প্রশ্নঃ ১৩০৩৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মুহতারাম কাকড়া চাষ করে ব্যবসা করে অর্জিত মুনাফা দ্বারা মসজিদ, মাদরাসা, দান করা বা আমার সংসার চালাইতে পারব কি না?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
১,// কাঁকড়ার ব্যবসা করার বিধান, , ,
কোনো কোনো মাজহাবে জলজ প্রাণী হিসাবে কাঁকড়া হালাল মনে করা হলেও, হানাফি মাজহাবে একান্ত প্রয়োজনে কিংবা ওষুধ হিসেবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে কাঁকড়ার ক্রয়-বিক্রয় জায়েজ বলা হয়েছে। (বাদায়েউস সানায়ে : ৫/৩৫, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া : ১৭/৩৪০)
তাই বাংলাদেশে গড়ে ওঠা কাঁকড়াশিল্পকে ঢালাওভাবে হারাম/নাজায়েজ বলার ক্ষেত্রে অনেক সতর্ক অবলম্বন করা হয়ে থাকে। কারণ এদের রক্তের এনজাইম ওষুধ এবং জৈবচিকিৎসা শিল্পে মানুষের জীবন রক্ষার্থে ইনট্রাভেনাস ড্রাগ এবং ব্যাকটেরিয়ার প্রোসথেটিক গ্রুপের বিশুদ্ধতা পরীক্ষায় ব্যবহৃত হয় এবং বর্তমানে চিকিৎসা যন্ত্রপাতির এন্ডোটোক্সিন দূষণের পরীক্ষায়ও ব্যবহৃত হয়। (বাংলাপিডিয়া)
২,/// কাঁকড়া খাওয়ার বিধান ?
হানাফি মাজহাব মতে, জলজ প্রাণীর মধ্যে মাছ ছাড়া অন্য কোনো প্রাণী খাওয়া জায়েজ নেই। কাঁকড়া যেহেতু মাছ নয়, তাই তা খাওয়ার ব্যাপারে অনুৎসাহ করা হয়েছে। উপরন্তু কোনো কোনো জায়গায় কাঁকড়াকে পানির বিচ্ছু বলা হয়। তাই একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কখনো এই খাবারটি খাওয়া বৈধ নয়।
(বাদায়েউস সানায়ে : ৫/৩৫) ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ১১/৩৭৫)।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন