আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
১৬. অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৬৩ টি
হাদীস নং: ২৯৭৪
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ স্বামীর প্রতি তার স্ত্রীর হক আদায় ও তার প্রতি সদাচরণ এবং স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর হক আদায় ও আনুগত্য করার অনুপ্রেরণা এবং স্বামীর হক বিনষ্ট করা ও বিরোধিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৯৭৪. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে তারাই উত্তম, যারা তাদের পরিবারের নিকট উত্তম। আর আমি তোমাদের মধ্যে আমার পরিবারের নিকট উত্তম।
(ইবন হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত।)
(ইবন হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত।)
كتاب النكاح
ترغيب الزَّوْج فِي الْوَفَاء بِحَق زَوجته وَحسن عشرتها وَالْمَرْأَة بِحَق زَوجهَا وطاعته وترهيبها من إِسْقَاطه ومخالفته
2974- وَعَن عَائِشَة أَيْضا رَضِي الله عَنْهَا قَالَت قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم خَيركُمْ خَيركُمْ لاهله وَأَنا خَيركُمْ لاهلي
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯৭৫
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ স্বামীর প্রতি তার স্ত্রীর হক আদায় ও তার প্রতি সদাচরণ এবং স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর হক আদায় ও আনুগত্য করার অনুপ্রেরণা এবং স্বামীর হক বিনষ্ট করা ও বিরোধিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৯৭৫. হযরত ইবনে আব্বাস (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: তোমাদের মধ্যে তারাই উত্তম, যারা তাদের পরিবারের নিকট উত্তম। আর আমি তোমাদের মধ্যে আমার পরিবারের নিকট উত্তন।
(ইবনে মাজাহ্ ও হাকিম বর্ণিত। তবে হাকিম (র) তাঁর বর্ণনায় বলেনও তোমাদের মধ্যে তারাই উত্তম, যারা তাদের স্ত্রীদের কাছে উত্তম। ইমাম হাকিম (র) বলেছেন: হাদীসটি বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত।)
(ইবনে মাজাহ্ ও হাকিম বর্ণিত। তবে হাকিম (র) তাঁর বর্ণনায় বলেনও তোমাদের মধ্যে তারাই উত্তম, যারা তাদের স্ত্রীদের কাছে উত্তম। ইমাম হাকিম (র) বলেছেন: হাদীসটি বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত।)
كتاب النكاح
ترغيب الزَّوْج فِي الْوَفَاء بِحَق زَوجته وَحسن عشرتها وَالْمَرْأَة بِحَق زَوجهَا وطاعته وترهيبها من إِسْقَاطه ومخالفته
2975- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ خَيركُمْ خَيركُمْ لاهله وَأَنا خَيركُمْ لاهلي
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالْحَاكِم إِلَّا أَنه قَالَ خَيركُمْ خَيركُمْ للنِّسَاء
وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالْحَاكِم إِلَّا أَنه قَالَ خَيركُمْ خَيركُمْ للنِّسَاء
وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯৭৬
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ স্বামীর প্রতি তার স্ত্রীর হক আদায় ও তার প্রতি সদাচরণ এবং স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর হক আদায় ও আনুগত্য করার অনুপ্রেরণা এবং স্বামীর হক বিনষ্ট করা ও বিরোধিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৯৭৬. হযরত সামুরা ইবনে জুনদুব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: নারীদেরকে পাঁজরের বাঁকা হাড় দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে। তুমি তাদের সোজা করতে চাইলে ভেঙে (তালাক হয়ে) যাবে। কাজেই, তাদের ঠিক রেখে তোমরা জীবন-যাপন কর।
(ইবনে হিব্বানের সহীহ্ গ্রন্থে বর্ণিত।)
(ইবনে হিব্বানের সহীহ্ গ্রন্থে বর্ণিত।)
كتاب النكاح
ترغيب الزَّوْج فِي الْوَفَاء بِحَق زَوجته وَحسن عشرتها وَالْمَرْأَة بِحَق زَوجهَا وطاعته وترهيبها من إِسْقَاطه ومخالفته
2976- وَعَن سَمُرَة بن جُنْدُب رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن الْمَرْأَة خلقت من ضلع فَإِن أقمتها كسرتها فدارها تعش بهَا
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯৭৭
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ স্বামীর প্রতি তার স্ত্রীর হক আদায় ও তার প্রতি সদাচরণ এবং স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর হক আদায় ও আনুগত্য করার অনুপ্রেরণা এবং স্বামীর হক বিনষ্ট করা ও বিরোধিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৯৭৭. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, নারীদের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখার জন্য আমি তোমাদের উপদেশ দিচ্ছি। কেননা, তাদেরকে পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং সবচেয়ে বাঁকা হচ্ছে পাঁজরের উপরের অংশ। যদি তুমি এটাকে সোজা করতে চাও, তবে ভেঙে যাবে; আর তাকে ছেড়ে দিলে সেটা সব সময় বাঁকাই থাকবে। সুতরাং আমি তোমাদের এদের কল্যাণের দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখার জন্য উপদেশ দিচ্ছি।
(বুখারী, মুসলিম ও অপরাপর গ্রন্থে বর্ণিত। মুসলিম শরীফে বর্ণিত আছে যে, নারীদেরকে পাঁজরের বাঁকা হাড় হতে সৃষ্টি করা হয়েছে। সে তোমাদের জন্য কখনো সোজা হবে না। যদি তুমি তার দ্বারা উপকৃত হতে চাও, তাহলে তার এ বাঁকা থাকা অবস্থাতেই লাভ করতে হবে। যদি সোজা করতে যাও, তবে ভেঙে ফেলবে, আর এ ভেঙে ফেলা হচ্ছে তালাক অনুষ্ঠিত হওয়া।
الضلع পাঁজড়ের হাড়।
عوج : العوج শব্দের অর্থ: কারো কারো মতে, প্রচীরের অথবা লাঠির ন্যায়।
কারো কারো মতে عواج এর অর্থ হল, দণ্ডায়মান কোন বস্তু না বুঝায়ে দীন, চরিত্র এবং যমীন বুঝান।)
(বুখারী, মুসলিম ও অপরাপর গ্রন্থে বর্ণিত। মুসলিম শরীফে বর্ণিত আছে যে, নারীদেরকে পাঁজরের বাঁকা হাড় হতে সৃষ্টি করা হয়েছে। সে তোমাদের জন্য কখনো সোজা হবে না। যদি তুমি তার দ্বারা উপকৃত হতে চাও, তাহলে তার এ বাঁকা থাকা অবস্থাতেই লাভ করতে হবে। যদি সোজা করতে যাও, তবে ভেঙে ফেলবে, আর এ ভেঙে ফেলা হচ্ছে তালাক অনুষ্ঠিত হওয়া।
الضلع পাঁজড়ের হাড়।
عوج : العوج শব্দের অর্থ: কারো কারো মতে, প্রচীরের অথবা লাঠির ন্যায়।
কারো কারো মতে عواج এর অর্থ হল, দণ্ডায়মান কোন বস্তু না বুঝায়ে দীন, চরিত্র এবং যমীন বুঝান।)
كتاب النكاح
ترغيب الزَّوْج فِي الْوَفَاء بِحَق زَوجته وَحسن عشرتها وَالْمَرْأَة بِحَق زَوجهَا وطاعته وترهيبها من إِسْقَاطه ومخالفته
2977- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم اسْتَوْصُوا بِالنسَاء
فَإِن الْمَرْأَة خلقت من ضلع وَإِن أَعْوَج مَا فِي الضلع أَعْلَاهُ فَإِن ذهبت تُقِيمهُ كَسرته وَإِن تركته لم يزل أَعْوَج فَاسْتَوْصُوا بِالنسَاء
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَغَيره
وَفِي رِوَايَة لمُسلم إِن الْمَرْأَة خلقت من ضلع لن تستقيم لَك على طَريقَة فَإِن استمتعت بهَا استمتعت بهَا وفيهَا عوج وَإِن ذهبت تقيمها كسرتها وَكسرهَا طَلاقهَا
الضلع بِكَسْر الضَّاد وَفتح اللَّام وبسكونها أَيْضا وَالْفَتْح أفْصح
والعوج بِكَسْر الْعين وَفتح الْوَاو وَقيل إِذا كَانَ فِيمَا هُوَ منتصب كالحائط والعصا قيل فِيهِ عوج بِفَتْح الْعين وَالْوَاو وَفِي غير المنتصب كَالدّين والخلق وَالْأَرْض وَنَحْو ذَلِك يُقَال فِيهِ عوج بِكَسْر الْعين وَفتح الْوَاو قَالَه ابْن السّكيت
فَإِن الْمَرْأَة خلقت من ضلع وَإِن أَعْوَج مَا فِي الضلع أَعْلَاهُ فَإِن ذهبت تُقِيمهُ كَسرته وَإِن تركته لم يزل أَعْوَج فَاسْتَوْصُوا بِالنسَاء
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَغَيره
وَفِي رِوَايَة لمُسلم إِن الْمَرْأَة خلقت من ضلع لن تستقيم لَك على طَريقَة فَإِن استمتعت بهَا استمتعت بهَا وفيهَا عوج وَإِن ذهبت تقيمها كسرتها وَكسرهَا طَلاقهَا
الضلع بِكَسْر الضَّاد وَفتح اللَّام وبسكونها أَيْضا وَالْفَتْح أفْصح
والعوج بِكَسْر الْعين وَفتح الْوَاو وَقيل إِذا كَانَ فِيمَا هُوَ منتصب كالحائط والعصا قيل فِيهِ عوج بِفَتْح الْعين وَالْوَاو وَفِي غير المنتصب كَالدّين والخلق وَالْأَرْض وَنَحْو ذَلِك يُقَال فِيهِ عوج بِكَسْر الْعين وَفتح الْوَاو قَالَه ابْن السّكيت
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯৭৮
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ স্বামীর প্রতি তার স্ত্রীর হক আদায় ও তার প্রতি সদাচরণ এবং স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর হক আদায় ও আনুগত্য করার অনুপ্রেরণা এবং স্বামীর হক বিনষ্ট করা ও বিরোধিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৯৭৮. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: কোন ঈমানদার ব্যক্তি যেন কোন ঈমানদার মহিলার প্রতি বৈরি ভাব না দেখায়। কেননা, সে যদি তার একটি কাজ অপসন্দ করে, তার অপর কাজে সে আনন্দিত হবে।
(মুসলিম বর্ণিত।
يفرك অসন্তুষ্টি প্রকাশ করা।)
(মুসলিম বর্ণিত।
يفرك অসন্তুষ্টি প্রকাশ করা।)
كتاب النكاح
ترغيب الزَّوْج فِي الْوَفَاء بِحَق زَوجته وَحسن عشرتها وَالْمَرْأَة بِحَق زَوجهَا وطاعته وترهيبها من إِسْقَاطه ومخالفته
2978- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا يفرك مُؤمن مُؤمنَة إِن كره مِنْهَا خلقا رَضِي مِنْهَا آخر
وَقَالَ غَيره
رَوَاهُ مُسلم
يفرك بِسُكُون الْفَاء وَفتح الْيَاء وَالرَّاء أَيْضا وَضمّهَا شَاذ أَي يبغض
وَقَالَ غَيره
رَوَاهُ مُسلم
يفرك بِسُكُون الْفَاء وَفتح الْيَاء وَالرَّاء أَيْضا وَضمّهَا شَاذ أَي يبغض
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯৭৯
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ স্বামীর প্রতি তার স্ত্রীর হক আদায় ও তার প্রতি সদাচরণ এবং স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর হক আদায় ও আনুগত্য করার অনুপ্রেরণা এবং স্বামীর হক বিনষ্ট করা ও বিরোধিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৯৭৯. হযরত মু'আবিয়া ইবনে হায়দা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: একদা আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের উপর স্ত্রীদের কি অধিকার রয়েছে। তিনি বলেন: তোমরা যা আহার করবে, তাদের তা আহার করাবে; তোমরা যা পরিধান করবে, তাদেরকেও তা পরিধান করাবে; তাদের মুখমণ্ডলে প্রহার করবে না, তাদের গালি দেবে না এবং তাদের বর্জন করলেও ঘর থেকে সরিয়ে দেবে না।
(আবু দাউদ (র) বর্ণিত। ইবনে হিব্বান তাঁর সহীহ গ্রন্থে বলেছেন: এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে জিজ্ঞেস করল: স্বামীর উপর স্ত্রীর কি অধিকার রয়েছে। এরপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেন।
لا تقبه - তুমি তাকে কটু কথা শোনাবে না এবং গালি দেবে না। 'তুমি ধ্বংস হও' এই রূপ বলে বদদু'আ করবে না ইত্যাদি।)
(আবু দাউদ (র) বর্ণিত। ইবনে হিব্বান তাঁর সহীহ গ্রন্থে বলেছেন: এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে জিজ্ঞেস করল: স্বামীর উপর স্ত্রীর কি অধিকার রয়েছে। এরপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেন।
لا تقبه - তুমি তাকে কটু কথা শোনাবে না এবং গালি দেবে না। 'তুমি ধ্বংস হও' এই রূপ বলে বদদু'আ করবে না ইত্যাদি।)
كتاب النكاح
ترغيب الزَّوْج فِي الْوَفَاء بِحَق زَوجته وَحسن عشرتها وَالْمَرْأَة بِحَق زَوجهَا وطاعته وترهيبها من إِسْقَاطه ومخالفته
2979- وَعَن مُعَاوِيَة بن حيدة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قلت يَا رَسُول الله مَا حق زَوْجَة
أَحَدنَا عَلَيْهِ قَالَ أَن تطعمها إِذا طعمت وتكسوها إِذا اكتسيت وَلَا تضرب الْوَجْه وَلَا تقبح وَلَا تهجر إِلَّا فِي الْبَيْت
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه إِلَّا أَنه قَالَ إِن رجلا سَأَلَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا حق الْمَرْأَة على الزَّوْج فَذكره
لَا تقبح بتَشْديد الْبَاء أَي لَا تسمعها الْمَكْرُوه وَلَا تشتمها وَلَا تقل قبحك الله وَنَحْو ذَلِك
أَحَدنَا عَلَيْهِ قَالَ أَن تطعمها إِذا طعمت وتكسوها إِذا اكتسيت وَلَا تضرب الْوَجْه وَلَا تقبح وَلَا تهجر إِلَّا فِي الْبَيْت
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه إِلَّا أَنه قَالَ إِن رجلا سَأَلَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا حق الْمَرْأَة على الزَّوْج فَذكره
لَا تقبح بتَشْديد الْبَاء أَي لَا تسمعها الْمَكْرُوه وَلَا تشتمها وَلَا تقل قبحك الله وَنَحْو ذَلِك
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯৮০
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ স্বামীর প্রতি তার স্ত্রীর হক আদায় ও তার প্রতি সদাচরণ এবং স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর হক আদায় ও আনুগত্য করার অনুপ্রেরণা এবং স্বামীর হক বিনষ্ট করা ও বিরোধিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৯৮০. হযরত আমর ইবনে আহওয়াস জুশামী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বিদায় হজ্জের দিন আল্লাহর প্রশংসা-স্তুতি এবং ওয়ায নসীহত করার এক পর্যায়ে বলতে শোনেন যে, সাবধান! তোমরা নারীদের সদুপদেশ দেবে, কেননা, তারা তোমাদের অধীনস্থ। উপদেশ দেওয়া ব্যতীত তোমরা অন্য অধিকার রাখ না, তবে তারা প্রকাশ্যে ব্যভিচারে লিপ্ত হলে তার ব্যবস্থা স্বতন্ত্র। কাজেই, তারা যদি ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ে পড়ে, তবে তাদের বিছানা পৃথক করে দেবে এবং তাদের প্রহার করবে, কিন্তু যখম করবে না। তোমাদের উপর তোমাদের স্ত্রীদের অধিকার রয়েছে। তাদের প্রতি তোমাদের অধিকার এই- তোমরা যাদের অপসন্দ কর, এমন ব্যক্তিদের যেন তারা তোমাদের বিছানায় না বসায়; যাদের তোমরা বাড়ীতে আসা অপসন্দ কর, তারা যেন তাদের আসতে অনুমতি না দেয়। সাবধান! তোমাদের প্রতি তাদের অধিকার হচ্ছে: তোমরা তাদের পানাহার ও বস্ত্র সংস্থানের ব্যাপারে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
(ইবনে মাজাহ ও তিরমিযী (র) বর্ণিত। ইমাম তিরমিযী (র) বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ্।
عوان বন্দী, অধীনস্থ।)
(ইবনে মাজাহ ও তিরমিযী (র) বর্ণিত। ইমাম তিরমিযী (র) বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ্।
عوان বন্দী, অধীনস্থ।)
كتاب النكاح
ترغيب الزَّوْج فِي الْوَفَاء بِحَق زَوجته وَحسن عشرتها وَالْمَرْأَة بِحَق زَوجهَا وطاعته وترهيبها من إِسْقَاطه ومخالفته
2980 - وَعَن عَمْرو بن الْأَحْوَص الحشمي رَضِي الله عَنهُ أَنه سمع رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي حجَّة الْوَدَاع يَقُول بعد أَن حمد الله وَأثْنى عَلَيْهِ وَذكر وَوعظ ثمَّ قَالَ أَلا وَاسْتَوْصُوا بِالنسَاء خيرا فَإِنَّمَا هن عوان عنْدكُمْ لَيْسَ تَمْلِكُونَ مِنْهُنَّ شَيْئا غير ذَلِك إِلَّا أَن يَأْتِين بِفَاحِشَة مبينَة فَإِن فعلن فاهجروهن فِي الْمضَاجِع واضربوهن ضربا غير مبرح فَإِن أطعنكم فَلَا تَبْغُوا عَلَيْهِنَّ سَبِيلا أَلا إِن لكم على نِسَائِكُم حَقًا ولنسائكم عَلَيْكُم حَقًا فحقكم عَلَيْهِنَّ أَن لَا يوطئن فرشكم من تَكْرَهُونَ وَلَا يَأْذَن فِي بُيُوتكُمْ لمن تَكْرَهُونَ أَلا وحقهن عَلَيْكُم أَن تحسنوا إلَيْهِنَّ فِي كسوتهن وطعامهن
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح
عوان بِفَتْح الْعين الْمُهْملَة وَتَخْفِيف الْوَاو أَي أسيرات
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح
عوان بِفَتْح الْعين الْمُهْملَة وَتَخْفِيف الْوَاو أَي أسيرات
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯৮১
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ স্বামীর প্রতি তার স্ত্রীর হক আদায় ও তার প্রতি সদাচরণ এবং স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর হক আদায় ও আনুগত্য করার অনুপ্রেরণা এবং স্বামীর হক বিনষ্ট করা ও বিরোধিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৯৮১. হযরত উন্মু সালামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: যে নারী তার স্বামীকে
সন্তুষ্ট রেখে মারা যাবে, সে জান্নাতী।
(ইবনে মাজাহ ও তিরমিযী বর্ণিত। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন: হাদীসটি হাসান এবং হাকিমও তারা সবাই মুসাওয়ার হুমায়রীর থেকে, তিনি তাঁর মায়ের সূত্রে বর্ণনা করেন।
হাকিম (র) বলেন, হাদীসটি উত্তম সনদে বর্ণিত।)
সন্তুষ্ট রেখে মারা যাবে, সে জান্নাতী।
(ইবনে মাজাহ ও তিরমিযী বর্ণিত। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন: হাদীসটি হাসান এবং হাকিমও তারা সবাই মুসাওয়ার হুমায়রীর থেকে, তিনি তাঁর মায়ের সূত্রে বর্ণনা করেন।
হাকিম (র) বলেন, হাদীসটি উত্তম সনদে বর্ণিত।)
كتاب النكاح
ترغيب الزَّوْج فِي الْوَفَاء بِحَق زَوجته وَحسن عشرتها وَالْمَرْأَة بِحَق زَوجهَا وطاعته وترهيبها من إِسْقَاطه ومخالفته
2981- وَعَن أم سَلمَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَيّمَا امْرَأَة مَاتَت وَزوجهَا عَنْهَا رَاض دخلت الْجنَّة
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالتِّرْمِذِيّ وَحسنه وَالْحَاكِم كلهم عَن مساور الْحِمْيَرِي عَن أمه عَنْهَا وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح الْإِسْنَاد
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالتِّرْمِذِيّ وَحسنه وَالْحَاكِم كلهم عَن مساور الْحِمْيَرِي عَن أمه عَنْهَا وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح الْإِسْنَاد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯৮২
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ স্বামীর প্রতি তার স্ত্রীর হক আদায় ও তার প্রতি সদাচরণ এবং স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর হক আদায় ও আনুগত্য করার অনুপ্রেরণা এবং স্বামীর হক বিনষ্ট করা ও বিরোধিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৯৮২. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যে মহিলা পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে, তার গুপ্তাঙ্গ হিফাযত (সতীত্ব রক্ষা) করে এবং তার স্বামীর আনুগত্য করে, সে জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করবে।
(ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত।)
(ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত।)
كتاب النكاح
ترغيب الزَّوْج فِي الْوَفَاء بِحَق زَوجته وَحسن عشرتها وَالْمَرْأَة بِحَق زَوجهَا وطاعته وترهيبها من إِسْقَاطه ومخالفته
2982- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا صلت الْمَرْأَة خمسها وحصنت فرجهَا وأطاعت بَعْلهَا دخلت من أَي أَبْوَاب الْجنَّة شَاءَت
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯৮৩
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ স্বামীর প্রতি তার স্ত্রীর হক আদায় ও তার প্রতি সদাচরণ এবং স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর হক আদায় ও আনুগত্য করার অনুপ্রেরণা এবং স্বামীর হক বিনষ্ট করা ও বিরোধিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৯৮৩. হযরত আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যে মহিলা পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে, এক মাস (রামাযানের) সিয়াম পালন করে, তার গুপ্তাঙ্গ হিফাযত (সতীত্ব রক্ষা) করে এবং তার স্বামীর আনুগত্য করে, তাকে বলা হবে। জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ কর।
(আহমাদ ও তাবারানী বর্ণিত। ইবনে লাহীয়া ব্যতীত আহমাদ (র) বর্ণিত হাদীসের বর্ণনা সহীহ্ এবং মুতাবা'আত সূত্রে হাদীসটি হাসান।)
(আহমাদ ও তাবারানী বর্ণিত। ইবনে লাহীয়া ব্যতীত আহমাদ (র) বর্ণিত হাদীসের বর্ণনা সহীহ্ এবং মুতাবা'আত সূত্রে হাদীসটি হাসান।)
كتاب النكاح
ترغيب الزَّوْج فِي الْوَفَاء بِحَق زَوجته وَحسن عشرتها وَالْمَرْأَة بِحَق زَوجهَا وطاعته وترهيبها من إِسْقَاطه ومخالفته
2983 - وَعَن عبد الرَّحْمَن بن عَوْف رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا صلت
الْمَرْأَة خمسها وصامت شهرها وحفظت فرجهَا وأطاعت زَوجهَا
قيل لَهَا ادخلي الْجنَّة من أَي أَبْوَاب الْجنَّة شِئْت
رَوَاهُ أَحْمد وَالطَّبَرَانِيّ وَرَوَاهُ أَحْمد وَرُوَاته رُوَاة الصَّحِيح خلا ابْن لَهِيعَة وَحَدِيثه حسن فِي المتابعات
الْمَرْأَة خمسها وصامت شهرها وحفظت فرجهَا وأطاعت زَوجهَا
قيل لَهَا ادخلي الْجنَّة من أَي أَبْوَاب الْجنَّة شِئْت
رَوَاهُ أَحْمد وَالطَّبَرَانِيّ وَرَوَاهُ أَحْمد وَرُوَاته رُوَاة الصَّحِيح خلا ابْن لَهِيعَة وَحَدِيثه حسن فِي المتابعات
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯৮৪
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ স্বামীর প্রতি তার স্ত্রীর হক আদায় ও তার প্রতি সদাচরণ এবং স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর হক আদায় ও আনুগত্য করার অনুপ্রেরণা এবং স্বামীর হক বিনষ্ট করা ও বিরোধিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৯৮৪. হযরত হুসাইন ইবনে মিহসান (রা) থেকে বর্ণিত। একবার তাঁর ফুফু নবী (ﷺ)-এর কাছে এলো। তিনি (নবী ﷺ) তাকে বলেনঃ তোমার স্বামী আছে কি? সে বলল: হাঁ। তিনি বলেন: তাকে কোথায় রেখে এসেছ। সে বলল: আমি তাকে কষ্ট দেই না, তবে তাকে নিয়ে আসতে অক্ষম। তিনি বলেন: তুমি তার সাথে কিভাবে থাক। সেই তোমার জান্নাত ও জাহান্নাম।
(আহমাদ ও নাসাঈ উভয়ে উত্তম সনদে বর্ণনা করেন এবং হাকিমও। হাকিম (র) বলেন: হাদীসটির সনদ সূত্র বিশুদ্ধ।)
(আহমাদ ও নাসাঈ উভয়ে উত্তম সনদে বর্ণনা করেন এবং হাকিমও। হাকিম (র) বলেন: হাদীসটির সনদ সূত্র বিশুদ্ধ।)
كتاب النكاح
ترغيب الزَّوْج فِي الْوَفَاء بِحَق زَوجته وَحسن عشرتها وَالْمَرْأَة بِحَق زَوجهَا وطاعته وترهيبها من إِسْقَاطه ومخالفته
2984- وَعَن حُصَيْن بن مُحصن رَضِي الله عَنهُ أَن عمَّة لَهُ أَتَت النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ لَهَا أذات زوج أَنْت قَالَت نعم
قَالَ فَأَيْنَ أَنْت مِنْهُ قَالَت مَا آلوه إِلَّا مَا عجزت عَنهُ
قَالَ فَكيف أَنْت لَهُ فَإِنَّهُ جنتك ونارك
رَوَاهُ أَحْمد وَالنَّسَائِيّ بِإِسْنَادَيْنِ جَيِّدين وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ فَأَيْنَ أَنْت مِنْهُ قَالَت مَا آلوه إِلَّا مَا عجزت عَنهُ
قَالَ فَكيف أَنْت لَهُ فَإِنَّهُ جنتك ونارك
رَوَاهُ أَحْمد وَالنَّسَائِيّ بِإِسْنَادَيْنِ جَيِّدين وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯৮৫
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ স্বামীর প্রতি তার স্ত্রীর হক আদায় ও তার প্রতি সদাচরণ এবং স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর হক আদায় ও আনুগত্য করার অনুপ্রেরণা এবং স্বামীর হক বিনষ্ট করা ও বিরোধিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৯৮৫. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, নারীর উপর কার সর্বাধিক অধিকার রয়েছে? তিনি বললেনঃ তার স্বামীর। আমি বললাম, পুরুষ লোকের উপর সর্বাধিক কার অধিকার রয়েছে? তিনি বললেন, তার মায়ের।
(বাযযার ও হাকিম, বাযযার উত্তম সনদে বর্ণনা করেন।)
(বাযযার ও হাকিম, বাযযার উত্তম সনদে বর্ণনা করেন।)
كتاب النكاح
ترغيب الزَّوْج فِي الْوَفَاء بِحَق زَوجته وَحسن عشرتها وَالْمَرْأَة بِحَق زَوجهَا وطاعته وترهيبها من إِسْقَاطه ومخالفته
2985- وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت سَأَلت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَي النَّاس أعظم حَقًا على الْمَرْأَة قَالَ زَوجهَا
قلت فَأَي النَّاس أعظم حَقًا على الرجل قَالَ أمه
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالْحَاكِم وَإسْنَاد الْبَزَّار حسن
قلت فَأَي النَّاس أعظم حَقًا على الرجل قَالَ أمه
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالْحَاكِم وَإسْنَاد الْبَزَّار حسن
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯৮৬
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ স্বামীর প্রতি তার স্ত্রীর হক আদায় ও তার প্রতি সদাচরণ এবং স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর হক আদায় ও আনুগত্য করার অনুপ্রেরণা এবং স্বামীর হক বিনষ্ট করা ও বিরোধিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৯৮৬. হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক মহিলা নবী (ﷺ)-এর কাছে এসে বলল: ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আমি আপনার কাছে মহিলাদের প্রতিনিধি হিসেবে এসেছি। আল্লাহ্ তা'আলা পুরুষদের উপর জিহাদ ফরয করেছেন। তাঁরা যুদ্ধ করলে পুরস্কৃত হয় এবং শহীদ হলেও তাঁরা জীবিত থাকে এবং তাঁদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তাঁদের রিযক সরবরাহ করা হয়। আমরা নারী সম্প্রদায়, আমরা তাদের অধীনস্ত, কাজেই আমাদের দায়িত্ব কি? রাবী বলেন: রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: তোমার সাথে যে সকল মহিলার সাক্ষাৎ হবে, আমার পক্ষ থেকে তাদের জানিয়ে দেবে যে, তারা যেন তাদের স্বামীর আনুগত্য করে, আর তাতেই রয়েছে তাদের জিহাদের সমতুল্য সাওয়াব। অথচ এ কাজ (স্বামীর আনুগত্য) তোমাদের অল্প সংখ্যকেই করে থাকে।
(বাযযার সংক্ষেপে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তাবারানী তাঁর হাদীসের শেষ পর্যায়ে বলেন: "এক মহিলা নবী (ﷺ)-এর কাছে এসে বলল: আমি আপনার কাছে মহিলাদের প্রতিনিধি হিসেবে এসেছি। মহিলারা আপনার কাছে আসতে খুবই আগ্রহী, এ বিষয়ে তারা জ্ঞাত হোক কি অজ্ঞাত। আল্লাহ্ তা'আলা নারী-পুরুষই (নির্বেশেষে সবার) প্রতিপালক ও ইলাহ্ এবং আপনি নারী-পুরুষ (সবার জন্য) আল্লাহর রাসূল। আল্লাহ্ তা'আলা পুরুষদের উপর জিহাদ ফরয করেছেন। তাঁরা যুদ্ধ করলে পুরষ্কৃত হয় এবং শহীদ হলে তাঁরা থাকে জান্নাতে এবং তাঁদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তাঁদের রিযক সরবরাহ করা হয়। কাজেই, কোন ধরনের আনুগত্য করে তাঁদের সমকক্ষ হওয়া যাবে? তিনি বললেন: স্বামীদের আনুগত্য করে এবং তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থেকে, অথচ তোমাদের কম সংখ্যকই এ কাজ করে থাক।")
(বাযযার সংক্ষেপে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তাবারানী তাঁর হাদীসের শেষ পর্যায়ে বলেন: "এক মহিলা নবী (ﷺ)-এর কাছে এসে বলল: আমি আপনার কাছে মহিলাদের প্রতিনিধি হিসেবে এসেছি। মহিলারা আপনার কাছে আসতে খুবই আগ্রহী, এ বিষয়ে তারা জ্ঞাত হোক কি অজ্ঞাত। আল্লাহ্ তা'আলা নারী-পুরুষই (নির্বেশেষে সবার) প্রতিপালক ও ইলাহ্ এবং আপনি নারী-পুরুষ (সবার জন্য) আল্লাহর রাসূল। আল্লাহ্ তা'আলা পুরুষদের উপর জিহাদ ফরয করেছেন। তাঁরা যুদ্ধ করলে পুরষ্কৃত হয় এবং শহীদ হলে তাঁরা থাকে জান্নাতে এবং তাঁদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তাঁদের রিযক সরবরাহ করা হয়। কাজেই, কোন ধরনের আনুগত্য করে তাঁদের সমকক্ষ হওয়া যাবে? তিনি বললেন: স্বামীদের আনুগত্য করে এবং তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থেকে, অথচ তোমাদের কম সংখ্যকই এ কাজ করে থাক।")
كتاب النكاح
ترغيب الزَّوْج فِي الْوَفَاء بِحَق زَوجته وَحسن عشرتها وَالْمَرْأَة بِحَق زَوجهَا وطاعته وترهيبها من إِسْقَاطه ومخالفته
2986 - وَرُوِيَ عَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ جَاءَت امْرَأَة إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَت يَا رَسُول الله أَنا وافدة النِّسَاء إِلَيْك هَذَا الْجِهَاد كتبه الله على الرِّجَال فَإِن يُصِيبُوا أجروا وَإِن قتلوا كَانُوا أَحيَاء عِنْد رَبهم يرْزقُونَ وَنحن معشر النِّسَاء نقوم عَلَيْهِم فَمَا لنا من ذَلِك قَالَ فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أبلغي من لقِيت من النِّسَاء أَن طَاعَة الزَّوْج واعترافا بِحقِّهِ يعدل ذَلِك وَقَلِيل مِنْكُن من يَفْعَله
رَوَاهُ الْبَزَّار هَكَذَا مُخْتَصرا وَالطَّبَرَانِيّ فِي حَدِيث قَالَ فِي آخِره ثمَّ جَاءَتْهُ يَعْنِي النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم امْرَأَة فَقَالَت إِنِّي رَسُول النِّسَاء إِلَيْك وَمَا مِنْهُنَّ امْرَأَة علمت أَو لم تعلم إِلَّا وَهِي تهوى مخرجي إِلَيْك
الله رب الرِّجَال وَالنِّسَاء وإلههن وَأَنت رَسُول الله إِلَى الرِّجَال وَالنِّسَاء كتب الله الْجِهَاد على الرِّجَال
فَإِن أَصَابُوا أجروا وَإِن اسْتشْهدُوا كَانُوا أَحيَاء عِنْد رَبهم يرْزقُونَ فَمَا يعدل ذَلِك من أَعْمَالهم من الطَّاعَة قَالَ طَاعَة أَزوَاجهنَّ والمعرفة بحقوقهن وَقَلِيل مِنْكُن من يَفْعَله
رَوَاهُ الْبَزَّار هَكَذَا مُخْتَصرا وَالطَّبَرَانِيّ فِي حَدِيث قَالَ فِي آخِره ثمَّ جَاءَتْهُ يَعْنِي النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم امْرَأَة فَقَالَت إِنِّي رَسُول النِّسَاء إِلَيْك وَمَا مِنْهُنَّ امْرَأَة علمت أَو لم تعلم إِلَّا وَهِي تهوى مخرجي إِلَيْك
الله رب الرِّجَال وَالنِّسَاء وإلههن وَأَنت رَسُول الله إِلَى الرِّجَال وَالنِّسَاء كتب الله الْجِهَاد على الرِّجَال
فَإِن أَصَابُوا أجروا وَإِن اسْتشْهدُوا كَانُوا أَحيَاء عِنْد رَبهم يرْزقُونَ فَمَا يعدل ذَلِك من أَعْمَالهم من الطَّاعَة قَالَ طَاعَة أَزوَاجهنَّ والمعرفة بحقوقهن وَقَلِيل مِنْكُن من يَفْعَله
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯৮৭
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ স্বামীর প্রতি তার স্ত্রীর হক আদায় ও তার প্রতি সদাচরণ এবং স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর হক আদায় ও আনুগত্য করার অনুপ্রেরণা এবং স্বামীর হক বিনষ্ট করা ও বিরোধিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৯৮৭. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি তার মেয়েকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে এলো। সে বলল: আমার এই মেয়ে বিয়ে করতে অস্বীকার করছে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে (মেয়ে) বলেনঃ তুমি তোমার পিতার কথা মেনে চল। সে বলল: যিনি আপনাকে সত্য সহকারে পাঠিয়েছেন, তাঁর শপথ! স্বামীর উপর স্ত্রীর কি অধিকার, তা আমাকে অবহিত না করা পর্যন্ত আমি বিয়ে করব না। তিনি বললেন। স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার হল, যদি স্বামীর শরীরের যখম হয় অথবা ফোসকা হয় এবং তা থেকে পুঁজ নির্গত হয় অথবা রক্ত প্রবাহিত হয়, এরপর স্ত্রী তার জিহ্বা দ্বারা তা লেহন করে পরিষ্কার করে, তবুও স্বামীর অধিকার (পুরোপুরি) আদায় করা হয় না। সে বলল: আপনাকে যিনি সত্য সহকারে পাঠিয়েছেন, তাঁর শপথ। আমি জীবনে বিয়ে করব না। নবী (ﷺ) বললেন। তোমরা তাকে তার বিনানুমতিতে বিয়ে দিয়ো না।
(বাযযার উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন, তাঁর বর্ণনাটি বিশ্বস্ত সূত্রে মাশহুর এবং ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত।)
(বাযযার উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন, তাঁর বর্ণনাটি বিশ্বস্ত সূত্রে মাশহুর এবং ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত।)
كتاب النكاح
ترغيب الزَّوْج فِي الْوَفَاء بِحَق زَوجته وَحسن عشرتها وَالْمَرْأَة بِحَق زَوجهَا وطاعته وترهيبها من إِسْقَاطه ومخالفته
2987- وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ أَتَى رجل بابنته إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ إِن ابْنَتي هَذِه أَبَت أَن تتَزَوَّج فَقَالَ لَهَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أطيعي أَبَاك
فَقَالَت وَالَّذِي بَعثك بِالْحَقِّ لَا أَتزوّج حَتَّى تُخبرنِي مَا حق الزَّوْج على زَوجته قَالَ حق الزَّوْج
على زَوجته لَو كَانَت بِهِ قرحَة فلحستها أَو انتثر منخراه صديدا أَو دَمًا ثمَّ ابتلعته مَا أدَّت حَقه
قَالَت وَالَّذِي بَعثك بِالْحَقِّ لَا أَتزوّج أبدا فَقَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا تنكحوهن إِلَّا بإذنهن
رَوَاهُ الْبَزَّار بِإِسْنَاد جيد رُوَاته ثِقَات مَشْهُورُونَ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
فَقَالَت وَالَّذِي بَعثك بِالْحَقِّ لَا أَتزوّج حَتَّى تُخبرنِي مَا حق الزَّوْج على زَوجته قَالَ حق الزَّوْج
على زَوجته لَو كَانَت بِهِ قرحَة فلحستها أَو انتثر منخراه صديدا أَو دَمًا ثمَّ ابتلعته مَا أدَّت حَقه
قَالَت وَالَّذِي بَعثك بِالْحَقِّ لَا أَتزوّج أبدا فَقَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا تنكحوهن إِلَّا بإذنهن
رَوَاهُ الْبَزَّار بِإِسْنَاد جيد رُوَاته ثِقَات مَشْهُورُونَ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯৮৮
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ স্বামীর প্রতি তার স্ত্রীর হক আদায় ও তার প্রতি সদাচরণ এবং স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর হক আদায় ও আনুগত্য করার অনুপ্রেরণা এবং স্বামীর হক বিনষ্ট করা ও বিরোধিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৯৮৮. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক মহিলা বাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-এব কাছে এসে বলল : আমি অমুকের কন্যা অমুক। তিনি বলেন: আমি তোমাকে চিনতে পেরেছি, কি প্রয়োজনে তুমি এসেছ। সে বলল: আমি আমার চাচাত ভাই অমুক আবেদের প্রযোজনে আপনার কাছে এসেছি। তিনি বলেন: আমি তাকে চিনি। সে বলল: সে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। স্ত্রীর উপর স্বামীর কি অধিকার সে সম্পর্কে আপনি আমাকে অবহিত করুন। আমি যদি তা যথাযথভাবে পালন করতে পারি, তাহলে তাকে বিয়ে করব। তখন তিনি বলেন: স্ত্রীর উপর স্বামীর হক হল, স্বামীর নাক থেকে যদি রক্ত প্রবাহিত হয় এবং সে বমি করে, আর স্ত্রী যদি জিহ্বা দ্বারা লেহন করে তা পরিষ্কার করে, তবুও স্বামীর খেদমত (পুরোপুরি) আদায় হয় না। কাউকে যদি আমি সিজদার নির্দেশ দেওয়া সঙ্গত মনে করতাম, তাহলে স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম, সে যেন তার স্বামীকে সিজদা করে। সে (স্বামী) তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পরই আল্লাহ্ তার (স্ত্রী) উপর স্বামীর মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন। সে বলল: যিনি আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন, তাঁর শপথ। জগৎ বিলীন না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ আমার জীবদ্দশায় আমি বিয়ে করব না।
(বাযযার এবং হাকিম উভয়ে সুলায়মান ইবনে দাউদ আল-ইয়ামামী (র) থেকে, তিনি কাসিম ইবনে হাকাম (র) থেকে বর্ণনা করেছেন। হাকিম (র) বলেন, হাদীসটি বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত। (হাফিয মুনযিরী (র) বলেন) সুলায়মান, উল্লেখিত হাদীসের রাবী এবং কাসিমের পরিচয় সামনে আসবে।)
(বাযযার এবং হাকিম উভয়ে সুলায়মান ইবনে দাউদ আল-ইয়ামামী (র) থেকে, তিনি কাসিম ইবনে হাকাম (র) থেকে বর্ণনা করেছেন। হাকিম (র) বলেন, হাদীসটি বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত। (হাফিয মুনযিরী (র) বলেন) সুলায়মান, উল্লেখিত হাদীসের রাবী এবং কাসিমের পরিচয় সামনে আসবে।)
كتاب النكاح
ترغيب الزَّوْج فِي الْوَفَاء بِحَق زَوجته وَحسن عشرتها وَالْمَرْأَة بِحَق زَوجهَا وطاعته وترهيبها من إِسْقَاطه ومخالفته
2988- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ جَاءَت امْرَأَة إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَت أَنا فُلَانَة بنت فلَان
قَالَ قد عرفتك فَمَا حَاجَتك
قَالَت حَاجَتي إِلَى ابْن عمي فلَان العابد
قَالَ قد عَرفته
قَالَت يخطبني فَأَخْبرنِي مَا حق الزَّوْج على الزَّوْجَة فَإِن كَانَ شَيْئا أُطِيقهُ تزوجته قَالَ من حَقه أَن لَو سَالَ منخراه دَمًا وقيحا فلحسته بلسانها مَا أدَّت حَقه لَو كَانَ يَنْبَغِي لبشر أَن يسْجد لبشر لأمرت الْمَرْأَة أَن تسْجد لزَوجهَا إِذا دخل عَلَيْهَا لما فَضله الله عَلَيْهَا
قَالَت وَالَّذِي بَعثك بِالْحَقِّ لَا أَتزوّج مَا بقيت الدُّنْيَا
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالْحَاكِم كِلَاهُمَا عَن سُلَيْمَان بن دَاوُد اليمامي عَن الْقَاسِم بن الحكم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ الْحَافِظ سُلَيْمَان واه وَالقَاسِم تَأتي تَرْجَمته
قَالَ قد عرفتك فَمَا حَاجَتك
قَالَت حَاجَتي إِلَى ابْن عمي فلَان العابد
قَالَ قد عَرفته
قَالَت يخطبني فَأَخْبرنِي مَا حق الزَّوْج على الزَّوْجَة فَإِن كَانَ شَيْئا أُطِيقهُ تزوجته قَالَ من حَقه أَن لَو سَالَ منخراه دَمًا وقيحا فلحسته بلسانها مَا أدَّت حَقه لَو كَانَ يَنْبَغِي لبشر أَن يسْجد لبشر لأمرت الْمَرْأَة أَن تسْجد لزَوجهَا إِذا دخل عَلَيْهَا لما فَضله الله عَلَيْهَا
قَالَت وَالَّذِي بَعثك بِالْحَقِّ لَا أَتزوّج مَا بقيت الدُّنْيَا
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالْحَاكِم كِلَاهُمَا عَن سُلَيْمَان بن دَاوُد اليمامي عَن الْقَاسِم بن الحكم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ الْحَافِظ سُلَيْمَان واه وَالقَاسِم تَأتي تَرْجَمته
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯৮৯
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ স্বামীর প্রতি তার স্ত্রীর হক আদায় ও তার প্রতি সদাচরণ এবং স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর হক আদায় ও আনুগত্য করার অনুপ্রেরণা এবং স্বামীর হক বিনষ্ট করা ও বিরোধিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৯৮৯. হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আনসারদের একটি পরিবার উট দ্বারা কূপ থেকে পানি উঠাত। উটটি অপরাগতা প্রকাশ করল এবং তার পিঠে তাদের ভার বহন করতে চাইল না। আনসারদের একটি দল রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে গেল এবং বলল: আমরা আমাদের একটি উট দ্বারা পানি বহনের কাজ করতাম। কিন্তু সেটি আমাদের কাজে অপারগতা প্রকাশ করেছে এবং তার পিঠ ব্যবহার করতে দিচ্ছে না। অথচ আমাদের শস্যক্ষেত ও খেজুর বাগান পানির অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে। (এমতাবস্থায় আমাদের কি করণীয়?) নবী (ﷺ)-তাঁর সাহাবীদের বললেন: তোমরা রওয়ানা হও। তখন তাঁরা দাঁড়িয়ে গেল। তিনি বাগানে প্রবেশ করলেন, আর উটটি তখন বাগানের এক কোণে দাঁড়িয়েছিল। নবী (ﷺ) সেটির দিকে হেঁটে গেলেন। আনসারগণ বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এটি পাগলা কুকুরের ন্যায়, আমরা আপনাকে আক্রমণের আশংকা করছি। তিনি বললেন: ওটি আমার কোন ক্ষতি করবে না। এরপর উটটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর দিকে তাকাল এবং তাঁর দিকে এসে তাঁকে সিজদা করল। যখন তিনি সেটির মাথায় চুল ধরলেন, তখন উটটি এমন বিনয়ী হল, যা কখনো দেখা যায়নি, এমন কি তিনি তার দ্বারা কাজ শুরু করিয়ে দিলেন। তখন তাঁর সাহাবাগণ তাঁকে বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্। এটি একটি অবুঝ চতুষ্পদ জন্তু, আপনাকে সিজদা করল অথচ আমরা বুদ্ধিমান ও বিবেকবান, কাজেই আমরা আপনাকে সিজদা করার ব্যাপারে অধিক হকদার। তিনি বলেন: কারও জন্য কোন লোককে সিজদা করা শোভনীয় নয়। আমি যদি কারও জন্য কাউকে সিজদা করা সঙ্গত মনে করতাম, তাহলে স্ত্রীর উপর তার স্বামীর অধিকার থাকায় সিজদা করার নির্দেশ দিতাম। যদি স্বামীর আপদমস্তকে দগদগে ঘা হয় এবং তা থেকে পুঁজ নির্গত হয়, এরপর তা জিহ্বা দ্বারা লেহন করে পরিষ্কার করে, তবুও স্বামীর খেদমত (পুরোপুরি) আদায় হয় না।
(আহমাদ ও নাসাঈ (র) উত্তম সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং হাদীসের রাবীগণ বিশ্বস্ত ও তারা সবাই মাশহুর। বাযযার সংক্ষেপে বর্ণনা করেন এবং হযরত আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে সংক্ষেপে ইবনে হিব্বান (র) তাঁর সহীহ্ গ্রন্থে বর্ণনা করেন। তবে তাঁর বর্ণনায় لو كان إلى آخر থেকে অবশিষ্টাংশ উল্লেখ নেই। এ হাদীসের অনুরূপ হাদীস আবু সাঈদ (রা) সূত্রেও বর্ণিত হয়েছে।
يسنون তারা কুপ থেকে পানি তুলে ক্ষেত-খামারে দিত। الحائط বাগান, উদ্যান। تنجس উপচে উঠা।)
(আহমাদ ও নাসাঈ (র) উত্তম সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং হাদীসের রাবীগণ বিশ্বস্ত ও তারা সবাই মাশহুর। বাযযার সংক্ষেপে বর্ণনা করেন এবং হযরত আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে সংক্ষেপে ইবনে হিব্বান (র) তাঁর সহীহ্ গ্রন্থে বর্ণনা করেন। তবে তাঁর বর্ণনায় لو كان إلى آخر থেকে অবশিষ্টাংশ উল্লেখ নেই। এ হাদীসের অনুরূপ হাদীস আবু সাঈদ (রা) সূত্রেও বর্ণিত হয়েছে।
يسنون তারা কুপ থেকে পানি তুলে ক্ষেত-খামারে দিত। الحائط বাগান, উদ্যান। تنجس উপচে উঠা।)
كتاب النكاح
ترغيب الزَّوْج فِي الْوَفَاء بِحَق زَوجته وَحسن عشرتها وَالْمَرْأَة بِحَق زَوجهَا وطاعته وترهيبها من إِسْقَاطه ومخالفته
2989- وَعَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ كَانَ أهل بَيت من الْأَنْصَار لَهُم جمل يسنون عَلَيْهِ
وَإنَّهُ استصعب عَلَيْهِم فَمَنعهُمْ ظَهره وَإِن الْأَنْصَار جاؤوا إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالُوا إِنَّه كَانَ لنا جمل نسني عَلَيْهِ وَإنَّهُ استصعب علينا ومنعنا ظَهره وَقد عَطش الزَّرْع وَالنَّخْل فَقَالَ صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لاصحابه قومُوا فَقَامُوا فَدخل الْحَائِط والجمل فِي ناحيته فَمشى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نَحوه فَقَالَت الْأَنْصَار يَا رَسُول الله قد صَار مثل الْكَلْب نَخَاف عَلَيْك صولته قَالَ لَيْسَ عَليّ مِنْهُ بَأْس فَلَمَّا نظر الْجمل إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أقبل نَحوه حَتَّى خر سَاجِدا بَين يَدَيْهِ فَأخذ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بناصيته أذلّ مَا كَانَت قطّ حَتَّى أدخلهُ فِي الْعَمَل فَقَالَ لَهُ أَصْحَابه يَا رَسُول الله هَذَا بَهِيمَة لَا يعقل يسْجد لَك وَنحن نعقل فَنحْن أَحَق أَن نسجد لَك قَالَ لَا يصلح لبشر أَن يسْجد لبشر وَلَو صلح لبشر أَن يسْجد لبشر لأمرت الْمَرْأَة أَن تسْجد لزَوجهَا لعظم حَقه عَلَيْهَا لَو كَانَ من قدمه إِلَى مفرق رَأسه قرحَة تنبجس بالقيح والصديد ثمَّ استقبلته فلحسته مَا أدَّت حَقه
رَوَاهُ أَحْمد وَالنَّسَائِيّ بِإِسْنَاد جيد رُوَاته ثِقَات مَشْهُورُونَ وَالْبَزَّار بِنَحْوِهِ وَرَوَاهُ مُخْتَصرا وَابْن حبَان فِي صَحِيحه من حَدِيث أبي هُرَيْرَة بِنَحْوِهِ بِاخْتِصَار وَلم يذكر قَوْله لَو كَانَ إِلَى آخِره وَرُوِيَ معنى ذَلِك فِي حَدِيث أبي سعيد الْمُتَقَدّم
قَوْله يسنون عَلَيْهِ بِفَتْح الْيَاء وَسُكُون السِّين الْمُهْملَة أَي يستقون عَلَيْهِ المَاء من الْبِئْر
والحائط هُوَ الْبُسْتَان
تنبجس أَي تتفجر وتنبع
وَإنَّهُ استصعب عَلَيْهِم فَمَنعهُمْ ظَهره وَإِن الْأَنْصَار جاؤوا إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالُوا إِنَّه كَانَ لنا جمل نسني عَلَيْهِ وَإنَّهُ استصعب علينا ومنعنا ظَهره وَقد عَطش الزَّرْع وَالنَّخْل فَقَالَ صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لاصحابه قومُوا فَقَامُوا فَدخل الْحَائِط والجمل فِي ناحيته فَمشى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نَحوه فَقَالَت الْأَنْصَار يَا رَسُول الله قد صَار مثل الْكَلْب نَخَاف عَلَيْك صولته قَالَ لَيْسَ عَليّ مِنْهُ بَأْس فَلَمَّا نظر الْجمل إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أقبل نَحوه حَتَّى خر سَاجِدا بَين يَدَيْهِ فَأخذ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بناصيته أذلّ مَا كَانَت قطّ حَتَّى أدخلهُ فِي الْعَمَل فَقَالَ لَهُ أَصْحَابه يَا رَسُول الله هَذَا بَهِيمَة لَا يعقل يسْجد لَك وَنحن نعقل فَنحْن أَحَق أَن نسجد لَك قَالَ لَا يصلح لبشر أَن يسْجد لبشر وَلَو صلح لبشر أَن يسْجد لبشر لأمرت الْمَرْأَة أَن تسْجد لزَوجهَا لعظم حَقه عَلَيْهَا لَو كَانَ من قدمه إِلَى مفرق رَأسه قرحَة تنبجس بالقيح والصديد ثمَّ استقبلته فلحسته مَا أدَّت حَقه
رَوَاهُ أَحْمد وَالنَّسَائِيّ بِإِسْنَاد جيد رُوَاته ثِقَات مَشْهُورُونَ وَالْبَزَّار بِنَحْوِهِ وَرَوَاهُ مُخْتَصرا وَابْن حبَان فِي صَحِيحه من حَدِيث أبي هُرَيْرَة بِنَحْوِهِ بِاخْتِصَار وَلم يذكر قَوْله لَو كَانَ إِلَى آخِره وَرُوِيَ معنى ذَلِك فِي حَدِيث أبي سعيد الْمُتَقَدّم
قَوْله يسنون عَلَيْهِ بِفَتْح الْيَاء وَسُكُون السِّين الْمُهْملَة أَي يستقون عَلَيْهِ المَاء من الْبِئْر
والحائط هُوَ الْبُسْتَان
تنبجس أَي تتفجر وتنبع
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯৯০
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ স্বামীর প্রতি তার স্ত্রীর হক আদায় ও তার প্রতি সদাচরণ এবং স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর হক আদায় ও আনুগত্য করার অনুপ্রেরণা এবং স্বামীর হক বিনষ্ট করা ও বিরোধিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৯৯০. হযরত কায়স ইবনে সা'দ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হীরা শহরে গিয়ে দেখলাম, তারা বাদশাহ মারযুবানকে সিজদা করছে। এরপর আমি বললাম: রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) সিজদা প্রাপ্তির বেশী হকদার। তারপর আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে এসে বললাম: আমি হীরাবাসীকে তাদের বাদশাহ মারযুবানকে সিজদা করতে দেখেছি অথচ আপনি সিজদা পাওয়ার অধিক হকদার। তখন তিনি আমাকে বললেন: আমার কবরের কাছ দিয়ে তুমি পথ অতিক্রম করলে, তুমি কী অভিমত পোষণ কর যে, তুমি তা (কবর) সিজদা করবে? আমি বললাম: না। তিনি বলেন: তোমরা এরূপ করো না। আমি যদি কাউকে সিজদা করতে বলতাম, তবে আমি স্ত্রীলোকদেরকে বলতাম, তারা যেন তাদের স্বামীদের সিজদা করে। আর তা এই জন্য যে, আল্লাহ্ তা'আলা তাদেরকে (স্বামীকে) তাদের (স্ত্রীদের) উপর অধিকার দিয়েছেন।
(আবু দাউদ (র) বর্ণিত। তাঁর সনদে শারীক নামে একজন রাবী রয়েছেন। ইমাম মুসলিম (র) মুতাবা'আত সূত্রে সাক্ষ্য দিয়েছেন হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং হাদীসটির বিশ্বস্ততার পক্ষে তিনি।)
(আবু দাউদ (র) বর্ণিত। তাঁর সনদে শারীক নামে একজন রাবী রয়েছেন। ইমাম মুসলিম (র) মুতাবা'আত সূত্রে সাক্ষ্য দিয়েছেন হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং হাদীসটির বিশ্বস্ততার পক্ষে তিনি।)
كتاب النكاح
ترغيب الزَّوْج فِي الْوَفَاء بِحَق زَوجته وَحسن عشرتها وَالْمَرْأَة بِحَق زَوجهَا وطاعته وترهيبها من إِسْقَاطه ومخالفته
2990- وَعَن قيس بن سعد رَضِي الله عَنهُ قَالَ أتيت الْحيرَة فرأيتهم يَسْجُدُونَ لمرزبان لَهُم فَقلت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَحَق أَن يسْجد لَهُ فَأتيت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقلت إِنِّي أتيت الْحيرَة فرأيتهم يَسْجُدُونَ لمرزبان لَهُم فَأَنت أَحَق أَن يسْجد لَك فَقَالَ لي أَرَأَيْت لَو مَرَرْت بقبري أَكنت تسْجد لَهُ فَقلت لَا فَقَالَ لَا تَفعلُوا لَو كنت آمُر أحدا أَن يسْجد لَاحَدَّ لأمرت النِّسَاء أَن يسجدوا لازواجهن لما جعل الله لَهُم عَلَيْهِنَّ من الْحق
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد فِي إِسْنَاده شريك وَقد أخرج لَهُ مُسلم فِي المتابعات ووثق
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد فِي إِسْنَاده شريك وَقد أخرج لَهُ مُسلم فِي المتابعات ووثق
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯৯১
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ স্বামীর প্রতি তার স্ত্রীর হক আদায় ও তার প্রতি সদাচরণ এবং স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর হক আদায় ও আনুগত্য করার অনুপ্রেরণা এবং স্বামীর হক বিনষ্ট করা ও বিরোধিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৯৯১. হযরত ইবনে আবু আওফা (রা) থেকে বর্ণিত। মু'আয ইবনে জাবাল (রা) সিরিয়া থেকে এসে নবী (ﷺ)-কে সিজদা করেন। তখন রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-তাকে বলেন: তুমি এ কি কাজ করলে? তিনি বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি সিরিয়া থেকে এসেছি। আমি সেখানকার লোকদেরকে তাদের নেতৃস্থানীয়দের সিজদা করতে দেখেছি। কাজেই, আমি আপনাকে সিজদা করার ইচ্ছা করেছি। তিনি বলেন: তুমি এরূপ করো না। কেননা, আমি যদি কাউকে সিজদা করার নির্দেশ দিতাম, তাহলে স্ত্রীদেরকে সিজদার নির্দেশ দিতাম, যেন তারা তাদের স্বামীদের সিজদা করে। যাঁর হাতে আমার জীবন, তাঁর শপথ। স্বামীর হক আদায় না করা পর্যন্ত স্ত্রী তার প্রতিপালকের হক আদায় করতে পারে না।
(ইবনে মাজাহ ও ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত। তবে শব্দমালা ইবনে হিব্বানের। ইমাম ইবনে মাজাহ (র) নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: "তোমরা সিজদা করো না। কেননা, আমি আল্লাহ ব্যতীত আর কাউকে সিজদার নির্দেশ দিলে, স্ত্রীদের সিজদার নির্দেশ দিতাম, যেন তারা তাদের স্বামীদের সিজদা করে। যে মহান সত্তার হাতে মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর জীবন, তাঁর শপথ! স্বামীর হক আদায় না করা পর্যন্ত স্ত্রী তার প্রতিপালকের হক আদায় করতে পারে না, স্ত্রী উট্রারোহনী থাকা অবস্থায় যদি স্বামী তাকে কামনা করে, তবুও সে তাকে নিষেধ করবে না।"
ইমাম হাকিম (র) নিজ শব্দযোগে হযরত মু'আয (রা) সূত্রে মারফু সনদে হাদীসে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন: আমি যদি কাউকে সিজদা করার নির্দেশ দিতাম, তাহলে স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিক হক থাকায় স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম, যেন সে তার স্বামীকে সিজদা করে। স্বামীর হক আদায় না করা পর্যন্ত স্ত্রী ঈমানের স্বাদ পায়না। স্ত্রী উট্রারোহনী অবস্থায় থাকা অবস্থায় সত্ত্বেও যদি স্বামী তাকে কামনা করে তবুও সে নিষেধ করবে না।)
(ইবনে মাজাহ ও ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত। তবে শব্দমালা ইবনে হিব্বানের। ইমাম ইবনে মাজাহ (র) নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: "তোমরা সিজদা করো না। কেননা, আমি আল্লাহ ব্যতীত আর কাউকে সিজদার নির্দেশ দিলে, স্ত্রীদের সিজদার নির্দেশ দিতাম, যেন তারা তাদের স্বামীদের সিজদা করে। যে মহান সত্তার হাতে মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর জীবন, তাঁর শপথ! স্বামীর হক আদায় না করা পর্যন্ত স্ত্রী তার প্রতিপালকের হক আদায় করতে পারে না, স্ত্রী উট্রারোহনী থাকা অবস্থায় যদি স্বামী তাকে কামনা করে, তবুও সে তাকে নিষেধ করবে না।"
ইমাম হাকিম (র) নিজ শব্দযোগে হযরত মু'আয (রা) সূত্রে মারফু সনদে হাদীসে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন: আমি যদি কাউকে সিজদা করার নির্দেশ দিতাম, তাহলে স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিক হক থাকায় স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম, যেন সে তার স্বামীকে সিজদা করে। স্বামীর হক আদায় না করা পর্যন্ত স্ত্রী ঈমানের স্বাদ পায়না। স্ত্রী উট্রারোহনী অবস্থায় থাকা অবস্থায় সত্ত্বেও যদি স্বামী তাকে কামনা করে তবুও সে নিষেধ করবে না।)
كتاب النكاح
ترغيب الزَّوْج فِي الْوَفَاء بِحَق زَوجته وَحسن عشرتها وَالْمَرْأَة بِحَق زَوجهَا وطاعته وترهيبها من إِسْقَاطه ومخالفته
2991- وَعَن ابْن أبي أوفى رَضِي الله عَنهُ قَالَ لما قدم معَاذ بن جبل من الشَّام سجد للنَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا هَذَا قَالَ يَا رَسُول الله قدمت الشَّام فوجدتهم يَسْجُدُونَ لبطارقتهم وأساقفهم فَأَرَدْت أَن أفعل ذَلِك بك
قَالَ فَلَا تفعل فَإِنِّي لَو أمرت شَيْئا أَن يسْجد لشَيْء لأمرت الْمَرْأَة أَن تسْجد لزَوجهَا وَالَّذِي نَفسِي بِيَدِهِ لَا تُؤدِّي الْمَرْأَة حق رَبهَا حَتَّى تُؤدِّي حق زَوجهَا
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ
وَلَفظ ابْن مَاجَه فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا تَفعلُوا فَإِنِّي لَو كنت آمرا أحدا أَن يسْجد لغير الله لأمرت الْمَرْأَة أَن تسْجد لزَوجهَا وَالَّذِي نفس مُحَمَّد بِيَدِهِ لَا تُؤدِّي الْمَرْأَة حق رَبهَا حَتَّى تُؤدِّي حق زَوجهَا وَلَو سَأَلَهَا نَفسهَا وَهِي على ظهر قتب لم تَمنعهُ
وروى الْحَاكِم الْمَرْفُوع مِنْهُ من حَدِيث معَاذ وَلَفظه قَالَ لَو أمرت أحدا أَن يسْجد لَاحَدَّ لأمرت الْمَرْأَة أَن تسْجد لزَوجهَا من عظم حَقه عَلَيْهَا وَلَا تَجِد امْرَأَة حلاوة الْإِيمَان حَتَّى تُؤدِّي حق زَوجهَا وَلَو سَأَلَهَا نَفسهَا وَهِي على ظهر قتب
قَالَ فَلَا تفعل فَإِنِّي لَو أمرت شَيْئا أَن يسْجد لشَيْء لأمرت الْمَرْأَة أَن تسْجد لزَوجهَا وَالَّذِي نَفسِي بِيَدِهِ لَا تُؤدِّي الْمَرْأَة حق رَبهَا حَتَّى تُؤدِّي حق زَوجهَا
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ
وَلَفظ ابْن مَاجَه فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا تَفعلُوا فَإِنِّي لَو كنت آمرا أحدا أَن يسْجد لغير الله لأمرت الْمَرْأَة أَن تسْجد لزَوجهَا وَالَّذِي نفس مُحَمَّد بِيَدِهِ لَا تُؤدِّي الْمَرْأَة حق رَبهَا حَتَّى تُؤدِّي حق زَوجهَا وَلَو سَأَلَهَا نَفسهَا وَهِي على ظهر قتب لم تَمنعهُ
وروى الْحَاكِم الْمَرْفُوع مِنْهُ من حَدِيث معَاذ وَلَفظه قَالَ لَو أمرت أحدا أَن يسْجد لَاحَدَّ لأمرت الْمَرْأَة أَن تسْجد لزَوجهَا من عظم حَقه عَلَيْهَا وَلَا تَجِد امْرَأَة حلاوة الْإِيمَان حَتَّى تُؤدِّي حق زَوجهَا وَلَو سَأَلَهَا نَفسهَا وَهِي على ظهر قتب
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯৯২
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ স্বামীর প্রতি তার স্ত্রীর হক আদায় ও তার প্রতি সদাচরণ এবং স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর হক আদায় ও আনুগত্য করার অনুপ্রেরণা এবং স্বামীর হক বিনষ্ট করা ও বিরোধিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৯৯২. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) সূত্রে নবী (ﷺ)-থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি যদি কাউকে সিজদা করার নির্দেশ দিতাম, তবে স্ত্রীদেরকে নির্দেশ দিতাম, তারা যেন তাদের স্বামীদের সিজদা করে।
(তিরমিযী বর্ণিত। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন: হাদীসটি হাসান-সহীহ।)
(তিরমিযী বর্ণিত। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন: হাদীসটি হাসান-সহীহ।)
كتاب النكاح
ترغيب الزَّوْج فِي الْوَفَاء بِحَق زَوجته وَحسن عشرتها وَالْمَرْأَة بِحَق زَوجهَا وطاعته وترهيبها من إِسْقَاطه ومخالفته
2992- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَو كنت آمرا أحدا أَن يسْجد لَاحَدَّ لأمرت الْمَرْأَة أَن تسْجد لزَوجهَا
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯৯৩
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ স্বামীর প্রতি তার স্ত্রীর হক আদায় ও তার প্রতি সদাচরণ এবং স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর হক আদায় ও আনুগত্য করার অনুপ্রেরণা এবং স্বামীর হক বিনষ্ট করা ও বিরোধিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৯৯৩. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-বলেছেন: আমি যদি কাউকে সিজদা করার নির্দেশ দিতাম, তবে স্ত্রীদেরকে নির্দেশ দিতাম, তারা যেন তাদের স্বামীদের সিজদা করে। কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীকে লাল পাহাড়কে কালো পাহাড়ে (অর্থাৎ এক পাহাড় অন্য পাহাড়ে স্থানান্তর করার) অথবা তিনি বলেছেন: কালো পাহাড়ের স্থলে লাল পাহাড় স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়, তবুও তার তা করা উচিত (অর্থাৎ এ কঠিন নির্দেশ পালন করাও অপরিহার্য হয়ে পড়ে)।
(ইমাম ইবনে মাজাহ (র) আলী ইবনে যায়িদ ইবনে যাদ'আন (র) সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাদীসের অন্যান্য বর্ণানাকারীগণের বর্ণনা দলীলরূপে গ্রহণ করা বিশুদ্ধ।)
(ইমাম ইবনে মাজাহ (র) আলী ইবনে যায়িদ ইবনে যাদ'আন (র) সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাদীসের অন্যান্য বর্ণানাকারীগণের বর্ণনা দলীলরূপে গ্রহণ করা বিশুদ্ধ।)
كتاب النكاح
ترغيب الزَّوْج فِي الْوَفَاء بِحَق زَوجته وَحسن عشرتها وَالْمَرْأَة بِحَق زَوجهَا وطاعته وترهيبها من إِسْقَاطه ومخالفته
2993- وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَو أمرت أحدا أَن يسْجد لَاحَدَّ لأمرت الْمَرْأَة أَن تسْجد لزَوجهَا وَلَو أَن رجلا أَمر امْرَأَته أَن تنْتَقل من جبل أَحْمَر إِلَى جبل أسود أَو من جبل أسود إِلَى جبل أَحْمَر لَكَانَ نولها أَن تفعل
رَوَاهُ ابْن مَاجَه من رِوَايَة عَليّ بن زيد بن جدعَان وَبَقِيَّة رُوَاته مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح
رَوَاهُ ابْن مَاجَه من رِوَايَة عَليّ بن زيد بن جدعَان وَبَقِيَّة رُوَاته مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح
তাহকীক: