প্রশ্নঃ ২৩৭১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার মরহুম পিতার উপর হজ্ব ফরয ছিল। তিনি প্রচুর সম্পত্তি রেখে মারা যান। নিজের ফরয হজ্বটা করে যেতে পারেননি। এবং বদলি হজ্ব করার অসিয়তও করে যাননি। ফলে তাঁর পক্ষ থেকে হজ্বের ব্যবস্থা না করেই সকল সম্পত্তি ভাগ করে নিয়েছি। এখন আমি একা তার পক্ষ থেকে বদলি হজ্ব করার জন্য চাকরির টাকা ও কিছু জমি বিক্রি করে হজ্ব করার মতো টাকা জমা করেছি। আমার নিয়ত হল, আগে পিতার হজ্ব করব এরপর আমার নিজের হজ্ব করব। কেননা আমার ধারণা যে আমার উপর হজ্ব ফরয হয়নি, কিন্তু একজন আলেম বললেন, আমার উপরও হজ্ব ফরয। তাই আগে নিজের হজ্ব আদায় কর। এরপর সম্ভব হলে তোমার পিতার বদলি হজ্ব আদায় করবে। এখন আমি আমার নিজের হজ্ব আদায় করব নাকি পিতার বদলি হজ্ব আদায় করব? দয়া করে জানাবেন।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ওই আলেম ঠিকই বলেছেন। প্রশ্নোক্ত অবস্থায় আপনার নিজের উপরই হজ্ব ফরয। তাই আগে আপনার নিজের হজ্ব আদায় করা জরুরি। এরপর কখনো সম্ভব হলে পিতার বদলি হজ্ব করবেন। আর আপনার পিতা যদিও বদলি হজ্বের অসিয়ত করে যাননি, কিন্তু তিনি যেহেতু ফরয হজ্ব আদায় না করে ইন্তেকাল করেছেন এবং পর্যাপ্ত সম্পদও রেখে গেছেন তাই তার ওয়ারিশদের উচিত হবে তার পক্ষ থেকে বদলি হজ্ব করানো। বালেগ ওয়ারিশদের স্বতঃস্ফূর্ত ব্যয়ের মাধ্যমে তার বদলি হজ্ব করানো উচিত। হাদীস শরীফে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন, এক মহিলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, আমার মা হজ্বের মানত করেছিলেন। তিনি হজ্ব না করেই মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি কি তাঁর পক্ষ থেকে হজ্ব করব?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি তাঁর পক্ষ থেকে হজ্ব কর। তোমার কী ধারণা, যদি তোমার মা কারো নিকট ঋণী হতেন তুমি কি তার ঋণ পরিশোধ করতে না? তোমরা আল্লাহর হক আদায় করে দাও। কেননা আল্লাহর হক তো আদায়ের বেশি উপযুক্ত।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন