و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

১. পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামাতের সাথে আদায় করুন। তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত, আওয়াবিন নামাযের প্রতি যত্নবান হোন। তাহাজ্জুদ ছুটে যাওয়ার আশংকা হলে ইশার নামাযের পর অন্তত দুই রাকাত নফল নামায পড়ুন। যা হবে তাহাজ্জুদের স্থলাভিষিক্ত।

২. কুরআন শরীফ খুব বেশী তিলাওয়াত করুন। বা'দ ফজর সূরা ইয়াসীন, বা'দ মাগরিব সূরা ওয়াক্বিয়া, বা'দ ইশা সূরা মূলক ও সূরা আলিফ লা-ম মী-ম সাজদা তিলাওয়াত করতে ভুলবেন না।

৩. প্রত্যেক ফরয নামাযের পর কা'বা শরীফের মত মসজিদে নববীতেও জানাযার নামায হয়। জানাযার নামাযে শরীক থাকুন।

৪. দু'আ মুনাজাত একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। দীর্ঘ সময় ধরে মুনাজাত করুন।

৫. খুব বেশি দুরূদ শরীফ পড়ুন। প্রত্যেক ফরয নামাযের পর মাসনূন দু'আ গুলো পড়ুন। হক্কানী আলিম নির্দেশিত ওজিফা আদায় করুন।

৬. পুরুষগণের জন্য প্রতিদিন বা'দ ফজর ও বা'দ আসর জান্নাতুল বাকী খুলে দেওয়া হয়। সেখানে দশ হাজার সাহাবীদের কবর যিয়ারত করুন।

৭. রিয়াজুল জান্নাতে নামায আদায় করার চিন্তা মাথায় রেখে চেষ্টা করুন। প্রতিদিন একবার হলেও রওজা শরীফে সালাম দিন।

৮. আসরের জামাত যদি মসজিদে নববীতে না পান তাহলে বাংলাদেশের মত আসরের ওয়াক্তে নামায আদায় করুন।

৯. কারো জোরে আমীন বলা শুনে জোরে আমীন বলতে উৎসাহিত হবেন না।

হানাফী মাযহাবের বিপক্ষে আলোচনা শুনে প্রভাবিত হবেন না। জীবন্ত হজ্ব: মুফতি ওয়াহিদুল আলম-৩০৮

والله اعلم بالصواب