আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
২২. অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭৫৪ টি
হাদীস নং: ৪১১২
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সালামের ব্যাপক প্রসারের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং যে ব্যক্তি তার সম্মানে দাঁড়ানো কামনা করে, তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১১২. হযরত আবু ইউসুফ আবদুল্লাহ্ ইবনে সালাম (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি: হে লোকেরা! তোমরা পরস্পরের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন ঘটাবে, অভূক্তদের আহার করাবে এবং মানুষ যখন নিদ্রামগ্ন থাকে, তখন সালাত আদায় করবে। আর তাহলেই তোমরা নিরাপদে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
(তিরমিযী বর্ণিত। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন: হাদীসটি হাসান-সহীহ।)
(তিরমিযী বর্ণিত। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন: হাদীসটি হাসান-সহীহ।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي إفشاء السَّلَام وَمَا جَاءَ فِي فَضله وترهيب الْمَرْء من حب الْقيام لَهُ
4112- وَعَن أبي يُوسُف عبد الله بن سَلام رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول يَا أَيهَا النَّاس أفشوا السَّلَام وأطعموا الطَّعَام وصلوا بِاللَّيْلِ وَالنَّاس نيام تدْخلُوا الْجنَّة بِسَلام
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১১৩
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সালামের ব্যাপক প্রসারের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং যে ব্যক্তি তার সম্মানে দাঁড়ানো কামনা করে, তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১১৩. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: তোমরা দয়াময় আল্লাহর ইবাদত করবে, সালামের ব্যাপক প্রসার ঘটাবে, অভূক্তদের আহার করাবে, আর তাহলেই তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে।
(তিরমিযী বর্ণিত। তাঁর মতে হাদীসটি সহীহ্ সনদে এবং ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে নিজ শব্দে বর্ণিত আছে। [হাফিয মুনযিরী (র) বলেন: এ বিষয়ের হাদীস 'অভুক্তদের আহার করানো এবং অপরাপর অনুচ্ছেদে' পেছনে অতিবাহিত হয়েছে।)
(তিরমিযী বর্ণিত। তাঁর মতে হাদীসটি সহীহ্ সনদে এবং ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে নিজ শব্দে বর্ণিত আছে। [হাফিয মুনযিরী (র) বলেন: এ বিষয়ের হাদীস 'অভুক্তদের আহার করানো এবং অপরাপর অনুচ্ছেদে' পেছনে অতিবাহিত হয়েছে।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي إفشاء السَّلَام وَمَا جَاءَ فِي فَضله وترهيب الْمَرْء من حب الْقيام لَهُ
4113- وَعَن عبد الله بن عَمْرو رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم اعبدوا الرَّحْمَن وأفشوا السَّلَام وأطعموا الطَّعَام تدْخلُوا الْجنان
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَصَححهُ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ
قَالَ الْحَافِظ وَتقدم غير مَا حَدِيث من هَذَا النَّوْع فِي إطْعَام الطَّعَام وَغَيره
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَصَححهُ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ
قَالَ الْحَافِظ وَتقدم غير مَا حَدِيث من هَذَا النَّوْع فِي إطْعَام الطَّعَام وَغَيره
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১১৪
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সালামের ব্যাপক প্রসারের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং যে ব্যক্তি তার সম্মানে দাঁড়ানো কামনা করে, তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১১৪. হযরত আবু শুরায়হ (রা) থেকে বর্ণিত। একদা তিনি বলেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমাকে এমন বিষয়ে অবহিত করুন, যা আমার জন্য জান্নাত অবধারিত করে দেবে। তিনি বলেন, তা হলঃ উত্তম কথা বলা, সালামের ব্যাপক প্রসার ঘটানো এবং অভুক্তদের আহার করানো।
(তাবারানী, ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থ এবং হাকিম বর্ণিত। ইমাম হাকিম (র) উক্ত হাদীসটিকে সনদসূত্রে সহীহ বলেছেন।)
(তাবারানী, ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থ এবং হাকিম বর্ণিত। ইমাম হাকিম (র) উক্ত হাদীসটিকে সনদসূত্রে সহীহ বলেছেন।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي إفشاء السَّلَام وَمَا جَاءَ فِي فَضله وترهيب الْمَرْء من حب الْقيام لَهُ
4114- وَعَن أبي شُرَيْح رَضِي الله عَنهُ أَنه قَالَ يَا رَسُول الله أَخْبرنِي بِشَيْء يُوجب لي الْجنَّة قَالَ طيب الْكَلَام وبذل السَّلَام وإطعام الطَّعَام
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه فِي حَدِيث وَالْحَاكِم وَصَححهُ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه فِي حَدِيث وَالْحَاكِم وَصَححهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১১৫
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সালামের ব্যাপক প্রসারের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং যে ব্যক্তি তার সম্মানে দাঁড়ানো কামনা করে, তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১১৫. তাবারানী (র) উত্তম সনদে পেছনের কোন এক অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছেন। তিনি (সাহাবী) বলেন: আমি বললামঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাকে এমন কাজ সম্পর্কে বলুন, যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। তিনি বলেন: সালামের ব্যাপক প্রসার ও উত্তম বাক্য বিনিময়ে গুনাহ মোচন অপরিহার্য করে দেয়।
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي إفشاء السَّلَام وَمَا جَاءَ فِي فَضله وترهيب الْمَرْء من حب الْقيام لَهُ
4115- وَتقدم فِي رِوَايَة جَيِّدَة للطبراني قَالَ قلت يَا رَسُول الله دلَّنِي على عمل يدخلني الْجنَّة قَالَ إِن من مُوجبَات الْمَغْفِرَة بذل السَّلَام وَحسن الْكَلَام
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১১৬
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সালামের ব্যাপক প্রসারের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং যে ব্যক্তি তার সম্মানে দাঁড়ানো কামনা করে, তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১১৬. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: এক মুসলমানের উপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক রয়েছে। তা হল: ১. সালামের জবাব দেওয়া, ২. রোগীর কুশল জিজ্ঞেস করা, ৩. জানাযার সাথে যাওয়া, ৪. দাওয়াত গ্রহণ করা, ৫. হাঁচিদাতার 'আল-হামদু লিল্লাহ্' বলার জবাবে "ইয়ারহামুকাল্লাহ" বলা।
(বুখারী, মুসলিম ও আবূ দাউদ বর্ণিত।
ইমাম মুসলিম (র)-এর অন্য বর্ণনায় আছে, এক মুসলমানের উপর অপর মুসলমানের ৬টি হক রয়েছে। বলা হল: ইয়া রাসুলাল্লাহ! সেগুলো কি কি? তিনি বলেন, তা হলঃ ১. তার সাথে সাক্ষাৎ হরে সালাম দেবে, ২. তোমাকে দাওয়াত দিলে তা গ্রহণ করবে, ৩. তোমার কাছে উপদেশ চাইলে সদুপদেশ দেবে, ৪. সে হাঁচি দিলে তার আল-হামদুলিল্লাহ্-এর জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলবে। ৫. সে অসুস্থ হলে তার কুশল জিজ্ঞেস করবে এবং ৬. সে মারা গেলে তার জানাযায় অংশগ্রহণ করবে। তিরমিযী ও নাসাঈ এরূপ বর্ণনা করেছেন।)
(বুখারী, মুসলিম ও আবূ দাউদ বর্ণিত।
ইমাম মুসলিম (র)-এর অন্য বর্ণনায় আছে, এক মুসলমানের উপর অপর মুসলমানের ৬টি হক রয়েছে। বলা হল: ইয়া রাসুলাল্লাহ! সেগুলো কি কি? তিনি বলেন, তা হলঃ ১. তার সাথে সাক্ষাৎ হরে সালাম দেবে, ২. তোমাকে দাওয়াত দিলে তা গ্রহণ করবে, ৩. তোমার কাছে উপদেশ চাইলে সদুপদেশ দেবে, ৪. সে হাঁচি দিলে তার আল-হামদুলিল্লাহ্-এর জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলবে। ৫. সে অসুস্থ হলে তার কুশল জিজ্ঞেস করবে এবং ৬. সে মারা গেলে তার জানাযায় অংশগ্রহণ করবে। তিরমিযী ও নাসাঈ এরূপ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي إفشاء السَّلَام وَمَا جَاءَ فِي فَضله وترهيب الْمَرْء من حب الْقيام لَهُ
4116- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ حق الْمُسلم على الْمُسلم خمس رد السَّلَام وعيادة الْمَرِيض وَاتِّبَاع الْجَنَائِز وَإجَابَة الدعْوَة وتشميت الْعَاطِس
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد
وَلمُسلم حق الْمُسلم على الْمُسلم سِتّ
قيل وَمَا هن يَا رَسُول الله قَالَ إِذا لَقيته فَسلم عَلَيْهِ وَإِذا دعَاك فأجبه وَإِذا استنصحك فانصح لَهُ وَإِذا عطس فَحَمدَ الله فشمته وَإِذا مرض فعده وَإِذا مَاتَ فَاتبعهُ
وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ بِنَحْوِ هَذَا
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد
وَلمُسلم حق الْمُسلم على الْمُسلم سِتّ
قيل وَمَا هن يَا رَسُول الله قَالَ إِذا لَقيته فَسلم عَلَيْهِ وَإِذا دعَاك فأجبه وَإِذا استنصحك فانصح لَهُ وَإِذا عطس فَحَمدَ الله فشمته وَإِذا مرض فعده وَإِذا مَاتَ فَاتبعهُ
وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ بِنَحْوِ هَذَا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১১৭
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সালামের ব্যাপক প্রসারের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং যে ব্যক্তি তার সম্মানে দাঁড়ানো কামনা করে, তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১১৭. হযরত আবু দারদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: তোমরা সালামের ব্যাপক প্রসার ঘটাবে, যাতে তোমাদের মধ্যে ভালবাসা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়।
(তাবারানী উত্তম সনদে বর্ণনা করেন।)
(তাবারানী উত্তম সনদে বর্ণনা করেন।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي إفشاء السَّلَام وَمَا جَاءَ فِي فَضله وترهيب الْمَرْء من حب الْقيام لَهُ
4117- وَعَن أبي الدَّرْدَاء رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أفشوا السَّلَام كي تعلوا
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد حسن
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد حسن
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১১৮
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সালামের ব্যাপক প্রসারের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং যে ব্যক্তি তার সম্মানে দাঁড়ানো কামনা করে, তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১১৮. হযরত মুযায়না গোত্রের আগার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে এক টুকরা খেজুর দানের জন্য জনৈক আনসারকে নির্দেশ দেন। লোকটি আমাকে তা দিতে বিলম্ব করল। তখন আমি তা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে অবহিত করলাম। তিনি বললেনঃ হে আবু বকর! তুমি সকালে তার জন্য খেজুর নিয়ে এসো। হযরত আবু বকর (রা) আমাকে এ মর্মে ওয়াদা দেন যে, আমরা যখন ফজরের সালাত মসজিনে আদায় করব, তুমি তখন আসবে। এরপর আমি ওয়াদা মত তাঁকে পেলাম। পরে আমরা রওনা হলাম। আমরা দু'জন যাচ্ছিলাম, যখনই কোন ব্যক্তির সাথে আমাদের সাক্ষাৎ হচ্ছিল, তখনই সে দূর থেকে আগে আমাদের সালাম করছিল। তখন হযরত আবু বকর (রা) বলেন। তুমি কি লক্ষ্য করেছ যে, কোন ব্যাপারটি অন্যদেরকে আমাদের উপর মর্যাদার দিক থেকে অগ্রগামী করছে। (আর তা হচ্ছে আগে সালাম দেওয়া)। সাবধান! তোমাকে যেন কেউ আগে সালাম দিতে না পারে। এরপর যখনই আমাদের সামনে কেউ আসে তখনই আমরা তার সালামের পূর্বেই তাকে সালাম দেই।
(তাবারানীর কাবীর ও আওসাত গ্রন্থে বর্ণিত। কাবীর গ্রন্থের দু'টি সনদের একটি সনদের বর্ণনাকরীদের বর্ণনা দলীলরূপে গ্রহণ করা বিশুদ্ধ।)
(তাবারানীর কাবীর ও আওসাত গ্রন্থে বর্ণিত। কাবীর গ্রন্থের দু'টি সনদের একটি সনদের বর্ণনাকরীদের বর্ণনা দলীলরূপে গ্রহণ করা বিশুদ্ধ।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي إفشاء السَّلَام وَمَا جَاءَ فِي فَضله وترهيب الْمَرْء من حب الْقيام لَهُ
4118- وَعَن الْأَغَر أغر مزينة رَضِي الله عَنهُ قَالَ كَانَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَمر لي بجريب من تمر عِنْد رجل من الْأَنْصَار فمطلني بِهِ
فكلمت فِيهِ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ اغْدُ يَا أَبَا بكر فَخذ لَهُ تمره فوعدني أَبُو بكر الْمَسْجِد إِذا صلينَا الصُّبْح فَوَجَدته حَيْثُ وَعَدَني فَانْطَلَقْنَا فَكلما رأى أَبَا بكر رجل من بعيد سلم عَلَيْهِ فَقَالَ أَبُو بكر رَضِي الله عَنهُ أما ترى مَا يُصِيب الْقَوْم عَلَيْك من الْفضل لَا يسبقك إِلَى السَّلَام أحد فَكُنَّا إِذا طلع الرجل من بعيد بادرناه بِالسَّلَامِ قبل أَن يسلم علينا
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط وَأحد إسنادي الْكَبِير رُوَاته مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح
حنه
فكلمت فِيهِ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ اغْدُ يَا أَبَا بكر فَخذ لَهُ تمره فوعدني أَبُو بكر الْمَسْجِد إِذا صلينَا الصُّبْح فَوَجَدته حَيْثُ وَعَدَني فَانْطَلَقْنَا فَكلما رأى أَبَا بكر رجل من بعيد سلم عَلَيْهِ فَقَالَ أَبُو بكر رَضِي الله عَنهُ أما ترى مَا يُصِيب الْقَوْم عَلَيْك من الْفضل لَا يسبقك إِلَى السَّلَام أحد فَكُنَّا إِذا طلع الرجل من بعيد بادرناه بِالسَّلَامِ قبل أَن يسلم علينا
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط وَأحد إسنادي الْكَبِير رُوَاته مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح
حنه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১১৯
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সালামের ব্যাপক প্রসারের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং যে ব্যক্তি তার সম্মানে দাঁড়ানো কামনা করে, তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১১৯. হযরত আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন। সেই ব্যক্তিই আল্লাহর কাছে সর্বাধিক নিকটবর্তী, যে প্রথমে সালাম দেয়।
(আবু দাউদ, তিরমিযী বর্ণিত। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন: হাদীসটি হাসান।
ইমাম তিরমিযী (র) নিজ শব্দে বর্ণনা করেন যে, বলা হলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! দুই ব্যক্তির মধ্যে সাক্ষাৎ হলে কে প্রথমে সালাম দেবে? তিনি বলেন। যে ব্যক্তি তাদের মধ্যে আল্লাহর নিকট সর্বাধিক নিকটবর্তী, সেই প্রথমে সালাম দেবে।)
(আবু দাউদ, তিরমিযী বর্ণিত। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন: হাদীসটি হাসান।
ইমাম তিরমিযী (র) নিজ শব্দে বর্ণনা করেন যে, বলা হলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! দুই ব্যক্তির মধ্যে সাক্ষাৎ হলে কে প্রথমে সালাম দেবে? তিনি বলেন। যে ব্যক্তি তাদের মধ্যে আল্লাহর নিকট সর্বাধিক নিকটবর্তী, সেই প্রথমে সালাম দেবে।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي إفشاء السَّلَام وَمَا جَاءَ فِي فَضله وترهيب الْمَرْء من حب الْقيام لَهُ
4119- وَعَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن أولى النَّاس بِاللَّه من بدأهم بِالسَّلَامِ
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَحسنه وَلَفظه قيل يَا رَسُول الله الرّجلَانِ يَلْتَقِيَانِ أَيهمَا يبْدَأ بِالسَّلَامِ قَالَ أولاهما بِاللَّه تَعَالَى
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَحسنه وَلَفظه قيل يَا رَسُول الله الرّجلَانِ يَلْتَقِيَانِ أَيهمَا يبْدَأ بِالسَّلَامِ قَالَ أولاهما بِاللَّه تَعَالَى
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১২০
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সালামের ব্যাপক প্রসারের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং যে ব্যক্তি তার সম্মানে দাঁড়ানো কামনা করে, তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১২০. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: বাহনে আরোহী ব্যক্তি পথচারীকে সালাম দেবে, উপবিষ্ট ব্যক্তিকে পথচারী সালাম দেবে। আর দুই পথচারীর যে প্রথমে সালাম দেবে, সেই উত্তম।
(বাযযার ও ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত।)
(বাযযার ও ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي إفشاء السَّلَام وَمَا جَاءَ فِي فَضله وترهيب الْمَرْء من حب الْقيام لَهُ
4120- وَعَن جَابر رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يسلم الرَّاكِب على
الْمَاشِي والماشي على الْقَاعِد والماشيان أَيهمَا بَدَأَ فَهُوَ أفضل
رَوَاهُ الْبَزَّار وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
الْمَاشِي والماشي على الْقَاعِد والماشيان أَيهمَا بَدَأَ فَهُوَ أفضل
رَوَاهُ الْبَزَّار وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১২১
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সালামের ব্যাপক প্রসারের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং যে ব্যক্তি তার সম্মানে দাঁড়ানো কামনা করে, তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১২১. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) সূত্রে রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: 'আস্-সালাম' আল্লাহর নামসমূহের একটি মাত্র। তিনি তা যমীনে রেখে দেন। সুতরাং তোমাদের মাঝে তার ব্যাপক প্রসার ঘটাও। কেননা, যখন কোন মুসলমান কোন কাওমের কাছ দিয়ে পথ অতিক্রম করে এবং সে তাদের সালাম দেয় এবং তারা তার সালামের জবাব দেয় তবে সকলের জবাব দানের মর্যাদা সে লাভ করে। যদি তাদের কেউ জবাব না দেয়, তবে তাদেরও চেয়ে উত্তমদের পক্ষ থেকে জবাব দেয়া হয়।
(বাযযার ও তাবারানী বর্ণিত। তবে বাযযারের একটি সনদ অধিক শক্তিশালী।)
(বাযযার ও তাবারানী বর্ণিত। তবে বাযযারের একটি সনদ অধিক শক্তিশালী।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي إفشاء السَّلَام وَمَا جَاءَ فِي فَضله وترهيب الْمَرْء من حب الْقيام لَهُ
4121- وَعَن عبد الله يَعْنِي ابْن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ السَّلَام اسْم من أَسمَاء الله تَعَالَى وَضعه فِي الأَرْض فأفشوه بَيْنكُم فَإِن الرجل الْمُسلم إِذا مر بِقوم فَسلم عَلَيْهِم فَردُّوا عَلَيْهِ كَانَ لَهُ عَلَيْهِم فضل دَرَجَة بتذكيره إيَّاهُم السَّلَام فَإِن لم يردوا عَلَيْهِ رد عَلَيْهِ من هُوَ خير مِنْهُم
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ وَأحد إسنادي الْبَزَّار جيد قوي
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ وَأحد إسنادي الْبَزَّار جيد قوي
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১২২
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সালামের ব্যাপক প্রসারের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং যে ব্যক্তি তার সম্মানে দাঁড়ানো কামনা করে, তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১২২. হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সংগে সফরে ছিলাম। তখন একটি গাছ আমাদের মাঝে লোকদের বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এরপর যখন আবার আমাদের পারস্পরিক সাক্ষাত হয়, তখন একে অপরকে সালাম দেয়।
(তাবারানী উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন।)
(তাবারানী উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي إفشاء السَّلَام وَمَا جَاءَ فِي فَضله وترهيب الْمَرْء من حب الْقيام لَهُ
4122 - وَعَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ كُنَّا إِذا كُنَّا مَعَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَتفرق بَيْننَا شَجَرَة فَإِذا الْتَقَيْنَا يسلم بَعْضنَا على بعض
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد حسن
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد حسن
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১২৩
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সালামের ব্যাপক প্রসারের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং যে ব্যক্তি তার সম্মানে দাঁড়ানো কামনা করে, তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১২৩. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: তোমাদের কেউ কোন মজলিসে এলে সে যেন সালাম দেয়। এরপর সে মজলিস ত্যাগ করতে চাইলেও যেন সালাম দিয়ে চলে যায়। কারণ প্রথমবারের সালাম দ্বিতীয় বারের সালাম অপেক্ষা কম উত্তম নয়।
(আবূ দাউদ, তিরমিযী বর্ণিত। তিনি বলেন: হাদীসটি হাসান এবং নাসাঈ বর্ণিত। রাযীন (র) তাঁর সনদে আরো বাড়িয়ে বলেন। যে ব্যক্তি কোন কাওম থেকে বিদায়কালে সালাম দেয় এবং তার গমনের পর যে সকল কল্যাণময় কথাবার্তা হয়, সেও তার অংশীদার হয়।)
(আবূ দাউদ, তিরমিযী বর্ণিত। তিনি বলেন: হাদীসটি হাসান এবং নাসাঈ বর্ণিত। রাযীন (র) তাঁর সনদে আরো বাড়িয়ে বলেন। যে ব্যক্তি কোন কাওম থেকে বিদায়কালে সালাম দেয় এবং তার গমনের পর যে সকল কল্যাণময় কথাবার্তা হয়, সেও তার অংশীদার হয়।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي إفشاء السَّلَام وَمَا جَاءَ فِي فَضله وترهيب الْمَرْء من حب الْقيام لَهُ
4123- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا انْتهى أحدكُم إِلَى الْمجْلس فليسلم فَإِذا أَرَادَ أَن يقوم فليسلم فَلَيْسَتْ الأولى بِأَحَق من الْآخِرَة
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَحسنه وَالنَّسَائِيّ
وَزَاد رزين وَمن سلم على قوم حِين يقوم عَنْهُم كَانَ شريكهم فِيمَا خَاضُوا من الْخَيْر بعده
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَحسنه وَالنَّسَائِيّ
وَزَاد رزين وَمن سلم على قوم حِين يقوم عَنْهُم كَانَ شريكهم فِيمَا خَاضُوا من الْخَيْر بعده
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১২৪
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সালামের ব্যাপক প্রসারের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং যে ব্যক্তি তার সম্মানে দাঁড়ানো কামনা করে, তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১২৪. আহমাদ (র) ইবনে লাহীয়া সূত্রে যাবন ইবনে ফায়িদ থেকে, তিনি সাহল ইবনে মু'আয (র) থেকে তিনি তাঁর পিতা (মু'আয রা) থেকে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন: কোন ব্যক্তি যখন কোন মজলিসে যায়, তখন সেই মজলিসের লোকদের সালাম দেয়া তার কর্তব্য এবং কোন ব্যক্তি মজলিস ত্যাগ করলে, সে যেন সালাম দিয়ে মজলিস ত্যাগ করে। এরপর এক ব্যক্তি দাঁড়াল, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কথা বলছিলেন; ফলে সে সালাম দিল না। এ সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: কি কারণে সে তাড়াহুড়া করল, যার ফলে সে সালাম দিতে ভুলে গেল।
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي إفشاء السَّلَام وَمَا جَاءَ فِي فَضله وترهيب الْمَرْء من حب الْقيام لَهُ
4124- وروى أَحْمد من طَرِيق ابْن لَهِيعَة عَن زبان بن فائد عَن سهل بن معَاذ عَن أَبِيه عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه قَالَ حق على من قَامَ على جمَاعَة أَن يسلم عَلَيْهِم وَحقّ على من قَامَ من مجْلِس أَن يسلم فَقَامَ رجل وَرَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يتَكَلَّم فَلم يسلم فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا أسْرع مَا نسي
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১২৫
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সালামের ব্যাপক প্রসারের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং যে ব্যক্তি তার সম্মানে দাঁড়ানো কামনা করে, তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১২৫. মু'আবিয়া ইবনে কুররা (র) তাঁর পিতা (কুররা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ হে বৎস! তুমি কোন
মজলিসে থাকলে তার কল্যাণ প্রাপ্তির আশা রাখবে। ত্বরিৎ তোমার কোন প্রয়োজন দেখা দিলে বলবে: আস্সালামু আলাইকুম। কেননা, এতে তুমি ঐ মজলিসে যা কিছু হবে তার ভাগীদার হবে।
(তাবারানী মাওকুফ সনদে এরূপ এবং মারফু' সনদে বর্ণনা করেন। তবে তার মাওকুফ সনদসূত্র অধিক বিশুদ্ধ।)
মজলিসে থাকলে তার কল্যাণ প্রাপ্তির আশা রাখবে। ত্বরিৎ তোমার কোন প্রয়োজন দেখা দিলে বলবে: আস্সালামু আলাইকুম। কেননা, এতে তুমি ঐ মজলিসে যা কিছু হবে তার ভাগীদার হবে।
(তাবারানী মাওকুফ সনদে এরূপ এবং মারফু' সনদে বর্ণনা করেন। তবে তার মাওকুফ সনদসূত্র অধিক বিশুদ্ধ।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي إفشاء السَّلَام وَمَا جَاءَ فِي فَضله وترهيب الْمَرْء من حب الْقيام لَهُ
4125- وَعَن مُعَاوِيَة بن قُرَّة عَن أَبِيه رَضِي الله عَنهُ قَالَ يَا بني إِذا كنت فِي مجْلِس ترجو خَيره فعجلت بك حَاجَة فَقل السَّلَام عَلَيْكُم فَإنَّك شريكهم فِيمَا يصيبون فِي ذَلِك الْمجْلس
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ مَوْقُوفا هَكَذَا وَمَرْفُوعًا وَالْمَوْقُوف أصح
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ مَوْقُوفا هَكَذَا وَمَرْفُوعًا وَالْمَوْقُوف أصح
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১২৬
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সালামের ব্যাপক প্রসারের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং যে ব্যক্তি তার সম্মানে দাঁড়ানো কামনা করে, তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১২৬. হযরত ইমরান ইবনে হুসায়ন (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর নিকট এসে বলল : আস-সালামু আলাইকুম। তিনি তার সালামের জবাব দেন। এরপর লোকটি বলল। তখন নবী (ﷺ) বলেন : তোমার আমলনামায় দশ নেকী এরপর আর এক ব্যক্তি এসে বলল: আস্-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। তিনি তার সালামের জবাব দেন। লোকটি বসে পড়লো। তিনি বলেন: তোমার আমলনামায় বিশ নেকী। পরে আর এক ব্যক্তি এসে বলল, আস্-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। তিনি তাঁর সালামের জবাব দেন। লোকটি বসে পড়লো। তিনি বলেন: তোমার আমলনামায় ত্রিশ নেক।
(আবু দাউদ ও তিরমিযী বর্ণিত। ইমাম তিরমিযী (র) বলেনঃ হাদীসটি হাসান। নাসাঈ ও বায়হাকী। ইমাম বায়হাকীর মতে এই হাদীসের সনদ উত্তম। ইমাম আবু দাউদ (র) এটি আবু মারহুম সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আবূ মারহুমের নাম আবদুর রহীম ইবনে মায়মূন। তিনি সাহল ইবনে মু'আয (র) থেকে, তিনি তার পিতা (মু'আয) থেকে মারফু' সনদসূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইমাম আবু দাউদ (র) আরো বাড়িয়ে বর্ণনা করেছেন। তিনি (বারী) বলেন: "এরপর এক ব্যক্তি এসে বলল: আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ওয়া মাগফিরাতুহু। তখন তিনি (নবী ﷺ বলেন, তোমার অমলনামায় চল্লিশ নেকী। এভাবে যত বাড়াবে, তত নেকী বাড়িয়ে লেখা হবে"।)
(আবু দাউদ ও তিরমিযী বর্ণিত। ইমাম তিরমিযী (র) বলেনঃ হাদীসটি হাসান। নাসাঈ ও বায়হাকী। ইমাম বায়হাকীর মতে এই হাদীসের সনদ উত্তম। ইমাম আবু দাউদ (র) এটি আবু মারহুম সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আবূ মারহুমের নাম আবদুর রহীম ইবনে মায়মূন। তিনি সাহল ইবনে মু'আয (র) থেকে, তিনি তার পিতা (মু'আয) থেকে মারফু' সনদসূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইমাম আবু দাউদ (র) আরো বাড়িয়ে বর্ণনা করেছেন। তিনি (বারী) বলেন: "এরপর এক ব্যক্তি এসে বলল: আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ওয়া মাগফিরাতুহু। তখন তিনি (নবী ﷺ বলেন, তোমার অমলনামায় চল্লিশ নেকী। এভাবে যত বাড়াবে, তত নেকী বাড়িয়ে লেখা হবে"।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي إفشاء السَّلَام وَمَا جَاءَ فِي فَضله وترهيب الْمَرْء من حب الْقيام لَهُ
4126- وَعَن عمرَان بن الْحصين رَضِي الله عَنهُ قَالَ جَاءَ رجل إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ السَّلَام عَلَيْكُم فَرد عَلَيْهِ ثمَّ جلس فَقَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم عشر ثمَّ جَاءَ آخر فَقَالَ السَّلَام عَلَيْكُم وَرَحْمَة الله فَرد فَجَلَسَ فَقَالَ عشرُون ثمَّ جَاءَ آخر فَقَالَ السَّلَام عَلَيْكُم وَرَحْمَة الله وَبَرَكَاته فَرد فَجَلَسَ فَقَالَ ثَلَاثُونَ
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَحسنه
وَالنَّسَائِيّ وَالْبَيْهَقِيّ وَحسنه أَيْضا وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُد أَيْضا من طَرِيق أبي مَرْحُوم واسْمه عبد الرَّحِيم بن مَيْمُون عَن سهل بن معَاذ عَن أَبِيه مَرْفُوعا بِنَحْوِهِ
وَزَاد ثمَّ أَتَى آخر فَقَالَ السَّلَام عَلَيْكُم وَرَحْمَة الله وَبَرَكَاته ومغفرته فَقَالَ أَرْبَعُونَ
قَالَ هَكَذَا تكون الْفَضَائِل
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَحسنه
وَالنَّسَائِيّ وَالْبَيْهَقِيّ وَحسنه أَيْضا وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُد أَيْضا من طَرِيق أبي مَرْحُوم واسْمه عبد الرَّحِيم بن مَيْمُون عَن سهل بن معَاذ عَن أَبِيه مَرْفُوعا بِنَحْوِهِ
وَزَاد ثمَّ أَتَى آخر فَقَالَ السَّلَام عَلَيْكُم وَرَحْمَة الله وَبَرَكَاته ومغفرته فَقَالَ أَرْبَعُونَ
قَالَ هَكَذَا تكون الْفَضَائِل
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১২৭
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সালামের ব্যাপক প্রসারের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং যে ব্যক্তি তার সম্মানে দাঁড়ানো কামনা করে, তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১২৭. হযরত সাহল ইবনে হুনায়ফ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি আস-সালামু আলাইকুম বলবে, তার আমলনামায় দশটি নেকী লেখা হবে। আর যে ব্যক্তি বলবে, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ তার আমলনামায় বিশ নেকী লেখা হবে। আর যে ব্যক্তি আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু বলবে, তার আমলনামায় ত্রিশ নেকী লেখা হবে।
(তাবারানী বর্ণিত।)
(তাবারানী বর্ণিত।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي إفشاء السَّلَام وَمَا جَاءَ فِي فَضله وترهيب الْمَرْء من حب الْقيام لَهُ
4127- وَرُوِيَ عَن سهل بن حنيف رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من قَالَ السَّلَام عَلَيْكُم كتبت لَهُ عشر حَسَنَات وَمن قَالَ السَّلَام عَلَيْكُم وَرَحْمَة الله كتبت لَهُ عشرُون حَسَنَة وَمن قَالَ السَّلَام عَلَيْكُم وَرَحْمَة الله وَبَرَكَاته كتبت لَهُ ثَلَاثُونَ حَسَنَة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১২৮
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সালামের ব্যাপক প্রসারের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং যে ব্যক্তি তার সম্মানে দাঁড়ানো কামনা করে, তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১২৮. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন এক মজলিসে ছিলেন, এমন সময় তার কাছ দিয়ে এক ব্যক্তি পথচলাকালে বলল: 'সালামুন আলাইকুম'। তিনি বলেনঃ তোমার জন্য রয়েছে দশ নেকী। এরপর আর এক ব্যক্তি পথ অতিক্রম করল এবং বলল। 'সালামুন আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ'। তিনি বলেন: তোমার জন্য রয়েছে বিশ নেকী। পরে আরেক ব্যক্তি পথ অতিক্রম করল এবং বলল: "আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।" তিনি বলেন: তোমার জন্য রয়েছে ত্রিশ নেকী। এ সময় এক ব্যক্তি মজলিস থেকে ওঠে দাঁড়াল অথচ সে সালাম দিল না। তখন তিনি বলেন: কিসে তোমাদের তোমার সাথীদের সালাম দিতে ভুলিয়ে দিল? (তিনি বলেন,) তোমাদের কেউ কোন মজলিসে এলে, সে যেন সালাম দেয়। সুতরাং সে যদি বসতে চায়, তাহলে যেন বসে, আর যদি চলে যেতে চায়, তাহলে যেন সালাম দিয়ে মজলিস ত্যাগ করে। কেননা, প্রথমবারের সালাম দ্বিতীয়বারের সালাম অপেক্ষা কম উত্তম নয়।
(ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত।
ما أوشك - কোন জিনিস তাড়াতাড়ি করাল?)
(ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত।
ما أوشك - কোন জিনিস তাড়াতাড়ি করাল?)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي إفشاء السَّلَام وَمَا جَاءَ فِي فَضله وترهيب الْمَرْء من حب الْقيام لَهُ
4128- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رجلا مر على رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَهُوَ فِي مجْلِس فَقَالَ سَلام عَلَيْكُم فَقَالَ عشر حَسَنَات ثمَّ مر آخر فَقَالَ سَلام عَلَيْكُم وَرَحْمَة الله فَقَالَ عشرُون حَسَنَة ثمَّ مر آخر فَقَالَ سَلام عَلَيْكُم وَرَحْمَة الله وَبَرَكَاته فَقَالَ ثَلَاثُونَ حَسَنَة فَقَامَ رجل من الْمجْلس وَلم يسلم فَقَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا أوشك مَا نسي صَاحبكُم إِذا جَاءَ أحدكُم إِلَى الْمجْلس فليسلم فَإِن بدا لَهُ أَن يجلس فليجلس وَإِن قَامَ فليسلم فَلَيْسَتْ الأولى بِأَحَق من الْآخِرَة
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
مَا أوشك أَي مَا أسْرع
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
مَا أوشك أَي مَا أسْرع
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১২৯
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সালামের ব্যাপক প্রসারের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং যে ব্যক্তি তার সম্মানে দাঁড়ানো কামনা করে, তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১২৯. হযরত ইবনে উমার (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: মানুষের মধ্যে চল্লিশটি অভ্যাস আছে। তন্মধ্যে সর্বোত্তম অভ্যাস দুধপান করার জন্য কাউকে বকরী বা উটনী দান করা। কোন ব্যক্তি এই অভ্যাস সমূহের একটি করলেও সে সাওয়াবের আশা করতে পারে। আর অঙ্গীকার পালন করলে আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। হাসসান (র) বলেন: আমরা 'মানিহাতুল আনাজ' (বকরী ও উটনী) দান করাকে সালাম দান, হাঁচিদানকারীর আল-হামদুলিল্লাহ্ বলার জবাবে 'ইয়ার হামুকাল্লাহ্' বলা; কষ্টদায়ক বন্ধু চলার পথ থেকে অপসারিত করা- এই জাতীয় কাজ থেকে নগন্য মনে করি। আমাদের পক্ষে সম্ভব নয় যে, আমরা এই জাতীয় পনেরটি অভ্যাস পালন করি।
(ইমাম বুখারী (র) ও অন্যান্য মুহাদ্দিসগণ বর্ণনা করেন।)
(ইমাম বুখারী (র) ও অন্যান্য মুহাদ্দিসগণ বর্ণনা করেন।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي إفشاء السَّلَام وَمَا جَاءَ فِي فَضله وترهيب الْمَرْء من حب الْقيام لَهُ
4129- وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ أَرْبَعُونَ خصْلَة أعلاهن منيحة العنز مَا من عَامل يعْمل بخصلة مِنْهَا رَجَاء ثَوَابهَا وتصديق موعودها إِلَّا أدخلهُ الله بهَا الْجنَّة
قَالَ حسان فعددنا مَا دون منيحة العنز من رد السَّلَام وتشميت الْعَاطِس وإماطة الْأَذَى عَن الطَّرِيق وَنَحْوه فَمَا استطعنا أَن تبلغ خمس عشرَة
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَغَيره
قَالَ حسان فعددنا مَا دون منيحة العنز من رد السَّلَام وتشميت الْعَاطِس وإماطة الْأَذَى عَن الطَّرِيق وَنَحْوه فَمَا استطعنا أَن تبلغ خمس عشرَة
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَغَيره
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১৩০
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সালামের ব্যাপক প্রসারের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং যে ব্যক্তি তার সম্মানে দাঁড়ানো কামনা করে, তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১৩০. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, দু'আ করার ব্যাপারে যে ব্যক্তি দুর্বলতা দেখায়, মানুষের মধ্যে সে-ই সর্বাপেক্ষা দুর্বল লোক এবং মানুষের মধ্যে সর্বাপেক্ষা কৃপণ ঐ ব্যক্তি, যে সালাম দেওয়ার ব্যাপারে কৃপণতা করে।
(তাবারানীর আওসাত গ্রন্থে বর্ণিত। তিনি বলেন। নবী (ﷺ) থেকে এই সনদ ব্যতীত অন্য কোন সনদে এই
হাদীসটি বর্ণিত হয়নি।)
(তাবারানীর আওসাত গ্রন্থে বর্ণিত। তিনি বলেন। নবী (ﷺ) থেকে এই সনদ ব্যতীত অন্য কোন সনদে এই
হাদীসটি বর্ণিত হয়নি।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي إفشاء السَّلَام وَمَا جَاءَ فِي فَضله وترهيب الْمَرْء من حب الْقيام لَهُ
4130- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أعجز النَّاس من عجز فِي الدُّعَاء وأبخل النَّاس من بخل بِالسَّلَامِ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَقَالَ لَا يرْوى عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِلَّا بِهَذَا الْإِسْنَاد
قَالَ الْحَافِظ وَهُوَ إِسْنَاد جيد قوي
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَقَالَ لَا يرْوى عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِلَّا بِهَذَا الْإِسْنَاد
قَالَ الْحَافِظ وَهُوَ إِسْنَاد جيد قوي
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১৩১
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সালামের ব্যাপক প্রসারের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং যে ব্যক্তি তার সম্মানে দাঁড়ানো কামনা করে, তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১৩১. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মুগাফ্ফাল (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: মানুষের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বড় চোর ঐ ব্যক্তি, যে তার সালাতে চুরি করে। বলা হলঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ! কিভাবে মানুষ তার সালাতে চুরি করে। তিনি বললেনঃ যথাযথভাবে রুকু, সিজদা আদায় করে না। আর মানুষের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বড় কৃপণ ঐ ব্যক্তি, যে সালাম দানে কৃপণতা করে।
(তাবারানী উত্তম সনদে বর্ণনা করেন।)
(তাবারানী উত্তম সনদে বর্ণনা করেন।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي إفشاء السَّلَام وَمَا جَاءَ فِي فَضله وترهيب الْمَرْء من حب الْقيام لَهُ
4131- وَعَن عبد الله بن مُغفل رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أسرق النَّاس
الَّذِي يسرق صلَاته قيل يَا رَسُول الله وَكَيف يسرق صلَاته قَالَ لَا يتم ركوعها وَلَا سجودها وأبخل النَّاس من بخل بِالسَّلَامِ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد جيد
الَّذِي يسرق صلَاته قيل يَا رَسُول الله وَكَيف يسرق صلَاته قَالَ لَا يتم ركوعها وَلَا سجودها وأبخل النَّاس من بخل بِالسَّلَامِ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد جيد
তাহকীক: