মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

২৬. পবিত্র কুরআনের তাফসীর অধ্যায়

হাদীস নং: ৫১০
পবিত্র কুরআনের তাফসীর
হাদীস নং- ৫১০

হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, যখন ওয়াহ্শী ইব্ন হারব হযরত হামযা (রাযিঃ)-কে শহীদ করে, এরপর সে দীর্ঘদিন কুফরীর উপর বহাল থাকে। অতঃপর তার অন্তরে ইসলাম গ্রহণের প্রেরণা জাগে। তখন এক ব্যক্তিকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খেদমতের (এ পয়গাম নিয়ে) প্রেরণ করে যে, আমার অন্তরে ইসলামের আলো প্রবেশ করেছে। আমি শুনেছি, আপনি আল্লাহপাকের এ কালাম বর্ণনা করেছেনঃ
وَالَّذِينَ لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَلَا يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ وَلَا يَزْنُونَ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ يَلْقَ أَثَامًا يُضَاعَفْ لَهُ الْعَذَابُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَخْلُدْ فِيهِ مُهَانًا
"যারা আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে মা'বূদ হিসেবে মান্য করে না, অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করে না, তারা ব্যভিচার করে না, যারা এ সমস্ত কাজ করবে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে। কিয়ামতের দিন তাদেরকে অধিক শাস্তি প্রদান করা হবে। অনন্তকাল তারা ঐ আযাবে অপমানিত ও অপদস্থ হতে থাকবে।” (অতঃপর ওয়াহ্শী বলে) আমি এ সমস্ত কিছুই করেছি, তাই আমার জন্য কি মুক্তির কোন উপায় আছে? বর্ণনাকারী বলেন, এরপর হযরত জিবরাঈল (আ) নাযিল হয়ে বললেন : হে মুহাম্মাদ! (ﷺ) আপনি তাকে বলে দিনঃ إِلَّا مَنْ تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُولَئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا “কিন্তু যে ব্যক্তি (শিরক থেকে) তওবা করবে এবং বিশ্বাস স্থাপন করবে, নেককাজ করবে, তা হলে আল্লাহ্ তা'আলা এরূপ ব্যক্তিদের (অতীত) পাপসমূহ (বর্তমান) নেকীসমূহের দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা ক্ষমাশীল ও করুণাময়।”
বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ আয়াত ওয়াহশীর নিকট প্রেরণ করেন। যখন এ আয়াত ওয়াহশীর নিকট তিলাওয়াত করা হয়, তখন সে বললো এ আয়াতে কয়েকটি শর্ত রয়েছে যেগুলোর ব্যাপারে আমি ভয় করছি যে, আমি এগুলো সম্পন্ন করতে পারব না এবং এটাও আমি সঠিকভাবে জানি না যে, আমি নেক আমল করতে পারব কি পারব না। সুতরাং হে মুহাম্মাদ (ﷺ)! আপনার নিকট কি এরচেয়েও কোন সহজ উপায় আছে ?
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর হযরত জিবরাঈল (আ) এ আয়াত নিয়ে নাযিল হলেন : إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ “নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করবেন না যে তাঁর সাথে কাউকে শরীক করে। এছাড়া যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করবেন।
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ আয়াত লিখে ওয়াহশীর নিকট প্রেরণ করেন। যখন তার নিকট এ আয়াত তিলাওয়াত করা হয় (তখন ওয়াহ্শী এ আয়াত শুনে ও বলে) আল্লাহ বলেছেন নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন না যে তাঁর সাথে কাউকে শরীক করে, এ ছাড়া যাকে ইচ্ছা, তিনি তাকে ক্ষমা করবেন। আমি জানি না, আমি কি আল্লাহর অভিপ্রায়ের মধ্যে আছি, যদি তিনি ক্ষমা প্রদর্শন করতে ইচ্ছা করেন। যদি আয়াত এরূপ হতোঃ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ “এ ছাড়া অন্যান্য পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন" এবং لِمَنْ يَشَاءُ " বাক্যটি যদি সংযোজন না করা হতো, তা হলে বিষয়টি ঠিক হতো।
অতঃপর ওয়াহ্শী বললোঃ হে মুহাম্মাদ (ﷺ) ! আপনার নিকট কি এর চেয়েও ব্যাপকতর আল্লাহর কোন বিধান আছে? তখন হযরত জিবরাঈল (আ) এ আয়াত নিয়ে নাযিল হলেনঃ
قُلْ يَاعِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
“(হে নবী!) আপনি আমার ঐ বান্দাদেরকে বলুন, যারা তাদের নিজেদের উপর মাত্রাধিক্য আচরণ করেছে, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তোমাদের সমস্ত পাপ মার্জনা করে দেবেন, নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল, করুণাময়।"
বর্ণনাকারী বলেন, এবারও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ আয়াতটি লিখে ওয়াহশীর নিকট প্রেরণ করেন। যখন এ আয়াতটি তার সামনে তিলাওয়াত করা হয়, তখন সে বললো, হ্যাঁ, এবার আয়াতটি ঠিক আছে, অতি উত্তম আয়াত। এরপর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এ সংবাদ নিয়ে একটি লোক প্রেরণ করেন যে, হে আল্লাহর রাসূল! আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি। সুতরাং আমাকে আপনার সাথে সাক্ষাতের অনুমতি দান করুন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে এটা বলে পাঠালেন যে, তোমার চেহারা তুমি দেখাবে না। কেননা এটা সহ্য করতে পারব না যে, আমি আমার চাচা হামযার হত্যাকারীকে চোখভরে দেখি। তখন ওয়াহশী চুপ হয়ে গেলেন। এ সময় মুসায়লামা কাযযাব রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকটএ শিরোনামে একটি পত্র প্রেরণ করেঃ “মুসায়লামা রাসূলুল্লাহর পক্ষ থেকে মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহর নিকট। আম্মাবাদ! নিশ্চয়ই আমি শরীক করেছি জমিতে (আরবভূমিতে) অর্ধেক ভূমি আমার জন্য এবং অর্ধেক কুরায়শদের জন্য, কিন্তু কুরায়শগণ এরূপ কওম যারা সীমাতিক্রম ( সমস্ত কিছু ভোগ-দখল করতে চায়) করে।" তার এ পত্রটি দু'ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খেদমতে নিয়ে আসে। যখন পত্রটি তাঁর সামনে পাঠ করা হলো, তখন তিনি পত্রবাহক দু'জনকে বললেন: যদি তোমরা দূত বা বাহক হিসেবে আগমণ না করতে, তা হলে আমি তোমাদের দু'জনকেই হত্যার ব্যবস্থা করতাম। অতঃপর তিনি হযরত আলী ইব্ন আবি তালিব (রাযিঃ)-কে ডাকালেন এবং তাকে লিখার নির্দেশ প্রদান করেন ঃ"বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম, মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূলের পক্ষ থেকে মুসায়লামা কাযযাবের নিকট, যে সত্যপথে আছে, তার উপর আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক। আম্মাবাদ! অতঃপর নিশ্চয়ই জমি বা ভূমি (সাম্রাজ্য) আল্লাহর জন্য। স্বীয় বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তিনি তাকে এর অংশীদার বা মালিক বানিয়ে দেন। আল্লাহভীরুদের জন্য পরিণাম কল্যাণময়। আল্লাহ্ তা'আলা রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন আমাদের সর্দার হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর উপর।" রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট মুসায়লামার এ পত্রের কথা যখন ওয়াহ্শী অবগত হলেন, তখন তিনি তার বর্ণা বের করে ধার করলেন এবং মুসায়লামাকে হত্যার পরিকল্পনা ও নিয়্যত করলেন। আর এ ইচ্ছা পূরণ করার জন্য তিনি অপেক্ষা করতে লাগলেন। অবশেষে ইয়ামামার যুদ্ধে (ওয়াহ্ণী) তাকে হত্যা করেন।
عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ السَّائِبِ الْكَلْبِيِّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: " أَنَّ وَحْشِيًّا لَمَّا قَتَلَ حَمْزَةَ مَكَثَ زَمَانًا، ثُمَّ وَقَعَ فِي قَلْبِهِ الْإِسْلَامُ، فَأَرْسَلَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَدْ وَقَعَ فِي قَلْبِهِ الْإِسْلَامُ، وَقَدْ سَمِعْتُكَ تَقُولُ عَنِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَالَّذِينَ لا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَلا يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلا بِالْحَقِّ وَلا يَزْنُونَ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ يَلْقَ أَثَامًا {68} يُضَاعَفْ لَهُ الْعَذَابُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَخْلُدْ فِيهِ مُهَانًا} [الفرقان: 68-69] ، فَإِنِّي قَدْ فَعَلْتُهُنَّ جَمِيعًا، فَهَلْ لِي رُخْصَةٌ؟ قَالَ: فَنَزَلَ جِبْرِيلُ، فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، قُلْ لَهُ: {إِلا مَنْ تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلا صَالِحًا فَأُولَئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا} [الفرقان: 70] ، فَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهَذِهِ الْآيَةِ، فَلَمَّا قُرِئَتْ عَلَيْهِ، قَالَ وَحْشِيٌّ: إِنَّ فِي هَذِهِ الْآيَةِ شُرُوطًا، وَأَخْشَى أَنْ لَا آتِيَ بِهَا، وَلَا أُحَقِّقُ أَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا أَمْ لَا، فَهَلْ عِنْدَكَ شَيْءٌ أَوْسَعُ مِنْ ذَلِكَ يَا مُحَمَّدُ؟ فَنَزَلَ جِبْرِيلُ بِهَذِهِ الْآيَةِ: {قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ} [الزمر: 53] ، قَالَ: فَكَتَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَبَعَثَ بِهَا إِلَى وَحْشِيٍّ، فَلَمَّا قُرِئَتْ عَلَيْهِ، قَالَ: أَمَّا هَذِهِ الْآيَةُ فَنَعَمْ.
ثُمَّ أَسْلَمَ، فَأَرْسَلَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنِّي قَدْ أَسْلَمْتُ، فَأْذَنْ لِي فِي لِقَائِكَ، فَأْرَسَلَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنْ وَارِ عَنْ وَجْهِكَ، فَإِنِّي لَا أَسْتَطِيعُ أَنْ أَمْلَأَ عَيْنَيَّ مِنْ قَاتِلِ حَمْزَةَ عَمِّي، قَالَ: فَسَكَتَ وَحْشِيٌّ، حَتَّى كَتَبَ مُسَيْلِمَةُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مِنْ مُسَيْلِمَةَ رَسُولِ اللَّهِ إِلَى مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ، أَمَّا بَعْدُ، فَقَدْ أُشْرِكْتُ فِي الْأَرْضِ، فَلِي نِصْفُ الْأَرْضِ وَلِقُرَيْشٍ نِصْفُهَا، غَيْرَ أَنَّ قُرَيْشًا قَوْمٌ يَعْتَدُونَ، قَالَ: فَقَدِمَ بِكِتَابِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلَانِ، فَلَمَّا قُرِئَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْكِتَابُ قَالَ لِلرَّسُولَيْنِ: " لَوْلَا أَنَّكُمَا رَسُولَانِ لَقَتَلْتُكُمَا، ثُمَّ دَعَا بِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ: اكْتُبْ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، مِنْ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ إِلَى مُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابِ، السَّلَامُ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى، أَمَّا بَعْدُ، {إِنَّ الأَرْضَ لِلَّهِ يُورِثُهَا مَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ وَالْعَاقِبَةُ لِلْمُتَّقِينَ} [الأعراف: 128] ، وَصَلَّى اللَّهُ عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ، قَالَ: فَلَمَّا بَلَغَ مَا كَتَبَ مُسَيْلِمَةُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْرَجَ الذِّرَاعَ فَصَقَلَهُ، وَهَمَّ بِقَتْلِ مُسَيْلِمَةَ، فَلَمْ يَزَلْ عَلَى عَزْمِ ذَلِكَ حَتَّى قَتَلَهُ يَوْمَ الْيَمَامَةِ "

হাদীসের ব্যাখ্যা:

ইরশাদে সারীয়া এবং তাফসীরে সিরাজুম মুনীরে বর্ণিত আছে, যখন ওয়াহ্শীর এ ঘটনা সংঘটিত হলো, তখন লোকজন আঁ হযরত (সা)-এর নিকট আরয করলেন, আল্লাহর এ বিধান কি ওয়াহশীর জন্য নির্ধারিত অথবা সবার জন্য ? তখন তিনি বললেন : এ বিধানে সমস্ত মুসলমান অন্তর্ভুক্ত। প্রকৃতপক্ষে এটা একটা উপদেশ গ্রহণের বিষয় যে, ইসলামে রহমত ও দয়া কত ব্যাপক যে, যখন আন্তরিকতার সাথে মানুষ ইসলাম গ্রহণ করে, তখন তার ছোট বড় সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেয়া হয়। এ বিষয়ে আল্লাহর বাণী: إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا এর মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে সুসংবাদ দেয়া হয়েছে এবং ঈমান আনয়নকারী কাফির এবং মুমিনদের অন্তর আনন্দিত করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সম্মিলিত মত হলো এই যে, গুনাহ ক্ষমার জন্য আল্লাহ্ তা'আলার অভিপ্রায় ও ইচ্ছা হলো শর্ত। অভিপ্রায় হওয়ার পর মুমিনদের গুনাহ তওবা ছাড়া ক্ষমা হয়ে যায়।
মুসনাদে আবু হানীফা রহঃ - হাদীস নং ৫১০ | মুসলিম বাংলা