মা'আরিফুল হাদীস
তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৫
তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায়
অপবিত্রতা এবং অপবিত্রতার গোসল
প্রত্যেক সুস্থ স্বভাব ও আধ্যাত্মিকবোধ সম্পন্ন মানুষের শরীরের কোন অংশ থেকে যখন দুর্গন্ধময় বস্তু নির্গত হয় অথবা সহজাত পাশবিক ও প্রবৃত্তির চাহিদা পূরণ করে যা ঊর্ধ্বজগত থেকে অনেক দূরে, তখন যেমনটি পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার অভ্যন্তর ভাগে এক ধরনের অন্ধকার, মালিন্য ও অপবিত্রতা অনুভব করে। এমতাবস্থায় সে নিজকে ইবাদতের যোগ্য মনে করে না একেই বলা হয় 'হদস' (অপবিত্রতা)। এ হদস (অপবিত্রতা) দু'প্রকার। যথাঃ-১. হদসে আসগার- যা থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য কেবল উযূই যথেষ্ট অর্থাৎ উযূ দ্বারা গ্লানি দূরীভূত হয়ে যায়। ২. অপরটি হচ্ছে 'হদসে আগবার'। এর প্রভাব গভীর ও ব্যাপক। এ অপবিত্রতা কেবল গোসল দ্বারা দূরীভূত হয়। পেশাব পায়খানা, বায়ু নির্গত হওয়া ইত্যাদি হদসে আসগারের এবং স্ত্রী সহবাস, হায়েয, নিফাস ইত্যাদি হদসে আকবারের অন্তর্ভুক্ত।
স্ত্রী সহবাস, হায়েয, নিফাস ইত্যাদির ফলে মানব অন্তরে যে কদর্য তার সৃষ্টি হয় তা দূরীকরণের লক্ষ্যে প্রত্যেক রুচিসম্পন্ন মানুষ গোসল অত্যাবশ্যক মনে করে এবং যতক্ষণ তারা গোসল না করে ততক্ষণে কোন পবিত্র কাজে অংশ গ্রহণের ক্ষেত্রে নিজকে অনুপযুক্ত মনে করে। এমনকি পবিত্র স্থান দিয়ে বিচরণ থেকে নিজকে বিরত রাখে। এ সকল অবস্থায় গোসল করে পবিত্র হওয়ার বিষয়টি যে শরী'আত কর্তৃক নির্ধারিত তা সুস্থ বিবেকের অপরিহার্য দাবি। এ সকল অবস্থায় গোসলের পূর্বে সালাত আদায়, কুরআন কিংবা ওযীফা পাঠ এবং মসজিদে প্রবেশেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এ পর্যায়ে কিছু সংখ্যক হাদীস পাঠ করা যাক।
প্রত্যেক সুস্থ স্বভাব ও আধ্যাত্মিকবোধ সম্পন্ন মানুষের শরীরের কোন অংশ থেকে যখন দুর্গন্ধময় বস্তু নির্গত হয় অথবা সহজাত পাশবিক ও প্রবৃত্তির চাহিদা পূরণ করে যা ঊর্ধ্বজগত থেকে অনেক দূরে, তখন যেমনটি পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার অভ্যন্তর ভাগে এক ধরনের অন্ধকার, মালিন্য ও অপবিত্রতা অনুভব করে। এমতাবস্থায় সে নিজকে ইবাদতের যোগ্য মনে করে না একেই বলা হয় 'হদস' (অপবিত্রতা)। এ হদস (অপবিত্রতা) দু'প্রকার। যথাঃ-১. হদসে আসগার- যা থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য কেবল উযূই যথেষ্ট অর্থাৎ উযূ দ্বারা গ্লানি দূরীভূত হয়ে যায়। ২. অপরটি হচ্ছে 'হদসে আগবার'। এর প্রভাব গভীর ও ব্যাপক। এ অপবিত্রতা কেবল গোসল দ্বারা দূরীভূত হয়। পেশাব পায়খানা, বায়ু নির্গত হওয়া ইত্যাদি হদসে আসগারের এবং স্ত্রী সহবাস, হায়েয, নিফাস ইত্যাদি হদসে আকবারের অন্তর্ভুক্ত।
স্ত্রী সহবাস, হায়েয, নিফাস ইত্যাদির ফলে মানব অন্তরে যে কদর্য তার সৃষ্টি হয় তা দূরীকরণের লক্ষ্যে প্রত্যেক রুচিসম্পন্ন মানুষ গোসল অত্যাবশ্যক মনে করে এবং যতক্ষণ তারা গোসল না করে ততক্ষণে কোন পবিত্র কাজে অংশ গ্রহণের ক্ষেত্রে নিজকে অনুপযুক্ত মনে করে। এমনকি পবিত্র স্থান দিয়ে বিচরণ থেকে নিজকে বিরত রাখে। এ সকল অবস্থায় গোসল করে পবিত্র হওয়ার বিষয়টি যে শরী'আত কর্তৃক নির্ধারিত তা সুস্থ বিবেকের অপরিহার্য দাবি। এ সকল অবস্থায় গোসলের পূর্বে সালাত আদায়, কুরআন কিংবা ওযীফা পাঠ এবং মসজিদে প্রবেশেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এ পর্যায়ে কিছু সংখ্যক হাদীস পাঠ করা যাক।
৫৫. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: ঋতুমতী নারী ও অপবিত্র ব্যক্তি (যার উপর গোসল ফরয) কুরআনের কোন অংশ পাঠ করবে না। (তিরমিযী)
کتاب الطہارت
عَنْ عَبْدِاللهِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « لَا تَقْرَأِ الحَائِضُ ، وَلَا الجُنُبُ شَيْئًا مِنَ القُرْآنِ » (رواه الترمذى)