মা'আরিফুল হাদীস
তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৪
তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায়
প্রত্যেক উযূ শেষে আল্লাহর কিছু যিকর ও সালাত আদায় করা
১৭নং ক্রমিকে ইমাম মুসলিম ও তিরমিযী (র) সূত্রে ইবনে উমার (রা) বর্ণিত হাদীসের উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে উযূ শেষে কালেমা শাহাদাত ও দু'আ মাসূরা পাঠ করার বিবরণী রয়েছে। সেখানে- اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنَ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنِي مِنَ الْمُتَطَهِّرِينَ "হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে তাওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত কর এবং আমাকে পবিত্রতা অবলম্বনকারীদের মধ্যে শামিল কর" এর ফযীলত ও বরকত সম্পর্কীয় বিষয় আলোচিত হয়েছে। উসমান (রা) সূত্রে ৩৬ নং ক্রমিকে বুখারী ও মুসলিমের বরাতে একই বিষয়ে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। সেখানে উযূ করার পর একাগ্রতার সাথে দু'রাক'আত সালাত আদায়ের ফলে জীবনের (সাগীরা) গুনাহসমূহ বিমোচিত হওয়ার সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ক আরেকটি হাদীস পাঠ করা যাক:
১৭নং ক্রমিকে ইমাম মুসলিম ও তিরমিযী (র) সূত্রে ইবনে উমার (রা) বর্ণিত হাদীসের উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে উযূ শেষে কালেমা শাহাদাত ও দু'আ মাসূরা পাঠ করার বিবরণী রয়েছে। সেখানে- اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنَ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنِي مِنَ الْمُتَطَهِّرِينَ "হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে তাওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত কর এবং আমাকে পবিত্রতা অবলম্বনকারীদের মধ্যে শামিল কর" এর ফযীলত ও বরকত সম্পর্কীয় বিষয় আলোচিত হয়েছে। উসমান (রা) সূত্রে ৩৬ নং ক্রমিকে বুখারী ও মুসলিমের বরাতে একই বিষয়ে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। সেখানে উযূ করার পর একাগ্রতার সাথে দু'রাক'আত সালাত আদায়ের ফলে জীবনের (সাগীরা) গুনাহসমূহ বিমোচিত হওয়ার সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ক আরেকটি হাদীস পাঠ করা যাক:
৫৪. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ ফজরের সালাতের সময় বিলাল (রা) কে বললেন: ইসলাম গ্রহণের পর যে আমল দ্বারা তুমি জান্নাতের সব চাইতে বেশি আশা কর, সে বিষয় আমাকে অবহিত কর। কারণ জান্নাতে আমি তোমার জুতার শব্দ শুনতে পেয়েছি। এটা তোমার কোন আমলের বরকত তা জানতে চাচ্ছি। তিনি বললেন: আমি যার দ্বারা জান্নাতের সব চাইতে বেশী আশা করতে পারি তা হল রাতে হোক কি দিনে যখনই আমি উযূ করি তখন কিছু সালাত আদায় করি যা আমার তাওফীক হয়। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الطہارت
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : قَالَ لِبِلاَلٍ : « عِنْدَ صَلاَةِ الفَجْرِ يَا بِلاَلُ حَدِّثْنِي بِأَرْجَى عَمَلٍ عَمِلْتَهُ فِي الإِسْلاَمِ ، فَإِنِّي سَمِعْتُ دَفَّ نَعْلَيْكَ بَيْنَ يَدَيَّ فِي الجَنَّةِ » قَالَ : مَا عَمِلْتُ عَمَلًا أَرْجَى عِنْدِي : أَنِّي لَمْ أَتَطَهَّرْ طَهُورًا ، فِي سَاعَةٍ مِنْ لَيْلٍ أَوْ نَهَارٍ ، إِلَّا وَصَلَّيْتُ بِذَلِكَ الطُّهُورِ مَا كُتِبَ لِي أَنْ أُصَلِّيَ " . (رواه ابوداؤد والترمذى)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ কর্তৃক জান্নাতে হযরত বিলাল (রা)-এর পদধ্বনি শোনার বিষয়টি স্বপ্নে দেখা একটি ঘটনা। ১. এ বিষয়ে এজন্য জানিয়ে দেয়া হল যে, জীবিত থাকা অবস্থায় হযরত বিলাল (রা) কিভাবে জান্নাতে প্রবেশ করলেন, সে প্রশ্ন যাতে উত্থাপিত না হয়। তবে একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, নবী কারীম ﷺ কর্তৃক হযরত বিলাল (রা) কে জান্নাতে দেখা এবং তার বিবরণ দান একথারই সাক্ষ্য দেয় যে, হযরত বিলাল (রা) জান্নাতী। বরং তিনি প্রথম শ্রেণীর জান্নাতীদের অন্যতম।
এ হাদীসের আধ্যাত্মিক দিক হলো এই যে, মানুষ যখনই উযূ করে তখনই যেন সে তার সাধ্য অনুসারে সালাত আদায় করে, চাই ফরয হোক কি নফল কিংবা সুন্নাত।
১. যে সকল বিবেচনায় বিষয়টিকে নবী কারীম ﷺ এর স্বপ্ন বলে বর্ণনা করা হয়েছে তার সবিস্তার বিবরণ জানার জন্য ফাতহুল বারী দ্রষ্টব্য।
এ হাদীসের আধ্যাত্মিক দিক হলো এই যে, মানুষ যখনই উযূ করে তখনই যেন সে তার সাধ্য অনুসারে সালাত আদায় করে, চাই ফরয হোক কি নফল কিংবা সুন্নাত।
১. যে সকল বিবেচনায় বিষয়টিকে নবী কারীম ﷺ এর স্বপ্ন বলে বর্ণনা করা হয়েছে তার সবিস্তার বিবরণ জানার জন্য ফাতহুল বারী দ্রষ্টব্য।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)