মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২৩- পোষাক-পরিচ্ছদের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৪৩০৫

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৩০৫। হযরত মুগীরা ইবনে শো'বা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোম দেশীয় আটসাট আস্তিনবিশিষ্ট জুব্বা পরিধান করিয়াছেন। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৩০৬

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৩০৬। হযরত আবু বুরদা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলিয়াছেন, হযরত আয়েশা (রাঃ) একখানা তালিযুক্ত চাদর ও একখানা মোটা কাপড়ের ইযার (লুঙ্গী তহবন্ধ) আমাদিগকে দেখাইয়া বলিলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দুইটি কাপড় পরিহিত অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করিয়াছেন। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৩০৭

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৩০৭। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলিয়াছেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেই বিছানায় শয়ন করিতেন, তাহা ছিল চামড়ার তৈয়ারী। আর ভিতরে ভর্তি ছিল খেজুর গাছের আঁশ। -মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৩০৮

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৩০৮। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলিয়াছেন, রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেই গিদ্দা বা বালিশে হেলান দিতেন, উহা ছিল চামড়ার এবং ভিতরে ছিল আশ। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৩০৯

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৩০৯। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলিয়াছেন, একদা আমরা গ্রীষ্মের দুপুরে আমাদের গৃহে বসা ছিলাম। এমন সময় জনৈক ব্যক্তি আবু বকরকে বলিয়া উঠিল, ঐ যে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চাদর দ্বারা মাথা ঢাকিয়া এই দিকে আগমন করিতেছেন। —বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৩১০

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৩১০। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাকে বলিয়াছেন: এক বিছানা পুরুষের জন্য, আরেকখানা তাহার স্ত্রীর জন্য এবং তৃতীয় বিছানা মেহমানের জন্য। আর চতুর্থখানা শয়তানের জন্য। মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৩১১

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৩১১। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি অহংকারবশত টাখনার নীচে ইযার ঝুলায়, আল্লাহ্ তা'আলা কিয়ামতের দিন তাহার দিকে দৃষ্টিপাত করিবেন না। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৩১২

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৩১২। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি অহংকারবশত পরিধেয় কাপড় টাখনার নীচে ঝুলাইবে, আল্লাহ্ তা'আলা কিয়ামতের দিন তাহার দিকে দৃষ্টি করিবেন না। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৩১৩

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৩১৩। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন এক ব্যক্তি অহংকারবশত তাহার ইযার (হেঁছড়াইয়া যাইতেছিল, এমতাবস্থায় তাহাকে মাটিতে ধসাইয়া দেওয়া হইল। ফলে সে কিয়ামত পর্যন্ত যমীনের ভিতরে তলাইয়া যাইতে থাকিবে। — বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৩১৪

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৩১৪। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন টাখনার নীচে ইযারের যে অংশ থাকিবে উহা জাহান্নামে। (অর্থাৎ, শরীরের ঐ অংশ দোযখে যাইবে। অথবা ঐ সামান্য অংশের জন্য গোটা দেহই আগুনে জ্বলিবে।) —বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৩১৫

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৩১৫। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন ব্যক্তিকে তাহার বাম হাতে খাইতে, একখানা জুতা পরিয়া চলাফেরা করিতে, ইশতেমালে ছাম্মা অবস্থায় চাদর পরিধান করিতে এবং লজ্জাস্থান উন্মুক্ত রাখিয়া একই কাপড়ে ইহতেবা করিতে নিষেধ করিয়াছেন। মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৩১৬
আন্তর্জতিক নংঃ ৪৩১৯

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৩১৬। হযরত ওমর, আনাস, ইবনে যুবায়র ও আবু উমামা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন যে ব্যক্তি দুনিয়াতে রেশমী পোশাক পরিধান করিবে, সে পরকালে উহা পরিতে পারিবে না। — মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৩১৭

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৩১৭-[১৪]. দেখুন পূর্বের (৪৩১৬) নং হাদীস।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৩১৮

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৩১৮-[১৫]. দেখুন ৪৩১৬ নং হাদীস।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৩১৯

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৩১৯-[১৬]. দেখুন হাদীস নং ৪৩১৬।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৩২০

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৩২০। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন সেই ব্যক্তিই দুনিয়াতে রেশমী পোশাক পরিধান করিয়া থাকে, আখেরাতে যাহার ভাগে তাহা নাই। — মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৩২১

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৩২১। হযরত হুযায়ফা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলিয়াছেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদিগকে সোনা-রূপার পাত্রে পান করিতে এবং উহাতে আহার করিতে মিহি ও মোটা রেশমী কাপড় পরিধান করিতে এবং উহার উপরে বসিতে নিষেধ করিয়াছেন।-মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৩২২

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৩২২। হযরত আলী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলিয়াছেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একখানা লাল বর্ণের রেশমী চাদর হাদিয়া দেওয়া হইল। তিনি উহা আমার কাছে পাঠাইয়া দিলেন। আমি উহা পরিধান করিলাম, তখন আমি তাঁহার চেহারায় ক্রোধের চিহ্ন দেখিতে পাইলাম। অতঃপর তিনি আমাকে বলিলেনঃ আমি উহা তোমার নিকটে তোমার পরিধানের জন্য পাঠাই নাই; বরং আমি উহা তোমার কাছে এই উদ্দেশ্যে পাঠাইয়াছি যে, তুমি উহাকে খণ্ড করিয়া মহিলাদের জন্য উড়নী বানাইয়া উহা তাহাদেরে দিয়া দিবে। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৩২৩

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৩২৩। হযরত ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রেশমী কাপড় পরিতে নিষেধ করিয়াছেন। তবে এই পরিমাণ (জায়েয আছে, বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মধ্যমা ও শাহাদত অঙ্গুলীদ্বয়কে একত্রে মিলাইয়া উপর দিকে উঠাইয়া ইশারা করিলেন। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৩২৪

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৩২৪। মুসলিমের এক রেওয়ায়তে আছে, একদা হযরত ওমর (রাঃ) সিরিয়ার জাবিয়া নামক শহরে এক ভাষণে বলিয়াছেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই, তিন অথবা চার আঙ্গুলের অধিক পরিমাণ রেশমী কাপড় পরিধান করিতে নিষেধ করিয়াছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান