মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني

বিবাহ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২৮৭ টি

হাদীস নং: ২৬১
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্বামীর উপর স্ত্রীর হক।
২৬১। লাকীত ইবন সবিরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ), আমার স্ত্রী আছে। তারপর তিনি তার ঝগড়াঠে হওয়া এবং তার দুর্ব্যবহারের কথা উল্লেখ করলেন। তিনি বললেন, তুমি তাকে তালাক দাও। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, তার সাথে আমার দীর্ঘদিনের সাহচর্য এবং তার থেকে আমার সন্তান রয়েছে। তিনি বললেন, তুমি তাকে তোমার স্ত্রীরূপে রাখবে, আর তাকে উপদেশ দিবে। যদি তার মধ্যে কোন কল্যাণ থাকে তাহলে সে তোমার উপদেশ অনুযায়ী কাজ করবে। তুমি তোমার স্ত্রীকে তোমার দাসীর মত মারবে না।
(হাদীসটি একটি দীর্ঘ হাদীসের অংশ, যা এই কিতাবের রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর চারিত্রিক গুণাবলির পর্বে তাঁর উদারতা শীর্ষক পরিচ্ছেদে আসবে। শাফিয়ী, ইবন খুযায়মা, ইবন হিব্বান, বায়হাকী, হাকিম। হাকিম হাদীসটিকে সহীহ হাদীস বলেছেন এবং যাহাবী তাঁর কথা সমর্থন করেছেন।)
كتاب النكاح
باب حق الزوجة على الزوج
عن لقيط بن صبرة (3) قال يا رسول الله ان الله ان لى امرأة فذكر من طول لسانها وايذائها فقال طلقها، قال يا رسول الله انها ذات صحبة وولد، قال فأمسكها وأمرها (4) فان بك فيها خير فستفعل (5) ولا تضرب ظعينتك (6) ضربك امتك
হাদীস নং: ২৬২
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্বামীর উপর স্ত্রীর হক।
২৬২। আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, একজন মু'মিন স্বামী তার মু'মিন স্ত্রীর প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করবে না। যদি সে তার কোন চরিত্র অপছন্দ করে তাহলে তার অন্য চরিত্রে সন্তুষ্ট হবে।
(মুসলিম, বায়হাকী।)
كتاب النكاح
باب حق الزوجة على الزوج
عن أبى هريرة (7) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يفرك (8) مؤمن مؤمنة ان كره منها خلقا رضى منها آخر
হাদীস নং: ২৬৩
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্বামীর উপর স্ত্রীর হক।
২৬৩। হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকেই বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন, হে আল্লাহ, আমি দু' দূর্বলের হক (খর্ব করাকে) হারাম করেছি অর্থাৎ এতীম এবং নারীর ।
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আমি ইমাম আহমদ ছাড়া অন্য কারোর নিকট হাদীসটি অবগত হইনি। হাদীসটির সনদ উত্তম।)
كتاب النكاح
باب حق الزوجة على الزوج
وعنه أيضًا (9) عن النبى صلى الله عليه وسلم قال اللهم إنى أخرج (10) حق الضعفين اليتيم والمرأة
হাদীস নং: ২৬৪
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্বামীর উপর স্ত্রীর হক।
২৬৪। সা'দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দীর্ঘদিন সফরে অবস্থানকারী ব্যক্তিকে এশার নামাযের পরে তার স্ত্রীর দরজা খট খটাতে নিষেধ করেছেন।
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আমি ইমাম আহমদ ছাড়া অন্য কারও নিকট সা'দ এর হাদীসটি অবগত হইনি। এর সনদ উত্তম। জাবির (রা)-এর হাদীস نَهَى رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَطْرُقَ الرَّجُلُ أَهْلَهُ لَيْلًا (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন লোকের তার পরিবারের কাছে রাতে আগমন করাকে নিষেধ করেছেন) এ হাদীসকে শক্তিশালী করে। বুখারী, মুসলিম, আহমদ। হাদীসটির উল্লেখ রয়েছে এ কিতাবের মুসাফিরের প্রত্যাবর্তন করার আদব সমূহের পরিচ্ছেদে।)
كتاب النكاح
باب حق الزوجة على الزوج
عن سعد بن أبى وقاص (11) أنه قال إن رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى ان يطرق الرجل أهله بعد صلاة العشاء (12)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬৫
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্বামীর উপর স্ত্রীর হক।
২৬৫। আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, খুয়ায়লা বিনতে হাকিম ইবন উমাইয়া ইবন হারিসা ইবন আওকাস সুলামিয়া (রা) আমার সাথে সাক্ষাৎ করলেন। তিনি উসমান ইবন মাযউন (রা)-এর স্ত্রী ছিলেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার বেশ বাসের জীর্ণতা দেখে আমাকে বললেন, হে আয়েশা, খুয়ায়লা (রা)-এর বেশ বাসের জীর্ণতার রহস্য কি? আমি বললাম, হে আল্লাহ রাসূল, সে এমন একজন মহিলা, যেন তার স্বামী নেই কেননা তার স্বামী সর্বদা দিনে রোযা রাখে আর রাতে নামায পড়ে। তাই সে স্বামীহিনা স্ত্রীর মত সাজসজ্জা ত্যাগ করেছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উসমান ইবন মাযউন (রা)-এর কাছে লোক পাঠালেন। তিনি তাঁর কাছে আসলেন। তিনি বললেন, হে উসমান (রা), তুমি কি আমার সুন্নাত পালনে অনাগ্রহী? তিনি বললেন, না। আল্লাহর শপথ, হে আল্লাহর রাসূল, বরং আমি আপনার সুন্নাত তালাশ করি। তিনি বললেন, আমি ঘুমাই, নামায পড়ি, রোযা রাখি আবার রাখি না। আর স্ত্রীদের সাথে সহবাস করি। তাই তুমি আল্লাহকে ভয় কর হে উসমান, কেননা তোমার উপর তোমার স্ত্রীর হক আছে, তোমার উপর তোমার মেহমানের হক আছে, আর তোমার উপর তোমার নিজের হক আছে। তাই তুমি কখনো রোযা রাখবে, কখনো রোযা রাখা থেকে বিরত থাকবে, নামায পড়বে এবং ঘুমাবে।
(বাযযার। হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। আবু দাউদ এর এক অংশ বর্ণনা করেছেন।)
বাযযার অতিরিক্ত বর্ণনা করেন:

يا عثمان إن لك في أسوة وأن أخشاكم لله وأحفظكم لحدوده لأنا

তিনি বললেন, হে উসমান, নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আমার মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে। নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আল্লাহকে ভয় করি এবং তাঁর আদেশ বেশি পালনকারী।
كتاب النكاح
باب حق الزوجة على الزوج
عن هشام بن عروة (1) عن أبيه عن عائشة قالت دخلت على خويلة بنت حكيم بن أمية بن حارثة بن الأقص السلميه وكانت تحت عثمان بن مظعون قالت فرأى رسول الله صلى الله عليه وسلم بذاذة (2) هيثتها، فقال لى يا عائيشة ما أبذ هيئةخويلة؟ قالت فقلت يا رسول الله أمرأة لا زوج لها (3) يصوم النهار ويقوم الليل فهى كمن لا زوج لها فتركت نفسها وأضاعتها (4) قالت فبعث رسول الله صلى الله عليه وسلم الى عثمان ابن مظعون فجاء فقال يا عثمان أرغبة عن سنى؟ (5) قال لا والله يا رسول الله ولكن سنتك أطلب"قال فانى أنام وأصلى وأصوم وأفطر وأنكح النساء فاتق الله يا عثمان فان لاهلك عليك حقا (6)، وان لضيفك عليك حقا، وان لنفسك عليك حقا، فصم وأفطر وصل ونم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬৬
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: সদ্ভাবে জীবন যাপন ও উত্তম আচার-ব্যবহার।
২৬৬। ইরবাদ ইবন সারীয়া (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, "যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীকে পানি পান করায় তাহলে সওয়াব পাবে।” তিনি বলেন, আমি আমার স্ত্রীর কাছে এসে তাকে পানি পান করালাম আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে যে হাদীস শুনেছি তা তাকে শুনালাম।
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আমি ইমাম আহমদ ছাড়া অন্য কেউর নিকট হাদীসটি অবগত হইনি। এর সনদ উত্তম।)
كتاب النكاح
باب فضل احسان العشرة وحسن العشرة وحسن الخلق مع الزوجة
عن العرباض بن سارية (7) قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ان الرجل اذا سقى امرأته من الماء أجر، قال فاتيتها (8) فسقيتها وحدثتها بما سمعت من رسول الله صلى الله عليه وسلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬৭
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: সদ্ভাবে জীবন যাপন ও উত্তম আচার-ব্যবহার।
২৬৭। আবু যর (রা) থেকে বর্ণিত, এক দীর্ঘ হাদীসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমার জন্য তোমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করাতে সওয়াব আছে। আবু যর (রা) বললেন, আমার যৌন কামনা পূরনে আমার জন্য কিরূপে সওয়াব হবে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি আমাকে অবহিত কর যদি তোমার ছেলে থাকে, আর তার বয়ঃপ্রাপ্ত হওয়াতে তুমি তার থেকে কল্যাণের আশা কর। অতঃপর সে মারা যায় তাহলে তুমি কি তার মৃত্যুতে ধৈর্য ধারণ করে সওয়াবের আশা করবে? আমি বললাম, হাঁ, তিনি বললেন, তুমি তাকে সৃষ্টি করেছ? তিনি বললেন, বরং আল্লাহ তাকে সৃষ্টি করেছেন। তিনি বললেন, তুমি তাকে হিদায়েত করেছ? তিনি বললেন, বরং আল্লাহ তাকে হিদায়েত করেছেন। তিনি বললেন, তুমি তাকে রিযিক দান করেছ? তিনি বললেন, বরং আল্লাহ তাকে রিযিক দিতেন। তিনি বললেন, অনুরূপ, তুমি তোমার যৌন কামনা হালালে পূরণ করবে, আর তা হারামে পূরণ করা থেকে দূরে থাকবে। যদি আল্লাহ চান তাহলে তোমার বীর্য দ্বারা সন্তান সৃষ্টি করবেন। আর যদি চান তাতে সন্তান সৃষ্টি করবেন না। আর তোমার সওয়াব হবে।
(হাদীসটি একটি দীর্ঘ হাদীসের অংশ, যার উল্লেখ হয়েছে যাকাতের পর্বের যে সকল গুনকে সদকার অন্তর্ভুক্ত করা হয় সে অধ্যায়ে। হাদীসটি সহীহ। মুসলিম এবং অন্যরা হাদীসটিকে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب النكاح
باب فضل احسان العشرة وحسن العشرة وحسن الخلق مع الزوجة
عن أبى زر فى حديث طويل (9) ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ولك فى جماع زوجتك أجر، فقال أبو زر وكيف يكون لى أجر فى شهوتى؟ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم أرأيت لو كان لك ولد فأدرك ورجوت خيره فمات أكنت تحستسب به؟ قلت نعم، قال فانت خلقته؟ قال بل الله خلقه، قال فأنت هديته؟ قال بل الله هداه، قال فآنت ترزقه؟ قال بل الله كان يرزقه، قال كذلك فضعه فى حلال وجنبه حرامه فان شاء الله أحياه وان شاء أمانه ولك أجر
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬৮
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: সদ্ভাবে জীবন যাপন ও উত্তম আচার-ব্যবহার।
২৬৮। নুমান ইবন বশীর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু বকর (রা) এসে নবী (ﷺ) এর সাথে সাক্ষাতের অনুমতি চাইলেন। আর তিনি আয়েশা (রা) কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে উচ্চস্বরে কথা বলতে শুনলেন। তিনি তাঁকে অনুমতি দিলে প্রবেশ করলেন তারপর 'আয়েশা (রা) কে ধরে বললেন, উম্মে রুমান (রা)-এর মেয়ে! তুমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে উচ্চ স্বরে কথা বলছ? তখন নবী (ﷺ) তাঁর এবং আয়েশা (রা)-এর মাঝে আড়াল হয়ে দাঁড়ালেন। আবূ বকর (রা) চলে গেলে নবী (ﷺ) তাঁকে সন্তুষ্ট করার জন্য বললেন, তুমি দেখনি আমি লোকটি এবং তোমার মাঝে আড়াল হয়ে দাঁড়িয়েছি? তিনি বলেন, পরক্ষণে আবূ বকর (রা)-এসে তাঁর সাথে সাক্ষাতের অনুমতি চাইলেন। তিনি তখন তাঁকে এবং আয়েশা (রা)-কে হাসতে দেখলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে অনুমতি দিলেন। তিনি প্রবেশ করে তাঁকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আপনারা আমাকে আপনাদের সন্ধিতে অংশীদার করুন যেরূপ আপনারা আমাকে আপনাদের লড়াইতে অংশীদার করেছেন।
(আবু দাউদ, নাসাঈ। আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب النكاح
باب فضل احسان العشرة وحسن العشرة وحسن الخلق مع الزوجة
عن النعمان بن بشير(10) قال جاء أبو بكر يستأذن على النبى صلى الله عليه وسلم فسمع عائشة وهي رافعة صوتك على رسول الله صلى فاذن له فدخل، فقال يا ابنة أم ابنة أم رومان (1) وتناولها (2) أترفعين صوتك على رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول لها يترضاها (3) ألا ترين أني قد حلت بين الرجل وبينك قال ثم جاء أبو بكر (4) فاستاذن عليه فوجد يضاحكها، قال فأذن له فدخل فقال له أبو بكر يا رسول الله أشركانى فى سلمكما (5) كما اشر كتمانى فى حربكما
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬৯
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: সদ্ভাবে জীবন যাপন ও উত্তম আচার-ব্যবহার।
২৬৯। আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, মহিলা পাঁজরাস্থির মত, যদি তুমি তাকে সোজা করতে চাও তাহলে তাকে ভেংগে ফেলবে। আর যদি তাকে তার সৃষ্টিগত স্বভাবের উপর রাখ তাহলে তার বক্রতা সত্ত্বেও তার সাথে সুখী জীবন যাপন করবে।
(তাঁর থেকে দ্বিতীয় এক বর্ণনা সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমার স্ত্রী তোমার জন্য এক স্বভাবে স্থির থাকবে না। সে পাঁজরাস্থির মত যদি তুমি তাকে সোজা করার চেষ্টা কর তাহলে তাকে ভেংগে ফেলবে। আর যদি তাকে তার সৃষ্টিগত স্বভাবের উপর রাখ। তাহলে তার বক্রতা সত্ত্বেও তার সাথে সুখী জীবন যাপন করবে।
(বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, বায়হাকী এবং অন্যরা।)
كتاب النكاح
باب فضل احسان العشرة وحسن العشرة وحسن الخلق مع الزوجة
عن ابى هريرة (7) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم المرأة كالضلع (8) فان تحرص على اقامته تكسره وان تتركه تستمع به وفيه عوج (وعنه من طريق ثان) (9) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تسقيم لك المرأة على خليقة واحدة، انما هى كالضلع إن تقمها تكسرها (10) وان تتركها تستمتع بها وفيها عوج
হাদীস নং: ২৭০
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: সদ্ভাবে জীবন যাপন ও উত্তম আচার-ব্যবহার।
২৭০। সামুরা ইবন জুনদুব (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, মহিলাকে পাঁজরাস্থি দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে। যদি তুমি পাঁজরাস্থি সোজা করতে চাও তাহলে তাকে ভেংগে ফেলবে। তুমি যদি তার সাথে কোমল আচরণ কর তাহলে তার সাথে সুখে জীবন যাপন করবে।
(ইবন হিব্বান, হাকিম। আহমদের সনদে একজন বর্ণনাকারীর নাম উল্লেখ করা হয়নি। হায়ছামী মাজমাউয যাওয়াইদে হাদীসটিকে উল্লেখ করে বলেছেন, আহমদ এবং বাযযার হাদীসটিকে দু'টি সনদে বর্ণনা করেছেন। এর একটি বর্ণনাকারীগণ সহীহর বর্ণনাকারী। তিনি মুসনাদে আহমদে অনুল্লিখিত বর্ণনাকারীর নাম আবূ রজা আত্তার বলেছেন। তাবারানী আল মু'জামুল কাবীরে এবং আল মু'জামুছ ছগীরে।)
كتاب النكاح
باب فضل احسان العشرة وحسن العشرة وحسن الخلق مع الزوجة
عن سمرة بن جندب قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ان المرأة خلقت (1) من ضلع وانك ان ترد اقامة الضلع تكسرها فدارها (2) تعش بها
হাদীস নং: ২৭১
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: সদ্ভাবে জীবন যাপন ও উত্তম আচার-ব্যবহার।
২৭১। আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, মহিলা পাঁজরাস্থির মত যদি তুমি তাকে সোজা করতে চাও তাকে ভেংগে ফেলবে। মহিলার স্বভাবগত বক্রতাকে স্বীকার করে নিলে তার থেকে উপকৃত হতে পারবে।
(হায়ছামী মাজমাউয যাওয়াইদে হাদীসটিকে উল্লেখ করে বলেছেন, আহমদ, তাবারানী আল মু'জামুল আউসাতে এবং বাযযার হাদীসটিকে বর্ণনা করেছেন। বাযযারের বর্ণনাকারীগণ সহীহর বর্ণনাকারী।)
كتاب النكاح
باب فضل احسان العشرة وحسن العشرة وحسن الخلق مع الزوجة
عن عائشة رضى الله عنها (3) ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال المرأة كالضلع أن أقمتها كسرتها وهى يستمتع بها على عوج فيها
হাদীস নং: ২৭২
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: সদ্ভাবে জীবন যাপন ও উত্তম আচার-ব্যবহার।
২৭২। নু'আয়ম ইবন কা'নাব রিয়াহী (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবু যর (রা)-এর কাছে এসে তাঁকে পেলাম না। আমি তাঁর স্ত্রীকে দেখে তাঁর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, তিনি তাঁর শস্যক্ষেত্রে আছেন। তিনি দু'টি উটের রশি ধরে টেনে নিয়ে আসলেন, যাদের একটি অন্যটির পিছনে সারিবদ্ধ ছিল, প্রত্যেকটির গলায় একটি করে পানির মশক ছিল। তিনি পানির মশক দু'টি রাখলেন। আমি বললাম, হে আবূ যর (রা), আমার কাছে আপনার চেয়ে অন্য কোন মানুষের সাক্ষাৎ লাভ অধিকতর পছন্দনীয় ছিল না। আর আমার কাছে আপনার চেয়ে অন্য কোন মানুষের সাক্ষাৎ লাভ অধিকতর অপছন্দনীয়ও ছিলনা। তিনি বললেন, আল্লাহ তোমার পিতার কল্যাণ করুন। কোন বস্তু এ দু'টি বিপ্রতীপকে একত্রিত করেছে? আমি বললাম, আমি ইসলাম পূর্ব যুগে মেয়েদের জীবন্ত কবর দিয়েছি। আমি আপনার সাক্ষাতে আশা করছিলাম আপনি আমাকে অবহিত করবেন: আমার তওবার ও নাজাত লাভের সুযোগ রয়েছে। আর আমি আপনার সাক্ষাতে ভয় করছিলাম যে আপনি আমাকে বলবেন, আমার তওবার কোন সুযোগ নেই। তিনি বললেন। তুমি কি ইসলাম পূর্ব যুগে মেয়েদের জীবন্ত কবর দিয়েছ? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বললেন, আল্লাহ তোমার ইসলাম-পূর্ব যুগের পাপ ক্ষমা করে দিয়েছেন। অতঃপর তিনি তাঁর মাথা তার স্ত্রীর দিকে ঝুঁকিয়ে আমাকে খাবার দিতে আদেশ করলেন। তিনি তাঁর আদেশ উপেক্ষা করলেন। অতঃপর তিনি তাঁকে আদেশ করলেন। আর তিনি তাঁর আদেশ উপেক্ষা করলেন, যাতে তাঁদের কণ্ঠস্বর উঁচু হল। তিনি বললেন, তুমি চুপ থাকো। তুমি তোমার ঝগড়া থেকে আমাদেরকে পরিত্রান দাও, কেননা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে তোমাদের সম্পর্কে যা বলেছেন তোমরা কখনো তা অতিক্রম করতে পারবে না। আমি বললাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আপনাদেরকে তাদের সম্পর্কে কি বলেছেন? তিনি বললেন, তিনি বলেছেন! মহিলারা পাঁজরাস্থির মত, যদি তুমি তাকে সোজা করার চেষ্টা কর তাহলে তাকে ভেংগে ফেলবে। আর যদি তাকে সোজা করার চেষ্টা না কর তাহলে তার স্বভাবের বক্রতা সত্ত্বেও তুমি তার সাথে সুখী জীবন যাপন করবে। তাঁর স্ত্রী প্রস্থান করলেন। আর সারীদ (টুকরো টুকরো রুটি গোশতের ঝোলে ভিজিয়ে তৈরী খাবার বিশেষ) নিয়ে আসলেন। ক্বাতা পাখীর গোশতের মত তার স্বাদ। তিনি বললেন, তুমি খাও। আমার না খাওয়া যেন তোমার অস্বস্তির কারণ না হয়। কেননা আমি রোযাদার। অতঃপর তিনি দাঁড়িয়ে নামায পড়া শুরু করলেন। তিনি হালকা রুকু করলেন। আমি তাকে দেখলাম যে, তিনি চাচ্ছেন আমি তৃপ্ত হই। অতঃপর তিনি আমার কাছে এসে আমার সাথে খাবার খাওয়া শুরু করলেন। আমি বললাম,
إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَجِعُونَ
"আমরা তো আল্লাহর আর আমরা অবশ্য তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী।" সূরা বাকারা: ১৫৬।
তিনি বললেন, তোমার কি হয়েছে? আমি বললাম, আমি যে কোন লোক সম্পর্কেই মিথ্যা বলার ধারণা করিনা কেন, আপনার সম্পর্কে কখনই ধারণা করতামনা যে আপনি আমার সাথে মিথ্যা কথা বলবেন। তিনি বললেন, আল্লাহ তোমার কল্যাণ করুন। আমার সাথে তোমার সাক্ষাতের পর থেকে আমি তোমার সাথে কোন মিথ্যা কথা বলিনি? সে বলল, আপনি কি আমাকে অবহিত করেননি যে, আপনি রোযাদার, অতঃপর আমি আপনাকে খাবার খেতে দেখছি? তিনি বললেন, নিশ্চয়ই, আমি এ মাসে তিন দিন রোযা রেখেছি। তাই একমাস রোযা রাখার সওয়াব আমার জন্য অপরিহার্য হয়েছে। আর আমার জন্য তোমার সাথে খাবার খাওয়া হালাল হয়েছে।
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আমি ইমাম আহমদ ছাড়া অন্য কারোর নিকট হাদীসটি এরূপ পাইনি। এর সনদ উত্তম। এবং এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب النكاح
باب فضل احسان العشرة وحسن العشرة وحسن الخلق مع الزوجة
عن نعيم بن قعنب الرِّياحى (4) قال أتيت أبا ذر فلم أجده ورأيت المرأة فسألتها فقالت هو ذاك فى ضيعة (5) له فجاء يقود أو يسوق بعيرين قاطرا أحدهما فى عجز صاحبه، فى عنق كل واحد منها قربة فوضع القربتين، قلت يا أبا ذر ما كان من الناس أحد أحب الى أن القاه منك، ولا أبغض أن القاه منك، قال لله أبوك وما يجمع هذا؟ قال قلت انى كنت وأدت (6) فى الجاهليةوكنت أرجو فى لقائك أن تخربنى ان لى توبة ومخرجا (7) وكنت أخشى فى لقائك أن تخبرنى أنه لا توبة لى (8) فقال أفى الجاهلية. قلت نعم، قال عفا الله عما سلف (9) ثم عاج برأسه إلى المرأة فأمر لى بطعام فالتوت عليه (10) ثم أمرها فالتوت عليه حتى ارتبعت أصراتهما قال إيها (11) دعينا عنك فانكن لن تعدونَّ (12) ما قال لنا فيكن رسول الله صلى الله عليه وسلم قلت وما قال لكم فيهن رسول الله صلى الله عليه وسلم؟ قال المرأة ضلع فإن تذهب تقوّمها تكسرها, وان تدعها ففيها أود (1) وبلغة فولت فجاءت بثريدة كأنها قطاة (2) فقال كل ولا أهولنك (3) انى صائم, ثم قام يصلى فجعل يهذب الركوع ويخففه ورأيته يتحرى أن أشبع أو أقارب, ثم جاء فوضع يده معى فقلت إنا لله وانا اليه راجعون, فقال مالك؟ فقلت من كنت أخشى من الناس أن يكذبنى فما كنت أخشى ان تكذبنى (4) قال لله أبوك, إن كذبتك (5) كذبة منذ لقيتنى؟ فقال الم تخبرنى أنك صائم ثم أراك تأكل؟ قال بلى انى صمت ثلاثة أيام من هذا الشهر فوجب أجره وحل لى الطعام معك
হাদীস নং: ২৭৩
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: সদ্ভাবে জীবন যাপন ও উত্তম আচার-ব্যবহার।
২৭৩। আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ঈমানে সর্বাপেক্ষা পূর্ণাঙ্গ মুমিন সেই, যার চরিত্র অধিকতর সুন্দর। আর শ্রেষ্ঠ মু'মিনেরা তাদের স্ত্রীদের পক্ষে শ্রেষ্ঠ।
(ইবন হিব্বান, তিরমিযী। তিনি বলেছেন, হাদীসটি হাসান, সহীহ। আবু দাউদ হাদীসটিকে أَحْسَنُهُمْ خُلْقًا (তাদের মধ্যে উত্তম চরিত্রের অধিকারী) পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন।)
كتاب النكاح
باب فضل احسان العشرة وحسن العشرة وحسن الخلق مع الزوجة
عن أبى هريرة (7) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أكمل المؤمنين ايمانا أحسنهم خلقا وخيارهم لنسائهم
হাদীস নং: ২৭৪
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: সদ্ভাবে জীবন যাপন ও উত্তম আচার-ব্যবহার।
২৭৪। আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, মু'মিনদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা পূর্ণাঙ্গ ঈমান তার, যে সর্বাপেক্ষা উত্তম চরিত্রের অধিকারী এবং যে তার স্ত্রীর প্রতি সর্বাপেক্ষা কোমল।
(তিরমিযী, নাসাঈ, হাকিম। তিরমিযী বলেছেন, হাদীসটি হাসান, তবে আমরা আয়েশা (রা) থেকে আবূ কিলাবার হাদীস শ্রবণ সম্পর্কে অবগত নই।)
كتاب النكاح
باب فضل احسان العشرة وحسن العشرة وحسن الخلق مع الزوجة
عن عائشة رضى الله عنها (8) قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان من أكمل المؤمنين ايمانا وأحسنهم خلقا والطفهم باهله
হাদীস নং: ২৭৫
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: সদ্ভাবে জীবন যাপন ও উত্তম আচার-ব্যবহার।
২৭৫। এ হাদীসটিও তাঁর থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে আমার কামরার দরজায় দাঁড়াতে দেখেছি। যখন হাবশার লোকেরা ছোট বর্শা দিয়ে খেলা করছিল। তিনি তাঁর চাদর দিয়ে আমাকে পর্দা করেছেন যেন আমি তাদের খেলা দেখতে পারি। অতঃপর আমি নিজে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত তিনি দাঁড়িয়ে থাকেন।
(বুখারী, মুসলিম, এবং অন্যরা। দু' ঈদের পর্বে 'ঈদের দিন তাম্বুরা বাজান এবং খেলা করা' শীর্ষক পরিচ্ছেদে এর সমর্থক হাদীস বর্ণিত আছে।)
كتاب النكاح
باب فضل احسان العشرة وحسن العشرة وحسن الخلق مع الزوجة
وعنها أيضا (9) قالت لقد رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقوم على باب حجرتى والحبشة يلعبون بحرابهم يسترنى بردائه لكى أنظر الى لعبهم ثم يقوم حتى أكون أنا التى أنصرف
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৭৬
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: সদ্ভাবে জীবন যাপন ও উত্তম আচার-ব্যবহার।
২৭৬। হযরত আয়েশা (রা) থেকেই বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মেয়েদের আকৃতির পুতুল দিয়ে খেলা করতাম। আমার সঙ্গিনীরা এসে আমার সাথে খেলা করত। তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে দেখলে পর্দার আড়ালে অদৃশ্য হত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরকে আমার কাছে উপস্থিত করতেন। আর তারা আমার সাথে খেলা করত।
(বুখারী, মুসলিম এবং অন্যরা।)
كتاب النكاح
باب فضل احسان العشرة وحسن العشرة وحسن الخلق مع الزوجة
وعنها رضى الله عنها (10) قالت كنت العب بالبنات (11) ويجئ صواحبى فيلعبن معى فاذا رأين رسول الله صلى الله عليه وسلم أنقمعن (12) وكان رسول الله صلى الله عليه وسلم يدخلهن علىَّ فيلعبن معى
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৭৭
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্ত্রীদের মধ্যে সময় বণ্টন এবং স্বামীর কুমারী ও অকুমারী স্ত্রীর সাথে অবস্থানের সময়কাল।
২৭৭। আব্দুল্লাহ ইবন আমর ইবন আস (রা) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন, যদি কোন ব্যক্তি কুমারীকে বিয়ে করে তাহলে তার কাছে তিনদিন অবস্থান করবে।
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আমি ইমাম আহমদ ছাড়া অন্য কারও হাদীসটি পাইনি। হায়ছামী মাজমাউয যাওয়াইদে হাদীসটিকে উল্লেখ করে বলেছেন, আহমদ হাদীসটিকে বর্ণনা করেছেন। এর সনদে হাজ্জাজ ইবন আরতাহ আছেন। তিনি মুদাল্লিস। এর অন্য বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب النكاح
باب القسم بين الزوجات ومدة اقامة الزوج عند البكر والثيب
عن عمرو بن شعيب (13) عن أبيه عن جده عن النبي صلى الله عليه وسلم قال إذا تزوج الرجل البكر أقام عندها ثلاثة أيام
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৭৮
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্ত্রীদের মধ্যে সময় বণ্টন এবং স্বামীর কুমারী ও অকুমারী স্ত্রীর সাথে অবস্থানের সময়কাল।
২৭৮। আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন সফিয়্যা (রা) কে বিয়ে করেন তখন তাঁর কাছে তিনদিন অবস্থান করেন। আর তিনি অকুমারী ছিলেন।
(আবূ দাউদ, নাসাই, বায়হাকী। আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আবূ দাউদের বর্ণনাকারীগণ সহীহর বর্ণনাকারী।)
كتاب النكاح
باب القسم بين الزوجات ومدة اقامة الزوج عند البكر والثيب
عن أنس بن مالك (1) قال لما اتخذ رسول الله صلى الله عليه وسلم صفية أقام عندها ثلاثا وكانت ثيبا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৭৯
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্ত্রীদের মধ্যে সময় বণ্টন এবং স্বামীর কুমারী ও অকুমারী স্ত্রীর সাথে অবস্থানের সময়কাল।
২৭৯। উম্মে সালামা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন তাঁকে বিবাহ করেন তখন তাঁর কাছে তিনদিন অবস্থান করেন। আর বলেন, তোমার স্বামীর পক্ষ হতে তোমাকে অমর্যাদা করা হবে না। যদি তুমি চাও তাহলে আমি তোমার জন্য সাতদিন নির্ধারিত করি তাহলে আমার অন্য স্ত্রীদের জন্যও সাতদিন নির্ধারিত করব।
(অন্য এক বর্ণনায় আছে, তিনি বলেছেন) তোমার স্বামীর কাছে তোমার মর্যাদা রয়েছে। এ হাদীসের বর্ণনাকারী বলেন, তিনি তাঁর কাছে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করলেন। অতঃপর বললেন, যদি তুমি চাও তাহলে তোমার জন্য সাতদিন নির্ধারিত করব। আর যদি তোমার জন্য সাতদিন নির্ধারিত করি আমার অন্য স্ত্রীদের জন্যও সাতদিন নির্ধারিত করব। আর যদি তুমি চাও তাহলে আমি তোমার জন্য (সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী) পালাবণ্টন করব। তিনি বললেন, না, বরং আপনি আমার জন্য পালাবণ্টন করুন।
(মুসলিম, আবূ দাউদ, ইবন মাজাহ, দারিমী, বায়হাকী, দারা কুতনী, মালিক, শাফিয়ী।)
كتاب النكاح
باب القسم بين الزوجات ومدة اقامة الزوج عند البكر والثيب
عن أم سلمة (2) ان رسول الله صلى الله عليه وسلم لما تزوجها أقام عندها ثلاثة أيام وقال إنه ليس بك على أهلك هوان (3) ,غن شئت سبعت لك (4) , وان سبعت لك سبعت لنسائى (وفى لفظ قال) (5) ان بك على أهلك كرامة, قال الراوى فاقام عندها الى العشىّ (6) ثم قال ان شئت سبعت لك وان سبعت لك سبعت لسائر نسائى, وان شئت قسمت لك, قالت لا بل اقسم لى
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৮০
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্ত্রীদের মধ্যে যে ক্ষেত্রে সমতা রক্ষা ওয়াজিব এবং যে ক্ষেত্রে সমতা রক্ষা ওয়াজিব নয়।
২৮০। আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যদি কারো দু'জন স্ত্রী থাকে, আর সে তাদের এক জনের প্রতি ঝুঁকে পড়ে এবং তাকে বেশী ভালবাসে তাহলে কিয়ামতের দিন তার এক পাশ কাত হওয়া অবস্থায় উপস্থিত হবে।
(দারিমী, ইবন হিব্বান, হাকিম, আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ। হাকিম হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তাঁর কথা সমর্থন করেছেন।)
كتاب النكاح
باب فيما يجب فيه التعديل بين الزوجات ومالا يجب
عن أبى هريرة (7) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من كانت له امرأتان يميل لأحداهما على الأخرى جاء يوم القيامة وأحد شقية ساقط
tahqiq

তাহকীক: