৃ. ১১৭ এমনকি তারা ‘একমাত্র জিহাদই নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নাত’ এ কথা প্রমাণ করতে গিয়ে লিখেছে, স্ত্রী-পুত্র পরিবার ত্যাগ কোরে, বাড়ি-ঘর সহায়-সম্পত্তি, ব্যবসা-বাণিজ্য ত্যাগ কোরে অর্ধাহারে-অনাহারে থেকে, নির্মম অত্যাচার সহ্য কোরে, অভিযানে বের হোয়ে গাছের পাতা খেয়ে জীবন ধারণ করে এবং শেষ পর্যন্ত যুদ্ধক্ষেত্রে জীবন বিসর্জন দিয়ে। এই হোল তার উম্মাহ, উম্মতে মোহাম্মদী তার প্রকৃত সুন্নাহ পালনকারী জাতি। –এ জাতির পায়ে লুটিয়ে পড়বে বিশ্ব, পৃ. ৭৫ প্রতিটি সাহাবা তাদের পার্থিব সবকিছু কোরবান করে স্ত্রী-পুত্রকে আল্লাহর হাতে সঁপে দিয়ে বছরের পর বছর আরব থেকে বহুদূরে অজানা-অচেনা দেশের সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। –বিকৃত সুফিবাদ, পৃ. ৪৮ জাতির (সাহাবাদের) প্রতিটি মানুষের জীবনের লক্ষ্য ছিল সর্বাত্মক সংগ্রামের মাধ্যমে আল্লাহর সত্যদীন সমগ্র পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করা। –এ জাতির পায়ে লুটিয়ে পড়বে বিশ্ব, পৃ. ৭১ প্রিয় পাঠক, হেযবুত তওহীদের এসকল বক্তব্য থেকে বোঝা গেলো–তারা এটা ঠিকই জানে যে, সাহাবায়ে কেরাম রা. নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শেখানো কোনও লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ভোলেননি এবং প্রয়োজনের সময় জিহাদকেও ছেড়ে দেননি। অথচ মিথ্যা একটি উদ্ভট দাবী তুলে সাহাবায়ে কেরাম রা.-কে বিশ্বাসঘাতক, বেঈমান, জাহালাত পুনরুদ্ধারকারী, সাহাবাদের রা. জন্য মানবজাতি মুসলিম হতে পারেননি, পৃথিবীর সকল রক্তপাত ও অন্যায়ের জন্য সাহাবাদেরকে দায়ি করা নিছক শয়তানী চেতনা ও দাজ্জালীয় সভ্যতা।