মা'আরিফুল হাদীস
আখলাক অধ্যায়
হাদীস নং: ২৩১
আখলাক অধ্যায়
অল্পেতুষ্টি ও লোভ-লালসা
যেসব সদগুণের দ্বারা মানুষ আল্লাহ্ তা'আলার প্রিয়পাত্র এবং এ দুনিয়াতেও উচ্চ মর্যাদার অধিকারী হয় এবং অন্তরের অস্থিরতা ও মনের জ্বালা থেকে মুক্তি পেয়ে যায়, এগুলোর মধ্যে একটি বিশেষ গুণ হচ্ছে অল্পেতুষ্টি। অল্পেতুষ্টির মর্ম এই যে, মানুষ আল্লাহর পক্ষ থেকে যা পাবে, তার উপরই সন্তুষ্ট ও খুশী থাকবে এবং বেশী পাওয়ার লোভ করবে না। আল্লাহ্ তা'আলা যে বান্দাকে অল্পেতুষ্টির এ সম্পদ দান করেন, তাকে মনে করতে হবে যে, নিঃসন্দেহে আমাকে বিরাট সম্পদ ও নেয়ামত দান করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কয়েকটি বাণী নিম্নে পাঠ করুন:
যেসব সদগুণের দ্বারা মানুষ আল্লাহ্ তা'আলার প্রিয়পাত্র এবং এ দুনিয়াতেও উচ্চ মর্যাদার অধিকারী হয় এবং অন্তরের অস্থিরতা ও মনের জ্বালা থেকে মুক্তি পেয়ে যায়, এগুলোর মধ্যে একটি বিশেষ গুণ হচ্ছে অল্পেতুষ্টি। অল্পেতুষ্টির মর্ম এই যে, মানুষ আল্লাহর পক্ষ থেকে যা পাবে, তার উপরই সন্তুষ্ট ও খুশী থাকবে এবং বেশী পাওয়ার লোভ করবে না। আল্লাহ্ তা'আলা যে বান্দাকে অল্পেতুষ্টির এ সম্পদ দান করেন, তাকে মনে করতে হবে যে, নিঃসন্দেহে আমাকে বিরাট সম্পদ ও নেয়ামত দান করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কয়েকটি বাণী নিম্নে পাঠ করুন:
২৩১. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে 'আমর (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: ঐ বান্দা সফলকাম, প্রকৃত অর্থেই যে ইসলাম গ্রহণ করেছে এবং প্রয়োজন পরিমাণ রিযিক বা জীবনোপকরণও তাকে প্রদান করা হয়েছে। আর আল্লাহ্ তা'আলা তাকে এ পরিমিত রিযিকের উপর তুষ্টও করে দিয়েছেন। -মুসলিম
کتاب الاخلاق
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « قَدْ أَفْلَحَ مَنْ أَسْلَمَ ، وَرُزِقَ كَفَافًا ، وَقَنَّعَهُ اللهُ بِمَا آتَاهُ » (رواه مسلم)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
যে বান্দার ভাগ্যে ঈমানের মহাসম্পদ জুটে যায় এবং এর সাথে সে এ দুনিয়ার জীবন যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণও পেয়ে যায়, তারপর আল্লাহ্ তা'আলা তাকে অল্পেতুষ্টির গুণও দান করে দেন, তাহলে তার জীবন বড়ই ধন্য ও খুবই সুখের। এ অল্পেতুষ্টি ও মনের প্রশান্তি এমন পরশমণি, যার দ্বারা নিঃস্বের জীবন রাজা-বাদশাহদের জীবনের চাইতেও বেশী স্বাদপূর্ণ ও আনন্দময় হয়ে যায়। এ পরশমণি একজন মিসকীনকে ধনীর চেয়েও ধনী বানিয়ে দেয়।
মানুষের কাছে যদি সম্পদের পাহাড়ও থাকে, কিন্তু তার মধ্যে আরো বেশী পাওয়ার লোভথাকে এবং সে এতে আরো বৃদ্ধি ঘটানোর চিন্তা ও চেষ্টায় লেগে থাকে, আর আরো চাই-আরো চাই, এর নেশায় পড়ে থাকে, তাহলে অন্তরের প্রশান্তি তার কখনো লাভ হবে না এবং সে অন্তরের দিক দিয়ে দীনতায়ই পড়ে থাকবে। পক্ষান্তরে কোন মানুষের কাছে যদি কেবল জীবন ধারণ করার মত সামান্য উপকরণ থাকে, কিন্তু সে এতেই পরিতৃপ্ত ও সন্তুষ্ট থাকে, তাহলে দারিদ্র্য ও অভাব সত্ত্বেও সে অন্তরের দিক দিয়ে ধনী থাকবে এবং তার জীবন বড়ই তৃপ্তি ও স্বস্তির জীবন হবে। এ সত্যটিই রাসূলুল্লাহ ﷺ অন্য এক হাদীসে এ শব্দমালায় বর্ণনা করেছেন।
মানুষের কাছে যদি সম্পদের পাহাড়ও থাকে, কিন্তু তার মধ্যে আরো বেশী পাওয়ার লোভথাকে এবং সে এতে আরো বৃদ্ধি ঘটানোর চিন্তা ও চেষ্টায় লেগে থাকে, আর আরো চাই-আরো চাই, এর নেশায় পড়ে থাকে, তাহলে অন্তরের প্রশান্তি তার কখনো লাভ হবে না এবং সে অন্তরের দিক দিয়ে দীনতায়ই পড়ে থাকবে। পক্ষান্তরে কোন মানুষের কাছে যদি কেবল জীবন ধারণ করার মত সামান্য উপকরণ থাকে, কিন্তু সে এতেই পরিতৃপ্ত ও সন্তুষ্ট থাকে, তাহলে দারিদ্র্য ও অভাব সত্ত্বেও সে অন্তরের দিক দিয়ে ধনী থাকবে এবং তার জীবন বড়ই তৃপ্তি ও স্বস্তির জীবন হবে। এ সত্যটিই রাসূলুল্লাহ ﷺ অন্য এক হাদীসে এ শব্দমালায় বর্ণনা করেছেন।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)