মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني
বিবাহ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২৮৭ টি
হাদীস নং: ২২১
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ স্ত্রী থেকে বীর্য নিরোধ (আযল) প্রসঙ্গ
পরিচ্ছেদ: বীর্য নিরোধে নিষেধাজ্ঞা ও তা অপছন্দনীয় হওয়া।
পরিচ্ছেদ: বীর্য নিরোধে নিষেধাজ্ঞা ও তা অপছন্দনীয় হওয়া।
২২১। জুদামা বিনতে ওয়াহাব আসাদিয়্যা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি শুরুতে মদীনায় হিজরতকারী মহিলাদের অন্যতম ছিলেন- তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে হাদীস শুনেছি। তাঁকে আযল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, তা জীবন্ত পুতে হত্যা করার একটি গোপন পদ্ধতি।
(মুসলিম, বায়হাকী, আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ)
(মুসলিম, বায়হাকী, আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ)
كتاب النكاح
أبواب العزل عن المرأة وما جاء فيه
باب النهى عنه وكراهته
باب النهى عنه وكراهته
عن جدامة بنت وهب الأسدية (3) وكانت من المهاجرات الأول قالت سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم وسئل عن العزل فقال هو الواد (4) الخفى
তাহকীক:
হাদীস নং: ২২২
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ স্ত্রী থেকে বীর্য নিরোধ (আযল) প্রসঙ্গ
পরিচ্ছেদ: বীর্য নিরোধে নিষেধাজ্ঞা ও তা অপছন্দনীয় হওয়া।
পরিচ্ছেদ: বীর্য নিরোধে নিষেধাজ্ঞা ও তা অপছন্দনীয় হওয়া।
২২২। ইবন মুহায়রিয শামী (র) থেকে বর্ণিত, তিনি আবু সিরমা মাযিনী (রা) এবং আবু সাঈদ খুদরী (রা) কে বলতে শুনেছেন, আমরা বনু মুসতালিকের যুদ্ধে যুদ্ধ বন্দিনীদেরকে লাভ করলাম, যাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জুয়ায়রিয়া (রা) কে লাভ করেন। আমাদের কেউ কেউ যুদ্ধ বন্দিনীকে স্ত্রী রূপে গ্রহণ করতে চাচ্ছিল। আর আমাদের কেউ যুদ্ধ বন্দিনীকে উপভোগ করতে এবং বিক্রয় করতে চাচ্ছিল। আমরা আযলের বিষয়ে দ্বিধায় পড়ে গেলাম। আমরা তা নবী (ﷺ) কে অবগত করলাম। তিনি বললেন, তোমরা আযল করবে না, কেননা আল্লাহ কেয়ামতের দিন পর্যন্ত যে সকল মানুষকে সৃষ্টি করার ফয়সালা করেছেন। তোমাদের আযল করা বা না করার প্রত্যেক অবস্থায় তিনি তাদেরকে সৃষ্টি করবেন।
(বুখারী, মুসলিম, এবং অন্যরা)
(বুখারী, মুসলিম, এবং অন্যরা)
كتاب النكاح
أبواب العزل عن المرأة وما جاء فيه
باب النهى عنه وكراهته
باب النهى عنه وكراهته
عن ابن محيريز الشامى (5) انه سمع أبا صرمة (6) المازنى وأبا سعيد الخدرى يقولان أصبنا سبايا فى غزوة بنى المصطلق (7) وهى الغزوة التى أصاب فيها رسول الله صلى الله عليه وسلم جويرية وكان منا من يريد أن يتخذ اهلا, ومنا من يريد أن يستمع ويبيع, فتراجعنا فى العزل (8) فذكرنا ذلك للنبى صلى الله عليه وسلم فقال ما عليكم ان لا تعزلوا (9) فان الله قدر ما هو خالق إلى يوم القيامة
তাহকীক:
হাদীস নং: ২২৩
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ স্ত্রী থেকে বীর্য নিরোধ (আযল) প্রসঙ্গ
পরিচ্ছেদ: বীর্য নিরোধে নিষেধাজ্ঞা ও তা অপছন্দনীয় হওয়া।
পরিচ্ছেদ: বীর্য নিরোধে নিষেধাজ্ঞা ও তা অপছন্দনীয় হওয়া।
২২৩। আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) কে আযল সম্পর্কে অবহিত করা হল। তিনি বললেন, আযল দ্বারা তোমাদের উদ্দেশ্য কি? তাঁরা বললেন, কোন ব্যক্তির স্ত্রী তার শিশুকে দুধ পান করায়, সে তার সাথে সহবাস করে, আর সে তা দ্বারা তার স্ত্রীর গর্ভবতী হওয়া অপছন্দ করে। আর এক ব্যক্তি তার দাসীর সাথে সহবাস করে। আর সে তার গর্ভবতী হওয়া অপছন্দ করে। তিনি বললেন, আযলে তোমাদের কোন ক্ষতি নেই, কেননা সন্তান হওয়া এবং না হওয়াতে তাকদীরই কার্যকর হয়, আযল নয়। এ হাদীসের এক বর্ণনাকারী আউন (র) বলেন, আমি এ হাদীসটি হাসান বছরী (রা) কে বর্ণনা করলাম। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কথা "আযল করলে তোমাদের কোন ক্ষতি নেই।” যেন একটি ধমক।
(মুসলিম, নাসাই, বায়হাকী এবং অন্যরা)
(মুসলিম, নাসাই, বায়হাকী এবং অন্যরা)
كتاب النكاح
أبواب العزل عن المرأة وما جاء فيه
باب النهى عنه وكراهته
باب النهى عنه وكراهته
عن أبى سعيد الخدرى (2) قال ذكر ذلك عند النبى صلى الله عليه وسلم فقال وماذا كم (3)؟ قالوا الرجلتكون له المرأة ترضع فيصيب منها ويكره ان تحمل منه (4) والرجل تكون له الجارية فيصيب منها ويكره ان تحمل منه (5) فقال فلا عليكم ان تفعلوا (6) ذاكم فانما هو القدر قال ابن عون فحدثت به الحسن (7) فقال فلا عليكم لكأن هذا زجر
তাহকীক:
হাদীস নং: ২২৪
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ স্ত্রী থেকে বীর্য নিরোধ (আযল) প্রসঙ্গ
পরিচ্ছেদ: বীর্য নিরোধে নিষেধাজ্ঞা ও তা অপছন্দনীয় হওয়া।
পরিচ্ছেদ: বীর্য নিরোধে নিষেধাজ্ঞা ও তা অপছন্দনীয় হওয়া।
২২৪। হযরত আবূ সাঈদ খুদরী থেকেই বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আযল সম্পর্কে বলেছেন, তুমি কি তাকে সৃষ্টি কর? তুমি কি তাকে রিযিক দাও? তুমি বীর্যকে তার স্থানে রাখবে। যা সৃষ্টি হওয়ার ফয়সালা করা হয়েছে তা হবেই।
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আমি ইমাম আহমদ ছাড়া অন্য কারোর নিকট হাদীসটি এই শব্দে অবগত হইনি। এর সনদ দূর্বল। ইবন হিব্বান "সহীহতে” আবূ যর (রা) থেকে এর সাহেদ মারফু হাদীস বর্ণনা করেছেন:
كذلك فضعه في حلاله وجنبه حرامه ، فإن شاء الله أحياه ، وإن شاء أماته ، ولك أجر
তুমি বীর্যকে তার হালাল স্থানে স্থাপন করবে এবং তাকে তার হারাম স্থান থেকে দূরে রাখবে। আর তাকে তার হালাল স্থানে স্থায়ীভাবে স্থাপন করবে। আল্লাহ চাইলে তা থেকে তোমার সন্তান সৃষ্টি করবেন। আর না চাইলে তা নষ্ট করবেন।”
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আমি ইমাম আহমদ ছাড়া অন্য কারোর নিকট হাদীসটি এই শব্দে অবগত হইনি। এর সনদ দূর্বল। ইবন হিব্বান "সহীহতে” আবূ যর (রা) থেকে এর সাহেদ মারফু হাদীস বর্ণনা করেছেন:
كذلك فضعه في حلاله وجنبه حرامه ، فإن شاء الله أحياه ، وإن شاء أماته ، ولك أجر
তুমি বীর্যকে তার হালাল স্থানে স্থাপন করবে এবং তাকে তার হারাম স্থান থেকে দূরে রাখবে। আর তাকে তার হালাল স্থানে স্থায়ীভাবে স্থাপন করবে। আল্লাহ চাইলে তা থেকে তোমার সন্তান সৃষ্টি করবেন। আর না চাইলে তা নষ্ট করবেন।”
كتاب النكاح
أبواب العزل عن المرأة وما جاء فيه
باب النهى عنه وكراهته
باب النهى عنه وكراهته
وعنه أيضا (8) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم فى العزل انت تخلقه انت ترزقه أقره قراره (9) فانما ذلك القدر
তাহকীক:
হাদীস নং: ২২৫
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: আযল করার অনুমতি
২২৫। জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে আযল করতাম। আর কুরআন অবতীর্ণ হত।
(বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, ইবন মাজাহ, বায়হাকী)
(বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, ইবন মাজাহ, বায়হাকী)
كتاب النكاح
باب فى الرخصة فى العزل
عن جابر بن عبد الله (10) ققال كنا نعزل على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم والقرآن ينزل
তাহকীক:
হাদীস নং: ২২৬
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: আযল করার অনুমতি
২২৬। হযরত জাবির (রা) থেকেই বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এসে বলল, আমার একজন দাসী আছে, সে আমাদের সেবিকা এবং আমাদের পানি সরবরাহ কারিনী। আমি তার সাথে সহবাস করি, অথচ আমি তার গর্ভবতী হওয়া অপছন্দ করি। তিনি বললেন, তার সংগে আযল করাতে তোমার কোন বাধা নেই, কেননা তার জন্য যে সন্তানের ফয়সালা করা হয়েছে সে তা লাভ করবেই। তিনি বলেন, লোকটি কিছুদিন অপেক্ষা করল, অতঃপর তাঁর কাছে এসে বলল, দাসীটি গর্ভবতী হয়েছে। তিনি বললেন, আমি তোমাকে অবহিত করেছি যে, তার জন্য যে সন্তানের ফয়সালা করা হয়েছে সে তা লাভ করবেই।
(মুসলিম, আবূ দাউদ, বায়হাকী)
(মুসলিম, আবূ দাউদ, বায়হাকী)
كتاب النكاح
باب فى الرخصة فى العزل
وعنه أيضا (12) قال جاء رجل الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ان لى جارية وهى خادمنا (13) وسانيتنا أطوف عليها وأنا اكره ان تحمل (14) , قال اعزل عنها إن شئت (15) فإنه سيأتيها ما قدر لها, قال فلبث الرجل ثم أتاه فقال ان الجارية قد حملت, فقال قد أخبرتك أنه سيأتيها ما قدر لها
তাহকীক:
হাদীস নং: ২২৭
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: আযল করার অনুমতি
২২৭। আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা হুনায়নের যুদ্ধে যুদ্ধবন্দিনীদেরকে লাভ করলাম। আমরা তাদের মুক্তিপনের কামনা করছিলাম। আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে আযল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, সে বিষয় তোমাদের যা মনে হয় তোমরা তা করবে। আল্লাহ যে সন্তান হওয়ার ফয়সালা করেছেন সে হবেই, কেননা প্রত্যেক বীর্য থেকে সন্তান হয়না।
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আমি ইমাম আহমদ ছাড়া অন্য কারোর কিন্তু হাদীসটি অবগত হইনি। হাদীসটির সনদ উত্তম। হাফিয সূয়ূতি হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। এর পূর্ববর্তী হাদীস একে শক্তিশালী করে।)
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আমি ইমাম আহমদ ছাড়া অন্য কারোর কিন্তু হাদীসটি অবগত হইনি। হাদীসটির সনদ উত্তম। হাফিয সূয়ূতি হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। এর পূর্ববর্তী হাদীস একে শক্তিশালী করে।)
كتاب النكاح
باب فى الرخصة فى العزل
عن ابى سعيد الخدرى (1) قال اصبنا سبيا فى يوم حنين (2) فكنا نلتمس فداءهن (3) فسالنا رسول الله صلى الله عليه وسلم عن العزل فقال اصنعوا ما بدا لكم (4) فما قضى اله فهو كائن (5) فليس من كل الماء يكون الولد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২২৮
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: আযল করার অনুমতি
২২৮। হযরত আবূ সা'ঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে বলল, আমার একজন দাসী আছে। আমি তার সাথে আযল করি। আর তার গর্ভবতী হওয়া অপছন্দ করি। ইহুদীরা ধারণা করে যে, এটা জীবন্ত কবর দেয়ার লঘু পদ্ধতি। তিনি বললেন, ইহুদীরা মিথ্যা বলেছে। যদি আল্লাহ কাউকে সৃষ্টি করতে চান তাহলে তুমি তাকে রোধ করতে সক্ষম হবেনা।
(আবূ দাউদ, বায়হাকী, বাযযার। হাফিয ইবন হাজার বলেছেন, হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। তিরমিযী জাবির (রা) থেকে এর সমর্থক হাদীস বর্ণনা করে বলেছেন, জাবির (রা)-এর হাদীস হাসান সহীহ।)
(আবূ দাউদ, বায়হাকী, বাযযার। হাফিয ইবন হাজার বলেছেন, হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। তিরমিযী জাবির (রা) থেকে এর সমর্থক হাদীস বর্ণনা করে বলেছেন, জাবির (রা)-এর হাদীস হাসান সহীহ।)
كتاب النكاح
باب فى الرخصة فى العزل
وعنه ايضا (6) ان رجلا قال لرسول الله صلى الله عليه وسلم ان لى امة وانا أعزل وأنى أكره ان تحمل, وان اليهود تزعم انها الموءودة الصغرى قال كذبت يهود (7) اذا أراد الله ان يخلقه لم تستطع ان ترده
তাহকীক:
হাদীস নং: ২২৯
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: আযল করার অনুমতি
২২৯। আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি নবী (ﷺ)-এর কাছে এসে তাঁকে আযল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যে বীর্য থেকে সন্তান হবে যদি তুমি তা পাথরের উপর প্রবাহিত কর তাহলেও আল্লাহ তা'আলা তা থেকেই সন্তান বের করবেন। আল্লাহ যে মানুষকে সৃষ্টি করার ইচ্ছা করেছেন তাকে সৃষ্টি করবেনই।
(বাযযার, ইবন হিব্বান। ইবন হিব্বান হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।)
(বাযযার, ইবন হিব্বান। ইবন হিব্বান হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।)
كتاب النكاح
باب فى الرخصة فى العزل
عن انس بن مالك (8) قال جاء رجل الى النبى صلى الله عليه وسلم وسأل عن العزل فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم لو ان الماء الذى يكون منه الولد اهرقته (9) على صخرة لأخرج الله عز وجل منها او لخرج منها ولد (10) الشك منه وليخلقن لله نفساً هو خالقها
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩০
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : গর্ভাবস্থায় শিশুকে দুধ পান করান মাকরূহ এবং তার কারণে বীর্য প্রত্যাহার করার অনুমতি।
২৩০। আসমা বিনতে ইয়াযীদ ইবন সাকান আনসারী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে গোপনে হত্যা করবেনা, কেননা গর্ভাবস্থায় যে দুধ পান করা হয় তা ঐ দুধ পানকারী শিশুর শরীরে খারাপ প্রতিক্রিয়া করে এমনকি যখন সে বড় হয়ে ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে যুদ্ধরত হয় তখন তা তাকে দূর্বল করে এবং তাকে ভূপাতিত করে এবং ধ্বংস করে।
(আবূ দাউদ, বায়হাকী। আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, হাদীসটির সনদ হাসান।)
(আবূ দাউদ, বায়হাকী। আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, হাদীসটির সনদ হাসান।)
كتاب النكاح
باب ما جاء فى كراهة الغيلة والرخصة فى العزل لاجل ذلك
عن اسماء بنت يزيد بن سكن الأنصارية (1) قالت سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يثول لا تقتلوا أولادكم سرا, فان الغيل (2) يدرك الفارس فيد غيره (3) من فوق رأسه قال على (4) أسماء بنت يزيد الأنصارية قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم فذكر مثله
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩১
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : গর্ভাবস্থায় শিশুকে দুধ পান করান মাকরূহ এবং তার কারণে বীর্য প্রত্যাহার করার অনুমতি।
২৩১। জুদামা বিনতে ওয়াহাব আসাদী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে বলতে শুনেছি, আমি গর্ভাবস্থায় দুধ পান করানো নিষেধ করতে চাওয়ার পর স্মরণ করলাম যে, পারস্য বাসীরা এবং রোম বাসীরা গর্ভাবস্থায় দুধ পান করায়। আর তা তাদের সন্তানদের ক্ষতি করে না।
(মুসলিম, নাসাঈ, বায়হাকী)
(মুসলিম, নাসাঈ, বায়হাকী)
كتاب النكاح
باب ما جاء فى كراهة الغيلة والرخصة فى العزل لاجل ذلك
عن جدامة بنت وهب الأسدية (5) قالت سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول لقد هممت ان انهى عن الغيلة (6) حتى ذكرت ان فارس والروم يفعلون ذلك فلا يضر اولادهم
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩২
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : গর্ভাবস্থায় শিশুকে দুধ পান করান মাকরূহ এবং তার কারণে বীর্য প্রত্যাহার করার অনুমতি।
২৩২। উসামা ইবন যায়দ (রা) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি নবী (ﷺ)-এর কাছে এসে বলল, আমি আমার স্ত্রীর সংগে আযল করি। তিনি বললেন, কেন? সে বলল, তার সন্তান দূর্বল হওয়ার ভয়ে। তিনি বললেন, যদি তুমি সে কারণেই তোমার স্ত্রীর সংগে আযল কর তাহলে তা করবেনা, কেননা তা পারস্যবাসী এবং রোমবাসীদেরকে ক্ষতি করেনা।
(বুখারী, আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, বায়হাকী)
(বুখারী, আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, বায়হাকী)
كتاب النكاح
باب ما جاء فى كراهة الغيلة والرخصة فى العزل لاجل ذلك
عن اسامة بن زيد (7) ان رجلا جاء الى النبى لى الله عليه وسلم فقال انى أعزل عن امرأتى (8) قال لم؟ قال شفقا على ولدها (9) او على أولادها فقال ان كان لذلك فلا (10) ما ضار ذلك فارس ولا الروم
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৩
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : গর্ভাবস্থায় শিশুকে দুধ পান করান মাকরূহ এবং তার কারণে বীর্য প্রত্যাহার করার অনুমতি।
২৩৩। আবু সাঈদ যুরাকী (রা) থেকে বর্ণিত, আশজা' গোত্রের জনৈক ব্যক্তি নবী (ﷺ)কে বীর্য নিরোধ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল। সে বলল, আমার স্ত্রী দুধ পান করায়। নবী (ﷺ) বললেন, জরায়ুতে যে আসার ফয়সালা করা হয়েছে সে আসবেই।
(নাসাঈ। হাদীসটির সনদে আব্দুল্লাহ ইবন মুররাহ আছেন। হাফিয ইবন হাজার "তাকরীবে" তাঁকে অজ্ঞাত বর্ণনাকারী বলেছেন।)
(নাসাঈ। হাদীসটির সনদে আব্দুল্লাহ ইবন মুররাহ আছেন। হাফিয ইবন হাজার "তাকরীবে" তাঁকে অজ্ঞাত বর্ণনাকারী বলেছেন।)
كتاب النكاح
باب ما جاء فى كراهة الغيلة والرخصة فى العزل لاجل ذلك
عن أبى سعيد الزرقى (11) ان رجلا من اشجع سأل النبى صلى الله عليه وسلم عن العزل فقال ان امرأتى ترضع, فقال النبى صلى الله عليه وسلم ان ما يقدر فى الرحم (12) فسيكون
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৪
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: সহবাসের সময় যা ঘটে তা অন্যের কাছে বলা স্বামী-স্ত্রীর জন্য হারাম।
২৩৪। আবু নাদরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি তুফাওয়া গোত্রের জনৈক ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, আমি আবূ হুরায়রা (রা) এর মেহমান হলাম। আর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবীগণ (রা) এর মধ্যে কাউকে আবূ হুরায়রা (রা) এর চেয়ে বেশি অতিথি পরায়ন এবং অতিথি সৎকারে অধিক যত্নবান কাউকে দেখিনি। আমি যখন তাঁর কাছে ছিলাম তখন তিনি চৌকির উপর ছিলেন। আর তাঁর নীচে জনৈকা কালো দাসী ছিল। আর তার সাথে ছোট ছোট কংকর বা খেজুরের বীচিপূর্ণ একটি থলে ছিল। তিনি সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ বলছিলেন। যখন থলের মধ্যে তার একটিও অবশিষ্ট থাকল না তখন তিনি তাকে তা দিলেন। সে কংকর বা খেজুরর বীচিগুলিকে একত্রিত করে থলের মধ্যে রাখল। অতঃপর তাকে তা দিল। অতঃপর তিনি আমাকে বললেন, আমি কি তোমাকে আমার এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পক্ষ থেকে হাদীস বর্ণনা করব না? আমি বললাম, নিশ্চয়ই, তিনি বললেন, আমি যখন জ্বরের যন্ত্রণায় মসজিদে গড়াগড়ি দিচ্ছিলাম, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য মসজিদে প্রবেশ করে বললেন, দাউস বংশের যুবককে কে দেখেছে, দাউস বংশের যুবককে কে দেখেছে? জনৈক ব্যক্তি তাঁকে বলল, সে এ মসজিদের প্রান্তে জ্বরের যন্ত্রণায় গড়াগড়ি খাচ্ছে হে আল্লাহর রাসূল, আপনি তাকে সেখানে দেখতে পাবেন। তিনি এসে তাঁর হাত আমার উপর রেখে আমাকে সান্তনামূলক কথা বললেন। তাতে আমি উঠে দাঁড়ালাম। তিনি আমার কাছ থেকে চলে গিয়ে তাঁর নামায পড়ার স্থানে দাঁড়ালেন। সেদিন তাঁর সাথে দু' কাতার পুরুষ ও এক কাতার মহিলা বা দু' কাতার মহিলা ও এক কাতার পুরুষ ছিল। তিনি তাদের মুখোমুখি হয়ে বললেন, যদি শয়তান আমাকে আমার নামায থেকে কিছু ভুলিয়ে দেয় তাহলে পুরুষেরা যেন তাসবীহ পড়ে এবং মহিলারা হাত তালি দেয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামায পড়লেন। আর তাঁর নামায থেকে কিছু ভুলে গেলেন না। তিনি যখন সালাম ফিরালেন তখন পুরুষদের মুখোমুখি হয়ে বললেন, তোমরা তোমাদের স্থানে অবস্থান করো। তোমাদের মধ্যে কি কেউ দরজা বন্ধ করে এবং পর্দা ঝুলিয়ে দিয়ে তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে। অতঃপর বের হয়ে মানুষকে বলে, আমি আমার স্ত্রীর সাথে এরূপ করেছি, আমি আমার স্ত্রীর সাথে এরূপ করেছি? তারা চুপ থাকল। অতঃপর তিনি মহিলাদের মুখোমুখি হয়ে বললেন, তোমাদের মধ্যে কেউ কি তা বলে? জনৈকা উদ্ভিন্ন যৌবনা নারী এক হাঁটু গেড়ে বসে গলা উঁচু করল যেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে দেখতে পান, আর তার কথা শুনতে পান। সে বলল, হাঁ, আল্লাহর শপথ, নিশ্চয়ই পুরুষেরা তা আলোচনা করে। আর নিশ্চয়ই মহিলারা তা আলোচনা করে। তিনি বললেন, যে তা করে তোমরা কি (বেহায়াপনা এবং নির্লজ্জতায়) তার উদাহরণ জান? যে তা করে তার উদাহরণ: পুরুষ শয়তান এবং মহিলা শয়তান। পুরুষ শয়তান মহিলা শয়তানের সাথে গলিতে সাক্ষাৎ করে তার সাথে সহবাস করে। আর মানুষ তাকিয়ে তার সহবাস করা দেখে। অতঃপর তিনি বললেন, কোন পুরুষ অন্য পুরুষের সাথে এবং কোন মহিলা অন্য মহিলার সাথে এক বিছানায় কোন প্রতিবন্ধক ছাড়া ঘুমাবে না, তবে পিতা তার পুত্রের সাথে এবং পুত্র তার পিতার সাথে এক বিছানায় কোন প্রতিবন্ধকতা ছাড়া ঘুমাতে পারবে। তিনি বলেন, আর তিনি তৃতীয় বিষয় বর্ণনা করেছেন যা আমি ভুলে গিয়েছি। "পুরুষের জন্য বৈধ প্রসাধনী যার গন্ধ আছে রং নেই। আর মহিলার জন্য বৈধ প্রসাধনী যার রং আছে গন্ধ নেই।"
(আবূ দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, বায়হাকী) হাদীসটির সনদে তুফাওয়া গোত্রের জনৈক ব্যক্তি আছেন। তিনি অজ্ঞাত বর্ণনাকারী।)
(আবূ দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, বায়হাকী) হাদীসটির সনদে তুফাওয়া গোত্রের জনৈক ব্যক্তি আছেন। তিনি অজ্ঞাত বর্ণনাকারী।)
كتاب النكاح
باب نهي الزوجين عن التحديث بما يجرى حال الوقاع
عن ابى نضرة (1) عن رجل من الطفاوة (2) قال نزلت على ابى هريرة قال ولم ادرك من صحابة رسول الله صلى الله عليه وسلم رجلا أشد تشميرا (3) ولا أقوم على ضيف منه فبينما أنا عنده وهو على سرير له وأسفل منه جارية سوداء ومعه كيس فيه حصى او نوى يقول سبحان الله سبحان الله حتى اذا أنفذ (4) ما فى الكيس القاه اليها فجمعته فجعلته فى الكيس ثم دفعته اليه, فقال لى ألا أحدثك عنى وعن رسول الله صلى الله عليه وسلم؟ قلت بلى, قال فانى بينما أنا أوعك (5) فى مسجد المدينة اذ دخل علىّ رسول اله صلى الله عليه وسلم المسجد فقال من أحسّ (6) الفتى الدوسى من احس الفتى الدوسى؟ فقال له قائل هو ذاك يوعك فى جانب المسجد حيث ترى يا رسول الله, فجاء فوضع يده علىّ وقال لى معروفا (7) فقمت فانطلق حتى قام فى مقامه الذى يصلى فيه ومعه يومئذ صفان من رجال وصف من نساء أو صفان (8) من نساء وصف من رجال, فاقبل عليهم فقال ان أنسائى الشيطان شيئا من صلاتى (9) فليسبح القوم وليصفق النساء, فصلى رسول الله صلى الله عليه وسلم ولم ينس من صلاته شيئا, فلما سلم أقبل عليهم بوجهه فقال مجالسكم (10) هل منكم من اذا أتى أهله أغلق بابه وارخى ستره ثم يخرج فيتحدث فيقول فعلت باهلى كذا وفعلت باهلى كذا؟ فسكتوا فأقبل على النساء فقال هل منكن من تحدث؟ فجثث (11) فتاة كعاب على إحدى ركبتيها وتطاولت (12) ليراها رسول الله صلى الله عليه وسلم ويسمع كلامها فقالت إى والله (13) إنهم ليحدِّثون وإنهن ليحدّثن, فقال هل تدرون ما مثل من فعل ذلك؟ (14) ان مثل من فعل ذلك مثل شيطان وشيطانة لقى احدهما صاحبه بالسكة قضى حاجته منها والناس ينظرون اليه, ثم قال ألا لا يفضين (15) رجل الى رجل ولا امرأة الى امرأة الا الى ولد أو والد, قال وذكر ثالثة فنسيتها ألا إن طيب الرجل ما وجد ريحه ولم يظهر لونه (1) ألا ان طيب النساء ما ظهر لونه ولم يوجد ريحه
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৫
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: সহবাসের সময় যা ঘটে তা অন্যের কাছে বলা স্বামী-স্ত্রীর জন্য হারাম।
২৩৫। আবূ সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কোন পুরুষের জন্য স্ত্রী সহবাস নিয়ে গর্ব করা হারাম।
(বায়হাকী, আবু ইয়ালা, হাদীসটি হাসান)
(বায়হাকী, আবু ইয়ালা, হাদীসটি হাসান)
كتاب النكاح
باب نهي الزوجين عن التحديث بما يجرى حال الوقاع
عن أبى سعيد الخدرى (3) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الشياع (4) حرام قال الن لهيعة يعنى به الذى يفتخر بالجماع
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৬
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: সহবাসের সময় যা ঘটে তা অন্যের কাছে বলা স্বামী-স্ত্রীর জন্য হারাম।
২৩৬। হযরত আবূ সা'ঈদ খুদরী (রা) বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহর কাছে কিয়ামতের দিন আমানতের এক বড় খিয়ানত হল স্বামীর স্ত্রী সহবাস করা, আর স্ত্রীর স্বামীকে উপভোগ করা, অতঃপর স্ত্রীর গুপ্ত বিষয় স্বামী কর্তৃক প্রকাশ করা।
(মুসলিম, আবু দাউদ, বায়হাকী)
(মুসলিম, আবু দাউদ, বায়হাকী)
كتاب النكاح
باب نهي الزوجين عن التحديث بما يجرى حال الوقاع
وعنه أيضا (5) قال قال رسول الله صلى الله وسلم ان من أعظم الأمانة (6) عند الله يوم القيامة الرجل (7) يفضى الى امرأته وتفضى اليه ثم ينشر سرها
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৭
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: সহবাসের সময় যা ঘটে তা অন্যের কাছে বলা স্বামী-স্ত্রীর জন্য হারাম।
২৩৭। আসমা বিনতে ইয়াযীদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি এবং পুরুষ ও মহিলারা যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে বসা ছিলেন তখন বললেন, হয়ত কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে যা করে তা মানুষকে বলে, আর হয়ত কোন মহিলা তার স্বামীর সাথে যা করে তা মানুষকে অবহিত করে। উপস্থিত লোকেরা চুপ থাকল। আমি বললাম, হাঁ, আল্লাহর শপথ, হে আল্লাহর রাসূল, নিশ্চয়ই মহিলারা ও পুরুষেরা তা মানুষকে বলে। তিনি বললেন, তোমরা এরূপ কাজ থেকে বিরত থাকবে, কেননা তা ঐ পুরুষ শয়তানের মত যে রাস্তায় মহিলা শয়তানের সাথে মিলিত হয়ে তার সাথে সঙ্গম করে। আর মানুষ তা তাকিয়ে দেখে।
(তাবারানী আল-মু'জামুল কাবীরে। হাদীসটি হাসান)
(তাবারানী আল-মু'জামুল কাবীরে। হাদীসটি হাসান)
كتاب النكاح
باب نهي الزوجين عن التحديث بما يجرى حال الوقاع
عن اسماء بنت يزيد (9) أنها كانت عند رسول الله صلى الله عليه وسلم والرجال والنساء قعود عنده فقال لعل رجلا يقول ما يفعل باهله, ولعل امرأة تخبر بما فعلت مع زوجها فأرمَّ (1) القوم فقلت إى والله يا رسول الله انهن ليقلن وانهم ليفعلون, قال فلا تفعلوا, فأنما ذلك مثل الشيطان لقى شيطانه فى طريق فغشيها والناس ينظرون
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৮
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : স্ত্রীর পায়ুদেশে সম্ভোগ করা হারাম আর তার পিছন দিক থেকে তাদের যৌনাংগে সম্ভোগ করা জায়েয।
২৩৮। আলী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক বেদুঈন নবী (ﷺ)-এর কাছে এসে বলল, আমরা মরুভূমিতে অবস্থান করি, আর আমাদের কারোর বায়ু নির্গত হয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আল্লাহ তা'আলা সত্য বলতে লজ্জা করেন না। যদি কারো এমন হয়, সে যেন অযু করে। আর তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের পায়ূপথে সম্ভোগ করবে না।
(হায়ছামী, মাজমাউয যাওয়াইদে হাদীসটিকে উল্লেখ করে বলেছেন, আহমদ হাদীসটিকে আলী ইবন আবু তালিব (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। তাঁর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আবু দাউদ এবং নাসাঈ হাদীসটিকে আলী ইবন আবূ তালিব (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। আর তিরমিযী হাদীসটিকে দু'বর্ণনা সূত্রে বর্ণনা করেছেন। প্রথমটির বর্ণনাকারী আলী ইবন আবূ তালিব (রা) আর দ্বিতীয়টির বর্ণনাকারী আলী ইবন তাল্ল্ক (রা)। তিনি বলেছেন, আলী ইবন তালক (রা)এর হাদীস হাসান।)
(হায়ছামী, মাজমাউয যাওয়াইদে হাদীসটিকে উল্লেখ করে বলেছেন, আহমদ হাদীসটিকে আলী ইবন আবু তালিব (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। তাঁর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আবু দাউদ এবং নাসাঈ হাদীসটিকে আলী ইবন আবূ তালিব (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। আর তিরমিযী হাদীসটিকে দু'বর্ণনা সূত্রে বর্ণনা করেছেন। প্রথমটির বর্ণনাকারী আলী ইবন আবূ তালিব (রা) আর দ্বিতীয়টির বর্ণনাকারী আলী ইবন তাল্ল্ক (রা)। তিনি বলেছেন, আলী ইবন তালক (রা)এর হাদীস হাসান।)
كتاب النكاح
باب النهى عن إيتان المرأة فى دبرها- وجواز التجبيب وهو اتياتها من دبرها فى قبلها
عن على رضى الله عنه (2) قال جاء اعرابى الى النبى صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله إنا نكون بالبادية فتخرج من احدنا الرويحة (3) , فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان الله عز وجل لا يستحيي من الحق, اذا فعل أحدكم فليتوضأ, ولا تأتوا النساء فى أعجازهن (4) وقال مرة فى ادبارهن
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৯
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : স্ত্রীর পায়ুদেশে সম্ভোগ করা হারাম আর তার পিছন দিক থেকে তাদের যৌনাংগে সম্ভোগ করা জায়েয।
২৩৯। ক- আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ তা'আলা ঐ ব্যক্তির দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকান না যে তার স্ত্রীর পিছনের রাস্তায় সম্ভোগ করে।
(নাসাঈ, ইবন মাজাহ, বাযযার, বায়হাকী। হাদীসটির সনদে হারিস ইবন মুখাল্লাদ আছেন। হাফিয ইবন হাজর "তাকরীবে" বলেছেন, তাঁর অবস্থা জানা যায় না। যাঁরা তাঁকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবী বলেছেন, তাঁরা ভুল করেছেন।)
খ- এ হাদীসটি আবূ হুরায়রা (রা) থেকেই বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তা'আলার রহমত থেকে সেই ব্যক্তি বঞ্চিত থাকবে, যে স্ত্রীর পিছনের রাস্তায় সম্ভোগ করে।
(আবু দাউদ, নাসাঈ এবং অন্যরা। হাদীসটির সনদেও হারিস ইবন মুখাল্লাদ আছেন। এই অধ্যায়ের অন্য হাদীসসমূহ এই হাদীস-দু'টিকে শক্তিশালী করে।)
(নাসাঈ, ইবন মাজাহ, বাযযার, বায়হাকী। হাদীসটির সনদে হারিস ইবন মুখাল্লাদ আছেন। হাফিয ইবন হাজর "তাকরীবে" বলেছেন, তাঁর অবস্থা জানা যায় না। যাঁরা তাঁকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবী বলেছেন, তাঁরা ভুল করেছেন।)
খ- এ হাদীসটি আবূ হুরায়রা (রা) থেকেই বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তা'আলার রহমত থেকে সেই ব্যক্তি বঞ্চিত থাকবে, যে স্ত্রীর পিছনের রাস্তায় সম্ভোগ করে।
(আবু দাউদ, নাসাঈ এবং অন্যরা। হাদীসটির সনদেও হারিস ইবন মুখাল্লাদ আছেন। এই অধ্যায়ের অন্য হাদীসসমূহ এই হাদীস-দু'টিকে শক্তিশালী করে।)
كتاب النكاح
باب النهى عن إيتان المرأة فى دبرها- وجواز التجبيب وهو اتياتها من دبرها فى قبلها
عن أبي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لا ينظر الله إلى رجل يأتي امرأته في دبرها»
وعنه ايضا (7) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ملعون (8) من أتى امرأته فى دبرها
وعنه ايضا (7) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ملعون (8) من أتى امرأته فى دبرها
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪০
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : স্ত্রীর পায়ুদেশে সম্ভোগ করা হারাম আর তার পিছন দিক থেকে তাদের যৌনাংগে সম্ভোগ করা জায়েয।
২৪০। খুযায়মা ইবন সাবিত (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ সত্য বলতে লজ্জা করেন না। তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের পিছনের রাস্তায় সম্ভোগ করবে না।
(শাফিয়ী, নাসাঈ, ইবন মাজাহ। হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
(শাফিয়ী, নাসাঈ, ইবন মাজাহ। হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب النكاح
باب النهى عن إيتان المرأة فى دبرها- وجواز التجبيب وهو اتياتها من دبرها فى قبلها
عن خزيمة بن ثابت (9) ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ان الله لا يستحيي من الحق لا تأتوا النساء في أدبارهن
তাহকীক: