আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
৫. অধ্যায়ঃ নামাজ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪৮২ টি
হাদীস নং: ৮০১
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সিজদার স্থান থেকে কংকর এবং অপরাপর বস্তু অপসারণ করা এবং বিনা প্রয়োজনে ফুঁ দেয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৮০১. হযরত মুআয়কীব (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (সা) বলেছেন: তুমি সালাতে থাকাকালীন কংকর অপসারিত করো না। তবে কংকর যদি তোমার সরাতেই হয় তাহলে কেবল একবার সরানো যায়।
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ, আবু দাউদ ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ, আবু দাউদ ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من مسح الْحَصَى وَغَيره فِي مَوضِع السُّجُود والنفخ فِيهِ لغير ضَرُورَة
801 - وَعَن معيقيب رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَا تمسح الْحَصَى وَأَنت تصلي فَإِن كنت لَا بُد فَاعِلا فَوَاحِدَة تَسْوِيَة الْحَصَى
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮০২
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সিজদার স্থান থেকে কংকর এবং অপরাপর বস্তু অপসারণ করা এবং বিনা প্রয়োজনে ফুঁ দেয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৮০২. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সালাতে থাকাকালীন কংকর সরানো সম্পর্কে আমি নবী (সা) এর কাছে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন: কেবল একবার। তবে তুমি যদি তা থেকে বিরত থাক, তাহলে হৃষ্টপুষ্ট কালো চক্ষুবিশিষ্ট একশটি উটনী সদকা করা হতে তা হবে উত্তম।
(ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
(ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من مسح الْحَصَى وَغَيره فِي مَوضِع السُّجُود والنفخ فِيهِ لغير ضَرُورَة
802 - وَعَن جَابر رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَأَلت النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم عَن مسح الْحَصَى فِي الصَّلَاة فَقَالَ وَاحِدَة وَلِأَن تمسك عَنْهَا خير لَك من مائَة نَاقَة كلهَا سود الحدق
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮০৩
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সিজদার স্থান থেকে কংকর এবং অপরাপর বস্তু অপসারণ করা এবং বিনা প্রয়োজনে ফুঁ দেয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৮০৩. হযরত তালহা (রা)-এর মুক্তদাস আবূ সালিহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নবী (সা) পত্নী হযরত উম্মু সালামা (রা)-এর নিকট ছিলাম। এমন সময় দীর্ঘ কেশধারী তাঁর নিকটাত্মীয় এক যুবক এলো। সে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করল। সে সিজদা দেওয়ার সময় ফুঁ দিল। তিনি বললেনঃ তুমি (এরূপ) করো না।
কেননা রাসুলুল্লাহ (সা) আমাদের কৃষ্ণকায় গোলামকে বললেনঃ হে রবাহ! তোমার মুখমণ্ডল ধূলোয় ধূসরিত কর।
(ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এবং ইমাম তিরমিযী মায়মূন আবু হামযা ..... আবু সালিহ থেকে এবং তিনি হযরত উম্মু সালামা (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন: নবী (সা)একবার আমাদের গোলাম আফলাহকে সিজদার সময় ফুঁ দিতে দেখে বললেনঃ হে আফলাহ! তোমার মুখমণ্ডল ধূলোয় ধূসরিত কর।
হযরত হুযায়ফা (রা) বর্ণিত "সালাতের প্রতি অনুপ্রেরণা" শীর্ষক একটি হাদীস আগের অনুচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন। বান্দার সিজদায় তার চেহারা ধূলোয় ধূসরিত করার চেয়ে পসন্দনীয় অবস্থা আল্লাহর কাছে কিছু নেই।। তাবারানী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
কেননা রাসুলুল্লাহ (সা) আমাদের কৃষ্ণকায় গোলামকে বললেনঃ হে রবাহ! তোমার মুখমণ্ডল ধূলোয় ধূসরিত কর।
(ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এবং ইমাম তিরমিযী মায়মূন আবু হামযা ..... আবু সালিহ থেকে এবং তিনি হযরত উম্মু সালামা (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন: নবী (সা)একবার আমাদের গোলাম আফলাহকে সিজদার সময় ফুঁ দিতে দেখে বললেনঃ হে আফলাহ! তোমার মুখমণ্ডল ধূলোয় ধূসরিত কর।
হযরত হুযায়ফা (রা) বর্ণিত "সালাতের প্রতি অনুপ্রেরণা" শীর্ষক একটি হাদীস আগের অনুচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন। বান্দার সিজদায় তার চেহারা ধূলোয় ধূসরিত করার চেয়ে পসন্দনীয় অবস্থা আল্লাহর কাছে কিছু নেই।। তাবারানী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من مسح الْحَصَى وَغَيره فِي مَوضِع السُّجُود والنفخ فِيهِ لغير ضَرُورَة
803 - وَعَن أبي صَالح مولى طَلْحَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ كنت عِنْد أم سَلمَة زوج النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَأتى ذُو قرابتها شَاب ذُو جمة فَقَامَ يُصَلِّي فَلَمَّا أَرَادَ أَن يسْجد نفخ فَقَالَت لَا تفعل فَإِن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَانَ يَقُول لغلام لنا أسود يَا رَبَاح ترب وَجهك
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيّ من رِوَايَة مَيْمُون أبي حَمْزَة عَن أبي صَالح عَن أم سَلمَة قَالَت رأى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم غُلَاما لنا يُقَال لَهُ أَفْلح إِذا سجد نفخ فَقَالَ يَا أَفْلح ترب وَجهك
وَتقدم فِي التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة حَدِيث حُذَيْفَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا من حَالَة يكون العَبْد فِيهَا أحب إِلَى الله من أَن يرَاهُ سَاجِدا يعفر وَجهه فِي التُّرَاب
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيّ من رِوَايَة مَيْمُون أبي حَمْزَة عَن أبي صَالح عَن أم سَلمَة قَالَت رأى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم غُلَاما لنا يُقَال لَهُ أَفْلح إِذا سجد نفخ فَقَالَ يَا أَفْلح ترب وَجهك
وَتقدم فِي التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة حَدِيث حُذَيْفَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا من حَالَة يكون العَبْد فِيهَا أحب إِلَى الله من أَن يرَاهُ سَاجِدا يعفر وَجهه فِي التُّرَاب
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮০৪
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতে কোমরে হাত বাঁধার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৮০৪. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: সালাতে থাকাকালীন সময়ে কোমরে হাত বাঁধতে নিষেধ করা হয়েছে।
(বুখারী, মুসলিম ও তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাঁদের শব্দমালা হলঃ নবী (সা) সালাতে মুসল্লীকে কোমরে হাত বাঁধতে নিষেধ করেছেন। নাসাঈ ও আবু দাউদ ও অনুরূপ বর্ণনা করেন।)
(বুখারী, মুসলিম ও তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাঁদের শব্দমালা হলঃ নবী (সা) সালাতে মুসল্লীকে কোমরে হাত বাঁধতে নিষেধ করেছেন। নাসাঈ ও আবু দাউদ ও অনুরূপ বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من وضع الْيَد على الخاصرة فِي الصَّلَاة
804 - عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ نهي عَن الخصر فِي الصَّلَاة
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَلَفْظهمَا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نهى أَن يُصَلِّي الرجل مُخْتَصرا
وَالنَّسَائِيّ نَحوه وَأَبُو دَاوُد وَقَامَ يَعْنِي يضع يَده على خاصرته
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَلَفْظهمَا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نهى أَن يُصَلِّي الرجل مُخْتَصرا
وَالنَّسَائِيّ نَحوه وَأَبُو دَاوُد وَقَامَ يَعْنِي يضع يَده على خاصرته
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮০৫
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতে কোমরে হাত বাঁধার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৮০৫. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: সালাতে থাকাকালীন সময়ে কোমরে
হাত বাঁধা, জাহান্নামীর শান্তিলাভের চেষ্টামাত্র।
(ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান উভয়ে তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থে এ হাদীস বর্ণনা করেন।)
হাত বাঁধা, জাহান্নামীর শান্তিলাভের চেষ্টামাত্র।
(ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান উভয়ে তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থে এ হাদীস বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من وضع الْيَد على الخاصرة فِي الصَّلَاة
805 - وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الِاخْتِصَار فِي الصَّلَاة رَاحَة أهل النَّار
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮০৬
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ মুসল্লীর সামনে দিয়ে যাতায়াতের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৮০৬. হযরত আবুল জাহম আবদুল্লাহ ইবন হারিস ইবন সিম্মাহ আনসারী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ সালাতরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে গমনকারী যদি জানত যে, তার উপর কি পাপের বোঝা চেপেছে, তবে চল্লিশ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকাও তার পক্ষে উত্তম হতো। আবূ নযর বলেনঃ আমি জানি না, তিনি চল্লিশ দিন বলেছেন কিংবা মাস অথবা বছর।
(বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। বাযযার নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেন: আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ সালাতরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে গমনকারী ব্যক্তি যদি জানত যে, তার উপর কি পাপের বোঝা চেপেছে, তবে সে মুসল্লীর সামনে দিয়ে গমন করার চেয়ে চল্লিশ বছর পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকা তার জন্য কল্যাণকর মনে করত। এ হাদীসের রাবীদের বর্ণনা সহীহ পর্যায়ের। ইমাম তিরমিযী বলেন: হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, সালাতরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে তোমাদের কারো যাতায়াত করার চেয়ে একশ বছর দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম।)
(বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। বাযযার নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেন: আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ সালাতরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে গমনকারী ব্যক্তি যদি জানত যে, তার উপর কি পাপের বোঝা চেপেছে, তবে সে মুসল্লীর সামনে দিয়ে গমন করার চেয়ে চল্লিশ বছর পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকা তার জন্য কল্যাণকর মনে করত। এ হাদীসের রাবীদের বর্ণনা সহীহ পর্যায়ের। ইমাম তিরমিযী বলেন: হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, সালাতরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে তোমাদের কারো যাতায়াত করার চেয়ে একশ বছর দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من الْمُرُور بَين يَدي الْمُصَلِّي
806 - عَن أبي الجهم عبد الله بن الْحَارِث بن الصمَّة الْأنْصَارِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَو يعلم الْمَار بَين يَدي الْمُصَلِّي مَاذَا عَلَيْهِ لَكَانَ أَن يقف أَرْبَعِينَ خير لَهُ من أَن يمر بَين يَدَيْهِ
قَالَ أَبُو النَّضر لَا أَدْرِي
قَالَ أَرْبَعِينَ يَوْمًا أَو شهرا أَو سنة
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
وَرَوَاهُ الْبَزَّار وَلَفظه سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول لَو يعلم الْمَار بَين يَدي الْمُصَلِّي مَاذَا عَلَيْهِ لَكَانَ لِأَن يقوم أَرْبَعِينَ خَرِيفًا خير لَهُ من أَن يمر بَين يَدَيْهِ وَرِجَاله رجال الصَّحِيح
قَالَ التِّرْمِذِيّ وَقد رُوِيَ عَن أنس أَنه قَالَ لِأَن يقف أحدكُم مائَة عَام خير لَهُ من أَن يمر بَين يَدي أَخِيه وَهُوَ يُصَلِّي
قَالَ أَبُو النَّضر لَا أَدْرِي
قَالَ أَرْبَعِينَ يَوْمًا أَو شهرا أَو سنة
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
وَرَوَاهُ الْبَزَّار وَلَفظه سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول لَو يعلم الْمَار بَين يَدي الْمُصَلِّي مَاذَا عَلَيْهِ لَكَانَ لِأَن يقوم أَرْبَعِينَ خَرِيفًا خير لَهُ من أَن يمر بَين يَدَيْهِ وَرِجَاله رجال الصَّحِيح
قَالَ التِّرْمِذِيّ وَقد رُوِيَ عَن أنس أَنه قَالَ لِأَن يقف أحدكُم مائَة عَام خير لَهُ من أَن يمر بَين يَدي أَخِيه وَهُوَ يُصَلِّي
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮০৭
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ মুসল্লীর সামনে দিয়ে যাতায়াতের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৮০৭. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তোমাদের কেউ যদি জানত যে, সালাতরত তার ভাই, যিনি তার রবের সাথে নীরবে বাক্যালাপ করছেন, তার সামনে দিয়ে আড়াআড়ি যাতায়াতে কি পাপ রয়েছে; তা হলে সে তার সামনে দিয়ে যাতায়াত করার চেয়ে একশ বছর দাঁড়িয়ে থাকা অধিক পসন্দ করত।
(ইবন মাজাহ সহীহ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান উভয়ে তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। শব্দমালা ইবন হিব্বানের।)
(ইবন মাজাহ সহীহ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান উভয়ে তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। শব্দমালা ইবন হিব্বানের।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من الْمُرُور بَين يَدي الْمُصَلِّي
807 - وعن أبي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: لو يعلم أحدكم ماله في أن يمشى بين يدى أخيه معترضا وهو يناجى ربه لكان أن يقف في ذلك المقام مائة عام أحب إليه من الخطوة التى خطاها. رواه ابن ماجه بإسناد صحيح، وابن خزيمة، وابن حبان في صحيحيهما، واللفظ لابن حبان.
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮০৮
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ মুসল্লীর সামনে দিয়ে যাতায়াতের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৮০৮. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের কেউ যখন মানুষ থেকে সুতরা বানিয়ে সালাতে দাঁড়ায়, আর কেউ তা অতিক্রম করতে চায়, তখন তার উচিত তাকে গলা ধাক্কা দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া। যদি সে অস্বীকার করে, তবে তার সাথে সে যেন লড়াই করে। কেননা সে (মানবরূপী) শয়তান।
অন্য শব্দযোগে বর্ণিত হয়েছে যে, যখন তোমাদের কেউ সালাত আদায় করবে, তখন সে তার সামনে দিয়ে কাউকে যেতে দেবে না, বরং যথাসাধ্য তাকে বাধা দেবে। যদি সে তা না মানে, তবে সে যেন তার সাথে লড়াই করে। কেননা সে (মানবরূপী) শয়তান।
(বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে শব্দসমূহ মুসলিমের। আবূ দাউদও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।)
অন্য শব্দযোগে বর্ণিত হয়েছে যে, যখন তোমাদের কেউ সালাত আদায় করবে, তখন সে তার সামনে দিয়ে কাউকে যেতে দেবে না, বরং যথাসাধ্য তাকে বাধা দেবে। যদি সে তা না মানে, তবে সে যেন তার সাথে লড়াই করে। কেননা সে (মানবরূপী) শয়তান।
(বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে শব্দসমূহ মুসলিমের। আবূ দাউদও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من الْمُرُور بَين يَدي الْمُصَلِّي
808 - وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول إِذا صلى أحدكُم إِلَى شَيْء يستره من النَّاس فَأَرَادَ أحد أَن يجتاز بَين يَدَيْهِ فليدفع فِي نَحره فَإِن أَبى فليقاتله فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَان
وَفِي لفظ آخر إِذا كَانَ أحدكُم يُصَلِّي فَلَا يدع أحدا يمر بَين يَدَيْهِ وليدرأه مَا اسْتَطَاعَ فَإِن أَبى فليقاتله فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَان
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَاللَّفْظ لَهُ وَأَبُو دَاوُد نَحوه
وَفِي لفظ آخر إِذا كَانَ أحدكُم يُصَلِّي فَلَا يدع أحدا يمر بَين يَدَيْهِ وليدرأه مَا اسْتَطَاعَ فَإِن أَبى فليقاتله فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَان
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَاللَّفْظ لَهُ وَأَبُو دَاوُد نَحوه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮০৯
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ মুসল্লীর সামনে দিয়ে যাতায়াতের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৮০৯. হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তোমাদের কেউ যখন সালাত আদায় করে, তখন তার সামনে দিয়ে গমনকারীকে সে যেন ছেড়ে না দেয়। যদি সে অমান্য করে, তবে সে যেন তার সাথে লড়াই করে। কেননা তার সাথে রয়েছে (শয়তান) একজন সাথী।
(ইবন মাজাহ সহীহ সনদে এবং ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(ইবন মাজাহ সহীহ সনদে এবং ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من الْمُرُور بَين يَدي الْمُصَلِّي
809 - وَعَن عبد الله بن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِذا كَانَ أحدكُم يُصَلِّي فَلَا يدع أحدا يمر بَين يَدَيْهِ فَإِن أَبى فليقاتله فَإِن مَعَه القرين
رَوَاهُ ابْن مَاجَه بِإِسْنَاد صَحِيح وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه
رَوَاهُ ابْن مَاجَه بِإِسْنَاد صَحِيح وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮১০
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ মুসল্লীর সামনে দিয়ে যাতায়াতের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৮১০. হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: স্বেচ্ছায় কোন ব্যক্তির সালাত আদায়কারীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করার চেয়ে তার জ্বলেপুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া উত্তম।
(ইবন আবদুল বার তাঁর কিতাবের ভূমিকায় মাওকুফ হিসেবে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
(ইবন আবদুল বার তাঁর কিতাবের ভূমিকায় মাওকুফ হিসেবে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من الْمُرُور بَين يَدي الْمُصَلِّي
810 - وَعَن عبد الله بن عَمْرو رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ لِأَن يكون الرجل رَمَادا يذرى بِهِ خير لَهُ من أَن يمر بَين يَدي رجل مُتَعَمدا وَهُوَ يُصَلِّي
رَوَاهُ ابْن عبد الْبر فِي التَّمْهِيد مَوْقُوفا
رَوَاهُ ابْن عبد الْبر فِي التَّمْهِيد مَوْقُوفا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮১১
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ স্বেচ্ছায় সালাত বর্জন এবং অবহেলা করে ওয়াক্ত সরে যাওয়ার পর সালাত আদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৮১১. হযরত জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: বান্দা ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত বর্জন করা।
(আহমদ ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম মুসলিমের বর্ণনায় আছেঃ মানুষের এবং শিরক ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত বর্জন করা। আবু দাউদ ও নাসাঈ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম নাসাঈ নিজ শব্দ যোগে বর্ণনা করেন: বান্দা ও কুফরের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, কেবল সালাত বর্জন করা ব্যতীত। ইমাম তিরমিযী নিজ শব্দ যোগে বর্ণনা করেনঃ কুফর ও ঈমানের মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত বর্জন করা। ইবন মাজাহ নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেনঃ বান্দা ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত বর্জন করা।)
(আহমদ ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম মুসলিমের বর্ণনায় আছেঃ মানুষের এবং শিরক ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত বর্জন করা। আবু দাউদ ও নাসাঈ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম নাসাঈ নিজ শব্দ যোগে বর্ণনা করেন: বান্দা ও কুফরের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, কেবল সালাত বর্জন করা ব্যতীত। ইমাম তিরমিযী নিজ শব্দ যোগে বর্ণনা করেনঃ কুফর ও ঈমানের মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত বর্জন করা। ইবন মাজাহ নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেনঃ বান্দা ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত বর্জন করা।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من ترك الصَّلَاة تعمدا وإخراجها عَن وَقتهَا تهاونا
811 - عَن جَابر بن عبد الله رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بَين الرجل وَبَين الْكفْر ترك الصَّلَاة
رَوَاهُ أَحْمد وَمُسلم وَقَالَ بَين الرجل وَبَين الشّرك وَالْكفْر ترك الصَّلَاة
وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَلَفظه لَيْسَ بَين العَبْد وَبَين الْكفْر إِلَّا ترك الصَّلَاة
وَالتِّرْمِذِيّ وَلَفظه قَالَ بَين الْكفْر وَالْإِيمَان ترك الصَّلَاة
وَابْن مَاجَه وَلَفظه قَالَ بَين العَبْد وَبَين الْكفْر ترك الصَّلَاة
رَوَاهُ أَحْمد وَمُسلم وَقَالَ بَين الرجل وَبَين الشّرك وَالْكفْر ترك الصَّلَاة
وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَلَفظه لَيْسَ بَين العَبْد وَبَين الْكفْر إِلَّا ترك الصَّلَاة
وَالتِّرْمِذِيّ وَلَفظه قَالَ بَين الْكفْر وَالْإِيمَان ترك الصَّلَاة
وَابْن مَاجَه وَلَفظه قَالَ بَين العَبْد وَبَين الْكفْر ترك الصَّلَاة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮১২
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ স্বেচ্ছায় সালাত বর্জন এবং অবহেলা করে ওয়াক্ত সরে যাওয়ার পর সালাত আদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৮১২. হযরত বুরায়দা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি: আমাদের ও তাদের (কাফিরদের) মধ্যে যে অংগীকার রয়েছে, তা হলো সালাত। কাজেই যে ব্যক্তি সালাত বর্জন করল, সে কুফরী করল।
(আহমদ, আবু দাউদ, নাসাঈ এবং তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ইবন মাজাহ ও ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: হাদীসটি সহীহ, মু'আল্লাল নয়।)
(আহমদ, আবু দাউদ, নাসাঈ এবং তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ইবন মাজাহ ও ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: হাদীসটি সহীহ, মু'আল্লাল নয়।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من ترك الصَّلَاة تعمدا وإخراجها عَن وَقتهَا تهاونا
812 - وَعَن بُرَيْدَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول الْعَهْد الَّذِي بَيْننَا وَبينهمْ الصَّلَاة فَمن تَركهَا فقد كفر
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح وَابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح وَلَا نَعْرِف لَهُ عِلّة
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح وَابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح وَلَا نَعْرِف لَهُ عِلّة
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৮১৩
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ স্বেচ্ছায় সালাত বর্জন এবং অবহেলা করে ওয়াক্ত সরে যাওয়ার পর সালাত আদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৮১৩. হযরত উবাদা ইবন সমিত (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার বন্ধু রাসূলুল্লাহ (সা) সাতটি বিষয়ে আমাকে উপদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন: তোমরা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না, যদিও তোমাদের কেটে টুকরা টুকরা করা হয় অথবা অগ্নি দগ্ধ করা হয় অথবা শূলিবিদ্ধ করা হয়। তোমরা স্বেচ্ছায় সালাত বর্জন করবে না, যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় সালাত বর্জন করবে, সে ধর্ম থেকে বেরিয়ে যাবে। তোমরা গুনাহের কাজ করবে না। কেননা তা আল্লাহর ক্রোধের কারণ। তোমরা মদ্যপান করবে না, কেননা তা সকল পাপের মূল। হাদীসের শেষ পর্যন্ত।
(তাবারানী এবং মুহাম্মদ ইবন নাসর 'সালাত' অধ্যায়ে ত্রুটিমুক্ত সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
(তাবারানী এবং মুহাম্মদ ইবন নাসর 'সালাত' অধ্যায়ে ত্রুটিমুক্ত সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من ترك الصَّلَاة تعمدا وإخراجها عَن وَقتهَا تهاونا
813 - وَعَن عبَادَة بن الصَّامِت رَضِي الله عَنهُ قَالَ أَوْصَانِي خليلي رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بِسبع خِصَال فَقَالَ لَا تُشْرِكُوا بِاللَّه شَيْئا وَإِن قطعْتُمْ أَو حرقتم أَو صلبتم وَلَا تتركوا الصَّلَاة متعمدين فَمن تَركهَا مُتَعَمدا فقد خرج من الْملَّة وَلَا تركبوا الْمعْصِيَة فَإِنَّهَا سخط الله وَلَا تشْربُوا الْخمر فَإِنَّهَا رَأس الْخَطَايَا كلهَا
الحَدِيث
وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَمُحَمّد بن نصر فِي كتاب الصَّلَاة بِإِسْنَادَيْنِ لَا بَأْس بهما
الحَدِيث
وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَمُحَمّد بن نصر فِي كتاب الصَّلَاة بِإِسْنَادَيْنِ لَا بَأْس بهما
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮১৪
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ স্বেচ্ছায় সালাত বর্জন এবং অবহেলা করে ওয়াক্ত সরে যাওয়ার পর সালাত আদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৮১৪. হযরত আবদুল্লাহ ইবন শাকীক উকায়লী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুহাম্মদ (সা) এর সাহাবাগণ তাঁদের আমলের মধ্য থেকে সালাত ব্যতীত অন্য কোন কোন আমল ত্যাগ করা কুফরী মনে করতেন না।
(তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من ترك الصَّلَاة تعمدا وإخراجها عَن وَقتهَا تهاونا
814 - وَعَن عبد الله بن شَقِيق الْعقيلِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ كَانَ أَصْحَاب مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا يرَوْنَ شَيْئا من الْأَعْمَال تَركه كفر غير الصَّلَاة
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৮১৫
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ স্বেচ্ছায় সালাত বর্জন এবং অবহেলা করে ওয়াক্ত সরে যাওয়ার পর সালাত আদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৮১৫. হযরত সাওবান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ বান্দার এবং কুফর ও ঈমানের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে সালাত বর্জন করা। কাজেই যখন সে সালাত বর্জন করল, সে শিরক করল।
(হিবতুল্লাহ তাবারী সহীহ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(হিবতুল্লাহ তাবারী সহীহ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من ترك الصَّلَاة تعمدا وإخراجها عَن وَقتهَا تهاونا
815 - وَعَن ثَوْبَان رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول بَين العَبْد وَبَين الْكفْر وَالْإِيمَان الصَّلَاة فَإِذا تَركهَا فقد أشرك
رَوَاهُ هبة الله الطَّبَرِيّ بِإِسْنَاد صَحِيح
رَوَاهُ هبة الله الطَّبَرِيّ بِإِسْنَاد صَحِيح
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৮১৬
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ স্বেচ্ছায় সালাত বর্জন এবং অবহেলা করে ওয়াক্ত সরে যাওয়ার পর সালাত আদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৮১৬. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে সালাত আদায় করে না, ইসলামে তার কোন হিস্সা নেই এবং যার উযূ নেই, তার সালাত কবুল করা হয় না।
(বাযযার হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(বাযযার হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من ترك الصَّلَاة تعمدا وإخراجها عَن وَقتهَا تهاونا
816 - وَرُوِيَ عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا سهم فِي الْإِسْلَام لمن لَا صَلَاة لَهُ وَلَا صَلَاة لمن لَا وضوء لَهُ
رَوَاهُ الْبَزَّار
رَوَاهُ الْبَزَّار
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮১৭
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ স্বেচ্ছায় সালাত বর্জন এবং অবহেলা করে ওয়াক্ত সরে যাওয়ার পর সালাত আদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৮১৭. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যার আমানতদারী নেই, তার ঈমান নেই। যে পবিত্রতা অর্জন করে নি, তার সালাত কবুল করা হয় না। যে সালাত আদায় করে না, তার দ্বীন নেই। কেননা দ্বীনে সালাত হচ্ছে শরীরে মাথার অবস্থানের ন্যায়।
(তাবারানী 'আওসাত' ও 'সাগীর' গ্রন্থে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন: হুসায়ন ইবন হাকাম হিবরী এককভাবে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন।)
(তাবারানী 'আওসাত' ও 'সাগীর' গ্রন্থে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন: হুসায়ন ইবন হাকাম হিবরী এককভাবে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من ترك الصَّلَاة تعمدا وإخراجها عَن وَقتهَا تهاونا
817 - وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا إِيمَان لمن لَا أَمَانَة لَهُ وَلَا صَلَاة لمن لَا طهُور لَهُ وَلَا دين لمن لَا صَلَاة لَهُ إِنَّمَا مَوضِع الصَّلَاة من الدّين كموضع الرَّأْس من الْجَسَد
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَالصَّغِير وَقَالَ تفرد بِهِ الْحُسَيْن بن الحكم الْحبرِي
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَالصَّغِير وَقَالَ تفرد بِهِ الْحُسَيْن بن الحكم الْحبرِي
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮১৮
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ স্বেচ্ছায় সালাত বর্জন এবং অবহেলা করে ওয়াক্ত সরে যাওয়ার পর সালাত আদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৮১৮. হযরত আবুদ-দারদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার বন্ধু রাসূলুল্লাহ (সা) আমাকে (এই মর্মে) উপদেশ দিয়েছেন যে, তুমি আল্লাহর সাথে কিছু শরীক করবে না, যদিও তোমাকে টুকরো টুকরো করা হয়
অথবা অগ্নিদগ্ধ করা হয়। স্বেচ্ছায় ফরয সালাত বর্জন করবে না। কেননা যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় তা বর্জন করবে, তার উপর থেকে নিরাপত্তা উঠে যাবে। আর মদ্যপান করবে না। কেননা তা হচ্ছে যাবতীয় অনিষ্টের মূল।
(ইবন মাজাহ, বায়হাকী শাহর সূত্রে হযরত উন্মুদ-দারদা (রা) থেকে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
অথবা অগ্নিদগ্ধ করা হয়। স্বেচ্ছায় ফরয সালাত বর্জন করবে না। কেননা যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় তা বর্জন করবে, তার উপর থেকে নিরাপত্তা উঠে যাবে। আর মদ্যপান করবে না। কেননা তা হচ্ছে যাবতীয় অনিষ্টের মূল।
(ইবন মাজাহ, বায়হাকী শাহর সূত্রে হযরত উন্মুদ-দারদা (রা) থেকে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من ترك الصَّلَاة تعمدا وإخراجها عَن وَقتهَا تهاونا
818 - وَعَن أبي الدَّرْدَاء رَضِي الله عَنهُ قَالَ أَوْصَانِي خليلي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَن لَا تشرك بِاللَّه شَيْئا وَإِن قطعت وَإِن حرقت وَلَا تتْرك صَلَاة مَكْتُوبَة مُتَعَمدا فَمن تَركهَا مُتَعَمدا فقد بَرِئت مِنْهُ الذِّمَّة وَلَا تشرب الْخمر فَإِنَّهُ مِفْتَاح كل شَرّ
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالْبَيْهَقِيّ عَن شهر عَن أم الدَّرْدَاء عَنهُ
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالْبَيْهَقِيّ عَن شهر عَن أم الدَّرْدَاء عَنهُ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৮১৯
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ স্বেচ্ছায় সালাত বর্জন এবং অবহেলা করে ওয়াক্ত সরে যাওয়ার পর সালাত আদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৮১৯. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার যখন চোখের জ্যোতি ক্ষীণ হয়ে পড়েছিল, তখন বলা হল, আমরা ঔষধ দিয়ে দেই, আপনি কয়েকদিন সালাত বর্জন করুন। তিনি বললেনঃ না (তা হতে পারে না)। কেননা রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সালাত বর্জন করবে, সে আল্লাহর সাথে এমন অবস্থায় সাক্ষাত করবে যে, তিনি তার প্রতি ক্ষুব্ধ হবেন।
(বাযযার ও তাবারানী 'কাবীর' গ্রন্থে হাদীসটি হাসান সনদে বর্ণনা করেন।)
(বাযযার ও তাবারানী 'কাবীর' গ্রন্থে হাদীসটি হাসান সনদে বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من ترك الصَّلَاة تعمدا وإخراجها عَن وَقتهَا تهاونا
819 - وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ لما قَامَ بَصرِي قيل نداويك وَتَدَع الصَّلَاة أَيَّامًا قَالَ لَا إِن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من ترك الصَّلَاة لَقِي الله وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَان
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَإِسْنَاده حسن
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَإِسْنَاده حسن
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮২০
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ স্বেচ্ছায় সালাত বর্জন এবং অবহেলা করে ওয়াক্ত সরে যাওয়ার পর সালাত আদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৮২০. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় সালাত বর্জন করল, সে প্রকাশ্যে কুফরী করল। তাবারানী 'আওসাত' গ্রন্থে ত্রুটিমুক্ত সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন। মুহাম্মদ ইবন নাসর সালাত অধ্যায়ে নিজ শব্দ যোগে বর্ণনা করেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি, বান্দার এবং কুফর অথবা শিরকের মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত বর্জন করা। কাজেই যে সালাত বর্জন করল, সে কুফরী করল।
(ইবন মাজাহ ইযীদ রাকাশী থেকে নবী (সা) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ বান্দার এবং শিরকের মধ্যে একমাত্র পার্থক্য হলো সালাত বর্জন করা। কাজেই সে যখন সালাত বর্জন করল, সে শরীক করল।)
(ইবন মাজাহ ইযীদ রাকাশী থেকে নবী (সা) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ বান্দার এবং শিরকের মধ্যে একমাত্র পার্থক্য হলো সালাত বর্জন করা। কাজেই সে যখন সালাত বর্জন করল, সে শরীক করল।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من ترك الصَّلَاة تعمدا وإخراجها عَن وَقتهَا تهاونا
820 - وَعَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من ترك الصَّلَاة مُتَعَمدا فقد كفر جهارا
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ وَرَوَاهُ مُحَمَّد بن نصر فِي كتاب الصَّلَاة وَلَفظه سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول بَين العَبْد وَالْكفْر أَو الشّرك ترك الصَّلَاة فَإِذا ترك الصَّلَاة فقد كفر
وَرَوَاهُ ابْن مَاجَه عَن يزِيد الرقاشِي عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَيْسَ بَين العَبْد والشرك إِلَّا ترك الصَّلَاة فَإِذا تَركهَا فقد أشرك
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ وَرَوَاهُ مُحَمَّد بن نصر فِي كتاب الصَّلَاة وَلَفظه سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول بَين العَبْد وَالْكفْر أَو الشّرك ترك الصَّلَاة فَإِذا ترك الصَّلَاة فقد كفر
وَرَوَاهُ ابْن مَاجَه عَن يزِيد الرقاشِي عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَيْسَ بَين العَبْد والشرك إِلَّا ترك الصَّلَاة فَإِذا تَركهَا فقد أشرك
তাহকীক: