মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

২৩- পোষাক-পরিচ্ছদের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ৪৩২৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৩২৮। হযরত উম্মে সালামা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে কোর্তাই ছিল সর্বাধিক প্রিয় লেবাস। —তিরমিযী ও আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৩২৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৩২৯। হযরত আসমা বিনতে ইয়াযীদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর জামার আস্তিন হাতের কব্‌জী পর্যন্ত ছিল। —তিরমিযী ও আবু দাউদ, তিরমিযী বলিয়াছেন, হাদীসটি হাসান ও গরীব।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৩৩০
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৩৩০। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলিয়াছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখনই জামা পরিতেন, তখন ডান দিক হইতে শুরু করিতেন। — তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৩৩১
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৩৩১। হযরত আবু সায়ীদ খুদরী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলিয়াছেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলিতে শুনিয়াছি, তিনি বলেনঃ মু'মিনের ইযার (লুঙ্গী, পেন্ট ও পায়জামা) পায়ের অর্ধনলা পর্যন্ত থাকা চাই, তবে উহার নীচে টানা গিরার মধ্যবর্তী পর্যন্ত হওয়ার মধ্যে কোন দোষ নাই। কিন্তু টানার নীচে যাহা যাইবে উহা দোযখে যাইবে। এই কথাটি তিনি তিনবার বলিয়াছেন। তিনি আরও বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি অহংকারবশত ইযার হেঁচড়াইয়া চলে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা'আলা তাহার প্রতি দৃষ্টি করিবেন না। —আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৩৩২
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৩৩২। হযরত সালেম (রহঃ) তাঁহার পিতা (ইবনে ওমর [রাঃ]) হইতে বর্ণনা করেন, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ ঝুলান (-এর নিষেধাজ্ঞা) ইযার, জামা ও পাগড়ীর মধ্যে প্রযোজ্য। সুতরাং যে ব্যক্তি অহংকারবশত ইহার কোন একটিকে হেঁচড়াইয়া চলিবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা'আলা তাহার দিকে তাকাইবেন না। —আবু দাউদ, নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ্

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৩৩৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৩৩৩। হযরত আবু কাবশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলিয়াছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাহাবীদের টুপী ছিল চেপ্টা। —তিরমিযী এবং তিনি বলিয়াছেন, এই হাদীসটি মুনকার।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৩৩৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৩৩৪। হযরত উম্মে সালামা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলিয়াছেন, যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইযার সম্পর্কে আলোচনা করিলেন, তখন আমি আরয করিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এই ব্যাপারে নারীর বিধান কি? তিনি বলিলেনঃ এক বিঘত পরিমাণ ঝুলাইতে পারিবে। তখন উম্মে সালামা বলিলেন, এমতাবস্থায় তাহার অঙ্গ (পা) খুলিয়া যাইবে। তিনি বলিলেন, তবে এক হাত, ইহার অধিক যেন না হয়। — মালেক, আবু দাউদ, নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ্ ।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৩৩৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৩৩৫। আর তিরমিযী ও নাসায়ীর এক রেওয়ায়তে ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, হযরত উম্মে সালামা্ বলিলেন, এমতাবস্থায় তাহাদের পা খুলিয়া যাইবে? হুযূর (ﷺ) বলিলেন, তবে তাহারা এক হাত পরিমাণ ঝুলাইবে। ইহার অধিক যেন না হয় ।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৩৩৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৩৩৬। হযরত মুআবিয়া ইবনে কোররা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি তাঁহার পিতা হইতে বর্ণনা করিয়াছেন, তিনি বলিয়াছেন, একদা আমি মোযাইনা গোত্রের একদল লোকের সঙ্গে নবী (ﷺ)-এর খেদমতে আসিলাম। তাহারা নবী (ﷺ)-এর হাতে বায়আত করিল। সেই সময় হুযূর (ﷺ)-এর (জামার) বুতাম খোলা ছিল। তখন আমি আমার হাতখানা তাঁহার জামার ভিতরে ঢুকাইলাম এবং মোহরে নবুওতটি স্পর্শ করিলাম। – আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৩৩৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৩৩৭। হযরত সামুরা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমরা সাদা কাপড় পরিধান কর। কেননা, উহা অতি পবিত্র ও অধিক পছন্দনীয় । আর তোমাদের মৃতদিগকেও সাদা কাপড়ে কাফন পরাও। —আহমদ, তিরমিযী, নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ্

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৩৩৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৩৩৮। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখনই পাগড়ী বাঁধিতেন, তখন শামলা উভয় কাধের মধ্য দিয়া (পিছনের দিকে) ঝুলাইয়া দিতেন। —তিরমিযী এবং তিনি বলিয়াছেন, এই হাদীসটি হাসান ও গরীব।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৩৩৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৩৩৯। হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার মাথায় পাগড়ী বাঁধিয়া দিলেন এবং উহার এক দিক আমার সামনে অপর দিক পিছনে ঝুলাইয়া দিলেন। –আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৩৪০
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৩৪০। হযরত রোকানা (রাঃ) হইতে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আমাদের ও মুশরিকদের মধ্যে পার্থক্য হইল টুপীর উপরে পাগড়ী বাঁধা। (অর্থাৎ, আমরা টুপীর উপর পাগড়ী বাঁধি আর তাহারা টুপী ছাড়া পাগড়ী বাঁধে।) — তিরমিযী, তিনি বলিয়াছেন, এই হাদীসটি গরীব এবং ইহার সনদটিও মজবুত নহে।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৩৪১
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৩৪১। হযরত আবু মুসা আশআরী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ স্বর্ণ ও রেশমের ব্যবহার আমার উম্মতের নারীদের জন্য হালাল এবং পুরুষদের জন্য হারাম করা হইয়াছে। —তিরমিযী ও নাসায়ী
ইমাম তিরমিযী বলিয়াছেন, এই হাদীসটি হাসান ও সহীহ্ ।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৩৪২
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৩৪২। হযরত আবু সায়ীদ খুদরী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলিয়াছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখনই কোন নূতন কাপড় পরিধান করিতেন, তখন উহার নাম— পাগড়ী, জামা, চাদর (ইত্যাদি) উল্লেখ করিয়া এই দো'আ পড়িতেনঃ “আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু কামা কাসাওতানীহে, আসআলুকা খাইরাহু ওয়া খাইরা মা ছুনিআ লাহু, ওয়া আউযু বিকা মিন শাররিহী ওয়া শাররে মা ছুনিআ লাহু।” (অর্থঃ ইয়া আল্লাহ্! সমস্ত প্রশংসা তোমারই, তুমিই এই কাপড়খানি আমাকে পরিধান করাইয়াছ। আমি তোমার কাছে ইহার কল্যাণ কামনা করিতেছি এবং যেই উদ্দেশ্যে ইহা প্রস্তুত করা হইয়াছে উহারও কল্যাণ কামনা করিতেছি এবং উহার অনিষ্ট হইতে পানাহ্ চাই এবং যে উদ্দেশ্যে উহা প্রস্তুত করা হইয়াছে উহার অনিষ্ট হইতেও পানাহ্ চাই।) — তিরমিযী ও আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৩৪৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৩৪৩। হযরত মুআয ইবনে আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি খানা খাওয়ার পর এই দো'আ "আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী আতআমানী হাযাততোআমা ওয়া রাযাকানীহে মিন গাইরে হাওলিম্ মিন্নী ওয়ালা কুয়্যাতিন” পড়ে, তাহার অতীতের সমস্ত গুনাহ্ মাফ হইয়া যায়। (অর্থঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই যিনি আমাকে এই খাদ্য খাওয়াইয়াছেন এবং আমার শক্তি-সামর্থ্য ব্যতিরেকেই তিনি উহা আমাকে দান করিয়াছেন।)—তিরমিযী, আর আবু দাউদ অতিরিক্ত বর্ণনা করিয়াছেন, যে ব্যক্তি নূতন কাপড় পরিধান করিয়া এই দো'আ “আল হামদু লিল্লাহিল্লাযী কাসানী হাযা ওয়া রাযাকানীহে মিন গাইরে হাওলিম মিন্নী ওয়ালা কুয়্যাতিন” পড়ে, তাহার আগের ও পরের সমস্ত গুনাহ্ মাফ হইয়া যায় ।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৩৪৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৩৪৪। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে লক্ষ্য করিয়া বলিয়াছেনঃ হে আয়েশা! যদি তুমি (দুনিয়া ও আখেরাতে) আমার সান্নিধ্য লাভের ইচ্ছা রাখ, তবে দুনিয়ার সম্পদের এই পরিমাণই নিজের জন্য যথেষ্ট মনে কর, যেই পরিমাণ একজন মুসাফিরের পাথেয় হিসাবে যথেষ্ট হয় এবং ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সাহচর্য হইতে বাঁচিয়া থাক, আর তালি না লাগানো পর্যন্ত কোন কাপড়কে পুরাতন (ব্যবহারে অনুপযোগী) ধারণা করিও না। —তিরমিযী, ইমাম তিরমিযী বলিয়াছেন, এই হাদীসটি গরীব।
কেননা, আমরা হাদীসটি সালেহ ইবনে হাসান ব্যতীত অন্য কোন সূত্রে অবহিত হই নাই। এবং মুহাম্মাদ ইবনে ইসমায়ীল (বুখারী) বলিয়াছেন, সালেহ ইবনে হাসসান মুনকারুল হাদীস।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৩৪৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৩৪৫। হযরত আবু উমামা আয়াস ইবনে সা'লাবা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমরা কি শুনিতেছ না? তোমরা কি শুনিতেছ না? (অর্থাৎ, মনোযোগ সহকারে শ্রবণ কর,) সাদাসিধা (অনাড়ম্বর) জীবনযাপন করাই ঈমানের অঙ্গ, সাদাসিধা (অনাড়ম্বর) জীবনযাপন করাই ঈমানের অঙ্গ। –আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৩৪৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৩৪৬। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি দুনিয়াতে সুনামের পোশাক পরিধান করিবে, আল্লাহ্ তা'আলা কিয়ামতের দিন তাহাকে অপমানের পোশাক পরাইবেন। —আহমদ, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৩৪৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৩৪৭। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করিবে, সে তাহাদেরই অন্তর্ভুক্ত। —আহমদ ও আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান