মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

২৬. পবিত্র কুরআনের তাফসীর অধ্যায়

হাদীস নং: ৫০৯
পবিত্র কুরআনের তাফসীর
হাদীস নং-৫০৯

নবী করীম (ﷺ)-এর আযাদকৃত গোলাম হযরত সাওবান (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: আমি দুনিয়া ও এর ভিতরে যা রয়েছে, তা আল্লাহ পাকের এ আয়াতের পরিবর্তে পছন্দ করি না। আল্লাহ বলেছেনঃ قُلْ يَاعِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا (হে আমার বান্দাগণ! যারা তাদের নিজের উপর মাত্রাধিক্য কাজ করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সমস্ত গুনাহ মার্জনা করে দেবেন।) তখন এক ব্যক্তি বলল, যে ব্যক্তি শিরক করেছে হে রাসূল (ﷺ) !] এর কি হবে? তিনি চুপ থাকলেন। লোকটি পুনরায় বলল, যে শিরক করেছে। এবারও তিনি চুপ থাকলেন।লোকটি আবারও বলল, যে ব্যক্তি শিরক করেছে ? তিনি চুপ রইলেন। অতঃপর তিনি বললেনঃসতর্ক ও সাবধান হও, যে ব্যক্তি শিরক করেছে (সে ব্যক্তি ক্ষমা পাবে)।
عَنْ مَكِّيِّ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي قُبَيْلٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُزَنِيِّ، يَقُولُ: سَمِعْتُ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَا أُحِبُّ أَنَّ لِيَ الدُّنْيَا بِمَا فِيهَا بِهَذِهِ الْآيَةِ: {قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا} [الزمر: 53] .
فَقَالَ رَجُلٌ: وَمِنَ الشِّرْكِ؟ فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَالَ: وَمَنْ أَشْرَكَ؟ فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَالَ: أَلَا وَمَنْ أَشْرَكَ "

হাদীসের ব্যাখ্যা:

কোন কোন অনুলিপিতে الا এর পর واو রয়েছে, যেভাবে এ অনুলিপিতে রয়েছে, এবং কোথাও কোথাও নেই। মোল্লা আলী ক্বারী যে অনুলিপির শরাহ লিখেছেন, এতে واو নেই এবং তিনি বলেন, সম্ভবত এখানে الا সাবধানতার জন্য,واو পতিত হওয়ার কারণ হয়েছে।অর্থ এটাই হবে যে, খবরদার! যে ব্যক্তি শিরক করবে, তাকেও ক্ষমা করা হবে। অর্থাৎ যখন শিরক থেকে তওবা করে ইসলাম গ্রহণ করবে, তখন তার শিরক-এর সমস্ত পাপ মার্জনা করা হবে। এরপর তিনি বলেন এটাও সম্ভাবনা রয়েছে যে, الا পৃথক করার জন্য এসেছে। অতঃপর এর অর্থ খুবই স্পষ্ট। কিন্তু অধিকাংশ অনুলিপিতে واو রয়েছে। ইমাম আহমদের রিওয়ায়েতেও واو রয়েছে। উভয় অবস্থায় অর্থ একই হবে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মুসনাদে আবু হানীফা রহঃ - হাদীস নং ৫০৯ | মুসলিম বাংলা