মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني

বিবাহ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২৮৭ টি

হাদীস নং: ২৪১
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : স্ত্রীর পায়ুদেশে সম্ভোগ করা হারাম আর তার পিছন দিক থেকে তাদের যৌনাংগে সম্ভোগ করা জায়েয।
২৪১। হাম্মাম (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কাতাদা (র)কে যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর পায়ুদেশে সম্ভোগ করে তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল! কাতাদা (র) বললেন, আমর (র) আমাদেরকে তাঁর পিতা শুআয়ব (র) থেকে এবং তিনি তাঁর দাদা আব্দুল্লাহ ইবন আমর ইবন আস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, নবী (ﷺ) বলেছেন, তা ছোট সমকামিতা।
কাতাদা (রা) বলেন, আর আমাকে ইবন ওয়াসসাজ (র) আবূ দারদা (রা) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, একমাত্র কাফেরই একাজ করে।
(নাসাঈ, মুনযিরী, তারগীব তারহীবে হাদীসটিকে উল্লেখ করে বলেছেন, আহমদ এবং বাযযার হাদীসটিকে বর্ণনা করেছেন। তাঁদের বর্ণনাকারীগণ সহীহের বর্ণনাকারী। হাদীসটিতে আবূ দারদা (রা)-এর যে হাদীসের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে বায়হাকীও সেটিকে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب النكاح
باب النهى عن إيتان المرأة فى دبرها- وجواز التجبيب وهو اتياتها من دبرها فى قبلها
عن همام (1) قال سئل قتادة عن الذى يأتى امرأته فى دبرها؟ فقال قتادة حدثنا عمرو بن شعيب عن أبيه عن جده ان النبى صلى الله عليه وسلم قال هى اللوطية الصغرى, قال قتادة وحدثنى ابن وساج (2) عن أبى الدرداء قال وهل يفعل ذلك الا كافر
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪২
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ স্বামী-স্ত্রীর হক এবং পারস্পরিক সম্প্রীতি রক্ষা সংক্রান্ত পরিচ্ছেদসমূহ

পরিচ্ছেদ: স্বামী-স্ত্রীর সার্বিক হক।
২৪২। আবূ হুররা রাকাশীর চাচা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি যিলহজ্জ মাসের বারো তারিখ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উটনীর লাগাম ধরে ছিলাম (তিনি দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করেন।) আর তাতে আছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের সাহচর্যে আল্লাহ ভয় করবে, কেননা তারা তোমাদের কাছে বন্দিনী, তাদের কোন কর্তৃত্ব নেই। তাদের জন্য তোমাদের উপর দু'টি হক আছে এবং তোমাদের জন্য তাদের উপর দু'টি হক আছে। তারা তোমাদের ছাড়া অন্য কাউকে তোমাদর বিছানা ব্যবহার করতে দিবে না। আর তোমরা যাকে অপছন্দ কর তারা তাকে তোমাদের ঘরে প্রবেশ করার অনুমতি দিবে না। যদি তোমরা তাদের অবাধ্যতার ভয় কর তাহলে তাদেরকে হিতোপদেশ দিবে, শয়নক্ষেত্রে তাদের এড়িয়ে চলবে, তাদেরকে যখম না হয় এবং হাড় ভেঙ্গে না যায় এমন লঘু মার দিবে। আর তাদেরকে সমাজ প্রথা অনুযায়ী খোর পোষ দিবে। তোমরা তাদেরকে আল্লাহর আমানত রূপে গ্রহণ করেছ, আর তাদের লজ্জা স্থানকে আল্লাহ তা'আলার ইরশাদ দ্বারা হালাল করেছ।আল্লাহ তা'আলার ইরশাদ:
فَانْكِحُوا مَا طَابَ لَكُمْ مِنَ النِّسَاءِ مَثْنَى وَثُلَثَ وَرُبَعَ .
(তবে তোমরা বিয়ে করবে যাকে তোমাদের পছন্দ হয়। নারীদের মধ্যে দু'টি তিনটি কিংবা চারটি।" সূরা নিসা: ৩)
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আমি হাদীসটিকে এ বর্ণনা সূত্রে ইমাম আহমদ ছাড়া অন্য কারও নিকট অবগত হইনি। এর সনদ উত্তম। আবূ দাউদ, নাসাঈ এবং ইবন মাজাহ আমর ইবন আহওয়াছ (রা) থেকে এর সমর্থক হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর তিরমিযী বলেছেন, এটি সহীহ হাদীস। মুসলিম এবং আবু দাউদ ও নবী (ﷺ)-এর হজ্জের বিধানে জাবির (রা) থেকে এর সমর্থক হাদীস বর্ণনা করেছেন।)
كتاب النكاح
أبواب حقوق الزوجين واحسان العشرة

باب جامع لحقوق الزوجين
عن ابى حرة الرقاشى (3) عن عمه (4) قال كنت آخذا بزمام ناقة رسول الله صلى الله عليه وسلم فى أوسط (5) أيام التشريق (فذكر حديثا طويلا) (6) وفيه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال فاتقوا الله فى النساء فانهن عندكم عوان (7) لا يملكن لانفسهن شيئا, وإن لهن عليكم ولكم عليهن حقان, لا يوطئن فراشكم احدا غيركم. ولا يأذن فى بيوتكم لأحد تكرهونه (8) , فان خفتم نشوزهن (9) فعظوهن واهجروهن فى المضاجع واضربوهن ضربا غير نبرِّح (10) قال حميد قلت للحسن ما المبرح؟ قال المؤثر, ولهن رزقهن وكسوتهن بالمعروف (11) وإنما أخذتموهن بامانة الله (1) واستحللتم فروجهن بكلمة الله (2) عز وجل
হাদীস নং: ২৪৩
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্ত্রীর উপর স্বামীর হক।
২৪৩। আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কোন মহিলা তার স্বামীর উপস্থিত থাকাকালীণ তার অনুমতি ছাড়া রোযা রাখবে না। তার স্বামীর উপস্থিত থাকাকালীন তার অনুমতি ছাড়া কাউকে তার ঘরে প্রবেশ করার অনুমতি দিবে না। যদি সে তার স্বামীর কামাই থেকে তার আদেশ ছাড়া সদকা করে তাহলে তার সওয়াবের অর্ধেক তার স্বামী পাবে।
(বুখারী, মুসলিম, বায়হাকী এবং অন্যরা)
كتاب النكاح
باب حق الزوج على الزوجة
عن أبى هريرة (3) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تصوم المرأة وبعلها شاهد (4) الا باذنه, ولا تأذن فى بيته وهو شاهد الا بأذنه (5) , وما أنفقت من كسبه (6) من غير أمره فإن نصف أجره له
হাদীস নং: ২৪৪
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্ত্রীর উপর স্বামীর হক।
২৪৪। এ হাদীসটিও তাঁর থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তার বিছানায় ডাকে আর সে তার বিছানায় আসতে অস্বীকার করে, আর সে তার উপর রাগান্বিত হয়ে রাত যাপন করে তাহলে ফেরেশতাগণ (আ) তার উপর তার স্বামীর ভোর যাপন করা পর্যন্ত লা'নত করে।
(আর তাঁর থেকে দ্বিতীয় এক বর্ণনাসূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে) নবী (ﷺ) বলেছেন, যদি কোন মহিলা তার স্বামীর বিছানা ত্যাগ করা অবস্থায় রাত যাপন করে তাহলে ফেরেশতাগণ (আ) তাকে তার বিছানায় ফিরে না আসা পর্যন্ত লা'নত করে।
(বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ, বায়হাকী)
كتاب النكاح
باب حق الزوج على الزوجة
وعنه أيضا (8) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا دعا الرجل امرأته الى فراشه فأبت عليه فبات وهو غضبان (وفى لفظ وهو عليها ساخط) لعنتها الملائكة حتى يصبح (وعنه من طريق ثان) (9) عن النبى صلى الله عليه وسلم قال اذا باتت المرأة هاجرة فراش زوجها باتت تلعنها الملائكة حتى ترجع
হাদীস নং: ২৪৫
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্ত্রীর উপর স্বামীর হক।
২৪৫। আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদল মুহাজির এবং আনসার সাহাবীগণ (রা)-এর মাঝে ছিলেন। একটি উট এসে তাঁকে সিজদা করল। তাঁর সাহাবীগণ (রা) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, পশু এবং বৃক্ষ আপনাকে সিজদা করে। অতএব আমরা আপনাকে সিজদা করার অধিকতর হকদার। তিনি বললেন, তোমরা একমাত্র তোমাদের প্রভুর ইবাদত করবে, আর তোমাদের ধর্মীয় ভাই অর্থাৎ নবী (ﷺ)কে অনুসরণ করে সম্মান করবে। যদি আমি কাউকে অন্য কারও সিজদা করার আদেশ করতাম তাহলে স্ত্রীকে আদেশ করতাম, যেন স্বামীকে সিজদা করে। যদি স্বামী তার স্ত্রীকে হলুদ পাহাড় থেকে কালো পাহাড়ে আর কালো পাহাড় থেকে সাদা পাহাড়ে পাথর স্থানান্তরিত করার আদেশ করত তাহলে তার তা করা অবশ্য কর্তব্য হত।
(ইবন মাজাহ। হাদীসটির সনদে আলী ইবন যায়দ ইবন জুদআ’ন আছেন। হাফিয ইবন হাজর "তাকরীবে" তাঁকে দূর্বল বর্ণনাকারী বলেছেন। এর অন্য বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب النكاح
باب حق الزوج على الزوجة
عن عائشة رضى الله عنها (10) ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان فى نفر من المهاجرين والأنصار فجاء بعير فسجد له (11) فقال أصحابه يا رسول الله تسجد لك البهائم والشجر فنحن أحق أن نسجد لك فقال اعبدوا ربكم (12) وأكرموا أخاكم, ولو كنت آمر أحدا أن يسجد لأحد لأمرت المرأة أن تسجد لزوجها, ولو أمرها أن تنقل من جبل (1) أصفر الى جبل أسود ومن جبل أسود الى جبل أبيض كان ينبغى لها أن تفعله
হাদীস নং: ২৪৬
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্ত্রীর উপর স্বামীর হক।
২৪৬। আবূ যবইয়ান (র) মুয়ায ইবন জাবাল (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি যখন ইয়ামেন থেকে ফিরে আসলেন তখন বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমি ইয়ামেনে কিছু লোককে দেখেছি যে, তাদের একে অপরকে সিজদা করে। আমরা কি আপনাকে সিজদা করব? তিনি বললেন, যদি আমি কোন মানুষকে অন্য মানুষের সিজদা করতে আদেশ করতাম তাহলে স্ত্রীকে তার স্বামীকে সিজদা করতে আদেশ করতাম।
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আমি ইমাম আহমদ ছাড়া অন্য কারও নিকট হাদীসটি মুয়ায ইবন জাবাল (রা) থেকে এই শব্দে বর্ণিত হওয়া সম্পর্কে অবগত হইনি। তাঁর বর্ণনাকারীগণ সহীহ বুখারী এবং সহীহ মুসলিমের বর্ণনাকারী। আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) আব্দুল্লাহ ইবন আবু আউফা (রা), তাল্ক ইবন আলী (রা), আনাস (রা), উম্মু সালামা (রা) এবং অন্য সাহাবীগণ (রা) থেকে হাদীসটি অনেক বর্ণনা সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। এই কিতাবে পূর্বে এর কিছু উল্লেখ হয়েছে এবং পরবর্তীতে আরও কিছু আসবে।)
كتاب النكاح
باب حق الزوج على الزوجة
عن أبى ظبيان (2) عن معاذ بن جبل أنه لما رجع من اليمن قال يا رسول الله رأيت رجالا باليمن يسجد بعضهم لبعض أفلا نسجد لك؟ قال لو كنت آمر بشرا يسجد لبشر لأمرت المرأة أن تسجد لزوجها
হাদীস নং: ২৪৭
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্ত্রীর উপর স্বামীর হক।
২৪৭। আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কোন ব্যক্তির জন্য অন্য ব্যক্তিকে সিজদা করা অনুচিত। যদি কোন ব্যক্তির জন্য অন্য ব্যক্তিকে সিজদা করা উচিত হত তাহলে আমি স্ত্রীকে তার স্বামীকে সিজদা করতে আদেশ করতাম, তার উপর তার বিরাট হকের কারণে। যার হাতে আমার জীবন তার শপথ, যদি তার পা হতে তার মাথার চুলের সিঁথি পর্যন্ত ক্ষত থেকে পুঁজ প্রবাহিত হয়। অতঃপর সে তার মুখোমুখি হয়ে জিহ্বা দিয়ে তা চাটে তাহলেও তার হক আদায় করতে পারবে না।
(হাফিয মুনযিরী "তারগীব তারহীবে" সম্পূর্ণ হাদীসটিকে উল্লেখ করে বলেছেন, ইমাম আহমদের বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য, বিখ্যাত। বাযযার এর সমর্থক হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর নাসাঈ সুনানে এবং ইবন হিব্বান সহীহে আবূ হুরায়রা (রা) থেকে এর সমর্থক সংক্ষিপ্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন।)
كتاب النكاح
باب حق الزوج على الزوجة
عن أنس بن مالك (3) ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا يصلح لبشر ان يسجد لبشر ولو صلح لبشر أن يسجد لبشر لأمرت المرأة أن تسجد لزوجها من عظم حقه عليها, والذى نفسى بيده لو كان من قدمه الى مفرق رأسه قرحة (4) تنبجس بالقيح (5) والصديد ثم استقبلته فلحسته ما أدت حقه
হাদীস নং: ২৪৮
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্ত্রীর উপর স্বামীর হক।
২৪৮। আব্দুল্লাহ ইবন আবূ আওফা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মু'য়ায (রা) ইয়ামেন বা সিরিয়ায় আগমন করলেন। তিনি খ্রীষ্টানদেরকে তাদের সেনাপতি ও বিশপদেরকে সিজদা করতে দেখলেন। আর মনে মনে চিন্তা ভাবনা করলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সম্মান লাভে তাদের চেয়ে অধিকতর হকদার। তিনি যখন মদীনায় ফিরে আসলেন তখন বললেন, হে আল্লাহর রাসূল আমি খ্রীষ্টানদেরকে তাদের সেনাপতি এবং বিশপদেরকে সিজদা করতে দেখেছি। আর আমি মনে মনে চিন্তা করেছি আপনি সম্মান লাভে তাদের চেয়ে অধিকতর হকদার। তিনি বললেন, যদি আমি কাউকে অন্য কারও সিজদা করার আদেশ করতাম তাহলে স্ত্রীকে তার স্বামীর সিজদা করতে আদেশ করতাম। কোন মহিলা আল্লাহ তা'আলার সকল হক আদায় করতে পারে না যতক্ষণ না তার স্বামীর সকল হক আদায় করে, এমনকি যদি তার স্বামী তার সাথে সহবাস করতে চায় তার উটের উপর বসা অবস্থায় তাহলেও তার চাহিদা পূরণ করবে।
(ইবন মাজাহ, বায়হাকী। আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, হাদীসটির সনদ উত্তম।)
كتاب النكاح
باب حق الزوج على الزوجة
عن عبد الله بن أبى أوفى قال قدم معاذ اليمن او قال الشام فرأى لنصارى تسجد لبطارقتها وأساقفتها فروأ (أى فكر) فى نفسه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم احق أن يعظم فلما قدم قال يا رسول الله رأيت النصارى تسجد لبطارقتها واساقفتها فروَّأت فى نفسى أنك أحق أن تعظّم, فقال لو كنت آمر أحدا أن يسجد لأحد لأمرت المرأة أن تسجد لزوجها, ولا تؤدى المرأة حق الله عز وجل عليها كله حتى تؤدي حق زوجها عليها كله (1) حتى لو سألها نفسها (2) وهى على ظهر قتب لاعطته اياه
হাদীস নং: ২৪৯
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্ত্রীর উপর স্বামীর হক।
২৪৯। আ'য়িযুল্লাহ ইবন আব্দুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত, মু'য়ায (রা) ইয়ামানে আগমন করলেন। খাওলান গোত্রের জনৈকা মহিলা তাঁদের সাথে সাক্ষাৎ করল। তার সাথে তার বারটি ছেলে ছিল। সে তাদের পিতাকে তার বাড়ীতে রেখে এসেছে। তাদের কনিষ্ঠ ভাইয়ের দাড়ি উঠা পূর্ণ হয়েছে। সে দাঁড়িয়ে মু'য়ায (রা) কে সালাম দিল। তার দু' ছেলে তার দু'বাহু আঁকড়ে ধরে আছে। সে বলল, কে তোমাকে পাঠিয়েছে হে ব্যক্তি? মুয়ায (রা) তাকে বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে পাঠিয়েছেন। সে বলল, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে পাঠিয়েছেন? আর আপনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর দূত? হে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দূত আপনি কি আমাকে অবহিত করবেন না? মু'য়ায (রা) তাকে বললেন, আপনার যা ইচ্ছা তা আমাকে জিজ্ঞাসা করুন। সে বলল, আপনি আমাকে স্ত্রীর উপর স্বামীর কি হক তা বলুন। মু'য়ায (রা) তাকে বললেন, আপনার সাধ্য অনুযায়ী আপনি আল্লাহকে ভয় করবেন। আর তাঁর আনুগত্য করবেন। সে বলল, আমি আল্লাহর শপথ করে আপনাকে বলছি, আপনি স্ত্রীর উপর স্বামীর কি হক তা আমাকে অবহিত করুন? মুয়ায (রা) তাকে বললেন, আপনি কি আল্লাহর আনুগত্য করতে এবং তাঁকে ভয় করতে সন্তুষ্ট নন? সে বলল, নিশ্চয়ই। তবে আপনি স্ত্রীর উপর স্বামীর কি হক তা আমাকে অবহিত করুন। কেননা আমি তাদের অতিশয় বৃদ্ধ পিতাকে ঘরে রেখে এসেছি। মু'য়ায (রা) তাকে বললেন, মু'য়ায (রা)-এর জীবন যাঁর হাতে তাঁর শপথ, যদি আপনি ফিরে গিয়ে কুষ্ট রোগে তার গোস্ত এবং নাক নষ্ট করেছে আর তার নাক থেকে পুঁজ এবং রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে এরূপ অবস্থায় তাকে পান, অতঃপর আপনি হক আদায় করতে আপনার মুখ দিয়ে তা পরিস্কার করেন তবুও আপনি কখনো তার হক আদায় করতে পারবেন না।
(তাবারানী আল মু'জামুল কাবীরে। হাদীসটির সনদ উত্তম।)
كتاب النكاح
باب حق الزوج على الزوجة
عن عائذ الله بن عبد الله (4) ان معاذ قدم على اليمن فلقيته امرأة من خولان معها بنون لها اثنا عشر فتركت أباهم فى بيتها أصغرهم الذى قد اجتمعت لحيته (5) فقامت فسلمت على معاذ ورجلان من بنيها يمسكان بضبعيها (6) فقالت من أرسلك أيها الرجل؟ قال لها معاذ أرسلنى رسول الله صلى الله عليه وسلم قالت المرأة أرسلك رسول الله صلى الله عليه وسلم وأنت رسول رسول الله صلى الله عليه وسلم؟ أفلا تخبرنى يا رسول رسول الله صلى الله عليه وسلم؟ فقال لها معاذ سلينى عما شئت, قالت حدثنى ما حق المرء على زوجته؟ قال لها معاذ تتقى الله ما استطاعت وتسمع وتطيع, قالت أقسمت بالله عليك لتحدثنى ما حق الرجل على زوجته؟ قال لها معاذ أوما رضيت أن تسمعى وتطيعى وتتقى الله؟ قالت بلى ولكن حدثنى ما حق المرء على زوجته فانى تركت أبا هؤلاء شيخا كبيرا فى البيت, فقال لها معاذ والذى نفس معاذ فى يده لو أنك ترجعين اذا رجعت اليه فوجدتى الجذام قد خرق لحمه وخرق منخريه (7) فوجدت منخريه يسيلان قيحا ودماثم ألقمتيهما فاك لكيما تبلغى حقه ما بلغت ذلك أبدا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫০
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্ত্রীর উপর স্বামীর হক।
২৫০। আব্দুর রহমান ইবন আউফ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যদি কোন মহিলা পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ে, রমযান মাসে রোযা রাখে, নিজের লজ্জাস্থানকে যিনা থেকে হেফাযত করে, আর স্বামীর অনুগত হয় তাহলে তাকে কেয়ামতের দিন বলা হবে, তুমি জান্নাতের যে দরজা থেকে ইচ্ছা প্রবেশ কর।
(মুনযিরী "তারগীব তারহীবে" হাদীসটিকে উল্লেখ করে বলেছেন, আহমদ এবং তাবারানী "আল মু'জামুল কাবীরে" হাদীসটিকে বর্ণনা করেছেন। ইবন লাহী'আ ছাড়া আহমদের অন্য বর্ণনাকারীগণ সহীহের বর্ণনাকারী। তাঁর হাদীস কোন হাদীসের অনুগামী হাদীসরূপে বর্ণিত হলে তাঁর হাদীস হাসান।)
كتاب النكاح
باب حق الزوج على الزوجة
عن عبد الرحمن بن عوف (8) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا صلت المرأة خمسها (9) وصامت شهرها (10) وحفظت فرجها (11) واطاعت زوجها (12) قيل لها ادخلى الجنة من أى أبواب الجنة شئت
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫১
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্ত্রীর উপর স্বামীর হক।
২৫১। মু'য়ায ইবন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন, যদি কোন মহিলা তার স্বামীকে দুনিয়ায় কষ্ট দেয় তাহলে তার আয়তলোচনা স্ত্রীরা বলে তুমি তাকে কষ্ট দিওনা। আল্লাহ তোমাকে ধ্বংসা করুন কেননা সে তোমার কাছে মেহমান, অচিরেই তোমাকে ত্যাগ করে আমাদের কাছে চলে আসবে।
(তিরমিযী, ইবন মাজাহ। তিরমিযী বলেছেন, হাদীসটি হাসান।)
كتاب النكاح
باب حق الزوج على الزوجة
عن معاذ بن جبل (1) عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لا تؤذى امرأة زوجها فى الدنيا إلا قالت زوجته من الحور العين لا تؤذيه قاتلك الله، فانما هو عندك دخيل (2) يوشك أن يفارقك الينا
হাদীস নং: ২৫২
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্ত্রীর উপর স্বামীর হক।
২৫২। হুসায়ন ইবন মিহসান (রা) থেকে বর্ণিত, তাঁর এক ফুফু নবী (ﷺ)-এর কাছে কোন প্রয়োজনে আসলেন। তিনি তাঁর প্রয়োজন শেষ করার পর নবী (ﷺ) তাঁকে বললেন, তোমার কি স্বামী আছে? তিনি বললেন, হাঁ, তিনি বললেন, তুমি কিরূপে তাঁর আনুগত্য এবং খেদমত কর? তিনি বললেন, আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী তাঁর খেদমত এবং আনুগত্য করতে কোন অবহেলা করি না। তিনি বললেন, তুমি লক্ষ্য কর তোমার সাথে তার সম্পর্ক কি? যদি তুমি তাকে আনুগত্য ও খেদমতে সন্তুষ্ট করতে পার তাহলে তোমার জান্নাত লাভ হবে। আর যদি তুমি তাকে সন্তুষ্ট করতে না পার তাহলে তোমার দোয মিলবে।
(হাফিয মুনযিরী "তারগীব তারহীবে” হাদীসটিকে উল্লেখ করে বলেছেন, আহমদ এবং নাসাঈ হাদীসটিকে মুসতাদরকে বর্ণনা করেছেন এবং এর সনদকে সহীহ বলেছেন। আর যাহাবী তাঁর কথা সমর্থন করেছেন।)
كتاب النكاح
باب حق الزوج على الزوجة
عن الحصين بن محصن (3) أن عنة أتت النبي صلى الله عليه وسلم فى حاحة ففرغت من حاجتها، فقال لها النبي صلى الله عليه وسلم أذات زوج أنت؟ قالت نعم، قال كيف أنت له؟ قالت ماآلوه (4) الا ما عجزت عنه، قال انظرى اين أنت منه فانما هو جنتك ونارك
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৩
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্ত্রীর উপর স্বামীর হক।
২৫৩। আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে বলতে শুনেছি, যদি কোন মহিলা তার স্বামীর ঘর ছাড়া অন্য কোন স্থানে পুরুষের সামনে বেপর্দা হয় তাহলে সে তার এবং তার প্রভুর মাঝের তাকওয়ার পর্দা ছিড়ে ফেলল।
(ইবন মাজাহ, হাকিম। হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ সহীহ বুখারী এবং সহীহ মুসলিমের বর্ণনাকারী। হাকিম এটিকে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তাঁর কথা সমর্থন করেছেন।)
كتاب النكاح
باب حق الزوج على الزوجة
عن عائشة رضى الله عنها (6) قالت سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ايما امرأة نزعت ثيابها فى غير بيت زوجها (7) هتكت ستر ما بينها وبين ربها
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৪
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্ত্রীর উপর স্বামীর হক।
২৫৪। আব্দুল আশহাল বংশের মহিলা সাহাবী আসমা বিনতে ইয়াযীদ (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা কিছু মহিলা একত্রে থাকা অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে অতিক্রম করলেন আর সালাম দিয়ে বললেন, তোমরা তোমাদের স্বামীর দেয়া নিয়ামতের না শুকরিয়া করবে না। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, স্বামীদের নিয়ামতের না শুকরিয়া কি? তিনি বললেন, হয়ত তোমাদের কেউ তার পিতা মাতার কাছে দীর্ঘকাল অবিবাহিত অবস্থায় থাকে। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা তাকে স্বামী দান করেন, আর তার থেকে তাকে মাল ও সন্তান দান করেন। অতঃপর সে রাগ করে বলে, আমি কোন দিন তার থেকে কোন কল্যাণ দেখিনি।
(তাবারানী আল মু'জামুল কাবীরে-হাদীসটির সমর্থক হাদীস বর্ণনা করেছেন। এর সনদ উত্তম।)
كتاب النكاح
باب حق الزوج على الزوجة
عن أسماء بنت يزيد (8) إحدى نساء بنى عبد الأشهل قالت مر بنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ونحن فى نسوة فسلم علينا وقال ايكن وكفر المنعمين (9) فقلنا يا رسول الله وما كفر المنعمين؟ قال لعل احداكن أن تطول أيمتها (10) بين أبويها وتعلس (11) فيرزقها الله عز وجل زوجا ويرزقها منه مالا وولدا فتغضب الغضبة فراحت تقول ما رأيت منه يوما خيرا قط (1) (وفى لفظ) ما رأيت منه خيرا قط
হাদীস নং: ২৫৫
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্ত্রীর উপর স্বামীর হক।
২৫৫। আব্দুল্লাহ ইবন আমর ইবন আস (রা) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) মক্কা বিজয়ের দিন বলেন, কোন মহিলার জন্য তার স্বামীর অনুমতি ছাড়া দান করা জায়েয নয়।
(আবু দাউদ, নাসাঈ আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, হাদীসটির সনদ হাসান।)
আবু উসামা (রা) থেকে এর সাহেদ হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, আমি বিদায় হজ্জের ভাষণে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, কোন মহিলা তার স্বামীর অনুমতি ছাড়া তার ঘর থেকে কোন বস্তু ব্যয় করবে না। বলা হল, হে আল্লাহর রাসূল, সে খাবারও ব্যয় করবে না? তিনি বললেন, তা আমাদের উত্তম মাল।”
(তিরমিযী। তিনি হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।)
كتاب النكاح
باب حق الزوج على الزوجة
عن عمرو بن شعيب (2) عن أبيه عن حده ان النبى صلى الله عليه وسلم قال يوم الفتحلا يجوز لمرأة عطية الا بإذن زوجها
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৬
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্ত্রীর উপর স্বামীর হক।
২৫৬। এ হাদীসটিও তাঁর থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন, কোন মহিলার জন্য তার বিয়ে হওয়ার পর তার মাল অন্যায়ভাবে ব্যয় করা জায়েয নয়।
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আমি আমর ইবন শুআয়বের হাদীসটিকে ইমাম আহমদ ছাড়া অন্য কারো নিকট অবগত হইনি। এর সনদ উত্তম। তাবারানী ওয়াছিলা ইবন আসকা' রা) থেকে এর সমর্থক হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাঁর হাদীস দূর্বল।)
كتاب النكاح
باب حق الزوج على الزوجة
وعنه أيضًا (4) عن أبيه عن جده عن النبى صلى الله عليه وسلم قال لا يجوز المرأة أمر فى مالها (5) اذا ملك زوجها عصمتها
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৭
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্ত্রীর উপর স্বামীর হক।
২৫৭। আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী (ﷺ)-এর কাছে থাকাকালীন সাফওয়ান ইবন মু'আত্তাল (রা) এর স্ত্রী তাঁর কাছে এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমার স্বামী সফওয়ান ইবন মু'আত্তাল (রা) আমাকে মারেন যদি আমি নামায পড়ি, আমার রোযা ভাঙ্গান যদি আমি নফল রোযা রাখি। আর তিনি সূর্য উদয় না হওয়া পর্যন্ত ফজরের নামায পড়েন না। তিনি বলেন, সফওয়ান (রা) তাঁর কাছে উপস্থিত ছিলেন। তিনি তাঁকে তাঁর স্ত্রীর অভিযোেগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার কথা, সে আমাকে মারে যদি আমি নামায পড়ি। কেননা সে দু'টি দীর্ঘ সূরা পড়ে। আমি তাকে দু'টি দীর্ঘ সূরা পড়তে নিষেধ করেছি। তিনি (ﷺ) বললেন, একটি সূরা পড়া সকল মানুষের জন্য যথেষ্ট। আর তার কথা, সে আমাকে রোযা ভাংগায়। কেননা সে রোযা রাখে, আর আমি যুবক ধৈর্য ধারণ করতে পারি না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেদিন বললেন, কোন মহিলা তার স্বামীর অনুমতি ছাড়া নফল রোযা রাখবে না। তিনি বললেন, আর তার কথা, আমি সূর্য উদয় না হওয়া পর্যন্ত ফজরের নামায পড়িনা, কেননা আমাদের পরিবারের লোকদের সম্পর্কে মানুষ অবহিত যে আমরা সূর্য উদয় না হওয়া পর্যন্ত ঘুম হতে জাগ্রত হতে পারি না। (তারা রাতের অধিকাংশ সময় পানি সেচনের কাজে রত থাকতেন তাই তাঁদের জন্য ফজরের নামাযের সময় জাগ্রত হওয়া কষ্টকর ছিল।) তিনি বললেন, তুমি যখন জাগ্রত হবে তখন ফজরের নামায পড়বে।
অন্য এক বর্ণনা আছে তাঁর কথা: আমি সূর্য উদয় না হওয়া পর্যন্ত ফজরের নামায পড়িনা। কেননা আমার মাথায় যন্ত্রণা আছেন। আর আমার পরিবারের লোকেরা মাথায় যন্ত্রণাগ্রস্তরূগীরূপে পরিচিত। তিনি বললেন, তুমি যখন জাগ্রত হবে তখন ফজরের নামায পড়বে।
(আবূ দাউদ, ইবন মাজাহ। আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, হাদীসটির সনদ উত্তম।)
كتاب النكاح
باب حق الزوج على الزوجة
عن أبى سعيد الخدرى (6) قال جاءت امراة صفوان بن المعطل الى النبى صلى الله عليه وسلم ونحن عنده فقالت يا رسول الله ان زوجى صفوان بن المعطل يضربنى اذا صليت، ويفطرنى اذا صمت، ولا يصلى الفجر حتى طلوع الشمس، قال وصفوان عنده (7) قال فسأله عما قالت، فقال يا رسول الله أما قولها يضربنى اذا صليت فأنها تقرأ بسورتين (8) فقد نيتها عنها، قال فقال لو كانت سورة واحدة لكفيت الناس، وأما قولها يفطرنى فإنها تصوم (9) وأنا رجل شاب فلا أصبر، قال فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم يومئذ لا تصومن امرأة الا بإذن زوجها، قال وأما قولها بأنى لا أصلى حتى تطلع الشمس، فإن أهل بيت قد عرف لنا ذاك (1) لا نكاد نستيقظ حتى تطلع الشمس، قال فاذا استيقظت فصل (وفى رواية 9 وأما قولها انى لا أصلى حتى تطلع الشمس فانى ثقيل الرأس (2) وأنا من أهل بيت يعرفون بذاك الرءوس، قال فاذا قمت فصل
হাদীস নং: ২৫৮
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্বামীর উপর স্ত্রীর হক।
২৫৮। মুয়াবিয়া ইবন হায়সা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, আমাদের স্ত্রীদের সাথে আমরা কি আচরণ করব আর কি আচরণ করব না। তিনি বললেন, তোমার স্ত্রী তোমার চাষভূমি তুমি তোমার চাষভূমিতে আসবে যেরূপে চাবে। তবে তাকে তার চেহারায় মারবে না, আর তার সমালোচনা করবে না, যদি তাকে এড়িয়ে চলার প্রয়োজন হয় তাহলে তার সাথে এক ঘরে থেকে তাকে এড়িয়ে চলবে। আর তাকে কাপড় পরিধান করাবে যখন তুমি কাপড় পরিধান করবে। কেনই বা তা করবে না, যখন তোমরা একে অপরকে উপভোগ করেছ। তুমি তার কর্তব্য কাজে অবহেলা করা ছাড়া তাকে কোন শাস্তি দিবে না।
(আবু দাউদ। নববী রিয়াযুছ ছালিহীনে হাদীসটিকে উল্লেখ করেছেন এবং হাসান হাদীস বলেছেন।)
كتاب النكاح
باب حق الزوجة على الزوج
حدثنا يزيد أنا بهز بن حكيم عن أبيه عن جده (3) قال قلت يا رسول الله نساؤنا ما نأتى منها وما أنذر؟ (4) قال حرثك أثت حرثك أنى شئت (5) غير أن لا تضر الوجه (6) ولا تقبح ولا تهجر الا فى البيت (7) وأطعم اذا طعمت واكس اذا كستسيت كيف (8) وقد افضى بعضكم إلا بما حل عليها
হাদীস নং: ২৫৯
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্বামীর উপর স্ত্রীর হক।
২৫৯। হাকিম ইবনে মুয়াবিয়া (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ)কে জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, স্বামীর উপর স্ত্রীর হক কি? তিনি বললেন, তুমি তাকে খাবার খাওয়াবে, তুমি যখন খাবার খাবে। আর তুমি তাকে কাপড় পরিধান করাবে যখন তুমি কাপড় পরিধান করবে। তুমি তাকে তার চেহারায় মারবে না। তুমি তার সমালোচনা করবে না। যদি তোমার তাকে এড়িয়ে চলার প্রয়োজন হয় তাহলে তার সাথে এক ঘরে থেকে এড়িয়ে চলবে।
(নাসাঈ, ইবন মাজাহ, বায়হাকী। হাকিম, ইবন হিব্বান। হাকিম এবং ইবন হিব্বান হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।)
كتاب النكاح
باب حق الزوجة على الزوج
عن حكيم بن معاوية عن أبيه (9) عن النبى صلى الله عليه وسلم قال سأله رجل (10) ما حق المرأة على الزوج؟ قال تطعمها اذا طعمت وتكسوها اذا اكتسيت ولا تضرب الوجه ولا تقبح ولا تهجر الا فى البيت
হাদীস নং: ২৬০
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্বামীর উপর স্ত্রীর হক।
২৬০। আব্দুল্লাহ ইবন যাম'আ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে মহিলাদেরকে লক্ষ্য করে উপদেশ দিতে শুনলাম। তিনি তাদেরকে তাদের প্রাপ্য হক এবং তাদের স্বামীদের প্রাপ্য হক সম্পর্কে উপদেশ দিলেন। তিনি বললেন, কেন তোমাদের কেউ তার স্ত্রীকে ক্রীতদাসের মত প্রহার করে। যখন সে দিনের শেষে বা রাতের শেষে তার সাথে সহবাস করবে।
(বুখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ)
كتاب النكاح
باب حق الزوجة على الزوج
عن عبد الله بن زمعة (11) قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يذكر النساء فوعظ فيهن (12) وقال علام يضرب (وفي لفظ يجلد) (1) أحدكم امرأته (زاد فى رواية ضرب العبد) (2) ولعله أن يضاجعها من آخر النهار أو آخر الليل