আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
৫. অধ্যায়ঃ নামাজ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪৮২ টি
হাদীস নং: ৭৮১
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ অসম্পূর্ণ রুকু-সিজদা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, রুকু-সিজদার মাঝে পিঠ সোজা করা এবং সালাতে আল্লাহ-ভীতি প্রসঙ্গে
৭৮১. হযরত আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর (রা) থেকে বর্ণিত। একদা হযরত আবু তালহা আনসারী (রা) একটি দেয়াল ঘেঁষে (কক্ষে) সালাত আদায় করছিলেন। এ সময় একটি ছোট পাখি সুড়ঙ্গপথে ঢুকে বের হওয়ার পথ খুঁজছিল, কিন্তু সুড়ঙ্গ খুঁজে পাচ্ছিল না। এ ঘটনা তাকে বিস্ময়াভিভূত করল। ফলে ক্ষণিকের জন্য তাঁর দৃষ্টি সে দিকে চলে যায়। তারপর তিনি সালাতের প্রতি মনোনিবেশ করেন। অথচ কত রাক'আত সালাত আদায় করেছেন তা ভুলে যান। তিনি বললেন: আমাকে এ ফিৎনা পেয়ে বসেছে। তারপর তিনি রাসূলুল্লাহ (সা) এর কাছে তাঁর সালাতে সংঘটিত ঘটনা আলোচনা করলেন এবং বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ। আমি এটি (আল্লাহর নামে) সদকা করছি। আপনি ইচ্ছামত তা ব্যয় করুন।
(হাদীসটি মালিক বর্ণনা করেছেন। আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর এ কিসসা পান নি। তবে তিনি অন্য সূত্রে হযরত আবু তালহা (রা) কিংবা রাসূলুল্লাহ (সা) এর বরাত উল্লেখ না করে নিজ শব্দযোগে বলেছেনঃ খেজুরের মৌসুমে মদীনার কোন এক উপত্যকায় একটি দেয়াল (বাগান) ঘেঁষে এক আনসার সাহাবী সালাত আদায় করতেন। তখন খেজুর পেকেছিল, আর তা ছিল থোকায় থোকায়। তিনি তৎপ্রতি দৃষ্টি করেন। ফলে তিনি অভিভূত হয়ে পড়েন। এরপর তিনি সালাত শুরু করেন। অথচ তিনি কত রাক'আত সালাত আদায় করেছেন তা ভুলে গেলেন। তিনি বললেনঃ আমাকে ফিৎনা পেয়ে বসেছে। খলীফা উসমান (রা) তখন আসলেন, তিনি তাঁর কাছে ঘটনা আলোচনা করলেন। তিনি বললেন: তা সদকা, কাজেই তা আল্লাহর পথে সাদকা কর। সেমতে তিনি তা পঞ্চাশ হাজার দিরহামে বিক্রি করেন। ফলে এ মালের নামকরণ হয় 'পঞ্চম" (الْخمسين)।)
(হাদীসটি মালিক বর্ণনা করেছেন। আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর এ কিসসা পান নি। তবে তিনি অন্য সূত্রে হযরত আবু তালহা (রা) কিংবা রাসূলুল্লাহ (সা) এর বরাত উল্লেখ না করে নিজ শব্দযোগে বলেছেনঃ খেজুরের মৌসুমে মদীনার কোন এক উপত্যকায় একটি দেয়াল (বাগান) ঘেঁষে এক আনসার সাহাবী সালাত আদায় করতেন। তখন খেজুর পেকেছিল, আর তা ছিল থোকায় থোকায়। তিনি তৎপ্রতি দৃষ্টি করেন। ফলে তিনি অভিভূত হয়ে পড়েন। এরপর তিনি সালাত শুরু করেন। অথচ তিনি কত রাক'আত সালাত আদায় করেছেন তা ভুলে গেলেন। তিনি বললেনঃ আমাকে ফিৎনা পেয়ে বসেছে। খলীফা উসমান (রা) তখন আসলেন, তিনি তাঁর কাছে ঘটনা আলোচনা করলেন। তিনি বললেন: তা সদকা, কাজেই তা আল্লাহর পথে সাদকা কর। সেমতে তিনি তা পঞ্চাশ হাজার দিরহামে বিক্রি করেন। ফলে এ মালের নামকরণ হয় 'পঞ্চম" (الْخمسين)।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من عدم إتْمَام الرُّكُوع وَالسُّجُود وَإِقَامَة الصلب بَينهمَا وَمَا جَاءَ فِي الْخُشُوع
781 - وَعَن عبد الله بن أبي بكر أَن أَبَا طَلْحَة الْأنْصَارِيّ رَضِي الله عَنهُ كَانَ يُصَلِّي فِي حَائِط لَهُ فطار دبسي فَطَفِقَ يتَرَدَّد يلْتَمس مخرجا فَلَا يجد فأعجبه ذَلِك فَجعل يتبعهُ بَصَره سَاعَة ثمَّ رَجَعَ إِلَى صلَاته فَإِذا هُوَ لَا يدْرِي كم صلى فَقَالَ لقد أصابني فِي مَالِي هَذَا فتْنَة فجَاء إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَذكر لَهُ الَّذِي أَصَابَهُ فِي صلَاته وَقَالَ يَا رَسُول الله هُوَ صَدَقَة فضعه حَيْثُ شِئْت
رَوَاهُ مَالك وَعبد الله بن أبي بكر لم يدْرك الْقِصَّة وَرَوَاهُ من طَرِيق آخر فَلم يذكر فِيهِ أَبَا طَلْحَة وَلَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَلَفظه أَن رجلا من الْأَنْصَار كَانَ يُصَلِّي فِي حَائِط لَهُ بالقف وَاد من أَوديَة الْمَدِينَة فِي زمَان الثَّمر وَالنَّخْل قد ذللت وَهِي مطوقة بثمرها فَنظر إِلَيْهَا فَأَعْجَبتهُ ثمَّ رَجَعَ إِلَى صلَاته فَإِذا هُوَ لَا يدْرِي كم صلى فَقَالَ لقد أصابني فِي مَالِي هَذَا فتْنَة فجَاء عُثْمَان رَضِي الله عَنهُ وَهُوَ يَوْمئِذٍ خَليفَة فَذكر ذَلِك لَهُ وَقَالَ هُوَ صَدَقَة فاجعله فِي سَبِيل الْخَيْر فَبَاعَهُ بِخَمْسِينَ ألفا فَسمى ذَلِك المَال الْخمسين
رَوَاهُ مَالك وَعبد الله بن أبي بكر لم يدْرك الْقِصَّة وَرَوَاهُ من طَرِيق آخر فَلم يذكر فِيهِ أَبَا طَلْحَة وَلَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَلَفظه أَن رجلا من الْأَنْصَار كَانَ يُصَلِّي فِي حَائِط لَهُ بالقف وَاد من أَوديَة الْمَدِينَة فِي زمَان الثَّمر وَالنَّخْل قد ذللت وَهِي مطوقة بثمرها فَنظر إِلَيْهَا فَأَعْجَبتهُ ثمَّ رَجَعَ إِلَى صلَاته فَإِذا هُوَ لَا يدْرِي كم صلى فَقَالَ لقد أصابني فِي مَالِي هَذَا فتْنَة فجَاء عُثْمَان رَضِي الله عَنهُ وَهُوَ يَوْمئِذٍ خَليفَة فَذكر ذَلِك لَهُ وَقَالَ هُوَ صَدَقَة فاجعله فِي سَبِيل الْخَيْر فَبَاعَهُ بِخَمْسِينَ ألفا فَسمى ذَلِك المَال الْخمسين
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৮২
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ অসম্পূর্ণ রুকু-সিজদা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, রুকু-সিজদার মাঝে পিঠ সোজা করা এবং সালাতে আল্লাহ-ভীতি প্রসঙ্গে
৭৮২. আ'মাশ (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) যখন সালাত আদায় করতেন, তখন মনে হত তিনি একজন বস্ত্রাবৃত ব্যক্তি।
(তাবারানীর 'কাবীর' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত। তবে আমাশ ইবন মাসউদ (রা)-এর সাক্ষাত পান নি।)
(তাবারানীর 'কাবীর' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত। তবে আমাশ ইবন মাসউদ (রা)-এর সাক্ষাত পান নি।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من عدم إتْمَام الرُّكُوع وَالسُّجُود وَإِقَامَة الصلب بَينهمَا وَمَا جَاءَ فِي الْخُشُوع
782 - وَعَن الْأَعْمَش قَالَ كَانَ عبد الله يَعْنِي ابْن مَسْعُود إِذا صلى كَأَنَّهُ ثوب ملقى
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَالْأَعْمَش لم يدْرك ابْن مَسْعُود
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَالْأَعْمَش لم يدْرك ابْن مَسْعُود
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৮৩
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ অসম্পূর্ণ রুকু-সিজদা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, রুকু-সিজদার মাঝে পিঠ সোজা করা এবং সালাতে আল্লাহ-ভীতি প্রসঙ্গে
৭৮৩. হযরত উকবা ইবন আমির (রা) থেকে নবী (সা) ব্যক্তি উযূ করল এবং পূর্ণভাবে উযূ করল, এরপর সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: যখন কোন মুসলিম সে সালাতে দাঁড়াল এবং অর্থের প্রতি মনোযোগ দিয়ে সালাত আদায় করল, সালাত শেষে সে এমন হল যে, যেন আজ তার মা তাকে প্রসব করেছে।
(হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং বলেন, সহীহ সনদে হাদীসটি বর্ণিত। মুসলিম ও অন্যান্য গ্রন্থেও অনুরূপ বর্ণিত আছে। অনুরূপ হাদীস ইতোপূর্বে বর্ণিত হয়েছে।)
(হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং বলেন, সহীহ সনদে হাদীসটি বর্ণিত। মুসলিম ও অন্যান্য গ্রন্থেও অনুরূপ বর্ণিত আছে। অনুরূপ হাদীস ইতোপূর্বে বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من عدم إتْمَام الرُّكُوع وَالسُّجُود وَإِقَامَة الصلب بَينهمَا وَمَا جَاءَ فِي الْخُشُوع
783 - وَعَن عقبَة بن عَامر رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مَا من مُسلم يتَوَضَّأ فيسبغ الْوضُوء ثمَّ يقوم فِي صلَاته فَيعلم مَا يَقُول إِلَّا انْفَتَلَ وَهُوَ كَيَوْم وَلدته أمه
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد وَهُوَ فِي مُسلم وَغَيره بِنَحْوِهِ وَتقدم
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد وَهُوَ فِي مُسلم وَغَيره بِنَحْوِهِ وَتقدم
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৭৮৪
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাত আদায়কালে আকাশের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৭৮৪. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন; রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: লোকদের কী হয়েছে যে, তারা আসমানের দিকে চক্ষু উঠিয়ে সালাত আদায় করছে? এ সম্পর্কে কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করে তিনি বললেন: তারা অবশ্যই যেন উপরের দিকে দৃষ্টিপাত করা থেকে বিরত থাকে। অন্যথায় তাদের চক্ষুসমূহ উপড়িয়ে ফেলা হবে।
(বুখারী, আবু দাউদ, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(বুখারী, আবু দাউদ, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من رفع الْبَصَر إِلَى السَّمَاء فِي الصَّلَاة
784 - عَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا بَال أَقوام يرفعون أَبْصَارهم إِلَى السَّمَاء فِي صلَاتهم فَاشْتَدَّ قَوْله فِي ذَلِك حَتَّى قَالَ لينتهن عَن ذَلِك أَو لتخطفن أَبْصَارهم
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৮৫
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাত আদায়কালে আকাশের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৭৮৫. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তোমরা সালাতে আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করো না। অন্যথায় তোমাদের চোখের জ্যোতি কেড়ে নেওয়া হবে।
(ইবন মাজাহ ও তাবারানী 'কাবীর' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং এ দু'টি বর্ণনাকে সহীহ বলেছেন।
ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থেও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(ইবন মাজাহ ও তাবারানী 'কাবীর' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং এ দু'টি বর্ণনাকে সহীহ বলেছেন।
ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থেও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من رفع الْبَصَر إِلَى السَّمَاء فِي الصَّلَاة
785 - وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا تَرفعُوا أبصاركم إِلَى السَّمَاء فتلتمع يَعْنِي فِي الصَّلَاة
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير ورواتهما رُوَاة الصَّحِيح وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير ورواتهما رُوَاة الصَّحِيح وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৮৬
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাত আদায়কালে আকাশের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৭৮৬. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকেই বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: কেউ যেন সালাতের মধ্যে দু'আর সময়ে আকাশের দিকে না তাকায়, অন্যথায় তার দৃষ্টি নষ্ট করে দেয়া হবে।
(মুসলিম ও নাসাঈ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(মুসলিম ও নাসাঈ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من رفع الْبَصَر إِلَى السَّمَاء فِي الصَّلَاة
786 - وَعَن أبي هُرَيْرَة أَيْضا رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لينتهين أَقوام عَن رفعهم أَبْصَارهم إِلَى السَّمَاء عِنْد الدُّعَاء فِي الصَّلَاة أَو لتخطفن أَبْصَارهم
رَوَاهُ مُسلم وَالنَّسَائِيّ
رَوَاهُ مُسلم وَالنَّسَائِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৮৭
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাত আদায়কালে আকাশের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৭৮৭. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন। তোমাদের কেউ যখন সালাতে থাকে, তখন সে যেন তার চোখে দিয়ে আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত না করে- যাতে তার চোখের জ্যোতি চলে যায়।
(তাবারানী 'আওসাত' গ্রন্থে ইবন লাহীয়া সূত্রে এবং নাসাঈ উবায়দুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ ইবন উতবা সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন: নবী (সা) এর এক সাহাবী তার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি সরাসরি তাঁর কাছে শুনেন নি।)
(তাবারানী 'আওসাত' গ্রন্থে ইবন লাহীয়া সূত্রে এবং নাসাঈ উবায়দুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ ইবন উতবা সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন: নবী (সা) এর এক সাহাবী তার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি সরাসরি তাঁর কাছে শুনেন নি।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من رفع الْبَصَر إِلَى السَّمَاء فِي الصَّلَاة
787 - وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِذا كَانَ أحدكُم فِي الصَّلَاة فَلَا يرفع بَصَره إِلَى السَّمَاء لَا يلتمع
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط من رِوَايَة ابْن لَهِيعَة وَرَوَاهُ النَّسَائِيّ عَن عبيد الله بن عبد الله بن عتبَة أَن رجلا من أَصْحَاب النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم حَدثهُ وَلم يسمعهُ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط من رِوَايَة ابْن لَهِيعَة وَرَوَاهُ النَّسَائِيّ عَن عبيد الله بن عبد الله بن عتبَة أَن رجلا من أَصْحَاب النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم حَدثهُ وَلم يسمعهُ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৭৮৮
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাত আদায়কালে আকাশের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৭৮৮. হযরত জাবির ইবন সামুরা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (সা) বলেছেন: যারা সালাতের মধ্যে আকাশের দিকে তাকায়, অবশ্যই তাদের তা থেকে বিরত থাকা উচিত। অন্যথায় তাদের দৃষ্টিশক্তি আর ফিরে নাও আসতে পারে।
(মুসলিম, আবু দাউদ ও ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আবু দাউদে বর্ণিত আছে যে, একদা রাসূলুল্লাহ (সা) মসজিদে প্রবেশ করে দেখলেন, সেখানে লোকেরা তাদের হাত আকা শমুখী করে আছে। তিনি বললেন: লোকদের এ থেকে বিরত থাকা উচিত। অন্যথায় সালাতের মধ্যেই তাদের দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নেয়া হবে, অথবা তারা তাদের দৃষ্টিশক্তি আর ফিরে নাও পেতে পারে।)
(মুসলিম, আবু দাউদ ও ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আবু দাউদে বর্ণিত আছে যে, একদা রাসূলুল্লাহ (সা) মসজিদে প্রবেশ করে দেখলেন, সেখানে লোকেরা তাদের হাত আকা শমুখী করে আছে। তিনি বললেন: লোকদের এ থেকে বিরত থাকা উচিত। অন্যথায় সালাতের মধ্যেই তাদের দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নেয়া হবে, অথবা তারা তাদের দৃষ্টিশক্তি আর ফিরে নাও পেতে পারে।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من رفع الْبَصَر إِلَى السَّمَاء فِي الصَّلَاة
788 - وَعَن جَابر بن سَمُرَة رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لينتهين أَقوام يرفعون
أَبْصَارهم إِلَى السَّمَاء فِي الصَّلَاة أَو لَا ترجع إِلَيْهِم
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه وَلأبي دَاوُد دخل رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الْمَسْجِد فَرَأى فِيهِ نَاسا يصلونَ رافعي أَيْديهم إِلَى السَّمَاء فَقَالَ لينتهين رجال يشخصون أَبْصَارهم فِي الصَّلَاة أَو لَا ترجع إِلَيْهِم أَبْصَارهم
أَبْصَارهم إِلَى السَّمَاء فِي الصَّلَاة أَو لَا ترجع إِلَيْهِم
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه وَلأبي دَاوُد دخل رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الْمَسْجِد فَرَأى فِيهِ نَاسا يصلونَ رافعي أَيْديهم إِلَى السَّمَاء فَقَالَ لينتهين رجال يشخصون أَبْصَارهم فِي الصَّلَاة أَو لَا ترجع إِلَيْهِم أَبْصَارهم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৮৯
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতে এদিক সেদিক তাকান এবং অপরাপর উল্লেখযোগ্য বিষয়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৭৮৯. হযরত হারিস আশ'আরী (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (সা) বলেছেন : আল্লাহ তা'আলা ইয়াইয়া ইবন যাকারিয়্যা (আ)-কে পাঁচটি কাজ করার এবং বনী ইসরাঈলকে (উক্ত) পাঁচটি কাজের নির্দেশ দেন। কিন্তু তিনি তা সম্পাদনে বিলম্ব করেন। ঈসা (আ) বললেনঃ আল্লাহ তা'আলা আপনাকে (ইয়াহইয়া) পাঁচটি কাজ করার এবং বনী ইসরাঈলকে (উক্ত) পাঁচটি কাজের নির্দেশ দিয়েছেন। কাজেই আপনি তার নির্দেশ দিন নতুবা আমি তার নির্দেশ দেব। ইয়াহইয়া (আ) বললেন: আপনি আমার অগ্রগামী হলে আমি আমাকে ধ্বসিয়ে দেয়ার আশংকা করি অথবা তিনি বলেছেন: শাস্তির ভয় করি। এরপর তিনি বায়তুল মুকাদ্দাস প্রাঙ্গণে লোক জমায়েত করেন এবং মঞ্চে উপবিষ্ট হন এবং বলেন: আল্লাহ তা'আলা আমাকে পাঁচটি কাজ করতে এবং তোমাদেরকে তার আমলের নির্দেশ দিতে বলেছেন। তা হ'ল: ১. তোমরা আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক করবে না। আল্লাহর সাথে শিরক করার উপমা হ'ল ঐ ব্যক্তির সাথে, যে তার একান্ত নিজস্ব সম্পদ সোনা অথবা রূপা দ্বারা একটি দাস ক্রয় করল। এরপর তাকে বললঃ এই হ'ল ঘর এবং এই হ'ল আমার কাজ। কাজেই তুমি কাজ করবে এবং পারিতোষিক আমাকে দেবে। সে কাজ করতে থাকল, কিন্তু সে অন্য মনিবের নিকট তা দিল। তোমাদের কারো দাস এহেন কাজ করলে কে তার প্রতি সন্তুষ্ট হবে? ২. আল্লাহ তা'আলা তোমাদরকে সালাতের নির্দেশ দিয়েছেন। কাজেই সালাত আদায়কালে তোমরা এদিক সেদিক তাকাবে না। কেননা আল্লাহ তা'আলা সালাত আদায়কালে তাঁর বান্দার দিকে চেহারা ফিরিয়ে রাখেন, যতক্ষণ সে তার চেহারা এদিক ওদিক না করে। ৩. আল্লাহ তা'আলা তোমাদের সিয়ামের নির্দেশ দিয়েছেন। এর উপমা হল ঐ ব্যক্তির মত, যে একদল মানুষের মধ্যে মিশকের একটি পোটলা নিয়ে আছে। সবাই তাতে আনন্দিত হচ্ছে অথবা তিনি বলেছেন: তার সুগন্ধি নিচ্ছে। আর সিয়াম পালনকারীর (মুখের) গন্ধ আল্লাহর কাছে মিশক অপেক্ষা পবিত্র, ৪. আল্লাহ তা'আলা তোমাদের দান করার নির্দেশ দিয়েছেন। এর দৃষ্টান্ত হল ঐ ব্যক্তির মত, যাকে একদল শত্রু হাতে এবং ঘাড়ে বেধে বন্দী করে নিয়ে গেছে এবং তারা তাকে হত্যার জন্য নিয়ে যাচ্ছে। তখন সে বলল: আমি আমার পক্ষ থেকে তোমাদের কমবেশি মুক্তিপণ দেব। সেমতে সে মুক্তিপণ দিয়ে তাদের হাত থেকে মুক্তি পেল এবং ৫. আল্লাহ তা'আলা তোমাদের যিকরের নির্দেশ দিয়েছেন। এর উপমা হল ঐ ব্যক্তির মত, যাকে তার শত্রু পেছনে দ্রুত ধাওয়া করছে এবং সে এসে কোন দুর্গে আশ্রয় নিল এবং নিজকে তাদের কবল থেকে বাঁচাল। অনুরূপ বান্দা যিকর ব্যতীত শয়তান থেকে নিজকে রক্ষা করতে পারে না।
নবী (সা) বললেন: আমি তোমাদের পাঁচটি কাজের নির্দেশ দিচ্ছি, আল্লাহ তা'আলা আমাকে এর নির্দেশ দিয়েছেন। তা হলঃ ১. নেতার আদেশ শোনা, ২. নেতার আনুগত্য করা, ৩. আল্লাহর পথে জিহাদ করা, ৪. হিজরত করা এবং ৫. জামাআতবদ্ধ থাকা। কেননা যে ব্যক্তি জামাআতের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করবে, সে নিজেকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করবে এবং সে তার গর্দান থেকে ইসলামের রশি খুলে ফেলবে। তবে যদি সে ফিরে আসে, তা ভিন্ন কথা। যে ব্যক্তি জাহিলী যুগের বিধি-বিধান দাবি করে, সে জাহান্নামের নিম্নদেশে স্থান পাবে। তখন এক ব্যক্তি বলল: ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি সে সালাত আদায় করে এবং সিয়াম পালন করে? তিনি বললেন: যদিও সালাত আদায় করে এবং সিয়াম পালন করে। তোমরা আল্লাহর কাছে দু'আ কর, যিনি তোমাদের মুসলিম ও মুমিন নাম দিয়েছেন।
(তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এই শব্দমালা তাঁর। তিনি বলেন: হাদীসটি হাসান-সহীহ। নাসাঈ এই হাদীসের কিয়দাংশ বর্ণনা করেন। ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বানের 'সহীহ' গ্রন্থে এবং হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেনে। হাকিম বলেন, বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী হাদীসটি সহীহ।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] এই হাদীসটি ব্যতীত সিহাহ সিত্তাহ গ্রন্থে হারিসের অন্য কোন হাদীস স্থান পায়নি।
নবী (সা) বললেন: আমি তোমাদের পাঁচটি কাজের নির্দেশ দিচ্ছি, আল্লাহ তা'আলা আমাকে এর নির্দেশ দিয়েছেন। তা হলঃ ১. নেতার আদেশ শোনা, ২. নেতার আনুগত্য করা, ৩. আল্লাহর পথে জিহাদ করা, ৪. হিজরত করা এবং ৫. জামাআতবদ্ধ থাকা। কেননা যে ব্যক্তি জামাআতের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করবে, সে নিজেকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করবে এবং সে তার গর্দান থেকে ইসলামের রশি খুলে ফেলবে। তবে যদি সে ফিরে আসে, তা ভিন্ন কথা। যে ব্যক্তি জাহিলী যুগের বিধি-বিধান দাবি করে, সে জাহান্নামের নিম্নদেশে স্থান পাবে। তখন এক ব্যক্তি বলল: ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি সে সালাত আদায় করে এবং সিয়াম পালন করে? তিনি বললেন: যদিও সালাত আদায় করে এবং সিয়াম পালন করে। তোমরা আল্লাহর কাছে দু'আ কর, যিনি তোমাদের মুসলিম ও মুমিন নাম দিয়েছেন।
(তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এই শব্দমালা তাঁর। তিনি বলেন: হাদীসটি হাসান-সহীহ। নাসাঈ এই হাদীসের কিয়দাংশ বর্ণনা করেন। ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বানের 'সহীহ' গ্রন্থে এবং হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেনে। হাকিম বলেন, বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী হাদীসটি সহীহ।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] এই হাদীসটি ব্যতীত সিহাহ সিত্তাহ গ্রন্থে হারিসের অন্য কোন হাদীস স্থান পায়নি।
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من الِالْتِفَات فِي الصَّلَاة وَغَيره مِمَّا يذكر
789 - عَن الْحَارِث الْأَشْعَرِيّ رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن الله أَمر يحيى بن زَكَرِيَّا بِخمْس كَلِمَات أَن يعْمل بهَا وَيَأْمُر بني إِسْرَائِيل أَن يعملوا بهَا وَإنَّهُ كَاد أَن يبطىء بهَا
قَالَ عِيسَى إِن الله أَمرك بِخمْس كَلِمَات لتعمل بهَا وتأمر بني إِسْرَائِيل أَن يعملوا بهَا
فإمَّا أَن تَأْمُرهُمْ وَإِمَّا أَن آمُرهُم فَقَالَ يحيى أخْشَى إِن سبقتني بهَا أَن يخسف بِي أَو أعذب فَجمع النَّاس فِي بَيت الْمُقَدّس فَامْتَلَأَ وقعدوا على الشّرف فَقَالَ إِن الله أَمرنِي بِخمْس كَلِمَات أَن أعمل بِهن وآمركم أَن تعملوا بِهن
أولَاهُنَّ أَن تعبدوا الله وَلَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئا وَإِن مثل من أشرك بِاللَّه كَمثل رجل اشْترى عبدا من خَالص مَاله بِذَهَب أَو ورق فَقَالَ هَذِه دَاري وَهَذَا عَمَلي فاعمل وأد إِلَيّ فَكَانَ يعْمل وَيُؤَدِّي إِلَى غير سَيّده فَأَيكُمْ يرضى أَن يكون عَبده كَذَلِك وَإِن الله أَمركُم بِالصَّلَاةِ فَإِذا صليتم فَلَا تلتفتوا فَإِن الله ينصب وَجهه لوجه عَبده فِي صلَاته مَا لم يلْتَفت وأمركم بالصيام فَإِن مثل ذَلِك كَمثل رجل فِي عِصَابَة مَعَه صرة فِيهَا مسك فكلهم يعجب أَو يُعجبهُ رِيحهَا وَإِن ريح الصَّائِم أطيب عِنْد الله من ريح الْمسك وأمركم بِالصَّدَقَةِ فَإِن مثل ذَلِك كَمثل رجل أسره الْعَدو فَأوثقُوا يَده إِلَى عُنُقه وقدموه ليضربوا عُنُقه فَقَالَ أَنا أفدي نَفسِي مِنْكُم بِالْقَلِيلِ وَالْكثير ففدى نَفسه مِنْهُم وأمركم أَن تَذكرُوا الله فَإِن مثل ذَلِك كَمثل رجل خرج الْعَدو فِي إثره سرَاعًا حَتَّى إِذا أَتَى على حصن حُصَيْن فأحرز نَفسه مِنْهُم كَذَلِك لعبد لَا يحرز نَفسه من الشَّيْطَان إِلَّا بِذكر الله قَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَأَنا آمركُم بِخمْس الله أَمرنِي بِهن السّمع وَالطَّاعَة وَالْجهَاد وَالْهجْرَة وَالْجَمَاعَة فَإِنَّهُ من فَارق الْجَمَاعَة قيد شبر فقد خلع ربقة الْإِسْلَام من عُنُقه إِلَّا أَن
يُرَاجع وَمن ادّعى دَعْوَى الْجَاهِلِيَّة فَإِنَّهُ من جثاء جَهَنَّم فَقَالَ رجل يَا رَسُول الله وَإِن صلى وَصَامَ فَقَالَ وَإِن صلى وَصَامَ فَادعوا الله الَّذِي سَمَّاكُم الْمُسلمين الْمُؤمنِينَ عباد الله
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَهَذَا لَفظه وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح وَالنَّسَائِيّ بِبَعْضِه وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط البُخَارِيّ وَمُسلم
قَالَ الْحَافِظ وَلَيْسَ لِلْحَارِثِ فِي الْكتب السِّتَّة سوى هَذَا
قَالَ عِيسَى إِن الله أَمرك بِخمْس كَلِمَات لتعمل بهَا وتأمر بني إِسْرَائِيل أَن يعملوا بهَا
فإمَّا أَن تَأْمُرهُمْ وَإِمَّا أَن آمُرهُم فَقَالَ يحيى أخْشَى إِن سبقتني بهَا أَن يخسف بِي أَو أعذب فَجمع النَّاس فِي بَيت الْمُقَدّس فَامْتَلَأَ وقعدوا على الشّرف فَقَالَ إِن الله أَمرنِي بِخمْس كَلِمَات أَن أعمل بِهن وآمركم أَن تعملوا بِهن
أولَاهُنَّ أَن تعبدوا الله وَلَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئا وَإِن مثل من أشرك بِاللَّه كَمثل رجل اشْترى عبدا من خَالص مَاله بِذَهَب أَو ورق فَقَالَ هَذِه دَاري وَهَذَا عَمَلي فاعمل وأد إِلَيّ فَكَانَ يعْمل وَيُؤَدِّي إِلَى غير سَيّده فَأَيكُمْ يرضى أَن يكون عَبده كَذَلِك وَإِن الله أَمركُم بِالصَّلَاةِ فَإِذا صليتم فَلَا تلتفتوا فَإِن الله ينصب وَجهه لوجه عَبده فِي صلَاته مَا لم يلْتَفت وأمركم بالصيام فَإِن مثل ذَلِك كَمثل رجل فِي عِصَابَة مَعَه صرة فِيهَا مسك فكلهم يعجب أَو يُعجبهُ رِيحهَا وَإِن ريح الصَّائِم أطيب عِنْد الله من ريح الْمسك وأمركم بِالصَّدَقَةِ فَإِن مثل ذَلِك كَمثل رجل أسره الْعَدو فَأوثقُوا يَده إِلَى عُنُقه وقدموه ليضربوا عُنُقه فَقَالَ أَنا أفدي نَفسِي مِنْكُم بِالْقَلِيلِ وَالْكثير ففدى نَفسه مِنْهُم وأمركم أَن تَذكرُوا الله فَإِن مثل ذَلِك كَمثل رجل خرج الْعَدو فِي إثره سرَاعًا حَتَّى إِذا أَتَى على حصن حُصَيْن فأحرز نَفسه مِنْهُم كَذَلِك لعبد لَا يحرز نَفسه من الشَّيْطَان إِلَّا بِذكر الله قَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَأَنا آمركُم بِخمْس الله أَمرنِي بِهن السّمع وَالطَّاعَة وَالْجهَاد وَالْهجْرَة وَالْجَمَاعَة فَإِنَّهُ من فَارق الْجَمَاعَة قيد شبر فقد خلع ربقة الْإِسْلَام من عُنُقه إِلَّا أَن
يُرَاجع وَمن ادّعى دَعْوَى الْجَاهِلِيَّة فَإِنَّهُ من جثاء جَهَنَّم فَقَالَ رجل يَا رَسُول الله وَإِن صلى وَصَامَ فَقَالَ وَإِن صلى وَصَامَ فَادعوا الله الَّذِي سَمَّاكُم الْمُسلمين الْمُؤمنِينَ عباد الله
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَهَذَا لَفظه وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح وَالنَّسَائِيّ بِبَعْضِه وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط البُخَارِيّ وَمُسلم
قَالَ الْحَافِظ وَلَيْسَ لِلْحَارِثِ فِي الْكتب السِّتَّة سوى هَذَا
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৭৯০
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতে এদিক সেদিক তাকান এবং অপরাপর উল্লেখযোগ্য বিষয়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৭৯০. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: একদা আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে সালাতের মধ্যে এদিকে সেদিক তাকানো সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ এতো ছোঁ মারা। শয়তান তো ছোঁ মেরে বান্দার সালাতের কিছু অংশ নিয়ে যায়।
(বুখারী, নাসাঈ, আবু দাউদ এবং ইবন খুযায়মা হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
(বুখারী, নাসাঈ, আবু দাউদ এবং ইবন খুযায়মা হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من الِالْتِفَات فِي الصَّلَاة وَغَيره مِمَّا يذكر
790 - وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت سَأَلت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم عَن التلفت فِي الصَّلَاة فَقَالَ اختلاس يختلسه الشَّيْطَان من صَلَاة العَبْد
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَالنَّسَائِيّ وَأَبُو دَاوُد وَابْن خُزَيْمَة
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَالنَّسَائِيّ وَأَبُو دَاوُد وَابْن خُزَيْمَة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৯১
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতে এদিক সেদিক তাকান এবং অপরাপর উল্লেখযোগ্য বিষয়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৭৯১. আবুল আহওয়াস (র) থেকে হযরত আবু যর (রা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: বান্দা তার সালাতে যতক্ষণ পর্যন্ত এদিক সেদিক না তাকায়, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তার দিকে ফিরে থাকেন।
আর বান্দা যখন তার চেহারা ঘুরিয়ে নেয়, তখন তিনিও তাঁর চেহারা ঘুরিয়ে নেন।
(আহমদ, আবু দাউদ, নাসাঈ এবং ইবন খুযারমার 'সহীহ' গ্রন্থ ও হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং তিনি একে সহীহ বলেছেন।)
[হাফিয আবদুল আযীম (র) বলেন]: আবুল আহওয়াস-এর নাম অজ্ঞাত। যুহরী ব্যতীত কেউ তাঁর কাছ থেকে হাদীস বর্ণনা করেন নি। ইমাম তিরমিযী ও ইবন হিব্বান এবং অপরাপর মুহাদ্দিসগণ এ হাদীসটি সহীহ বলেছেন।
আর বান্দা যখন তার চেহারা ঘুরিয়ে নেয়, তখন তিনিও তাঁর চেহারা ঘুরিয়ে নেন।
(আহমদ, আবু দাউদ, নাসাঈ এবং ইবন খুযারমার 'সহীহ' গ্রন্থ ও হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং তিনি একে সহীহ বলেছেন।)
[হাফিয আবদুল আযীম (র) বলেন]: আবুল আহওয়াস-এর নাম অজ্ঞাত। যুহরী ব্যতীত কেউ তাঁর কাছ থেকে হাদীস বর্ণনা করেন নি। ইমাম তিরমিযী ও ইবন হিব্বান এবং অপরাপর মুহাদ্দিসগণ এ হাদীসটি সহীহ বলেছেন।
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من الِالْتِفَات فِي الصَّلَاة وَغَيره مِمَّا يذكر
791 - وَعَن أبي الْأَحْوَص عَن أبي ذَر رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا يزَال الله مُقبلا على العَبْد فِي صلَاته مَا لم يلْتَفت فَإِذا صرف وَجهه انْصَرف عَنهُ
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَصَححهُ
قَالَ المملي الْحَافِظ عبد الْعَظِيم رَضِي الله عَنهُ وَأَبُو الْأَحْوَص هَذَا لَا يعرف اسْمه لم يرو عَنهُ غير الزُّهْرِيّ وَقد صحّح لَهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن حبَان وَغَيرهمَا
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَصَححهُ
قَالَ المملي الْحَافِظ عبد الْعَظِيم رَضِي الله عَنهُ وَأَبُو الْأَحْوَص هَذَا لَا يعرف اسْمه لم يرو عَنهُ غير الزُّهْرِيّ وَقد صحّح لَهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن حبَان وَغَيرهمَا
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৭৯২
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতে এদিক সেদিক তাকান এবং অপরাপর উল্লেখযোগ্য বিষয়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৭৯২. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার বন্ধু (মুহাম্মাদ) তিনটি বিষয়ে আমাকে উপদেশ দিয়েছেন এবং তিনটি বিষয়ে নিষেধ করেছেন। তা হলঃ ১. আমাকে মোরগের ন্যায় ঠোকর মারতে, ২. কুকুরের মত নিতম্ব মাটিতে লাগিয়ে হাঁটু খাড়া করে বসতে এবং ৩. খেকশেয়ালের মত এদিক সেদিক তাকাতে নিষেধ করেছেন।
(আহমদ ও আবূ ইয়ালা অত্র হাদীসটি বর্ণনা করেন আহমদ বর্ণিত সনদটি হাসান। ইবন আবু শায়বা কুকুরের ন্যায় বসার স্থলে 'বানরের ন্যায় বসা' শব্দযোগে বর্ণনা করেন।)
[الاقعاء] আবু উবায়দ বলেন। নিতম্বের উপর ভর করে হাঁটুদ্বয় খাড়া করে, হাত দুটো মাটিতে রেখে কুকুরের ন্যায় বসা। তিনি বলেনঃ এর ব্যাখ্যায় ফিক্হবিদগণ বলেন, দুই সিজদার মধ্যে নিতম্ব ও হাত দুটো একাকার করা। তিনি বলেন, প্রথম অভিমতটি যথার্থ।
(আহমদ ও আবূ ইয়ালা অত্র হাদীসটি বর্ণনা করেন আহমদ বর্ণিত সনদটি হাসান। ইবন আবু শায়বা কুকুরের ন্যায় বসার স্থলে 'বানরের ন্যায় বসা' শব্দযোগে বর্ণনা করেন।)
[الاقعاء] আবু উবায়দ বলেন। নিতম্বের উপর ভর করে হাঁটুদ্বয় খাড়া করে, হাত দুটো মাটিতে রেখে কুকুরের ন্যায় বসা। তিনি বলেনঃ এর ব্যাখ্যায় ফিক্হবিদগণ বলেন, দুই সিজদার মধ্যে নিতম্ব ও হাত দুটো একাকার করা। তিনি বলেন, প্রথম অভিমতটি যথার্থ।
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من الِالْتِفَات فِي الصَّلَاة وَغَيره مِمَّا يذكر
792 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ أَوْصَانِي خليلي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بِثَلَاث ونهاني عَن ثَلَاث نهاني عَن نقرة كنقرة الديك وإقعاء كإقعاء الْكَلْب والتفات كالتفات الثَّعْلَب
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو يعلى وَإسْنَاد أَحْمد حسن وَرَوَاهُ ابْن أبي شيبَة وَقَالَ كإقعاء القرد مَكَان الْكَلْب
الإقعاء بِكَسْر الْهمزَة
قَالَ أَبُو عبيد هُوَ أَن يلزق الرجل أليتيه بِالْأَرْضِ وَينصب سَاقيه وَيَضَع يَدَيْهِ بِالْأَرْضِ كَمَا يقعي الْكَلْب
قَالَ وَفَسرهُ الْفُقَهَاء بِأَن يضع أليتيه على عَقِبَيْهِ بَين السَّجْدَتَيْنِ
قَالَ وَالْقَوْل هُوَ الأول
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو يعلى وَإسْنَاد أَحْمد حسن وَرَوَاهُ ابْن أبي شيبَة وَقَالَ كإقعاء القرد مَكَان الْكَلْب
الإقعاء بِكَسْر الْهمزَة
قَالَ أَبُو عبيد هُوَ أَن يلزق الرجل أليتيه بِالْأَرْضِ وَينصب سَاقيه وَيَضَع يَدَيْهِ بِالْأَرْضِ كَمَا يقعي الْكَلْب
قَالَ وَفَسرهُ الْفُقَهَاء بِأَن يضع أليتيه على عَقِبَيْهِ بَين السَّجْدَتَيْنِ
قَالَ وَالْقَوْل هُوَ الأول
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৯৩
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতে এদিক সেদিক তাকান এবং অপরাপর উল্লেখযোগ্য বিষয়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৭৯৩. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: কোন লোক যখন সালাতে দাঁড়ায়, তখন আল্লাহ তার প্রতি দৃষ্টিপাত করেন। যখন সে এদিক সেদিক তাকায়, তখন তিনি বলেন: হে বনী আদম! তুমি কার দিকে ফিরে তাকাচ্ছ? সে কি আমার চেয়ে তোমার কাছে উত্তম? তুমি আমার দিকে ফির। পরে যখন সে দ্বিতীয়বার তাকায়, তখন তিনি অনুরূপ বলেন। এরপর যখন সে তৃতীয়বার তাকায়, তখন আল্লাহ তার থেকে চেহারা অন্য দিকে ঘুরিয়ে নেন।
(বাযযার হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(বাযযার হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من الِالْتِفَات فِي الصَّلَاة وَغَيره مِمَّا يذكر
793 - وَرُوِيَ عَن جَابر رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا قَامَ الرجل فِي الصَّلَاة أقبل الله عَلَيْهِ بِوَجْهِهِ فَإِذا الْتفت قَالَ يَا ابْن آدم إِلَى من تلْتَفت إِلَى من هُوَ خير لَك مني أقبل إِلَيّ فَإِذا الْتفت الثَّانِيَة قَالَ مثل ذَلِك فَإِذا الْتفت الثَّالِثَة صرف الله تبَارك وَتَعَالَى وَجهه عَنهُ
رَوَاهُ الْبَزَّار
رَوَاهُ الْبَزَّار
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৯৪
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতে এদিক সেদিক তাকান এবং অপরাপর উল্লেখযোগ্য বিষয়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৭৯৪. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ বান্দা যখন সালাতে দাঁড়ায়, আমার ধারণামতে তিনি বলেছেন: তখন সে রাহমানের (আল্লাহ) সামনে থাকে। যখন সে এদিক সেদিক তাকায়, তখন আল্লাহ তা'আলা বলেন, তুমি কার দিকে তাকাচ্ছ? সে কি আমার চেয়ে উত্তম? হে বনী আদম! তুমি আমার দিকে তাকাও।
(এ হাদীসটিও বাযযার বর্ণনা করেছেন।)
(এ হাদীসটিও বাযযার বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من الِالْتِفَات فِي الصَّلَاة وَغَيره مِمَّا يذكر
794 - وَرُوِيَ عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن العَبْد إِذا قَامَ إِلَى الصَّلَاة أَحْسبهُ قَالَ فَإِنَّمَا هُوَ بَين يَدي الرَّحْمَن تبَارك وَتَعَالَى فَإِذا الْتفت يَقُول الله تبَارك وَتَعَالَى إِلَى من تلْتَفت إِلَى خير مني أقبل يَا ابْن آدم إِلَيّ فَأَنا خير مِمَّن تلْتَفت إِلَيْهِ
رَوَاهُ الْبَزَّار أَيْضا
رَوَاهُ الْبَزَّار أَيْضا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৯৫
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতে এদিক সেদিক তাকান এবং অপরাপর উল্লেখযোগ্য বিষয়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৭৯৫. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: হে প্রিয় বৎস। সালাতে এদিক সেদিক তাকানো থেকে বিরত থাক। কেননা সালাতে এদিক সেদিক তাকানোয় রয়েছে ধ্বংস।
(ইমাম তিরমিযী আলী ইবন যায়দ থেকে সাঈদ ইবন মুসায়্যাব…. হযরত আনাস (রা) সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন। হাদীসটি হাসান, তবে কোন কোন সূত্রে সহীহ সনদে বর্ণিত।)
[হাফিয আবদুল আযীম (র) বলেনঃ] আলী ইবন যায়দ ইবন যুদ'আন সম্পর্কে মুহাদ্দিসগণ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। সা'ঈদ-এর সূত্রে আনাস (রা)-এর বর্ণনা অপ্রসিদ্ধ।
(ইমাম তিরমিযী আলী ইবন যায়দ থেকে সাঈদ ইবন মুসায়্যাব…. হযরত আনাস (রা) সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন। হাদীসটি হাসান, তবে কোন কোন সূত্রে সহীহ সনদে বর্ণিত।)
[হাফিয আবদুল আযীম (র) বলেনঃ] আলী ইবন যায়দ ইবন যুদ'আন সম্পর্কে মুহাদ্দিসগণ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। সা'ঈদ-এর সূত্রে আনাস (রা)-এর বর্ণনা অপ্রসিদ্ধ।
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من الِالْتِفَات فِي الصَّلَاة وَغَيره مِمَّا يذكر
795 - وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَا بني إياك والالتفات فِي الصَّلَاة فَإِن الِالْتِفَات فِي الصَّلَاة هلكة
الحَدِيث
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ من رِوَايَة عَليّ بن زيد عَن سعيد بن الْمسيب عَن أنس وَقَالَ حَدِيث حسن وَفِي بعض النّسخ صَحِيح
قَالَ المملي وَعلي بن زيد بن جدعَان يَأْتِي الْكَلَام عَلَيْهِ وَرِوَايَة سعيد عَن أنس غير مَشْهُورَة
الحَدِيث
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ من رِوَايَة عَليّ بن زيد عَن سعيد بن الْمسيب عَن أنس وَقَالَ حَدِيث حسن وَفِي بعض النّسخ صَحِيح
قَالَ المملي وَعلي بن زيد بن جدعَان يَأْتِي الْكَلَام عَلَيْهِ وَرِوَايَة سعيد عَن أنس غير مَشْهُورَة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৯৬
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতে এদিক সেদিক তাকান এবং অপরাপর উল্লেখযোগ্য বিষয়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৭৯৬. হযরত আবুদ-দারদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি উযূ করে এবং উত্তমরূপে উযু করে, দুই রাক'আত সালাত আদায় করল, তারপর তার প্রতিপালকের কাছে দু'আ করল, তার দু'আ তৎক্ষণাৎ অথবা তিনি বলেছেন, পরে কবুল করা হয়। কাজেই তোমরা সালাতে এদিক সেদিক তাকানো থেকে বিরত থাক। কেননা সালাতে এদিক সেদিক দৃষ্টিপাতকারীর সালাত হয় না। তোমরা নফলে এহেন অবস্থার শিকার হলেও ফরয সালাতে এর শিকার হয়ো না।
(তাবারানীর 'কাবীর' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। তাঁর অন্য সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি সালাতে দাঁড়িয়ে এদিক সেদিক তাকায়, আল্লাহ তার সালাত কবুল করেন না।)
(তাবারানীর 'কাবীর' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। তাঁর অন্য সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি সালাতে দাঁড়িয়ে এদিক সেদিক তাকায়, আল্লাহ তার সালাত কবুল করেন না।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من الِالْتِفَات فِي الصَّلَاة وَغَيره مِمَّا يذكر
796 - وَرُوِيَ عَن أبي الدَّرْدَاء رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من تَوَضَّأ فَأحْسن الْوضُوء ثمَّ صلى رَكْعَتَيْنِ فَدَعَا ربه إِلَّا كَانَت دَعوته مستجابة مُعجلَة أَو مؤخرة
إيَّاكُمْ والالتفات فِي الصَّلَاة فَإِنَّهُ لَا صَلَاة لملتفت فَإِن غلبتم فِي التَّطَوُّع فَلَا تغلبُوا فِي الْفَرِيضَة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير
وَفِي رِوَايَة لَهُ أَيْضا قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من قَامَ فِي الصَّلَاة فَالْتَفت رد الله عَلَيْهِ صلَاته
إيَّاكُمْ والالتفات فِي الصَّلَاة فَإِنَّهُ لَا صَلَاة لملتفت فَإِن غلبتم فِي التَّطَوُّع فَلَا تغلبُوا فِي الْفَرِيضَة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير
وَفِي رِوَايَة لَهُ أَيْضا قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من قَامَ فِي الصَّلَاة فَالْتَفت رد الله عَلَيْهِ صلَاته
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৭৯৭
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতে এদিক সেদিক তাকান এবং অপরাপর উল্লেখযোগ্য বিষয়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৭৯৭. হযরত ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বান্দা সালাতে যতক্ষণ এদিক সেদিক না তাকায়,
অথবা তার হাদাস (উযূ ভঙ্গ) না করে, আল্লাহ ততক্ষণ তার প্রতি দৃষ্টিপাত করেন।
(তাবারানী তাঁর 'কাবীর' গ্রন্থে আবূ কিলাবা থেকে ইবন মাসউদ (রা) সূত্রে মাওকুফ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে তিনি তাঁর কাছে এ হাদীসটি শুনেননি।)
অথবা তার হাদাস (উযূ ভঙ্গ) না করে, আল্লাহ ততক্ষণ তার প্রতি দৃষ্টিপাত করেন।
(তাবারানী তাঁর 'কাবীর' গ্রন্থে আবূ কিলাবা থেকে ইবন মাসউদ (রা) সূত্রে মাওকুফ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে তিনি তাঁর কাছে এ হাদীসটি শুনেননি।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من الِالْتِفَات فِي الصَّلَاة وَغَيره مِمَّا يذكر
797 - وَعَن ابْن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ قَالَ لَا يزَال الله مُقبلا على العَبْد بِوَجْهِهِ مَا لم
يلْتَفت أَو يحدث
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير مَوْقُوفا عَن أبي قلَابَة عَن ابْن مَسْعُود وَلم يسمع مِنْهُ
يلْتَفت أَو يحدث
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير مَوْقُوفا عَن أبي قلَابَة عَن ابْن مَسْعُود وَلم يسمع مِنْهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৯৮
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতে এদিক সেদিক তাকান এবং অপরাপর উল্লেখযোগ্য বিষয়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৭৯৮. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে নবী (সা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়ায়, তখন সালাত শেষ না করা পর্যন্ত যেন তার প্রতি মনোযোগী থাকে। আর তোমরা সালাতে এদিক সেদিক দৃষ্টিপাত করো না। কেননা তোমাদের কেউ যখন সালাত আদায় করে, তখন সালাতরত অবস্থায় সে তার রবের সাথে নীরবে বাক্যালাপ করে।
(তাবারানীর 'আওসাত' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
(তাবারানীর 'আওসাত' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من الِالْتِفَات فِي الصَّلَاة وَغَيره مِمَّا يذكر
798 - وَرُوِيَ عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِذا قَامَ أحدكُم إِلَى الصَّلَاة فليقبل عَلَيْهَا حَتَّى يفرغ مِنْهَا وَإِيَّاكُم والالتفات فِي الصَّلَاة فَإِن أحدكُم يُنَاجِي ربه مَا دَامَ فِي الصَّلَاة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৯৯
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতে এদিক সেদিক তাকান এবং অপরাপর উল্লেখযোগ্য বিষয়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৭৯৯. নবী পত্নী হযরত উন্মু সালামা বিনতে আবূ উমায়্যা (রা) থেকে বর্ণিত। তিন বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) এর যামানায় মুসল্লীগণ সালাত আদায়কালে তাদের দুই পায়ের বাইরে তাকাত না। ইতোমধ্যে রাসূলুল্লাহ (সা) ইনতিকাল করেন। আবূ বকর (রা)-এর ইনতিকাল পর্যন্ত তাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়াত, তখন তাদের কারো দৃষ্টি সিজদার স্থান অতিক্রম করত না। ইতোমধ্যে তিনি ইনতিকাল করেন। এরপর শুরু হয় উমর (রা)-এর যামানা। উমর (রা)-এর ইনতিকাল পর্যন্ত কেউ যখন সালাতে দাঁড়াত, তখন তাদের কারো দৃষ্টি কিবলা অতিক্রম করত না। এরপর উমর (রা) ইনতিকাল করেন। এরপর শুরু হয় উসমান ইবন আফ্ফান (রা)-এর যামানা এবং শুরু হয় ফিতনা-ফাসাদ; ফলে লোকেরা ডানে-বামে তাকান শুরু করে।
(ইবন মাজাহ এ হাদীসটি হাসান সনদে বর্ণনা করেন। তবে তিনি বলেনঃ মূসা ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবু উমায়্যা মাখযুমী (রা)-এর এ হাদীসটি ইবন মাজাহ সিহাহ সিত্তাহর অপরাপর সংকলন থেকে বর্ণনা করেন নি। তিনি আরো বলেন: আমার দৃষ্টিতে হাদীসে কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়েনি। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।)
(ইবন মাজাহ এ হাদীসটি হাসান সনদে বর্ণনা করেন। তবে তিনি বলেনঃ মূসা ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবু উমায়্যা মাখযুমী (রা)-এর এ হাদীসটি ইবন মাজাহ সিহাহ সিত্তাহর অপরাপর সংকলন থেকে বর্ণনা করেন নি। তিনি আরো বলেন: আমার দৃষ্টিতে হাদীসে কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়েনি। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من الِالْتِفَات فِي الصَّلَاة وَغَيره مِمَّا يذكر
799 - وَعَن أم سَلمَة بنت أبي أُميَّة رَضِي الله عَنْهَا زوج النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنَّهَا قَالَت كَانَ النَّاس فِي عهد رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا قَامَ الْمُصَلِّي يُصَلِّي لم يعد بصر أحدهم مَوضِع قَدَمَيْهِ فَتوفي رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَكَانَ النَّاس إِذا قَامَ أحدهم يُصَلِّي لم يعد بصر أحدهم مَوضِع جَبينه فَتوفي أَبُو بكر رَضِي الله عَنهُ فَكَانَ عمر رَضِي الله عَنهُ فَكَانَ النَّاس إِذا قَامَ أحدهم يُصَلِّي لم يعد بصر أحدهم مَوضِع الْقبْلَة ثمَّ توفّي عمر رَضِي الله عَنهُ فَكَانَ عُثْمَان بن عَفَّان رَضِي الله عَنهُ وَكَانَت الْفِتْنَة فَتلفت النَّاس يَمِينا وَشمَالًا
رَوَاهُ ابْن مَاجَه بِإِسْنَاد حسن إِلَّا أَن مُوسَى بن عبد الله بن أبي أُميَّة المَخْزُومِي لم يخرج لَهُ من أَصْحَاب الْكتب السِّتَّة غير ابْن مَاجَه وَلَا يحضرني فِيهِ جرح وَلَا تَعْدِيل وَالله أعلم
رَوَاهُ ابْن مَاجَه بِإِسْنَاد حسن إِلَّا أَن مُوسَى بن عبد الله بن أبي أُميَّة المَخْزُومِي لم يخرج لَهُ من أَصْحَاب الْكتب السِّتَّة غير ابْن مَاجَه وَلَا يحضرني فِيهِ جرح وَلَا تَعْدِيل وَالله أعلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮০০
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সিজদার স্থান থেকে কংকর এবং অপরাপর বন্ধু অপসারণ করা এবং বিনা প্রয়োজনে ফুঁ দেয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৮০০. হযরত আবু যর (রা) থেকে নবী (সা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: তোমাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়ায়, তখন সে যেন কংকর না সরায়। কেননা রহমত তার দিকে ফিরে থাকে।
(তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, হাদীসটি হাসান। নাসাঈ, ইবন মাজাহ এবং ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান উভয়ে তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেন। ইবন খুযায়মা নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেনঃ "তোমাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়ায়, তখন রহমত তার দিকে ফিরে থাকে। কাজেই তোমরা কংকর অপসারিত করো না।" তাঁরা প্রত্যেকে আবুল আহওয়াস সূত্রে বর্ণনা করেন।)
(তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, হাদীসটি হাসান। নাসাঈ, ইবন মাজাহ এবং ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান উভয়ে তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেন। ইবন খুযায়মা নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেনঃ "তোমাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়ায়, তখন রহমত তার দিকে ফিরে থাকে। কাজেই তোমরা কংকর অপসারিত করো না।" তাঁরা প্রত্যেকে আবুল আহওয়াস সূত্রে বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من مسح الْحَصَى وَغَيره فِي مَوضِع السُّجُود والنفخ فِيهِ لغير ضَرُورَة
800 - عَن أبي ذَر رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِذا قَامَ أحدكُم فِي الصَّلَاة فَلَا يمسح الْحَصَى فَإِن الرَّحْمَة تواجهه
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَحسنه وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَلَفظ ابْن خُزَيْمَة إِذا قَامَ أحدكُم فِي الصَّلَاة فَإِن الرَّحْمَة تواجهه فَلَا تحركوا الْحَصَى
رَوَوْهُ كلهم من رِوَايَة أبي الْأَحْوَص عَنهُ
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَحسنه وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَلَفظ ابْن خُزَيْمَة إِذا قَامَ أحدكُم فِي الصَّلَاة فَإِن الرَّحْمَة تواجهه فَلَا تحركوا الْحَصَى
رَوَوْهُ كلهم من رِوَايَة أبي الْأَحْوَص عَنهُ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী: