দু‘আ-১৫

رَبِّ اجْعَلْنِیْ مُقِیْمَ الصَّلٰوةِ وَ مِنْ ذُرِّیَّتِیْ ۖۗ رَبَّنَا وَ تَقَبَّلْ دُعَآءِ۴۰
উচ্চারণঃ রাব্বিজ ‘আলনী মুকীমাসসালা-তি ওয়া মিন যুররিইইয়াতী রাব্বানা-ওয়া তাকাব্বাল দু‘আই।
অর্থঃ হে আমার পরওয়ারদেগার! আমাকে ও আমার বংশধরকে ভালো নামাযী বানান। হে আমাদের পালনকর্তা! আমার দু‘আ কবুল করুন।১৭
উৎসঃ -সূরা ইবরাহীম : ৪০
উপকারিতাঃ
করেছে। اجْعَلْنِیْ مُقِیْمَ الصَّلٰوةِ مُقِیْمَ الصَّلٰوةِ কাম্য। الصَّلٰوةِ করবে। وَ مِنْ ذُرِّیَّتِیْ
১৭. এ দু‘আ উচ্চারিত হয়েছিল আল্লাহর খলীল ইবরাহীম আ.-এর যবানে। অতঃপর কুরআন একে দলিল ও দৃষ্টান্ত বানিয়ে কিয়ামত পর্যন্ত সকল হকপন্থীর জন্য বর্ণনা করেছে। اجْعَلْنِیْ (ভালো নামাযী বানান)। আল্লাহর খলীল ইবরাহীম আ.-এর মতো মাকবুল বান্দা যখন ভালো নামাযী হওয়ার প্রার্থনা করছেন, তখন সহজেই বোঝা যায়, আল্লাহর দরবারে নামাযের গুরুত্ব কত বেশি। মুকীম শব্দটি ইশারা করছে, নামায শুধু কোনোভাবে পড়া নয়, নামাযের সব শর্ত ও রোকন উত্তমরূপে আদায় করা কাম্য। الصَّلٰوةِ এ দু‘আ থেকে বোঝা যায়, যে ব্যক্তি নামাযের বিষয়ে যত্নবান হবে, সে আল্লাহর অন্যান্য হকও আদায় করবে। وَ এ থেকে বোঝা যায়, যা নিজের জন্য প্রয়োজন, তা সন্তানের জন্যও প্রার্থনা করা নবীগণের সুন্নত ও তরীকা।