মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২৪- রোগব্যধি ও রুকইয়া,চিকিৎসা অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৫২৫
- রোগব্যধি ও রুকইয়া,চিকিৎসা অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৫২৫। হযরত আয়েশা ও রাফে' ইবনে খাদীজ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন : জ্বরের উৎপত্তি জাহান্নামের তাপ হইতে। সুতরাং তোমরা পানি দ্বারা উহা ঠাণ্ডা কর। – মোত্তাঃ
كتاب الطب والرقى
وَعَنْ عَائِشَةَ وَرَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْحمى من فيج جَهَنَّم فَأَبْرِدُوهَا بِالْمَاءِ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
বিজ্ঞানের মতে সকল প্রকার তাপের উৎস হইল সূর্য। বেহেস্ত-দোযখ যেহেতু বিজ্ঞানের গবেষণা বহির্ভূত জিনিস, সেহেতু এ সম্পর্কে বিজ্ঞানের সাথে ইসলামের বিরোধ অবিরোধের কোন প্রশ্নই উঠে না। ইসলামের দৃষ্টিতে জ্বরের উৎপত্তি জাহান্নামের উত্তাপ হইতে হইয়া থাকে। কারণ, জাগতিক সকল তাপের উৎস জাহান্নাম। সেখান হইতে আল্লাহর কুদ্রতে জগতের সকল রকম গরম ও উত্তাপের সৃষ্টি হয়। তাই সূর্যের উত্তাপের উৎসও জাহান্নামের আগুন।
জ্বরে পানি ও বরফের ব্যবহার বর্তমানে বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত এবং একটি সাধারণ ব্যবস্থা। জ্বর বাড়িয়া গেলে মাথায় পানি ঢালিয়া কিংবা আইস্-ব্যাগ লাগাইয়া তাপ নিবারণ করা একটি ডাক্তারী বিধান। এমন কি, অতি মাত্রায় তাপ বাড়িয়া গেলে রোগীর সারা শরীর বরফ দিয়া ঠাণ্ডা করা হয়। অবশ্য রোগ ও রোগীভেদে চিকিৎসকের পরামর্শে তাহা করিতে হয়। সুতরাং এই কথা মানিতে হইবে যে, নবী (ﷺ)-এর এই বাণী আধুনিক কালেও চিকিৎসাশাস্ত্র বিধিসম্মত।
জ্বরে পানি ও বরফের ব্যবহার বর্তমানে বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত এবং একটি সাধারণ ব্যবস্থা। জ্বর বাড়িয়া গেলে মাথায় পানি ঢালিয়া কিংবা আইস্-ব্যাগ লাগাইয়া তাপ নিবারণ করা একটি ডাক্তারী বিধান। এমন কি, অতি মাত্রায় তাপ বাড়িয়া গেলে রোগীর সারা শরীর বরফ দিয়া ঠাণ্ডা করা হয়। অবশ্য রোগ ও রোগীভেদে চিকিৎসকের পরামর্শে তাহা করিতে হয়। সুতরাং এই কথা মানিতে হইবে যে, নবী (ﷺ)-এর এই বাণী আধুনিক কালেও চিকিৎসাশাস্ত্র বিধিসম্মত।