প্রচলিত ইসলাম জাহান্নামে নেবে! হেযবুত তওহীদ। পর্ব–৪০
প্রচলিত ইসলাম জাহান্নামে নেবে! হেযবুত তওহীদ। পর্ব–৪০
ইসলাম একমাত্র আল্লাহর মনোনিত ধর্ম ও জান্নাতীদের ধর্ম। নবীজি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নবুওয়াতপ্রাপ্ত হওয়ার পর তথা শেষ শরিয়ত 'ইসলাম' আনয়ন করার পর ইসলাম বহির্ভূত অন্য সমস্ত ধর্ম পালন করলে জাহান্নাম নিশ্চিত এবং ইসলামই একমাত্র জান্নাতের পথ। যা পবিত্র কুরআনের অসংখ্য আয়াত ও হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত। হেযবুত তওহীদ কী বলে? কুফরী সংগঠন হেযবুত তওহীদ দাবি করছে যে, এ ইসলাম মানলে কিয়ামতে নাজাত বা মুক্তি পাওয়া যাবে না। তারা লিখেছে, তাদের বৃহত্তর ভাগ বিশ্বাস করেন যে জন্মসূত্রে মুসলিম হওয়ার বদৌলতে লক্ষ কোটি বছর যদি জাহান্নামের আগুনে জ্বলতেও হয়, তবু এক সময় তারা জান্নাতে যাবেনই। সুতরাং চিন্তিত হওয়ার মতো তেমন কিছু ঘটে নি। এই দুনিয়ার মার খাচ্ছি, ঐ দুনিয়ায় জান্নাতের ফল খেয়ে সব ব্যাথা, বেদনা লাঞ্ছনা অপমান ভুলে যাব। তারা জান্নাতে তাদের স্তর উন্নীত করার জন্য সাধ্যমত আমলও করেন যেমন, নামাজ রোজা করেন, ওয়াজের সময় ওয়াজ শোনেন, হজ্বে এস্তেমায় জান। দাড়ি রেখে নিজেকে উম্মতে মোহাম্মদ বলে আত্মপ্রসাদ লাভ করেন। তাদের এই সত্য বুঝার মত সেই চিন্তাশক্তি নেই যে, যে ধর্মচর্চা তাদেরকে দুনিয়ার লাঞ্ছনা অপমান থেকে রক্ষা করতে পারছে না, সেই ধর্ম পালন করে পরকালীন মুক্তির আশা পোষণ করা সুদূর পরাহত। -ইসলাম কেন আবেদন হারাচ্ছে : পৃ. ৫১ আসুন, আমরা সবাই মিলে এই নারকীয় সিস্টেমটাকে পাল্টাই। হেযবুত তওহীদ এর প্রতিষ্ঠাতা এমাম, এমামুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী আল্লাহ-রসুলের হারিয়ে যাওয়া যে প্রকৃত, সত্য জীবনব্যবস্থা মানবজাতির সামনে তুলে ধোরেছেন তা গ্রহণ কোরি। -আসুন সিস্টেমটাকেই পাল্টাই : পৃ. ২০ কোন আমলে কত সওয়াব এর গবেষণাতেই ধার্মিকেরা ব্যস্ত । বাজার ভর্তি সওয়াবের বই দিয়ে। যে ইসলাম খোদ মুসলমানকেই দুনিয়াতে শান্তি দিতে পারল না, সেটা আখেরাতে কী করে জান্নাত দেবে? -ধর্ম ব্যবসার ফাঁদে, পৃ. ১১৭; (pdf) পৃ. ১৪৩ যে ঈমান দুনিয়ার কাজে লাগবে না তা হাশরের দিনেও কাজে লাগবে না।… যার দুনিয়া সুন্দর নয় তার হাশরও সুন্দর হবে না। কারণ আখেরাতের জীবন দুনিয়ার জীবনের প্রতিফলন মাত্র। –জঙ্গিবাদ সংকট : পৃ. ৭৫ উক্ত কথাগুলো দিয়ে তারা বুঝাতে চাচ্ছে যে, যেহেতু এই ইসলাম দুনিয়াতে মুসলিমদের শান্তি দিতে পারেনি বা পারছে না, সেহেতু আখেরাতেও এর অনুসারী মুসলিমদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিতে পারবে না। ইসলাম কি বলে? এক. প্রিয় পাঠক, পূর্বের আলোচনায় আমরা প্রমাণ করেছি যে, ইসলাম ধর্ম আজও অবিকৃত রয়েছে এবং ইসলাম ধর্মও শান্তি দিচ্ছে। সুতরাং মুসলিমরা যেহেতু দুনিয়াতে শান্তি পাচ্ছে, সেহেতু কেয়ামতেও পাবে। এরপরও 'ইসলাম কিয়ামতে মুক্তি দিতে পারবে না' এমন দাবি করা হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে স্ববিরোধী মন্তব্য। দুই. হেযবুত তওহীদের দাবি হলো, ‘প্রচলিত ইসলাম জাহান্নামে নেবে’ এর প্রমাণ হিশাবে তারা দাবি করেছে, যে ইসলাম খোদ মুসলমানকেই দুনিয়াতে শান্তি দিতে পারল না, সেটা আখেরাতে কী করে জান্নাত দেবে? -ধর্ম ব্যবসার ফাঁদে, পৃ. ১১৭; (pdf) পৃ. ১৪৩ অর্থাৎ তারা বোঝাতে চায় যে, দুনিয়াতে কোনো কারণে কষ্টে থাকা বা শাস্তি পাওয়া মানেই প্রমাণ করে যে, মুসলিমরা কিয়ামতে জাহান্নামে যাবে। অথচ দুনিয়াতে কাউকে কষ্টে নিপতিত দেখলে বা জুলুমের স্বীকার হলে তাকে কেয়ামতেও শাস্তি দেয়া হবে এমন দাবি করা চরম মূর্খতার পরিচয়। কারণ মহান আল্লাহ বলেন, أَحَسِبَ النَّاسُ أَن يُتْرَكُوا أَن يَقُولُوا آمَنَّا وَهُمْ لَا يُفْتَنُونَ وَلَقَدْ فَتَنَّا الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ ۖ فَلَيَعْلَمَنَّ اللَّهُ الَّذِينَ صَدَقُوا وَلَيَعْلَمَنَّ الْكَاذِبِينَ أَمْ حَسِبَ الَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ أَن يَسْبِقُونَا ۚ سَاءَ مَا يَحْكُمُونَ মানুষ কি মনে করে ‘আমরা ঈমান এনেছি’ এ কথা বললেই তাদেরকে পরীক্ষা না করে ছেড়ে দেওয়া হবে? অথচ তাদের পূর্বে যারা গত হয়েছে তাদেরকেও আমি পরীক্ষা করেছি। সুতরাং আল্লাহ অবশ্যই জেনে নেবেন কারা সত্যনিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছে এবং তিনি অবশ্যই জেনে নেবেন কারা মিথ্যাবাদী। যারা মন্দ কার্যাবলীতে লিপ্ত তারা কি মনে করে তারা আমার উপর জিতে যাবে? তারা যা অনুমান করছে তা কতই না মন্দ! –সুরা আনকাবুত : ২-৪ উপরন্তু যারা সত্যিকারার্থে আল্লাহ তাআলার পথে থাকেন, তাদেরকে সবচে বেশি পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে আল্লাহ তায়ালা নিজেই বলেছেন। মহান আল্লাহ বলেন, وَلَنَبْلُوَنَّكُم بِشَيْءٍ مِّنَ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِّنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنفُسِ وَالثَّمَرَاتِ ۗ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব (কখনও) কিছুটা ভয়-ভীতি দ্বারা, (কখনও) ক্ষুধা দ্বারা এবং (কখনও) জান-মাল ও ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা। সুসংবাদ শোনাও তাদেরকে, যারা (এরূপ অবস্থায়) সবরের পরিচয় দেয়। –সুরা বাকারা : ১৫৫ উক্ত আয়াত দু'টি দ্বারা আমরা জানতে পারলাম, যারা ঈমানদার তাঁরা আল্লাহর পক্ষ থেকেই বিভিন্ন পরীক্ষার সম্মুখীন হবেন। যে কারণে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর সাহাবায়ে কেরাম রা.-এর উপর কাফেরদের কর্তৃক অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। হাদিস শরীফের অসংখ্যবার সেসব ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। এ কথা খোদ হেযবুত তওহীদই সাহাবাদের আলোচনা করতে গিয়ে তারা লিখেছেন, স্ত্রী-পুত্র পরিবার ত্যাগ কোরে, বাড়ি-ঘর সহায়-সম্পত্তি, ব্যবসা-বাণিজ্য ত্যাগ কোরে অর্ধাহারে-অনাহারে থেকে, নির্মম অত্যাচার সহ্য কোরে, অভিযানে বের হোয়ে গাছের পাতা খেয়ে জীবন ধারণ করে এবং শেষ পর্যন্ত যুদ্ধক্ষেত্রে জীবন বিসর্জন দিয়ে এই হল তার উম্মাহ, উম্মতে মোহাম্মদী তার প্রকৃত সুন্নাহ পালনকারী জাতি। –এ জাতির পায়ে লুটিয়ে পড়বে বিশ্ব, পৃ. ৭৫ তাহলে 'যার দুনিয়া যেমন, তার আখেরাতও তেমন' যদি মানতে হয়, তাহলে সাহাবায়ে কেরামও কি কিয়ামতে নির্যাতিত হবেন? নাউযুবিল্লাহ। নিশ্চয় না, বরং সাহাবাদের রা. ব্যাপারে মহান রব বলেন, وَالسَّابِقُونَ الْأَوَّلُونَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنصَارِ وَالَّذِينَ اتَّبَعُوهُم بِإِحْسَانٍ رَّضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ وَأَعَدَّ لَهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي تَحْتَهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا ۚ ذَٰلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা ঈমানে প্রথমে অগ্রগামী হয়েছে এবং যারা নিষ্ঠার সাথে তাদের অনুসরণ করেছে, আল্লাহ তাদের সকলের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে। আল্লাহ তাদের জন্য এমন উদ্যানরাজি তৈরি করে রেখেছেন, যার তলদেশে নহর বহমান। তাতে তারা সর্বদা থাকবে। এটাই মহা সাফল্য। –সুরা তাওবা : ১০০ উক্ত আয়াত থেকে প্রমাণিত হলো, দুনিয়াতে নির্যাতন ভোগ করেও সাহাবায়ে কেরাম রা. জান্নাতের সু-সংবাদ পেয়েছেন। ঠিক আজও যারা ইসলামের জন্য নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছেন, তারাও জান্নাতে যাবেন। মহান আল্লাহ বলেন, لَهُمْ دَارُ السَّلَامِ عِندَ رَبِّهِمْ ۖ وَهُوَ وَلِيُّهُم بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ তাদের জন্যই তাদের প্রতিপালকের কাছে রয়েছে সুখণ্ডশান্তির নিবাস। আর তারা যা-কিছু করে তার দরুণ তিনিই তাদের রক্ষাকর্তা। –সুরা আনআম : ১২৭ তিন. কিন্তু দুনিয়া অসুন্দর হলেই সে যদি জাহান্নামী হয়, তাহলে হেযবুত তওহীদের সদস্যরাও জাহান্নামী। কারণ তাদের দাবিতে তারা অমানুষিক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। তারা নিজেরাই লিখেছে, দেশজুড়ে হেযবুত তওহীদের সদস্যদেরকে নির্মম নির্যাতন ও প্রবল বাধার মুখে পড়তে হলো। ধর্মব্যবসায়ীরা বহু সদস্যের বাড়ি ঘর আগুনে জ্বালিয়ে দিল, বহুজনকে পূর্ব পুরুষের ভিটা থেকে উৎখাত করে দিল, বহুজন পিটিয়ে আহত করল এমনকি একজন পুরুষ একজন নারী সদস্যকে শহীদ করে ফেলল। –জঙ্গিবাদ সংকট, পৃ. ৬৪ সুতরাং হেযবুত তওহীদের কথা যদি সত্য হয় অর্থাৎ ‘যার দুনিয়া যেমন, তার আখেরাতও তেমন’ তাহলে আমরা এ কথা নির্দিধায় বলতে পারি, যেহেতু তাদের দুনিয়া সুন্দর নয়, আখেরাতও সুন্দর হবে না। অতএব তাদের যুক্তিতে তারাই জাহান্নামী হবে, মুসলিমরা নয়। চার. হেযবুত তওহীদের লিখেছে, প্রতিটি ধর্মই বিকৃত হয়ে গেছে এবং সেগুলো আত্মাহীন বিধিনিষেধ চাপিয়ে দিয়ে মানুষের মনের স্বাভাবিক বিকাশসাধন ও জীবনযাপনের জন্য সুস্থ পরিবেশ সৃষ্টিতে ব্যার্থ হচ্ছে। –ইসলাম কেন আবেদন হারাচ্ছে, পৃ. ১৫ অর্থাৎ তাদের বক্তব্য মতে ইসলাম ছাড়াও অন্য সকল ধর্মগুলো বিকৃত, কিন্তু এরপরও হেযবুত তওহীদের দাবি হলো, ‘এ সকল বিকৃত ধর্ম পালন করেও জান্নাতে যাওয়া যাবে’। দেখুন, তারা লিখেছে, মানবসমাজে একটি ধারণা ব্যাপকভাবে প্রচলিত আছে যে, ‘পৃথিবীতে এতগুলো ধর্মের মধ্যে মাত্র একটি ধর্ম সত্য হতে পারে (!) অন্য সকল ধর্ম মিথ্যা এবং ঐ সত্য ধর্মই কেবল মানুষকে মুক্তি দিতে সক্ষম।’ এ ধারণা প্রচলিত থাকায় সকল ধর্মের অনুসারীরাই দাবি করে যে, কেবল তাদের ধর্মই সত্যধর্ম। এটা ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম মেনে চলে স্বর্গে যাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো- স্রষ্টা প্রদত্ত সকল ধর্মই সত্যধর্ম। এগুলোর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এর যে কোনোটি মানুষ মেনে চলতে পারে। তবে মানতে হবে পূর্ণাঙ্গভাবে। –দৈনিক বজ্রশক্তি’ শিরোনাম : 'মানবসমাজে ধর্ম-অধর্ম ও শান্তি-অশান্তির চিরন্তন দ্বন্দ্ব' তারিখ: ২/২/২০১৬ ঈ. অর্থাৎ হেযবুত তওহীদের দাবিনুসারে পূর্বের ধর্মগুলো বিকৃত হলেও পূর্নাঙ্গভাবে এখনও মেনে চললে জান্নাতে যাওয়া যাবে। যদি ইসলাম ধর্মটি অন্য ধর্মের মতো বিকৃতও হয়, তবুও তো ঐ সকল বিকৃত ধর্মের মতো ইসলাম ধর্ম পূর্ণাঙ্গভাবে পালন করলেও এর অনুসারী মুসলিমরাও জান্নাতে যাবে। কিন্তু অন্য ধর্মের অনুসারীদের জান্নাতী বলতে দ্বিধাবোধ না করলেও ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের ব্যাপারে জাহান্নামী বলাটা কী দ্বিমুখী আচরণ নয়? মূলত মুসলিমদের পথ থেকে বিচ্যূত হয়ে, তারা নিজেরাই কুফরী করে জাহান্নের দিতে ধাবিত হচ্ছে। মহান রব্ব বলেন, وَمَن يُشَاقِقِ الرَّسُولَ مِن بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ الْهُدَىٰ وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيلِ الْمُؤْمِنِينَ نُوَلِّهِ مَا تَوَلَّىٰ وَنُصْلِهِ جَهَنَّمَ ۖ وَسَاءَتْ مَصِيرًا আর যে ব্যক্তি তার সামনে হিদায়াত স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করবে ও মুমিনদের পথ ছাড়া অন্য কোনও পথ অনুসরণ করবে, আমি তাকে সেই পথেই ছেড়ে দেব, যা সে অবলম্বন করেছে। আর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব, যা অতি মন্দ ঠিকানা। –সুরা আন-নিসা : ১১৫ উক্ত আয়াতে আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন সকল মু'মিনদের অনুসৃত পথের বিপরীত চললে, সেদিকে ফিরিয়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করার মতো কঠিন ও ভয়াবহ শাস্তির ঘোষণা দিয়েছেন। যা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, সমস্ত মুমিনরা যে পথ ও মতকে গ্রহণ করার ব্যাপারে ঐক্যমত হবে, তা হক ও সত্য এবং জান্নাতের পথ। সুতরাং আল্লাহর মনোনীত এ ধর্ম ‘ইসলামের অনুসরণ করলে জাহান্নামে যেতে হবে’ এমন কথা বলে তারা জাতিকে বিভ্রান্ত করে ইবলিসের পথে পরিচালিত করতে চায়। পাশাপাশি ইসলাম থেকে জাতিকে বের করে আল্লাহর জান্নাত থেকে উম্মতকে দূরে রাখার মিশনে নেমেছে হেযবুত তওহীদ। এমন জালেমদের সম্পর্কে মহান রব বলেন, وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرَىٰ عَلَى اللَّهِ الْكَذِبَ وَهُوَ يُدْعَىٰ إِلَى الْإِسْلَامِ ۚ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ সেই ব্যক্তি অপেক্ষা বড় জালেম আর কে হতে পারে, যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা রচনা করে, অথচ তাকে ইসলামের দিকে ডাকা হয়? আল্লাহ এরূপ জালেম সম্প্রদায়কে হেদায়াতপ্রাপ্ত করেন না। –সুরা সফ : ৭ সুতরাং এ সমস্ত আয়াতগুলো দ্বারা আমরা বুঝতে পারলাম যে, জান্নাতে যেতে হলে ইসলামকে মানতেই হবে। তাই সাবধান! ইসলাম বাদ দিয়ে জাহান্নামের পথ না ধরি। কারো ধোকায় পড়ে জান্নাত থেকে বঞ্চিত না হই।
মন্তব্য (...)
এ সম্পর্কিত আরও প্রবন্ধ
কুরআনের চেয়ে মুমিন দামী! হেযবুত তওহীদ। পর্ব–১৬
পবিত্র কুরআন সরাসরি আল্লাহপাকের কালাম। পৃথিবীর সব কিছু মাখলুক হলেও আল্লাহ-র কালাম মাখলুক নয়। সুতরাং ...
মুফতী রিজওয়ান রফিকী
৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১০০২
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন