মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
হাদীস নং: ৮৯
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : দশটি বিষয় ও এর অতিরিক্ত যা এসেছে
৮৯. আবু তাইয়্যেবা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, শুরাহবিল ইব্ন সীমত (র) আমর ইব্ন 'আবাসা সুলামী (রা) কে ডেকে বললেন, হে ইব্ন আবাসা! তুমি কি একটি হাদীস আমাকে বলবে, যা তুমি নিজে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছ থেকে শুনেছ? যাতে অতিরিক্ত ও মিথ্যা থাকবেনা এবং এমন হাদীস বলবে না, যা রাসূল (ﷺ) থেকে তুমি ছাড়া অন্য কেউ শুনে তোমার কাছে বর্ণনা করেছে, তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তা'আলা বলেছেন, যারা আমার সন্তুষ্টির আশায় পরস্পরকে ভালবাসবে, তাদের ভালবাসা আমার উপর নিশ্চিত হয়ে যাবে, যারা আমার সন্তুষ্টির আশায় পরস্পর জিহাদে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়াবে তাদের ভালবাসা আমার উপর নিশ্চিত হয়ে যাবে; যারা আমার সন্তুষ্টির আশায় পরস্পর দেখা-সাক্ষাত করবে, আমার ভালবাসা তাদের উপর নিশ্চিত হয়ে যাবে; যারা আমার সন্তুষ্টির আশায় নিজেদের সম্পদ ব্যয় করবে, তাদের ভালবাসা আমার উপর নিশ্চিত হয়ে যাবে: যারা আমার সন্তুষ্টির আশায় একে অপরকে সাহায্য করবে, তাদের ভালবাসা আমার উপর নিশ্চিত হয়ে যাবে, 'উমর ইবন আবাসা (রা) বলেন, আমি রাসূল (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, যে কোন ব্যক্তি আল্লাহর পথে তীর নিক্ষেপ করে তা ভুল অথবা সঠিকভাবে পৌছে, তার জন্য ইসমাঈল (আ)-এর সন্তানের মত দান মুক্তির পুরস্কার রয়েছে, যে যুবক বার্ধক্য পর্যন্ত আল্লাহ্ পথে থাকে, তা তার জন্য কিয়ামতের দিন নূর হবে, যে কোন মুসলিম ব্যক্তি কোন মুসলমান ব্যক্তিকে মুক্ত করে দিবে, মুক্তি প্রাপ্ত ব্যক্তির প্রত্যেক অঙ্গের বিনিময়ে জাহান্নাম থেকে তার প্রত্যেক অঙ্গকে মুক্তি দেওয়া হবে, যে কোন মুসলিম নারী, কোন মুসলিম নারীকে মুক্তি দেবে, মুক্তিপ্রাপ্ত মুসলিম নারীর প্রত্যেক অঙ্গের বিনিময়ে জাহান্নাম থেকে তার প্রত্যেক অঙ্গকে মুক্তি দেওয়া হবে। যে কোন মুসলিম নর বা নারী আল্লাহ্ তা'আলার উদ্দেশ্যে তার তিনটি সন্তানকে হারাবে, যারা বয়ঃপ্রাপ্ত হয়নি, তারা তার জন্য জাহান্নামের প্রতিবন্ধক হবে। যে ব্যক্তি নামায পড়ার ইচ্ছায় অযু করার জন্য দাঁড়ালো এবং উত্তমরূপে অজু করলো, সে প্রতিটি গুনাহ অথবা দায় ও অপরাধ থেকে মুক্তি লাভ করলো। তারপর সে যদি নামাযে দাঁড়ায়, তার বিনিময়ে আল্লাহ তা'আলা তার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন, সে যখন বসবে নিরাপদে বসবে, এরপর শুরাহবিল ইবন সিমত বলেন, হে ইব্ন আবাসা! তুমি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এই হাদীস শুনেছ? সে বললো, হ্যাঁ, আল্লাহর শপথ! তিনি ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই। আমি যদি এ হাদীস রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে একবার, দু'বার, তিনবার, চার বার, পাঁচ বার, ছয় বার, অথবা সাত বার না শুনতাম, তাহলে আমি শপথ করতাম না। আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি! আমার জানা নেই, আমি কতবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে হাদীসটি শুনেছি।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في العشاريات ومازاد عنها
عن أبي طيبة (2) قال ان شرحبيل بن السمط دعا عمرو بن عبسة السلمي فقال يا ابن عبسة هل انت محدثي حديثا سمعته انت من رسول الله صلى الله عليه وسلم ليس فيه تزيد ولا كذب ولا تحدثنيه عن آخر سمعه منه غيرك؟ قال نعم سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ان الله عز وجل يقول قد حقت محبتي للذين يتحابون من اجلي وحقت محبتي للذين يتصافون من أجلي وحقت محبتي للذين يتزاورون من أجلي وحقت محبتي للذين يتباذلون من أجلي وحقت محبتي للذين يتناصرون من اجلي وقال عمرو بن عبسة سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ايما رجل رمى بسهم في سبيل الله عز وجل فبلغ مخطئا أو مصيبا فله من الأجر كرقبة يعتقها من ولد اسماعيل وايما رجل شاب شيبة في سبيل الله فهي له نور وايما رجل مسلم اعتق رجلا مسلما فكل عضو من المعتق بعضو من المعتق فداء له من النار وايما امرأة مسلمة اعتقت امرأة مسلمة فكل عضو من المعتقة بعضو من المعتقة فداء لها من النار وايما رجل مسلم قدم لله عز وجل من صلبه ثلاثة لم يبلغوا الحنث او امرأة فهم له سترة من النار وايما رجل قام إلى وضوء يريد الصلاة فأحصى الوصوء إلى أماكنه سلم من كل ذنب أو خطيئة له فإن قام إلى الصلاة رفعه الله عز وجل بها درجة وان قعد قعد سالما فقال شرحبيل بن السمط أنت سمعت هذا الحديث من رسول الله صلى الله عليه وسلم يا ابن عبسة؟ قال نعم والذي لا إله إلا هو لو اني لم اسمع هذا الحديث من رسول اله صلى الله عليه وآله وسلم غير مرة أو مرتين أو ثلاث أو أربع أو خمس أو ست أو سبع فانتهى عند سبع ما حلفت يعني ما باليت ان لا أحدث به احدا من الناس ولكني والله ما أدري عدد ما سمعته من رسول الله صلى الله عليه وعلى آله وصحبه وسلم
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এবিষয়ে নসীহতের শব্দ বিভিন্ন বর্ণনায় বিভিন্নভাবে এসেছে। অধিকাংশ হাদীসে এই সুসংবাদ নাবালক সন্তানের ক্ষেত্রে বর্ণিত হয়েছে। তা এ কারণে যে, শিশুসন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের স্নেহ-মমতা বেশি থাকে। এ বয়সে তারা বাবা-মায়ের অবাধ্যতা করতে পারে না। ফলে তাদের প্রতি বাবা-মা'র মনে কোনও কষ্ট থাকে না। এ অবস্থায় তাদের মৃত্যু হলে বাবা-মা'র মনে শোকতাপ খুব বেশি লাগে। ফলে ধৈর্যধারণ কঠিন হয়ে যায়। তা সত্ত্বেও যদি ধৈর্যধারণ করে, তবে তারা আল্লাহ তা'আলার কাছে অপরিমিত পুরস্কারের উপযুক্ত হয়ে যায়।
কেউ কেউ বলেন, ছেলেমেয়ে যদি সুসন্তান হয়, তবে বড় হওয়ার পর তারা মা-বাবার আনুগত্য করে, তাদের খেদমত করে এবং নানাভাবে তাদের উপকারে আসে। কাজেই শিশুসন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণ করলে যখন বিপুল ছাওয়াব পাওয়া যায়, তখন প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণ করলে অধিকতর ছাওয়াবের আশা রয়েছে।
কারও শিশুসন্তান মারা গেলে কেন সে জান্নাত লাভ করবে, সে সম্পর্কে হাদীসে ইরশাদ হয়েছে- بِفَضْلِ رَحْمَتِهِ إِيَّاهُمْ (তাদের প্রতি নিজ রহমতের গুণে)। অর্থাৎ শোকে-দুঃখে সবর করার কারণে আল্লাহ তা'আলা তাদের প্রতি দয়ার আচরণ করবেন আর সেজন্যই তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। কেউ কেউ বাক্যটির অর্থ করেছেন- তাদের প্রতি (অর্থাৎ সন্তানদের) প্রতি তার (অর্থাৎ পিতার) রহমতের গুণে। অর্থাৎ সন্তানের প্রতি পিতার যে গভীর মায়া-মমতা আর তা সত্ত্বেও সেই সন্তানের মৃত্যুতে সে ধৈর্যের পরিচয় দেয়, এ কারণে আল্লাহ তা'আলা তাকে জান্নাত দান করবেন। বলাবাহুল্য, সন্তানের প্রতি পিতা অপেক্ষা মায়ের মায়া-মমতা অনেক বেশি। সুতরাং মা যদি সন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণ করে, তবে তার জান্নাতলাভের সম্ভাবনা আরও বেশি।
কোন কোন হাদীসে তিনটি সন্তানের কথা বলা হয়েছে, কোন কোন হাদীছ দ্বারা বোঝা যায়, দুটি সন্তানের বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য। এমনকি কোনও কোনও হাদীছ দ্বারা জানা যায়, একটি নাবালক সন্তানের মৃত্যুতেও ধৈর্যধারণ করলে তার পিতা-মাতাকে জান্নাত দান করা হবে।
আবূ হাসসান নামে এক তাবি'ঈ বলেন, আমি আবু হুরায়রা রাযি.-কে বললাম, আমার দু'টি পুত্র মারা গেছে। আপনি কি এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোনও হাদীছ আমাকে শোনাবেন, যাতে করে মৃতদের বিষয়ে আমরা মনে প্রশান্তি পেতে পারি? তিনি বললেন, হাঁ, শোনো-
صِغَارُهُمْ دَعَامِيصُ الْجَنَّةِ, يَتَلَقَّى أَحَدُهُمْ أَبَاهُ, أَوْ قَالَ: أَبَوَيْهِ, فَيَأْخُذُ بِثَوْبِهِ, أَوْ قَالَ: بِيَدِهِ, كَمَا آخُذُ أَنَا بِصَنِفَةِ ثَوْبِكَ هَذَا, فَلاَ يَتَنَاهَى, أَوْ قَالَ: فَلاَ يَنْتَهِي, حَتَّى يُدْخِلَهُ اللهُ وَأَبَاهُ الْجَنَّةَ
'মুমিনদের শিশুরা জান্নাতের ক্ষুদ্র জীব। তাদের একেকজন তাদের বাবা কিংবা বাবা-মা'কে স্বাগত জানাবে। সে তার কাপড় বা হাত ধরবে, যেমন এই আমি তোমার এই কাপড়টির প্রান্ত ধরছি। তারপর সে আর থামবে না, যাবৎ না আল্লাহ তার পিতাকে জান্নাতে প্রবেশ করান’। (সহীহ মুসলিম: ২৬৩৫; মুসনাদুল বাযযার: ৯৫৪৭; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ৭১৪২)
প্রকাশ থাকে যে, শোকতাপে সবর দ্বারা যেসব গুনাহ মাফ হয় তা আল্লাহ তা'আলার হক সম্পর্কিত গুনাহ। যেসব গুনাহের সম্পর্ক বান্দার হকের সঙ্গে, তার বেলায় বান্দার পক্ষ থেকেও মাফ পাওয়া জরুরি। বিভিন্ন হাদীছ দ্বারা এটা প্রমাণিত। তাছাড়া সাধারণভাবে কবীরা গুনাহের ক্ষেত্রেও ক্ষমাপ্রাপ্তির জন্য তাওবা জরুরি।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. সন্তানের মৃত্যুতে শোক যতই গভীর হোক, তথাপি মুমিন নর-নারীর উচিত ধৈর্যের পরিচয় দেওয়া। তাতে জান্নাতলাভের আশা থাকে।
খ. সন্তানের মৃত্যু বাহ্যত কঠিন মসিবত হলেও প্রকৃতপক্ষে পিতা-মাতার পক্ষে তা রহমতস্বরূপ। এটা চিন্তা করলে ধৈর্যধারণ সহজ হয়।
গ. মুমিনদের শিশুসন্তান জান্নাতবাসী হবে।
কেউ কেউ বলেন, ছেলেমেয়ে যদি সুসন্তান হয়, তবে বড় হওয়ার পর তারা মা-বাবার আনুগত্য করে, তাদের খেদমত করে এবং নানাভাবে তাদের উপকারে আসে। কাজেই শিশুসন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণ করলে যখন বিপুল ছাওয়াব পাওয়া যায়, তখন প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণ করলে অধিকতর ছাওয়াবের আশা রয়েছে।
কারও শিশুসন্তান মারা গেলে কেন সে জান্নাত লাভ করবে, সে সম্পর্কে হাদীসে ইরশাদ হয়েছে- بِفَضْلِ رَحْمَتِهِ إِيَّاهُمْ (তাদের প্রতি নিজ রহমতের গুণে)। অর্থাৎ শোকে-দুঃখে সবর করার কারণে আল্লাহ তা'আলা তাদের প্রতি দয়ার আচরণ করবেন আর সেজন্যই তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। কেউ কেউ বাক্যটির অর্থ করেছেন- তাদের প্রতি (অর্থাৎ সন্তানদের) প্রতি তার (অর্থাৎ পিতার) রহমতের গুণে। অর্থাৎ সন্তানের প্রতি পিতার যে গভীর মায়া-মমতা আর তা সত্ত্বেও সেই সন্তানের মৃত্যুতে সে ধৈর্যের পরিচয় দেয়, এ কারণে আল্লাহ তা'আলা তাকে জান্নাত দান করবেন। বলাবাহুল্য, সন্তানের প্রতি পিতা অপেক্ষা মায়ের মায়া-মমতা অনেক বেশি। সুতরাং মা যদি সন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণ করে, তবে তার জান্নাতলাভের সম্ভাবনা আরও বেশি।
কোন কোন হাদীসে তিনটি সন্তানের কথা বলা হয়েছে, কোন কোন হাদীছ দ্বারা বোঝা যায়, দুটি সন্তানের বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য। এমনকি কোনও কোনও হাদীছ দ্বারা জানা যায়, একটি নাবালক সন্তানের মৃত্যুতেও ধৈর্যধারণ করলে তার পিতা-মাতাকে জান্নাত দান করা হবে।
আবূ হাসসান নামে এক তাবি'ঈ বলেন, আমি আবু হুরায়রা রাযি.-কে বললাম, আমার দু'টি পুত্র মারা গেছে। আপনি কি এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোনও হাদীছ আমাকে শোনাবেন, যাতে করে মৃতদের বিষয়ে আমরা মনে প্রশান্তি পেতে পারি? তিনি বললেন, হাঁ, শোনো-
صِغَارُهُمْ دَعَامِيصُ الْجَنَّةِ, يَتَلَقَّى أَحَدُهُمْ أَبَاهُ, أَوْ قَالَ: أَبَوَيْهِ, فَيَأْخُذُ بِثَوْبِهِ, أَوْ قَالَ: بِيَدِهِ, كَمَا آخُذُ أَنَا بِصَنِفَةِ ثَوْبِكَ هَذَا, فَلاَ يَتَنَاهَى, أَوْ قَالَ: فَلاَ يَنْتَهِي, حَتَّى يُدْخِلَهُ اللهُ وَأَبَاهُ الْجَنَّةَ
'মুমিনদের শিশুরা জান্নাতের ক্ষুদ্র জীব। তাদের একেকজন তাদের বাবা কিংবা বাবা-মা'কে স্বাগত জানাবে। সে তার কাপড় বা হাত ধরবে, যেমন এই আমি তোমার এই কাপড়টির প্রান্ত ধরছি। তারপর সে আর থামবে না, যাবৎ না আল্লাহ তার পিতাকে জান্নাতে প্রবেশ করান’। (সহীহ মুসলিম: ২৬৩৫; মুসনাদুল বাযযার: ৯৫৪৭; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ৭১৪২)
প্রকাশ থাকে যে, শোকতাপে সবর দ্বারা যেসব গুনাহ মাফ হয় তা আল্লাহ তা'আলার হক সম্পর্কিত গুনাহ। যেসব গুনাহের সম্পর্ক বান্দার হকের সঙ্গে, তার বেলায় বান্দার পক্ষ থেকেও মাফ পাওয়া জরুরি। বিভিন্ন হাদীছ দ্বারা এটা প্রমাণিত। তাছাড়া সাধারণভাবে কবীরা গুনাহের ক্ষেত্রেও ক্ষমাপ্রাপ্তির জন্য তাওবা জরুরি।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. সন্তানের মৃত্যুতে শোক যতই গভীর হোক, তথাপি মুমিন নর-নারীর উচিত ধৈর্যের পরিচয় দেওয়া। তাতে জান্নাতলাভের আশা থাকে।
খ. সন্তানের মৃত্যু বাহ্যত কঠিন মসিবত হলেও প্রকৃতপক্ষে পিতা-মাতার পক্ষে তা রহমতস্বরূপ। এটা চিন্তা করলে ধৈর্যধারণ সহজ হয়।
গ. মুমিনদের শিশুসন্তান জান্নাতবাসী হবে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)