মা'আরিফুল হাদীস

معارف الحديث

মু‘আমালাত ও মু‘আশারাত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ৩৬৭ টি

হাদীস নং: ১৬৯১
মু‘আমালাত ও মু‘আশারাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ نامحرم عورتوں سے تنہائی میں ملنے کی ممانعت
حضرت عقبہ بن عامر رضی اللہ عنہ سے روایت ہے کہ رسول اللہ ﷺ نے فرمایا کہ : تم (نامحرم) عورتوں کے پاس جانے سے بچو (اور اس معاملہ میں بہت احتیاط کرو) ایک شخص نے دریافت کیا کہ : شوہر کے قریبی رشتہ داروں (دیور وغیرہ) کے بارے میں حضور ﷺ کا کیا ارشاد ہے ؟ (کیا ان کے لئے بھی یہی حکم ہے ؟) آپ ﷺ نے ارشاد فرمایا : وہ تو بالکل موت اور ہلاکت ہے ۔ (صحیح بخاری و صحیح مسلم)

تشریح
شوہر کے قریبی رشتہ داروں میں اس کے باپ اور اس کی اولاد تو بیوی کے لئے محرم ہیں ، ان کے علاوہ سارے رشتہ دار حتیٰ کے حقیقی بھائی بھی نامحرم ہیں ، ان کا بھی آزادانہ طور پر گھر میں آنا اور خلوت و جلوت میں بےتکلف اور بےپردہ ملنا اور باتیں کرنا رسول اللہ ﷺ کے اس ارشاد کے مطابق انتہائی خطرناک اور عفت و دیانت کے لئے گویا زہر قاتل ہے ۔
کتاب المعاملات والمعاشرت
عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِيَّاكُمْ وَالدُّخُولَ عَلَى النِّسَاءِ. فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ الْحَمْوَ قَالَ: الْحَمْوُ الْمَوْتُ. (رواه البخارى ومسلم)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৯২
মু‘আমালাত ও মু‘আশারাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ نامحرم عورتوں سے تنہائی میں ملنے کی ممانعت
حضرت جابر رضی اللہ عنہ سے روایت ہے کہ رسول اللہ ﷺ نے ارشاد فرمایا کہ : (خاصکر) ان خواتین کے گھروں میں نہ جایا کرو جن کے شوہر کہیں باہر (سفر وغیرہ) میں گئے ہوئے ہوں ، کیوں کہ شیطان (یعنی اس کے اثرات و وساوس) سب میں اس طرح (غیر مرئی طور پر) جاری ساری رہتے ہیں جس طرح رگوں میں خون رواں دواں رہتا ہے ۔ ہم نے عرض کیا : اور کیا آپ میں بھی ؟ آپ ﷺ نے ارشاد فرمایا : اور مجھ میں بھی ، لیکن اللہ تعالیٰ نے میری (اس معاملہ میں) خاص مدد فرمائی ہے اس لئے میں محفوظ رہتا ہوں ۔ (جامع ترمذی)

تشریح
شادی شدہ عورتیں جن کے شوہر کہیں سفر وغیرہ میں گئے ہوئے ہوں ان سے نامحرم مردوں کے ملنے میں ظاہر ہے فتنہ کا خطرہ زیادہ ہے ، اس لئے رسول اللہ ﷺ نے اس بارے میں یہ خاص ہدایت فرمائی اور یہ بھی فرمایا کہ شیطان ہر ایک کے ساتھ لگا ہوا ہے ، اور اس کے وساوس و اثرات آدمی میں اس طرح دوڑ جاتے ہیں جس طرح رگوں میں خون دوڑتا ہے ۔ اس موقع پر کسی نے حضور ﷺ سے سوال کیا کہ : حضرت ! اس بارے میں (یعنی شیطانی وساوس و تصرفات کے بارے میں) حضور ﷺ کا کیا حال ہے ؟ آپ ﷺ نے ارشاد فرمایا کہ : شیطان تو میرے ساتھ بھی ہے ، لیکن اللہ تعالیٰ نے اس بارے میں میری خاص مدد فرمائی ہے جس کی وجہ سے میں اس کے وساوس اور اثرات سے محفوظ رہتا ہوں ، مجھ پر اس کا داؤ نہیں چلتا اور وہ مجھے کسی غلطی یا فتنہ میں مبتلا نہیں کر سکتا ۔ یہ دراصل عفتِ عصمت کا لازمی تقاجا ہے ۔
یہاں یہ بات بھی قابل لحاظ ہے کہ حضور ﷺ نے شیطانی اثرات و وساوس سے محفوظ رہنے کو اپنا ذاتی کمال نہیں بتلایا ، بلکہ اللہ تعالیٰ کی خاص مدد اور اعانت کا نتیجہ قرار دیا ۔ یہ عبدیت کا خاص الخاص مقام ہے ۔
اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى عَبْدِكَ وَنَبِيِّكَ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَآلِهِ وَصَحْبِهِ وَاَتْبَاعِهِ
کتاب المعاملات والمعاشرت
عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لاَ تَلِجُوا عَلَى الْمُغِيبَاتِ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنْ أَحَدِكُمْ مَجْرَى الدَّمِ. قُلْنَا وَمِنْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: وَمِنِّي وَلَكِنَّ اللَّهَ أَعَانَنِي عَلَيْهِ فَأَسْلَمُ. (رواه الترمذى)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৯৩
মু‘আমালাত ও মু‘আশারাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ বিয়ে, দাম্পত্য জীবন এবং এতদস্পর্কিত হাদীস

বিয়ে শাদীর রীতি

রাসুলুল্লাহ ﷺ-এর নবুওয়ত প্রাপ্তির পূর্বে জাহিলী যুগে আরবদের মধ্যে নারী-পুরুষের পারস্পরিক সম্পর্ক ও সন্তান সম্বন্ধে কতক প্রথা ও রীতি চালু ছিল। সেগুলোর মধ্যে কোন কোনটি খুবই অপবিত্র ও লজ্জাকর ছিল। একটি প্রথা সঠিক ও ভদ্রজনোচিত ছিল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সে প্রথাটি সংশোধন করে সেটিকেই বহাল রাখেন। আর অন্যান্য সব প্রথা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করে সেগুলোকে শক্ত গুনাহ ও অন্যায় বলে সাব্যস্ত করেন।

তিনি স্বীয় বর্ণনা ও কার্যপ্রণালী দ্বারা বিয়ের যে সাধারণ নিয়মনীতি নির্ধারণ করেছেন তা হল- পাত্রের পক্ষ থেকে পাত্রীর অভিভাবক ও পৃষ্ঠপোষকদের নিকট প্রস্তাব পাঠিয়ে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হবে। যদি তিনি সম্পর্ক স্থাপনকে সুবিবেচনা ও উত্তম মনে করেন তবে, কনে প্রাপ্ত বয়স্কা হওয়ার প্রেক্ষিতে তার ইচ্ছা অবগত হয়ে আর অপ্রাপ্ত বয়স্কা হওয়ার প্রেক্ষিতে অভিভাবক স্বীয় অপকট কল্যাণকামিতা অনুযায়ী সম্মতি প্রদানপূর্বক বিয়ে সম্পন্ন করবেন। আর বাহাত এ পন্থাই মৌল স্বভাব ও জ্ঞান-বুদ্ধির সম্পূর্ণ অনুকূল।

যেহেতু বিয়ের মূল দায়িত্ব বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ নারীর উপর বর্তাবে এবং এটাই হবে চিরজীবনের জন্য তার বন্ধন, এজন্য পাত্রীর মতামত গ্রহণ আবশ্যক বলে স্থির করা হয়েছে। আর তার নিজের প্রকৃত কর্তা তাকেই সাব্যস্ত করা হয়েছে। অভিভাবক ও পৃষ্ঠপোষকদের অধিকার নেই যে, তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কারো সাথে তাকে বিয়ে দেয়। সাথে সাথে নারীর নারীত্ব মর্যাদার প্রেক্ষিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, বিষয়টি অভিভাবক ও পৃষ্ঠপোষকদের মাধ্যমে মীমাংসিত হবে। আর তারাই বিয়ে সম্পন্নকারী। একথা নারীর মর্যাদার পরিপন্থী যে, কারো স্ত্রী হওয়ার বিষয়ে সে নিজেই স্বয়ং সিদ্ধান্ত নেবে এবং নিজে উপস্থিত হয়ে নিজেকে কারো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করবে। এছাড়া যেহেতু কোন মেয়ের বিয়ের কতক প্রভাব তার বংশের ওপর বর্তায়, এজন্যও অভিভাবকগণ (গোত্রীয় মুরুব্বীগণ)-কে কতক ক্ষমতা দান করা হয়েছে। এটাও বাস্তব যে, সব বিষয় যদি পাত্রীর হাতে ছেড়ে দেওয়া হয় আর অভিভাবকবৃন্দ সম্পর্কহীন হয়ে পড়েন তবে এ কথার প্রবল আশংকা রয়েছে যে, মহিলাটি প্রতারিত হবে এবং কারো ফাঁদে পড়ে স্বয়ং নিজের ব্যাপারে ভুল সিদ্ধান্ত নেবে। এসব কারণের ভিত্তিতে আবশ্যক নির্ধারণ করা হয়েছে যে, (বিশেষ ব্যতিক্রমী অবস্থা ছাড়া) বিয়ে অভিভাবকগণের মাধ্যমেই অনুষ্ঠিত হবে।

বিয়ের ধারাবাহিকতায় এটাও পথনির্দেশ করা হয়েছে যে, বিয়ে করতে ইচ্ছুক এমন নারীর সাথে পূর্ব থেকেই যদি দেখা-সাক্ষাত না থেকে থাকে তবে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবার পূর্বে সম্ভব হলে এক নজর তাকে দেখে নেবে, যেন পরে কোন প্রকার কলহ সৃষ্টি না হয়। নির্ভরযোগ্য নারীদের দেখা দ্বারাই এক পর্যায়ে এ উদ্দেশ্য পূর্ণ হতে পারে।

এ নির্দেশও দেওয়া হয়েছে যে, যদি কোন নারীকে বিয়ের জন্য অন্য কোন পুরুষের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, তবে তার পক্ষ থেকে প্রস্তাব প্রত্যাহার না করা এবং আলোচনা ভেঙ্গে না দেওয়া পর্যন্ত সে নারীর জন্য প্রস্তাব দেওয়া হবে না। এর রহস্য সুস্পষ্ট।

বিয়ের ব্যাপারে এটাও জরুরী নির্ধারণ করা হয়েছে যে, তা গোপনে সম্পন্ন না হয়ে কতক লোকের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে সমাধান হবে। এটা হবে বিয়ের উপস্থিত সাক্ষী। বস্তুত বিবাহ মসজিদে সম্পন্ন করাই উত্তম বলা হয়েছে। এভাবে বিয়ের অনুষ্ঠানে খুতবা পাঠ করা সুন্নাত। স্বামীর পক্ষ থেকে স্ত্রীকে মহর প্রদানও আবশ্যক সাব্যস্ত করা হয়েছে।
এসব বিষয় ও বিয়ে সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট হাদীসসমূহ নিম্নে পাঠ করুন।

নারী-পুরুষের সম্পর্ক এবং এ থেকে জন্মানো সন্তান সম্পর্কে জাহিলী যুগের প্রথা ও রীতি
১. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। (তিনি বলেন) যে, জাহিলী যুগে বিয়ের (অর্থাৎ নারী-পুরুষের মেলা-মেশা এবং এ থেকে জন্মানো সন্তান সম্পর্কে) চারটি প্রথা চালু ছিল। তন্যধ্যে একটি প্রথা ছিল যা (নীতিগতভাবে) বর্তমান যুগেও প্রচলিত। পুরুষের পক্ষ থেকে অন্য পুরুষের নিকট তার কন্যা কিংবা তার প্রতিপালনাধীন মেয়ের জন্য বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হত। এরপর সংগত মহর নির্ধারণপূর্বক সে ঐ মেয়ের বিয়ে সেই পুরুষের সাথে দিত।

আরেকটি প্রথা এরূপ ছিল যে, কোন লোকের স্ত্রী যখন ঋতুস্রাব থেকে পবিত্র হত (এ সময় মহিলাদের মধ্যে গর্ভধারণের যোগ্যতা বেশি থাকে) তখন সে (কোন সুউচ্চ মর্যাদাবান ব্যক্তি সম্বন্ধে) আপন স্ত্রীকে বলে দিত যে, তুমি তাকে ডেকে এনে নিয়োগ কর (অর্থাৎ তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন কর এবং তার দ্বারা গর্ভধারণের চেষ্টা কর) আর স্বামী আপন স্ত্রী থেকে বিরত থাকত যতদিন না নিয়োগী পুরুষ দ্বারা মহিলাটির গর্ভধারণ প্রকাশ পেত। এরপর যখন গর্ভ প্রকাশ পেত তখন তার স্বামী অভিরুচি অনুযায়ী তার সাথে সঙ্গম করত। উৎকর্ষশীল সন্তান লাভের অভিলাষেই এরূপ করত। সুতরাং এ জাতীয় বিয়েকে (نکاح استبضاع) ইসতিবদা১ বিয়ে বলা হত।

আর অন্য এক (তৃতীয়) প্রথা এরূপ ছিল যে, কতক লোকের একটি 'যুথ' (বর্ণনায় 'رهط' শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যা দশ থেকে কম সংখ্যার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে) একজন মহিলার নিকট গমন করতো এবং তাদের প্রত্যেকেই তার সাথে সঙ্গম করত (আর এসব হত পারস্পরিক সম্মতিক্রমে) এরপর যদি সেই মহিলা গর্ভবতী হত এবং সন্তান ভূমিষ্ঠ হত তখন কয়েক দিন পর মহিলাটি সে সব লোকদের তলব করাত (রীতি অনুযায়ী)। কারো উপস্থিত না হওয়ার সুযোগ ছিল না। এ কারণে সবাই উপস্থিত হত। তখন মহিলাটি বলত, যা কিছু হয়েছিল তা তোমরা অবগত আছ। আর (তারই ফল স্বরূপ) আমার এ সন্তান পয়দা হয়েছে। যাকে পসন্দ হয় এমন কারো নাম ডেকে বলত, হে অমুক! এ ছেলে তোমার। এরপর সে ছেলে তারই মনে করা হত। আর সে ব্যক্তি অস্বীকার করতে পারত না।

আর চতুর্থ প্রথা এইরূপ ছিল যে, বহু লোক এক মহিলার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করত। তার নিকট গমন করতে বাধা ছিল না। তারা দেহপসারিণী ছিল। তারা নিজেদের গৃহদ্বারে নিশান গেঁড়ে রাখত। যে কেউ চাইত তাদের নিকট গমন করত। তাদের কেউ গর্ভধারণ এবং সন্তান প্রসব করলে তার নিকট সেই লোকগুলো সমবেত হত। আর চেহারা লক্ষণবিদদের ডাকা হত। এরপর সে (স্বীয় লক্ষণ বিদ্যা দ্বারা) যার বীর্য থেকে সন্তানকে মনে করত তার ছেলে বলে স্থির করে দিত। তারই মেনে নেয়া হত এবং তারই ছেলে বলা হত। আর মহিলাটি তা অস্বীকার করতে পারত না।

[উন্মুল মু'মিনীন হযরত আয়েশা (রা) জাহিলী যুগের এসব প্রথা বর্ণনা করার পর বলেন] এরপর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন দীনে হকসহ প্রেরিত হলেন, তখন তিনি জাহিলী যুগের সেই সব (লজ্জাজনক) প্রথা একেবারে বিলুপ্ত করে দেন। আর বর্তমানে প্রচলিত বিয়েই বাকি থাকে। (বুখারী)

টিকা ১. জাহিলী যুগে আরবের কোন কোন নিম্ন গোত্রে এই লজ্জাজনক প্রথা চালু ছিল। প্রথাটি এরূপ ছিল যে, নিম্ন শ্রেণীর কোন লোক আকাঙ্ক্ষা করত যে, তার ছেলে অশ্বারোহী বীর হবে। অথবা গঠন সৌন্দর্য ও পরিমাণে ভিন্ন রকম হবে। তখন সে অনুরূপ গুণাবলী মন্ডিত ব্যক্তি সম্পর্কে আপন স্ত্রীকে বলত যে, তার সাথে তুমি সম্পর্ক স্থাপন কর, যেন তার ধারা গর্ভধারণ করতে পার, ফলে অনুরূপ গুণাবলী নিয়ে তার দ্বারা ছেলে পয়দা হবে। আর উক্ত নিয়োগী ব্যক্তি দ্বারা গর্ভসঞ্চার না হওয়া পর্যন্ত সে তার স্ত্রী থেকে পৃথক থাকত। আরবী পরিভাষায় এটাকে “استبضاع” বলা হয়। আমি এ শব্দের তরজমা করেছি 'নিয়োগ'। হিন্দু সম্প্রদায়ে নিয়োগ প্রথা চলে আসছে এবং এটাকে বৈধ ও সঠিক বলে মনে করা হয়। হাদীসে বর্ণিত প্রথাটি প্রায় অনুরূপই ছিল। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য আর্য-সমাজের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী প্রণীত 'সত্যার্থ প্রকাশ' বইটি পাঠ করা যেতে পারে।
کتاب المعاملات والمعاشرت
عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النِّكَاحَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ كَانَ عَلَى أَرْبَعَةِ أَنْحَاءٍ فَنِكَاحٌ مِنْهَا نِكَاحُ النَّاسِ الْيَوْمَ، يَخْطُبُ الرَّجُلُ إِلَى الرَّجُلِ وَلِيَّتَهُ أَوِ ابْنَتَهُ، فَيُصْدِقُهَا ثُمَّ يَنْكِحُهَا، وَنِكَاحٌ آخَرُ كَانَ الرَّجُلُ يَقُولُ لاِمْرَأَتِهِ إِذَا طَهُرَتْ مِنْ طَمْثِهَا أَرْسِلِي إِلَى فُلاَنٍ فَاسْتَبْضِعِي مِنْهُ. وَيَعْتَزِلُهَا زَوْجُهَا، وَلاَ يَمَسُّهَا أَبَدًا، حَتَّى يَتَبَيَّنَ حَمْلُهَا مِنْ ذَلِكَ الرَّجُلِ الَّذِي تَسْتَبْضِعُ مِنْهُ، فَإِذَا تَبَيَّنَ حَمْلُهَا أَصَابَهَا زَوْجُهَا إِذَا أَحَبَّ، وَإِنَّمَا يَفْعَلُ ذَلِكَ رَغْبَةً فِي نَجَابَةِ الْوَلَدِ، فَكَانَ هَذَا النِّكَاحُ نِكَاحَ الاِسْتِبْضَاعِ، وَنِكَاحٌ آخَرُ يَجْتَمِعُ الرَّهْطُ مَا دُونَ الْعَشَرَةِ فَيَدْخُلُونَ عَلَى الْمَرْأَةِ كُلُّهُمْ يُصِيبُهَا. فَإِذَا حَمَلَتْ وَوَضَعَتْ، وَمَرَّ عَلَيْهَا لَيَالِيَ بَعْدَ أَنْ تَضَعَ حَمْلَهَا، أَرْسَلَتْ إِلَيْهِمْ فَلَمْ يَسْتَطِعْ رَجُلٌ مِنْهُمْ أَنْ يَمْتَنِعَ حَتَّى يَجْتَمِعُوا عِنْدَهَا تَقُولُ لَهُمْ قَدْ عَرَفْتُمُ الَّذِي كَانَ مِنْ أَمْرِكُمْ، وَقَدْ وَلَدْتُ فَهُوَ ابْنُكَ يَا فُلاَنُ. تُسَمِّي مَنْ أَحَبَّتْ بِاسْمِهِ، فَيَلْحَقُ بِهِ وَلَدُهَا، وَلاَ يَسْتَطِيعُ أَنْ يَمْتَنِعَ مِنْهُ الرَّجُلُ. وَالنِّكَاحُ الرَّابِعِ يَجْتَمِعُ النَّاسُ الْكَثِيرُ فَيَدْخُلُونَ عَلَى الْمَرْأَةِ لاَ تَمْتَنِعُ مِمَّنْ جَاءَهَا وَهُنَّ الْبَغَايَا كُنَّ يَنْصِبْنَ عَلَى أَبْوَابِهِنَّ رَايَاتٍ تَكُونُ عَلَمًا فَمَنْ أَرَادَهُنَّ دَخَلَ عَلَيْهِنَّ، فَإِذَا حَمَلَتْ إِحْدَاهُنَّ وَوَضَعَتْ حَمْلَهَا جُمِعُوا لَهَا وَدَعَوْا لَهُمُ الْقَافَةَ ثُمَّ أَلْحَقُوا وَلَدَهَا بِالَّذِي يَرَوْنَ فَالْتَاطَ بِهِ، وَدُعِيَ ابْنَهُ لاَ يَمْتَنِعُ مِنْ ذَلِكَ ..... فَلَمَّا بُعِثَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحَقِّ هَدَمَ نِكَاحَ الْجَاهِلِيَّةِ كُلَّهُ، إِلاَّ نِكَاحَ النَّاسِ الْيَوْمَ. (رواه البخارى)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৯৪
মু‘আমালাত ও মু‘আশারাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ جس عورت سے نکاح کرنے کا ارادہ ہو اس کو ایک نظر دیکھ لینا گناہ نہیں ، بلکہ بہتر ہے
حضرت محمد بن مسلمہ رضی اللہ عنہ سے روایت ہے کہ رسول اللہ ﷺ نے فرمایا : جب اللہ تعالیٰ کسی آدمی کے دل میں کسی عورت کے لئے نکاح کا پیام دینے کا خیال ڈالے تو اس کے واسطے گناہ نہیں ہے کہ ایک نظر اس کو دیکھ لے ۔ (مسند احمد ، سنن ابن ماجہ)
کتاب المعاملات والمعاشرت
عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا أَلْقَى اللَّهُ فِي قَلْبِ امْرِئٍ خِطْبَةَ امْرَأَةٍ فَلاَ بَأْسَ أَنْ يَنْظُرَ إِلَيْهَا. (رواه احمد وابن ماجه)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৯৫
মু‘আমালাত ও মু‘আশারাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ جس عورت سے نکاح کرنے کا ارادہ ہو اس کو ایک نظر دیکھ لینا گناہ نہیں ، بلکہ بہتر ہے
حضرت مغیرہ بن شعبہ رضی اللہ عنہ سے روایت ہے کہ میں نے ایک خاتون کے لئے نکاح کا پیام دیا (یا پیام دینے کا ارادہ کیا) تو رسول اللہ ﷺ نے مجھ سے فرمایا کہ : تم نے اس کو دیکھا ہے ؟ میں نے عرض کیا کہ میں نے دیکھا تو نہیں ہے تو آپ ﷺ نے فرمایا : ، ایک نظر دیکھ لو ، یہ اس مقصد کے لئے زیادہ مفید ہو گا کہ تم دونوں میں الفت و محبت اور خوشگواری رہے ۔ (مسند احمد ، جامع ترمذی ، سنن نسائی ، ابن ماجہ)

تشریح
رسول اللہ ﷺ کے ان ارشادات کا مقصد یہی ہے کہ نکاح و شادی کا مسئلہ بہت اہم ہے ساری عمر کے لئے فیصلہ اور معاہدہ ہے ، یہ مناسب نہیں کہ یہ معاملہ ناواقفی و بےخبری کے ساتھ اندھیرے میں ہو ، بلکہ واقفیت اور بصیرت کے ساتھ ہونا چاہئے ۔ قابلِ اعتماد لوگوں اور خاص کر عورتوں کے ذریعہ بھی صحیح معلومات حاصل ہو سکتے ہیں ، جو بھی ذریعہ اختیار کیا جائے اس کا بہرحال لحاظ رکھا جائے کہ عورت کو یا اس کے گھر والوں کو گرانی اور ناگواری نہ ہو ، بلکہ اچھا ہے کہ ان کو خبر بھی نہ ہو ، سنن ابی داؤد میں حضرت جابر رضی اللہ عنہ کا یہ بیان مروی ہے کہ میں نے ایک عورت کے لئے نکاح کا پیام دینے کا ارادہ کیا تو رسول اللہ ﷺ کی اس ہدایت کے مطابق میں چھپ چھپ کر اس کو دیکھنے کی کوشش کرتا تھا ۔ یہاں تک کہ اس میں کامیاب ہو گیا پھر میں نے اس سے نکاح کر لیا ۔
کتاب المعاملات والمعاشرت
عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنَ شُعْبَةَ قَالَ خَطَبْتُ امْرَأَةً فَقَالَ لَيْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَلْ نَظَرْتَ إِلَيْهَا؟ قُلْتُ لاَ. قَالَ: فَانْظُرْ إِلَيْهَا فَإِنَّهُ أَحْرَى أَنْ يُؤْدَمَ بَيْنَكُمَا. (رواه احمد والترمذى والنسائى وابن ماجه)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৯৬
মু‘আমালাত ও মু‘আশারাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ پیام پر دوسرا پیام نہ دیا جائے
حضرت ابو ہریرہ رضی اللہ عنہ سے روایت ہے کہ رسول اللہ ﷺ نے فرمایا کہ : کوئی شخص ایسا نہ کرے کہ اپنے دوسرے بھائی کے پیامِ نکاح کے مقابلہ میں اپنا پیام دے ، تا آنکہ وہ نکاح کر لے یا چھوڑ دے اور بات ختم ہو جائے ۔ (صحیح بخاری و صحیح مسلم)

تشریح
مطلب یہ ہے کہ اگر کسی شخص نے کسی عورت سے نکاح کے لئے اپنا پیام دے دیا ہے تو جب تک ادھر کا معاملہ ختم نہ ہو جائے کسی دوسرے آدمی کے لئے درست نہیں کہ وہ اپنا پیام وہیں کے لئے دے ، ظاہر ہے کہ یہ بات پہلے پیام دینے والے آدمی کے لئے ایذاء اور ناگواری کا باعث ہو گی اور ایسی باتوں سے فتنہ پیدا ہو سکتے ہیں ۔
کتاب المعاملات والمعاشرت
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لاَ يَخْطُبُ الرَّجُلُ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ، حَتَّى يَنْكِحَ، أَوْ يَتْرُكَ. (رواه البخارى ومسلم)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৯৭
মু‘আমালাত ও মু‘আশারাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ نکاح کے معاملے میں عورت کی مرضی اور ولی کا مقام
حضرت عبداللہ بن عباس رضی اللہ عنہ سے روایت ہے کہ رسول اللہ ﷺ نے فرمایا کہ : شوہر دیدہ عورت کا اپنے نفس کے بارے میں اپنے ولی سے زیادہ حق اور اختیار ہے اور باکرہ (کنواری) کے باپ کو بھی چاہئے کہ اس کے نکاح کے بارے میں اس کی اجازت حاصل کرے اور اس کی خاموشی بھی اجازت ہے ۔ (صحیح مسلم)
کتاب المعاملات والمعاشرت
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الثَّيِّبُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا وَالْبِكْرُ يَسْتَأْذِنُهَا أَبُوهَا فِي نَفْسِهَا وَإِذْنُهَا صُمَاتُهَا. (رواه مسلم)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৯৮
মু‘আমালাত ও মু‘আশারাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ نکاح کے معاملے میں عورت کی مرضی اور ولی کا مقام
حضرت ابو ہریرہ رضی اللہ عنہ سے روایت ہے کہ رسول اللہ ﷺ نے فرمایا کہ : شوہر دیدہ عورت کا اس وقت تک نکاح نہ کیا جائے جب تک کہ اس سے دریافت نہ کر لیا جائے اور باکرہ (کنواری) لڑکی کا نکاح بھی اس کی اجازت کے بغیر نہ کیا جائے ۔ صحابہؓ نے عرض کیا اس کی اجازت کا طریق کیا ہو گا ؟ آپ ﷺ نے فرمایا کہ : (دریافت کرنے پر) اس کا خاموش ہو جانا (اس کی اجازت سمجھا جائے) ۔ (صحیح بخاری و صحیح مسلم)

تشریح
ایّم کے اصل معنی ہیں بےشوہر والی عورت ، لیکن اس حدیث میں اس سے مراد ایسی عورت ہے جو شادی اور شوہر کے ساتھ رہنے کے بعد بےشوہر ہو گئی ہو ، خواہ شوہر کا انتقال ہو گیا ہو یا اس نے طلاق دے دی ہو ۔ (اسی کو حضرت عبداللہ بن عباسؓ کی اوپر والی حدیث میں “ثیّب” کہا گیا ہے) ایسی عورت کے بارے میں ان دونوں حدیثوں میں ہدایت فرمائی گئی ہے کہ اس کی رائے اور مرضی معلوم کئے بغیر اس کا نکاح نہ کیا جائے ، یعنی یہ ضروری ہے کہ وہ زبان سے یا واضح اشارہ سے اپنی رضامندی ظاہر کرے ، اس حدیث کے لفظ “حتى تستامر” کا یہی مطلب ہے ۔ اور اس کے مقابلہ میں “بکر سے مراد وہ کنواری لڑکی ہے جو عاقل بالغ تو ہو لیکن شوہر دیدہ نہ ہو ۔ اس کے بارے میں ہدایت فرمائی گئی ہے کہ اس کا نکاح بھی اس کی اجازت کے بغیر نہ کیا جائے ، لیکن ایسی لڑکیوں کو حیا و شرم کی وجہ سے چونکہ زبان یا اشارہ سے اجازت دینا مشکل ہوتا ہے ۔ اس لئے دریافت کرنے اور اجازت مانگنے پر ان کی خاموشی کو بھی اجازت قرار دے دیا گیا ہے ۔
ان دونوں حدیثوں سے معلوم ہوا کہ کسی عاقل بالغ عورت کا نکاح خواہ وہ شوہر دیدہ ہو یا کنواری ہو ، اس کی مرضی اور اجازت کے بغیر اس کا ولی نہیں کر سکتا ، ہاں اگر کوئی لڑکی صغیر السن ہے ، ابھی نکاح شادی کے بارے میں سوچنے سمجھنے کے لائق نہیں ہے اور کئی بہت اچھا رشتہ سامنے ہے اور خود لڑکی کی مصلحت کا تقاضا یہ ہے کہ اس کا نکاح کر دیا جائے تو ولی (جو خیرخواہی کا ذمہ دار ہے) اپنی خیرخواہانہ صوابدید کے مطابق نکاح کر سکتا ہے ۔
صدیق اکبر رضی اللہ عنہ نے اپنی بیٹی حضرت عائشہ صدیقہ (رضی اللہ عنہا) کا نکاح حضور ﷺ سے صرف اپنی صوابدید کے مطابق اس وقت کر دیا تھا جب کہ ان کی عمر ۶۔۷ سال کی تھی ۔
کتاب المعاملات والمعاشرت
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ولاَ تُنْكَحُ الْاَيَّمُ حَتَّى تُسْتَأْمَرَ. وَلاَ تُنْكَحُ الْبِكْرُ حَتَّى تُسْتَأْذَنَ، قَالَوْا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ إِذْنُهَا قَالَ: أَنْ تَسْكُتَ. (رواه البخارى ومسلم)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৯৯
মু‘আমালাত ও মু‘আশারাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ نکاح کے معاملے میں عورت کی مرضی اور ولی کا مقام
حضرت ابو موسیٰ اشعری رضی اللہ عنہ سے روایت ہے کہ رسول اللہ ﷺ نے فرمایا کہ : ولی کے بدونِ نکاح نہیں ۔ (مسند احمد ، جامع ترمذی ، سنن ابی داؤد ، سنن ابن ماجہ ، مسند دارمی)

تشریح
حدیث کا مقصد و مدعا بظاہر یہ ہے کہ نکاح ولی ہی کے ذریعہ ہونا چاہئے ۔ عورت کے لئے یہ ٹھیک نہیں ہے کہ وہ خود اپنا نکاح کرے ۔ یہ اس کے شرف اور مقامِ حیا کے بھی خلاف ہے اور اس سے خرابیاں پیدا ہونے کا زیادہ اندیشہ ہے ۔ ہاں جیسا کہ مندرجہ بالا حدیثوں سے معلوم ہو چکا اپنے بارے میں اصل اختیار عورت ہی کا ہے ۔ ولی اس کی مرضی اور رائے کے خلاف اس کا نکاح نہیں کر سکتا ۔
کتاب المعاملات والمعاشرت
عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ. (رواه احمد والترمذى وابو داؤد وابن ماجه والدارمى)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৭০০
মু‘আমালাত ও মু‘আশারাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ضروری ہے کہ نکاح چوری چھپے نہ ہو اعلانیہ ہو
حضرت عائشہ صدیقہ رضی اللہ عنہا سے روایت ہے کہ رسول اللہ ﷺ نے فرمایا : نکاح بالاعلان کیا کرو اور مسجدوں میں کیا کرو اور دف بجوایا کرو ۔ (جامع ترمذی)

تشریح
رسول اللہ ﷺ کی اس ہدایت کا مقصد بظاہر یہی ہے کہ نکاح چوری چھپے نہ ہو اوس میں بڑے مفاسد کا خطرہ ہے لہذا بالاعلان کیا جائے ۔ اور اس کے لئے آسان اور بہتر یہ ہے کہ مسجد میں کیا جائے ، مسجد کی برکت بھی حاصل ہو گی اور لوگوں کو جمع کرنے جوڑنے کی زحمت بھی نہ ہو گی ، گواہوں شاہدوں کی شرط بھی آپ سے آپ پوری ہو جائے گی ۔
حضور ﷺ کے زمانے میں نکاح و شادی کی تقریب کے موقع پر دف بجانے کا رواج تھا اور بلاشبہ اس تقریب کا تقاضا ہے کہ بالکل خشک نہ ہو ، کچھ تفریح کا بھی سامان ہو اس لئے آپ ﷺ نے دَف بجانے کی اجازت بلکہ ایک گونہ ترغیب دی ۔
کتاب المعاملات والمعاشرت
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَعْلِنُوا هَذَا النِّكَاحَ وَاجْعَلُوهُ فِي الْمَسَاجِدِ وَاضْرِبُوا عَلَيْهِ بِالدُّفُوفِ. (رواه الترمذى)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৭০১
মু‘আমালাত ও মু‘আশারাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ نکاح کے لئے شہادت ضروری
حضرت عبداللہ بن عباس رضی اللہ عنہ سے روایت ہے کہ رسول اللہ ﷺ نے فرمایا کہ : جو عورتیں اپنا نکاح شاہد گواہ کے بغیر (چوری چھپے) کر لیں وہ حرام کار ہیں ۔ (جامع ترمذی)

تشریح
اس حدیث کو امام ترمذی نے حضرت عبداللہ بن عباسؓ سے مرفوعاً بھی روایت کیا ہے جس طرح کہ یہاں نقل کیا گیا ہے ، اور موقوفاً بھی روایت کیا ہے ، یعنی یہ کہ رسول اللہ ﷺ کا ارشاد نہیں بلکہ خود حضرت ابنِ عباس کا قول اور فتویٰ ہے ۔ اور سند کے لحاظ سے اسی کو ترجیح دی ہے ۔ لیکن اگر یہ حضرت ابنِ عباسؓ کا قول بھی ہو تو ظاہر ہے کہ وہ حضور ﷺ سے سنے بغیر ایسی بات اپنی طرف سے نہیں کہہ سکتے ۔ اس لئے فقہا اور محدثین کے مسلمہ اصول پر یہ مرفوع ہی کے حکم میں ہے ۔ اسی وجہ سے اُمت کے قریب قریب تمام ائمہ مجتہدین اس پر متفق ہیں کہ شہادت نکاح کے شرائط میں سے ہے جس کے بغیر نکاح منعقد ہی نہیں ہو گا ۔
کتاب المعاملات والمعاشرت
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: الْبَغَايَا الَّتِي يُنْكِحْنَ أَنْفُسَهُنَّ بِغَيْرِ بَيِّنَةٍ. (رواه الترمذى)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৭০২
মু‘আমালাত ও মু‘আশারাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ خطبہ نکاح
حضرت عبداللہ بن مسعود رضی اللہ عنہ سے روایت ہے کہ رسول اللہ ﷺ نے ہم کو (نکاح وغیرہ) ہر اہم ضرورت (اور مواقع) کے لئے یہ خطبہ تعلیم فرمایا ۔ “الْحَمْدُ لِلَّهِ نَسْتَعِينُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ تا فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيمًا” (ساری حمد و ستائش اللہ ہی کے لئے سزاوار ہے ، ہم (اپنی سب ضرورتوں اور تمام مقاصد میں) اسی سے مدد کے طالب اور خواستگار ہیں ، اور اسی سے (اپنے قصوروں اور گناہوں کی) معافی اور مغفرت کی استدعا کرتے ہیں ۔ اور اپنے نفس کی شرارتوں سے اسی اللہ کی پناہ مانگتے ہیں ۔ اللہ جس کو ہدایت دے اس کو کوئی گمراہ نہیں کر سکتا ، اور جس کے لئے اللہ ہدایت سے محرومی کا فیصلہ فرما دے اس کو کوئی ہدایت یاب نہیں کر سکتا ، اور میں گواہی دیتا ہوں کہ اللہ کے سوا کوئی عبادت اور پرستش کے لائز نہیں اور گواہی دیتا ہوں کہ محمد (ﷺ) اس کے بندے اور رسول برحق ہیں ۔اے ایمان والوں ! اس اللہ سے ڈرو جس کا واسطہ دے کر تم باہم سوال کرتے ہو اور قرابتوں کی حق تلفی سے ڈرو جیسا کہ اس سے ڈرنے کا حق ہے ۔ اور نہ مرنا مگر اس حالت میں کہ تم اس کے فرمانبردار ہو ۔ اے ایمان والو ! اللہ سے ڈرتے رہو اور ہمیشہ سیدھی بات بولو ، وہ تمہارے اعمال درست فرما دے گا اور تمہارے گناہ معاف کر دے گا ، اور جو بندہ حکموں پر چلے اللہ اور اس کے رسول کے تو اس نے بڑی کامیابی حاصل کر لی ۔ (سنن ابی داؤد ، مسند احمد ، جامع ترمذی ، سنن نسائی ، سنن ابن ماجہ)

تشریح
حضرت ابن مسعود رضی اللہ عنہ کا روایت کردہ یہ خطبہ جیسا کہ روایت میں تصریح ہے صرف نکاح کے موقع کے ہی لئے نہیں ہے ، بلکہ عمومی قسم کا ہے ، اس کا مضمون بہت ہی جامع ہے اور صاف معلوم ہوتا ہے کہ اس کا ایک ایک لفظ الہامی ہے ، اس کی بعض روایات میں ایک دو لفظوں کا اضافہ بھی ہے ۔ یہاں جو الفاظ نقل کئے گئے ہیں وہ سنن ابی داؤد کی روایت کے ہیں ، ابن ماجہ کی روایت میں شروع میں “الْحَمْدُ لِلَّهِ” کے بعد “نَحْمَدُهُ” کا اضافہ ہے ۔ اسی طرح “وَنَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ شُرُورِ أَنْفُسِنَا” کے بعد “وَمِنْ سَيِّئَاتِ أَعْمَالِنَا” کا بھی اضافہ ہے ۔ آخر میں قرآن پاک کی تین آیتیں ہیں ۔ ایک سورہ نساء کی پہلی آیت کا آخری حصہ ہے ۔ (1) “وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي تَسَاءَلُونَ بِهِ وَالْأَرْحَامَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا” اس کے بعد دوسری آیت سورہ آل عمران کی آیت ۱۰۲ ہے “يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ” الاية . اس کے بعد تیسری آیت سورہ احزاب کی آیت ۷۰ ہے ۔ “يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَقُولُوا قَوْلًا سَدِيدًا” الاية
کسی بھی اہم موقع پر ایک بندہ کو اللہ کے حضور میں اپنی بندگی اور نیاز مندی و وفاداری کے اظہار کے لئے بارگاہِ خداوندی میں جو کچھ عرض کرنا چاہئے وہ سب اس خطبہ کے ابتدائی حصہ میں آ گیا ہے ، اور آخر میں جو تین آیتیں ہیں وہ بندہ کی ہدایت کے لئے بالکل کافی ہیں ۔ یہ خطبہ عقد نکاح سے پہلے پڑھا جاتا ہے بلکہ اسی مقدس خطبہ سے نکاح کی کارروائی کا آغاز ہوتا ہے ۔ افسوس یہ خطبہ پڑھنا بھی اب ایک رسم بن کر رہ گیا ہے ، ورنہ اس میں وہ سب کچھ موجود ہے جس کی نصیحت اور یاد دہانی کی نکاح کے فریقین کو اور سب ہی کو ضرورت ہوتی ہے ۔ اگر اللہ تعالیٰ اس خطبہ ہی پر عمل نصیب فرما دے تو دنیا اور آخرت میں اعلیٰ سے اعلیٰ کامیابی کے لئے کافی ہے ۔
کتاب المعاملات والمعاشرت
عَنْ عَبْدُ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: عَلَّمَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُطْبَةَ الْحَاجَةِ: «الْحَمْدُ لِلَّهِ نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِينُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ، وَنَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ شُرُورِ أَنْفُسِنَا، مَنْ يَهْدِهِ اللَّهُ فَلَا مُضِلَّ لَهُ، وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَا هَادِيَ لَهُ، وَأَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ» {يَأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي تَسَاءَلُونَ بِهِ وَالأَرْحَامَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا} {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ}، {يَأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَقُولُوا قَوْلا سَدِيدًا يُصْلِحْ لَكُمْ أَعْمَالَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيمًا}. (فى شرح السنة عن ابن مسعود فى خطبة الحاجة من النكاح وغيره)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৭০৩
মু‘আমালাত ও মু‘আশারাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ مہر کی اہمیت اور اس کا لزوم
میمون کردی اپنے والد سے روایت ہے کہ وہ بیان کرتے تھے کہ رسول اللہ ﷺ نے ارشاد فرمایا کہ : جس شخص نے کسی عورت سے کم یا زیادہ مہر پر نکاح کیا اور اس کے دل میں اس حق مہر کی ادائیگی کا ارادہ ہی نہیں ہے تو قیامت میں اللہ کے حضور میں زناکار کی حیثیت سے پیش ہو گا ۔ (معجم اوسط ومعجم صغیب للطبرانی)

تشریح
ام المؤمنین حضرت عائشہ صدیقہ رضی اللہ عنہا کی روایت سے جو نکاح کے سلسلہ میں سب سے پہلے صحیح بخاری کے حوالہ سے نقل کی گئی ہے معلوم ہو چکا کہ رسول اللہ ﷺ کی بعثت سے پہلے زمانہ جاہلیت میں نکاح کا جو شریفانہ طریقہ عربوں میں رائج تھا اس میں بھی مہر مقرر کیا جاتا تھا یعنی نکاح کرنے والے مرد کے لئے ضروری ہوتا تھا کہ وہ بیوی کو ایک معین رقم ادا کرنا اپنے ذمہ لے ۔ اسلام میں اس طریقہ کو برقرار رکھا گیا ۔ یہ مہر اس بات کی علامت ہے کہ کسی عورت سے نکاح کرنے والا مرد اس کا طالب اور خواستگار ہے اور وہ اپنی حیثیت اور استطاعت کے مطابق اس کو مہر کا نذرانہ پیش کرتا ہے یا اس کی ادائیگی اپنے ذمہ لیتا ہے ۔
رسول اللہ ﷺ نے مہر کی کوئی خاص مقدار معین نہیں فرمائی کیوں کہ نکاح کرنے والوں کے حالات اور ان کی وسعت و استطاعت مختلف ہو سکتی ہے ۔ البتہ خود آنحضرتﷺ نے اپنی صاحبزادیوں کا مہر پانچ سو درہم (یا اس کے قریب) مقرر فرمایا اور آپ ﷺ کی اکثر ازواجِ مطہرات کا مہر بھی یہی تھا ۔ لیکن حضور ﷺ کے زمانہ میں اور آپ ﷺ کے سامنے اس سے بہت کم اور بہت زیادہ بھی مہر باندھے جاتے تھے ۔ حضور ﷺ کی صاحبزادیوں اور ازواجِ مطہرات والے مہر کی پابندی ضروری نہیں سمجھی جاتی تھی ۔
مہر کے بارے میں قرآن وو حدیث کی ہدایات سے یہ بھی معلوم ہوتا ہے کہ وہ محض فرضی اور رسمی بات اور زبانی جمع خرچ کے قسم کی چیز نہیں ہے بلکہ شوہر کے ذمہ اس کی ادائیگی لازم ہے ، الا یہ کہ بیوی خود ہی وصول کرنا نہ چاہے ۔ قرآن پاک میں صراحۃً ارشاد ہے ۔
“وَآتُوا النِّسَاءَ صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً” یعنی اپنی بیویوں کے مہر خوش دلی سے ان کو ادا کرو ۔ (النساء ع : ۱) ..... اور رسول اللہ ﷺ نے اس بارے میں جو تاکید و تشدید فرمائی ہے وہ آگے درج ہونے والی بعض حدیثوں سے معلوم ہو گی ۔

تشریح ..... مطلب یہ ہے کہ جو شخص اداء مہر کے بارے میں شروع ہی سے بدنیت ہے ، اس نے مہر کا اقرار تو کر لیا ہے لیکن دن میں یہ ہے کہ یہ بس زبانی بات ہے ، دینا لانا کچھ نہیں ہے تو اس کے نکاح میں اتنا بڑانقص اور وہ اس درجہ کا گنہگار ہے کہ قیامت میں وہ زنا کا مجرم قرار دیا جائے گا ۔ قریب قریب اسی مضمون کی اس کے علاوہ بھی متعدد حدیثیں مختلف کتب حدیث کے حوالہ سے کنز العمال میں نقل کی گئی ہیں ۔ ان حدیثوں میں ایسے لوگوں کے لئے بڑی سخت وعید اور آگاہی ہے جو مہر کو صرف زبانی اور رسمی بات سمجھتے ہوئے اتنی بڑی رقم کے مہر مقرر کر لیتے ہیں جن کی ادائیگی کا کوئی امکان ہی نہیں ہوتا ۔
کتاب المعاملات والمعاشرت
عَنْ مَيْمُونٍ الْكُرْدِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَيُّمَا رَجُلٍ تَزَوَّجَ امْرَأَةً عَلَى مَا قَلَّ مِنَ الْمَهْرِ أَوْ كَثُرَ لَيْسَ فِي نَفْسِهِ أَنْ يُؤَدِّيَ إِلَيْهَا حَقَّهَا لَقِيَ اللَّهَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَهُوَ زَانٍ. (رواه الطبرانى فى الاوسط والصغير)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৭০৪
মু‘আমালাত ও মু‘আশারাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ مہر کی اہمیت اور اس کا لزوم
ابو سلمہ سے روایت ہے کہ میں نے ام المؤمنین حضرت عائشہ صدیقہ رضی اللہ عنہا سے پوچھا کہ خود رسول اللہ ﷺ کا مہر کتنا تھا ؟ تو انہوں نے بتلایا کہ آپ ﷺ نے اپنی بیویوں کے لئے جو مہر مقرر فرمایا تھا وہ ساڑھے بارہ اوقیہ تھا ۔ (صحیح مسلم)

تشریح
ایک اوقیہ چالیس رہم کے برابر ہوتا تھا اس حساب سے ساڑھے بارہ اوقیہ کے پورے پانچ سو درہم ہوتے تھے ۔ یہ حساب اور تشریح خود حضرت عائشہ صدیقہ رضی اللہ عنہا سے مروی ہے ۔ یہاں یہ بات بھی قابلِ لحاظ ہے کہ اس زمانے میں پانچ سو درہم کی رقم اچھی خاصی ہووتی تھی اس سے کم و بیش چالیس پچاس بکریاں خریدی جا سکتی تھیں ۔
کتاب المعاملات والمعاشرت
عَنْ أَبِي سَلَمَةَ قَالَ: سَأَلْتُ عَائِشَةَ كَمْ كَانَ صَدَاقُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَتْ كَانَ صَدَاقُهُ لأَزْوَاجِهِ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ أُوقِيَّةً وَنَشٌّ. (رواه مسلم)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৭০৫
মু‘আমালাত ও মু‘আশারাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ مہر کی اہمیت اور اس کا لزوم
حضرت ام حبیبہ رضی اللہ عنہا سے روایت ہے کہ انہوں نے بیان کیا کہ وہ عبیداللہ بن جحش کے نکاح میں تھیں (اور اپنے شوہر کے ساتھ انہوں نے مکہ سے ملک حبشہ کو ہجرت کی تھی ، وہیں حبشہ میں) ان کے شوہر عبیداللہ بن جحش کا انتقال ہو گیا تو حبشہ کے بادشاہ نجاشی نے ان کا نکاح رسول اللہ ﷺ سے کر دیا اور حضور ﷺ کی طرف سے چار ہزار درہم مہر باندھ کے خود ہی ان کو ادا کر دیا اور شرحبیل بن حسنہ صحابی کے ساتھ ان کو حضور ﷺ کے پاس بھیج دیا ۔ (سنن ابی داؤد ، سنن نسائی)

تشریح
یہ ام ؓحبیبہؓ ابو سفیانؓ کی بیٹی تھیں جو فتح مکہ تک کفارِ مکہ کے لیڈر اور حضور ﷺ کے سخت ترین دشمن رہے ، پھر ہجرت کے آٹھویں سال فتح مکہ کے موقع پر ان کو قبولِ اسلام کی توفیق ہوئی لیکن ان کی بیٹی بہت پہلے دعوت اسلام کے ابتدائی دور ہی میں اسلام قبول کر چکی تھیں ان کے شوہر عبیداللہ بن جحش نے بھی اسلام قبول کر لیا تھا ، پھر جب مکہ میں اسلام قبول کرنے والوں کو حد سے زیادہ ستایا گیا تو حضور ﷺ کی اجازت اور ایماء سے بہت سے دوسرے مسلمانوں کے ساتھ ام حبیبہؓ اور ان کے شوہر نے بھی ہجرت کی ۔ پھر اللہ کی شان کچھ مدت کے بعد شوہر عبیداللہ بن جحش نے اسلام چھوڑ کر نصرانی مذہب اختیار کر لیا جو عام اہلِ حبشہ کا مذہب تھا اور شراب وغیرہ کثرت سے پینے لگے ، پھر اسی حالت میں ان کا انتقال ہو گیا لیکن ام حبیبہؓ استقامت کے ساتھ برابر اسلام پر قائم رہیں ۔ رسول اللہ ﷺ کو جب عبیداللہ بن جحش کے انتقال کی اطلاع ہوئی تو آپ ﷺ نے ام حبیبہؓ کی قدردانی و دلداری اور دوسرے اہم مصالح کے پیش نظر ان کو اپنے نکاح میں لے لینے کا ارادہ کیا اور شاہ حبشہ نجاشی کے پاس قاصد بھیجا کہ ام حبیبہؓ کو میری طرف سے نکاح کا پیام دیا جائے ۔ نجاشی نے ابرھہ نامی اپنی باندی کے ذریعہ ام حبیبہؓ کو پیام دیا ۔ انہوں نے بہت ہی مسرت اور ممنونیت کے ساتھ اس کو منظور کر لیا ، اور مہاجر مسلمانوں میں سے اپنے ایک قریبی عزیز خالد بن سعید بن العاصی کو اپنا وکیل بنا دیا اور جیسا کہ ابو داؤد اور نسائی کی اس زیرِ تشریح روایت میں ہے نجاشی نے حبشہ ہی میں ان کا نکاح رسول اللہ ﷺ سے کر دیا اور خود ہی آپ ﷺ کی طرف سے مہر بھی نقد ادا کر دیا ۔ ابو داأد کی اس روایت میں مہر کی مقدار چار ہزار درہم بتائی گئی ہے لیکن مستدرک حاکم وغیرہ کی روایت میں چار ہزار دینار ذکر کی گئی ہے ، اور اصحابِ نقل و روایت نے اسی کو ترجیح دی ہے ۔ بہرحال ازواجِ مطہرات میںٰ سے حضرت ام حبیبہ رضی اللہ عنہا کا مہر دوسری امہات المؤمنین کی بہ نسبت بہت زیادہ تھا ، لیکن یہ حضور ﷺ نے نہیں بلکہ نجاشی نے مقرر کیا تھا جو ایک بادشاہ تھا اور یہی اس کی شان اور حیثیت کے لائق تھا ، اور جیسا کہ حدیث میں ہے اس نے خود ہی ادا بھی کیا ، روایت سے معلوم ہوتا ہے کہ یہ واقعہ ہجرت کے چھٹے یا ساتویں سال کا ہے ۔
نجاشی ، حبشہ کے بادشاہوں کا لقب تھا ، اس نجاشی کا اصل ن ام اصحمہ تھا وہ مہاجرین کے ذریعہ اسلام اور رسول اللہ ﷺ کی دعوت و تعلیم سے واقف ہوا تھا ۔ اور اس نے اسلام قبول کر لیا تھا ۔ ۶؁ھ یا ۹؁ھ میں اس کا انتقال ہوا ، رسول اللہ ﷺ کو وحی سے اس کی اطلاع ہوئی ، آپ ﷺ نے صحابہ کرام کو اس کی اطلاع دی اور مدینہ طیبہ میں اس کی غائبانہ نمازِ جنازہ پڑھی ۔ رضى الله تعالى عنه وارضاه
کتاب المعاملات والمعاشرت
عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ أَنَّهَا كَانَتْ تَحْتَ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ جَحْشٍ فَمَاتَ بِأَرْضِ الْحَبَشَةِ فَزَوَّجَهَا النَّجَاشِيُّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَمْهَرَهَا عنه أَرْبَعَةَ آلاَفٍ وَبَعَثَ بِهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ شُرَحْبِيلَ ابْنِ حَسَنَةَ. (رواه ابوداؤد والنسائى)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৭০৬
মু‘আমালাত ও মু‘আশারাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ نکاح کے بعد مبارک باد اور دعا
حضرت ابو ہریرہ رضی اللہ عنہ سے روایت ہے کہ رسول اللہ ﷺ جب کسی ایسے آدمی کو جس نے شادی کی ہوتی مبارک باد دیتے تو یوں فرماتے ، اللہ تم کو مبارک کرے تم دونوں پر برکت نازل فرمائے اور خیر اور بھلائی میں تم دونوں کو ہمیشہ متفق اور مجتمع رکھے ۔ (مسند احمد ، جامع ترمذی ، سنن ابی داؤد ، سنن ابن ماجہ)

تشریح
دنیا کی مختلف قوموں اور گروہوں میں شادی اور نکاح کے موقع پر مبارک بادی کے مختلف طریقے رائج ہیں ، رسول اللہ ﷺ نے اس موقع کے لئے اپنی تعلیم اور عمل سے یہ طریقہ مقرر فرمایا کہ دونوں کے لئے اللہ سے برکت کی دعا کی جائے جس کا مطلب یہ ہوتا ہے کہ اللہ تعالیٰ تم کو بھرپور خیر اور بھلائی نصیب فرمائے اور اپنے کرم کے بادل برسائے ۔
کتاب المعاملات والمعاشرت
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا رَفَّأَ الإِنْسَانَ إِذَا تَزَوَّجَ قَالَ: بَارَكَ اللَّهُ لَكَ وَبَارَكَ عَلَيْكَ وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِي خَيْرٍ. (رواه احمد والترمذى وابوداؤد وابن ماجه)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৭০৭
মু‘আমালাত ও মু‘আশারাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ نکاح کے بعد مبارک باد اور دعا
حضرت عبداللہ بن عمرو بن العاص رضی اللہ عنہ رسول اللہ ﷺ سے روایت کرتے ہیں کہ آپ ﷺ نے فرمایا کہ : جب کوئی شخص کسی عورت سے نکاح کرے یا خدمت کرنے والا غلام یا باندی خریدے تو یہ دعا کرے ۔ اے اللہ ! اس میں جو خیر اور بھلائی ہے اور تو نے اس کی فطرت میں جو خیر اور بھلائی رکھی ہے میں تجھ سے اس کا سائل ہوں وہ مجھے نصیب فرما ۔ اور اس کے شر سے اور اس کی فطرت کے شر سے میں تیری پناہ مانگتا ہوں تو اس سے میری حفاظت فرما ۔ (سنن ابی داؤد)

تشریح
شادی اور نکاح انسان کی نفسانی شہوت کی تسکین کا ذریعہ ہے ، لیکن رسول اللہ ﷺ نے یہ دعائیں تعلیم فرما کر اس کو بھی قرب الٰہی کا وسیلہ اور ایک نورانی عمل بنا دیا ۔ (یہ دونوں دعائیں اسی سلسلہ معارف الحدیث کی “کتاب الدعوات” میں بھی گزر چکی ہیں)
کتاب المعاملات والمعاشرت
عَنْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذَا تَزَوَّجَ أَحَدُكُمُ امْرَأَةً أَوِ اشْتَرَى خَادِمًا فَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَمِنْ شَرِّ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ. (رواه ابوداؤد)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৭০৮
মু‘আমালাত ও মু‘আশারাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ شادی جتنی ہلکی پھلکی اور آسان ہو اتنی ہی بابرکت ہے
حضرت عائشہ صدیقہ رضی اللہ عنہا سے روایت ہے کہ رسول اللہ ﷺ نے فرمایا کہ : وہ نکاح بہت بابرکت ہے جس کا بار کم سے کم پڑے ۔ (شعب الایمان للبیہقی)

تشریح
ظاہر ہے کہ اس حدیث کا مقصد صرف ایک حقیقت بیان کر دینا نہیں ہے ، بلکہ اس میں امت کو ہدایت اور رہنمائی دی گئی ہے کہ شادیاں ہلکی پھلکی اور کم خرچ ہوا کریں ، اور بشارت سنائی گئی ہے کہ اگر ہم ایسا کریں گے تو اللہ تعالیٰ کی طرف سے ہماری شادیوں اور اس کے نتیجوں میں بڑی برکتیں ہوں گی ۔ آج ہم جن پریشانیوں میں مبتلا ہیں اور خاص کر خانگی زندگی میں جو الجھنیں ہیں ان کا بہت بڑا سبب یہی ہے کہ نکاح و شادی کے بارے میں حضور ﷺ کی ان ہدایات سے انحراف کر کے ہم آسمانی برکات اور خداوندی عنایات سے محروم ہو گئے ہیں ۔
کتاب المعاملات والمعاشرت
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَعْظَمُ النِّكَاحِ بَرَكَةً أَيْسَرُهُ مُؤُونَةً " (رواه البيهقى فى شعب الايمان)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৭০৯
মু‘আমালাত ও মু‘আশারাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ فاطمی جہیز
حضرت علی رضی اللہ عنہ سے روایت ہے کہ رسول اللہ ﷺ نے اپنی صاحبزادی فاطمۃ الزہرا رضی اللہ عنہا کو جہیز کے طور پر یہ چیزیں دی تھیں ، ایک پلودار چادر ، ایک مشکیزہ ، ایک تکیہ جس میں اذخر گھاس بھری ہوئی تھی ۔ (سنن نسائی)

تشریح
ہمارے ملک کے اکثر اہلِ علم اس حدیث کا مطلب یہی سمجھتے اور بیان کرتے ہیں کہ رسول اللہ ﷺ نے یہ چیزیں (چادر ، مشکیزہ ، تکیہ) اپنی صاحبزادی سیدہ فاطمہ رضی اللہ عنہا کے نکاح کے موقع پر “جہیز” کے طور پر دی تھیں ۔ لیکن تحقیقی بات یہ ہے کہ اس زمانہ میں عرب میں نکاح شادی کے موقع پر لڑکی کو “جہیز” کے طور پر کچھ سامان دینے کا رواج بلکہ تصور بھی نہیں تھا اور “جہیز” کا لفظ بھی استعمال نہیں ہوتا تھا ۔ اس زمانہ کی شادیوں کے سلسلے میں کہیں اس کا ذکر نہیں آتا ۔ سیدہ فاطمہ رضی اللہ عنہا کے علاوہ حضور ﷺ کی دوسری صاحبزادیوں کے نکاح کے سلسلہ میں بھی کہیں کسی قسم کے “جہیز” کا ذکر نہیں آیا ، حدیث کے لفظ “جهز” کے معنی اصطلاحی جہیز دینے کے نہیں بلکہ ضرورت کا انتظام اور بندوبسگ کرنے کے ہیں ۔ حضرت فاطمہ رضی اللہ عنہا کے لئے حضور ﷺ نے ان چیزوں کا انتظام حضرت علیؓ کے سرپرست ہونے کی حیثیت سے انہی کی طرف سے اور انہی کے پیسوں سے کیا تھا کیوں کہ یہ ضروری چیزیں ان کے گھر میں نہیں تھیں ۔ روایات سے اس کی پوری تفصیل معلوم ہو جاتی ہے ۔ بہرحال یہ اصطلاحی جہیز نہیں تھا ۔
کتاب المعاملات والمعاشرت
عَنْ عَلِيٍّ قَالَ جَهَّزَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاطِمَةَ فِي خَمِيلٍ وَقِرْبَةٍ وَوِسَادَةٍ حَشْوُهَا إِذْخِرٌ. (رواه النسائى)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৭১০
মু‘আমালাত ও মু‘আশারাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ شادی کے بعد ولیمہ
حضرت انس رضی اللہ عنہ سے روایت ہے کہ رسول اللہ ﷺ نے عبدالرحمٰن بن عوف پر (یعنی ان کے کپڑوں پر یا جسم پر) زردی کا کچھ اثر دیکھا تو ان سے پوچھا یہ کیا ہے ؟ انہوں نے عرض کیا کہ میں نے ایک عورت سے شادی کی ہے کھجور کی گھٹلی کے وزن کے برابر سونے پر (یعنی اس کا مہر اتنا مقرر کیا ہے) آپ ﷺ نے فرمایا : اللہ تمہیں مبارک کرے ! ولیمہ کی دعوت کرو اگرچہ پوری ایک بکری کر ڈالو ۔ (صحیح بخاری و صحیح مسلم)

تشریح
اپنی حسبِ خواہش کسی عورت سے نکاح ہو جانا بلاشبہ اللہ تعالیٰ کی بڑی نعمت اور دِلی خوشی اور مسرت کی بات ہے اور اس کا حق ہے کہ اس پر اللہ تعالیٰ کا شکر اور اپنی دلی مسرت و شادمانی کا اظہار ہو ، ولیمہ اس کی عملی شکل ہے ۔ اس میں یہ حکمت بھی ہے کہ اس کے ذریعہ شادی کرنے والے مرد اور اس کے گھرانے کی طرف سے خوبصورتی کے ساتھ اس کا اعلان و اظہار ہو جاتا ہے کہ شادی کے اس رشتہ سے ہم کو اطمینان اور خوشی ہے اور ہم اس کو اللہ تعالیٰ کی قابلِ شکر نعمت سمجھتے ہیں ۔ ظاہر ہے کہ یہ چیز منکوحہ عورت اور اس کے گھر والوں کے لئے بڑی خوشی اور اطمینان کا باعث ہو گی اور اس سے باہمی تعلق و مودت میں اضافہ ہو گا ۔ رسول اللہ ﷺ نے اپنے ارشادات اور عمل دونوں سے اس کی رہنمائی فرمائی ۔

تشریح ..... حضور ﷺ کے ارشاد “أَوْلِمْ وَلَوْ بِشَاةٍ” کا مطلب بظاہر یہی ہے کہ دل کھول کے ولیمہ کرو ، چاہو تو اس ولیمہ کے لئے ایک بکری مستقل ذبح کر ڈالو ۔ رسول اللہ ﷺ اپنے اصحاب اور رفقاء کی تطییب خاطر کے لئے کبھی ایسی بےتکلفی اور خوش طبعی کی باتیں بھی فرمایا کرتے تھے ، حضرت عبدالرحمٰن بن عوف سے آپ ﷺ کا یہ ارشاد بھی اسی قبیل سے تھا ۔
ایک بات اس حدیث سے یہ بھی معلوم ہوئی کہ رسول اللہ ﷺ کی تعلیم و تربیت نے صحابہ کرامؓ کو ایسا بنا دیا تھا کہ وہ اپنی شادی نکاح کی تقریبات میں بھی حضوڑ کو شرکت کی زحمت نہیں دیتے تھے ، بلکہ اطلاع کرنا بھی ضروری نہیں سمجھتے تھے ۔ عبدالرحمٰن بن عوف جو خواص اصحاب اور عشرہ مبشرہ میں سے ہیں انہوں نے خود اپنی شادی کی اور حضور ﷺ کو خبر بھی نہیں ہوئی ۔
حدیث میں عبدالرحمٰن بن عوف پر زردی کے اثر کا جو ذکر ہے ، اس کی حقیقت یہ سمجھنی چاہئے کہ نئی دلہنیں زعفران وغیرہ سے رنگے ہوئے کپڑے پہنتی تھیں ، اس کا اثر مرد کے کپڑوں یا جسم پر بھی آ جاتا تھا ، رسول اللہ ﷺ نے اسی طرح کا اثر عبدالرحمن بن عوف پر محسوس کیا تھا ۔ واللہ اعلم ۔
کتاب المعاملات والمعاشرت
عَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى عَلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ أَثَرَ صُفْرَةٍ فَقَالَ: مَا هَذَا؟ قَالَ: إِنِّي تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً عَلَى وَزْنِ نَوَاةٍ مِنْ ذَهَبٍ. قَالَ: بَارَكَ اللَّهُ لَكَ، أَوْلِمْ وَلَوْ بِشَاةٍ. (رواه البخارى ومسلم)
tahqiq

তাহকীক: