মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني

শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১০৯ টি

হাদীস নং: ৮১
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ছয়টি গুণের সংখ্যা দিয়ে আরম্ভ বিষয়াদি প্রসঙ্গে
৮১. 'আলী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, একজন মুসলমানের অন্য মুসলমানের সাথে পরিচিতির (সৌহার্দের) জন্য ছয়টি জিনিস রয়েছে। তাহলো, তার সাথে সাক্ষাৎ হলে তাকে সালাম দেয়া, সে হাঁচি দিলে 'আল্ হামদুলিল্লাহ' বলা, সে অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাওয়া, সে দাওয়াত দিলে তা কবুল করা, সে মৃত্যুবরণ করলে তার জানাযায় অংশগ্রহণ করা, নিজের জন্য যেটা পছন্দ হয়, তার জন্য সেটা পছন্দ করা এবং তার অনুপস্থিতে তার কল্যাণ কামনা করা।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب السداسيات المبدوءة بعدد
عن علي رضي الله عنه (8) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم للمسلم على المسلم من المعروف ست يسلم عليه اذا لقيه ويشمته إذا عطس ويعوده اذا مرض ويجيبه اذا دعاه ويشهده اذا توفى ويحب له ما يحب لنفسه وينصح له بالغيب
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮২
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ছয়টি গুণের সংখ্যা দিয়ে আরম্ভ বিষয়াদি প্রসঙ্গে
৮২. 'উবাদা ইবন সামিত (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন তোমরা নিজেদের ছয়টি জিনিষের জামিন হও, আমি তোমাদের জন্য জান্নাতের জামিন হবো। তোমরা যখন কথা বলবে, তখন সত্য কথা বলবে; তোমরা যখন ওয়াদা করবে, তখন তা পূরণ করবে; যখন তোমরা আমানতদার হবে, তখন তা আদায় করবে; তোমরা তোমাদের লজ্জাস্থানকে হিফাযত করবে, তোমাদের চক্ষুকে সংযত রাখবে, এবং তোমাদের হাত দ্বারা কাউকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত রাখবে।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب السداسيات المبدوءة بعدد
عن عبادة بن الصامت (9) ان النبي صلى الله عليه وسلم قال اضمنوا لي ستا من انفسكم اضمن لكم الجنة اصدقوا اذا حدثتم وأوفوا إذا وعدتم وأدوا إذا ائتمنتم واحفظوا فروجكم وغضوا ابصاركم وكفوا ايديكم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৩
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ছয়টি গুণের সংখ্যা দিয়ে আরম্ভ বিষয়াদি প্রসঙ্গে
৮৩. খুরাইম ইবন ফাতিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমল ছয় প্রকারের, আর মানুষ চার শ্রেণীতে বিভক্ত। (আমলের ব্যাখ্যা:) ছয় প্রকার আমলসমূহ দুই প্রকারে বিভক্ত। প্রথম প্রকার আমলের জন্য জান্নাত ওয়াজিব, দ্বিতীয় প্রকার আমলের জন্য জাহান্নাম ওয়াজির। তৃতীয় ও চতুর্থ প্রকার আমল সমান সমান অর্থাৎ বৃদ্ধি না করে সমান পুরস্কার দেওয়া হবে। পঞ্চম প্রকার একটি উত্তম কাজের বিনিময়ে দশগুণ বৃদ্ধি করা হবে। আর ষষ্ঠ প্রকার একটি উত্তম কাজের বিনিময় সাতশত গুণ বৃদ্ধি করা হবে। দুই শ্রেণীর মানুষ, তাদের মধ্যে যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শিরক না করে মৃত্যুবরণ করেছে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কোন কিছু শিরিক করে মৃত্যুবরণ করেছে, যে জাহান্নামে প্রবেশ করবে, আর দুটি কাজে যতটুকু করবে ততটুকুই দেয়া হবে, যে ব্যক্তি ভাল কাজের চিন্তা করে শেষ পর্যন্ত সে কাজটি করার জন্য তার অন্তরে অনুভূতি জাগ্রত হয়, কিন্তু সে কাজটি করে না। এবং তার সম্পর্কে আল্লাহ জানেন, তার জন্য তা উত্তম কাজ হিসাবে লেখা হবে। যে ব্যক্তি একটি খারাপ কাজ করবে, তার জন্য একটি খারাপ কাজই লেখা হবে। যে ব্যক্তি একটি ভাল কাজ করবে, তার বিনিময়ে দশটি নেকী লেখা হবে। যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে ব্যয় করবে, তার জন্য সাতশত নেকী লেখা হবে।
মানুষের মধ্যে প্রথম প্রকার: তারা, যারা দুনিয়ায় প্রাচুর্যের অধিকারী কিন্তু আখিরাতে হবে গরিব (যেমন-কাফিরগণ ও ফাসিকগণ)। দ্বিতীয় প্রকার: যারা দুনিয়ায় গরীব কিন্তু আখিরাতে হবে প্রাচুর্যের অধিকারী। তৃতীয় প্রকার: যারা দুনিয়া-আখিরাত উভয় ক্ষেত্রেই প্রাচুর্যের অধিকারী। চতুর্থ প্রকার: যারা দুনিয়া-আখিরাত উভয় ক্ষেত্রেই গরিব।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب السداسيات المبدوءة بعدد
عن خريم بن فاتك (1) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الأعمال ستة (2) والناس أربعة (3) فموجبتان (4) ومثل بمثل وحسنة بعشر أمثالها (5) وحسنة بسبعمائة (6) فإما الموجبتان فمن مات لا يشرك بالله شيئا دخل الجنة ومن مات يشرك بالله شيئا دخل النار ولما مثل بمثل فمن هم بحسنة حتى يشعرها قلبه (7) ويعلمها الله منه كتبت له حسنة ومن عمل سيئة كتبت عليه سيئة (8) ومن عمل حسنة فبعشر أمثالها (9) ومن انفق نفقة في سبيل الله فحسنه بسبعمائة (10) وأما الناس فموسع عليه في الدنيا مقتور عليه في الآخرة (11) ومقتور عليه في الدنيا موسع عليه في الآخرة (12) ومقتور عليه في الدنيا والآخرة وموسع عليه في الدنيا والآخرة
হাদীস নং: ৮৪
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: সাতটি বিষয় সম্পর্কে যা এসেছে
৮৪. আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করিম (ﷺ) বলেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ সাতজন লোককে তাঁর 'আরশের সুশীতল ছায়াতলে স্থান দিবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়াই থাকবে না, (১) ন্যায় বিচার ইমাম বা নেতা, (২) মহান ও পরাক্রমশালী আল্লাহর ইবাদতে মশগুল যুবক, (৩) মসজিদের সাথে সম্পৃক্ত হৃদয়ের অধিকারী ব্যক্তি (৪) দুজন লোক একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে বন্ধুত্বে আবদ্ধ হয়, আবার আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, (৫) যে ব্যক্তি গোপনভাবে দান খয়রাত করে, এমনকি তারা ডান হাত যা কিছু দান করে, তার বাম হাত তা জানতে পারে না, (৬) এরূপ ব্যক্তি, যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তার দু'চোখ থেকে অশ্রু ঝরাতে থাকে (৭) এরূপ লোক যাকে কোন রূপসী সুন্দরী নারী ব্যভিচারের প্রতি আহবান করে, কিন্তু সে এ বলে তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে যে, আমি তো আল্লাহকে ভয় করি।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في السباعيات
عن أبي هريرة (13) عن النبي صلى الله عليه وسلم قال سبعة يظلهم الله بظله يوم لا ظل إلا ظله (14) الامام العادل وشاب نشأ بعبادة الله ورجل فلبه متعلق بالمساجد ورجلان تحابا في الله عز وجل اجتمعا عليه وتفرقا عليه ورجل تصدق بصدقة أخفاها لا تعلم شماله ما تنفق يمينه (1) ورجل ذكر الله خاليا ففاضت عيناه ورجل دعته ذات منصب (2) وجمال إلى نفسها فقال أنا اخاف الله عز وجل
হাদীস নং: ৮৫
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: সাতটি বিষয় সম্পর্কে যা এসেছে
৮৫. বারা ইবন 'আযিব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) আমাদেরকে সাতটি বিষয়ের নির্দেশ দেন এবং সাতটি বিষয়ে থেকে নিষেধ করেন। তিনি আমাদের নির্দেশ দেন, রোগীর খোঁজ-খবর নিতে, জানাযার অনুসরণ করতে, হাঁচির জবাব দিতে, সালামের জবাব দিতে, শপথ বা প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করতে, দাওয়াত দানকারীর দাওয়াত কবুল করতে, মযলুমের সাহায্য করতে। তিনি আমাদের নিষেধ করেছেন, রূপার পাত্র ব্যবহার করতে, স্বর্ণের আংটি পরিধান করতে, কারুকার্যখচিত রেশমের গদিতে বসতে, রেশমী বস্ত্র পরিধান করতে, রেশম এবং সূতার সংমিশ্রণে তৈরী যা উট অথবা ঘোড়ার জিনের উপর বিছানো হয়, রেশম ও তুলার সংমিশ্রণে তৈরী কাপড় ও এক প্রকার রেশমী যন্ত্র পরিধান করতেও নিষেধ করেছেন।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في السباعيات
عن البراء بن عازب قال أمرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم بسبع ونهانا عن سبع قال فذكر ما أمرهم به من عيادة المريض واتباع الجنائز وتشميت العاطس ورد السلام وابرار القسم واجابة الداعي ونصر المظلوم ونهانا عن آنية الفضة أو قال حلقة الذهب والاستبرق (4) والحرير والديباج والميثرة والقسى
হাদীস নং: ৮৬
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: সাতটি বিষয় সম্পর্কে যা এসেছে
৮৬. আবু কাবশাহ আনমারী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, তিনটি বিষয় রয়েছে, যে সম্পর্কে আমি তোমাদের শপথ করে বলছি। তোমরা তা ভালভাবে মনে গেঁথে নাও। তখন আল্লাহ তার জন্য দারিদ্র্যের দরজা খুলে দেন। আর আমি তোমাদেরকে বলছি, খুব মনোযোগ দিয়ে শুনে রাখ, তাহলো, দুনিয়া চার ধরনের লোকের জন্যই। প্রথমত: ঐ ব্যক্তি, যাকে আল্লাহ্ সম্পদ ও 'ইলম দান করেছেন, সে এগুলোর ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করে চলে, এগুলোর সাহায্যে আত্মীয়তার বন্ধনকে রক্ষা করে চলে এবং এর সাথে জড়িত আল্লাহর হক সম্পর্কে সজাগ। তিনি বলেন, এ লোক উৎকৃষ্টতম মর্যাদার অধিকারী।
দ্বিতীয়ত: ঐ বান্দা, যাকে আল্লাহ্ ইলম দান করেছেন। কিন্তু তাকে সম্পদ দান করেননি। সে বলে থাকে, আমার কাছে যদি সম্পদ থাকতো, তাহলে আমি অমুকের ন্যায় আমল করতাম। এরা দু'জনই ছাওয়াবের দিক থেকে বরাবর।
তৃতীয়ত: ঐ বান্দা, যাকে আল্লাহ সম্পদ দিয়েছেন। কিন্তু ইলম দান করেননি। সে 'ইলম ছাড়া যত্রতত্র সম্পদ বিনষ্ট করে। এ ব্যাপারে সে আল্লাহ্ তা'আলাকে ভয় করে না। এবং আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করে চলে না। এ ব্যাপারে আল্লাহর হক সম্পর্কেও সে সজাগ নয়। এ লোক নিকৃষ্টতম স্তরে রয়েছে।
চতুর্থত: ঐ বান্দা, যাকে আল্লাহ্ সম্পদ ও 'ইলম কোনটিই দান করেননি। সে বলে আমাকে যদি আল্লাহ্ সম্পদ দান করতেন, তাহলে আমি অমুকের ন্যায় খারাপ কাজ করতাম। তার নিয়তই এটা, তাই এ দুজনের গুনাহর বোঝা সমান।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في السباعيات
عن أبي كبشة الأنماري (5) قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ثلاث اقسم عليهن واحدثكم حديثا فاحفظوه قال فاما الثلاث الذي أقسم عليهن فإنه ما نقص مال عبد صدقة ولا ظلم عبد بمظلمة فيصبر عليها إلا زاده الله عز وجل بها عزا ولا يفتح عبد باب مسألة إلا فتح الله باب فقر (واما الذي احدثكم حديثا فاحفظوه) فإنه قال انما الدنيا لأربعة نفر عبد رزقه الله عز وجل مالا وعلما فهو يتقي فيه ربه ويصل فيه رحمه ويعلم لله عز وجل فيه حقه قال فهذا بأفضل المنازل قال وعبد رزقه الله عز وجل علما ولم يرزقه مالا قال فهو يقول لو كان لي مال عملت بعمل فلان قال فاجرهما سواء قال وعبد رزقه الله مالا ولم يرزقه علما فهو يخبط في ماله بغير علم لا يتقي فيه ربه عز وجل ولا يصل فيه رحمه ولا يعلم لله فيه حقه فهذا بأخبث المنازل قال وعبد لم يرزقه الله مالا ولا علما فهو يقول لو كان لي مال لعملت بعمل فلان قال هي نيته فوزرهما فيه سواء
হাদীস নং: ৮৭
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: সাতটি বিষয় সম্পর্কে যা এসেছে
৮৭. আবু যর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার বন্ধু মুহাম্মদ (ﷺ) আমাকে সাতটি কাজের নির্দেশ দিয়েছেন, তিনি আমাকে মিসকিনদেরকে ভালবাসতে এবং তাদের সান্নিধ্যে থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন; আর যে ব্যক্তি আমার থেকে নিম্নস্তরে রয়েছে তার প্রতি তাকাতে নির্দেশ দিয়েছেন আর যে ব্যক্তি আমার থেকে উচ্চ মর্যাদায় রয়েছে, তার প্রতি না তাকাতে। আমাকে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন, যদিও সে আমাকে এড়িয়ে চলতে চায়। আমাকে কোন ব্যক্তির কাছে বিনা প্রয়োজনে কিছু না চাইতে নির্দেশ দিয়েছেন, আমাকে সত্য কথা বলতে নির্দেশ দিয়েছেন, যদি সেটা তিক্তও হয়, আল্লাহকে ভয় করার ক্ষেত্রে কারও সমালোচনাকে ভয় না করতে নির্দেশ দিয়েছেন, আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন আমি যেন 'লা-হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লাহ বিল্লাহ' বলি, এ সবই 'আরশের নীচের সঞ্চিত ধন।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في السباعيات
عن أبي ذر (6) قال أمرني خليلي صلى الله عليه وسلم بسبع أمرني بحب المساكين والدنو منهم وامرني ان انظر الى من هو دوني ولا انظر إلى من هو فوقي وامرني ان اصل الرحم وان ادبرت وامرني ان لا اسأل احدا شيئا وامرني ان اقول بالحق وان كان مرا وامرني ان لا اخاف في الله لومة لائم وأمرني أن أكثر من قول لا حول ولا قوة إلا بالله فانهن من كنز تحت العرش
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৮
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: আটটি বিষয় সম্পর্কে যা এসেছে
৮৮. 'আমর ইবনুল আস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূল (ﷺ) কে জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ), কোন কাজটি সবচেয়ে উত্তম? তিনি বললেন, আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা, সত্যবাদী হওয়া, আল্লাহর পথে জিহাদ করা ও মকবুল হজ্জ। সে ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আপনি অনেক বড় বড় কাজের কথা বলেছেন, তখন আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বললেন, তাহলে (কিছু সহজ কাজের কথা শোনো) কথাবার্তায় কোমলতা, খাবার দান, বদান্যতা, ও সচ্চরিত্র। তখন লোকটি বলল এক কথায় বলুন। তখন রাসূল (ﷺ) তাকে বললেন, যাও, তুমি তোমার নফসের উপর আল্লাহকে অভিযুক্ত করো না।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في الثمانيات
عن عمرو بن العاص (1) قال قال رجل يا رسول الله أي العمل أفضل؟ قال ايمان بالله وتصديق وجهاد في سبيل الله وحج مبرور قال الرجل اكثرت يا رسول الله فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم فلين الكلام وبذل الطعام وسماح وحسن خلق قال الرجل أريد كلمة واحدة قال له رسول الله صلى الله عليه وسلم اذهب فلا تتهم الله على نفسك
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৯
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : দশটি বিষয় ও এর অতিরিক্ত যা এসেছে
৮৯. আবু তাইয়্যেবা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, শুরাহবিল ইব্‌ন সীমত (র) আমর ইব্‌ন 'আবাসা সুলামী (রা) কে ডেকে বললেন, হে ইব্‌ন আবাসা! তুমি কি একটি হাদীস আমাকে বলবে, যা তুমি নিজে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছ থেকে শুনেছ? যাতে অতিরিক্ত ও মিথ্যা থাকবেনা এবং এমন হাদীস বলবে না, যা রাসূল (ﷺ) থেকে তুমি ছাড়া অন্য কেউ শুনে তোমার কাছে বর্ণনা করেছে, তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তা'আলা বলেছেন, যারা আমার সন্তুষ্টির আশায় পরস্পরকে ভালবাসবে, তাদের ভালবাসা আমার উপর নিশ্চিত হয়ে যাবে, যারা আমার সন্তুষ্টির আশায় পরস্পর জিহাদে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়াবে তাদের ভালবাসা আমার উপর নিশ্চিত হয়ে যাবে; যারা আমার সন্তুষ্টির আশায় পরস্পর দেখা-সাক্ষাত করবে, আমার ভালবাসা তাদের উপর নিশ্চিত হয়ে যাবে; যারা আমার সন্তুষ্টির আশায় নিজেদের সম্পদ ব্যয় করবে, তাদের ভালবাসা আমার উপর নিশ্চিত হয়ে যাবে: যারা আমার সন্তুষ্টির আশায় একে অপরকে সাহায্য করবে, তাদের ভালবাসা আমার উপর নিশ্চিত হয়ে যাবে, 'উমর ইবন আবাসা (রা) বলেন, আমি রাসূল (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, যে কোন ব্যক্তি আল্লাহর পথে তীর নিক্ষেপ করে তা ভুল অথবা সঠিকভাবে পৌছে, তার জন্য ইসমাঈল (আ)-এর সন্তানের মত দান মুক্তির পুরস্কার রয়েছে, যে যুবক বার্ধক্য পর্যন্ত আল্লাহ্ পথে থাকে, তা তার জন্য কিয়ামতের দিন নূর হবে, যে কোন মুসলিম ব্যক্তি কোন মুসলমান ব্যক্তিকে মুক্ত করে দিবে, মুক্তি প্রাপ্ত ব্যক্তির প্রত্যেক অঙ্গের বিনিময়ে জাহান্নাম থেকে তার প্রত্যেক অঙ্গকে মুক্তি দেওয়া হবে, যে কোন মুসলিম নারী, কোন মুসলিম নারীকে মুক্তি দেবে, মুক্তিপ্রাপ্ত মুসলিম নারীর প্রত্যেক অঙ্গের বিনিময়ে জাহান্নাম থেকে তার প্রত্যেক অঙ্গকে মুক্তি দেওয়া হবে। যে কোন মুসলিম নর বা নারী আল্লাহ্ তা'আলার উদ্দেশ্যে তার তিনটি সন্তানকে হারাবে, যারা বয়ঃপ্রাপ্ত হয়নি, তারা তার জন্য জাহান্নামের প্রতিবন্ধক হবে। যে ব্যক্তি নামায পড়ার ইচ্ছায় অযু করার জন্য দাঁড়ালো এবং উত্তমরূপে অজু করলো, সে প্রতিটি গুনাহ অথবা দায় ও অপরাধ থেকে মুক্তি লাভ করলো। তারপর সে যদি নামাযে দাঁড়ায়, তার বিনিময়ে আল্লাহ তা'আলা তার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন, সে যখন বসবে নিরাপদে বসবে, এরপর শুরাহবিল ইবন সিমত বলেন, হে ইব্‌ন আবাসা! তুমি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এই হাদীস শুনেছ? সে বললো, হ্যাঁ, আল্লাহর শপথ! তিনি ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই। আমি যদি এ হাদীস রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে একবার, দু'বার, তিনবার, চার বার, পাঁচ বার, ছয় বার, অথবা সাত বার না শুনতাম, তাহলে আমি শপথ করতাম না। আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি! আমার জানা নেই, আমি কতবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে হাদীসটি শুনেছি।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في العشاريات ومازاد عنها
عن أبي طيبة (2) قال ان شرحبيل بن السمط دعا عمرو بن عبسة السلمي فقال يا ابن عبسة هل انت محدثي حديثا سمعته انت من رسول الله صلى الله عليه وسلم ليس فيه تزيد ولا كذب ولا تحدثنيه عن آخر سمعه منه غيرك؟ قال نعم سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ان الله عز وجل يقول قد حقت محبتي للذين يتحابون من اجلي وحقت محبتي للذين يتصافون من أجلي وحقت محبتي للذين يتزاورون من أجلي وحقت محبتي للذين يتباذلون من أجلي وحقت محبتي للذين يتناصرون من اجلي وقال عمرو بن عبسة سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ايما رجل رمى بسهم في سبيل الله عز وجل فبلغ مخطئا أو مصيبا فله من الأجر كرقبة يعتقها من ولد اسماعيل وايما رجل شاب شيبة في سبيل الله فهي له نور وايما رجل مسلم اعتق رجلا مسلما فكل عضو من المعتق بعضو من المعتق فداء له من النار وايما امرأة مسلمة اعتقت امرأة مسلمة فكل عضو من المعتقة بعضو من المعتقة فداء لها من النار وايما رجل مسلم قدم لله عز وجل من صلبه ثلاثة لم يبلغوا الحنث او امرأة فهم له سترة من النار وايما رجل قام إلى وضوء يريد الصلاة فأحصى الوصوء إلى أماكنه سلم من كل ذنب أو خطيئة له فإن قام إلى الصلاة رفعه الله عز وجل بها درجة وان قعد قعد سالما فقال شرحبيل بن السمط أنت سمعت هذا الحديث من رسول الله صلى الله عليه وسلم يا ابن عبسة؟ قال نعم والذي لا إله إلا هو لو اني لم اسمع هذا الحديث من رسول اله صلى الله عليه وآله وسلم غير مرة أو مرتين أو ثلاث أو أربع أو خمس أو ست أو سبع فانتهى عند سبع ما حلفت يعني ما باليت ان لا أحدث به احدا من الناس ولكني والله ما أدري عدد ما سمعته من رسول الله صلى الله عليه وعلى آله وصحبه وسلم
হাদীস নং: ৯০
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : দশটি বিষয় ও এর অতিরিক্ত যা এসেছে
৯০. আবু তামীমা আল হুজায়মী (রা) থেকে বর্ণিত। একদা তার গোত্রের এক ব্যক্তি (আবূ জুরী) বললো, আমি মদীনার কোন এক পথে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করি এবং তাকে ভাল কাজ সম্পর্কে প্রশ্ন করি, তখন তিনি বলেন, 'ভাল কাজের কোন কিছুকে তুচ্ছ জ্ঞান করবে না, যদিও তুমি ক্ষুদ্র রশি দান করতে পার, অথবা যদিও তুমি জুতার ফিতা দান করতে পার, অথবা যদিও তুমি বালতি থেকে পানি পানকারীর পাত্রের মধ্যে ঢেলে দিতে পার, অথবা তুমি যদি মানুষের চলার পথের কষ্টদায়ক জিনিস দুর করে দাও, অথবা তুমি যদি তোমার ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করার সময় চেহারা হাস্যোজ্জ্বল রাখ, অথবা তুমি যদি তোমার ভাইয়ের সাথে সাক্ষাত করে সালাম কর, অথবা তুমি যদি পৃথিবীতে ভীতিগ্রস্ত কাউকে নিরাপত্তা দাও (যদি এসব কাজও করতে পারো তাহলে করো), অথবা যদি কোন লোক তোমার কোন দোষ জেনে তোমাকে সেজন্য গালি দেয়, অথচ তুমি তার মধ্যে অনুরূপ দোষ জেনেও তাকে গালি না দাও, তাহলে এর পুরস্কার তুমি পাবে, আর তার অপরাধ তার উপরই বর্তাবে। আর তোমার কানে যেটি শুনতে পছন্দ হয়, সেটি করবে, আর যেটি শুনতে তোমার কাছে বাজে মনে হয়, সেটি পরিত্যাগ করবে।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في العشاريات ومازاد عنها
عن أبي تميمة الهجيمي (1) عن رجل من قومه (2) قال لقيت رسول الله صلى الله عليه وسلم في بعض طرق المدينة فسألته عن المعروف (3) فقال لا تحقرن من المعروف شيئا (4) ولو أن تعطي صلة الحبل (5) ولو أن تعطى شسع النعل (6) ولو أن تفرع من دلوك في اناء المستسقي ولو أن تنحى الشيء من طريق الناس يؤذيهم ولو أن تلقى أخاك ووجهك إليه منطلق ولو أن تلقى أخاك فتتسلم عليه وولو أن تؤنس الوحشان في الأرض وان سبك رجل بشيء يعلمه فيك وانت تعلم فيه نحوه فلا تسبه فيكون أجره لك ووزره عليه وما سر اذنك أن تسمعه فاعمل به وما ساء اذنك ان تسمعه فاجتنبه
হাদীস নং: ৯১
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : দশটি বিষয় ও এর অতিরিক্ত যা এসেছে
৯১. 'উমর ইবন খাত্তাব (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমরা ইযার পরিধান করবে, পোশাক ও জুতা পরিধান করবে, শুধু মোজা পাজামা পরিধান ছেড়ে দেবে, (কেননা, আহলে কিতাবগণ মোজা পরিধান করতো, কিন্তু জুতা পরিধান করতো না এবং পাজামা পরিধান করতো, ইযার পরিধান করতো না, তিনি তাদেরকে আহলে কিতাবদের বিপরীত পরিধান করার আদেশ দিয়েছেন)। তোমরা ঘোড়ায় আরোহণের জন্য সাহায্য গ্রহণ করবে, তারুণ্য ও শক্তি নিয়ে লাফ দিয়ে ঘোড়ায় চড়বে, সাদাসিধে পোশাক পরিধান করবে, বিলাসিতা ও প্রাচুর্য্য পরিত্যাগ করবে, অনারবদের বিলাসী পোশাক পরিত্যাগ করবে, রেশমী পোশাক পরিধান করা থেকে সাবধান থাকবে, এর কারণ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন, তোমরা রেশমী পোশাক পরিধান করবে না, তবে এতটুকু পরিমাণ, একথা বলে তিনি তার দুই আঙ্গুলের দিকে ইংগিত করেন।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في العشاريات ومازاد عنها
عن عمر بن الخطاب (7) رضي الله عنه أنه قال اتزروا وارتدوا وانتعلوا الخفاف والسراويلات (1) والقوا الركب (2) واتزوا تزوا (3) وعليكم بالمعدية (4) وارموا الأغراض وذوروا التنعم وزي العجم واياكم والحرير فإن رسول الله صلى الله عليه وسلم قد نهى عنه وقال لا تلبسوا من الحرير إلا ما كان هكذا واشار رسول الله بإصبعيه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯২
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : নারীদের সম্পর্কে যা এসেছে এবং যে কাজে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে তার বর্ণনা
৯২. 'আবদুর রহমান ইবন 'আউফ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, নারীরা যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে, রমযান মাসের রোযা পালন করে, স্বামীর আনুগত্য করে, তাহলে তাদেরকে বলা হবে, তোমরা জান্নাতের যে দরজা দিয়ে ইচ্ছে, সে দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ কর।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في النساء وما يدخلهن الجنة
عن عبد الرحمن بن عوف (5) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا صلت المرأة خمسها (6) وصامت شهرها (7) وحفظت فرجها (8) واطاعت زوجها قيل لها ادخلي الجنة من أي أبواب الجنة شئت
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯৩
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : নারীদের সম্পর্কে যা এসেছে এবং যে কাজে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে তার বর্ণনা
৯৩. আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক মহিলা নবী করিম (ﷺ)-এর নিকট এসে তাকে প্রশ্ন করলো, তখন তার সাথে তার দুটি শিশু সন্তান ছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মহিলাকে তিনটি খেজুর দিলেন, তখন মহিলাটি প্রত্যেক সন্তানকে একটি করে খেজুর দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর একজন শিশু কাঁদছিল। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর মহিলাটি বাকী একটি খেজুর দুভাগ করে দু'জনকে দু অর্ধেক দিল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সন্তানদের প্রতি করুণাময়ী, জন্মদায়িনী ও গর্ভধারিণী নারীরা যদি তাদের স্বামীর অবাধ্য না হতো, তাহলে তাদের মধ্য হতে নামাযী মহিলাগণ জান্নাতে প্রবেশ করতো।
'আবদুর রহমান ইবন 'আউফ (রা)-এর দ্বিতীয় বর্ণনায়, তিনি বলেন, নবী করিম (ﷺ)-এর নিকট একজন নারী আসল, তার সাথে তার একটি শিশু পুত্রকে সে কোলে করে নিয়ে আসলো। তার অন্য হাতে কি ছিল, তা বর্ণনাকারী জানতে পারিনি। বর্ণনাকারী বলেন, সে গর্ভবতী ছিল, সে এদিন রাসূল (ﷺ)-এর নিকট কিছু চায়নি, তবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজেই তাকে দান করেন এবং বলেন, গর্ভধারিণী জন্মদায়িনী,...... হাদীসের শেষ পর্যন্ত।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في النساء وما يدخلهن الجنة
عن أبي أمامة (9) أن امرأة اتت النبي صلى الله عليه وسلم تسأله ومعها صبيان لها فأعطاها ثلاث تمرات (10) فأعطت كل واحد منها تمرة قال ثم ان احد الصبين بكى قال فشقتها فأعطت كل واحد نصفها فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم حاملات والدات رحيمات بأولادهن لولا ما يصنعن بأزواجهن (11) لدخل مصلياتهن الجنة (12) (وعنه من طريق ثان) (13) قال أتت النبي صلى الله عليه وسلم امرأة ومعها صبي لها تحمله وبيدها آخر لا أعلمه إلا قال وهي حامل فلم تسأل رسول الله صلى الله عليه وسلم شيئا يومئذ إلا أعطاها اياه ثم قال حاملات والدات الحديث
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯৪
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : নারীদের সম্পর্কে যা এসেছে এবং যে কাজে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে তার বর্ণনা
৯৪. আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ভোর বেলায় বের হলেন, (ঈদুল আযহা কিংবা ঈদুল ফিতরের সময়)। এরপর তিনি মসজিদে উপস্থিত নারীদের কাছে আসেন এবং তাদের সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, হে মহিলা সমাজ! আমি তোমাদের চাইতে আর কাউকেও জ্ঞানবুদ্ধি ও দ্বীনদারীর ক্ষেত্রে অপরিপক্ক দেখি না কিন্তু তোমরা বিচক্ষণ ব্যক্তিদের বুদ্ধি হরন করে থাক, আমি তোমাদের অধিকাংশকে দোযখে পেয়েছি। সুতরাং তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী তোমরা আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা কর। নারীদের মধ্যে 'আবদুল্লাহ ইবন মাসউদের স্ত্রীও ছিলেন। সে রাসূল (ﷺ)-এর নিকট থেকে যা শুনে, 'আবদুল্লাহ ইবন মাসউদকে সে সংবাদ দেয় এবং তার অলঙ্কার নেয়। তখন ইবন মাসউদ (রা) বললেন, এ অলঙ্কার নিয়ে তুমি কোথায় যাচ্ছ? তিনি বললেন, এর দ্বারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ)-এর নিকটবর্তী হতে চাই, যাতে আল্লাহ আমাকে দোযখবাসীদের অন্তর্ভুক্ত না করেন। 'আবদুল্লাহ ইব্‌ন মাস'উদ বলেন, তোমার অমঙ্গল হোক, তুমি আমার কাছে এসো, এবং তা আমাকে এবং আমার সন্তানদেরকে দান কর। আমিইতো এর অধিক হকদার। সে বললো, আল্লাহর শপথ! আমি তা নিয়ে নবী করিম (ﷺ)-এর নিকট যাবো। সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট গিয়ে কথা বলার অনুমতি চাইলো তখন সাহাবাগণ নবী করিম (ﷺ) কে বললেন, এ হলো যয়নব, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আপনি তাকে অনুমতি দিন। রাসূল (ﷺ) বললেন, সে কোন যয়নব? তারা বললো, 'আবদুল্লাহ ইব্‌ন মাস'উদের স্ত্রী। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, তাকে আমার অনুমতি দাও, তখন সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট প্রবেশ করে বললো, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমি আপনার কথা শুনেছি, এরপর ইবন মাস'উদের নিকট গিয়ে সে কথা বলেছি এবং আমার অলঙ্কার নিয়ে এসেছি, তা দান করে আল্লাহ্ ও আপনার নিকটবর্তী হতে চাই এ আশায় যে, আল্লাহ্ আমাকে দোযখবাসীদের অন্তর্ভুক্ত না করেন। এদিকে ইবন মাস'উদ আমাকে বলেছে: তুমি তা আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে দান কর, আমিই এর অধিক হকদার। আর আমি তাকে বলেছি, আমি রাসূল (ﷺ)-এর অনুমতি ব্যতিত কিছুই করবো না। তখন নবী করিম (ﷺ) বললেন, তুমি তা তাকে ও তাঁর সন্তানদেরকে দান কর, তারাই এর অধিক হকদার। তখন সে মহিলা বললো, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)। আমি আপনাকে আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছি আমি তোমাদের চেয়ে আর কাউকে জ্ঞানবুদ্ধি ও দ্বীনদারীর ক্ষেত্রে অপরিপক্ক দেখি না, আর তোমরা বিচক্ষণ ব্যক্তিদের বুদ্ধি হরণ করে থাক। সে বললো, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ), আমাদের জ্ঞান ও দ্বীনদারীর মধ্যে কি অপরিপক্কতা রয়েছে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, দ্বীনদারীর অপরিপক্কতা সম্পর্কে আমি যা উল্লেখ করেছি, তাহলো 'হায়েয' অবস্থায় আল্লাহর বিধিমত তোমাদেরকে অপেক্ষা করতে হয়, তোমরা কয়েকদিন নামাষ থেকে বিরত থাকো এবং রমযান মাসের কয়েকদিন রোযা থেকে বিরত থাক, এটাই তোমাদের দ্বীনদারীর ক্ষেত্রে অপরিপক্কতা। আর বুদ্ধির ক্ষেত্রে তোমাদের অপরিপক্কতার যে কথা উল্লেখ করেছি, তাহলো পুরুষদের সাক্ষ্যের অর্ধেক হলো নারীর সাক্ষ্য।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في النساء وما يدخلهن الجنة
عن أبي هريرة (1) أن النبي صلى الله عليه وسلم انصرف من الصبح يوما (2) فأتى النساء في المسجد فوقف عليهن فقال يا معشر النساء ما رأيت من نواقص عقول ودين اذهب لقلوب ذوي الالباب (3) منكن فإني قد رأيتكن أكثر أهل النار يوم القيامة (4) فتقربن إلى الله ما استطعتن وكان في النساء امرأة عبد الله بن مسعود فأخبرته بما سمعت من رسول الله صلى الله عليه وسلم وأخذت حليا لها فقال ابن مسعود فأين تذهبين بهذا الحلي؟ فقالت اتقرب به إلى الله عز وجل ورسوله لعل الله أن لا يجعلني من أهل النار فقال ويلك على فتصدقي به علي وعلى ولدي فأنا له موضع (5) فقالت والله حتى اذهب به إلى النبي صلى الله عليه وسلم فذهبت تستأذن على النبي صلى الله عليه وسلم فقالوا للنبي صلى الله عليه وسلم هذه زينب تستأذن يا رسول الله فقال أي الزيانب هي؟ فقالوا امرأة عبد الله بن مسعود فقال ائذنوا لها فدخلت على النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله إني سمعت منك مقالة فرجعت إلى ابن مسعود فحدثته وأخذت حليا اتقرب به إلى الله واليك رجاء أن لا يجعلني الله من أهل النار فقال لي ابن مسعود تصدقي به علي وعلى ولدي فأنا له موضع فقلت حتى استأذن النبي صلى الله عليه وسلم فقال النبي صلى الله عليه وسلم تصدقي به عليه وعلى بنيه فإنهم له موضع ثم قالت يا رسول الله أرأيت ما سمعت منك حين وقفت علينا ما رأيت من نواقص عقول قط ولا دين اذهب بقلوب ذوي الألباب منكن قالت يا رسول الله فما نقصان ديننا وعقولنا؟ فقال أما ما ذكرت من نقصان دينكن فالحيضة التي تصيبكن تمكث احداكن ما شاء الله ان تمكث لا تصلى ولا تصوم فذلك من نقصان دينكن وأما ما ذكرت من نقصان عقولكن فشهادتكن انما شهادة المرأة نصف شهادة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯৫
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : নারীদের সম্পর্কে যা এসেছে এবং যে কাজে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে তার বর্ণনা
৯৫. ইবন 'উমর (রা) থেকে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, হে নারী সমাজ! তোমরা অধিক পরিমাণে দান-খয়রাত কর এবং অধিক ক্ষমা প্রার্থনা কর। কেননা, আমি তোমাদের বহু নারীকে দোযখবাসী দেখেছি। তার কারণ, তোমরা বেশী বেশী অভিশাপ দাও এবং স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞ হয়ে থাক। আমি তোমাদের মত স্বল্পবুদ্ধি ও দ্বীনের ব্যাপারে সংকীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও বুদ্ধিমান বিচক্ষণ পুরুষদের উপর বিজয়ী হতে পারঙ্গম আর কাউকে দেখিনি। মহিলারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ), বিবেক বুদ্ধি ও দ্বীনের ব্যাপারে কমতি কি? তিনি বললেন, বুদ্ধির স্বল্পতা ও দ্বীনের কমতি হলো, তোমাদের দু'জন নারীর সাক্ষ্য একজন পুরুষের সাক্ষ্যের সমান। এটি হলো তোমাদের বুদ্ধির স্বল্পতা। আর তোমাদের দ্বীনের স্বল্পতা হলো, তোমরা কয়েকদিন নামায থেকে বিরত থাক এবং রমযান মাসে কয়েকদিন রোযা থেকে বিরত থাক। এটি তোমাদের দ্বীনের কমতি।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في النساء وما يدخلهن الجنة
عن ابن عمر (6) ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال يا معشر النساء تصدقن واكثرن فإني رأيتكن اكثر اهل النار لكثرة اللعن وكفر العشير ما رأيت من ناقصات عقل ودين اغلب لذي لب منكن قالت يا رسول الله وما نقصان العقل والدين؟ قال أما نقصان العقل والدين فشهادة امرأتين تعدل شهادة رجل فهذا نقصان العقل وتمكث الليالي لا تصلي وتفطر في رمضان فهذا نقصان الدين
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯৬
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : নারীদের সম্পর্কে যা এসেছে এবং যে কাজে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে তার বর্ণনা
৯৬. আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, হে মুসলিম মহিলাগণ! কোন প্রতিবেশিনী যেন অপর প্রতিবেশিনীকে তুচ্ছ জ্ঞান না করে। এমন কি বকরীর পায়ের একটি ক্ষুর উপঢৌকন পাঠালেও নয়।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في النساء وما يدخلهن الجنة
عن أبي هريرة (1) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يقول يا نساء المسلمات لا تحقرن جارة لجارتها ولو فرسن شاة
হাদীস নং: ৯৭
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : নারীদের সম্পর্কে যা এসেছে এবং যে কাজে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে তার বর্ণনা
৯৭. 'আমর ইবন মু'আয আশ্হালী (র) তার দাদী থেকে, তিনি নবী করিম (ﷺ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন, সেখানে বলা হয়েছে, এমন কি বকরীর পায়ের পোড়া খুরা উপঢৌকন পাঠালেও নয়।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في النساء وما يدخلهن الجنة
عن عمرو بن معاذ (3) الاشهلي عن جدته (4) رضي الله عنها عن النبي صلى الله عليه وسلم مثله إلا أن فيه ولو كراع شاة محرق
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯৮
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : নারীদের সম্পর্কে যা এসেছে এবং যে কাজে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে তার বর্ণনা
৯৮. 'আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, মসজিদে জামায়াতের নামায অথবা মৃতের জানাযায় ব্যতিত দুনিয়ার কোন কাজে নারীদের পুরুষদের সাথে জামাতবদ্ধ হওয়াতে কল্যাণ নেই।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في النساء وما يدخلهن الجنة
عن عائشة (5) رضي الله عنها ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا خير في جماعة النساء (6) إلا في مسجد أو في جنازة قتيل
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯৯
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : নারীদের সম্পর্কে যা এসেছে এবং যে কাজে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে তার বর্ণনা
৯৯. 'আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট জিহাদের অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি আমাদের বলেন, হজ্জই তোমাদের জিহাদ অথবা তোমাদের জন্য যথেষ্ট। অন্য বর্ণনায় রাসূল (ﷺ) বলেন, তোমাদের জন্য ঘরে অবস্থান করাই তোমাদের জিহাদ সমতূল্য।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في النساء وما يدخلهن الجنة
وعنها أيضا (7) قالت استأذنا رسول الله صلى الله عليه وسلم في الجهاد فقال جهادكن أو حسبكن الحج (وعنها من طريق ثان) (8) عن النبي صلى الله عليه وسلم انه قال عليكن بالبيت فإنه جهادكن
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১০০
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : নারীদের সম্পর্কে যা এসেছে এবং যে কাজে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে তার বর্ণনা
১০০. হাফসা বিনতে সিরীন (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা যুবতী মেয়েদেরকে (ঈদগাহে) যেতে নিষেধ করতাম। একদা জনৈকা স্ত্রীলোক আসে এবং বনু খলফের পল্লীতে নামে। সে তার বোন থেকে হাদীস বর্ণনা করলো। সে রাসূলের কোন এক সাহাবীর স্ত্রী ছিল। তার স্বামী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে বারটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। সে বললো, তার বোন তাঁর সাথে ছয়টিতে অংশগ্রহণ করেছিল। সে বললো, আমরা আহতদের পরিচর্যা ও পীড়িতদের সেবা-শুশ্রূষা করতাম, আমার বোন একবার নবী করিম (ﷺ) কে জিজ্ঞেস করলো, আমাদের কারোর নিকট 'জিলবাব' না থাকলে, সে কি তা ছাড়া বাইরে যেতে পারে? তিনি জবাবে বললেন, তার কোন সাথীর নিজের 'জিলবাব' তাকে পরিয়ে দেওয়া উচিৎ, যাতে সে ভাল কাজ ও মুসলমানদের দু'আয় শরীক হতে পারে। তারপর যখন উম্মে আতিয়্যা আসলেন, তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি নবী করিম (ﷺ) থেকে এরূপ কিছু বলতে শুনেছেন? তিনি বললেন তিনি নবী (ﷺ)-এর কথা উঠলে অবশ্যই আমার পিতা তাঁর ওপর উৎসর্গীত হোক বলতেন, তিনি বললেন, আমি তাকে বলতে শুনেছি, আমার পিতা তাঁর জন্য উৎসর্গীত হোক নবী করিম (ﷺ) বলেছেন, যুবতী মেয়ে, পর্দানশীল মহিলা ও ঋতুবতী নারী ভাল কাজ এবং মুসলমানদের দু'আয় শরীক হবে। তবে ঋতুবতী নারী নামায থেকে দুরে থাকবে। উম্মে আতীয়্যা বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, ঋতুবতী নারীও কি শরীক হবে? তিনি জবাব দিলেন, কেন, তারা কি আরাফা ও অন্যান্য স্থানে (মুজদালিফা, মিনা) উপস্থিত হয় না?
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في النساء وما يدخلهن الجنة
حدثنا اسماعيل (9) انا ايوب عن حفصة بنت سيرين قالت كنا نمنع عواتقنا (10) ان يخرجن فقدمت امرأة فنزلت قصر بني خلف (11) فحدثت أن اختها كانت (12) تحت رجل من أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم وقد غزا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم اثنتي عشرة غزوة قالت أختي غزوت معه (1) ست غزوات قالت كنا نداوي الكلمى (2) ونقوم على المرضى فسألت أختي رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالت هل على احدانا بأس (3) لمن لم يكن لها جلباب (4) أن لا تخرج؟ فقال لتلبسها صاحبتها من جلبابها (5) ولتشهد الخير ودعوة المؤمنين قالت (6) فلما قدمت ام عطية فسألتها أو سألناها هل سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول كذا وكذا؟ قالت وكانت لا تذكر رسول الله صلى الله عليه وسلم أبدا إلا قالت بيبا (7) فقالت نعم بيبا قال لتخرج العواتق ذوات الخدور (8) أو قالت العواتق وذوات الخدور والحيض (9) فيشهدن الخير ودعوة المؤمنين ويعتزلن (10) الحيض المصلى فقلت لأم عطية آلحائض؟ (11) فقلت أو ليس يشهدن عرفة (12) وتشهد كذا وتشهد كذا
tahqiq

তাহকীক: