মা'আরিফুল হাদীস
معارف الحديث
তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭০ টি
হাদীস নং: ৪১
তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ উযূর নিয়ম
৪১. হযরত ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি উযূর অঙ্গসমূহ একবার করে ধৌত করে তার জন্য তা অবশ্য করণীয় (এটাই নিম্নতম পর্যায়, এটুকু ছাড়া উযূই হয়না)। আর যে ব্যক্তি দু'বার করে ধৌত করে তার জন্য রয়েছে (একবার করে ধৌতকারীর তুলনায়) দ্বিগুণ সাওয়াব। যে ব্যক্তি তিনবার করে উযূর অঙ্গসমূহ ধৌত করে (এটাই উত্তম ও সুন্নাত তরীকা) এটাই আমার এবং আমার পূর্ববর্তী নবী রাসূলগণের উযূ। (আমি উযূর অঙ্গসমূহ তিনবার করে ধৌত করি, পূর্ববর্তী নবী-রাসূলগণও তাই করতেন। (আহমাদ)
کتاب الطہارت
عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « مَنْ تَوَضَّأَ وَاحِدَةً فَتِلْكَ وَظِيفَةُ الْوُضُوءِ الَّتِي لَا بُدَّ مِنْهَا ، وَمَنْ تَوَضَّأَ اثْنَتَيْنِ فَلَهُ كِفْلَانِ ، وَمَنْ تَوَضَّأَ ثَلَاثًا فَذَلِكَ وُضُوئِي ، وَوُضُوءُ الْأَنْبِيَاءِ قَبْلِي » (رواه احمد)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪২
তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ উযূর সুন্নাত ও আদবসমূহ
উযূতে চার ফরয- এর বিবরণ সূরা মায়িদায় উল্লিখিত আয়াতে রয়েছে, যাতে সালাতের প্রথম উযূর স্পষ্ট নির্দেশ এসেছে। উযূর চারটি ফরয হল এই, ১. মুখমণ্ডল ধৌত করা, ২. উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করা ৩. মাথা মাসেহ করা এবং ৪. উভয় পায়ের গিরা পর্যন্ত ধৌত করা। এ চারটি ফরয ব্যতীত রাসূলুল্লাহ ﷺ উযূতে যে সকল কাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন এবং অনুপ্রাণিত করেছেন তা-ই হচ্ছে মূলতঃ উযূর সুন্নাত ও আদব। যার দ্বারা উযূর বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ পূর্ণতা অর্জিত হয়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে যে, মুখমণ্ডল, হাত-পা একবারের পরিবর্তে তিনবার করে ঘষেঘষে ধোয়া, দাড়ি এবং হাত পায়ের আঙ্গুলের মাঝে আঙ্গুল প্রবিষ্ট করিয়ে খিলাল করা, পরিহিত আংটি নাড়াচাড়া করা যাতে পানি পৌছার ব্যাপারে কোন প্রকার সন্দেহ না থাকে; এমনিভাবে কুলি করা, উযূর শুরুতে বিসমিল্লাহ পাঠ করা, ভাল করে নাকে পানি দিয়ে পরিষ্কার করা, কানের ভিতর ও বাইরের অংশ মাসেহ করা, উযূ শেষে কালেমা শাহাদাত পাঠ করা এবং উযূ শেষে উযূর দু'আ পাঠ করা, এসবই উযূর সুন্নাত এবং আদব বা মুস্তাহাব বিষয়। এগুলোর মাধ্যমেই উযূ পরিপূর্ণতা লাভ করে। এ পর্যায়ে কিছু সংখ্যক হাদীস পাঠ করা যাক।
উযূতে চার ফরয- এর বিবরণ সূরা মায়িদায় উল্লিখিত আয়াতে রয়েছে, যাতে সালাতের প্রথম উযূর স্পষ্ট নির্দেশ এসেছে। উযূর চারটি ফরয হল এই, ১. মুখমণ্ডল ধৌত করা, ২. উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করা ৩. মাথা মাসেহ করা এবং ৪. উভয় পায়ের গিরা পর্যন্ত ধৌত করা। এ চারটি ফরয ব্যতীত রাসূলুল্লাহ ﷺ উযূতে যে সকল কাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন এবং অনুপ্রাণিত করেছেন তা-ই হচ্ছে মূলতঃ উযূর সুন্নাত ও আদব। যার দ্বারা উযূর বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ পূর্ণতা অর্জিত হয়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে যে, মুখমণ্ডল, হাত-পা একবারের পরিবর্তে তিনবার করে ঘষেঘষে ধোয়া, দাড়ি এবং হাত পায়ের আঙ্গুলের মাঝে আঙ্গুল প্রবিষ্ট করিয়ে খিলাল করা, পরিহিত আংটি নাড়াচাড়া করা যাতে পানি পৌছার ব্যাপারে কোন প্রকার সন্দেহ না থাকে; এমনিভাবে কুলি করা, উযূর শুরুতে বিসমিল্লাহ পাঠ করা, ভাল করে নাকে পানি দিয়ে পরিষ্কার করা, কানের ভিতর ও বাইরের অংশ মাসেহ করা, উযূ শেষে কালেমা শাহাদাত পাঠ করা এবং উযূ শেষে উযূর দু'আ পাঠ করা, এসবই উযূর সুন্নাত এবং আদব বা মুস্তাহাব বিষয়। এগুলোর মাধ্যমেই উযূ পরিপূর্ণতা লাভ করে। এ পর্যায়ে কিছু সংখ্যক হাদীস পাঠ করা যাক।
৪২. সাঈদ ইবনে যায়িদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি উযূকালে আল্লাহর নাম নেবে না তার উযূ হবেনা। (তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ)
کتاب الطہارت
عَنْ سعيد بن زيد رَضِي الله عَنهُ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « لَا وُضُوءَ لِمَنْ لَمْ يَذْكُرِ اسْمَ اللَّهِ تَعَالَى عَلَيْهِ » (رواه الترمذى وابن ماجه)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৩
তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ উযূর সুন্নাত ও আদবসমূহ
৪৩. হযরত আবূ হুরায়রা, ইবনে মাসউদ ও ইবনে উমার (রা) সূত্রে নবী ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: যে ব্যক্তি উযূ করার সময় 'বিসমিল্লাহ' পাঠ করল সে তার সর্বাঙ্গ পবিত্র করে নিল। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি উযূ করল অথচ বিসমিল্লাহ পাঠ করল না সে কেবল তার উযূর অঙ্গ সমূহ-ই পবিত্র করে নিল। (দারু কুতনী)
کتاب الطہارت
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ مَسْعُوْدٍ وَابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : " مَنْ تَوَضَّأَ وَذَكَرَ اسْمَ اللهِ فَاِنَّهُ يُطَهِّرُ جَسَدَهُ كُلَّهُ وَمَنْ تَوَضَّأَ وَلَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللهِ لَمْ يُطَهِّرْ إِلَّا مَوْضِعَ الْوُضُوْءِ". (رواه الدار القطنى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪
তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ উযূর সুন্নাত ও আদবসমূহ
৪৪. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: হে আবু হুরায়রা! উযূকালে তুমি 'বিসমিল্লাহ ও আল্-হামদু লিল্লাহ্' পাঠ করবে। এরূপ উযূ যতক্ষণ থাকবে ততক্ষণ আমল লেখক ফিরিশতা তোমার আমলনামায় সাওয়াব লিখতে থাকবে। (তারারানীর মু'জামুস সাগীর)
کتاب الطہارت
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " يَا أَبَا هُرَيْرَةَ , إِذَا تَوَضَّأْتَ فَقُلْ : بِسْمِ اللَّهِ , وَالْحَمْدُ لِلَّهِ؛ فَإِنَّ حَفَظَتَكَ لَا تَبْرَحُ تَكْتُبُ لَكَ الْحَسَنَاتِ حَتَّى تُحْدِثَ مِنْ ذَلِكَ الْوُضُوءِ ". (رواه الطبرانى فى الصغير)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৫
তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ উযূর সুন্নাত ও আদবসমূহ
৪৫. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমারা যখন পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধান করবে এবং উযূ করবে তখন ডান দিক থেকে শুরু করবে। (আহমাদ ও আবু দাউদ)
کتاب الطہارت
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « إِذَا تَوَضَّأْتُمْ فَابْدَءُوا بِمَيَامِنِكُمْ » (رواه احمد وابوداؤد)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬
তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ উযূর সুন্নাত ও আদবসমূহ
৪৬. লাকীত ইবনে সাবিরাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে উযূ সম্পর্কে অবহিত করুন (যেগুলোর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে)। তিনি বললেনঃ (প্রথমতঃ গোটা) উযূ উত্তমরূপে করবে। (দ্বিতীয়ত) আঙ্গুলসমূহের মধ্যে খিলাল করবে এবং (তৃতীয়ত) সিয়াম পালনকারী না হলে নাকের মধ্যে ভালভাবে পানি পৌঁছিয়ে তা পরিষ্কার করবে। (আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসায়ী)
کتاب الطہارت
عَنْ لَقِيطِ بْنِ صَبْرَةَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ ، أَخْبِرْنِي عَنِ الوُضُوءِ؟ قَالَ : أَسْبِغِ الوُضُوءَ ، وَخَلِّلْ بَيْنَ الأَصَابِعِ ، وَبَالِغْ فِي الاِسْتِنْشَاقِ ، إِلاَّ أَنْ تَكُونَ صَائِمًا. (رواه ابوداؤد والترمذى والنسائى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৭
তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ উযূর সুন্নাত ও আদবসমূহ
৪৭. হযরত মুসতাওরিদ ইবনে শাদ্দাদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উযূ করার সময় আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে তাঁর হাতের ছোট আঙ্গুল দ্বারা দু'পায়ের আঙ্গুলসমূহের মধ্যেকার স্থান ঘষতে দেখেছি। (তিরমিযী, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ)
کتاب الطہارت
عَنِ الْمُسْتَوْرِدِ بْنِ شَدَّادٍ قَالَ : رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا تَوَضَّأَ دَلَكَ أَصَابِعَ رِجْلَيْهِ بِخِنْصَرِهِ. (رواه الترمذى وابوداؤد وابن ماجه)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৮
তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ উযূর সুন্নাত ও আদবসমূহ
৪৮. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন উযূ করতেন তখন এক আঁজলা পানি নিতেন। তারপর তা চিবুকের নিচ দিয়ে দাড়ির ভিতরের অংশে পৌঁছাতেন এবং তা দ্বারা দাড়ি খিলাল (আঙ্গুল ভিতরে ঢুকিয়ে বের) করতেন। এরপর তিনি বলতেন: আমার প্রতিপালক আমাকে এরূপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। (আবূ দাউদ)
کتاب الطہارت
عَنْ أَنَسٍ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا تَوَضَّأَ ، أَخَذَ كَفًّا مِنْ مَاءٍ فَأَدْخَلَهُ تَحْتَ حَنَكِهِ فَخَلَّلَ بِهِ لِحْيَتَهُ » ، وَقَالَ : هَكَذَا أَمَرَنِي رَبِّي. (رواه ابوداؤد)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৯
তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ উযূর সুন্নাত ও আদবসমূহ
৪৯. হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। নবী কারীম ﷺ উযূতে মাসেহ করেছেন মাথা এবং দুই কান, দুই কানের ভেতরের দিক দুই শাহাদত আঙ্গুল (তর্জনী) দ্বারা এবং বাইরের দিক বুড়ো আঙ্গুল দ্বারা। (নাসায়ী)
کتاب الطہارت
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَسَحَ بِرَأْسِهِ وَأُذُنَيْهِ بَاطِنِهِمَا بِالسَّبَّاحَتَيْنِ وَظَاهِرِهِمَا بَإِبْهَامَيْهِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫০
তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ উযূর সুন্নাত ও আদবসমূহ
৫০. হযরত রুবাই বিনত মু'আওয়িয (রা) থেকে যে, নবী কারীম ﷺ উযূ করার সময় দু'টি আঙ্গুল তাঁর দু'কানের ভেতরে ঢুকাতেন। (আবূ দাউদ, আহমাদ ও ইবনে মাজাহ)
کتاب الطہارت
عَنِ الرُّبَيِّعِ بِنْتِ مُعَوِّذِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ « تَوَضَّأَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَأَدْخَلَ إِصْبَعَيْهِ فِي جُحْرَيْ أُذُنَيْهِ » (رواه ابوداؤد واحمد وابن ماجه)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫১
তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ উযূর সুন্নাত ও আদবসমূহ
৫১. হযরত আবূ রাফি (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন সালাতের জন্য উযূ করতেন তখন তাঁর আঙ্গুলে পরিহিত আংটি নাড়াচাড়া করতেন। (দারু কুতনী ও ইবনে মাজাহ)
کتاب الطہارت
بْنِ أَبِي رَافِعٍ قَالَ : كَانَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ « إِذَا تَوَضَّأَ ، حَرَّكَ خَاتَمَهُ » (رواه الدار القطنى وابن ماجه)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫২
তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ উযূতে নিষ্প্রয়োজনে অতিরিক্ত পানি ব্যবহার অনুচিত
৫২. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আমর ইবনুল আ'স (রা) থেকে বর্ণিত যে, একদিন নবী কারীম ﷺ সা'দ (রা) এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন আর সা'দ (রা) তখন উযূ করছিলেন। তিনি তাঁকে বললেনঃ হে সা'দ! এরূপ অপচয় করছ কেন? তিনি (সা'দ) বললেন: উযূতেও কি অপচয় আছে? তিনি বললেন: অবশ্যই আছে, যদিও তুমি প্রবহমান নদীর তীরে অবস্থান করে থাক। (আহমাদ ও ইব্নে মাজাহ)
کتاب الطہارت
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاص ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ بِسَعْدٍ وَهُوَ يَتَوَضَّأُ ، فَقَالَ : " مَا هَذَا السَّرَفُ يَا سَعْدُ؟ " قَالَ : أَفِي الْوُضُوءِ سَرَفٌ؟ قَالَ : " نَعَمْ ، وَإِنْ كُنْتَ عَلَى نَهْرٍ جَارٍ ". (رواه احمد وابن ماجه)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৩
তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ উযূর পর তোয়ালে বা রুমাল ব্যবহার করা
৫৩. হযরত মু'আয ইবনে জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে দেখেছি যে, তিনি উযূ করে তাঁর একটি কাপড়ের কিনারা দিয়ে মুখমণ্ডল মুছে ফেলতেন। (তিরমিযী)
کتاب الطہارت
عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ ، قَالَ : رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إِذَا تَوَضَّأَ مَسَحَ وَجْهَهُ بِطَرَفِ ثَوْبِهِ. (رواه الترمذى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪
তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ প্রত্যেক উযূ শেষে আল্লাহর কিছু যিকর ও সালাত আদায় করা
১৭নং ক্রমিকে ইমাম মুসলিম ও তিরমিযী (র) সূত্রে ইবনে উমার (রা) বর্ণিত হাদীসের উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে উযূ শেষে কালেমা শাহাদাত ও দু'আ মাসূরা পাঠ করার বিবরণী রয়েছে। সেখানে- اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنَ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنِي مِنَ الْمُتَطَهِّرِينَ "হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে তাওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত কর এবং আমাকে পবিত্রতা অবলম্বনকারীদের মধ্যে শামিল কর" এর ফযীলত ও বরকত সম্পর্কীয় বিষয় আলোচিত হয়েছে। উসমান (রা) সূত্রে ৩৬ নং ক্রমিকে বুখারী ও মুসলিমের বরাতে একই বিষয়ে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। সেখানে উযূ করার পর একাগ্রতার সাথে দু'রাক'আত সালাত আদায়ের ফলে জীবনের (সাগীরা) গুনাহসমূহ বিমোচিত হওয়ার সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ক আরেকটি হাদীস পাঠ করা যাক:
১৭নং ক্রমিকে ইমাম মুসলিম ও তিরমিযী (র) সূত্রে ইবনে উমার (রা) বর্ণিত হাদীসের উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে উযূ শেষে কালেমা শাহাদাত ও দু'আ মাসূরা পাঠ করার বিবরণী রয়েছে। সেখানে- اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنَ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنِي مِنَ الْمُتَطَهِّرِينَ "হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে তাওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত কর এবং আমাকে পবিত্রতা অবলম্বনকারীদের মধ্যে শামিল কর" এর ফযীলত ও বরকত সম্পর্কীয় বিষয় আলোচিত হয়েছে। উসমান (রা) সূত্রে ৩৬ নং ক্রমিকে বুখারী ও মুসলিমের বরাতে একই বিষয়ে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। সেখানে উযূ করার পর একাগ্রতার সাথে দু'রাক'আত সালাত আদায়ের ফলে জীবনের (সাগীরা) গুনাহসমূহ বিমোচিত হওয়ার সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ক আরেকটি হাদীস পাঠ করা যাক:
৫৪. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ ফজরের সালাতের সময় বিলাল (রা) কে বললেন: ইসলাম গ্রহণের পর যে আমল দ্বারা তুমি জান্নাতের সব চাইতে বেশি আশা কর, সে বিষয় আমাকে অবহিত কর। কারণ জান্নাতে আমি তোমার জুতার শব্দ শুনতে পেয়েছি। এটা তোমার কোন আমলের বরকত তা জানতে চাচ্ছি। তিনি বললেন: আমি যার দ্বারা জান্নাতের সব চাইতে বেশী আশা করতে পারি তা হল রাতে হোক কি দিনে যখনই আমি উযূ করি তখন কিছু সালাত আদায় করি যা আমার তাওফীক হয়। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الطہارت
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : قَالَ لِبِلاَلٍ : « عِنْدَ صَلاَةِ الفَجْرِ يَا بِلاَلُ حَدِّثْنِي بِأَرْجَى عَمَلٍ عَمِلْتَهُ فِي الإِسْلاَمِ ، فَإِنِّي سَمِعْتُ دَفَّ نَعْلَيْكَ بَيْنَ يَدَيَّ فِي الجَنَّةِ » قَالَ : مَا عَمِلْتُ عَمَلًا أَرْجَى عِنْدِي : أَنِّي لَمْ أَتَطَهَّرْ طَهُورًا ، فِي سَاعَةٍ مِنْ لَيْلٍ أَوْ نَهَارٍ ، إِلَّا وَصَلَّيْتُ بِذَلِكَ الطُّهُورِ مَا كُتِبَ لِي أَنْ أُصَلِّيَ " . (رواه ابوداؤد والترمذى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৫
তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ অপবিত্রতা এবং অপবিত্রতার গোসল
প্রত্যেক সুস্থ স্বভাব ও আধ্যাত্মিকবোধ সম্পন্ন মানুষের শরীরের কোন অংশ থেকে যখন দুর্গন্ধময় বস্তু নির্গত হয় অথবা সহজাত পাশবিক ও প্রবৃত্তির চাহিদা পূরণ করে যা ঊর্ধ্বজগত থেকে অনেক দূরে, তখন যেমনটি পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার অভ্যন্তর ভাগে এক ধরনের অন্ধকার, মালিন্য ও অপবিত্রতা অনুভব করে। এমতাবস্থায় সে নিজকে ইবাদতের যোগ্য মনে করে না একেই বলা হয় 'হদস' (অপবিত্রতা)। এ হদস (অপবিত্রতা) দু'প্রকার। যথাঃ-১. হদসে আসগার- যা থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য কেবল উযূই যথেষ্ট অর্থাৎ উযূ দ্বারা গ্লানি দূরীভূত হয়ে যায়। ২. অপরটি হচ্ছে 'হদসে আগবার'। এর প্রভাব গভীর ও ব্যাপক। এ অপবিত্রতা কেবল গোসল দ্বারা দূরীভূত হয়। পেশাব পায়খানা, বায়ু নির্গত হওয়া ইত্যাদি হদসে আসগারের এবং স্ত্রী সহবাস, হায়েয, নিফাস ইত্যাদি হদসে আকবারের অন্তর্ভুক্ত।
স্ত্রী সহবাস, হায়েয, নিফাস ইত্যাদির ফলে মানব অন্তরে যে কদর্য তার সৃষ্টি হয় তা দূরীকরণের লক্ষ্যে প্রত্যেক রুচিসম্পন্ন মানুষ গোসল অত্যাবশ্যক মনে করে এবং যতক্ষণ তারা গোসল না করে ততক্ষণে কোন পবিত্র কাজে অংশ গ্রহণের ক্ষেত্রে নিজকে অনুপযুক্ত মনে করে। এমনকি পবিত্র স্থান দিয়ে বিচরণ থেকে নিজকে বিরত রাখে। এ সকল অবস্থায় গোসল করে পবিত্র হওয়ার বিষয়টি যে শরী'আত কর্তৃক নির্ধারিত তা সুস্থ বিবেকের অপরিহার্য দাবি। এ সকল অবস্থায় গোসলের পূর্বে সালাত আদায়, কুরআন কিংবা ওযীফা পাঠ এবং মসজিদে প্রবেশেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এ পর্যায়ে কিছু সংখ্যক হাদীস পাঠ করা যাক।
প্রত্যেক সুস্থ স্বভাব ও আধ্যাত্মিকবোধ সম্পন্ন মানুষের শরীরের কোন অংশ থেকে যখন দুর্গন্ধময় বস্তু নির্গত হয় অথবা সহজাত পাশবিক ও প্রবৃত্তির চাহিদা পূরণ করে যা ঊর্ধ্বজগত থেকে অনেক দূরে, তখন যেমনটি পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার অভ্যন্তর ভাগে এক ধরনের অন্ধকার, মালিন্য ও অপবিত্রতা অনুভব করে। এমতাবস্থায় সে নিজকে ইবাদতের যোগ্য মনে করে না একেই বলা হয় 'হদস' (অপবিত্রতা)। এ হদস (অপবিত্রতা) দু'প্রকার। যথাঃ-১. হদসে আসগার- যা থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য কেবল উযূই যথেষ্ট অর্থাৎ উযূ দ্বারা গ্লানি দূরীভূত হয়ে যায়। ২. অপরটি হচ্ছে 'হদসে আগবার'। এর প্রভাব গভীর ও ব্যাপক। এ অপবিত্রতা কেবল গোসল দ্বারা দূরীভূত হয়। পেশাব পায়খানা, বায়ু নির্গত হওয়া ইত্যাদি হদসে আসগারের এবং স্ত্রী সহবাস, হায়েয, নিফাস ইত্যাদি হদসে আকবারের অন্তর্ভুক্ত।
স্ত্রী সহবাস, হায়েয, নিফাস ইত্যাদির ফলে মানব অন্তরে যে কদর্য তার সৃষ্টি হয় তা দূরীকরণের লক্ষ্যে প্রত্যেক রুচিসম্পন্ন মানুষ গোসল অত্যাবশ্যক মনে করে এবং যতক্ষণ তারা গোসল না করে ততক্ষণে কোন পবিত্র কাজে অংশ গ্রহণের ক্ষেত্রে নিজকে অনুপযুক্ত মনে করে। এমনকি পবিত্র স্থান দিয়ে বিচরণ থেকে নিজকে বিরত রাখে। এ সকল অবস্থায় গোসল করে পবিত্র হওয়ার বিষয়টি যে শরী'আত কর্তৃক নির্ধারিত তা সুস্থ বিবেকের অপরিহার্য দাবি। এ সকল অবস্থায় গোসলের পূর্বে সালাত আদায়, কুরআন কিংবা ওযীফা পাঠ এবং মসজিদে প্রবেশেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এ পর্যায়ে কিছু সংখ্যক হাদীস পাঠ করা যাক।
৫৫. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: ঋতুমতী নারী ও অপবিত্র ব্যক্তি (যার উপর গোসল ফরয) কুরআনের কোন অংশ পাঠ করবে না। (তিরমিযী)
کتاب الطہارت
عَنْ عَبْدِاللهِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « لَا تَقْرَأِ الحَائِضُ ، وَلَا الجُنُبُ شَيْئًا مِنَ القُرْآنِ » (رواه الترمذى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৬
তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ অপবিত্রতা এবং অপবিত্রতার গোসল
৫৬. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: এই সকল ঘরের দরজা মসজিদের দিক থেকে অন্য দিকে ফিরিয়ে নাও। কারণ আমি মসজিদকে ঋতুমতী নারী ও অপবিত্র ব্যক্তির জন্য বৈধ মনে করি না। (আবূ দাউদ)
کتاب الطہارت
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ : قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « وَجِّهُوا هَذِهِ الْبُيُوتَ عَنِ الْمَسْجِدِ فَإِنِّي لَا أُحِلُّ الْمَسْجِدَ لِحَائِضٍ وَلَا جُنُبٍ » (رواه ابوداؤد)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৭
তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর কথা ও কাজের মাধ্যমে যেমন উযূর নিয়ম পদ্ধতি শিখিয়েছেন। তদ্রুপ গোসলের নিয়ম কানুন ও শিক্ষা দিয়েছেন। এ পর্যায়ে কয়েকটি হাদীস পাঠ করা যাক।
৫৭. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: প্রতিটি চুলের নিচে অপবিত্রতার প্রভাব থাকে। অতএব চুলগুলো ভাল করে ধৌত কর (যাতে চুলের নিচের শরীরের অংশও ভাল করে পরিষ্কার হয়ে যায়) (আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ)
کتاب الطہارت
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « إِنَّ تَحْتَ كُلِّ شَعَرَةٍ جَنَابَةً ، فَاغْسِلُوا الشَّعَرَ ، وَأَنْقُوا الْبَشَرَةَ » (رواه ابوداؤد والترمذى وابن ماجه)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮
তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ অপবিত্র ব্যক্তির গোসল পদ্ধতি ও আদব
৫৮. হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি অপবিত্র (জানাবাতের) গোসলের একচুল পরিমাণ স্থানও ছেড়ে দেবে এবং ধুইবে না তাকে জাহান্নামের এই শাস্তি দেয়া হবে। আলী (রা) বলেন, (একথা শুনে) আমি আমার মাথার চুলের সাথে বৈরী আচরণ করে আসছি (অর্থাৎ চুল বাড়ার সাথে সাথে তা মুড়িয়ে ফেলি। (আবূ দাউদ) আহমাদ ও দারেমী) আবূ দাউদের বর্ণনা মতে একথা তিনি তিনবার উচ্চারণ করেন।
کتاب الطہارت
عَنْ عَلِيٍّ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « مَنْ تَرَكَ مَوْضِعَ شَعْرَةٍ مِنْ جَنَابَةٍ لَمْ يَغْسِلْهَا فُعِلَ بِهَا كَذَا وَكَذَا مِنَ النَّارِ » قَال عَلِيٌّ : فَمِنْ ثَمَّ عَادَيْتُ رَأْسِي فَمِنْ ثَمَّ عَادَيْتُ رَأْسِي ثَلَاثًا. (رواه ابوداؤد واحمد والدارمى الا انهما لم يكررا فَمِنْ ثَمَّ عَادَيْتُ رَأْسِي)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৯
তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ অপবিত্র ব্যক্তির গোসল পদ্ধতি ও আদব
৫৯. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন নাপাকীর গোসল করতেন তখন এভাবে শুরু করতেনঃ প্রথমে দু'হাত কব্জী পর্যন্ত ধুতেন, তারপর বাম হাত দিয়ে লজ্জাস্থান ধুতেন এবং ডান হাত দিয়ে পানি ঢালতেন। তারপর সালাতের উযূর ন্যায় উযূ করে নিতেন। এরপর আঙ্গুলগুলো পানিতে ডুবাতেন এবং তা দ্বারা চুলের গোড়া খিলাল করতেন যখন অনুভব করতেন যে সর্বত্র পানি পৌঁছে গিয়েছে তখন মাথার উপর তিন আঁজলা পানি ঢেলে দিতেন। এরপর সর্বাঙ্গে পানি ঢেলে দিতেন। তারপর দু'পা ধুয়ে নিতেন। (বুখারী ও মুসলিম, তবে শব্দমালা মুসলিমের)
کتاب الطہارت
عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : « كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا اغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ يَبْدَأُ فَيَغْسِلُ يَدَيْهِ. ثُمَّ يُفْرِغُ بِيَمِينِهِ عَلَى شِمَالِهِ فَيَغْسِلُ فَرْجَهُ. ثُمَّ يَتَوَضَّأُ وُضُوءَهُ لِلصَّلَاةِ. ثُمَّ يَأْخُذُ الْمَاءَ فَيُدْخِلُ أَصَابِعَهُ فِي أُصُولِ الشَّعْرِ. حَتَّى إِذَا رَأَى أَنْ قَدْ اسْتَبْرَأَ حَفَنَ عَلَى رَأْسِهِ ثَلَاثَ حَفَنَاتٍ. ثُمَّ أَفَاضَ عَلَى سَائِرِ جَسَدِهِ. ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ » (رواه البخارى ومسلم واللفظ لمسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬০
তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ অপবিত্র ব্যক্তির গোসল পদ্ধতি ও আদব
৬০. হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আমার খালা মায়মুনা (রা) আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, আমি একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ কে নাপাকীর গোসলের জন্য পানি এগিয়ে দিলাম। তিনি তাঁর উভয় হাতের কব্জী পর্যন্ত দু'বার অথবা তিনবার ধুইলেন। তারপর উভয় হাত পাত্রের মধ্যে ঢুকালেন। এরপর লজ্জাস্থানে পানি ঢেলে দিলেন এবং বাম হাত দিয়ে তা ধুলেন। তারপর বাম হাত মাটিতে ভাল করে ঘষলেন। এরপর সালাতের উযূর ন্যায় উযূ করলেন। তারপর তাঁর সারা শরীর ধুয়ে ফেললেন। তারপর সে স্থান থেকে একটু সরে তিনি দু'পা ধুয়ে নিলেন। তারপর আমি তাঁকে রুমাল দিলাম। কিন্তু তিনি তা ফেরত দিলেন। (বুখারী ও মুসলিম কিন্তু শব্দমালা মুসলিমের)
کتاب الطہارت
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، قَالَ : حَدَّثَتْنِي خَالَتِي مَيْمُونَةُ ، قَالَتْ : « أَدْنَيْتُ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غُسْلَهُ مِنَ الْجَنَابَةِ ، فَغَسَلَ كَفَّيْهِ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا ، ثُمَّ أَدْخَلَ يَدَهُ فِي الْإِنَاءِ ، ثُمَّ أَفْرَغَ بِهِ عَلَى فَرْجِهِ ، وَغَسَلَهُ بِشِمَالِهِ ، ثُمَّ ضَرَبَ بِشِمَالِهِ الْأَرْضَ ، فَدَلَكَهَا دَلْكًا شَدِيدًا ، ثُمَّ تَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلَاةِ ، ثُمَّ أَفْرَغَ عَلَى رَأْسِهِ ثَلَاثَ حَفَنَاتٍ مِلْءَ كَفِّهِ ، ثُمَّ غَسَلَ سَائِرَ جَسَدِهِ ، ثُمَّ تَنَحَّى عَنْ مَقَامِهِ ذَلِكَ ، فَغَسَلَ رِجْلَيْهِ ، ثُمَّ أَتَيْتُهُ بِالْمِنْدِيلِ فَرَدَّهُ » (رواه البخارى ومسلم وهذا لفظ مسلم)
তাহকীক: