মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني

শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১০৯ টি

হাদীস নং: ৬১
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: চারটি বিষয় সম্পর্কে যা এসেছে
৬১. 'উছমান ইবন যুফার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, উত্তম চরিত্র মানুষের রিযিক বৃদ্ধি করে এবং আল্লাহর নিকট তাকে সম্মানিত করে; আর অসৎ চরিত্র মানুষকে বঞ্চিত করে এবং জাহান্নামে প্রবেশ করায়। দানশীলতা মানুষের জীবনে বরকত দান করে, আর সাদকা মানুষকে নিকৃষ্ট ও কষ্টদায়ক মৃত্যু থেকে হিফাযত করে।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في الرباعيات
عن عثمان بن زفر (2) عن بعض بني رافع بن مكيث وكان ممن شهد الحديبية ان النبي صلى الله عليه وسلم قال حسن الخلق نماء (3) وسوء الخلق شؤم (4) والبر زيادة في العمر (5) والصدقة تمنع ميتة (6) السود
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬২
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: চারটি বিষয় সম্পর্কে যা এসেছে
৬২. ইবন 'উমার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করিম (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ওয়াস্তে আশ্রয় প্রার্থনা করবে, তোমরা তাকে আশ্রয় দেবে। তোমাদের কাছে যে আল্লাহর ওয়াস্তে চাবে, তোমরা তাকে দান করবে, তোমাদের মধ্যে কেউ কাউকে দাওয়াত করলে, তার দাওয়াতে সাড়া দেবে। তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কল্যাণের কাজ করে, তোমরা তাকে তার প্রতিদান দেবে। যদি প্রতিদান দিতে না পার, তাহলে তার জন্য এমনভাবে দু'আ করবে, যে তোমরা বুঝতে পার যে তার প্রতিদান দিতে পেরেছো।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في الرباعيات
عن ابن عمر (7) عن النبي صلى الله عليه وسلم قال من استعاذ بالله فأعيذوه ومن سألكم بالله فأعطوه ومن دعاكم فأجيبوه ومن أتى عليكم معروفا فكافئوه فإن لم تجدوا ما تكافئوه فادعوا له حتى تعلموا ان قد كافأنموه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৩
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: চারটি বিষয়ে সংখ্যা উল্লেখ করে যা এসেছে
৬৩. আবু আইয়ুব আনসারী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, চারটি কাজ নবীদের সুন্নত: আতর লাগানো, বিবাহ করা, মিসওয়াক করা, এবং লজ্জা করা।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب في الرباعيات المبدوءة بعدد
عن أبي أيوب الأنصاري (8) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أربع من سنن المرسلين التعطر والنكاح والسواك والحياء
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৪
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: চারটি বিষয়ে সংখ্যা উল্লেখ করে যা এসেছে
৬৪. হাফসা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করিম (ﷺ) চারটি আমল কখনো ছাড়তেন না। আশুরার রোযা, যিলহজ্বের প্রথম দশকের রোযা, প্রত্যেক মাসের তিন দিনের রোযা, ফজরের আগে দুই রাকাত সুন্নত নামায।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب في الرباعيات المبدوءة بعدد
عن حفصة رضي الله عنها (9) قالت أربع لم يكن يدعهن النبي صلى الله عليه وسلم صيام عاشوراء والعشر وثلاثة أيام من كل شهر والركعتين قبل الغداة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৫
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: চারটি বিষয়ে সংখ্যা উল্লেখ করে যা এসেছে
৬৫. 'আবদুল্লাহ ইবন 'আমর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, চারটি কাজ যদি তোমার মধ্যে পাওয়া যায়, তাহলে দুনিয়ার সব হারিয়ে গেলেও তোমার কোন ক্ষতি হবে না। আমানতের হিফাযত করা, সত্য কথা বলা, উত্তম স্বভাব সৃষ্টি করা এবং খাদ্য যাচাই-বাছাই করে খাওয়া।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب في الرباعيات المبدوءة بعدد
عن عبد الله بن عمرو (10) ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال أربع اذا كن فيك فلا عليك ما فاتك من الدنيا حفظ أمانة وصدق حديث وحسن خليقة وعفة في طعمة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৬
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: চারটি বিষয়ে সংখ্যা উল্লেখ করে যা এসেছে
৬৬. আবূ কাব্শা আনসারী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, এই দুনিয়া চার ধরনের লোকের জন্য। যে বান্দাকে আল্লাহ্ ধন-সম্পদ ও 'ইলম বা জ্ঞান দান করেছেন, আর সে এ ক্ষেত্রে তার রবকে ভয় করে, এর সাহায্যে আত্মীয়দের সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করে এবং এতে আল্লাহরও হক আছে বলে সে জানে, সেই বান্দার মর্যাদা সর্বোচ্চ। অপর এক বান্দা, যাকে আল্লাহ্ 'ইলম দিয়েছেন, কিন্তু ধন-সম্পদ দান করেননি, আর সে বলে, আমার যদি ধনসম্পদ থাকতো, তাহলে আমি অমুক অমুক ভাল কাজে ব্যয় করতাম। (এ ব্যক্তির মর্যাদা তার (নিয়াত) অনুযায়ী নির্ধারিত হবে) অর্থাৎ এই উভয় ব্যক্তির ছাওয়াব সমান সমান হবে। অপর এক বান্দাহ আল্লাহ্ তাকে ধনসম্পদ দিয়েছেন, কিন্তু 'ইলম দান করেননি। আর সে জ্ঞান না থাকার দরুন তার সম্পদ স্বীয় প্রবৃত্তির চাহিদা অনুযায়ী খরচ করে, এ ব্যাপারে সে তার রবকেও ভয় করে না এবং আত্মীয়দের সাথে সৌজন্যমূলক আচরণও করে না। আর এতে যে আল্লাহর হক রয়েছে তাও সে জানে না। এ ব্যক্তি সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্তরের লোক। অপর এক বান্দাহ যাকে আল্লাহ্ ধন-সম্পদ ও ইলম-কালাম কিছুই দান করনে নি। সে বলে, আমার যদি ধনসম্পদ থাকতো তাহলে আমি অমুক অমুক ব্যক্তির ন্যায় খারাপ কাজ করতাম, তার স্থান নির্ধারিত হবে তার নিয়াত অনুসারে। অতএব এদের দুজনের পাপ হবে সমান সমান।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب في الرباعيات المبدوءة بعدد
عن أبي كبشة الانصاري (11) قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول انما الدنيا لأربعة نفر عبد رزقه الله عز وجل مالا وعلما فهو يتقي فيه ربه ويصل فيه رحمه ويعلم لله عز وجل فيه حقه قال فهذا بأفضل المنازل قال وعبد رزقه الله عز وجل علما ولم يرزقه مالا قال فهو يقول لو كان لي مال عملت بعمل فلان قال فأجرهما سواء قال وعبد رزقه الله مالا ولم يرزقه علما فهو يخبط في ماله بغير علم لا يتقي فيه ربه عز وجل ولا يصل فيه رحمه ولا يعلم فيه لله حقه فهذا بأخبث المناذل قال وعبد لم يرزقه الله مالا ولا علما فهو يقول لو كان لي مال لعملت بعمل فلان قال هي نيته فوزردهما فيه سواء
হাদীস নং: ৬৭
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: চারটি বিষয়ে সংখ্যা উল্লেখ করে যা এসেছে
৬৭. আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ তা'আলা (তাঁর ফেরেশতা অথবা বান্দাদের জন্য) চারটি কালাম পছন্দ করেন। তাহলো, সুবহানাল্লাহ, আল হামদু লিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং আল্লাহ আকবর। যে ব্যক্তি 'সুবহানাল্লাহ' বলবে তার আমল নামায় বিশটি নেকী লিপিবদ্ধ করা হবে, এবং তার থেকে বিশটি গুনাহ মুছে দেওয়া হবে, আর যে ব্যক্তি 'আল্লাহু আকবার' বলবে, তার আমল নামায়ও অনুরূপ লিখা হবে, আর যে ব্যক্তি 'লা-ইলাহা ইল্লাহু' বলবে, তার আমল নামায়ও অনুরূপ লেখা হবে; আর যে ব্যক্তি এ চারটির অতিরিক্ত নিজের পক্ষ থেকে আল-হাম্দু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন' বলবে, তার আমল নামায় ত্রিশটি নেকী লেখা হবে। এবং ত্রিশটি গুনাহ মুছে দেওয়া হবে।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب في الرباعيات المبدوءة بعدد
عن أبي هريرة (1) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ان الله اصطفى من الكلام اربعا سبحان الله والحمد لله ولا إله إلا الله والله أكبر فمن قال سبحان الله كتب الله له عشرين حسنة وحط عنه عشرين سيئة ومن قال الله أكبر فمثل ذلك ومن قال لا إله إلا الله فمثل ذلك ومن قال الحمد لله رب العالمين من قبل نفسه كتب له ثلاثون حسنة وحط أو حطت عنه ثلاثون سيئة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৮
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: চারটি বিষয়ে সংখ্যা উল্লেখ করে যা এসেছে
৬৮. আবু সা'ঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার হাত ধরে বলেন, হে আবূ সা'ঈদ! যে ব্যক্তি এ তিনটি কথা মনে প্রাণে বলবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! সেগুলো কি? তিনি বললেন, যে আল্লাহকে রব হিসাবে স্বীকার করে, ইসলামকে দ্বীন হিসাবে মেনে নেয় এবং মুহাম্মদ (ﷺ) কে রাসূল হিসাবে মেনে নেয়। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে আবূ সা'ঈদ! চতুর্থ জিনিসটি আসমান ও যমীনের মাঝখানের সকল জিনিসের চেয়ে উত্তম মর্যাদাশীল, আর তা হলো- আল্লাহর পথে জিহাদ করা।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب في الرباعيات المبدوءة بعدد
عن أبي سعيد الخدري (2) قال أخذ رسول الله صلى الله عليه وسلم بيدي فقال يا أبا سعيد ثلاثة من قالهن دخل الجنة قلت ما هن يا رسول الله قال من رضى بالله ربا وبالاسلام دينا وبمحمد رسولا ثم قال يا أبا سعيد والرابعة لها من الفضل كما بين السماء إلى الأرض وهي الجهاد في سبيل الله
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৯
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: চারটি বিষয়ে সংখ্যা উল্লেখ করে যা এসেছে
৬৯. আবু সা'ঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবদুল কায়েস গোত্রের দূত নবী করিম (ﷺ)-এর কাছে এসে বললো, আমরা রবিয়া এলাকার লোক, আমাদের ও আপনার মাঝে রয়েছে এই কাফির গোত্র 'মুদর'। আর আমরা আপনার কাছে পবিত্র মাস ছাড়া অন্য সময় আসতে পারি না। কাজেই আমাদেরকে এমন কাজের আদেশ দিন, যা পালন করে আমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারি এবং আমাদের পেছনে রেখে আসা অন্যান্য লোকদেরকে আহবান করতে পারি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি তোমাদেরকে চারটি কাজের আদেশ দিচ্ছি এবং চারটি কাজ করতে নিষেধ করছি। তোমরা আল্লাহর ইবাদত করবে, তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না। তবে এটা চারটি হুকুমের মধ্যে গণ্য নয়। তোমরা নামায কায়েম করবে, যাকাত আদায় করবে, রমযানের রোযা পালন করবে, গনিমতের মালের এক পঞ্চমাংশ দান করবে। আর তিনি লাউয়ের শুকনা খোলের পাত্র, নাকীর, খেজুর গাছের মূলকাণ্ড খুঁড়ে তৈরীকৃত কাঠের পাত্র, 'মুযাফফাত', বা আল কাতরার প্রলেপযুক্ত পাত্র ও 'হানতাম' বা মাটির তৈরী এক ধরনের সবুজ কলসী ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। তারা বললো, 'নাকীর' সম্পর্কে আপনি কি জানেন। রাসূল (ﷺ) বললেন, খেজুর গাছের মূল কাণ্ড খুঁড়ে তৈরী করা কাঠের পাত্র যাতে ছোট ছোট খেজুর রাখা হয়, অথবা খেজুর ও পানি, যখন তা সিদ্ধ হয়ে যায় তোমরা তা পান কর। আর তাতে এমন নেশা জন্মে, যদি তোমাদের মধ্যের কেউ তা পান করে, তবে সে তার আপন চাচাত ভাইকে তলোয়ার দিয়ে হত্যা করতে উদ্যত হবে। এর কারণে গোত্রের (জোহাম নামক) এক ব্যক্তির হাটুতে আঘাত লেগেছিল, আর সে লজ্জিত হয়ে তা রাসূলের নিকট থেকে গোপন করার চেষ্টা করছিল। তারা বলে, আপনি আমাদের কি পান করতে বলেন? তিনি বললেন, যে পাত্রের মুখে-দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয় সেগুলো থেকে পান করবে। তারা বললো, আমাদের দেশে প্রচুর ইদুর রয়েছে এবং সেখানে চামড়ার তৈরী পাত্র পাওয়া যায় না। তখন তিনি বললেন, যদিও ইঁদুরে খায়, একথা তিনি দুইবার বা তিনবার বলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আব্দুল কায়েস গোত্রের নেতাকে বলেন, তোমার মধ্যে এমন দুটি গুণ রয়েছে, যা আল্লাহ পছন্দ করেন ও ভালবাসেন, একটি হলো- সহনশীলতা এবং অপরটি হলো ধীর-স্থিরতা।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب في الرباعيات المبدوءة بعدد
وعنه أيضا (3) ان وفد عبد القيس لما قدموا على رسول الله صلى الله عليه وسلم قالوا انا حي من ربيعة وبيننا وبينك كفار مضر ولسنا نستطيع أن نأتيك إلا في اشهر الحرم فمرنا بأمر إذا نحن أخذنا به دخلنا الجنة ونأمر به أو ندعو من وراءنا فقال آمركم بأربع وأنهاكم عن اربع اعبدوا الله ولا تشركوا به شيئا فهذا ليس من الأربع (4) واقيموا الصلاة وآتوا الزكاة وصوموا رمضان واعطوا من الغنائم الخمس وانهاكم عن الدباء والنقر والحتم والمزفت (5) قالوا وما علمك بالنقير قال جذع ينقرثم يلقون ليه من القطيعاء (1) أو التمر والماء حتى إذا سكن غليانه شربتموه حتى إن أحدكم ليضرب ابن عمه بالسيف (2) وفي القوم رجل أصابته جراحة (3) من ذلك فجعلت اخبؤها حياء من رسول الله صلى الله عليه وسلم قالوا فما تأمرنا أن نشرب؟ قال في الأسقية التي يلاث (4) على أفواهها قال ان ارضنا ارض كثيرة الجرذان (5) لا تبقى فيها أسقية الأدم (6) قال وان أكلته الجرذان مرتين أو ثلاثا وقال لأشج عبد القيس (7) إن فيك خلقين يحبهما الله عز وجل الحلم والأناه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭০
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: চারটি বিষয়ে সংখ্যা উল্লেখ করে যা এসেছে
৭০. আবু মাস'উদ (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করিম (ﷺ) বলেন, একজন মুসলমানের উপর অন্য মুসলমানের চারটি হক বা অধিকার রয়েছে: কেউ দাওয়াত করলে তা কবুল করবে, হাঁচি দিলে তার জবাব দেবে অসুস্থ হলে তার সেবা করবে, এবং মৃত্যুবরণ করলে তার জানাযায় অংশগ্রহণ করবে।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب في الرباعيات المبدوءة بعدد
عن أبي مسعود (8) عن النبي صلى الله عليه وسلم قال للمسلم على المسلم أربع خلال أن يجيبه إذا دعاه ويشتمه إذا عطس وإذا مرض أن يعوده وإذا مات أن يشهده
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭১
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৭১. সাহাল ইবন মু'য়ায (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্য কাউকে দান করে, আল্লাহর উদ্দেশ্য কাউকে দান করা থেকে বিরত থাকে, আল্লাহর উদ্দেশ্য কাউকে ভালবাসে, আল্লাহর উদ্দেশ্য কাউকে অপছন্দ করে এবং আল্লাহর উদ্দেশ্য বিবাহ করে, সে ঈমানের পরিপূর্ণতা অর্জন করে।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في الخماسيات
عن سهل بن معاذ عن أبيه (9) عن رسول الله صلى الله عليه وسلم انه قال من أعطى لله تعالى ومنع لله تعالى وأحب لله تعالى وأبغض لله تعالى وأنكح لله تعالى فقد استكمل ايمانه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭২
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৭২. আবু যর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ছয় দিন ধরে বললেন, (অর্থাৎ আবু যর (রা) রাসূলের নিকট বারবার তাকে অসিয়ত করার আহবান করেছিলেন, তিনি হিকমত স্বরূপ দীর্ঘায়িত করলেন) তিনি বললেন, হে আবু যর, আমি তোমাকে পরে যা বলবো তা বুঝে নিও, সপ্তম দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি তোমাকে প্রকাশ্য ও গোপনে আল্লাহকে ভয় করার অসিয়ত করছি। যখন খারাপ কাজ কর, সাথে সাথে ভাল কাজ করার চেষ্টা কর, কেননা ভাল কাজ খারাপ কাজকে মিটিয়ে দেয়: কখনও কারো কাছে কিছু চাবে না, যদি তোমার চাবুক ও পড়ে যায় তবুও না, কারো আমানত রাখবে না। (অন্য বর্ণনায়: আমানত রক্ষা করতে যদি অপারগ হও।) আর দু'জনের মাঝে বিচার করবে না। (আবু যর দুর্বল হওয়ার কারণে তিনি একথা বলেছেন।)
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في الخماسيات
عن أبي ذرأن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ستة أيام (1) ثم اعقل يا أبا ذر ما أقول لك بعد فلما كان اليوم السابع قال اوصيك بتقوى الله في سر أمرك وعلانيته وإذا أسأت فأحسن (2) ولا تسألن أحدا شيئا وإن سقط سوطك (3) ولا تقبض امانة (وفي رواية ولا تووين أمانة) (4) ولا تقض بين اثنين
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭৩
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৭৩. আবু মরিয়ম (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি আবু হুরায়রা (রা) কে বলতে শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, শাসন ক্ষমতা কুরায়শদের মাঝে, বিচার ব্যবস্থা আনসারদের হাতে, (আর আনসারদেরকে নির্দিষ্ট করার অর্থ- তাদের অনেক ফকীহ ছিলেন, যেমন মু'য়ায ইবনে যাবাল, যায়েদ ইব্‌ন ছাবিত।) আযান দেয়া হাবশীদের হাতে, (তাদের মধ্যে বেলাল (রা) ছিলেন মুয়াযযীন), আর দৃঢ় ঈমান ইয়ামনীদের হাতে, (তাদের দৃঢ় ঈমানের কারণে।) যায়েদ বলেন, আমানত ইয়ামেনের 'আযদের' হাতে; (এটি একটি গোত্রের নাম।)
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في الخماسيات
عن أبي مريم (6) أنه سمع ابا هريرة رضي الله عنه يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الملك في قريش والقضاء في الأنصار (7) والأذان في الحبشة (8) والشرعة في اليمن وقال زيد (9) مرة يحفظه والأمانة في الأزد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭৪
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: পঞ্চম শব্দের সংখ্যা দিয়ে যা আরম্ভ করা হয়েছে
৭৪. আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্য থেকে কে পাঁচটি স্বভাব গ্রহণ করবে, এরপর সেগুলো অনুযায়ী আমল করবে অথবা যে এগুলো অনুযায়ী আমল করবে, তাকে সেগুলো শিখাবে? আমি বললাম, আমি, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! তখন তিনি আমার হাত ধরে সেগুলো গণনা করে বললেন, আল্লাহর হারামকৃত বস্তুকে ভয় করবে, তাহলে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে ইবাদতগুযার বান্দা হতে পারবে, আল্লাহ্ তোমার ভাগ্যে যা লিখে রেখেছেন, তার উপর সন্তুষ্ট থাকবে, তাহলে সবচেয়ে ধনী হতে পারবে; তুমি তোমার প্রতিবেশীর সাথে উত্তম আচরণ করবে, তাহলে মুমিন হতে পারবে, তুমি তোমার নিজের জন্য যে জিনিস পছন্দ করবে, তা মানুষের জন্যও পছন্দ করবে, তাহলে প্রকৃত মুসলমান হতে পারবে; অধিক হাসবে না, কেননা, অধিক হাসলে অন্তর মরে যায়।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في الخماسيات المبدوءة بعدد
عن أبي هريرة (10) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من يأخذ من أمتي خمس خصال فيعمل بهن أو يعلمهن من يعمل بهن؟ قال قلت أنا يا رسول الله قال فأخذ بيدي فعدهن فيها ثم قال اتق المحارم (11) تكن أعبد الناس وأرض بما قسم الله لك تكن أغنى الناس وأحسن إلى جارك تكن مؤمنا وأحب للناس ما تحب لنفسك تكن مسلما ولا تكثر الضحك فإن كثرة الضحك تميت القلب
হাদীস নং: ৭৫
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: পঞ্চম শব্দের সংখ্যা দিয়ে যা আরম্ভ করা হয়েছে
৭৫. আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, এক মুসলমানের প্রতি অপর মুসলমানের পাঁচটি হক আছে: সালামের জবাব দেওয়া, দাওয়াত কবুল করা, জানাযায় উপস্থিত হওয়া, অসুস্থকে দেখতে যাওয়া, হাঁচিদাতার 'আলহামদু লিল্লাহ' বলার জবাবে 'রহমতের জন্য দু'আ করা'।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في الخماسيات المبدوءة بعدد
وعنه أيضا (12) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم خمس من حق المسلم على المسلم أد التحية واجابة الدعوة وشهود الجنازة وعيادة المريض وتشميت العاطس إذا حمد الله عز وجل
হাদীস নং: ৭৬
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: পঞ্চম শব্দের সংখ্যা দিয়ে যা আরম্ভ করা হয়েছে
৭৬. রাসূল (ﷺ)-এর আযাদকৃত গোলাম সূত্রে আবু সাল্লাম (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূল (ﷺ) বলেন, চমৎকার পাঁচটি কাজ মিযানের পাল্লা ভারী করে দেবে, (অন্য বর্ণনায় তখন জনৈক ব্যক্তি বললেন, সেগুলো কি হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)।) তিনি বললেন, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবর, সুবহানাল্লাহ, আল- হামদুলিল্লাহ, আর এমন সন্তান যার মৃত্যুতে পিতা সওয়াব আশা করে। তিনি আরো বললেন, চমৎকার ঐ পাঁচটি জিনিষ যার প্রতি যে কোন ব্যক্তি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস রেখে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে, (তা হল) আল্লাহ্ ও কিয়ামতের প্রতি বিশ্বাস, জান্নাত ও জাহান্নামের প্রতি বিশ্বাস, মৃত্যুর পরে পুনরুত্থানের প্রতি বিশ্বাস এবং হিসাবের প্রতি বিশ্বাস।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في الخماسيات المبدوءة بعدد
عن أبي سلام (1) عن مولى لرسول الله صلى الله عليه وسلم أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال بخ بخ (2) لخمس ما أثقلهن في الميزان (وفي رواية قال رجل ما هن يا رسول الله قال) لا إله إلا الله والله أكبر وسبحان الله والحمدلله والولد الصالح يتوفى فيحتسبه والده قال بخ بخ لخمس من لقى الله عز وجل مستيقنا بهن دخل الجنة يؤمن بالله واليوم الآخر وبالجنة والنار وبالبعث بعد الموت والحساب
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭৭
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: পঞ্চম শব্দের সংখ্যা দিয়ে যা আরম্ভ করা হয়েছে
৭৭. মু'য়ায ইবন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের নিকট থেকে পাঁচটি জিনিষের ওয়াদা নেন, যে ব্যক্তি তার একটি পালন করবে, সে আল্লাহর নিকট পুরস্কারের নিশ্চয়তা পাবে। যে ব্যক্তি রোগীর সেবা করে, অথবা জানাযার সাথে বের হয়, অথবা আল্লাহর পথে যুদ্ধে বের হয়, অথবা ইমামকে সত্য পথে সাহায্য ও সম্মান করার ইচ্ছে নিয়ে তার নিকট গমন করো, অথবা ঘরে বসে থাকে, ফলে মানুষ তার অনিষ্ট থেকে রক্ষা পায়, এবং মানুষের অনিষ্ট থেকেও সে রক্ষা পায়।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في الخماسيات المبدوءة بعدد
عن معاذ (3) قال عهد الينا رسول الله صلى الله عليه وسلم في خمس من فعل منهن واحدة كان ضامنا (4) على الله من عاد مريضا أو خرج مع جنازة أو خرج غازيا في سبيل الله أو دخل على امام يريد بذلك تعزيره (5) وتوقيره أو قعد في بيت فيسلم الناس منه (6) ويسلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭৮
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: পঞ্চম শব্দের সংখ্যা দিয়ে যা আরম্ভ করা হয়েছে
৭৮. আবূ যর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার বন্ধু মুহাম্মদ (ﷺ) আমাকে পাঁচটি কাজের ওসীয়ত করেছেন। আমি যেন মিসকীনদের প্রতি দয়া করি এবং তাদের সাথে উঠাবসা করি, আমি যেন আমার নিচে অবস্থানকারী লোকদের প্রতি তাকাই এবং উপরে অবস্থানকারী লোকদের প্রতি না তাকাই; আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখি, যদিও তারা এড়িয়ে চলে; সত্য কথা বলি, যদিও সেটা তিক্ত হয়। আর আমি যেন 'লা হাওলা অলা-কুয়্যাতা ইল্লাহ বিল্লাহ’ এর যিকির করি।
বর্ণনাকারী গুফরার দাস বলেন, আমার জানা মতে পাঁচটির মধ্যে 'লা-হাওলা অলা কুয়্যাতা' এটাই শুধু বাকী রয়েছে।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في الخماسيات المبدوءة بعدد
عن أبي ذر (7) عن النبي صلى الله عليه وسلم قال أوصاني حيي بخمس أرحم المساكين وأجالسهم وانظر إلى من هو تحتي ولا أنظر إلى من هو فوقي وأن أصل الرحم وان ادبرت وأن اقول بالحق وان كان مرا وان أقول لا حول ولا قوة إلا بالله يقول مولى غفرة لا أعلم بقى فينا من الخمس إلا هذه قولنا لا حول ولا قوة إلا بالله قال أبو عبد الرحمن (8) وسمعته انا من الحكم بن موسى وقال عن محمد بن كعب عن أبي ذر عن النبي صلى الله عليه وسلم مثله
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭৯
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: পঞ্চম শব্দের সংখ্যা দিয়ে যা আরম্ভ করা হয়েছে
৭৯. হারিছ আল আশ'য়ারী (রা) থেকে বর্ণিত। আল্লাহর নবী (ﷺ) বলেন, মহান আল্লাহ্ ইয়াহইয়া ইব্‌ন যাকারিয়াকে পাঁচটি কালিমা অনুযায়ী আমল করার নির্দেশ দেন, এবং আরো নির্দেশ দেন যেন তিনি বনি ইসরাঈলকেও সে পাঁচটি কালিমা অনুযায়ী আমল করার নির্দেশ দেন। তিনি সেই কাজে কিছুটা দেরি করছিলেন তখন ঈসা (ﷺ) তাকে বললেন নিশ্চয়ই তোমাকে পাঁচটি কালিমা অনুযায়ী আমল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন তুমি বনী ইসরাইলকে সেই অনুযায়ী আমল করার নির্দেশ দাও। হয় তুমি সেগুলো তাদের নিকট পৌঁছাবে, না হয় আমি সেগুলো তাদের নিকট পৌঁছাবো। তখন ইয়াহ্ইয়া বললেন হে ভ্রাতা, যদি আপনি এই বিষয়ে আমার চেয়ে অগ্রগামী হয়ে যান তাহলে আমি ভয় করছি পূর্ববর্তীদের মত আমাকে শাস্তি দেওয়া হবে। অথবা আমাকে দাবিয়ে দেওয়া হবে। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর ইয়াহইয়া বনি ইসরাঈলকে বায়তুল মাকদিসে একত্রিত করলেন, তাতে মসজিদ পূর্ণ হয়ে গেল, এরপর তিনি মসজিদের উঁচু স্থানে বসে আল্লাহর প্রশংসা ও গুণকীর্তন করলেন। তারপর বললেন, আল্লাহ্ আমাকে পাঁচটি কালিমার নির্দেশ দিয়েছেন আমি যেন সেগুলো আমল করি এবং তোমাদেরকেও সেগুলো আমল করার নির্দেশ দেই। তার মধ্যে প্রথম নির্দেশ হলো, তোমরা আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কোন জিনিষের শিরক করবে না। নিশ্চয়ই তার (শিরকের) উদাহরণ কোন এক ব্যক্তির মত সে তার খাঁটি মুদ্রা অথবা স্বর্ণ দিয়ে দাস খরিদ করলো, তার কাজ করার জন্য অথচ সে তার মনিবের কাজ না করে অন্যের কাজ করলো। তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে, যে তার দাসের উপর সন্তুষ্ট থাকবে? আল্লাহ্ তা'আলা তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, এবং তোমাদের রিযিক দিয়েছেন। সুতরাং তোমরা তাঁরই ইবাদত করবে এবং তার সাথে কোন কিছুর শরিক করবে না। তিনি তোমাদের সালাত আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। মহান আল্লাহ্ তার বান্দার চেহারার প্রতি তাঁর নিজের চেহারা নিবিষ্ট করেন, যতক্ষণ বান্দা এদিক সেদিক না তাকায়। সুতরাং তোমরা যখন নামায আদায় করবে তখন এদিক-সেদিক তাকাবে না। আর তোমাদের রোযা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যে ব্যক্তি রোযা রাখে, তার উদাহরণ ঐ ব্যক্তির মত, যার সাথে মিশকের একটি থলি ছিল, ফলে দলের সকল ব্যক্তি মিশকের মুগন্ধি পেলো। রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশকের সুগন্ধি থেকেও উৎকৃষ্ট, আর তোমাদের সদকা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তার উদাহরণ ঐ ব্যক্তির মত, যাকে শত্রু বন্দী করে তার হাত ঘাড়ের সাথে বাঁধলো এবং তাকে তাদের নিকটে নিয়ে গেল বেত মারার জন্য। তখন সে বললো, তোমরা যদি আগ্রহী হও আমি নিজের বিনিময়ে তোমাদেরকে ফিদয়া দিব। তারপর সে নিজেকে বাঁচানোর জন্য অল্প বেশি যা পারল তাই দিয়ে ফিদয়া আদায় করল। এভাবে সে ফিদয়া দিয়ে নিজেকে মুক্ত করলো। আমি তোমাদেরকে বেশী বেশী আল্লাহর যিকির করার নির্দেশ দিচ্ছি। তার উদাহরণ ঐ ব্যক্তির মত, যাকে ক্ষতি করার জন্য শত্রু তাকে খুজতে থাকে আর সে এক সুরক্ষিত স্থানে অবস্থান গ্রহণ করে। বাস্তবে বান্দা যখন আল্লাহকে স্মরণ করতে থাকে, তখন সে শয়তানের প্ররোচনা থেকে নিরাপদ থাকে, বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমি ও তোমাদেরকে সে পাঁচটি কাজের নির্দেশ দিচ্ছি, আল্লাহ আমাকে যে পাঁচটি কাজের নির্দেশ দিয়েছেন। তা হলো, (১) তোমরা জামায়াত বা দলবদ্ধ হবে। (২) নেতার আদেশ মন দিয়ে শুনবে। (৩) তার আদেশ মেনে চলবে, (৪) হিজরত করবে, (৫) আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। কেননা, যে ব্যক্তি জামায়াত ত্যাগ করে এক বিঘত পরিমাণও দুরে সরে গেল, সে যেন নিজের কাঁধ থেকে ইসলামের রশি বা বাঁধন খুলে ফেললো, যতক্ষণ না সে জামায়াতে ফিরে আসবে। আর যে ব্যক্তি জাহেলিয়াতের নিয়ম-নীতির দিকে লোকদের ডাকবে, সে জাহান্নামী হবে। তারা বললো, হে আল্লাহর রাসূল। যদি সে রোযা রাখে ও নামায পড়ে? তিনি বললেন, যদিও সে রোযা রাখে, নামায পড়ে, এবং নিজেকে মুসলমান বলে দাবী করে। মুসলমানদেরকে ডাক আল্লাহ্ তাদেরকে মুসলমান মুমিন ও আল্লাহর বান্দাহ হিসাবে যেভাবে নাম রেখেছেন।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في الخماسيات المبدوءة بعدد
عن الحارث الأشعري (1) أن نبي الله صلى الله عليه وسلم قال إن الله عز وجل أمر يحيى بن زكريا (2) بخمس كلمات يعمل بهن وأن يأمر بني اسرائيل ان يعملوا بهن فكاد ان يبطئ فقال له عيسى انك قد أمرت بخمس كلمات أن تعمل بهن وأن تأمر بني اسرائيل أن يعملوا بهن فإما إن تبلغهن وإما ابلغهن فقال له يا أخي اني اخشى ان سبقتني ان اعذب أو يخسف بي قال فجمع يحيى بنو اسرائيل في بيت المقدس حتى امتلأ المسجد وقعد على الشرف (3) فحمد الله واثنى عليه ثم قال ان الله عز وجل امرني بخمس كلمات ان أعمل بهن وآمركم أن تعملوا بهن أولهن أن تعبدوا الله ولا تشركوا به شيئا فإن مثل ذلك مثل رجل اشترى عبدا من خالص ماله بورق أو ذهب فجعل يعمل ويؤدي عمله إلى غير سيده فايكم يسره ان يكون عبده كذلك وان الله عز وجل خلقكم ورزقكم فاعبدوه ولا تشركوا به شيئا وآمركم بالصلاة فإن الله عز وجل ينصب (4) وجهه لوجه عبده مالم يلتفت فإذا صليتم فلا تلتفتوا وآمركم بالصيام فإم مثل ذلك كمثل رجل معه صرة من مسك في عصابة (5) كلهم يجد ريح المسك وإن خلوف (6) فم الصائم أطيب عند الله من ريح المسك وآمركم بالصدقة فإن مثل ذلك كمثل رجل أسره العدو فشدوا يديه إلى عنقه وقربوه ليضربوا عنقه فقال هل لكم أن افتدي نفسي منكم فجعل يفتدى نفسه منهم بالقليل والكثير حتى فك نفسه وآمركم بذكر الله كثيرا وان مثل ذلك كمثل رجل طلبه العدو سراعا في أثره فإني حصنا حصينا (7) فتحصن فيه وان العبد أحصن ما يكون من الشيطان إذا كان في ذكر الله عز وجل قال وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم انا آمركم بخمس الله أمرني بهن بالجماعة وبالسمع والطاعة والهجرة والجهاد في سبيل الله فإنه من خرج من الجماعة قيد (8) شبر فقد خلع ربقة (1) الاسلام من عنقه إلى أن يرجع ومن دعا بدعوى الجاهلية (2) فهو من جثا (3) جهنم قالوا يا رسول الله صلى وان صام وصلى؟ قال وان صام وصلى وزعم أنه مسلم فادعوا المسلمين (4) بما سماهم المسلمين المؤمنين عباد الله عز وجل
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮০
শিষ্টাচার, নসীহত, হিকমত এবং কম কথায় অধিক অর্থ পূর্ণ বিষয়ের বর্ণনায় উৎসাহ প্রদান অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ছয়টি বিষয় সম্পর্কে যা এসেছে
৮০. ইয়াদ ইব্‌ন গুতাইফ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ (রা) এর নিকট তার অসুস্থ অবস্থায় তাকে দেখার জন্য প্রবেশ করলাম। তখন তাঁর স্ত্রী তুহাইফাহ তার মাথার কাছে বসা ছিল। আমরা তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম, আবু 'উবায়দা কিভাবে রাত যাপন করেছেন? সে উত্তর দিল, সে ছওয়াবের সাথে রাত্রি যাপন করেছে। তখন আবূ 'উবায়দা (রা) বললেন, না আমি ছওয়াবের সাথে রাত কাটাইনি, এতক্ষণ তিনি দেয়ালের দিকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছিলেন, তারপর তিনি লোকদের দিকে ফিরে বললেন, আমি যা বলেছি সে ব্যাপারে তোমরা আমাকে প্রশ্ন করবে না? তারা বললো, আপনি যা বলেছেন আমরা তাতে অবাক হইনি যে আমরা সে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবো। তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে উত্তম দান করবে সে তার বিনিময়ে সাতশত গুণ ছাওয়াব পাবে, যে ব্যক্তি নিজের ও তার পরিবারের জন্য খরচ করবে, অথবা কোন রোগীর সেবা করবে অথবা কারও কষ্ট দুর করে দেবে, সে দশগুণ পরিমাণ নেকী পাবে। রোযা ঢালস্বরূপ যতক্ষণ না তা ছিদ্র করা হয়, যে ব্যক্তিকে আল্লাহ্ শারিরীকভাবে পরীক্ষা করেন, তাতে তার গুনাহ ও ভুল-ত্রুটি মিটিয়ে দেয়া হয়।
كتاب جامع للأدب والمواعظ والحكم وجوامع الكلم في الترغيبات
باب ما جاء في السداسيات
عن عياض بن غطيف (5) قال دخلنا على أبي عبيدة بن الجراح نعوده من شكوى اصابه وامرأته تحيفه قاعدة عند رأسه قلت كيف بات أبو عبيدة؟ قالت والله لقد بات بأجر فقال أبو عبيدة ما بت بأجر وكان مقبلا بوجهه على الحائط فأقبل على القوم بوجهه فقال ألا تسألوني عما قلت؟ قالوا ما أعجبنا ما قلت فنسألك عنه قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول من أنفق نفقه فاضلة في سبيل الله فسبعمائة ومن أنفق على نفسه وأهله أو عاد مريضا أو ماز (6) أذى فالحسنة بعشر أمثالها (والصوم جنة مالم يخرقها) ومن ابتلاه الله ببلاء في جسده فهو له حطة
tahqiq

তাহকীক: