মা'আরিফুল হাদীস
معارف الحديث
আখলাক অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৬২ টি
হাদীস নং: ২২১
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জান্নাতী ও জাহান্নামী ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য
২২১. হযরত হারিস ইবন ওহাব (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: আমি কি তোমাদেরকে জান্নাতবাসী সম্পর্কে খবর দিব না? প্রত্যেক নরম ও দুর্বল ব্যক্তি, যে আল্লাহর নামে কোন শপথ করলে আল্লাহ তা পূরণ করেন। আমি কি তোমাদেরকে জাহান্নামবাসী সম্পর্কে খবর দিব না? প্রত্যেক কর্কশ মেযাজ, সংকীর্ণমনা, অধৈর্য ও অহঙ্কারী। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الاخلاق
عَنْ حَارِثَةَ بْنِ وَهْبٍ الخُزَاعِيِّ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : أُخْبِرُكُمْ بِأَهْلِ الجَنَّةِ؟ كُلُّ ضَعِيفٍ مُتَضَاعِفٍ ، لَوْ أَقْسَمَ عَلَى اللَّهِ لَأَبَرَّهُ . أَلاَ أُخْبِرُكُمْ بِأَهْلِ النَّارِ؟ كُلُّ عُتُلٍّ جَوَّاظٍ مُسْتَكْبِرٍ . (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২২২
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ অনুপরিমাণ অহঙ্কার জান্নাতের অন্তরায়
২২২. হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসঊদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী ﷺ থেকে বর্ণনা করেন, যার অন্তরে অনুপরিমাণ অহঙ্কার রয়েছে, সে জান্নাতে যাবে না। (মুসলিম ও বুখারী)
کتاب الاخلاق
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ رَجُلٌ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ كِبْرٍ . (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২২৩
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ যে তিন ব্যক্তির সাথে কথা বলবেন না
২২৩, হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তিন ব্যক্তির সাথে আল্লাহ কিয়ামতের দিন কথা বলবেন না, তাদেরকে পাক-সাফ করবেন না। অন্য রিওয়ায়াতে বলা হয়েছে, তাদের দিকে দৃষ্টিপাত করবেন না এবং তাদের জন্য কঠিন আযাব রয়েছে। তারা হলো, বৃদ্ধ ব্যভিচারী, মিথ্যাবাদী বাদশাহ এবং অহঙ্কারী দরিদ্র। (মুসলিম)
کتاب الاخلاق
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " ثَلَاثَةٌ لَا يُكَلِّمُهُمُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَا يُزَكِّيهِمْ – وَفِىْ رِوَايَةٍ : وَلَا يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ - وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ : شَيْخٌ زَانٍ ، وَمَلِكٌ كَذَّابٌ ، وَعَائِلٌ مُسْتَكْبِرٌ " (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২২৪
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ লজ্জাশীলতা
শরম ও লজ্জা এমন একটি স্বভাবজাত ও মৌলিক সদগুণ, মানুষের চরিত্র গঠনে যার বিরাট দখল ও প্রভাব রয়েছে। এটাই ঐ গুণ ও চরিত্র যা মানুষকে অনেক মন্দ কাজ থেকে ও মন্দ কথা থেকে ফিরিয়ে রাখে। এটা মানুষকে অশ্লীলতা ও অন্যায় থেকে বাঁচিয়ে রাখে এবং ভাল ও ভদ্রোচিত কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে। এক কথায় শরম ও লজ্জা মানুষের অনেক সৌন্দর্যের মূল এবং অশ্লীলতা ও অপকর্ম থেকে রক্ষাকারী। এ জন্যই রাসূলুল্লাহ ﷺ নিজের শিক্ষা ও দীক্ষা কার্যক্রমে এর উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন। নিম্নে এ প্রসঙ্গের কয়েকটি হাদীস পাঠ করুন এবং নিজের মধ্যে এ গুণ সৃষ্টি ও তা আরো উন্নীত করতে সচেষ্ট হোন।
হায়া ইসলামের প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য
শরম ও লজ্জা এমন একটি স্বভাবজাত ও মৌলিক সদগুণ, মানুষের চরিত্র গঠনে যার বিরাট দখল ও প্রভাব রয়েছে। এটাই ঐ গুণ ও চরিত্র যা মানুষকে অনেক মন্দ কাজ থেকে ও মন্দ কথা থেকে ফিরিয়ে রাখে। এটা মানুষকে অশ্লীলতা ও অন্যায় থেকে বাঁচিয়ে রাখে এবং ভাল ও ভদ্রোচিত কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে। এক কথায় শরম ও লজ্জা মানুষের অনেক সৌন্দর্যের মূল এবং অশ্লীলতা ও অপকর্ম থেকে রক্ষাকারী। এ জন্যই রাসূলুল্লাহ ﷺ নিজের শিক্ষা ও দীক্ষা কার্যক্রমে এর উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন। নিম্নে এ প্রসঙ্গের কয়েকটি হাদীস পাঠ করুন এবং নিজের মধ্যে এ গুণ সৃষ্টি ও তা আরো উন্নীত করতে সচেষ্ট হোন।
হায়া ইসলামের প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য
২২৪. হযরত যায়দ ইবন তালহা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: প্রত্যেক দীনের প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং ইসলামের প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য হল হায়া। (ইমাম মালিক মুরসাল হিসেবে, ইবন মাজাহ এবং বায়হাকী শুয়াবুল ঈমানে আনাস ও ইবন আব্বাস রা সূত্রে)
کتاب الاخلاق
عَنْ زَيْدِ بْنِ طَلْحَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِنَّ لِكُلِّ دِينٍ خُلُقًا ، وَخُلُقُ الْإِسْلَامِ الْحَيَاءُ " (رواه مالك مرسلا ورواه ابن ماجة والبيهقى فى شعب الايمان عن انس وابن عباس)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২২৫
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ হায়া ঈমানের ফল
২২৫. হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ এক আনসারের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। আনসার তার ভাইকে হায়ার ব্যাপারে নসীহত করছিলেন। রাসুলুল্লাহ ﷺ বললেন : তাকে যেতে দাও, হায়া ঈমানের ফল। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الاخلاق
عَنْ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ عَلَى رَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ ، وَهُوَ يَعِظُ أَخَاهُ فِي الحَيَاءِ ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « دَعْهُ فَإِنَّ الحَيَاءَ مِنَ الإِيمَانِ » (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২২৬
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ হায়া ঈমানের অংশ
২২৬. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: হায়া ঈমানের অংশ (বা ঈমান থেকে সৃষ্ট) এবং ঈমানের মাকাম জান্নাত। অশ্লীলতা মন্দ আচরণ থেকে সৃষ্ট এবং মন্দ আচরণের স্থান জাহান্নাম। (মুসনাদে আহমদ ও তিরমিযী)
کتاب الاخلاق
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « الْحَيَاءُ مِنَ الْإِيمَانِ ، وَالْإِيمَانُ فِي الْجَنَّةِ ، وَالْبَذَاءُ مِنَ الْجَفَاءِ ، وَالْجَفَاءُ فِي النَّارِ » (رواه احمد والترمذى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২২৭
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ হায়া ও ঈমান একত্রে থাকে
২২৭. হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: হায়া ও ঈমান একত্রে থাকে। তাদের একটিকে উঠিয়ে নিলে অপরটিকে উঠিয়ে নেয়া হয়। (বায়হাকী: শুয়াবুল ঈমান)
کتاب الاخلاق
عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : " إِنَّ الْحَيَاءَ وَالْإِيمَانَ قُرَنَاءَ جَمِيعًا ، فَإِذَا رُفِعَ أَحَدُهُمَا رُفِعَ الْآخَرُ " (رواه البيهقى فى شعب الايمان)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২২৮
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ হায়া কল্যাণ বয়ে আনে
২২৮. হযরত ইমরান ইবন হুসায়ন (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: হায়া কল্যাণ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে আসে না। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الاخلاق
عَنْ عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ ، قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « الحَيَاءُ لاَ يَأْتِي إِلَّا بِخَيْرٍ » (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২২৯
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পূর্ববর্তী যামানার কালামুল্লাহ থেকে প্রাপ্ত জিনিস
২২৯. হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: মানুষ পূর্ববর্তী যামানার নবুওয়তের কালাম থেকে যা পেয়েছে, তা হল, যদি তোমার হায়া না থাকে তাহলে যা ইচ্ছা তা কর। (বুখারী)
کتاب الاخلاق
عَنْ ابْنِ مَسْعُودٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « إِنَّ مِمَّا أَدْرَكَ النَّاسُ مِنْ كَلاَمِ النُّبُوَّةِ ، إِذَا لَمْ تَسْتَحْيِ فَاصْنَعْ مَا شِئْتَ » (رواه البخارى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩০
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহকে হায়া করার অর্থ
২৩০. হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: হায়ার যে হক আল্লাহর রয়েছে, সে মোতাবিক তাঁকে হায়া কর। আমরা বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর তামাম প্রশংসা, আমরা আল্লাহকে হায়া করি। তিনি বললেন: এভাবে যে, বরং আল্লাহকে হায়া করার যে হক রয়েছে সেভাবে হায়া করার অর্থ হল, মাথা ও তার মধ্যে যা তার এবং পেট ও তার ভিতরে যা জমা করা হয়, তার হিফাযত করা। যে আখিরাতের যিন্দেগী চায়, সে দুনিয়ার আরাম-আয়েশ ত্যাগ করে এবং দুনিয়ার পরিবর্তে আখিরাতকে পসন্দ করে। বস্তুত এটা হল হায়ার যে হক আল্লাহর রয়েছে, সে মোতাবিক তাঁকে হায়া করা। (তিরমিযী)
کتاب الاخلاق
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : اسْتَحْيُوا مِنَ اللهِ حَقَّ الحَيَاءِ . قَالَ : قُلْنَا : يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّا نَسْتَحْيِي مِنَ اللهِ وَالحَمْدُ لِلَّهِ ، قَالَ : لَيْسَ ذَالِكَ ، وَلَكِنَّ الاِسْتِحْيَاءَ مِنَ اللهِ حَقَّ الحَيَاءِ أَنْ تَحْفَظَ الرَّأْسَ وَمَا وَعَى ، وَالبَطْنَ وَمَا حَوَى ، وَتَذْكُرَ الْمَوْتَ وَالبَلَى ، وَمَنْ أَرَادَ الآخِرَةَ تَرَكَ زِينَةَ الدُّنْيَا ، وَآثَرَ عَلَى الْاُوْلَى فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَقَدْ اسْتَحْيَا مِنَ اللهِ حَقَّ الحَيَاءِ . (رواه الترمذى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩১
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ অল্পেতুষ্টি ও লোভ-লালসা
যেসব সদগুণের দ্বারা মানুষ আল্লাহ্ তা'আলার প্রিয়পাত্র এবং এ দুনিয়াতেও উচ্চ মর্যাদার অধিকারী হয় এবং অন্তরের অস্থিরতা ও মনের জ্বালা থেকে মুক্তি পেয়ে যায়, এগুলোর মধ্যে একটি বিশেষ গুণ হচ্ছে অল্পেতুষ্টি। অল্পেতুষ্টির মর্ম এই যে, মানুষ আল্লাহর পক্ষ থেকে যা পাবে, তার উপরই সন্তুষ্ট ও খুশী থাকবে এবং বেশী পাওয়ার লোভ করবে না। আল্লাহ্ তা'আলা যে বান্দাকে অল্পেতুষ্টির এ সম্পদ দান করেন, তাকে মনে করতে হবে যে, নিঃসন্দেহে আমাকে বিরাট সম্পদ ও নেয়ামত দান করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কয়েকটি বাণী নিম্নে পাঠ করুন:
যেসব সদগুণের দ্বারা মানুষ আল্লাহ্ তা'আলার প্রিয়পাত্র এবং এ দুনিয়াতেও উচ্চ মর্যাদার অধিকারী হয় এবং অন্তরের অস্থিরতা ও মনের জ্বালা থেকে মুক্তি পেয়ে যায়, এগুলোর মধ্যে একটি বিশেষ গুণ হচ্ছে অল্পেতুষ্টি। অল্পেতুষ্টির মর্ম এই যে, মানুষ আল্লাহর পক্ষ থেকে যা পাবে, তার উপরই সন্তুষ্ট ও খুশী থাকবে এবং বেশী পাওয়ার লোভ করবে না। আল্লাহ্ তা'আলা যে বান্দাকে অল্পেতুষ্টির এ সম্পদ দান করেন, তাকে মনে করতে হবে যে, নিঃসন্দেহে আমাকে বিরাট সম্পদ ও নেয়ামত দান করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কয়েকটি বাণী নিম্নে পাঠ করুন:
২৩১. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে 'আমর (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: ঐ বান্দা সফলকাম, প্রকৃত অর্থেই যে ইসলাম গ্রহণ করেছে এবং প্রয়োজন পরিমাণ রিযিক বা জীবনোপকরণও তাকে প্রদান করা হয়েছে। আর আল্লাহ্ তা'আলা তাকে এ পরিমিত রিযিকের উপর তুষ্টও করে দিয়েছেন। -মুসলিম
کتاب الاخلاق
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « قَدْ أَفْلَحَ مَنْ أَسْلَمَ ، وَرُزِقَ كَفَافًا ، وَقَنَّعَهُ اللهُ بِمَا آتَاهُ » (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩২
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ অল্পেতুষ্টি ও লোভ-লালসা
২৩২. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) বলেন, নবী করীম ﷺ বলেছেন: সম্পদের প্রাচুর্যের দ্বারা ধনী হওয়া যায় না; বরং ধনী হওয়ার অর্থ হচ্ছে অন্তরের পরিতৃপ্তি তথা অমুখাপেক্ষিতা। -বুখারী
کتاب الاخلاق
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : « لَيْسَ الغِنَى عَنْ كَثْرَةِ العُرُوْضِ ، وَلَكِنَّ الغِنَى غِنَى النَّفْسِ » (رواه البخارى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৩
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ প্রাচুর্য ও দারিদ্র্য অন্তরে
২৩৩. হযরত আবু যর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাকে বললেনঃ হে আবু যর! তুমি কি সম্পদের আধিক্যকে প্রাচুর্য বল। আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ তুমি কি সম্পদের স্বল্পতাকে দারিদ্র্য বল? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি তিনবার এ প্রশ্ন করলেন, অতঃপর বললেনঃ প্রাচুর্য অন্তরে এবং দারিদ্র্য অন্তরে। (তাবারানী, কাবীর গ্রন্থে)
کتاب الاخلاق
عَنْ أَبِي ذَرٍّ ، قَالَ : قَالَ لِىْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " يَا أَبَا ذَرٍّ , تَقُوْلُ كَثْرَةَ الْمَالِ الْغِنَى؟ " قُلْتُ : نَعَمْ قَالَ : " تَقُوْلُ قِلَّةَ الْمَالِ هِيَ الْفَقْرُ؟ " , قُلْتُ : نَعَمْ قَالَ ذَالِكَ ثَلَاثًا ثُمَّ قَالَ : " الْغِنَى فِى الْقَلْبِ , وَالْفَقْرُ فِى الْقَلْبِ " (رواه الطبرانى فى الكبير)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৪
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ বান্দা যেমন চায় আল্লাহ তেমন দেন
২৩৪. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, কতিপয় আনসার রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে। তিনি তাদেরকে দান করলেন। অতঃপর তারা তাঁর কাছে চাইল। তাঁর নিকট যা ছিল তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি তাদেরকে দিলেন এবং বললেন: আমার কাছে কোন সম্পদ থাকলে তা তোমাদেরকে না দিয়ে কখনো সঞ্চয় করব না। কিন্তু যে নিজেকে সওয়াল করা থেকে বিরত রাখতে চায়, আল্লাহ তাকে পাক-সাফ রাখেন, যে নিজেকে অন্যের মুখাপেক্ষী করতে চায় না, আল্লাহ তাকে অন্যের মুখাপেক্ষী করেন না এবং যে সবর করতে চায়, আল্লাহ তাকে সবর দান করেন এবং কোন বান্দাকে সবরের চেয়ে অধিক প্রশস্ত কোন নিয়ামত কখনো দেয়া হয়নি। (আবূ দাউদ)
کتاب الاخلاق
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ، أَنَّ نَاسًا مِنَ الْأَنْصَارِ سَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعْطَاهُمْ ، ثُمَّ سَأَلُوهُ فَأَعْطَاهُمْ ، حَتَّى إِذَا نَفِدَ عِنْدَهُ ، قَالَ : « مَا يَكُونُ عِنْدِي مِنْ خَيْرٍ ، فَلَنْ أَدَّخِرَهُ عَنْكُمْ ، وَمَنْ يَسْتَعْفِفْ يُعِفَّهُ اللَّهُ ، وَمَنْ يَسْتَغْنِ يُغْنِهِ اللَّهُ ، وَمَنْ يَتَصَبَّرْ يُصَبِّرْهُ اللَّهُ ، وَمَا أُعْطِىَ أَحَدٌ مِنْ عَطَاءٍ أَوْسَعَ مِنَ الصَّبْرِ » (رواه ابو داؤد)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৫
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ উপরের হাত নিচের হাতের চেয়ে উত্তম
২৩৫. হযরত হাকিম ইবন হিযাম (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর নিকট সওয়াল করলাম। তিনি আমাকে দান করলেন। পুনরায় তাঁর নিকট সওয়াল করলাম। তিনি আমাকে দিলেন এবং বললেনঃ হে হাকিম! এ সম্পদ সবুজ ও সুমিষ্ট। যে নফসের বদান্যতার সাথে তা গ্রহণ করে, তাতে তার জন্য বরকত রয়েছে। যে নফসের সম্মানের জন্য তা গ্রহণ করে, তাতে তার জন্য কোন বরকত নেই এবং তার অবস্থা এরূপ যেন এক ব্যক্তি খায় কিন্তু তার পেট ভরে না। উপরের হাত নিচের হাতের চেয়ে উত্তম। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনাকে যিনি হক সহকারে পাঠিয়েছেন তাঁর কসম, আপনার (এ দানের) পর দুনিয়া ত্যাগ করা পর্যন্ত আমি কারো নিকট থেকে কিছু গ্রহণ করব না। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الاخلاق
عَنْ حَكِيمَ بْنَ حِزَامٍ قَالَ : سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَأَعْطَانِي ثُمَّ سَأَلْتُهُ ، فَأَعْطَانِي ثُمَّ قَالَ لِي : « يَا حَكِيمُ ، إِنَّ هَذَا المَالَ خَضِرٌ حُلْوٌ ، فَمَنْ أَخَذَهُ بِسَخَاوَةِ نَفْسٍ ، بُورِكَ لَهُ فِيهِ وَمَنْ أَخَذَهُ بِإِشْرَافِ نَفْسٍ ، لَمْ يُبَارَكْ لَهُ فِيهِ ، وَكَانَ كَالَّذِي يَأْكُلُ وَلاَ يَشْبَعُ ، وَاليَدُ العُلْيَا خَيْرٌ مِنَ اليَدِ السُّفْلَى » ، قَالَ حَكِيمٌ : فَقُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالحَقِّ لاَ أَرْزَأُ أَحَدًا بَعْدَكَ شَيْئًا حَتَّى أُفَارِقَ الدُّنْيَا . (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৬
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ উপরের হাত নিচের হাতের চেয়ে উত্তম
২৩৬. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে 'আমর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ একদিন ভাষণ দিলেন এবং এতে বললেন: তোমরা লোভ-লালসা থেকে বেঁচে থাক। কেননা, তোমাদের পূর্ববর্তী সম্প্রদায়সমূহ এ লোভের কারণেই ধ্বংস হয়েছে। এ লোভই তাদেরকে কৃপণতা করতে বলেছে। ফলে তারা কৃপণতা অবলম্বন করেছে। এটাই তাদেরকে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলেছে, আর তারা তাই করেছে।
এ জিনিসই তাদেরকে পাপাচারে লিপ্ত হতে বলেছে, আর তারা পাপাচারে লিপ্ত হয়েছে। -আবূ দাউদ
এ জিনিসই তাদেরকে পাপাচারে লিপ্ত হতে বলেছে, আর তারা পাপাচারে লিপ্ত হয়েছে। -আবূ দাউদ
کتاب الاخلاق
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ، قَالَ : خَطَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَقَالَ : « إِيَّاكُمْ وَالشُّحَّ ، فَإِنَّمَا هَلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ بِالشُّحِّ ، أَمَرَهُمْ بِالْبُخْلِ فَبَخِلُوا ، وَأَمَرَهُمْ بِالْقَطِيعَةِ فَقَطَعُوا ، وَأَمَرَهُمْ بِالْفُجُورِ فَفَجَرُوا » (رواه ابو داؤد)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৭
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ উপরের হাত নিচের হাতের চেয়ে উত্তম
২৩৭. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺকে বলতে শুনেছি: মানুষের মধ্যে সবচেয়ে মন্দ বিষয় হচ্ছে অতি লোভ ও চরম ভীরুতা। -আবূ দাউদ
کتاب الاخلاق
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُول : « شَرُّ مَا فِي رَجُلٍ شُحٌّ هَالِعٌ وَجُبْنٌ خَالِعٌ » (رواه ابو داؤد)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৮
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ধৈর্য ও কৃতজ্ঞতা
এ দুনিয়ায় দুঃখ-কষ্টও আছে, আরাম এবং সুখও আছে। আনন্দও আছে, দুশ্চিন্তাও আছে। মিষ্টতাও আছে, তিক্ততাও আছে। ঠাণ্ডাও আছে, গরমও আছে। অনুকূল অবস্থাও আছে, প্রতিকূলতাও আছে। আর এসব কিছুই আল্লাহর পক্ষ থেকেই এবং তাঁরই হুকুমে হয়ে থাকে। এ জন্য আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপনকারী বান্দাদের অবস্থা এই হওয়া চাই যে, যখন কোন দুঃখ-মুসীবত এসে যায়, তখন তারা যেন নৈরাশ্যের শিকার হয়ে ভেঙ্গে না পড়ে; বরং ঈমানী ধৈর্য ও দৃঢ়তার সাথে তা যেন বরণ করে নেয় এবং অন্তরে এ বিশ্বাস তাজা করে নেয় যে, এসব কিছুই আল্লাহর পক্ষ থেকে, যিনি আমাদের প্রজ্ঞাময় ও দয়াময় প্রভু এবং তিনিই আমাদেরকে এ দুঃখ ও বিপদ থেকে মুক্তি দানকারী।
অনুরূপভাবে যখন মানুষের অবস্থা অনুকূল ও যুৎসই থাকে, তাদের কামনা-বাসনা পূর্ণ হতে থাকে এবং সুখ ও আনন্দের সামগ্রী হাতে আসতে থাকে, তখনও যেন তারা এটাকে নিজেদের কৃতিত্ব এবং নিজেদের বাহুবলে অর্জিত ফসল মনে না করে; বরং এ সময় তারা যেন নিজেদের অন্তরে এ বিশ্বাস তাজা করে নেয় যে, এসব কিছুই কেবল আল্লাহ্ তা'আলার একান্ত অনুগ্রহ ও তাঁর দান। তিনি যখন ইচ্ছা করেন, তখন তাঁর দেওয়া সব নেয়ামত ছিনিয়েও নিতে পারেন। এ জন্য প্রতিটি নেয়ামতের উপর তাঁর কৃতজ্ঞতা ও শুকরিয়া আদায় করা উচিত।
এটা ইসলামের এক বিশেষ শিক্ষা এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ বিভিন্নভাবে এর প্রতি উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। এ শিক্ষার উপর আমল করার একটি ফল তো এই হয় যে, একজন বান্দা সর্বাবস্থায় আল্লাহর সাথে তার সম্পর্ক ধরে রাখতে পারে। দ্বিতীয় উপকারিতা এই যে, সে বিপদে ও ব্যর্থতায় কখনো ভেঙ্গে পড়ে না, অব্যাহত দুঃখ ও শোকে সে মুষড়ে যায় না এবং নৈরাশ্য ও ভঙ্গুরতা তার কর্মক্ষমতাকে নিঃশেষ করতে পারে না। এ প্রসঙ্গের কয়েকটি হাদীস নিম্নে পাঠ করে নিন:
মু'মিনের ব্যাপার খুব আজিব
এ দুনিয়ায় দুঃখ-কষ্টও আছে, আরাম এবং সুখও আছে। আনন্দও আছে, দুশ্চিন্তাও আছে। মিষ্টতাও আছে, তিক্ততাও আছে। ঠাণ্ডাও আছে, গরমও আছে। অনুকূল অবস্থাও আছে, প্রতিকূলতাও আছে। আর এসব কিছুই আল্লাহর পক্ষ থেকেই এবং তাঁরই হুকুমে হয়ে থাকে। এ জন্য আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপনকারী বান্দাদের অবস্থা এই হওয়া চাই যে, যখন কোন দুঃখ-মুসীবত এসে যায়, তখন তারা যেন নৈরাশ্যের শিকার হয়ে ভেঙ্গে না পড়ে; বরং ঈমানী ধৈর্য ও দৃঢ়তার সাথে তা যেন বরণ করে নেয় এবং অন্তরে এ বিশ্বাস তাজা করে নেয় যে, এসব কিছুই আল্লাহর পক্ষ থেকে, যিনি আমাদের প্রজ্ঞাময় ও দয়াময় প্রভু এবং তিনিই আমাদেরকে এ দুঃখ ও বিপদ থেকে মুক্তি দানকারী।
অনুরূপভাবে যখন মানুষের অবস্থা অনুকূল ও যুৎসই থাকে, তাদের কামনা-বাসনা পূর্ণ হতে থাকে এবং সুখ ও আনন্দের সামগ্রী হাতে আসতে থাকে, তখনও যেন তারা এটাকে নিজেদের কৃতিত্ব এবং নিজেদের বাহুবলে অর্জিত ফসল মনে না করে; বরং এ সময় তারা যেন নিজেদের অন্তরে এ বিশ্বাস তাজা করে নেয় যে, এসব কিছুই কেবল আল্লাহ্ তা'আলার একান্ত অনুগ্রহ ও তাঁর দান। তিনি যখন ইচ্ছা করেন, তখন তাঁর দেওয়া সব নেয়ামত ছিনিয়েও নিতে পারেন। এ জন্য প্রতিটি নেয়ামতের উপর তাঁর কৃতজ্ঞতা ও শুকরিয়া আদায় করা উচিত।
এটা ইসলামের এক বিশেষ শিক্ষা এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ বিভিন্নভাবে এর প্রতি উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। এ শিক্ষার উপর আমল করার একটি ফল তো এই হয় যে, একজন বান্দা সর্বাবস্থায় আল্লাহর সাথে তার সম্পর্ক ধরে রাখতে পারে। দ্বিতীয় উপকারিতা এই যে, সে বিপদে ও ব্যর্থতায় কখনো ভেঙ্গে পড়ে না, অব্যাহত দুঃখ ও শোকে সে মুষড়ে যায় না এবং নৈরাশ্য ও ভঙ্গুরতা তার কর্মক্ষমতাকে নিঃশেষ করতে পারে না। এ প্রসঙ্গের কয়েকটি হাদীস নিম্নে পাঠ করে নিন:
মু'মিনের ব্যাপার খুব আজিব
২৩৮. হযরত সুহায়ব (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: মু'মিনের ব্যাপার খুব আজিব। প্রত্যেক ব্যাপারে তার জন্য কল্যাণ। মু'মিন ছাড়া অন্য কারো জন্য এরূপ নয়। যদি তাকে সুখ-শান্তি স্পর্শ করে, তাহলে সে আল্লাহর শোকর আদায় করে এবং এটা তার জন্য কল্যাণকর। যদি দুঃখ-কষ্ট তাকে স্পর্শ করে, তাহলে সে সবর করে এবং এটা তার জন্য কল্যাণকর। (মুসলিম)
کتاب الاخلاق
عَنْ صُهَيْبٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « عَجَبًا لِأَمْرِ الْمُؤْمِنِ ، إِنَّ أَمْرَهُ كُلَّهُ خَيْرٌ ، وَلَيْسَ ذَاكَ لِأَحَدٍ إِلَّا لِلْمُؤْمِنِ ، إِنْ أَصَابَتْهُ سَرَّاءُ شَكَرَ ، فَكَانَ خَيْرًا لَهُ ، وَإِنْ أَصَابَتْهُ ضَرَّاءُ ، صَبَرَ فَكَانَ خَيْرًا لَهُ » (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৯
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মু'মিনের ব্যাপার খুব আজিব
২৩৯. হযরত আবূ উমামা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: মহান আল্লাহ্ বলেন: হে আদম-সন্তান! তুমি যদি প্রথম আঘাতের সময় ধৈর্য ধারণ কর এবং আমার সন্তুষ্টি ও পুণ্যের প্রত্যাশা রাখ, তাহলে আমি তোমার জন্য জান্নাত ব্যতীত অন্য কোন প্রতিদানে সন্তুষ্ট হব না। - ইবনে মাজাহ্
کتاب الاخلاق
عَنْ أَبِي أُمَامَةَ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : يَقُولُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى : « يَاابْنَ آدَمَ إِنْ صَبَرْتَ وَاحْتَسَبْتَ عِنْدَ الصَّدْمَةِ الْأُولَى ، لَمْ أَرْضَ لَكَ ثَوَابًا دُونَ الْجَنَّةِ » (رواه ابن ماجه)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪০
আখলাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মু'মিনের ব্যাপার খুব আজিব
২৪০. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) বলেন, নবী করীম ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি অর্থ-সম্পদের দিক দিয়ে কোন ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে গেল অথবা তার নিজের উপর কোন মুসীবত এসে গেল, আর সে তা গোপন রাখল এবং মানুষের নিকট এর কোন অভিযোগ করল না, আল্লাহ্ তা'আলা নিজ দায়িত্বে তাকে ক্ষমা করে দেবেন।-তাবরানী
کتاب الاخلاق
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَفَعَهُ مَنْ أُصِيبَ بِمُصِيبَةٍ فِىْ مَالِهِ اَوْ فِىْ نَفْسِهِ فَكَتَمَهَا وَلَمْ يَشْكُهَا اِلَى النَّاسِ كَانَ حَقًّا عَلَى اَنْ يَغْفِرَ لَهُ . (رواه الطبرانى فى الاوسط)
তাহকীক: