আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
২২. অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭৫৪ টি
হাদীস নং: ৪৬৭২
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সৎসঙ্গী গ্রহণে উৎসাহ প্রদান ও অসৎসঙ্গীর সাহচর্যের ব্যাপারে সতর্কীকরণ এবং মজলিসের মধ্যস্থলে উপবেশনকারী, মজলিসের আদব ইত্যাদি সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসসমূহ
৪৬৭২. অপর এক রিওয়ায়াতে বর্ণনাকারী বলেন, ইবন উমর (রা)-এর সম্মানে যখন কেউ তার আসন থেকে উঠে যেত, তখন তিনি কখনও সেখানে বসতেন না।
(বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
(বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
كتاب الأدب
الترغيب في الجليس الصالح والترهيب من الجليس السيىء وما جاء فيمن جلس وسط الحلقة وأدب المجلس وغير ذلك
4672- وَفِي رِوَايَة قَالَ وَكَانَ ابْن عمر إِذا قَامَ لَهُ رجل من مَجْلِسه لم يجلس فِيهِ
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৭৩
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সৎসঙ্গী গ্রহণে উৎসাহ প্রদান ও অসৎসঙ্গীর সাহচর্যের ব্যাপারে সতর্কীকরণ এবং মজলিসের মধ্যস্থলে উপবেশনকারী, মজলিসের আদব ইত্যাদি সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসসমূহ
৪৬৭৩. হযরত জাবির ইবন সামুরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা যখন নবী (ﷺ)-এর কাছে যেতাম, তখন আমাদের প্রত্যেকেই মজলিসের শেষ প্রান্তে বসত।
(আবু দাউদ (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, তিরমিযী (র) হাদীসটি বর্ণনা করে তাকে হাসান হাদীস বলে
আখ্যায়িত করেছেন এবং ইবন হিব্বান (র) তাঁর 'সহীহ'-এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন।)
(আবু দাউদ (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, তিরমিযী (র) হাদীসটি বর্ণনা করে তাকে হাসান হাদীস বলে
আখ্যায়িত করেছেন এবং ইবন হিব্বান (র) তাঁর 'সহীহ'-এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন।)
كتاب الأدب
الترغيب في الجليس الصالح والترهيب من الجليس السيىء وما جاء فيمن جلس وسط الحلقة وأدب المجلس وغير ذلك
4673- وَعَن جَابر بن سَمُرَة رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ كُنَّا إِذا أَتَيْنَا النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم جلس أَحَدنَا حَيْثُ يَنْتَهِي
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَحسنه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَحسنه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৭৪
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সৎসঙ্গী গ্রহণে উৎসাহ প্রদান ও অসৎসঙ্গীর সাহচর্যের ব্যাপারে সতর্কীকরণ এবং মজলিসের মধ্যস্থলে উপবেশনকারী, মজলিসের আদব ইত্যাদি সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসসমূহ
৪৬৭৪. হযরত আমর ইবন শু'আয়ব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি তাঁর পিতার সূত্রে তাঁর পিতামহ থেকে বর্ণনা
করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন: দু'জনের মাঝে তাদের অনুমতি ব্যতিরেকে বসে ফারাক বা তফাৎ সৃষ্টি
করা কারও জন্য বৈধ হবে না।
(আবু দাউদ (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী (র) হাদীসটি বর্ণনা করে বলেন। এটা হাসান হাদীস।)
করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন: দু'জনের মাঝে তাদের অনুমতি ব্যতিরেকে বসে ফারাক বা তফাৎ সৃষ্টি
করা কারও জন্য বৈধ হবে না।
(আবু দাউদ (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী (র) হাদীসটি বর্ণনা করে বলেন। এটা হাসান হাদীস।)
كتاب الأدب
الترغيب في الجليس الصالح والترهيب من الجليس السيىء وما جاء فيمن جلس وسط الحلقة وأدب المجلس وغير ذلك
4674- وَعَن عَمْرو بن شُعَيْب عَن جده أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَا يحل لرجل أَن يفرق بَين اثْنَيْنِ إِلَّا بإذنهما
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৭৫
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সৎসঙ্গী গ্রহণে উৎসাহ প্রদান ও অসৎসঙ্গীর সাহচর্যের ব্যাপারে সতর্কীকরণ এবং মজলিসের মধ্যস্থলে উপবেশনকারী, মজলিসের আদব ইত্যাদি সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসসমূহ
৪৬৭৫. আবু দাউদের অপর এক রিওয়ায়াতে আছে। দু'জনের মধ্যখানে তাদের অনুমতি ব্যতিরেকে বসবেন না।
كتاب الأدب
الترغيب في الجليس الصالح والترهيب من الجليس السيىء وما جاء فيمن جلس وسط الحلقة وأدب المجلس وغير ذلك
4675- وَفِي رِوَايَة لأبي دَاوُد لَا يجلس بَين رجلَيْنِ إِلَّا بإذنهما
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৭৬
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সৎসঙ্গী গ্রহণে উৎসাহ প্রদান ও অসৎসঙ্গীর সাহচর্যের ব্যাপারে সতর্কীকরণ এবং মজলিসের মধ্যস্থলে উপবেশনকারী, মজলিসের আদব ইত্যাদি সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসসমূহ
৪৬৭৬. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন: যখন তোমাদের কেউ নিজের আসন থেকে উঠে গেল, অতপর সেখানে ফিরে এল, তখন সে-ই উক্ত স্থানে বসার অধিকতর হকদার।
(মুসলিম, আবু দাউদ ও ইবন মাজাহ (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(মুসলিম, আবু দাউদ ও ইবন মাজাহ (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الأدب
الترغيب في الجليس الصالح والترهيب من الجليس السيىء وما جاء فيمن جلس وسط الحلقة وأدب المجلس وغير ذلك
4676- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِذا قَامَ أحدكُم من مجْلِس ثمَّ رَجَعَ إِلَيْهِ فَهُوَ أَحَق بِهِ
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৭৭
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সৎসঙ্গী গ্রহণে উৎসাহ প্রদান ও অসৎসঙ্গীর সাহচর্যের ব্যাপারে সতর্কীকরণ এবং মজলিসের মধ্যস্থলে উপবেশনকারী, মজলিসের আদব ইত্যাদি সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসসমূহ
৪৬৭৭. হযরত ওহাব ইবন হুযায়ফা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন: মানুষ তার আপন আসনের অধিকতর হকদার। যখন সে নিজ প্রয়োজনে বের হয়ে গেল অতঃপর ফিরে এল তখন সে-ই তার আসনের বেশী হকদার।
(তিরমিযী (তাঁর সুনানে) ও ইবন হিব্বান স্বীয় সহীহতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(তিরমিযী (তাঁর সুনানে) ও ইবন হিব্বান স্বীয় সহীহতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الأدب
الترغيب في الجليس الصالح والترهيب من الجليس السيىء وما جاء فيمن جلس وسط الحلقة وأدب المجلس وغير ذلك
4677- وَعَن وهب بن حُذَيْفَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الرجل أَحَق بمجلسه فَإِذا خرج لِحَاجَتِهِ ثمَّ رَجَعَ فَهُوَ أَحَق بمجلسه
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৭৮
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সৎসঙ্গী গ্রহণে উৎসাহ প্রদান ও অসৎসঙ্গীর সাহচর্যের ব্যাপারে সতর্কীকরণ এবং মজলিসের মধ্যস্থলে উপবেশনকারী, মজলিসের আদব ইত্যাদি সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসসমূহ
৪৬৭৮. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি উত্তম মজলিস হচ্ছে অধিক প্রশস্ত মজলিস।
(আবু দাউদ (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(আবু দাউদ (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الأدب
الترغيب في الجليس الصالح والترهيب من الجليس السيىء وما جاء فيمن جلس وسط الحلقة وأدب المجلس وغير ذلك
4678- وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول خير الْمجَالِس أوسعها
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৭৯
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সৎসঙ্গী গ্রহণে উৎসাহ প্রদান ও অসৎসঙ্গীর সাহচর্যের ব্যাপারে সতর্কীকরণ এবং মজলিসের মধ্যস্থলে উপবেশনকারী, মজলিসের আদব ইত্যাদি সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসসমূহ
৪৬৭৯. উক্ত হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকেই বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ সাবধান। তোমরা পথের উপর বসা থেকে বিরত থাক। সাহাবায়ে কিরাম বললেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের তো পথের উপর বসে কথাবার্তা বলা ছাড়া গত্যন্তর নেই। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ যদি তোমাদের অগত্যা বসতেই হয়, তবে পথের হক আদায় করে দেবে। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেস করলেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ্। পথের হক কি? উত্তরে তিনি বললেন: দৃষ্টি অবনত রাখা, কষ্টদায়ক বস্তু দূর করে দেয়া, সালামের জওয়াব দেয়া, সৎকাজের আদেশ করা ও অসৎ কাজের নিষেধ করা।
(বুখারী, মুসলিম ও আবূ দাউদ (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(বুখারী, মুসলিম ও আবূ দাউদ (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الأدب
الترغيب في الجليس الصالح والترهيب من الجليس السيىء وما جاء فيمن جلس وسط الحلقة وأدب المجلس وغير ذلك
4679- وَعَن أبي سعيد أَيْضا رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إيَّاكُمْ وَالْجُلُوس بالطرقات
قَالُوا يَا رَسُول الله مَا لنا بُد من مجالسنا نتحدث فِيهَا فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن أَبَيْتُم فأعطوا الطَّرِيق حَقه
قَالُوا وَمَا حق الطَّرِيق يَا رَسُول الله قَالَ غض الْبَصَر وكف الْأَذَى ورد السَّلَام وَالْأَمر بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْي عَن الْمُنكر
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد
قَالُوا يَا رَسُول الله مَا لنا بُد من مجالسنا نتحدث فِيهَا فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن أَبَيْتُم فأعطوا الطَّرِيق حَقه
قَالُوا وَمَا حق الطَّرِيق يَا رَسُول الله قَالَ غض الْبَصَر وكف الْأَذَى ورد السَّلَام وَالْأَمر بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْي عَن الْمُنكر
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৮০
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ ঘেরাহীন ছাদে মানুষের নিদ্রা যাওয়া অথবা উত্তাল তরঙ্গের সময় সমুদ্র ভ্রমণ করার ব্যাপারে সতর্কীকরণ
৪৬৮০. হযরত আব্দুর রহমান ইবন আলী ইবন শায়বান (র) থেকে তাঁর পিতামহের সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন:
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি প্রাচীরবিহীন ঘরের ছাদে রাত্রি যাপন করল, তার হিফাযতের কোন দায়িত্ব নেই।
(আবু দাউদ (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
হাফিয (র) বলেন: আমাদের উল্লিখিত রিওয়ায়েতে حجار শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। আবার কোন কোন
প্রতিলিপিতে حجاب শব্দ রয়েছে। তাও একটি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি প্রাচীরবিহীন ঘরের ছাদে রাত্রি যাপন করল, তার হিফাযতের কোন দায়িত্ব নেই।
(আবু দাউদ (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
হাফিয (র) বলেন: আমাদের উল্লিখিত রিওয়ায়েতে حجار শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। আবার কোন কোন
প্রতিলিপিতে حجاب শব্দ রয়েছে। তাও একটি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
كتاب الأدب
التَّرْهِيب أَن ينَام الْمَرْء على سطح لَا تحجير لَهُ أَو يركب الْبَحْر عِنْد ارتجاجه
4680- عَن عبد الرَّحْمَن بن عَليّ يَعْنِي ابْن شَيبَان عَن أَبِيه رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ
رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من بَات على ظهر بَيت لَيْسَ لَهُ حجار فقد بَرِئت مِنْهُ الذِّمَّة
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
قَالَ الْحَافِظ هَكَذَا وَقع فِي روايتنا حجار بالراء بعد الْألف وَفِي بعض النّسخ حجاب بِالْبَاء الْمُوَحدَة وَهُوَ بِمَعْنَاهُ
رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من بَات على ظهر بَيت لَيْسَ لَهُ حجار فقد بَرِئت مِنْهُ الذِّمَّة
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
قَالَ الْحَافِظ هَكَذَا وَقع فِي روايتنا حجار بالراء بعد الْألف وَفِي بعض النّسخ حجاب بِالْبَاء الْمُوَحدَة وَهُوَ بِمَعْنَاهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৮১
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ ঘেরাহীন ছাদে মানুষের নিদ্রা যাওয়া অথবা উত্তাল তরঙ্গের সময় সমুদ্র ভ্রমণ করার ব্যাপারে সতর্কীকরণ
৪৬৮১. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মানুষকে প্রাচীরবিহীন ছাদে ঘুমোতে নিষেধ করেছেন।
(তিরমিযী (র) হাদীসটি বর্ণনা করে বলেন: এটা 'গরীব' হাদীস।)
(তিরমিযী (র) হাদীসটি বর্ণনা করে বলেন: এটা 'গরীব' হাদীস।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب أَن ينَام الْمَرْء على سطح لَا تحجير لَهُ أَو يركب الْبَحْر عِنْد ارتجاجه
4681- وَرُوِيَ عَن جَابر رَضِي الله عَنهُ قَالَ نهى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَن ينَام الرجل على سطح لَيْسَ بمحجور عَلَيْهِ
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث غَرِيب
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث غَرِيب
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৮২
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ ঘেরাহীন ছাদে মানুষের নিদ্রা যাওয়া অথবা উত্তাল তরঙ্গের সময় সমুদ্র ভ্রমণ করার ব্যাপারে সতর্কীকরণ
৪৬৮২. হযরত আবদুল্লাহ্ ইব্ন জা'ফর (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) বলেনঃ যে ব্যক্তি রাত্রিকালে আমাদের উপর আক্রমণ করে, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং যে ব্যক্তি প্রাচীরবিহীন ছাদে ঘুমোল ফলে সে মৃত্যুবরণ করল তার রক্ত (জীবন) বৃথাই গেল।*
(তাবারানী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
*অর্থাৎ তার ব্যাপারে কারও কোন দায়-দায়িত্ব নেই।
(তাবারানী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
*অর্থাৎ তার ব্যাপারে কারও কোন দায়-দায়িত্ব নেই।
كتاب الأدب
التَّرْهِيب أَن ينَام الْمَرْء على سطح لَا تحجير لَهُ أَو يركب الْبَحْر عِنْد ارتجاجه
4682- وَرُوِيَ عَن عبد الله بن جَعْفَر رَضِي الله عَنْهُمَا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من رمانا بِاللَّيْلِ فَلَيْسَ منا وَمن رقد على سطح لَا جِدَار لَهُ فَمَاتَ فدمه هدر
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৮৩
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ ঘেরাহীন ছাদে মানুষের নিদ্রা যাওয়া অথবা উত্তাল তরঙ্গের সময় সমুদ্র ভ্রমণ করার ব্যাপারে সতর্কীকরণ
৪৬৮৩. হযরত আবু ইমরান জাওনী (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা পারস্যে ছিলাম। আমাদের একজন আমীর ছিলেন। তাঁর নাম ছিল যুহায়র ইবন আব্দুল্লাহ। তিনি এক ব্যক্তিকে ঘরের উপরে অথবা প্রাচীরবিহীন ছাদের উপরে দেখলেন। তখন তিনি আমাকে বললেন: তুমি কি এ সম্পর্কে কিছু শুনেছ? আমি বললামঃ না। তিনি বললেন: এক ব্যক্তি আমার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলছেন: যে ব্যক্তি প্রাচীরবিহীন ছাদে অথবা ঘরের উপরে যার আশে-পাশে এমন কিছু নেই, যা তার পা'কে বাধা দিতে পারে। রাত্রি যাপন করে, তার ব্যাপারে কোন দায়-দায়িত্ব নেই এবং যে ব্যক্তি সমুদ্র ফুঁসে উঠার পর সমুদ্র-ভ্রমণ করে, তার ব্যাপারেও কোন দায়-দায়িত্ব নেই।
(আহমাদ (র) হাদীসটি এরূপ মারফু' হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং মাওকূফ হিসেবেও বর্ণনা করেছেন। উভয় রিওয়ায়াতের বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। বায়হাকী ও হাদীসটি মারফ' হিসেবে উল্লেখ করেছেন।)
(আহমাদ (র) হাদীসটি এরূপ মারফু' হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং মাওকূফ হিসেবেও বর্ণনা করেছেন। উভয় রিওয়ায়াতের বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। বায়হাকী ও হাদীসটি মারফ' হিসেবে উল্লেখ করেছেন।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب أَن ينَام الْمَرْء على سطح لَا تحجير لَهُ أَو يركب الْبَحْر عِنْد ارتجاجه
4683- وَعَن أبي عمرَان الْجونِي قَالَ كُنَّا بِفَارِس وعلينا أَمِير يُقَال لَهُ زُهَيْر بن عبد الله فأبصر إنْسَانا فَوق بَيت أَو إجار لَيْسَ حوله شَيْء فَقَالَ لي سَمِعت فِي هَذَا شَيْئا قلت لَا
قَالَ حَدثنِي رجل أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من بَات فَوق إجار أَو فَوق بَيت لَيْسَ حوله شَيْء يرد رجله فقد بَرِئت مِنْهُ الذِّمَّة وَمن ركب الْبَحْر بَعْدَمَا يرتج فقد بَرِئت مِنْهُ الذِّمَّة
رَوَاهُ أَحْمد مَرْفُوعا هَكَذَا وموقوفا ورواتهما ثِقَات وَالْبَيْهَقِيّ مَرْفُوعا
قَالَ حَدثنِي رجل أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من بَات فَوق إجار أَو فَوق بَيت لَيْسَ حوله شَيْء يرد رجله فقد بَرِئت مِنْهُ الذِّمَّة وَمن ركب الْبَحْر بَعْدَمَا يرتج فقد بَرِئت مِنْهُ الذِّمَّة
رَوَاهُ أَحْمد مَرْفُوعا هَكَذَا وموقوفا ورواتهما ثِقَات وَالْبَيْهَقِيّ مَرْفُوعا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৮৪
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ ঘেরাহীন ছাদে মানুষের নিদ্রা যাওয়া অথবা উত্তাল তরঙ্গের সময় সমুদ্র ভ্রমণ করার ব্যাপারে সতর্কীকরণ
৪৬৮৪. বায়হাকীর অপর এক রিওয়ায়াতে উক্ত আবূ ইমরান (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি যুহায়ব শানাবীর সাথে ছিলাম। আমরা প্রাচীরের উপর নিদ্রিত এক ব্যক্তির কাছে গেলাম। সে প্রাচীরে তার পা দু'টিকে ঠেকাবার মত কিছু ছিল না। তখন তিনি স্বীয় পা দ্বারা তাকে ধাক্কা দিলেন। তারপর বললেনঃ উঠ। অতঃপর যুহায়ব বললেন: রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ যে ব্যক্তি প্রাচীরের উপর রাত্রি যাপন করল অথচ সে প্রাচীরে তার পা দু'টো ঠেকাবার মত কিছু ছিল না, ফলে সে পড়ে মৃত্যুবরণ করল, তার ব্যাপারে কারও কোন দায়-দায়িত্ব নেই। আর যে ব্যক্তি সমুদ্রের ফুঁসে উঠার পর সমুদ্র ভ্রমণ করল, ফলে সে মৃত্যুবরণ করল, তার ব্যাপারেও কারও কোন দায়-দায়িত্ব নেই।
(বায়হাকী (র) বলেন, শু'বা হাদীসটি মুহাম্মদ ইবন আবূ যুহায়ব (র) থেকে আবূ ইমরান (র)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন। কেউ কেউ বলেন, মুহাম্মদ ইবন যুহায়ব ইব্ন আবু আলী থেকে বর্ণনা করেছেন। আবার কারও কারও মতে, যুহায়ব ইবন আবু জাবাল (রা)-এর সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন। আবার কেউ এতদভিন্ন মত ও প্রকাশ করেছেন।)
(বায়হাকী (র) বলেন, শু'বা হাদীসটি মুহাম্মদ ইবন আবূ যুহায়ব (র) থেকে আবূ ইমরান (র)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন। কেউ কেউ বলেন, মুহাম্মদ ইবন যুহায়ব ইব্ন আবু আলী থেকে বর্ণনা করেছেন। আবার কারও কারও মতে, যুহায়ব ইবন আবু জাবাল (রা)-এর সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন। আবার কেউ এতদভিন্ন মত ও প্রকাশ করেছেন।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب أَن ينَام الْمَرْء على سطح لَا تحجير لَهُ أَو يركب الْبَحْر عِنْد ارتجاجه
4684- وَفِي رِوَايَة للبيهقي عَن أبي عمرَان أَيْضا قَالَ كنت مَعَ زُهَيْر الشنوي فأتينا على رجل نَائِم على ظهر جِدَار وَلَيْسَ لَهُ مَا يدْفع رجلَيْهِ فَضَربهُ بِرجلِهِ ثمَّ قَالَ قُم ثمَّ قَالَ زُهَيْر قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من بَات على ظهر جِدَار وَلَيْسَ لَهُ مَا يدْفع رجلَيْهِ فَوَقع فَمَاتَ فقد بَرِئت مِنْهُ الذِّمَّة وَمن ركب الْبَحْر فِي ارتجاجه فَفرق فقد بَرِئت مِنْهُ الذِّمَّة
قَالَ الْبَيْهَقِيّ وَرَوَاهُ شُعْبَة عَن أبي عمرَان عَن مُحَمَّد بن أبي زُهَيْر وَقيل عَن مُحَمَّد بن زُهَيْر بن أبي عَليّ وَقيل عَن زُهَيْر بن أبي جبل عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَقيل غير ذَلِك
الإجار بِكَسْر الْهمزَة وَتَشْديد الْجِيم هُوَ السَّطْح
وارتجاج الْبَحْر هيجانه
قَالَ الْبَيْهَقِيّ وَرَوَاهُ شُعْبَة عَن أبي عمرَان عَن مُحَمَّد بن أبي زُهَيْر وَقيل عَن مُحَمَّد بن زُهَيْر بن أبي عَليّ وَقيل عَن زُهَيْر بن أبي جبل عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَقيل غير ذَلِك
الإجار بِكَسْر الْهمزَة وَتَشْديد الْجِيم هُوَ السَّطْح
وارتجاج الْبَحْر هيجانه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৮৫
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ ওজর ব্যতিরেকে মানুষের উপুড় হয়ে নিদ্রা যাওয়ার ব্যাপারে সতর্কীকরণ
৪৬৮৫. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী (ﷺ) পেটের উপর ভর করে শুয়ে থাকা এক ব্যক্তির পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন। তখন তিনি স্বীয় পা দ্বারা তাকে ধাক্কা দিয়ে বললেন: নিশ্চয় এ উপুড় হয়ে শয়ন আল্লাহ্ তা'আলা পসন্দ করেন না।
(আহমাদ (স্বীয় মুসনাদে) ও ইবন হিব্বান স্বীয় সহীহে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির উল্লিখিত পাঠ ইব্ন হিব্বান (র) কর্তৃক বর্ণিত। বুখারী এ হাদীসের বিশুদ্ধতা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছেন।)
(আহমাদ (স্বীয় মুসনাদে) ও ইবন হিব্বান স্বীয় সহীহে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির উল্লিখিত পাঠ ইব্ন হিব্বান (র) কর্তৃক বর্ণিত। বুখারী এ হাদীসের বিশুদ্ধতা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছেন।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب أَن ينَام الْإِنْسَان على وَجهه من غير عذر
4685- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ مر النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بِرَجُل مُضْطَجع على بَطْنه فغمزه بِرجلِهِ وَقَالَ إِن هَذِه ضجعة لَا يُحِبهَا الله عز وَجل
رَوَاهُ أَحْمد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ وَقد تكلم البُخَارِيّ فِي هَذَا الحَدِيث
رَوَاهُ أَحْمد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ وَقد تكلم البُخَارِيّ فِي هَذَا الحَدِيث
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৮৬
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ ওজর ব্যতিরেকে মানুষের উপুড় হয়ে নিদ্রা যাওয়ার ব্যাপারে সতর্কীকরণ
৪৬৮৬. হযরত ইয়াঈশ ইব্ন তাখফা ইবন কায়স গিফারী (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আমার পিতা ছিলেন অসহায় সুফফার অন্তর্ভুক্ত। একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমাদের নিয়ে আয়েশার ঘরে চল। আমরা চলতে লাগলাম। অতঃপর তিনি (সেখানে পৌছে) বললেন, হে আয়েশা। আমাদেরকে খাবার দাও! তখন তিনি হাশীশা'* নিয়ে এলেন। আমরা তা খেলাম। তিনি আবার বললেন, হে আয়েশা। আমাদেরকে খাবার দাও। তখন তিনি হায়সা'** নামক হালুয়া জাতীয় এক প্রকার খাবার নিয়ে এলেন। আমরা তাও খেলাম। তারপর তিনি বললেন, হে আয়েশা। আমাদেরকে পানীয় দাও। তখন তিনি দুধের একটি বড় পাত্র নিয়ে এলেন। আমরা তা পান করলাম। অতঃপর তিনি ছোট্ট একটি পানপাত্র নিয়ে এলেন। আমরা তাও পান করলাম। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা ইচ্ছা করলে (এখানে) রাত্রি যাপন করতে পার; আর ইচ্ছা করলে মসজিদে চলে যেতে পার। রাবী বলেন: অতঃপর আমি আমার পেটের উপর ভর করে শেষ রাত্রে (মসজিদে) শুয়েছিলাম। ইত্যবসরে এক ব্যক্তি এসে পা দ্বারা আমাকে নাড়িয়ে বললেন : নিশ্চয়ই এ শয়ন আল্লাহ্ তা'আলা অপসন্দ করেন। রাবী বলেনঃ আমি তাকিয়ে দেখি, তিনি স্বয়ং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)।
(আবু দাউদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাদীসের উল্লিখিত পাঠ তারই। নাসাঈ হাদীসটি কায়স ইবন তাগফা থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমার পিতা বর্ণনা করেছেন। অতঃপর হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। ইবন মাজাহ (র) কায়স ইবন তাহফার সূত্রে তাঁর পিতা থেকে সংক্ষিপ্তাকারে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইবন হিববান ও নাসাঈর মত কায়স ইবন তাগফা থেকে তাঁর হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইবন মাজাহ ও প্রতিলিপির বিভিন্নতা অনুসারে ইবন তাহফা বা তাখফার সূত্রে আবু যর (রা) থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। (উক্ত রিওয়ায়াতে) আবু যার (র) বলেন। রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন। আর আমি আমার পেটের উপর ভর করে শুয়ে ছিলাম। তখন তিনি স্বীয় পা দ্বারা আমাকে ধাক্কা দিয়ে বললেন, হে জুনায়দার! নিশ্চয় এটা জাহান্নামীদের শয়ন। আবু উমর নামাবী বলেন, এ হাদীসের সনদে অনেক মতভেদ রয়েছে এবং বহু মতানৈক্য হয়েছে। কেউ তাহফা ইবন কায়স বলেছেন, কেউ তাখফা বলেছেন, কেউ যাগফা বলেছেন, কেউ তাক্ফা বলেছেন, কেউ কায়স ইবন তাখফা বলেছেন, কেউ আব্দুল্লাহ ইবন তাখফার সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন, আবার কেউ তাহফার সূত্রে আবূ যার (রা)-এর মধ্যস্থতায় নবী (ﷺ) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাদের সবার হাদীসই এক।
রাবী বলেনঃ "আমি সুফফায় ঘুমিয়ে ছিলাম। তখন রাসুলুল্লাহ স্বীয় পা দ্বারা আমাকে ধাক্কা দিয়ে বললেন: এ নিদ্রা আল্লাহ্ অপসন্দ করেন। হাদীস বর্ণনাকারী সুফফার অধিবাসী একজন সাহাবী ছিলেন। কোন কোন আলিম বলেন। রাবীর পিতা আব্দুল্লাহ্ সুহবাত প্রাপ্ত ছিলেন। তিনিই এ কাহিনীর মূল ব্যক্তি। বুখারী (র) এতে অনেক মতভেদ উল্লেখ করে বলেন, তাগফা নামটি ভুল। আল্লাহই অধিকতর জ্ঞাত।)
*এক প্রকার ভূমিজাত আহার্য বস্তু।
**খেজুর, পানীয় ও ঘি দ্বারা প্রস্তুত এক প্রকার খাবার।
(আবু দাউদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাদীসের উল্লিখিত পাঠ তারই। নাসাঈ হাদীসটি কায়স ইবন তাগফা থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমার পিতা বর্ণনা করেছেন। অতঃপর হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। ইবন মাজাহ (র) কায়স ইবন তাহফার সূত্রে তাঁর পিতা থেকে সংক্ষিপ্তাকারে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইবন হিববান ও নাসাঈর মত কায়স ইবন তাগফা থেকে তাঁর হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইবন মাজাহ ও প্রতিলিপির বিভিন্নতা অনুসারে ইবন তাহফা বা তাখফার সূত্রে আবু যর (রা) থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। (উক্ত রিওয়ায়াতে) আবু যার (র) বলেন। রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন। আর আমি আমার পেটের উপর ভর করে শুয়ে ছিলাম। তখন তিনি স্বীয় পা দ্বারা আমাকে ধাক্কা দিয়ে বললেন, হে জুনায়দার! নিশ্চয় এটা জাহান্নামীদের শয়ন। আবু উমর নামাবী বলেন, এ হাদীসের সনদে অনেক মতভেদ রয়েছে এবং বহু মতানৈক্য হয়েছে। কেউ তাহফা ইবন কায়স বলেছেন, কেউ তাখফা বলেছেন, কেউ যাগফা বলেছেন, কেউ তাক্ফা বলেছেন, কেউ কায়স ইবন তাখফা বলেছেন, কেউ আব্দুল্লাহ ইবন তাখফার সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন, আবার কেউ তাহফার সূত্রে আবূ যার (রা)-এর মধ্যস্থতায় নবী (ﷺ) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাদের সবার হাদীসই এক।
রাবী বলেনঃ "আমি সুফফায় ঘুমিয়ে ছিলাম। তখন রাসুলুল্লাহ স্বীয় পা দ্বারা আমাকে ধাক্কা দিয়ে বললেন: এ নিদ্রা আল্লাহ্ অপসন্দ করেন। হাদীস বর্ণনাকারী সুফফার অধিবাসী একজন সাহাবী ছিলেন। কোন কোন আলিম বলেন। রাবীর পিতা আব্দুল্লাহ্ সুহবাত প্রাপ্ত ছিলেন। তিনিই এ কাহিনীর মূল ব্যক্তি। বুখারী (র) এতে অনেক মতভেদ উল্লেখ করে বলেন, তাগফা নামটি ভুল। আল্লাহই অধিকতর জ্ঞাত।)
*এক প্রকার ভূমিজাত আহার্য বস্তু।
**খেজুর, পানীয় ও ঘি দ্বারা প্রস্তুত এক প্রকার খাবার।
كتاب الأدب
التَّرْهِيب أَن ينَام الْإِنْسَان على وَجهه من غير عذر
4686- وَعَن يعِيش بن طخفة بن قيس الْغِفَارِيّ قَالَ كَانَ أبي من أَصْحَاب الصّفة فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم انْطَلقُوا بِنَا إِلَى بَيت عَائِشَة
فَانْطَلَقْنَا فَقَالَ يَا عَائِشَة أطعمينا فَجَاءَت بجشيشة فأكلنا ثمَّ قَالَ يَا عَائِشَة أطعمينا فَجَاءَت بحيسة مثل القطاة فأكلنا ثمَّ قَالَ يَا عَائِشَة اسقينا
فَجَاءَت بعس من لبن فشربنا فَجَاءَت بقدح صَغِير فشربنا ثمَّ قَالَ إِن شِئْتُم بتم وَإِن شِئْتُم انطلقتم إِلَى الْمَسْجِد
قَالَ فَبينا أَنا مُضْطَجع من السحر على بَطْني إِذْ جَاءَ رجل يحركني بِرجلِهِ فَقَالَ إِن هَذِه ضجعة يبغضها الله عز وَجل
قَالَ فَنَظَرت فَإِذا هُوَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَرَوَاهُ النَّسَائِيّ عَن قيس بن طغفة بالغين الْمُعْجَمَة قَالَ حَدثنِي أبي فَذكره وَابْن مَاجَه عَن قيس بن طهفة بِالْهَاءِ عَن أَبِيه مُخْتَصرا وَرَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه عَن قيس بن طغفة بالغين الْمُعْجَمَة عَن أَبِيه كَالنَّسَائِيِّ وَرَوَاهُ ابْن مَاجَه أَيْضا عَن ابْن طهفة أَو طخفة على اخْتِلَاف النّسخ عَن أبي ذَر قَالَ مر بِي رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَأَنا مُضْطَجع على بَطْني فركضني بِرجلِهِ وَقَالَ يَا جنيدب إِنَّمَا هَذِه ضجعة أهل النَّار
قَالَ أَبُو عمر النمري اخْتلف فِيهِ اخْتِلَافا كثيرا واضطرب فِيهِ اضطرابا شَدِيدا فَقيل طهفة بن قيس بِالْهَاءِ وَقيل طخفة بِالْخَاءِ وَقيل ضغفة بالغين وَقيل طقفة بِالْقَافِ وَالْفَاء وَقيل قيس بن طخفة وَقيل عبد الله بن طخفة عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَقيل طهفة عَن أبي ذَر رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وحديثهم كلهم وَاحِد
قَالَ كنت نَائِما بِالصّفةِ فركضني رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بِرجلِهِ وَقَالَ هَذِه نومَة يبغضها الله
وَكَانَ من أهل الصّفة وَمن أهل الْعلم من يَقُول إِن الصُّحْبَة لِأَبِيهِ عبد الله وَإنَّهُ صَاحب الْقِصَّة انْتهى وَذكر البُخَارِيّ اخْتِلَافا كثيرا وَقَالَ طغفة بالغين خطأ وَالله أعلم
الحيسة على معنى الْقطعَة من الحيس وَهُوَ الطَّعَام الْمُتَّخذ من التَّمْر والأقط وَالسمن وَقد يَجْعَل عوض الأقط دَقِيق
والعس الْقدح الْكَبِير الضخم حرز ثَمَانِيَة أَرْطَال أَو تِسْعَة
فَانْطَلَقْنَا فَقَالَ يَا عَائِشَة أطعمينا فَجَاءَت بجشيشة فأكلنا ثمَّ قَالَ يَا عَائِشَة أطعمينا فَجَاءَت بحيسة مثل القطاة فأكلنا ثمَّ قَالَ يَا عَائِشَة اسقينا
فَجَاءَت بعس من لبن فشربنا فَجَاءَت بقدح صَغِير فشربنا ثمَّ قَالَ إِن شِئْتُم بتم وَإِن شِئْتُم انطلقتم إِلَى الْمَسْجِد
قَالَ فَبينا أَنا مُضْطَجع من السحر على بَطْني إِذْ جَاءَ رجل يحركني بِرجلِهِ فَقَالَ إِن هَذِه ضجعة يبغضها الله عز وَجل
قَالَ فَنَظَرت فَإِذا هُوَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَرَوَاهُ النَّسَائِيّ عَن قيس بن طغفة بالغين الْمُعْجَمَة قَالَ حَدثنِي أبي فَذكره وَابْن مَاجَه عَن قيس بن طهفة بِالْهَاءِ عَن أَبِيه مُخْتَصرا وَرَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه عَن قيس بن طغفة بالغين الْمُعْجَمَة عَن أَبِيه كَالنَّسَائِيِّ وَرَوَاهُ ابْن مَاجَه أَيْضا عَن ابْن طهفة أَو طخفة على اخْتِلَاف النّسخ عَن أبي ذَر قَالَ مر بِي رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَأَنا مُضْطَجع على بَطْني فركضني بِرجلِهِ وَقَالَ يَا جنيدب إِنَّمَا هَذِه ضجعة أهل النَّار
قَالَ أَبُو عمر النمري اخْتلف فِيهِ اخْتِلَافا كثيرا واضطرب فِيهِ اضطرابا شَدِيدا فَقيل طهفة بن قيس بِالْهَاءِ وَقيل طخفة بِالْخَاءِ وَقيل ضغفة بالغين وَقيل طقفة بِالْقَافِ وَالْفَاء وَقيل قيس بن طخفة وَقيل عبد الله بن طخفة عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَقيل طهفة عَن أبي ذَر رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وحديثهم كلهم وَاحِد
قَالَ كنت نَائِما بِالصّفةِ فركضني رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بِرجلِهِ وَقَالَ هَذِه نومَة يبغضها الله
وَكَانَ من أهل الصّفة وَمن أهل الْعلم من يَقُول إِن الصُّحْبَة لِأَبِيهِ عبد الله وَإنَّهُ صَاحب الْقِصَّة انْتهى وَذكر البُخَارِيّ اخْتِلَافا كثيرا وَقَالَ طغفة بالغين خطأ وَالله أعلم
الحيسة على معنى الْقطعَة من الحيس وَهُوَ الطَّعَام الْمُتَّخذ من التَّمْر والأقط وَالسمن وَقد يَجْعَل عوض الأقط دَقِيق
والعس الْقدح الْكَبِير الضخم حرز ثَمَانِيَة أَرْطَال أَو تِسْعَة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৮৮
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ ছায়া ও রৌদ্রের মাঝে বসার ব্যাপারে সতর্কীকরণ এবং কিল্লামুখী হয়ে বসার জন্য উৎসাহ প্রদান
৪৬৮৮. নবী (ﷺ)-এর এক সাহাবীর সূত্রে আবু ইয়ায (র) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী (ﷺ) মানুষকে রোদ ও
ছায়ার মাঝে বসতে নিষেধ করেছেন। তিনি আরও বলেন। এটা হচ্ছে শয়তানের বসার জায়গায়।
(আহমাদ (র) হাদীসটি উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন। বাযযারও হাদীসটি উত্তম সনদে জাবির (রা) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। ইবন মাজাহ (র) কেবল নিষেধাজ্ঞার অংশটুকু বুরায়দা (রা)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।)
ছায়ার মাঝে বসতে নিষেধ করেছেন। তিনি আরও বলেন। এটা হচ্ছে শয়তানের বসার জায়গায়।
(আহমাদ (র) হাদীসটি উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন। বাযযারও হাদীসটি উত্তম সনদে জাবির (রা) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। ইবন মাজাহ (র) কেবল নিষেধাজ্ঞার অংশটুকু বুরায়দা (রা)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب من الْجُلُوس بَين الظل وَالشَّمْس وَالتَّرْغِيب فِي الْجُلُوس مُسْتَقْبل الْقبْلَة
4688- عَن أبي عِيَاض عَن رجل من أَصْحَاب النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نهى أَن يجلس الرجل بَين الضح والظل وَقَالَ مجْلِس الشَّيْطَان
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد جيد وَالْبَزَّار بِنَحْوِهِ من حَدِيث جَابر وَابْن مَاجَه بِالنَّهْي وَحده من حَدِيث بُرَيْدَة
الضح بِفَتْح الضَّاد الْمُعْجَمَة وَبِالْحَاءِ الْمُهْملَة هُوَ ضوء الشَّمْس إِذا استمكن من الأَرْض
وَقَالَ ابْن الْأَعرَابِي هُوَ لون الشَّمْس
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد جيد وَالْبَزَّار بِنَحْوِهِ من حَدِيث جَابر وَابْن مَاجَه بِالنَّهْي وَحده من حَدِيث بُرَيْدَة
الضح بِفَتْح الضَّاد الْمُعْجَمَة وَبِالْحَاءِ الْمُهْملَة هُوَ ضوء الشَّمْس إِذا استمكن من الأَرْض
وَقَالَ ابْن الْأَعرَابِي هُوَ لون الشَّمْس
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৮৯
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ ছায়া ও রৌদ্রের মাঝে বসার ব্যাপারে সতর্কীকরণ এবং কিল্লামুখী হয়ে বসার জন্য উৎসাহ প্রদান
৪৬৮৯. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেনঃ যখন তোমাদের কেউ ছায়ায় থাকে- অপর এক রিওয়ায়াতে আছে, রোদে থাকে তারপর তার উপর থেকে ছায়া সরে যায়। ফলে তার কিছু অংশ রোদে আর কিছু অংশ ছায়ায় থাকে তবে সে যেন সেখান থেকে উঠে যায়।
(আবূ দাউদ (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে এ সনদের তাবিজ অজ্ঞাত। হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করে বলেনঃ এ এর সনদ সহীহ। হাকিম বর্ণিত হাদীসের পাঠ এরকমঃ "রাসুলুল্লাহ মানুষকে ছায়া ও রোদের মাঝে বসতে বারণ করেছেন।")
(আবূ দাউদ (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে এ সনদের তাবিজ অজ্ঞাত। হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করে বলেনঃ এ এর সনদ সহীহ। হাকিম বর্ণিত হাদীসের পাঠ এরকমঃ "রাসুলুল্লাহ মানুষকে ছায়া ও রোদের মাঝে বসতে বারণ করেছেন।")
كتاب الأدب
التَّرْهِيب من الْجُلُوس بَين الظل وَالشَّمْس وَالتَّرْغِيب فِي الْجُلُوس مُسْتَقْبل الْقبْلَة
4689- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِذا كَانَ أحدكُم فِي الْفَيْء وَفِي رِوَايَة فِي الشَّمْس فقلص عَنهُ الظل فَصَارَ بعضه فِي الشَّمْس وَبَعضه فِي الظل فَليقمْ
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وتابعيه مَجْهُول وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد وَلَفظه نهى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَن يجلس الرجل بَين الظل وَالشَّمْس
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وتابعيه مَجْهُول وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد وَلَفظه نهى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَن يجلس الرجل بَين الظل وَالشَّمْس
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৯০
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ ছায়া ও রৌদ্রের মাঝে বসার ব্যাপারে সতর্কীকরণ এবং কিল্লামুখী হয়ে বসার জন্য উৎসাহ প্রদান
৪৬৯০. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকেই বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যে কোন বিষয়ের একটি প্রধান আছে। নিশ্চয় মজলিসের সেরা হচ্ছে কিবলামুখী মজলিস।
(তাবারানী হাদীসটি হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন।)
(তাবারানী হাদীসটি হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب من الْجُلُوس بَين الظل وَالشَّمْس وَالتَّرْغِيب فِي الْجُلُوس مُسْتَقْبل الْقبْلَة
4690- وَعَن أبي هُرَيْرَة أَيْضا رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن لكل شَيْء سيدا وَإِن سيد الْمجَالِس قبالة الْقبْلَة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد حسن
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد حسن
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৯১
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ ছায়া ও রৌদ্রের মাঝে বসার ব্যাপারে সতর্কীকরণ এবং কিল্লামুখী হয়ে বসার জন্য উৎসাহ প্রদান
৪৬৯১. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, সর্বোৎকৃষ্ট মজলিস হচ্ছে কিবলামুখী মজলিস।
(ত্ববারানী হাদীসটি আল-আওসাতে বর্ণনা করেছেন।)
(ত্ববারানী হাদীসটি আল-আওসাতে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب من الْجُلُوس بَين الظل وَالشَّمْس وَالتَّرْغِيب فِي الْجُلُوس مُسْتَقْبل الْقبْلَة
4691- وَرُوِيَ عَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أكْرم الْمجَالِس مَا اسْتقْبل بِهِ الْقبْلَة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৯২
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ ছায়া ও রৌদ্রের মাঝে বসার ব্যাপারে সতর্কীকরণ এবং কিল্লামুখী হয়ে বসার জন্য উৎসাহ প্রদান
৪৬৯২. হযরত ইব্ন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, নিশ্চয় যে কোন বস্তুর মর্যাদা রয়েছে, তবে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ মজলিস হচ্ছে কিবলামুখী মজলিস।
(তাবারানী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। উল্লিখিত হাদীসগুলো ব্যতীত এ অধ্যায়ে উল্লেখযোগ্য আরও বহু হাদীস রয়েছে, যেগুলো আপত্তির উর্ধ্বে নয়।
(তাবারানী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। উল্লিখিত হাদীসগুলো ব্যতীত এ অধ্যায়ে উল্লেখযোগ্য আরও বহু হাদীস রয়েছে, যেগুলো আপত্তির উর্ধ্বে নয়।
كتاب الأدب
التَّرْهِيب من الْجُلُوس بَين الظل وَالشَّمْس وَالتَّرْغِيب فِي الْجُلُوس مُسْتَقْبل الْقبْلَة
4692- وَرُوِيَ عَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن لكل شَيْء شرفا وَإِن أشرف الْمجَالِس مَا اسْتقْبل بِهِ الْقبْلَة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَفِيه أَحَادِيث غير هَذِه لَا تسلم من مقَال
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَفِيه أَحَادِيث غير هَذِه لَا تسلم من مقَال
তাহকীক: