আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

লোক মারফত রওজায়ে আতহারে সালাম প্রেরণ

প্রশ্নঃ ২৮০২৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ১.যারা হজ্ব বা ওমরাতে যান তাদের কাছে অনেকে বলেন আমার সালাম রওযাতে পৌছে দিবেন। এভাবে মাধ্যমে সালাম দেয়া যায় কি না? ২. কারো নামে অথবা সাহবাদের নামে তাওয়াফ করা যায় কি না?

৮ মার্চ, ২০২৫
সিরাজগঞ্জ

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


সম্মানিত প্রশ্নকারী!
লোক মারফত রাসূলের রওজায়ে আতহারে সালাম পাঠানোর বিষয়ে ওলামায়ে কেরামের মাঝে দ্বিমত আছে। কেননা হাদিস শরীফে আছে

أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَبْدِ الْحَكَمِ الْوَرَّاقُ، قَالَ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ سَعِيدٍ، ح وَأَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَعَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ زَاذَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ لِلَّهِ مَلاَئِكَةً سَيَّاحِينَ فِي الأَرْضِ يُبَلِّغُونِي مِنْ أُمَّتِي السَّلاَمَ " .

আব্দুল ওয়াহাব ইবনে আব্দুল হাকাম ওয়াররাক ও মাহমূদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ তা’আলার কতক ফেরেশতা এমনো রয়েছে, যারা পৃথিবীতে বিচরণ করে বেড়ায়, তাঁরা আমার উম্মতের সালাম আমার কাছে পৌছিয়ে থাকেন। https://muslimbangla.com/hadith/20289 এই হাদিস এবং তার সমর্থবোধক হাদিস সমূহের মাধ্যমে জানা যায় পৃথিবীর যেই প্রান্ত থেকেই রাসূলুল্লা সা۔ এর ওপর দূরুদ পাঠ করা হোক না কেন ফেরেশতারা সেগুলো নবী সা۔ এর কছে পৌঁছে দেয়। কাজেই লোক মারফত পাঠানোর প্রয়োজন নাই।

আর দ্বিতীয় মতের অবলম্বনকারী ওলামায়ের বক্তব্য হলো, আহলুস সুন্নাহ ওয়ালা জামাতের আকিদা মতে রাসূলুল্লাহ সা. কবরে জীবিত আছেন। তাই জীবিত থাকা অবস্থায় যেমনিভাবে তাকে সালাম পাঠানো যেত তেমনি রওজায়ও সেই ভাবে সালাম পাঠানো যাবে। এবং এটাই প্রনিধাণযোগ্য মত।

اصل تو اس باب میں یہی ہے کہ ہر انسان جہاں ہو وہیں سے درود اور سلام پڑھ کر اللہ کے حبیب کے حضور پیش کرے، اللہ تعالی کے مقرر کردہ فرشتے اس درود اور سلام کو اللہ کے نبی کی خدمت میں پیش کردیتے ہیں، جیسا کہ روایت میں ہے:

١. آپ علیہ السلام نے فرمایا کہ زمین میں اللہ تعالی کے گھومنے والے فرشتے ہیں جو میری امت کا سلام مجھ تک پہنچاتے ہیں.

وقال صلى الله عليه وسلم: “إن لله في الأرض ملائكة سياحين يبلغوني من أمتي السلام”. (رواه الإمام أحمد والنسائي وغيرهما)

٢. ایک دوسری روایت میں آپ علیہ السلام نے فرمایا کہ جمعہ بہترین دن ہے، پس اس دن مجھ پر کثرت سے سلام بھیجو کیونکہ تمہارا سلام مجھ تک پہنچایا جاتا ہے.

وقال صلى الله عليه وسلم: “خير أيامكم يوم الجمعة، فأكثروا عليَّ من الصلاة فيه، فإن صلاتكم تبلغني حيث كنتم”.

٣. اسی طرح ایک روایت میں آپ علیہ السلام نے فرمایا کہ میری قبر کو میلے کی جگہ نہ بناؤ، مجھ پر درود بھیجا کرو کیونکہ تمہارا درود مجھ تک پہنچایا جاتا ہے چاہے تم کہیں بھی ہو۔

وقال عليه الصلاة والسلام: “لا تجعلوا قبري عيداً، ولا بيوتكم قبوراً، وصلُّوا عليَّ، فإن صلاتكم تبلغني أين كنتم”۔

سلام بھجوانے کے مانعین کی رائے:
مندرجہ بالا روایات کی وجہ سے علمائےکرام کا ایک طبقہ اس بات کا قائل ہے کہ جب ہمارا سلام دنیا کے کسی بھی کونے سے آپ علیہ السلام تک فرشتوں کے ذریعے پہنچادیا جاتا ہے تو پھر کسی اور کے ذریعے سلام بھجوانے کا کوئی معنی اور مطلب نہیں بنتا جبکہ اس عمل کی ترغیب نہ اللہ کے نبی نے دی اور نہ اکابر صحابہ کرام میں سے کسی سے یہ بات ثابت ہے۔

سلام بھجوانے کے قائلین کی رائے:
یہ حضرات کہتے ہیں کہ نبی کریم صلی اللہ علیہ وسلم اپنی قبر مبارک میں حیات ہیں (اور یہی جمہور امت کا عقیدہ ہے)، لہذا جیسا کہ آپ کی زندگی میں آپ کی طرف سلام کا بھیجنا ثابت اور باعث اجر تھا ویسے ہی آپ کے انتقال کے بعد بھی ایسا کرنا درست ہے۔

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেন:

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইবরাহিমিয়া দারুল উলুম মেরাজনগর, কদমতলী, ঢাকা।

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন