মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
مسند الامام الأعظم أبي حنيفة رحـ برواية الحصكفي
২৬. পবিত্র কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫০০
পবিত্র কুরআনের তাফসীর
হাদীস নং- ৫০০
হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) আল্লাহ্ তা'আলার বাণী الم -এর তাফসীর সম্বন্ধে বলেন, انا الله (আমি হই আল্লাহ্)। والله اعلم وارى (আল্লাহ তাআলাই সর্বাধিক জ্ঞাত ও সবচেয়ে বেশী দেখেন)।
হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) আল্লাহ্ তা'আলার বাণী الم -এর তাফসীর সম্বন্ধে বলেন, انا الله (আমি হই আল্লাহ্)। والله اعلم وارى (আল্লাহ তাআলাই সর্বাধিক জ্ঞাত ও সবচেয়ে বেশী দেখেন)।
حَمَّادٌ: عَنْ أَبِيْهِ، عَنْ أَبِيْ فَرْوَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فِيْ قَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ: {الم} ، قَالَ: أَنَا اللهُ أَعْلَمُ وَأَرَى.
হাদীস নং:৫০১
পবিত্র কুরআনের তাফসীর
হাদীস নং- ৫০১
হযরত সালমা ইব্ন নাবীত বলেন, আমি যাহহাক ইব্ন মুযাহিমের নিকট ছিলাম। এ সময় এক ব্যক্তি তার নিকট এসে إِنَّا نَرَاكَ مِنَ الْمُحْسِنِينَ (নিশ্চয়ই আপনাকে নেককার ও মুহসিন লোকদের অন্তর্ভুক্ত মনে হচ্ছে) এ আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন যে, হযরত ইউসুফ (আ)-এর মধ্যে ইহসানের কি ছিল? তখন তিনি বলেন, যখন তিনি কোন দরিদ্র ও অভাবগ্রস্থ লোক দেখতেন, তখন তার দিকে সাহায্যের হাত প্রসারিত করতেন। যখন কোন অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতেন, তখন তার সেবার জন্য এগিয়ে আসতেন। যখন কোন অভাবী লোক দেখতেন, তখন তাকে সাহায্য ও সহযোগিতা করতেন।
হযরত সালমা ইব্ন নাবীত বলেন, আমি যাহহাক ইব্ন মুযাহিমের নিকট ছিলাম। এ সময় এক ব্যক্তি তার নিকট এসে إِنَّا نَرَاكَ مِنَ الْمُحْسِنِينَ (নিশ্চয়ই আপনাকে নেককার ও মুহসিন লোকদের অন্তর্ভুক্ত মনে হচ্ছে) এ আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন যে, হযরত ইউসুফ (আ)-এর মধ্যে ইহসানের কি ছিল? তখন তিনি বলেন, যখন তিনি কোন দরিদ্র ও অভাবগ্রস্থ লোক দেখতেন, তখন তার দিকে সাহায্যের হাত প্রসারিত করতেন। যখন কোন অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতেন, তখন তার সেবার জন্য এগিয়ে আসতেন। যখন কোন অভাবী লোক দেখতেন, তখন তাকে সাহায্য ও সহযোগিতা করতেন।
حَمَّادٌ: عَنْ أَبِيْهِ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ نُبَيْطٍ، قَالَ: كُنْتُ عِنْدَ الضَّحَّاكِ بْنِ مُزَاحِمٍ، فَسَأَلَهُ رَجُلٌ عَنْ هَذِهِ الْآيَةِ: {إِنَّا نَرَاكَ مِنَ الْمُحْسِنِيْنَ} مَا كَانَ اِحْسَانُهٗ، قَالَ: كَانَ إِذَا رَأَى رَجُلًا مُضَيَّقًا عَلَيْهِ وَسَّعَ عَلَيْهِ، وَإِذَا رَأَى مَرِيْضًا قَامَ عَلَيْهِ، وَإِذَا رَأَى مُحْتَاجًا سَأَلَهُ لِقَضَاءِ حَاجَتِهِ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫০২
পবিত্র কুরআনের তাফসীর
হাদীস নং- ৫০২
হযরত আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন মুমিনের অন্তৰ্দৃষ্টি ও বিচক্ষণতাকে ভয় কর। কেননা তারা আল্লাহর নূর দ্বারা পর্যবেক্ষণ করে। অতঃপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেনঃ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآَيَاتٍ لِلْمُتَوَسِّمِينَ নিশ্চয়ই এতে রয়েছে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও চিন্তাশীল ব্যক্তিদের জন্য নিদর্শন।
হযরত আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন মুমিনের অন্তৰ্দৃষ্টি ও বিচক্ষণতাকে ভয় কর। কেননা তারা আল্লাহর নূর দ্বারা পর্যবেক্ষণ করে। অতঃপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেনঃ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآَيَاتٍ لِلْمُتَوَسِّمِينَ নিশ্চয়ই এতে রয়েছে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও চিন্তাশীল ব্যক্তিদের জন্য নিদর্শন।
حَمَّادٌ: عَنْ أَبِيْهِ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «اتَّقُوْا فِرَاسَةَ الْمُؤْمِنِ، فَإِنَّهُ يَنْظُرُ بِنُوْرِ اللهِ تَعَالَى، ثُمَّ قَرَأَ: {إِنَّ فِيْ ذَلِكَ لآيَاتٍ لِلْمُتَوَسِّمِيْنَ} : الْمُتَفَرِّسِيْنَ»
হাদীস নং:৫০৩
পবিত্র কুরআনের তাফসীর
হাদীস নং- ৫০৩
হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলার এ বাণীর:فَوَرَبِّكَ لَنَسْأَلَنَّهُمْ أَجْمَعِينَ عَمَّا كَانُوا يَعْمَلُونَ (অতঃপর কসম তোমার প্রতিপালকের, নিশ্চয়ই আমরা সবার নিকট এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করব, তারা যা আমল করত)।এর দ্বারা لا اله الا الله কালেমাকে বুঝানো হয়েছে।
হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলার এ বাণীর:فَوَرَبِّكَ لَنَسْأَلَنَّهُمْ أَجْمَعِينَ عَمَّا كَانُوا يَعْمَلُونَ (অতঃপর কসম তোমার প্রতিপালকের, নিশ্চয়ই আমরা সবার নিকট এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করব, তারা যা আমল করত)।এর দ্বারা لا اله الا الله কালেমাকে বুঝানো হয়েছে।
حَمَّادٌ: عَنْ أَبِيْهِ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِيْ قَوْلِهِ تَعَالَى: «{فَوَرَبِّكَ لَنَسْأَلَنَّهُمْ أَجْمَعِيْنَ، عَمَّا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ} ، قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ».
হাদীস নং:৫০৪
পবিত্র কুরআনের তাফসীর
হাদীস নং- ৫০৪
হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একবার হযরত জিবরাঈল (আ)-কে বললেনঃ আপনি কেন আমার সাক্ষাতে বেশী বেশী আগমণ করেন না (বর্তমান অবস্থার চেয়ে আরো বেশী সাক্ষাতের কেন সুযোগ দিচ্ছেন না)? এর কয়েকদিন পর এ আয়াত অবতীর্ণ হয় : وَمَا نَتَنَزَّلُ إِلَّا بِأَمْرِ رَبِّكَ لَهُ مَا بَيْنَ أَيْدِينَا وَمَا خَلْفَنَا "আমি তোমার প্রতিপালকের নির্দেশ ব্যতীত অবতীর্ণ হই না। আমাদের সামনে ও পিছনে যা রয়েছে, তা সমস্ত তাঁরই জন্য।"
হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একবার হযরত জিবরাঈল (আ)-কে বললেনঃ আপনি কেন আমার সাক্ষাতে বেশী বেশী আগমণ করেন না (বর্তমান অবস্থার চেয়ে আরো বেশী সাক্ষাতের কেন সুযোগ দিচ্ছেন না)? এর কয়েকদিন পর এ আয়াত অবতীর্ণ হয় : وَمَا نَتَنَزَّلُ إِلَّا بِأَمْرِ رَبِّكَ لَهُ مَا بَيْنَ أَيْدِينَا وَمَا خَلْفَنَا "আমি তোমার প্রতিপালকের নির্দেশ ব্যতীত অবতীর্ণ হই না। আমাদের সামনে ও পিছনে যা রয়েছে, তা সমস্ত তাঁরই জন্য।"
حَمَّادٌ: عَنْ أَبِيْهِ، عَنْ ذَرٍّ، عَنْ سَعِيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِجِبْرِيْلَ: «مَالَكَ لَا تَزُوْرُنَا أَكْثَرَ مِمَّا تَزُوْرُ»؟ فَأُنْزِلَتْ بَعْدَ لَيَالٍ: {وَمَا نَتَنَزَّلُ إِلَّا بِأَمْرِ رَبِّكَ لَهُ مَا بَيْنَ أَيْدِيْنَا وَمَا خَلْفَنَا}
হাদীস নং:৫০৫
পবিত্র কুরআনের তাফসীর
হাদীস নং-৫০৫
হযরত উম্মে হানী (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করলাম, এটা কি ধরনের মন্দ কথা ছিল যা (কওমে লূত) তারা তাদের সভায় করে থাকত। তিনি বললেন: তারা মানুষের উপর ফলের বীচি ও পাথর নিক্ষেপ করতো এবং পথিকদের সাথে ঠাট্টা করতো।
হযরত উম্মে হানী (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করলাম, এটা কি ধরনের মন্দ কথা ছিল যা (কওমে লূত) তারা তাদের সভায় করে থাকত। তিনি বললেন: তারা মানুষের উপর ফলের বীচি ও পাথর নিক্ষেপ করতো এবং পথিকদের সাথে ঠাট্টা করতো।
عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أُمِّ هَانِئٍ بِنْتِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَتْ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا كَانَ الْمُنْكَرُ الَّذِي كَانُوا يَأْتُونَ فِي نَادِيهِمْ؟ قَالَ: «كَانَ يَخْذِفُونَ بِالنَّوَاةِ أَوِ الْحَصَاةِ، وَيَسْخَرُونَ مِنْ أَهْلِ الطَّرِيقِ»
হাদীস নং:৫০৬
পবিত্র কুরআনের তাফসীর
হাদীস নং-৫০৬
হযরত ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি নবী করীম (ﷺ)-এর সামনে এ আয়াত তিলাওয়াত করেন : اللَّهُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ ضَعْفٍ ثُمَّ جَعَلَ مِنْ بَعْدِ ضَعْفٍ قُوَّةً ثُمَّ جَعَلَ مِنْ بَعْدِ قُوَّةٍ ضَعْفًا وَشَيْبَةً তখন নবী করীম (ﷺ) তাকে পুনরায় তিলাওয়াত করতে বললেন। অতঃপর বললেন: এ আয়াতে ضعف শব্দের ض কে পেশ দিয়ে পড়।
হযরত ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি নবী করীম (ﷺ)-এর সামনে এ আয়াত তিলাওয়াত করেন : اللَّهُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ ضَعْفٍ ثُمَّ جَعَلَ مِنْ بَعْدِ ضَعْفٍ قُوَّةً ثُمَّ جَعَلَ مِنْ بَعْدِ قُوَّةٍ ضَعْفًا وَشَيْبَةً তখন নবী করীম (ﷺ) তাকে পুনরায় তিলাওয়াত করতে বললেন। অতঃপর বললেন: এ আয়াতে ضعف শব্দের ض কে পেশ দিয়ে পড়।
عَنْ عَطِيَّةَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّهُ قَرَأَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " {اللَّهُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ ضَعْفٍ ثُمَّ جَعَلَ مِنْ بَعْدِ ضَعْفٍ قُوَّةً ثُمَّ جَعَلَ مِنْ بَعْدِ قُوَّةٍ ضَعْفًا وَشَيْبَةً} [الروم: 54] ، فَرَدَّ عَلَيْهِ، وَقَالَ: قُلْ: مِنْ ضَعْفٍ "
হাদীস নং:৫০৭
পবিত্র কুরআনের তাফসীর
হাদীস নং-৫০৭
হযরত আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) রিওয়ায়েত করেন। পবিত্র কুরআনের আয়াতঃ فَارْتَقِبْ يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ আয়াতে دُخَان (ধোঁয়া) এবং يَوْمَ نَبْطِشُ الْبَطْشَةَ الْكُبْرَى (পাকড়াও) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পবিত্র যুগে সমাপ্ত হয়েছে।
হযরত আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) রিওয়ায়েত করেন। পবিত্র কুরআনের আয়াতঃ فَارْتَقِبْ يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ আয়াতে دُخَان (ধোঁয়া) এবং يَوْمَ نَبْطِشُ الْبَطْشَةَ الْكُبْرَى (পাকড়াও) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পবিত্র যুগে সমাপ্ত হয়েছে।
عَنِ الْهَيْثَمِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «قَدْ مَضَى الدُّخَانُ وَالْبَطْشَةُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
হাদীস নং:৫০৮
পবিত্র কুরআনের তাফসীর
হাদীস নং-৫০৮
হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ). ইরশাদ করেনঃ তোমাদের সন্তান-সন্তুতি তোমাদেরই উপার্জন, তোমাদের জন্য আল্লাহর দান। আল্লাহর যাকে ইচ্ছা কন্যা দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র দান করেন।
হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ). ইরশাদ করেনঃ তোমাদের সন্তান-সন্তুতি তোমাদেরই উপার্জন, তোমাদের জন্য আল্লাহর দান। আল্লাহর যাকে ইচ্ছা কন্যা দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র দান করেন।
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ أَوْلَادَكُمْ مِنْ كَسْبِكُمْ، وَهِبَةُ اللَّهِ لَكُمْ، يَهَبُ لِمَنْ يَشَاءُ إِنَاثًا، وَيَهَبُ لِمَنْ يَشَاءُ الذُّكُورَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫০৯
পবিত্র কুরআনের তাফসীর
হাদীস নং-৫০৯
নবী করীম (ﷺ)-এর আযাদকৃত গোলাম হযরত সাওবান (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: আমি দুনিয়া ও এর ভিতরে যা রয়েছে, তা আল্লাহ পাকের এ আয়াতের পরিবর্তে পছন্দ করি না। আল্লাহ বলেছেনঃ قُلْ يَاعِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا (হে আমার বান্দাগণ! যারা তাদের নিজের উপর মাত্রাধিক্য কাজ করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সমস্ত গুনাহ মার্জনা করে দেবেন।) তখন এক ব্যক্তি বলল, যে ব্যক্তি শিরক করেছে হে রাসূল (ﷺ) !] এর কি হবে? তিনি চুপ থাকলেন। লোকটি পুনরায় বলল, যে শিরক করেছে। এবারও তিনি চুপ থাকলেন।লোকটি আবারও বলল, যে ব্যক্তি শিরক করেছে ? তিনি চুপ রইলেন। অতঃপর তিনি বললেনঃসতর্ক ও সাবধান হও, যে ব্যক্তি শিরক করেছে (সে ব্যক্তি ক্ষমা পাবে)।
নবী করীম (ﷺ)-এর আযাদকৃত গোলাম হযরত সাওবান (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: আমি দুনিয়া ও এর ভিতরে যা রয়েছে, তা আল্লাহ পাকের এ আয়াতের পরিবর্তে পছন্দ করি না। আল্লাহ বলেছেনঃ قُلْ يَاعِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا (হে আমার বান্দাগণ! যারা তাদের নিজের উপর মাত্রাধিক্য কাজ করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সমস্ত গুনাহ মার্জনা করে দেবেন।) তখন এক ব্যক্তি বলল, যে ব্যক্তি শিরক করেছে হে রাসূল (ﷺ) !] এর কি হবে? তিনি চুপ থাকলেন। লোকটি পুনরায় বলল, যে শিরক করেছে। এবারও তিনি চুপ থাকলেন।লোকটি আবারও বলল, যে ব্যক্তি শিরক করেছে ? তিনি চুপ রইলেন। অতঃপর তিনি বললেনঃসতর্ক ও সাবধান হও, যে ব্যক্তি শিরক করেছে (সে ব্যক্তি ক্ষমা পাবে)।
عَنْ مَكِّيِّ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي قُبَيْلٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُزَنِيِّ، يَقُولُ: سَمِعْتُ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَا أُحِبُّ أَنَّ لِيَ الدُّنْيَا بِمَا فِيهَا بِهَذِهِ الْآيَةِ: {قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا} [الزمر: 53] .
فَقَالَ رَجُلٌ: وَمِنَ الشِّرْكِ؟ فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَالَ: وَمَنْ أَشْرَكَ؟ فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَالَ: أَلَا وَمَنْ أَشْرَكَ "
فَقَالَ رَجُلٌ: وَمِنَ الشِّرْكِ؟ فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَالَ: وَمَنْ أَشْرَكَ؟ فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَالَ: أَلَا وَمَنْ أَشْرَكَ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫১০
পবিত্র কুরআনের তাফসীর
হাদীস নং- ৫১০
হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, যখন ওয়াহ্শী ইব্ন হারব হযরত হামযা (রাযিঃ)-কে শহীদ করে, এরপর সে দীর্ঘদিন কুফরীর উপর বহাল থাকে। অতঃপর তার অন্তরে ইসলাম গ্রহণের প্রেরণা জাগে। তখন এক ব্যক্তিকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খেদমতের (এ পয়গাম নিয়ে) প্রেরণ করে যে, আমার অন্তরে ইসলামের আলো প্রবেশ করেছে। আমি শুনেছি, আপনি আল্লাহপাকের এ কালাম বর্ণনা করেছেনঃ
وَالَّذِينَ لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَلَا يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ وَلَا يَزْنُونَ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ يَلْقَ أَثَامًا يُضَاعَفْ لَهُ الْعَذَابُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَخْلُدْ فِيهِ مُهَانًا
"যারা আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে মা'বূদ হিসেবে মান্য করে না, অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করে না, তারা ব্যভিচার করে না, যারা এ সমস্ত কাজ করবে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে। কিয়ামতের দিন তাদেরকে অধিক শাস্তি প্রদান করা হবে। অনন্তকাল তারা ঐ আযাবে অপমানিত ও অপদস্থ হতে থাকবে।” (অতঃপর ওয়াহ্শী বলে) আমি এ সমস্ত কিছুই করেছি, তাই আমার জন্য কি মুক্তির কোন উপায় আছে? বর্ণনাকারী বলেন, এরপর হযরত জিবরাঈল (আ) নাযিল হয়ে বললেন : হে মুহাম্মাদ! (ﷺ) আপনি তাকে বলে দিনঃ إِلَّا مَنْ تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُولَئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا “কিন্তু যে ব্যক্তি (শিরক থেকে) তওবা করবে এবং বিশ্বাস স্থাপন করবে, নেককাজ করবে, তা হলে আল্লাহ্ তা'আলা এরূপ ব্যক্তিদের (অতীত) পাপসমূহ (বর্তমান) নেকীসমূহের দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা ক্ষমাশীল ও করুণাময়।”
বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ আয়াত ওয়াহশীর নিকট প্রেরণ করেন। যখন এ আয়াত ওয়াহশীর নিকট তিলাওয়াত করা হয়, তখন সে বললো এ আয়াতে কয়েকটি শর্ত রয়েছে যেগুলোর ব্যাপারে আমি ভয় করছি যে, আমি এগুলো সম্পন্ন করতে পারব না এবং এটাও আমি সঠিকভাবে জানি না যে, আমি নেক আমল করতে পারব কি পারব না। সুতরাং হে মুহাম্মাদ (ﷺ)! আপনার নিকট কি এরচেয়েও কোন সহজ উপায় আছে ?
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর হযরত জিবরাঈল (আ) এ আয়াত নিয়ে নাযিল হলেন : إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ “নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করবেন না যে তাঁর সাথে কাউকে শরীক করে। এছাড়া যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করবেন।
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ আয়াত লিখে ওয়াহশীর নিকট প্রেরণ করেন। যখন তার নিকট এ আয়াত তিলাওয়াত করা হয় (তখন ওয়াহ্শী এ আয়াত শুনে ও বলে) আল্লাহ বলেছেন নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন না যে তাঁর সাথে কাউকে শরীক করে, এ ছাড়া যাকে ইচ্ছা, তিনি তাকে ক্ষমা করবেন। আমি জানি না, আমি কি আল্লাহর অভিপ্রায়ের মধ্যে আছি, যদি তিনি ক্ষমা প্রদর্শন করতে ইচ্ছা করেন। যদি আয়াত এরূপ হতোঃ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ “এ ছাড়া অন্যান্য পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন" এবং لِمَنْ يَشَاءُ " বাক্যটি যদি সংযোজন না করা হতো, তা হলে বিষয়টি ঠিক হতো।
অতঃপর ওয়াহ্শী বললোঃ হে মুহাম্মাদ (ﷺ) ! আপনার নিকট কি এর চেয়েও ব্যাপকতর আল্লাহর কোন বিধান আছে? তখন হযরত জিবরাঈল (আ) এ আয়াত নিয়ে নাযিল হলেনঃ
قُلْ يَاعِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
“(হে নবী!) আপনি আমার ঐ বান্দাদেরকে বলুন, যারা তাদের নিজেদের উপর মাত্রাধিক্য আচরণ করেছে, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তোমাদের সমস্ত পাপ মার্জনা করে দেবেন, নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল, করুণাময়।"
বর্ণনাকারী বলেন, এবারও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ আয়াতটি লিখে ওয়াহশীর নিকট প্রেরণ করেন। যখন এ আয়াতটি তার সামনে তিলাওয়াত করা হয়, তখন সে বললো, হ্যাঁ, এবার আয়াতটি ঠিক আছে, অতি উত্তম আয়াত। এরপর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এ সংবাদ নিয়ে একটি লোক প্রেরণ করেন যে, হে আল্লাহর রাসূল! আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি। সুতরাং আমাকে আপনার সাথে সাক্ষাতের অনুমতি দান করুন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে এটা বলে পাঠালেন যে, তোমার চেহারা তুমি দেখাবে না। কেননা এটা সহ্য করতে পারব না যে, আমি আমার চাচা হামযার হত্যাকারীকে চোখভরে দেখি। তখন ওয়াহশী চুপ হয়ে গেলেন। এ সময় মুসায়লামা কাযযাব রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকটএ শিরোনামে একটি পত্র প্রেরণ করেঃ “মুসায়লামা রাসূলুল্লাহর পক্ষ থেকে মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহর নিকট। আম্মাবাদ! নিশ্চয়ই আমি শরীক করেছি জমিতে (আরবভূমিতে) অর্ধেক ভূমি আমার জন্য এবং অর্ধেক কুরায়শদের জন্য, কিন্তু কুরায়শগণ এরূপ কওম যারা সীমাতিক্রম ( সমস্ত কিছু ভোগ-দখল করতে চায়) করে।" তার এ পত্রটি দু'ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খেদমতে নিয়ে আসে। যখন পত্রটি তাঁর সামনে পাঠ করা হলো, তখন তিনি পত্রবাহক দু'জনকে বললেন: যদি তোমরা দূত বা বাহক হিসেবে আগমণ না করতে, তা হলে আমি তোমাদের দু'জনকেই হত্যার ব্যবস্থা করতাম। অতঃপর তিনি হযরত আলী ইব্ন আবি তালিব (রাযিঃ)-কে ডাকালেন এবং তাকে লিখার নির্দেশ প্রদান করেন ঃ"বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম, মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূলের পক্ষ থেকে মুসায়লামা কাযযাবের নিকট, যে সত্যপথে আছে, তার উপর আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক। আম্মাবাদ! অতঃপর নিশ্চয়ই জমি বা ভূমি (সাম্রাজ্য) আল্লাহর জন্য। স্বীয় বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তিনি তাকে এর অংশীদার বা মালিক বানিয়ে দেন। আল্লাহভীরুদের জন্য পরিণাম কল্যাণময়। আল্লাহ্ তা'আলা রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন আমাদের সর্দার হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর উপর।" রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট মুসায়লামার এ পত্রের কথা যখন ওয়াহ্শী অবগত হলেন, তখন তিনি তার বর্ণা বের করে ধার করলেন এবং মুসায়লামাকে হত্যার পরিকল্পনা ও নিয়্যত করলেন। আর এ ইচ্ছা পূরণ করার জন্য তিনি অপেক্ষা করতে লাগলেন। অবশেষে ইয়ামামার যুদ্ধে (ওয়াহ্ণী) তাকে হত্যা করেন।
হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, যখন ওয়াহ্শী ইব্ন হারব হযরত হামযা (রাযিঃ)-কে শহীদ করে, এরপর সে দীর্ঘদিন কুফরীর উপর বহাল থাকে। অতঃপর তার অন্তরে ইসলাম গ্রহণের প্রেরণা জাগে। তখন এক ব্যক্তিকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খেদমতের (এ পয়গাম নিয়ে) প্রেরণ করে যে, আমার অন্তরে ইসলামের আলো প্রবেশ করেছে। আমি শুনেছি, আপনি আল্লাহপাকের এ কালাম বর্ণনা করেছেনঃ
وَالَّذِينَ لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَلَا يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ وَلَا يَزْنُونَ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ يَلْقَ أَثَامًا يُضَاعَفْ لَهُ الْعَذَابُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَخْلُدْ فِيهِ مُهَانًا
"যারা আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে মা'বূদ হিসেবে মান্য করে না, অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করে না, তারা ব্যভিচার করে না, যারা এ সমস্ত কাজ করবে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে। কিয়ামতের দিন তাদেরকে অধিক শাস্তি প্রদান করা হবে। অনন্তকাল তারা ঐ আযাবে অপমানিত ও অপদস্থ হতে থাকবে।” (অতঃপর ওয়াহ্শী বলে) আমি এ সমস্ত কিছুই করেছি, তাই আমার জন্য কি মুক্তির কোন উপায় আছে? বর্ণনাকারী বলেন, এরপর হযরত জিবরাঈল (আ) নাযিল হয়ে বললেন : হে মুহাম্মাদ! (ﷺ) আপনি তাকে বলে দিনঃ إِلَّا مَنْ تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُولَئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا “কিন্তু যে ব্যক্তি (শিরক থেকে) তওবা করবে এবং বিশ্বাস স্থাপন করবে, নেককাজ করবে, তা হলে আল্লাহ্ তা'আলা এরূপ ব্যক্তিদের (অতীত) পাপসমূহ (বর্তমান) নেকীসমূহের দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা ক্ষমাশীল ও করুণাময়।”
বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ আয়াত ওয়াহশীর নিকট প্রেরণ করেন। যখন এ আয়াত ওয়াহশীর নিকট তিলাওয়াত করা হয়, তখন সে বললো এ আয়াতে কয়েকটি শর্ত রয়েছে যেগুলোর ব্যাপারে আমি ভয় করছি যে, আমি এগুলো সম্পন্ন করতে পারব না এবং এটাও আমি সঠিকভাবে জানি না যে, আমি নেক আমল করতে পারব কি পারব না। সুতরাং হে মুহাম্মাদ (ﷺ)! আপনার নিকট কি এরচেয়েও কোন সহজ উপায় আছে ?
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর হযরত জিবরাঈল (আ) এ আয়াত নিয়ে নাযিল হলেন : إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ “নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করবেন না যে তাঁর সাথে কাউকে শরীক করে। এছাড়া যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করবেন।
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ আয়াত লিখে ওয়াহশীর নিকট প্রেরণ করেন। যখন তার নিকট এ আয়াত তিলাওয়াত করা হয় (তখন ওয়াহ্শী এ আয়াত শুনে ও বলে) আল্লাহ বলেছেন নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন না যে তাঁর সাথে কাউকে শরীক করে, এ ছাড়া যাকে ইচ্ছা, তিনি তাকে ক্ষমা করবেন। আমি জানি না, আমি কি আল্লাহর অভিপ্রায়ের মধ্যে আছি, যদি তিনি ক্ষমা প্রদর্শন করতে ইচ্ছা করেন। যদি আয়াত এরূপ হতোঃ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ “এ ছাড়া অন্যান্য পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন" এবং لِمَنْ يَشَاءُ " বাক্যটি যদি সংযোজন না করা হতো, তা হলে বিষয়টি ঠিক হতো।
অতঃপর ওয়াহ্শী বললোঃ হে মুহাম্মাদ (ﷺ) ! আপনার নিকট কি এর চেয়েও ব্যাপকতর আল্লাহর কোন বিধান আছে? তখন হযরত জিবরাঈল (আ) এ আয়াত নিয়ে নাযিল হলেনঃ
قُلْ يَاعِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
“(হে নবী!) আপনি আমার ঐ বান্দাদেরকে বলুন, যারা তাদের নিজেদের উপর মাত্রাধিক্য আচরণ করেছে, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তোমাদের সমস্ত পাপ মার্জনা করে দেবেন, নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল, করুণাময়।"
বর্ণনাকারী বলেন, এবারও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ আয়াতটি লিখে ওয়াহশীর নিকট প্রেরণ করেন। যখন এ আয়াতটি তার সামনে তিলাওয়াত করা হয়, তখন সে বললো, হ্যাঁ, এবার আয়াতটি ঠিক আছে, অতি উত্তম আয়াত। এরপর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এ সংবাদ নিয়ে একটি লোক প্রেরণ করেন যে, হে আল্লাহর রাসূল! আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি। সুতরাং আমাকে আপনার সাথে সাক্ষাতের অনুমতি দান করুন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে এটা বলে পাঠালেন যে, তোমার চেহারা তুমি দেখাবে না। কেননা এটা সহ্য করতে পারব না যে, আমি আমার চাচা হামযার হত্যাকারীকে চোখভরে দেখি। তখন ওয়াহশী চুপ হয়ে গেলেন। এ সময় মুসায়লামা কাযযাব রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকটএ শিরোনামে একটি পত্র প্রেরণ করেঃ “মুসায়লামা রাসূলুল্লাহর পক্ষ থেকে মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহর নিকট। আম্মাবাদ! নিশ্চয়ই আমি শরীক করেছি জমিতে (আরবভূমিতে) অর্ধেক ভূমি আমার জন্য এবং অর্ধেক কুরায়শদের জন্য, কিন্তু কুরায়শগণ এরূপ কওম যারা সীমাতিক্রম ( সমস্ত কিছু ভোগ-দখল করতে চায়) করে।" তার এ পত্রটি দু'ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খেদমতে নিয়ে আসে। যখন পত্রটি তাঁর সামনে পাঠ করা হলো, তখন তিনি পত্রবাহক দু'জনকে বললেন: যদি তোমরা দূত বা বাহক হিসেবে আগমণ না করতে, তা হলে আমি তোমাদের দু'জনকেই হত্যার ব্যবস্থা করতাম। অতঃপর তিনি হযরত আলী ইব্ন আবি তালিব (রাযিঃ)-কে ডাকালেন এবং তাকে লিখার নির্দেশ প্রদান করেন ঃ"বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম, মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূলের পক্ষ থেকে মুসায়লামা কাযযাবের নিকট, যে সত্যপথে আছে, তার উপর আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক। আম্মাবাদ! অতঃপর নিশ্চয়ই জমি বা ভূমি (সাম্রাজ্য) আল্লাহর জন্য। স্বীয় বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তিনি তাকে এর অংশীদার বা মালিক বানিয়ে দেন। আল্লাহভীরুদের জন্য পরিণাম কল্যাণময়। আল্লাহ্ তা'আলা রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন আমাদের সর্দার হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর উপর।" রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট মুসায়লামার এ পত্রের কথা যখন ওয়াহ্শী অবগত হলেন, তখন তিনি তার বর্ণা বের করে ধার করলেন এবং মুসায়লামাকে হত্যার পরিকল্পনা ও নিয়্যত করলেন। আর এ ইচ্ছা পূরণ করার জন্য তিনি অপেক্ষা করতে লাগলেন। অবশেষে ইয়ামামার যুদ্ধে (ওয়াহ্ণী) তাকে হত্যা করেন।
عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ السَّائِبِ الْكَلْبِيِّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: " أَنَّ وَحْشِيًّا لَمَّا قَتَلَ حَمْزَةَ مَكَثَ زَمَانًا، ثُمَّ وَقَعَ فِي قَلْبِهِ الْإِسْلَامُ، فَأَرْسَلَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَدْ وَقَعَ فِي قَلْبِهِ الْإِسْلَامُ، وَقَدْ سَمِعْتُكَ تَقُولُ عَنِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَالَّذِينَ لا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَلا يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلا بِالْحَقِّ وَلا يَزْنُونَ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ يَلْقَ أَثَامًا {68} يُضَاعَفْ لَهُ الْعَذَابُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَخْلُدْ فِيهِ مُهَانًا} [الفرقان: 68-69] ، فَإِنِّي قَدْ فَعَلْتُهُنَّ جَمِيعًا، فَهَلْ لِي رُخْصَةٌ؟ قَالَ: فَنَزَلَ جِبْرِيلُ، فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، قُلْ لَهُ: {إِلا مَنْ تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلا صَالِحًا فَأُولَئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا} [الفرقان: 70] ، فَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهَذِهِ الْآيَةِ، فَلَمَّا قُرِئَتْ عَلَيْهِ، قَالَ وَحْشِيٌّ: إِنَّ فِي هَذِهِ الْآيَةِ شُرُوطًا، وَأَخْشَى أَنْ لَا آتِيَ بِهَا، وَلَا أُحَقِّقُ أَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا أَمْ لَا، فَهَلْ عِنْدَكَ شَيْءٌ أَوْسَعُ مِنْ ذَلِكَ يَا مُحَمَّدُ؟ فَنَزَلَ جِبْرِيلُ بِهَذِهِ الْآيَةِ: {قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ} [الزمر: 53] ، قَالَ: فَكَتَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَبَعَثَ بِهَا إِلَى وَحْشِيٍّ، فَلَمَّا قُرِئَتْ عَلَيْهِ، قَالَ: أَمَّا هَذِهِ الْآيَةُ فَنَعَمْ.
ثُمَّ أَسْلَمَ، فَأَرْسَلَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنِّي قَدْ أَسْلَمْتُ، فَأْذَنْ لِي فِي لِقَائِكَ، فَأْرَسَلَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنْ وَارِ عَنْ وَجْهِكَ، فَإِنِّي لَا أَسْتَطِيعُ أَنْ أَمْلَأَ عَيْنَيَّ مِنْ قَاتِلِ حَمْزَةَ عَمِّي، قَالَ: فَسَكَتَ وَحْشِيٌّ، حَتَّى كَتَبَ مُسَيْلِمَةُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مِنْ مُسَيْلِمَةَ رَسُولِ اللَّهِ إِلَى مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ، أَمَّا بَعْدُ، فَقَدْ أُشْرِكْتُ فِي الْأَرْضِ، فَلِي نِصْفُ الْأَرْضِ وَلِقُرَيْشٍ نِصْفُهَا، غَيْرَ أَنَّ قُرَيْشًا قَوْمٌ يَعْتَدُونَ، قَالَ: فَقَدِمَ بِكِتَابِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلَانِ، فَلَمَّا قُرِئَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْكِتَابُ قَالَ لِلرَّسُولَيْنِ: " لَوْلَا أَنَّكُمَا رَسُولَانِ لَقَتَلْتُكُمَا، ثُمَّ دَعَا بِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ: اكْتُبْ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، مِنْ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ إِلَى مُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابِ، السَّلَامُ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى، أَمَّا بَعْدُ، {إِنَّ الأَرْضَ لِلَّهِ يُورِثُهَا مَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ وَالْعَاقِبَةُ لِلْمُتَّقِينَ} [الأعراف: 128] ، وَصَلَّى اللَّهُ عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ، قَالَ: فَلَمَّا بَلَغَ مَا كَتَبَ مُسَيْلِمَةُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْرَجَ الذِّرَاعَ فَصَقَلَهُ، وَهَمَّ بِقَتْلِ مُسَيْلِمَةَ، فَلَمْ يَزَلْ عَلَى عَزْمِ ذَلِكَ حَتَّى قَتَلَهُ يَوْمَ الْيَمَامَةِ "
ثُمَّ أَسْلَمَ، فَأَرْسَلَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنِّي قَدْ أَسْلَمْتُ، فَأْذَنْ لِي فِي لِقَائِكَ، فَأْرَسَلَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنْ وَارِ عَنْ وَجْهِكَ، فَإِنِّي لَا أَسْتَطِيعُ أَنْ أَمْلَأَ عَيْنَيَّ مِنْ قَاتِلِ حَمْزَةَ عَمِّي، قَالَ: فَسَكَتَ وَحْشِيٌّ، حَتَّى كَتَبَ مُسَيْلِمَةُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مِنْ مُسَيْلِمَةَ رَسُولِ اللَّهِ إِلَى مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ، أَمَّا بَعْدُ، فَقَدْ أُشْرِكْتُ فِي الْأَرْضِ، فَلِي نِصْفُ الْأَرْضِ وَلِقُرَيْشٍ نِصْفُهَا، غَيْرَ أَنَّ قُرَيْشًا قَوْمٌ يَعْتَدُونَ، قَالَ: فَقَدِمَ بِكِتَابِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلَانِ، فَلَمَّا قُرِئَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْكِتَابُ قَالَ لِلرَّسُولَيْنِ: " لَوْلَا أَنَّكُمَا رَسُولَانِ لَقَتَلْتُكُمَا، ثُمَّ دَعَا بِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ: اكْتُبْ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، مِنْ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ إِلَى مُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابِ، السَّلَامُ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى، أَمَّا بَعْدُ، {إِنَّ الأَرْضَ لِلَّهِ يُورِثُهَا مَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ وَالْعَاقِبَةُ لِلْمُتَّقِينَ} [الأعراف: 128] ، وَصَلَّى اللَّهُ عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ، قَالَ: فَلَمَّا بَلَغَ مَا كَتَبَ مُسَيْلِمَةُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْرَجَ الذِّرَاعَ فَصَقَلَهُ، وَهَمَّ بِقَتْلِ مُسَيْلِمَةَ، فَلَمْ يَزَلْ عَلَى عَزْمِ ذَلِكَ حَتَّى قَتَلَهُ يَوْمَ الْيَمَامَةِ "
হাদীস নং:৫১১
পবিত্র কুরআনের তাফসীর
হাদীস নং- ৫১১
হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: আমার শাফাআতে ঈমানদারগণ দোযখ থেকে বের হয়ে যাবে। এমন কি বিশ্বাসীদের মধ্যে কেউ দোযখে বাকী থাকবে না, শুধু ঐ ব্যক্তিগণ বাকী থাকবে যাদেরকে এ আয়াতে সম্বোধন করা হয়েছে:
مَا سَلَكَكُمْ فِي سَقَرَ قَالُوا لَمْ نَكُ مِنَ الْمُصَلِّينَ وَلَمْ نَكُ نُطْعِمُ الْمِسْكِينَ وَكُنَّا نَخُوضُ مَعَ الْخَائِضِينَ وَكُنَّا نُكَذِّبُ بِيَوْمِ الدِّينِ حَتَّى أَتَانَا الْيَقِينُ فَمَا تَنْفَعُهُمْ شَفَاعَةُ الشَّافِعِينَ
“কোন বস্তু তোমাদেরকে দোযখে টেনে নিয়ে এসেছে? (দোযখবাসী) বলবে, আমরা নামাযী ছিলাম না, মিসকীনদের আহার করাইনি, বিতর্ককারীদের সাথে বিতর্কে লিপ্ত হয়েছি, আমরা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছি কিয়ামতের দিনকে, এভাবে আমাদের নিকট মৃত্যু এসে উপস্থিত হয়েছে। সুতরাং কোন শাফাআতকারীর শাফাআত তাদের উপকারে আসবে না।"
অপর এক রিওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন: ঈমানদারগণের মধ্যে অনেক কওমকে আল্লাহ তা'আলা কিয়ামতের দিন শাস্তি প্রদান করবেন। অতঃপর হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর সুপারিশে তাদেরকে দোযখ থেকে বের করা হবে। এমনকি দোযখে একটি লোকও (ঈমানদার) বাকী থাকবে না, তবে (ঐ সমস্ত লোক বাকী থাকবে) যাদেরকে আল্লাহ্ তা'আলা এ আয়াতে সম্বোধন করেছেন :
مَا سَلَكَكُمْ فِي سَقَرَ قَالُوا لَمْ نَكُ مِنَ الْمُصَلِّينَ وَلَمْ نَكُ نُطْعِمُ الْمِسْكِينَ وَكُنَّا نَخُوضُ مَعَ الْخَائِضِينَ وَكُنَّا نُكَذِّبُ بِيَوْمِ الدِّينِ حَتَّى أَتَانَا الْيَقِينُ فَمَا تَنْفَعُهُمْ شَفَاعَةُ الشَّافِعِينَ
“কি সে তোমাদেরকে দোযখে নিয়ে এসেছে, তারা বলবে আমরা নামাযী ছিলাম না, মিসকীনদেরকে আহার করাইনি, বিতর্ককারীদের সাথে বিতর্কে লিপ্ত ছিলাম, কিয়ামতের দিনকে মিথ্যা বলেছি, এভাবে আমাদের নিকট মৃত্যু এসেছে। সুতরাং কোন সুপারিশকারীর সুপারিশ তাদের কোন উপকারে আসবে না।"
হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: আমার শাফাআতে ঈমানদারগণ দোযখ থেকে বের হয়ে যাবে। এমন কি বিশ্বাসীদের মধ্যে কেউ দোযখে বাকী থাকবে না, শুধু ঐ ব্যক্তিগণ বাকী থাকবে যাদেরকে এ আয়াতে সম্বোধন করা হয়েছে:
مَا سَلَكَكُمْ فِي سَقَرَ قَالُوا لَمْ نَكُ مِنَ الْمُصَلِّينَ وَلَمْ نَكُ نُطْعِمُ الْمِسْكِينَ وَكُنَّا نَخُوضُ مَعَ الْخَائِضِينَ وَكُنَّا نُكَذِّبُ بِيَوْمِ الدِّينِ حَتَّى أَتَانَا الْيَقِينُ فَمَا تَنْفَعُهُمْ شَفَاعَةُ الشَّافِعِينَ
“কোন বস্তু তোমাদেরকে দোযখে টেনে নিয়ে এসেছে? (দোযখবাসী) বলবে, আমরা নামাযী ছিলাম না, মিসকীনদের আহার করাইনি, বিতর্ককারীদের সাথে বিতর্কে লিপ্ত হয়েছি, আমরা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছি কিয়ামতের দিনকে, এভাবে আমাদের নিকট মৃত্যু এসে উপস্থিত হয়েছে। সুতরাং কোন শাফাআতকারীর শাফাআত তাদের উপকারে আসবে না।"
অপর এক রিওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন: ঈমানদারগণের মধ্যে অনেক কওমকে আল্লাহ তা'আলা কিয়ামতের দিন শাস্তি প্রদান করবেন। অতঃপর হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর সুপারিশে তাদেরকে দোযখ থেকে বের করা হবে। এমনকি দোযখে একটি লোকও (ঈমানদার) বাকী থাকবে না, তবে (ঐ সমস্ত লোক বাকী থাকবে) যাদেরকে আল্লাহ্ তা'আলা এ আয়াতে সম্বোধন করেছেন :
مَا سَلَكَكُمْ فِي سَقَرَ قَالُوا لَمْ نَكُ مِنَ الْمُصَلِّينَ وَلَمْ نَكُ نُطْعِمُ الْمِسْكِينَ وَكُنَّا نَخُوضُ مَعَ الْخَائِضِينَ وَكُنَّا نُكَذِّبُ بِيَوْمِ الدِّينِ حَتَّى أَتَانَا الْيَقِينُ فَمَا تَنْفَعُهُمْ شَفَاعَةُ الشَّافِعِينَ
“কি সে তোমাদেরকে দোযখে নিয়ে এসেছে, তারা বলবে আমরা নামাযী ছিলাম না, মিসকীনদেরকে আহার করাইনি, বিতর্ককারীদের সাথে বিতর্কে লিপ্ত ছিলাম, কিয়ামতের দিনকে মিথ্যা বলেছি, এভাবে আমাদের নিকট মৃত্যু এসেছে। সুতরাং কোন সুপারিশকারীর সুপারিশ তাদের কোন উপকারে আসবে না।"
عَنْ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي الزَّعْرَاءِ مِنْ أَصْحَابِ بْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيَخْرُجَنَّ بِشَفَاعَتِيْ مِنْ أَهْلِ الْإِيْمَانِ مِنَ النَّارِ، حَتَّى لَا يَبْقَى فِيْهَا أَحَدٌ إِلَّا أَهْلُ هَذِهِ الْآيَةِ: {مَا سَلَكَكُمْ فِيْ سَقَرَ، قَالُوْا لَمْ نَكُ مِنَ الْمُصَلِّيْنَ، وَلَمْ نَكُ نُطْعِمُ الْمِسْكِيْنَ، وَكُنَّا نَخُوْضُ مَعَ الْخَائِضِيْنَ، وَكُنَّا نُكَذِّبُ بِيَوْمِ الدِّيْنِ، حَتَّى أَتَانَا الْيَقِيْنُ، فَمَا تَنْفَعُهُمْ شَفَاعَةُ الشَّافِعِيْنَ} (1)».
وَفِيْ رِوَايَةٍ: عَنِ ابْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: يُعَذِّبُ اللهُ تَعَالَى أَقْوَامًا مِنْ أَهْلِ الْإِيْمَانِ، ثُمَّ يُخْرِجُهُمْ بِشَفَاعَةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى لَا يَبْقَى إِلَّا مَنْ ذَكَرَ اللهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى: {مَا سَلَكَكُمْ فِيْ سَقَرَ، قَالُوْا لَمْ نَكُ مِنَ الْمُصَلِّيْنَ، وَلَمْ نَكُ نُطْعِمُ الْمِسْكِيْنَ، وَكُنَّا نَخُوْضُ مَعَ الْخَائِضِيْنَ، وَكُنَّا نُكَذِّبُ بِيَوْمِ الدِّيْنِ، حَتَّى أَتَانَا الْيَقِيْنُ، فَمَا تَنْفَعُهُمْ شَفَاعَةُ الشَّافِعِيْنَ}
وَفِيْ رِوَايَةٍ: عَنِ ابْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: يُعَذِّبُ اللهُ تَعَالَى أَقْوَامًا مِنْ أَهْلِ الْإِيْمَانِ، ثُمَّ يُخْرِجُهُمْ بِشَفَاعَةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى لَا يَبْقَى إِلَّا مَنْ ذَكَرَ اللهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى: {مَا سَلَكَكُمْ فِيْ سَقَرَ، قَالُوْا لَمْ نَكُ مِنَ الْمُصَلِّيْنَ، وَلَمْ نَكُ نُطْعِمُ الْمِسْكِيْنَ، وَكُنَّا نَخُوْضُ مَعَ الْخَائِضِيْنَ، وَكُنَّا نُكَذِّبُ بِيَوْمِ الدِّيْنِ، حَتَّى أَتَانَا الْيَقِيْنُ، فَمَا تَنْفَعُهُمْ شَفَاعَةُ الشَّافِعِيْنَ}
হাদীস নং:৫১২
পবিত্র কুরআনের তাফসীর
হাদীস নং- ৫১২
হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, দোযখে একজন ব্যক্তিও বাকী থাকবে না। তবে যাদের ব্যাপারে আল্লাহ্ তা'আলা এ আয়াতে উল্লেখ করেছেন :
مَا سَلَكَكُمْ فِي سَقَرَ قَالُوا لَمْ نَكُ مِنَ الْمُصَلِّينَ وَلَمْ نَكُ نُطْعِمُ الْمِسْكِينَ وَكُنَّا نَخُوضُ مَعَ الْخَائِضِينَ وَكُنَّا نُكَذِّبُ بِيَوْمِ الدِّينِ حَتَّى أَتَانَا الْيَقِينُ فَمَا تَنْفَعُهُمْ شَفَاعَةُ الشَّافِعِينَ
হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, দোযখে একজন ব্যক্তিও বাকী থাকবে না। তবে যাদের ব্যাপারে আল্লাহ্ তা'আলা এ আয়াতে উল্লেখ করেছেন :
مَا سَلَكَكُمْ فِي سَقَرَ قَالُوا لَمْ نَكُ مِنَ الْمُصَلِّينَ وَلَمْ نَكُ نُطْعِمُ الْمِسْكِينَ وَكُنَّا نَخُوضُ مَعَ الْخَائِضِينَ وَكُنَّا نُكَذِّبُ بِيَوْمِ الدِّينِ حَتَّى أَتَانَا الْيَقِينُ فَمَا تَنْفَعُهُمْ شَفَاعَةُ الشَّافِعِينَ
حَمَّادٌ: عَنْ أَبِيْهِ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: لَا يَبْقَى فِي النَّارِ إِلَّا مَنْ ذَكَرَ اللهُ فِيْ هَذِهِ الْآيَةِ: {مَا سَلَكَكُمْ فِيْ سَقَرَ، قَالُوْا لَمْ نَكُ مِنَ الْمُصَلِّيْنَ، وَلَمْ نَكُ نُطْعِمُ الْمِسْكِيْنَ، وَكُنَّا نَخُوْضُ مَعَ الْخَائِضِيْنَ، وَكُنَّا نُكَذِّبُ بِيَوْمِ الدِّيْنِ، حَتَّى أَتَانَا الْيَقِيْنُ، فَمَا تَنْفَعُهُمْ شَفَاعَةُ الشَّافِعِيْنَ}
হাদীস নং:৫১৩
পবিত্র কুরআনের তাফসীর
হাদীস নং-৫১৩
আবু সালিহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, আয়াতঃ لَابِثِينَ فِيهَا أَحْقَابًا ( সেখানে থাকবে তারা অনেক হুকবা) এক হুকবার পরিমাণ আশি বছর যার ছ'দিন দুনিয়ার সমস্ত দিনের সমান।
আবু সালিহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, আয়াতঃ لَابِثِينَ فِيهَا أَحْقَابًا ( সেখানে থাকবে তারা অনেক হুকবা) এক হুকবার পরিমাণ আশি বছর যার ছ'দিন দুনিয়ার সমস্ত দিনের সমান।
حَمَّادٌ: عَنْ أَبِيْهِ، عَنْ أَبِيْ عِصَامٍ، عَنْ أَبِيْ صَالِحٍ، قَالَ: اَلْحُقْبُ ثَمَانُوْنَ سَنَةً، مِنْهَا سِتَّةُ أَيَّامٍ عَدَدَ أَيَّامِ الدُّنْيَا.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫১৪
পবিত্র কুরআনের তাফসীর
হাদীস নং-৫১৪
হযরত আবু যুবায়র (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সামনে وَصَدَّقَ بِالْحُسْنَى আয়াতে তিলাওয়াত করা হলে তিনি বলেনঃ এর দ্বারা لا اله الا الله কলেমাকে বুঝানো হয়েছে।
হযরত আবু যুবায়র (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সামনে وَصَدَّقَ بِالْحُسْنَى আয়াতে তিলাওয়াত করা হলে তিনি বলেনঃ এর দ্বারা لا اله الا الله কলেমাকে বুঝানো হয়েছে।
عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، قَالَ: قُرِئَ عَلَى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: {وَصَدَّقَ بِالْحُسْنَى} ، قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
