মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২৪- রোগব্যধি ও রুকইয়া,চিকিৎসা অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৭ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৪৫২১

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৫২১। হযরত আবু সায়ীদ খুদরী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসিয়া বলিল, আমার ভাইয়ের পেট ছুটিয়াছে। তখন রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, তাহাকে মধু পান করাও। সে মধু পান করাইল। সে আবার আসিয়া বলিল, আমি তাহাকে মধু পান করাইয়াছি, ইহাতে তাহার দাস্ত আরও বাড়িয়া গিয়াছে। এইভাবে তিনি তাহাকে তিনবার বলিলেন, (অর্থাৎ, লোকটি আসিয়া তাহার ভাইয়ের দাস্ত ক্রমশ বাড়িয়া যাওয়ার অভিযোগ জানাইত। আর নবী [ছাঃ] তাহাকে প্রত্যেকবার মধু পান করানোর নির্দেশ দিতেন।) অতঃপর সে চতুর্থবার আসিয়া একই অভিযোগ করিল। এই বারও নবী (ছাঃ) বলিলেন, তাহাকে মধু পান করাও। সে বলিল, আমি অবশ্যই তাহাকে মধু পান করাইয়াছি। কিন্তু তাহার দাস্ত আরও বাড়িয়া গিয়াছে। তখন রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, আল্লাহ্ (তাঁহার কালামে) যাহা বলিয়াছেন, তাহা সত্য, তোমার ভাইয়ের পেট মিথ্যা। (অর্থাৎ, পেটে এখনও দূষিত পদার্থ রহিয়া গিয়াছে। অতঃপর (চতুর্থবার) তাহাকে মধু পান করাইল এবং সে আরোগ্য লাভ করিল। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৫২২

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৫২২। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন তোমরা যেই সব জিনিস দ্বারা চিকিৎসা কর, এর মধ্যে শিংগা লাগানো এবং কোস্ত বাহুরী ব্যবহার করা সর্বোত্তম। -মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৫২৩

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৫২৩। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন উযরা রোগের জন্য তোমাদের শিশুদের জিহ্বার তালু দাবাইয়া তাহাদিগকে কষ্ট দিও না, বরং তোমরা কোস্ত ব্যবহার কর। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৫২৪

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৫২৪। হযরত উম্মে কায়স (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ কেন তোমরা শিশু-সন্তানদের তালু দাবাইয়া এইভাবে কষ্ট দিতেছ? অবশ্যই তোমরা এই রোগের জন্য (অর্থাৎ, আল-জিহ্বা ফুলার জন্য) উদে হিন্দী ব্যবহার কর। কেননা, ইহাতে সাত রকম রোগের নিরাময় নিহিত আছে। তন্মধ্যে একটি হইল পাঁজরের ব্যথা। বাচ্চাদের আল-জিহ্বা ফুলার ব্যথা হইলে উহা ঘষিয়া পানির সাথে মিশ্রিত করিয়া ফোঁটা ফোঁটা নাকের ভিতরে দিবে। আর পাঁজরের ব্যথা হইলে মুখ দিয়া খাওয়াইতে হইবে। — মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৫২৫

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৫২৫। হযরত আয়েশা ও রাফে' ইবনে খাদীজ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন : জ্বরের উৎপত্তি জাহান্নামের তাপ হইতে। সুতরাং তোমরা পানি দ্বারা উহা ঠাণ্ডা কর। – মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৫২৬

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৫২৬। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কাহারো উপর বদ নজর লাগিলে, কোন বিষাক্ত প্রাণী দংশন করিলে এবং পাজরে খুজলি উঠিলে রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাসাল্লাম ঝাড়ফুঁক করিতে অনুমতি দিয়াছেন। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৫২৭

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৫২৭। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, (কাহারো উপর) বদ নজর লাগিলে নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঝাড়ফুঁক করিতে নির্দেশ দিয়াছেন। --মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৫২৮

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৫২৮। হযরত উম্মে সালামা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁহার (উম্মে সালামার ঘরে একটি মেয়ে দেখিতে পাইলেন, তাহার চেহারায় (বদ নজরের) চিহ্ন ছিল। অর্থাৎ, চেহারাটি হলুদ বর্ণ ধারণ করিয়াছিল। তখন তিনি বলিলেন ইহার জন্য ঝাড়ফুঁক কর, কেননা তাহার উপর নজর লাগিয়াছে। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৫২৯

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৫২৯। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম মন্তর তথা ঝাড়ফুঁক করা হইতে নিষেধ করিয়াছেন। (এই নিষেধের পর আমর ইবনে হাযমের বংশের কয়েকজন লোক আসিয়া বলিল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাদের কাছে এমন একটি মন্তর আছে, যাহার দ্বারা আমরা বিচ্ছুর দংশনে ঝাড়ফুঁক করিয়া থাকি। অথচ আপনি মন্তর পড়া হইতে নিষেধ করিয়াছেন। অতঃপর তাহারা মন্তরটি নবী (ছাঃ)-কে পড়িয়া শুনাইল। তখন তিনি বলিলেন: আমি তো ইহার মধ্যে দোষের কিছু দেখিতেছি না। অতএব, তোমাদের যে কেহ নিজের কোন ভাইয়ের কোন উপকার করিতে পারে, সে যেন অবশ্যই তাহার উপকার করে। মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৫৩০

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৫৩০। হযরত আওফ ইবনে মালেক আজায়ী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, জাহিলী যুগে আমরা মন্তর পড়িয়া ঝাড়ফুঁক করিতাম। সুতরাং (ইসলাম গ্রহণের পর) আমরা জিজ্ঞাসা করিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ । এই সমস্ত মন্তর সম্পর্কে আপনার মতামত কি? তখন তিনি বলিলেন: আচ্ছা, তোমাদের মন্তরগুলি আমাকে পড়িয়া শুনাও। (তবে কথা হইল, মন্তর দিয়া ঝাড়ফুঁক করিতে কোন আপত্তি নাই, যদি উহার মধ্যে শেরেকী কিছু না থাকে। -মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৫৩১

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৫৩১। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন নজর লাগা একটি বাস্তব সত্য। যদি কোন জিনিস তাকদীর পরিবর্তন করিতে সক্ষম হইত, তবে বদ নজরই তাহা করিতে পারিত। আর যদি তোমাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধোয়া পানি চাওয়া হয়, তবে অবশ্যই ধুইয়া দিবে। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৫৩২

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৫৩২। হযরত উসামা ইবনে শারীক (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আমরা কি ঔষধপত্র ব্যবহার করিব? তিনি বলিলেনঃ হ্যাঁ। হে আল্লাহর বান্দাগণ! চিকিৎসা কর। কেননা, বার্ধক্য রোগ ব্যতীত আল্লাহ্ তা'আলা এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেন নাই, যাহার (ঔষধ) নিরাময় সৃষ্টি করেন নাই। – আহমদ, তিরমিযী, আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৫৩৩

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৫৩৩। হযরত ওকবা ইবনে আমের (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমরা তোমাদের রোগীদিগকে পানাহারের জন্য জবরদস্তি করিও না। কেননা, আল্লাহ্ তা'আলা তাহাদিগকে খাওয়ান এবং পান করান। —তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্ । তিরমিযী বলিয়াছেন, হাদীসটি গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৫৩৪

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৫৩৪। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, নবী (ﷺ) হযরত আসআদ ইবনে যোরারার গায়ে অগ্নি-বাতের দরুন তপ্ত লোহা দ্বারা দাগাইয়াছেন। —তিরমিযী এবং তিনি বলিয়াছেন, এই হাদীসটি গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৫৩৫

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৫৩৫। হযরত যায়দ ইবনে আরকাম (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদিগকে পাজরে ব্যথার চিকিৎসায় কোস্ত বাহুরী ও যয়তুনের তৈল ব্যবহারের নির্দেশ দিয়াছেন। —তিরমিযী
(কোস্ত বাহরী সম্পর্কে ৪৩২৩ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।)
(কোস্ত বাহরী সম্পর্কে ৪৩২৩ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।)

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৫৩৬

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৫৩৬। হযরত যায়দ ইবনে আরকাম (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) পাঁজরে ব্যথার রোগের চিকিৎসায় যয়তুনের তৈল এবং অরস্ ঘাস ব্যবহার করার উপদেশ দিতেন। —তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৫৩৭

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৫৩৭। হযরত আসমা বিনতে উমায়স (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, নবী (ﷺ) তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমরা জোলাবের জন্য কি জিনিস ব্যবহার কর ? আমা বলিলেন, শোবরাম ব্যবহার করি। নবী (ﷺ) বলিলেনঃ উহা তো অত্যধিক গরম ভীষণ গরম। আসমা বলেন, পরে আমি সানা দ্বারা জোলাব লই। তখন নবী (ﷺ) বলিলেনঃ যদি মৃত্যু হইতে রক্ষার কোন ঔষধ থাকিত, তবে সানা-এর মধ্যেই থাকিত। —তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্, ইমাম তিরমিযী বলিয়াছেন, হাদীসটি হাসান ও গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান