আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

২২. অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ৭৫৪ টি

হাদীস নং: ৪১৫২
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ মুসাফাহা (করমর্দন) করার প্রতি অনুপ্রেরণা, ইশারায় সালাম দানের প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং কাফিরকে সালাম দান প্রসঙ্গে
৪১৫২. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: আহলে কিতাব (ইয়াহুদী ও নাসারাগণ) তোমাদের সালাম দিলে জবাবে তোমরা কেবলমাত্র 'ওয়া আলাইকুম' বলবে।
(বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইবনে মাজা বর্ণিত। উল্লেখিত দু'টি হাদীসের মত অনেক হাদীস রয়েছে, যা আমাদের শর্তানুযায়ী না হওয়ায় তার আলোচনা বর্জন করেছি।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي المصافحة والترهيب من الْإِشَارَة فِي السَّلَام وَمَا جَاءَ فِي السَّلَام على الْكفَّار
4152 - وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا سلم عَلَيْكُم أهل الْكتاب فَقولُوا وَعَلَيْكُم

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه وَمن نوع هذَيْن الْحَدِيثين كثير لَيْسَ من شَرط كتَابنَا فتركناها
হাদীস নং: ৪১৫৩
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ কারো ঘরে প্রবেশের অনুমতি নেয়ার পূর্বে উঁকি মারার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১৫৩. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন। কেউ কারো ঘরে বিনানুমতিতে উকি মারলে গৃহবাসীর উচিত তার চোখ ফুঁড়ে দেওয়া।
(বুখারী, মুসলিম ও আবু দাউদ বর্ণিত। তবে ইমাম আবু দাউদ (র) বলেন। (নবী ﷺ বলেছেন): "তোমরা তার চোখ ফুড়ে দেবে এবং এতে দায় মুক্ত থাকবে।")
كتاب الأدب
التَّرْهِيب أَن يطلع الْإِنْسَان فِي دَار قبل أَن يسْتَأْذن
4153- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من اطلع فِي بَيت قوم بِغَيْر إذْنهمْ فقد حل لَهُم أَن يفقؤوا عينه

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد إِلَّا أَنه قَالَ ففقؤوا عينه فقد هدرت
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪১৫৪
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ কারো ঘরে প্রবেশের অনুমতি নেয়ার পূর্বে উঁকি মারার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১৫৪. নাসাঈ শরীফে বর্ণিত আছে, নবী (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি কারো ঘরে তাদের অনুমতি ব্যতীত উঁকি মেরে দেখে, তার চোখ ফুঁড়ে দাও। এতে কোন মুক্তিপণ বা ক্ষতিপূরণ কিছুই দিতে হবে না।
كتاب الأدب
التَّرْهِيب أَن يطلع الْإِنْسَان فِي دَار قبل أَن يسْتَأْذن
4154- وَفِي رِوَايَة للنسائي أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من اطلع فِي بَيت قوم بِغَيْر إذْنهمْ ففقؤوا عينه فَلَا دِيَة لَهُ وَلَا قصاص
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪১৫৫
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ কারো ঘরে প্রবেশের অনুমতি নেয়ার পূর্বে উঁকি মারার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১৫৫. হযরত আবূ যার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: কোন ব্যক্তি যদি কারো বিনানুমতিতে তার কক্ষের পর্দা সরায় এবং তাকে অনুমতি দেওয়ার আগে সে যদি ভেতরে তাকায় তবে সে এমন অপরাধ করে, যা তার জন্য হালাল নয়। এমন অবস্থায় তার চোখ ফুড়ে দিলে তার শাস্তি নেই। আর কারো দরজায় যদি পর্দা না থাকে, এমতাবস্থায় সে যদি ঘরের মধ্যে দৃষ্টিপাত করে, তবে তাতে তার গুনাহ হবে না। বরং গুনাহ হবে গৃহস্বামীর।
(আহমাদ বর্ণিত। তার সনদে লাহীয়া ব্যতীত অপরাপর বর্ণনাকারীদের বর্ণনা বিশ্বস্ত ও তিরমিযী। তিনি বলেন, উক্ত হাদীসটি গরীব। কেননা, ইবনে লাহীয়া ব্যতীত আমি উক্ত হাদীসটি আর কারো থেকে জানতে পারি নি।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب أَن يطلع الْإِنْسَان فِي دَار قبل أَن يسْتَأْذن
4155- وَعَن أبي ذَر رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَيّمَا رجل كشف سترا فَأدْخل بَصَره قبل أَن يُؤذن لَهُ فقد أَتَى حدا لَا يحل لَهُ أَن يَأْتِيهِ وَلَو أَن رجلا فَقَأَ عينه لهدرت وَلَو أَن رجلا مر على بَاب لَا ستر لَهُ فَرَأى عَورَة أَهله فَلَا خَطِيئَة عَلَيْهِ إِنَّمَا الْخَطِيئَة على أهل الْمنزل

رَوَاهُ أَحْمد وَرُوَاته رُوَاة الصَّحِيح إِلَّا ابْن لَهِيعَة وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث غَرِيب لَا نعرفه إِلَّا من حَدِيث ابْن لَهِيعَة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪১৫৬
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ কারো ঘরে প্রবেশের অনুমতি নেয়ার পূর্বে উঁকি মারার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১৫৬. হযরত উবাদা ইবনে সামিত (রা) থেকে বর্ণিত। (তিনি বলেন,): একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঘরে প্রবেশের অনুমতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হন। তখন তিনি বলেন। অনুমতি নেওয়ার পূর্বে যদি কেউ ভেতরে তাকায় এবং সালাম না দেয়, তবে তাতে অনুমতি হল না। পক্ষান্তরে তার রবের নাফরমানী করল।
(তাবারানী (র) ইসহাক ইবনে ইয়াহইয়া থেকে, তিনি হযরত উবাদা (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তবে তিনি তার থেকে হাদীসটি শুনেন নি এবং তার বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب أَن يطلع الْإِنْسَان فِي دَار قبل أَن يسْتَأْذن
4156- وَعَن عبَادَة يَعْنِي ابْن الصَّامِت رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم سُئِلَ عَن الاسْتِئْذَان فِي الْبيُوت فَقَالَ من دخلت عينه قبل أَن يسْتَأْذن وَيسلم فَلَا إِذن وَقد عصى ربه

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ من حَدِيث إِسْحَاق بن يحيى عَن عبَادَة وَلم يسمع مِنْهُ وَرُوَاته ثِقَات
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪১৫৭
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ কারো ঘরে প্রবেশের অনুমতি নেয়ার পূর্বে উঁকি মারার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১৫৭. হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। একদা এক ব্যক্তি নবী (ﷺ)-এর ‍হুজরা সমূহের কোন একটিতে উঁকি মারল। তখন নবী (ﷺ) একটি বা কয়েকটি (বর্ণনাকারীদের সন্দেহ) তীর ফল নিয়ে দাঁড়িয়ে যান। আর আমি দেখতে পাচ্ছি, যেন তিনি লোকটিকে চোখ ফুঁড়ে দেয়ার ভয় দেখান।
(বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসাঈ বর্ণিত।
ইমাম নাসাঈ (র)-এর শব্দমালা এরূপঃ এক বেদুঈন নবী (ﷺ)-এর ঘরের দরজায় এসে উপস্থিত হয় এবং দরজার ক্ষুদ্র অংশে তার দৃষ্টি পড়ে। নবী (ﷺ) তাকে দেখে ফেলেন এবং একটি লোহা অথবা তিনি (রাবীর সন্দেহ) বলেছেন: একটি লাকড়ী হাতে নিয়ে তাকে ধাওয়া করেন, যাতে তিনি তার চোখ ছিদ্র করে নিতে পাবেন। সে ব্যক্তি তখন নির্জন স্থানে চলে যায় যাতে তিনি তাকে দেখতে না পান। এরপর নবী (ﷺ) তাকে বলেন: সাবধান! তুমি যদি সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে, তবে অবশ্যই আমি তোমার চোখ বিনষ্ট করে দিতাম। المشقص কাটাবিহীন তীর, কারো কারো মতে লম্বা তীর, কারো কারো মতে, মাথা বক্র তীর, কারো কারো মতে লম্বা তীর।
يختله - ভয় দেখানো,
وخصاصة الباب - দরজার ছিদ্র অথবা দুই দরজার মাঝের ফাঁকা স্থান।
توخاه - সে ইচ্ছা করল।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب أَن يطلع الْإِنْسَان فِي دَار قبل أَن يسْتَأْذن
4157- وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ أَن رجلا اطلع من بعض حجر النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَامَ إِلَيْهِ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بمشقص أَو بمشاقص فَكَأَنِّي أنظر إِلَيْهِ يخْتل الرجل ليطعنه

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَلَفظه أَن أَعْرَابِيًا أَتَى بَاب النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فألقم عينه خصَاصَة الْبَاب فَبَصر بِهِ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فتوخاه بحديدة أَو عود ليفقأ عينه فَلَمَّا أَن أبصره
انقمع فَقَالَ لَهُ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أما إِنَّك لَو ثَبت عَلَيْك لفقأت عَيْنك
المشقص بِكَسْر الْمِيم بعْدهَا شين مُعْجمَة سَاكِنة وقاف مَفْتُوحَة هُوَ سهم لَهُ نصل عريض وَقيل طَوِيل وَقيل هُوَ النصل العريض نَفسه وَقيل الطَّوِيل
يختله بِكَسْر التَّاء الْمُثَنَّاة فَوق أَي يخدعه ويراوغه
وخصاصة الْبَاب بِفَتْح الْخَاء الْمُعْجَمَة وصادين مهملتين هِيَ الثقب فِيهِ والشقوق وَمَعْنَاهُ أَنه جعل الشق الَّذِي فِي الْبَاب محاذيا عينه
توخاه بتَشْديد الْخَاء الْمُعْجَمَة أَي قَصده
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪১৫৮
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ কারো ঘরে প্রবেশের অনুমতি নেয়ার পূর্বে উঁকি মারার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১৫৮. হযরত সাহল ইবনে সা'দ সাঈদী (রা) থেকে বর্ণিত। একদা এক ব্যক্তি নবী (ﷺ)-এ হুজরাসমূহের কোন একটির দিকে উকি মেরে দেখল, আর তখন নবী (ﷺ)-এর হাতে একটি চিরুনী ছিল। যা দ্বারা তিনি তাঁর মাথা আঁচড়াতেন। তখন নবী (ﷺ) বলেন। আমি যদি জানতাম যে, তুমি উকি মারবে, তবে এটি দিয়ে তোমার চোখ ফুঁড়ে দিতাম। চোখের জন্য অনুমতির বিধান করা হয়েছে।
(বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী ও নাসাঈ বর্ণিত।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب أَن يطلع الْإِنْسَان فِي دَار قبل أَن يسْتَأْذن
4158- وَعَن سهل بن سعد السَّاعِدِيّ رَضِي الله عَنهُ أَن رجلا اطلع على رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من جُحر فِي حجرَة النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَمَعَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مدراة يحك بهَا رَأسه فَقَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَو علمت أَنَّك تنظر لطعنت بهَا فِي عَيْنك إِنَّمَا جعل الاسْتِئْذَان من أجل الْبَصَر

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ
হাদীস নং: ৪১৫৯
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ কারো ঘরে প্রবেশের অনুমতি নেয়ার পূর্বে উঁকি মারার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১৫৯. হযরত সাওবান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন: কারো জন্য তিনটি কাজ হালাল নয়। তা হলঃ ১. যে লোকদের ইমামতি করে অথচ সে মুসল্লীদের বাদ দিয়ে কেবলমাত্র নিজের জন্য দু'আ করে। এরূপ করলে প্রকৃতপক্ষে সে তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করল, ২. গৃহস্বামীর অনুমতি ব্যতিরেকে কারো জন্য তার ঘরের ভেতরের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করা। যদি সে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে, তবে সে যেন প্রকৃতপক্ষে বিনানুমতিতে তার ঘরেই প্রবেশ করল এবং ৩. পায়খানা পেশাবের বেগ নিয়ে কেউ যেন সালাতে না দাঁড়ায়, যতক্ষণে সে বেগমুক্ত না হয়।
(আবু দাউদ (র) নিজ শব্দে, তিরমিযী (র) হাসান সনদে এবং ইবনে মাজা সংক্ষেপে বর্ণনা করেন। ইমাম আবু দাউদ (র) আবু হুরায়রা (রা) থেকেও বর্ণনা করেন।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب أَن يطلع الْإِنْسَان فِي دَار قبل أَن يسْتَأْذن
4159- وَعَن ثَوْبَان رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ثَلَاث لَا يحل لأحد أَن يفعلهن لَا يؤم رجل قوما فيخص نَفسه بِالدُّعَاءِ دونهم فَإِن فعل فقد خَانَهُمْ وَلَا ينظر فِي قَعْر بَيت قبل أَن يسْتَأْذن فَإِن فعل فقد دخل وَلَا يُصَلِّي وَهُوَ حقن حَتَّى يتخفف

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَالتِّرْمِذِيّ وَحسنه وَابْن مَاجَه مُخْتَصرا وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُد أَيْضا من حَدِيث أبي هُرَيْرَة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪১৬০
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ কারো ঘরে প্রবেশের অনুমতি নেয়ার পূর্বে উঁকি মারার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১৬০. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে বুসর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি: পেছনের দরজা দিয়ে তোমরা প্রবেশ করবে না বরং তোমরা ঘরের সামনের প্রশস্ত দরজা দিয়ে প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করবে। যদি অনুমতি দেয়া হয়, তবে প্রবেশ করবে, অন্যথায় ফিরে যাবে।
(ইমাম তাবারানী (র) তাঁর কাবীর গ্রন্থে কয়েকটি সনদে বর্ণনা করেন। তবে তার মধ্যে একটি সনদ উত্তম।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب أَن يطلع الْإِنْسَان فِي دَار قبل أَن يسْتَأْذن
4160- وَعَن عبد الله بن بسر رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول لَا تَأْتُوا الْبيُوت من أَبْوَابهَا وَلَكِن ائتوها من جوانبها فَاسْتَأْذنُوا فَإِن أذن لكم فادخلوا وَإِلَّا فَارْجِعُوا

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير من طرق أَحدهَا جيد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪১৬১
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ অন্যকে শুনাতে চায় না, এমন কথা কান পেতে শোনার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১৬১. হযরত ইবনে আব্বাস (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন। যে ব‍্যক্তি এমন স্বপ্নের কথা বর্ণনা করে, যা সে দেখে নি, তাকে (কিয়ামতের দিন) দু'টি চুলে গেরো দিতে বাধ্য করা হবে অথচ সে কিছুতেই গোরো দিতে পারবে না। যে ব্যক্তি অন্যের কথাবার্তা কান পেতে শুনে, অথচ তারা তা পসন্দ করে না, কিয়ামতের দিন তার কানে গলিত সীসা ঢেলে দেওয়া হবে। আর যে ব্যক্তি কোন প্রাণীর ছবি তৈরী করবে, তাকে শাস্তি দেওয়া হবে এবং ঐ গুলোতে আত্মা সঞ্চারে বাধ্য করা হবে, অথচ সে কিছুতেই তাতে প্রাণ সঞ্চার করতে পারবে না।
(বুখারী ও অপরাপর হাদীস গ্রন্থে বর্ণিত।
الآنك - গলিত সীসা।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب أَن يتسمع حَدِيث قوم يكْرهُونَ أَن يسمعهُ
4161- عَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من تحلم بحلم لم يره كلف أَن يعْقد بَين شعيرتين وَلنْ يفعل وَمن اسْتمع إِلَى حَدِيث قوم وهم لَهُ كَارِهُون صب فِي
أُذُنَيْهِ الآنك يَوْم الْقِيَامَة وَمن صور صُورَة عذب أَو كلف أَن ينْفخ فِيهَا الرّوح وَلَيْسَ بنافخ

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَغَيره
الآنك بِمد الْهمزَة وَضم النُّون هُوَ الرصاص الْمُذَاب
التَّرْغِيب فِي الْعُزْلَة لمن لَا يَأْمَن على نَفسه عِنْد الِاخْتِلَاط
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪১৬২
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ মানুষের সাথে মেলামেশায় নিরাপত্তাহীনতার আশংকা থাকলে নির্জনতা অবলম্বনের প্রতি অনুপ্রেরণা
৪১৬২. হযরত আমির ইবনে সা'দ (রা) থেকে বর্ণিত। হযরত সা'দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রা) তাঁর ঘরে অবস্থান করা কালে তার পুত্র উমার তাঁর নিকট আসেন। সা'দ (রা) তাকে দেখে বলেন: এই অনিষ্টকর আরোহী থেকে আমি আল্লাহর কাছে পানাহ চাচ্ছি। সে নেমে এসে তাকে বলেনঃ তুমি কি তোমার উট ও বকরী নিয়ে দূরে সরে আছ, অথচ লোকদের ক্ষমা নিয়ে বাদানুবাদের মধ্যে ছেড়ে দিলে? তখন হযরত সা'দ (রা) তাঁর বুকে আঘাত করে বলেনঃ তুমি থাম। কেননা, আমি রাসূলুল্লাহ্-কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ্ মুত্তাকী ও অল্পে তুষ্ট বান্দাকে ভালোবাসেন।
(মুসলিম বর্ণিত।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي الْعُزْلَة لمن لَا يَأْمَن على نَفسه عِنْد الِاخْتِلَاط
4162- عَن عَامر بن سعد قَالَ كَانَ سعد بن أبي وَقاص فِي بَيته فَجَاءَهُ ابْنه عمر فَلَمَّا رَآهُ سعد قَالَ أعوذ بِاللَّه من شَرّ هَذَا الرَّاكِب فَنزل فَقَالَ لَهُ أنزلت فِي إبلك وغنمك وَتركت النَّاس يتنازعون الْملك بَينهم فَضرب سعد فِي صَدره وَقَالَ اسْكُتْ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول إِن الله يحب العَبْد التقي الْغَنِيّ الْخَفي

رَوَاهُ مُسلم
الْغَنِيّ أَي الْغَنِيّ النَّفس القنوع
হাদীস নং: ৪১৬৩
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ মানুষের সাথে মেলামেশায় নিরাপত্তাহীনতার আশংকা থাকলে নির্জনতা অবলম্বনের প্রতি অনুপ্রেরণা
৪১৬৩. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা এক 'ব্যক্তি বলল: ইয়া রাসূলাল্লাহ্! কোন কাজ সর্বোত্তম? তখন তিনি বলেনঃ ঐ মু'মিন ব্যক্তি, যে নিজের জান ও মাল দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে। সে বলল: পরে কে? তিনি বলেন: তারপর ঐ ব্যক্তি যে পাহাড়ের কোন খাঁটিতে একাকী অবস্থান করে তার রবের ইবাদত করে।
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي الْعُزْلَة لمن لَا يَأْمَن على نَفسه عِنْد الِاخْتِلَاط
4163- وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رجل أَي النَّاس أفضل يَا رَسُول الله قَالَ مُؤمن يُجَاهد بِنَفسِهِ وَمَاله فِي سَبِيل الله
قَالَ ثمَّ من قَالَ ثمَّ رجل معتزل فِي شعب من الشعاب يعبد ربه
হাদীস নং: ৪১৬৪
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ মানুষের সাথে মেলামেশায় নিরাপত্তাহীনতার আশংকা থাকলে নির্জনতা অবলম্বনের প্রতি অনুপ্রেরণা
৪১৬৪. অন্য বর্ণনায় আছে। সে আল্লাহকে ভয় করে এবং তার অনিষ্ট থেকে মানুষকে মুক্ত রাখে।
বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য গ্রন্থে এবং হাকিম (র) তাঁদের উভয়ের শর্তে বর্ণনা করেন। তবে তিনি বলেন, নবী (ﷺ) সূত্রে বর্ণিত। একদা তিনি এই মর্মে জিজ্ঞাসিত হন যে, কোন ধরনের লোক পূর্ণ মু'মিন? তিনি বলেন: যে ব্যক্তি তার জান ও মাল দিয়ে জিহাদ করে এবং ঐ ব্যক্তি যে পাহাড়ের ঘাঁটিতে অবস্থান করে তার প্রতিপালকের ইবাদত করে এবং তার অনিষ্ঠ থেকে লোকদের রক্ষা করে।
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي الْعُزْلَة لمن لَا يَأْمَن على نَفسه عِنْد الِاخْتِلَاط
4164- وَفِي رِوَايَة يَتَّقِي الله ويدع النَّاس من شَره
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَغَيرهمَا وَرَوَاهُ الْحَاكِم بِإِسْنَاد على شَرطهمَا إِلَّا أَنه قَالَ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه سُئِلَ أَي الْمُؤمنِينَ أكمل إِيمَانًا قَالَ الَّذِي يُجَاهد بِنَفسِهِ وَمَاله وَرجل يعبد ربه فِي شعب من الشعاب وَقد كفى النَّاس شَره
হাদীস নং: ৪১৬৫
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ মানুষের সাথে মেলামেশায় নিরাপত্তাহীনতার আশংকা থাকলে নির্জনতা অবলম্বনের প্রতি অনুপ্রেরণা
৪১৬৫. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: অচিরেই এমন এক সময় আসবে যখন মুসলমানদের উত্তম সম্পদ হয় বকরী, যা নিয়ে সে পর্বত চূড়ায় ও বৃষ্টিপাতের স্থানসমূহে চলে যাবে। সে যেন ফিতনামুক্ত থাকার জন্য দীন নিয়ে পলায়ন করে।
(মালিক, বুখারী, আবু দাউদ, নাসাঈ ও ইবনে মাজা বর্ণিত।
شعف الجبال পর্বত চূড়া।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي الْعُزْلَة لمن لَا يَأْمَن على نَفسه عِنْد الِاخْتِلَاط
4165- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يُوشك أَن يكون خير مَال الْمُسلم غنم يتبع بهَا شعف الْجبَال ومواقع الْقطر يفر بِدِينِهِ من الْفِتَن

رَوَاهُ مَالك وَالْبُخَارِيّ وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
شعف الْجبَال بالشين الْمُعْجَمَة وَالْعين الْمُهْملَة مفتوحتين هُوَ أَعْلَاهَا ورؤوسها
হাদীস নং: ৪১৬৬
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ মানুষের সাথে মেলামেশায় নিরাপত্তাহীনতার আশংকা থাকলে নির্জনতা অবলম্বনের প্রতি অনুপ্রেরণা
৪১৬৬. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) সূত্রে রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: লোকদের মধ্যে সর্বোত্তম জীবন হচ্ছে ঐ ব্যক্তির, যে ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরে সর্বদা জিহাদের জন্য প্রস্তুত থাকে। যেখানেই সে কোন বিপদ বা পেরেশানীর শব্দ শুনতে পায়, সাথে সাথে ঘোড়ায় সাওয়ার হয়ে বাতাসের গাতিতে শাহাদাত অথবা তিনি বলেছেন: মৃত্যুর জন্য ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আর অপর ব্যক্তির জীবন, যে পর্বত চূড়ায় বা উপত্যকায় কয়েকটি বকরী নিয়ে বসবাস করে, সালাত কায়েম করে, যাকাত আদায় করে। আমৃত্যু নিজ রবের ইবাদত করে এবং একমাত্র মানুষের কল্যাণে কাজ করে। সেও উত্তম জীবনের অধিকারী।
(মুসলিম বর্ণিত। এ হাদীসটি গরীব, তা জিহাদ অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي الْعُزْلَة لمن لَا يَأْمَن على نَفسه عِنْد الِاخْتِلَاط
4166- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه قَالَ من خير معايش النَّاس لَهُم رجل مُمْسك عنان فرسه فِي سَبِيل الله يطير على مَتنه كلما سمع هيعة أَو فزعة طَار عَلَيْهِ يَبْتَغِي الْقَتْل أَو الْمَوْت مظانه وَرجل فِي غنيمَة فِي رَأس شعفة من هَذِه الشعف أَو بطن وَاد من هَذِه الأودية يُقيم الصَّلَاة ويؤتي الزَّكَاة ويعبد ربه حَتَّى يَأْتِيهِ الْيَقِين لَيْسَ من النَّاس إِلَّا فِي خير

رَوَاهُ مُسلم وَتقدم بشرح غَرِيبه فِي الْجِهَاد
হাদীস নং: ৪১৬৭
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ মানুষের সাথে মেলামেশায় নিরাপত্তাহীনতার আশংকা থাকলে নির্জনতা অবলম্বনের প্রতি অনুপ্রেরণা
৪১৬৭. হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) বলেছেন: সাবধান! আমি কি তোমাদের উত্তম লোকদের সম্পর্কে অবহিত করব, না? উত্তম ঐ ব্যক্তি, যে কুরআন তিলাওয়াত করে, এবং আল্লাহর হক আদায়কল্পে অল্প সংখ্যক বকরী নিয়ে নির্জনতা অবলম্বন করে। সাবধান! আমি কি তোমাদের নিকৃষ্ট লোক সম্পর্কে অবহিত করব না? নিকৃষ্ট ঐ ব্যক্তি, যার কাছে আল্লাহর নামে চাওয়া হয়, অথচ সে দান করে না।
(নাসাঈ, তিরমিযী নিজ বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: হাদীসটি হাসান-গরীব। আর ইবনে হিব্বানের সহীহ্ গ্রন্থে বর্ণিত। তাঁর শব্দমালা এরূপ একদল সাহাবী উপবিষ্ট ছিলেন, এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদের কাছে এসে বলেন: সাবধান! আমি কি তোমাদের মর্যাদাবান ব্যক্তিদের সম্পর্কে অবহিত করব না? তাঁরা বলেন: হাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তিনি বলেন: ঐ ব্যক্তি মর্যাদাবান, যে তার ঘোড়ার মাথা ধরে আল্লাহর পথে (জিহাদে) বেরিয়ে যায়, এমন কি সে মৃত্যুবরণ করে অথবা শাহাদাত লাভ করে। এরপর এদের পরের মর্যাদাবান ব্যক্তি সম্পর্কে আমি কি তোমাদের অবহিত করব না? আমরা বললাম: হাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তখন তিনি বলেন: ঐ ব্যক্তি তোমাদের মধ্যে মর্যাদাবান, যে নির্জনতা অবলম্বন করে পর্বত চূড়ায় সালাত কায়েম করে, যাকাত আদায় করে এবং দুষ্টলোক থেকে নির্জনতা অবলম্বন করে। সাবধান! আমি কি তোমাদের মন্দলোক সম্পর্কে অবহিত করব না? আমরা বললামঃ হাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তখন তিনি বলেন, মন্দ ঐ লোক যার কাছে আল্লাহর নামে চাওয়া হয়, অথচ সে দান করে না।
ইবনে আবুদ দুনিয়া (র) কিতাবুল আজলায় বর্ণনা করেন। অনুরূপ তিনিও হযরত তাবারানী (র) হযরত উম্মু মুবাশশির আনসারীয়া (রা) থেকে আরো হাদীস বর্ণনা করেন।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي الْعُزْلَة لمن لَا يَأْمَن على نَفسه عِنْد الِاخْتِلَاط
4167- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ أَلا أخْبركُم بِخَير النَّاس رجل مُمْسك بعنان فرسه فِي سَبِيل الله أَلا أخْبركُم بِالَّذِي يتلوه رجل معتزل فِي غنيمَة لَهُ يُؤَدِّي حق الله فِيهَا أَلا أخْبركُم بشر النَّاس رجل يسْأَل بِاللَّه وَلَا يُعْطي

رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَالتِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَلَفظه أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم خرج عَلَيْهِم وهم جُلُوس فِي مجْلِس لَهُم فَقَالَ أَلا أخْبركُم بِخَير النَّاس منزلا قَالُوا بلَى يَا رَسُول الله قَالَ رجل أَخذ بِرَأْس فرسه فِي سَبِيل الله حَتَّى يَمُوت أَو يقتل
أَلا أخْبركُم بِالَّذِي يَلِيهِ قُلْنَا بلَى يَا رَسُول الله قَالَ امْرُؤ معتزل فِي شعب يُقيم الصَّلَاة ويؤتي الزَّكَاة ويعتزل شرور النَّاس
أَلا أخْبركُم بشر النَّاس قُلْنَا بلَى يَا رَسُول الله
قَالَ الَّذِي يسْأَل بِاللَّه وَلَا يُعْطي
وَرَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا فِي كتاب الْعُزْلَة من حَدِيثه وَرَوَاهُ أَيْضا هُوَ وَالطَّبَرَانِيّ من حَدِيث أم مُبشر الْأَنْصَارِيَّة أطول مِنْهُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪১৬৮
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ মানুষের সাথে মেলামেশায় নিরাপত্তাহীনতার আশংকা থাকলে নির্জনতা অবলম্বনের প্রতি অনুপ্রেরণা
৪১৬৮. হযরত মু'আয ইবনে জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে জিহাদ করে, সে আল্লাহর যিম্মায় থাকে; যে ব্যক্তি কোন রোগীর কুশল জিজ্ঞাসা করে, সে আল্লাহর যিম্মায় থাকে, যে ব্যক্তি ইমামকে (মুসলিম শাসককে দীনি বিষয়ে) সাহায্য করে, সে আল্লাহর, যিম্মায় থাকে এবং যে ব্যক্তি কারো গীবত না করে ঘরে বসে থাকে, সেও আল্লাহর যিম্মায় থাকে।
(আহমাদ, তাবারানী, ইবনে খুযায়মার সহীহ্ গ্রন্থে বর্ণিত। আর ইবনে হিব্বান নিজ শব্দে বর্ণনা করেন। তাবারানীর শব্দমালা এরূপঃ "যে ব্যক্তি (নীরবতা অবলম্বনের উদ্দেশ্যে নিজ) ঘরে বসে থাকে মানুষ তার (অনিষ্ট থেকে) নিরাপত্তা লাভ করে এবং সেও মানুষের (অনিষ্ট থেকে) নিরাপদ থাকে।"
ইমাম আবূ দাউদ (র)ও এরূপ বর্ণনা করেছেন, যার শব্দমালা পূর্বে বর্ণিত রয়েছে। তাবারানীর আওসাত গ্রন্থে হযরত আয়েশা (রা) থেকে এরূপ বর্ণিত আছে যে, তিনি (নবী ﷺ) বলেছেন: ছয়টি গুণের একটি গুণও যদি কারো মধ্যে থাকে এবং সে তার উপর মৃত্যুবরণ করে, তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো আল্লাহর যিম্মায় চলে যায়। এরপর তিনি এগুলোর একটি উল্লেখ করে বলেন: "ঐ ব্যক্তিকেও জান্নাতে প্রবেশ করানো আল্লাহর যিম্মায় চলে যায়, যে মুসলমানদের গীবত না করে তার ঘরে থাকে এবং সে তাদের ক্ষুদ্ধ করার মত অথবা আঘাত করার মত কোন কাজ করে না।")
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي الْعُزْلَة لمن لَا يَأْمَن على نَفسه عِنْد الِاخْتِلَاط
4168- وَعَن معَاذ بن جبل رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من جَاهد فِي سَبِيل الله كَانَ ضَامِنا على الله وَمن عَاد مَرِيضا كَانَ ضَامِنا على الله وَمن دخل على إِمَامه يعزره كَانَ ضَامِنا على الله وَمن جلس فِي بَيته لم يغتب إنْسَانا كَانَ ضَامِنا على الله

رَوَاهُ أَحْمد وَالطَّبَرَانِيّ وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَابْن حبَان وَاللَّفْظ لَهُ وَعند الطَّبَرَانِيّ
أَو قعد فِي بَيته فَسلم النَّاس مِنْهُ وَسلم من النَّاس
وَهُوَ عِنْد أبي دَاوُد بِنَحْوِهِ وَتقدم لَفظه وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط من حَدِيث عَائِشَة وَلَفظه قَالَ خِصَال سِتّ مَا من مُسلم يَمُوت فِي وَاحِدَة مِنْهُنَّ إِلَّا كَانَ ضَامِنا على الله أَن يدْخل الْجنَّة فَذكر مِنْهَا وَرجل فِي بَيته لَا يغتاب الْمُسلمين وَلَا يجر إِلَيْهِم سخطا وَلَا نقمة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪১৬৯
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ মানুষের সাথে মেলামেশায় নিরাপত্তাহীনতার আশংকা থাকলে নির্জনতা অবলম্বনের প্রতি অনুপ্রেরণা
৪১৬৯. হযরত সাহল ইবনে সা'দ সাঈদী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি। লোকদের মধ্যে আমার কাছে ঐ ব্যক্তি সর্বাধিক প্রিয়, যে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (ﷺ)-এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, সালাত কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, বৈধভাবে তার সম্পদ বৃদ্ধি করে তার দীনের হিফাযত করে এবং মানুষ থেকে নির্জনতা অবলম্বন করে।
(ইবনে আবদু দুনিয়া العزلة অধ্যায়ে বর্ণনা করেন।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي الْعُزْلَة لمن لَا يَأْمَن على نَفسه عِنْد الِاخْتِلَاط
4169 - وَرُوِيَ عَن سهل بن سعد السَّاعِدِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول إِن أعجب النَّاس إِلَيّ رجل يُؤمن بِاللَّه وَرَسُوله وَيُقِيم الصَّلَاة ويؤتي الزَّكَاة ويعمر مَاله ويحفظ دينه ويعتزل النَّاس

رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا فِي الْعُزْلَة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪১৭০
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ মানুষের সাথে মেলামেশায় নিরাপত্তাহীনতার আশংকা থাকলে নির্জনতা অবলম্বনের প্রতি অনুপ্রেরণা
৪১৭০. হযরত সাওবান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: সুসংবাদ ঐ ব্যক্তির জন্য, যে নিজ রসনা সংযত করে, তার ঘর লোকদের জন্য উন্মুক্ত রাখে এবং নিজ গুনাহের জন্য কাঁদে।
(তাবারানী (র) 'আওসাত ও সাগীর' গ্রন্থে উত্তম সনদে বর্ণনা করেন।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي الْعُزْلَة لمن لَا يَأْمَن على نَفسه عِنْد الِاخْتِلَاط
4170- وَعَن ثَوْبَان رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم طُوبَى لمن ملك لِسَانه ووسعه بَيته وَبكى على خطيئته

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَالصَّغِير وَحسن إِسْنَاده
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪১৭১
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ মানুষের সাথে মেলামেশায় নিরাপত্তাহীনতার আশংকা থাকলে নির্জনতা অবলম্বনের প্রতি অনুপ্রেরণা
৪১৭১. হযরত উকবা ইবনে আমির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন। একদা আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! সে কি মুক্ত? তিনি বলেনঃ তুমি তোমার রসনা সংযত রাখা অপরিহার্য করে নাও, তোমার ঘর (মানব সেবায়) উন্মুক্ত রাখ এবং নিজ গুনাহের জন্য কাঁদো।
(তিরমিযী, ইবনে আবদু দুনিয়া ও বায়হাকী বর্ণিত। তাঁরা সবাই উবায়দুল্লাহ ইবনে যাহর (র) থেকে, তিনি আলী ইবনে ইয়াযীদ (র) থেকে বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী (র) বলেনঃ হাদীসটি হাসান।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي الْعُزْلَة لمن لَا يَأْمَن على نَفسه عِنْد الِاخْتِلَاط
4171- وَعَن عقبَة بن عَامر رَضِي الله عَنهُ قَالَ قلت يَا رَسُول الله مَا النجَاة قَالَ أمسك عَلَيْك لسَانك وليسعك بَيْتك وابك على خطيئتك

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن أبي الدُّنْيَا وَالْبَيْهَقِيّ كلهم من طَرِيق عبيد الله بن زحر عَن عَليّ بن يزِيد وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث حسن
tahqiq

তাহকীক: