প্রবন্ধ
পুরো দুনিয়ায় খেলাফত কায়েম হলে হজ্ব করতে হয়! হেযবুত তওহীদ। পর্ব–৮৫
হজ্ব ফরজ হওয়ার জন্য সামর্থবান হওয়া শর্ত। এ ক্ষেত্রে দুনিয়াময় খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হোক বা না হোক।
হেযবুত তওহীদ কী বলে?
হেযবুত তওহীদের ২ য় এমাম হুসাইন সেলিম একটি ভিডিওতে বলেছে–যেদিন সবাই তাওহীদের ডাকে সাড়া দেবে, সেদিন সে হজ্ব করবে।
ইসলাম কী বলে?
এক. হাদিস শরীফে এসেছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রা. থেকে বর্ণিত,
جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا يُوجِبُ الْحَجَّ قَالَ الزَّادُ وَالرَّاحِلَةُ
এক ব্যক্তি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, কিসে হজ্জ ফরয হয়? তিনি বললেন, পাথেয় ও বাহন যোগাড়ে সক্ষম হলে। –জামে তিরমিযি, হাদিস নং : ৮১৩
উক্ত হাদিস বর্ণনার পর ইমাম তিরমিযি রহি. বলেন,
وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا مَلَكَ زَادًا وَرَاحِلَةً وَجَبَ عَلَيْهِ الْحَجُّ
আলেমগণ এতদনুসারে আমল করেছেন। তাঁরা বলেন, কোনো ব্যক্তি যখন পাথেয় ও বাহন যোগাড়ে সক্ষম হয় তখন তার উপর হজ্জ ফরয হয়।
সুতরাং পাথেয় ও বাহনের ব্যবস্থায় রয়েছে, এমন প্রাপ্তবয়স্ক,স্বাধীন, সুস্থ মুসলিমের জন্য হজ্ব আত্যাবশ্যকীয় একটি আমল। এক কথায় সামর্থ থাকা শর্ত, পুরো দুনিয়া শিরক মুক্ত হওয়া শর্ত নয়। যা আমরা কুরআন-হাদিস থেকে উপরে প্রমাণ পেলাম। এরপরও বিশ্ববাসীর শিরক পরিহার করার অপেক্ষা করা বা শর্তারোপ করা চরম মুর্খতা ও ইসলামের নামে চরম অপব্যখ্যা।
দুই. হাদিসে এ কথা সুস্পষ্টভাবে বলা আছে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইন্তেকালের আগেই হজ্ব করেছেন। কিন্তু সে সময় কি পুরোবিশ্ববাসী কালেমার ছায়াতলে এসেছিলো? নিশ্চয় না। যা হেযবুত তওহীদও তাদের বইয়ে লিখেছে,
এই বিশাল দায়িত্ব পৃথিবীময় এই শেষ জীবন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা এক জীবনে অসম্ভব। বিশ্বনবী (সা.) তাঁর নবীজীবনের তেইশ বছরে সমস্ত আরব উপদ্বীপে এই শেষ জীবনবিধান প্রতিষ্ঠা করলেন- ইসলামের শেষ সংস্করণ মানব জীবনের একটি অংশে প্রতিষ্ঠিত হলো। কিন্তু তাঁর দায়িত্ব সমস্ত পৃথিবী, সম্পূর্ণ মানব জাতি। এর আগে কোনো নবীর উপর সম্পূর্ণ মানব জাতির দায়িত্ব অর্পিত হয়নি। যতদিন সম্পূর্ণ মানব জাতির উপর এই শেষ জীবনবিধান জাতীয়ভাবে প্রতিষ্ঠা না হবে ততদিন মানুষ জাতি আজকের মতই অশান্তি, যুদ্ধবিগ্রহ, অবিচারের মধ্যে ডুবে থাকবে- শান্তি, ইসলাম আসবে না। -বিকৃত সুফিবাদ : পৃ. ৯
তাহলে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে বিশ্বাবাসীর জন্য অপেক্ষা না করেই হজ্ব করলেন, কিন্তু মহামান্য(?) এমামুযযামান সেলিম সাহেব পারছে না। এটা কি তার মুর্খতা নাকি ইসলামী বিধানের ব্যাপারে চরম অবজ্ঞা? সেটা পাঠক আপনারই ডিসাইড করুন।
মন্তব্য (...)
এ সম্পর্কিত আরও প্রবন্ধ
“আহলে কুরআন” নামের ভ্রান্ত দল সম্পর্কে সতর্কতা!
...
সত্য ইমাম মাহদী ও ভণ্ড ইমাম মাহদী [১ম পর্ব]
...
کمیونزم نہیں، اسلام
نام نہاد کمیونزم میں جس قدر مسکین نوازی ہے اس سے کہیں زیادہ امام ولی اللہ رحمہ اللہ تعالٰی کے فلسفے ...
খৃষ্টধর্ম না পৌলবাদ (৩য় পর্ব)
মানুষ যাতে তাঁকে নিয়ে বাড়াবাড়ির স্বীকার না হয় সেজন্য তিনি নিজেও নিজের প্রকৃত অবস্থা স্পষ্ট করে দ...
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন