আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
৮. অধ্যায়ঃ সদকা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩৪০ টি
হাদীস নং: ১১৪৭
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ যাকাত অনাদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন ও অলংকারের যাকাত
১১৪৭. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যে যাকাত আদায় করে না, সে কিয়ামতের দিন জাহান্নামী হবে।
(সাদ ইবন সিনান সূত্রে তাবারানী তাঁর 'সগীর' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁর বর্ণনায় সিনান ইবন সা'দ সূত্রে আনাস (রা) থেকে বর্ণনার উল্লেখ আছে।)
(সাদ ইবন সিনান সূত্রে তাবারানী তাঁর 'সগীর' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁর বর্ণনায় সিনান ইবন সা'দ সূত্রে আনাস (রা) থেকে বর্ণনার উল্লেখ আছে।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْهِيب من منع الزَّكَاة وَمَا جَاءَ فِي زَكَاة الْحلِيّ
1147 - وَعَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَانع الزَّكَاة يَوْم الْقِيَامَة فِي النَّار
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الصَّغِير عَن سعد بن سِنَان وَيُقَال فِيهِ سِنَان بن سعد عَن أنس
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الصَّغِير عَن سعد بن سِنَان وَيُقَال فِيهِ سِنَان بن سعد عَن أنس
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১৪৮
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ যাকাত অনাদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন ও অলংকারের যাকাত
১১৪৮. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: সদকার সম্পদ অথবা বলেছেন: যাকাতের সম্পদ যে সম্পদের সাথে মিশবে, সে সম্পদকে ধ্বংস করে দেবে।
(বাযযার ও বায়হাকী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] হাদীসটির দুটি অর্থ হতে পারেঃ ১. কোন ব্যক্তি যদি সম্পদের যাকাত আদায় না করে, তবে সে সম্পদ ধ্বংস হয়ে যায়। উল্লিখিত অর্থের সমর্থনে হযরত উমর (রা) বর্ণিত হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তা হলঃ ما تلف مال الخ ২.ধনী ব্যক্তি যদি যাকাতের সম্পদ গ্রহণ করে এবং তা তার সম্পদের সাথে মিশিয়ে নেয়, তবে ঐ যাকাতের সম্পদ তা ধ্বংস করে দেবে। আহমদ (র) এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
(বাযযার ও বায়হাকী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] হাদীসটির দুটি অর্থ হতে পারেঃ ১. কোন ব্যক্তি যদি সম্পদের যাকাত আদায় না করে, তবে সে সম্পদ ধ্বংস হয়ে যায়। উল্লিখিত অর্থের সমর্থনে হযরত উমর (রা) বর্ণিত হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তা হলঃ ما تلف مال الخ ২.ধনী ব্যক্তি যদি যাকাতের সম্পদ গ্রহণ করে এবং তা তার সম্পদের সাথে মিশিয়ে নেয়, তবে ঐ যাকাতের সম্পদ তা ধ্বংস করে দেবে। আহমদ (র) এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
كتاب الصَّدقَات
التَّرْهِيب من منع الزَّكَاة وَمَا جَاءَ فِي زَكَاة الْحلِيّ
1148 - وَرُوِيَ عَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا خالطت الصَّدَقَة أَو قَالَ الزَّكَاة مَالا إِلَّا أفسدته
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالْبَيْهَقِيّ
وَقَالَ الْحَافِظ وَهَذَا الحَدِيث يحْتَمل مَعْنيين أَحدهمَا أَن الصَّدَقَة مَا تركت فِي مَال وَلم تخرج مِنْهُ إِلَّا أهلكته
وَيشْهد لهَذَا حَدِيث عمر الْمُتَقَدّم مَا تلف مَال فِي بر وَلَا بَحر إِلَّا بِحَبْس الزَّكَاة
وَالثَّانِي أَن الرجل يَأْخُذ الزَّكَاة وَهُوَ غَنِي عَنْهَا فَيَضَعهَا مَعَ مَاله فتهلكه
وَبِهَذَا فسره الإِمَام أَحْمد وَالله أعلم
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالْبَيْهَقِيّ
وَقَالَ الْحَافِظ وَهَذَا الحَدِيث يحْتَمل مَعْنيين أَحدهمَا أَن الصَّدَقَة مَا تركت فِي مَال وَلم تخرج مِنْهُ إِلَّا أهلكته
وَيشْهد لهَذَا حَدِيث عمر الْمُتَقَدّم مَا تلف مَال فِي بر وَلَا بَحر إِلَّا بِحَبْس الزَّكَاة
وَالثَّانِي أَن الرجل يَأْخُذ الزَّكَاة وَهُوَ غَنِي عَنْهَا فَيَضَعهَا مَعَ مَاله فتهلكه
وَبِهَذَا فسره الإِمَام أَحْمد وَالله أعلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১৪৯
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ যাকাত অনাদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন ও অলংকারের যাকাত
১১৪৯. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: বাহ্যিকভাবে সালাত আদায় করার ব্যাপারে বিধান হওয়ায় যারা তা গ্রহণ করেছে এবং যাকাত আদায়ের ব্যাপারে গোপনীয়তা রক্ষার নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে যারা তা খেয়ে ফেলেছে, তারাই হল মুনাফিক।
(বাযযার হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(বাযযার হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْهِيب من منع الزَّكَاة وَمَا جَاءَ فِي زَكَاة الْحلِيّ
1149 - وَرُوِيَ عَن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ظَهرت لَهُم الصَّلَاة فقبلوها وخفيت لَهُم الزَّكَاة فأكلوها أُولَئِكَ هم المُنَافِقُونَ
رَوَاهُ الْبَزَّار
رَوَاهُ الْبَزَّار
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১৫০
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ যাকাত অনাদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন ও অলংকারের যাকাত
১১৫০. হযরত বুরায়দা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যে জাতি যাকাত আদায় করে না, আল্লাহ তা'আলা তাদের উপর দুর্ভিক্ষ চাপিয়ে দেন।
(তাবারানীর 'আওসাত' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে এবং তাঁর বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত। হাকিম ও বায়হাকী (র) উভয়ে বলেছেন: যে জাতি যাকাত দানে বিরত থাকে, আল্লাহ তা'আলা তাদের উপর বৃষ্টি বন্ধ করে দেন।
হাকিম বলেন: এ হাদীসটি মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ। ইবন মাজাহ্, বাযযার এবং বায়হাকী (র) ইবন উমর (রা) সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন। বায়হাকীর শব্দমালা এরূপঃ রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: হে মুহাজিরগণ! পাঁচটি বিষয়ে তোমাদের পরীক্ষা করা হবে এবং তা তোমাদের উপর চেপে বসবে। তা যেন তোমাদের না পায়, তজ্জন্য আল্লাহর কাছে পানাহ চাচ্ছি। কোন জাতির মধ্যে যখন ব্যভিচার ও অশ্লীলতা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে, তখন তাদের মধ্যে এমন রোগ সৃষ্টি হবে, যা পূর্বেকার লোকদের মধ্যে ছিল না। তারা যেন ওযনে কম না দেয়, তাহলে দুর্ভিক্ষ তাদের গ্রাস করে ফেলবে, জীবনযাত্রা কঠিন হবে, অত্যাচার আসবে। তারা যাকাত আদায় করবে না, ফলে আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ হয়ে যাবে এবং যদি চতুষ্পদ জন্তু না হত তাহলে মোটেই বৃষ্টি হত না। তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করলে আল্লাহ তাদের উপর বিজাতীয় দুশমনদের চাপিয়ে দেবেন। এরপর তারা তাদের থেকে সব কিছু কেড়ে নেবে এবং যে পর্যন্ত নেতৃবর্গ আল্লাহর কিতাবের বিধান প্রতিষ্ঠা না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তাদের মধ্যে পারস্পরিক সংঘাত লাগিয়ে রাখবেন।)
(তাবারানীর 'আওসাত' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে এবং তাঁর বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত। হাকিম ও বায়হাকী (র) উভয়ে বলেছেন: যে জাতি যাকাত দানে বিরত থাকে, আল্লাহ তা'আলা তাদের উপর বৃষ্টি বন্ধ করে দেন।
হাকিম বলেন: এ হাদীসটি মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ। ইবন মাজাহ্, বাযযার এবং বায়হাকী (র) ইবন উমর (রা) সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন। বায়হাকীর শব্দমালা এরূপঃ রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: হে মুহাজিরগণ! পাঁচটি বিষয়ে তোমাদের পরীক্ষা করা হবে এবং তা তোমাদের উপর চেপে বসবে। তা যেন তোমাদের না পায়, তজ্জন্য আল্লাহর কাছে পানাহ চাচ্ছি। কোন জাতির মধ্যে যখন ব্যভিচার ও অশ্লীলতা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে, তখন তাদের মধ্যে এমন রোগ সৃষ্টি হবে, যা পূর্বেকার লোকদের মধ্যে ছিল না। তারা যেন ওযনে কম না দেয়, তাহলে দুর্ভিক্ষ তাদের গ্রাস করে ফেলবে, জীবনযাত্রা কঠিন হবে, অত্যাচার আসবে। তারা যাকাত আদায় করবে না, ফলে আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ হয়ে যাবে এবং যদি চতুষ্পদ জন্তু না হত তাহলে মোটেই বৃষ্টি হত না। তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করলে আল্লাহ তাদের উপর বিজাতীয় দুশমনদের চাপিয়ে দেবেন। এরপর তারা তাদের থেকে সব কিছু কেড়ে নেবে এবং যে পর্যন্ত নেতৃবর্গ আল্লাহর কিতাবের বিধান প্রতিষ্ঠা না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তাদের মধ্যে পারস্পরিক সংঘাত লাগিয়ে রাখবেন।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْهِيب من منع الزَّكَاة وَمَا جَاءَ فِي زَكَاة الْحلِيّ
1150 - وَعَن بُرَيْدَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا منع قوم الزَّكَاة إِلَّا ابْتَلَاهُم الله بِالسِّنِينَ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَرُوَاته ثِقَات وَالْحَاكِم وَالْبَيْهَقِيّ فِي حَدِيث إِلَّا أَنَّهُمَا قَالَا وَلَا منع قوم الزَّكَاة إِلَّا حبس الله عَنْهُم الْقطر
وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح على شَرط مُسلم
وَرَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالْبَزَّار وَالْبَيْهَقِيّ من حَدِيث ابْن عمر وَلَفظ الْبَيْهَقِيّ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يَا معشر الْمُهَاجِرين خِصَال خمس إِن ابتليتم بِهن ونزلن بكم أعوذ بِاللَّه أَن تدركوهن لم تظهر الْفَاحِشَة فِي قوم قطّ حَتَّى يعلنوا بهَا إِلَّا فَشَا فيهم الأوجاع الَّتِي لم تكن فِي أسلافهم وَلم ينقصوا الْمِكْيَال وَالْمِيزَان إِلَّا أخذُوا بِالسِّنِينَ وَشدَّة الْمُؤْنَة وجور السُّلْطَان وَلم يمنعوا زَكَاة أَمْوَالهم إِلَّا منعُوا الْقطر من السَّمَاء وَلَوْلَا الْبَهَائِم لم يمطروا وَلَا نقضوا عهد الله وعهد رَسُوله إِلَّا سلط عَلَيْهِم عَدو من غَيرهم فَيَأْخُذ بعض مَا فِي أَيْديهم وَمَا لم تحكم أئمتهم بِكِتَاب الله إِلَّا جعل بأسهم بَينهم
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَرُوَاته ثِقَات وَالْحَاكِم وَالْبَيْهَقِيّ فِي حَدِيث إِلَّا أَنَّهُمَا قَالَا وَلَا منع قوم الزَّكَاة إِلَّا حبس الله عَنْهُم الْقطر
وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح على شَرط مُسلم
وَرَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالْبَزَّار وَالْبَيْهَقِيّ من حَدِيث ابْن عمر وَلَفظ الْبَيْهَقِيّ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يَا معشر الْمُهَاجِرين خِصَال خمس إِن ابتليتم بِهن ونزلن بكم أعوذ بِاللَّه أَن تدركوهن لم تظهر الْفَاحِشَة فِي قوم قطّ حَتَّى يعلنوا بهَا إِلَّا فَشَا فيهم الأوجاع الَّتِي لم تكن فِي أسلافهم وَلم ينقصوا الْمِكْيَال وَالْمِيزَان إِلَّا أخذُوا بِالسِّنِينَ وَشدَّة الْمُؤْنَة وجور السُّلْطَان وَلم يمنعوا زَكَاة أَمْوَالهم إِلَّا منعُوا الْقطر من السَّمَاء وَلَوْلَا الْبَهَائِم لم يمطروا وَلَا نقضوا عهد الله وعهد رَسُوله إِلَّا سلط عَلَيْهِم عَدو من غَيرهم فَيَأْخُذ بعض مَا فِي أَيْديهم وَمَا لم تحكم أئمتهم بِكِتَاب الله إِلَّا جعل بأسهم بَينهم
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১১৫১
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ যাকাত অনাদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন ও অলংকারের যাকাত
১১৫১. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: পাঁচটি গুনাহের কারণে রয়েছে পাঁচটি বিপদ। জিজ্ঞেস করা হলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ। পাঁচটির বিনিময়ে পাঁচটি কি বস্তু? তিনি বললেন: যে জাতি অঙ্গীকার ভঙ্গ করবে, তাদের উপর শত্রু চাপিয়ে দেওয়া হবে। যারা আল্লাহর আইন বিরোধী শাসন কায়েম করবে, তাদের মধ্যে (অকাল) মৃত্যু ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করবে। যারা যাকাত দানে বিরত থাকবে, তাদের উপর বৃষ্টি বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর ওযনে কম দেয়ায় ফসল হানি হবে এবং দুর্ভিক্ষ চেপে বসবে।
(হাদীসটি তাবারানীর 'কাবীর' গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। হাদীসটির সনদ হাসানের কাছাকাছি। এর সমর্থনে আরো বর্ণনা রয়েছে।)
(হাদীসটি তাবারানীর 'কাবীর' গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। হাদীসটির সনদ হাসানের কাছাকাছি। এর সমর্থনে আরো বর্ণনা রয়েছে।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْهِيب من منع الزَّكَاة وَمَا جَاءَ فِي زَكَاة الْحلِيّ
1151 - وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم خمس بِخمْس
قيل يَا رَسُول الله مَا خمس بِخمْس قَالَ مَا نقض قوم الْعَهْد إِلَّا سلط عَلَيْهِم عدوهم وَمَا حكمُوا بِغَيْر مَا أنزل الله إِلَّا فَشَا فيهم الْمَوْت وَلَا منعُوا الزَّكَاة إِلَّا حبس عَنْهُم الْقطر وَلَا طَفَّفُوا الْمِكْيَال إِلَّا حبس عَنْهُم النَّبَات وَأخذُوا بِالسِّنِينَ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَسَنَده قريب من الْحسن وَله شَوَاهِد
قيل يَا رَسُول الله مَا خمس بِخمْس قَالَ مَا نقض قوم الْعَهْد إِلَّا سلط عَلَيْهِم عدوهم وَمَا حكمُوا بِغَيْر مَا أنزل الله إِلَّا فَشَا فيهم الْمَوْت وَلَا منعُوا الزَّكَاة إِلَّا حبس عَنْهُم الْقطر وَلَا طَفَّفُوا الْمِكْيَال إِلَّا حبس عَنْهُم النَّبَات وَأخذُوا بِالسِّنِينَ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَسَنَده قريب من الْحسن وَله شَوَاهِد
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১৫২
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ যাকাত অনাদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন ও অলংকারের যাকাত
১১৫২. হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি যেন থলের মধ্যে (অতিরিক্ত সম্পদের) দুটি দিরহাম পাশাপাশি এরূপ না রাখে যে, একটি অপরটিকে স্পর্শ করে। অনুরূপ দুটি দীনারও যেন না রাখে। বরং সে তার থলেটিকে প্রশস্ত করে নেবে এবং ঐ দুটোকে পৃথক করে রাখবে।
(তাবারানী 'কাবীর' গ্রন্থে মাওকুফ সনদে সহীহ সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
(তাবারানী 'কাবীর' গ্রন্থে মাওকুফ সনদে সহীহ সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْهِيب من منع الزَّكَاة وَمَا جَاءَ فِي زَكَاة الْحلِيّ
1152 - وَعَن عبد الله بن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ قَالَ لَا يكوى رجل بكنز فيمس دِرْهَم درهما وَلَا دِينَارا يُوسع جلده حَتَّى يوضع كل دِينَار وَدِرْهَم على حِدته
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير مَوْقُوفا بِإِسْنَاد صَحِيح
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير مَوْقُوفا بِإِسْنَاد صَحِيح
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১৫৩
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ যাকাত অনাদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন ও অলংকারের যাকাত
১১৫৩. হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সৎভাবে উপার্জন করে অথচ যাকাত না দেওয়ায় তার পবিত্র সম্পদ অপবিত্র হয়ে যায়, আর যে ব্যক্তি অসৎভাবে উপার্জন করে, যাকাত দানে তা পবিত্র হয় না।
(হাদীসটি তাবারানীর 'কাবীর' গ্রন্থে মওকুফ সনদে বর্ণিত, অন্য সূত্রে মুনকাতি।)
(হাদীসটি তাবারানীর 'কাবীর' গ্রন্থে মওকুফ সনদে বর্ণিত, অন্য সূত্রে মুনকাতি।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْهِيب من منع الزَّكَاة وَمَا جَاءَ فِي زَكَاة الْحلِيّ
1153 - وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ قَالَ من كسب طيبا خبثه منع الزَّكَاة وَمن كسب خبيثا لم تطيبه الزَّكَاة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير مَوْقُوفا بِإِسْنَاد مُنْقَطع
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير مَوْقُوفا بِإِسْنَاد مُنْقَطع
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১৫৪
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ যাকাত অনাদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন ও অলংকারের যাকাত
১১৫৪. হযরত আহনাফ ইবন কায়স (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি কুরায়শদের এক জামায়াতের মধ্যে বসলাম। এমন সময় সেখানে এলো কেশধারী খসখসে কাপড় পরা ও বিক্ষিপ্ত অবস্থাসম্পন্ন এক ব্যক্তি। সে এসে তাদের সালাম দিল এবং বলল: সম্পদ সঞ্চয়কারীদের (এ মর্মে) সংবাদ দিন যে, জাহান্নামের আগুনে উত্তপ্ত করে গরম পাথর তাদের বুকের উপর রাখা হবে। ফলে তা তাদের গ্রীবাদেশের হাড় বিদীর্ণ করে অপর দিকে বের হয়ে যাবে। আবার তার ঘাড়ের হাড়ের উপর তা রাখা হবে। এমন কি তা গড়িয়ে বক্ষদেশ ভেদ করে বের হবে। এরপর লোকটি ফিরে গেল। অবশেষে সে একটি খুঁটির কাছে বসল। আমি তাকে অনুসরণ করলাম এবং তার কাছে বসলাম। তবে আমি জানতাম যে, সে কোন ব্যক্তি? আমি বললামঃ তুমি তাদের যা বলেছ, আমার ধারণা তাতে জাতির লোকেরা তোমার উপর অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। সে বলল: তারা কিছুই, বুঝে না। এতো আমার পরম বন্ধু আমাকে বলেছেন। আমি বললাম: তোমার বন্ধু কে? সে বলল: নবী (সা)। তিনি বললেন: তুমি কি উহুদ পাহাড় দেখতে পাচ্ছ? সে বলল, আমি সূর্যের দিকে তাকিয়ে দেখলাম দিনের কতটুকু অংশ এখনো বাকী এবং আমি মনে করলাম, রাসূলুল্লাহ (সা) আমাকে তাঁর কোন প্রয়োজনে পাঠাবেন। আমি বললাম: হ্যাঁ। তিনি বললেন: আমার কাছে যদি উহুদ পাহাড় সমান সোনা থাকে, তিন দীনার ব্যতীত অবশিষ্ট অংশ আমি (আল্লাহর পথে) ব্যয় করাই অধিক পসন্দ করি। তারা তো পৃথিবীতে সম্পদ সঞ্চয় করা ছাড়া কিছুই বুঝে না। আল্লাহর শপথ! আমি কখনো তাদের কাছে দুনিয়া প্রার্থনা করব না এবং দ্বীন সম্পর্কেও তাদের কাছে ফাতওয়াও চাই না, এমন কি আমি আল্লাহর সাথে মিলিত হয়ে যাই।
(বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْهِيب من منع الزَّكَاة وَمَا جَاءَ فِي زَكَاة الْحلِيّ
1154 - وَعَن الْأَحْنَف بن قيس رَضِي الله عَنهُ قَالَ جَلَست إِلَى ملإ من قُرَيْش فجَاء رجل خشن الشّعْر وَالثيَاب والهيئة حَتَّى قَامَ عَلَيْهِم فَسلم ثمَّ قَالَ بشر الكانزين برضف يحمى عَلَيْهِ فِي نَار جَهَنَّم ثمَّ يوضع على حلمة ثدي أحدهم حَتَّى يخرج من نغض كتفه وَيُوضَع على نغض كتفه حَتَّى يخرج من حلمة ثديه فيتزلزل ثمَّ ولى فَجَلَسَ إِلَى سَارِيَة وتبعته وَجَلَست إِلَيْهِ وَأَنا لَا أَدْرِي من هُوَ فَقلت لَا أرى الْقَوْم إِلَّا قد كَرهُوا الَّذِي قلت
قَالَ إِنَّهُم لَا يعْقلُونَ شَيْئا
قَالَ لي خليلي
قلت من خَلِيلك قَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أتبصر أحدا قَالَ فَنَظَرت إِلَى الشَّمْس مَا بَقِي من النَّهَار وَأَنا أرى أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يُرْسِلنِي فِي حَاجَة لَهُ قلت نعم
قَالَ مَا أحب أَن لي مثل أحد ذَهَبا أنفقهُ كُله إِلَّا ثَلَاثَة دَنَانِير وَإِن هَؤُلَاءِ لَا يعْقلُونَ إِنَّمَا يجمعُونَ الدُّنْيَا لَا وَالله لَا أسألهم دنيا وَلَا أستفتيهم عَن دين حَتَّى ألْقى الله عز وَجل
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
قَالَ إِنَّهُم لَا يعْقلُونَ شَيْئا
قَالَ لي خليلي
قلت من خَلِيلك قَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أتبصر أحدا قَالَ فَنَظَرت إِلَى الشَّمْس مَا بَقِي من النَّهَار وَأَنا أرى أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يُرْسِلنِي فِي حَاجَة لَهُ قلت نعم
قَالَ مَا أحب أَن لي مثل أحد ذَهَبا أنفقهُ كُله إِلَّا ثَلَاثَة دَنَانِير وَإِن هَؤُلَاءِ لَا يعْقلُونَ إِنَّمَا يجمعُونَ الدُّنْيَا لَا وَالله لَا أسألهم دنيا وَلَا أستفتيهم عَن دين حَتَّى ألْقى الله عز وَجل
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
হাদীস নং: ১১৫৫
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ যাকাত অনাদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন ও অলংকারের যাকাত
১১৫৫. মুসলিম শরীফের এক বর্ণনায় আছে যে, তিনি বলেছেন: সম্পদ সঞ্চয়কারীদের সুসংবাদ দাও, গরম লোহা দ্বারা তাদের পিঠে দাগ দেয়ার, যে গরম লোহা তাদের শরীরের পাশ দিয়ে বেরিয়ে আসবে এবং তাদের ঘাড়ের দিকে গরম লোহা দ্বারা এমনভাবে দাগ দেওয়া হবে যে, কপালের দিক দিয়ে তা বেরিয়ে আসবে। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি একটু সরে বসে পড়লেন। সে (বর্ণনাকারী) বলল: আমি জিজ্ঞেস করলাম: এ লোকটি কে? তারা বললঃ আবু যর (রা)। আমি তাঁর কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম: কিছুক্ষণ আগে আপনাকে যা বলতে শুনলাম, তা কি? তিনি বললেন: আমি তা-ই বলেছি, যা আমি তাদের নবী থেকে শুনেছি। সে বলল, আমি বললামঃ এ দান সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? তিনি বললেনঃ তা গ্রহণ কর। কেননা আজকের দিনে তাতে রয়েছে সাহায্য। তবে তা যদি হয় দ্বীন বিক্রির মূল্য স্বরূপ, তবে তুমি তা বর্জন কর।
كتاب الصَّدقَات
التَّرْهِيب من منع الزَّكَاة وَمَا جَاءَ فِي زَكَاة الْحلِيّ
1155 - وَفِي رِوَايَة لمُسلم أَنه قَالَ بشر الكانزين بكي فِي ظُهُورهمْ يخرج من
جنُوبهم وبكي من قبل أقفائهم حَتَّى يخرج من جباههم
قَالَ ثمَّ تنحى فَقعدَ
قَالَ قلت من هَذَا قَالُوا هَذَا أَبُو ذَر
قَالَ فَقُمْت إِلَيْهِ فَقلت مَا شَيْء سَمِعتك تَقول قبيل قَالَ مَا قلت إِلَّا شَيْئا قد سمعته من نَبِيّهم صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ قلت مَا تَقول فِي هَذَا الْعَطاء قَالَ خُذْهُ فَإِن فِيهِ الْيَوْم مَعُونَة فَإِذا كَانَ ثمنا لدينك فَدَعْهُ
الرضف بِفَتْح الرَّاء وَسُكُون الضَّاد الْمُعْجَمَة هُوَ الْحِجَارَة المحماة
والنغض بِضَم النُّون وَسُكُون الْغَيْن الْمُعْجَمَة بعْدهَا ضاد مُعْجمَة وَهُوَ غضروف الْكَتف
جنُوبهم وبكي من قبل أقفائهم حَتَّى يخرج من جباههم
قَالَ ثمَّ تنحى فَقعدَ
قَالَ قلت من هَذَا قَالُوا هَذَا أَبُو ذَر
قَالَ فَقُمْت إِلَيْهِ فَقلت مَا شَيْء سَمِعتك تَقول قبيل قَالَ مَا قلت إِلَّا شَيْئا قد سمعته من نَبِيّهم صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ قلت مَا تَقول فِي هَذَا الْعَطاء قَالَ خُذْهُ فَإِن فِيهِ الْيَوْم مَعُونَة فَإِذا كَانَ ثمنا لدينك فَدَعْهُ
الرضف بِفَتْح الرَّاء وَسُكُون الضَّاد الْمُعْجَمَة هُوَ الْحِجَارَة المحماة
والنغض بِضَم النُّون وَسُكُون الْغَيْن الْمُعْجَمَة بعْدهَا ضاد مُعْجمَة وَهُوَ غضروف الْكَتف
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১৫৬
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ অনুচ্ছেদ
১১৫৬. হযরত আমর ইবন শু'আয়ব থেকে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা ও দাদা (রা) সূত্রে বর্ণিত। একদা এক মহিলা তার একটি কন্যা সন্তানকে নিয়ে নবী (সা) এর কাছে এলো। তার কন্যা সন্তানটির হাতে দুটো মোটা স্বর্ণের পাত শোভা পাচ্ছিল। তিনি তাকে বললেন: তুকি কি এর যাকাত আদায় করেছ? সে বলল: না। তিনি বললেন : আল্লাহ তা'আলা কিয়ামতের দিন তোমাকে আগুনের দুটো চুড়ি পরিধান করাবেন, তা কি তুমি চাও? বর্ণনাকারী বলেন: সে চুড়ি দুটো খুলে নবী (সা) এর কাছে দিল এবং সে বলল: এ দুটো আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্য।
(আহমদ, আবূ দাঊদ নিজ শব্দযোগে, তিরমিযী ও দারু কুতনী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তিরমিযী ও দারু কুতনীর বর্ণনা এরূপঃ দু'জন মহিলা হাতে স্বর্ণের চুড়ি পরে রাসূলুল্লাহ (সা) এর নিকট এলো। তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমরা কি এর যাকাত আদায় করেছ? তারা বলল: না। রাসূলুল্লাহ (সা) তাদেরকে বললেন: আল্লাহ তোমাদের হাতে আগুনের চুড়ি পরাবেন, তা কি তোমরা চাও? তারা বলল: না। তিনি বললেন: তা হলে তোমরা এর যাকাত আদায় করে দাও। নাসাঈ মুরসাল ও মুত্তাসিল সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে হাদীসটি মুরসাল, এ কথাই প্রাধান্য লাভ করেছে।)
[খাত্তাবী (র) নবী (সা) এর বর্ণনা করে বলেনঃ] أَيَسُرُّك أَن يسورك الله ....... من نَار হাদীসের এই শব্দমালা মূলত কুরআনের আয়াত। يَوْم يحمى ...... وجنوبهم আয়তেরই ব্যাখ্যা।
(আহমদ, আবূ দাঊদ নিজ শব্দযোগে, তিরমিযী ও দারু কুতনী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তিরমিযী ও দারু কুতনীর বর্ণনা এরূপঃ দু'জন মহিলা হাতে স্বর্ণের চুড়ি পরে রাসূলুল্লাহ (সা) এর নিকট এলো। তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমরা কি এর যাকাত আদায় করেছ? তারা বলল: না। রাসূলুল্লাহ (সা) তাদেরকে বললেন: আল্লাহ তোমাদের হাতে আগুনের চুড়ি পরাবেন, তা কি তোমরা চাও? তারা বলল: না। তিনি বললেন: তা হলে তোমরা এর যাকাত আদায় করে দাও। নাসাঈ মুরসাল ও মুত্তাসিল সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে হাদীসটি মুরসাল, এ কথাই প্রাধান্য লাভ করেছে।)
[খাত্তাবী (র) নবী (সা) এর বর্ণনা করে বলেনঃ] أَيَسُرُّك أَن يسورك الله ....... من نَار হাদীসের এই শব্দমালা মূলত কুরআনের আয়াত। يَوْم يحمى ...... وجنوبهم আয়তেরই ব্যাখ্যা।
كتاب الصَّدقَات
فصل
1156 - رُوِيَ عَن عَمْرو بن شُعَيْب رَضِي الله عَنهُ عَن أَبِيه عَن جده أَن امْرَأَة أَتَت النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَمَعَهَا ابْنة لَهَا وَفِي يَد ابْنَتهَا مسكتان غليظتان من ذهب فَقَالَ لَهَا أتعطين زَكَاة هَذَا قَالَت لَا
قَالَ أَيَسُرُّك أَن يسورك الله بهما يَوْم الْقِيَامَة سِوَارَيْنِ من نَار قَالَ فحذفتهما فألقتهما إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَقَالَت هما لله وَلِرَسُولِهِ
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَالتِّرْمِذِيّ وَالدَّارَقُطْنِيّ وَلَفظ التِّرْمِذِيّ وَالدَّارَقُطْنِيّ نَحوه أَن امْرَأتَيْنِ أتتا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَفِي أَيْدِيهِمَا سواران من ذهب فَقَالَ لَهما أتؤديان زَكَاته قَالَتَا لَا
فَقَالَ لَهما رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أتحبان أَن يسوركما الله بسوارين من نَار قَالَتَا لَا
قَالَ فأديا زَكَاته
وَرَوَاهُ النَّسَائِيّ مُرْسلا ومتصلا وَرجح الْمُرْسل
المسكة محركة وَاحِدَة الْمسك وَهُوَ أسورة من ذبل أَو قرن أَو عاج فَإِذا كَانَت من غير ذَلِك أضيفت إِلَيْهِ
قَالَ الْخطابِيّ فِي قَوْله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَيَسُرُّك أَن يسورك الله بهما سِوَارَيْنِ من نَار إِنَّمَا هُوَ تَأْوِيل قَوْله عز وَجل {يَوْم يحمى عَلَيْهَا فِي نَار جَهَنَّم فتكوى بهَا جباههم وجنوبهم} التَّوْبَة 53 انْتهى
قَالَ أَيَسُرُّك أَن يسورك الله بهما يَوْم الْقِيَامَة سِوَارَيْنِ من نَار قَالَ فحذفتهما فألقتهما إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَقَالَت هما لله وَلِرَسُولِهِ
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَالتِّرْمِذِيّ وَالدَّارَقُطْنِيّ وَلَفظ التِّرْمِذِيّ وَالدَّارَقُطْنِيّ نَحوه أَن امْرَأتَيْنِ أتتا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَفِي أَيْدِيهِمَا سواران من ذهب فَقَالَ لَهما أتؤديان زَكَاته قَالَتَا لَا
فَقَالَ لَهما رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أتحبان أَن يسوركما الله بسوارين من نَار قَالَتَا لَا
قَالَ فأديا زَكَاته
وَرَوَاهُ النَّسَائِيّ مُرْسلا ومتصلا وَرجح الْمُرْسل
المسكة محركة وَاحِدَة الْمسك وَهُوَ أسورة من ذبل أَو قرن أَو عاج فَإِذا كَانَت من غير ذَلِك أضيفت إِلَيْهِ
قَالَ الْخطابِيّ فِي قَوْله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَيَسُرُّك أَن يسورك الله بهما سِوَارَيْنِ من نَار إِنَّمَا هُوَ تَأْوِيل قَوْله عز وَجل {يَوْم يحمى عَلَيْهَا فِي نَار جَهَنَّم فتكوى بهَا جباههم وجنوبهم} التَّوْبَة 53 انْتهى
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১১৫৭
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ অনুচ্ছেদ
১১৫৭. নবী পত্নী হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) আমার কাছে প্রবেশ করে আমার হাতে রূপার চুড়ি দেখে জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আয়েশা! এগুলো কি? আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার কাছে সৌন্দর্য প্রকাশের জন্য আমি তা তৈরি করেছি। তিনি বললেন: তুমি কি এ সবের যাকাত আদায় করেছ? আমি বললাম: না, অথবা আল্লাহ তা'আলা যা চেয়েছেন, তা বলেছি। তিনি বললেন: তোমার জাহান্নামী হওয়ার জন্য এ কাজই যথেষ্ট।
(আবূ দাউদ ও দারু কুতনী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাঁদের উভয়ের সনদে ইয়াহইয়া ইবন আয়্যুব গাফিকী নামের একজন বিতর্কিত রাবী রয়েছেন। দারু কুতনী উক্ত হাদীসের বর্ণনাকারী মুহাম্মদ ইবন আতাকে অজ্ঞাত বলেছেন, এটা মোটেই ধর্তব্য বিষয় নয়। কেননা মুহাম্মদ ইবন উমর ইবন আতা তাঁর নাম ছিল, পৌত্রকে সরাসরি দাদার দিকে নিসবত করা হয়েছে। মূলত তিনি বিশ্বস্ত এবং তাঁর বর্ণনা সহীহ। আসহাবে সুনান তাঁর থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে তাঁর থেকে বর্ণনা রয়েছে।)
[الفتخات] শব্দটি فتخة এর বহু বচন। এটি নাগীনাবিহীন সাধারণ আংটি, যা তৎকালে নারী সমাজ পায়ে পরিধান করত। কেউ কেউ হাতেও পরত। কারো কারো মতে তৎকালীন সময়ের বিত্তবান রমণীদের আংটি ছিল। [খাত্তাবী (র) বলেন]: আয়েশা (রা)-এর পরিহিত রূপার অলংকার নিসাবের পর্যায়ে পৌঁছেনি, বরং অন্যান্য অলংকারের সাথে একত্র হওয়ার কারণে নিসাবের পর্যায়ে পৌঁছায়, এজন্য রাসূলুল্লাহ (সা) তাঁকে এ কথা বলেছিলেন।
(আবূ দাউদ ও দারু কুতনী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাঁদের উভয়ের সনদে ইয়াহইয়া ইবন আয়্যুব গাফিকী নামের একজন বিতর্কিত রাবী রয়েছেন। দারু কুতনী উক্ত হাদীসের বর্ণনাকারী মুহাম্মদ ইবন আতাকে অজ্ঞাত বলেছেন, এটা মোটেই ধর্তব্য বিষয় নয়। কেননা মুহাম্মদ ইবন উমর ইবন আতা তাঁর নাম ছিল, পৌত্রকে সরাসরি দাদার দিকে নিসবত করা হয়েছে। মূলত তিনি বিশ্বস্ত এবং তাঁর বর্ণনা সহীহ। আসহাবে সুনান তাঁর থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে তাঁর থেকে বর্ণনা রয়েছে।)
[الفتخات] শব্দটি فتخة এর বহু বচন। এটি নাগীনাবিহীন সাধারণ আংটি, যা তৎকালে নারী সমাজ পায়ে পরিধান করত। কেউ কেউ হাতেও পরত। কারো কারো মতে তৎকালীন সময়ের বিত্তবান রমণীদের আংটি ছিল। [খাত্তাবী (র) বলেন]: আয়েশা (রা)-এর পরিহিত রূপার অলংকার নিসাবের পর্যায়ে পৌঁছেনি, বরং অন্যান্য অলংকারের সাথে একত্র হওয়ার কারণে নিসাবের পর্যায়ে পৌঁছায়, এজন্য রাসূলুল্লাহ (সা) তাঁকে এ কথা বলেছিলেন।
كتاب الصَّدقَات
فصل
1157 - وَعَن عَائِشَة زوج النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم رَضِي الله عَنْهَا قَالَت دخل عَليّ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَرَأى فِي يَدي فتخات من ورق فَقَالَ مَا هَذَا يَا عَائِشَة فَقلت صنعتهن أتزين لَك يَا رَسُول الله
قَالَ أتؤدين زكاتهن قلت لَا أَو مَا شَاءَ الله
قَالَ هِيَ حَسبك من النَّار
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالدَّارَقُطْنِيّ وَفِي إسنادهما يحيى بن أَيُّوب الغافقي وَقد احْتج بِهِ الشَّيْخَانِ وَغَيرهمَا وَلَا اعْتِبَار بِمَا ذكره الدَّارَقُطْنِيّ من أَن مُحَمَّد بن عَطاء مَجْهُول فَإِنَّهُ مُحَمَّد بن عمر بن عَطاء نسب إِلَى جده وَهُوَ ثِقَة ثَبت
روى لَهُ أَصْحَاب السّنَن وَاحْتج بِهِ الشَّيْخَانِ فِي صَحِيحَيْهِمَا
الفتخات بِالْخَاءِ الْمُعْجَمَة جمع فتخة وَهِي حَلقَة لَا لَهَا تجعلها الْمَرْأَة فِي أَصَابِع رِجْلَيْهَا وَرُبمَا وَضَعتهَا فِي يَدهَا وَقَالَ بَعضهم هِيَ خَوَاتِم كبار كَانَ النِّسَاء يتختمن بهَا
قَالَ الْخطابِيّ وَالْغَالِب أَن الفتخات لَا تبلغ بانفرادها نِصَابا وَإِنَّمَا مَعْنَاهُ أَن تضم إِلَى بَقِيَّة مَا عِنْدهَا من الْحلِيّ فتؤدي زَكَاتهَا فِيهِ
قَالَ أتؤدين زكاتهن قلت لَا أَو مَا شَاءَ الله
قَالَ هِيَ حَسبك من النَّار
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالدَّارَقُطْنِيّ وَفِي إسنادهما يحيى بن أَيُّوب الغافقي وَقد احْتج بِهِ الشَّيْخَانِ وَغَيرهمَا وَلَا اعْتِبَار بِمَا ذكره الدَّارَقُطْنِيّ من أَن مُحَمَّد بن عَطاء مَجْهُول فَإِنَّهُ مُحَمَّد بن عمر بن عَطاء نسب إِلَى جده وَهُوَ ثِقَة ثَبت
روى لَهُ أَصْحَاب السّنَن وَاحْتج بِهِ الشَّيْخَانِ فِي صَحِيحَيْهِمَا
الفتخات بِالْخَاءِ الْمُعْجَمَة جمع فتخة وَهِي حَلقَة لَا لَهَا تجعلها الْمَرْأَة فِي أَصَابِع رِجْلَيْهَا وَرُبمَا وَضَعتهَا فِي يَدهَا وَقَالَ بَعضهم هِيَ خَوَاتِم كبار كَانَ النِّسَاء يتختمن بهَا
قَالَ الْخطابِيّ وَالْغَالِب أَن الفتخات لَا تبلغ بانفرادها نِصَابا وَإِنَّمَا مَعْنَاهُ أَن تضم إِلَى بَقِيَّة مَا عِنْدهَا من الْحلِيّ فتؤدي زَكَاتهَا فِيهِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১৫৮
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ অনুচ্ছেদ
১১৫৮. হযরত আসমা বিনতে ইয়াযীদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এবং আমার খালা স্বর্ণের চুড়ি পরে নবী (সা) এর নিকট গেলাম। তিনি বললেন: তোমরা কি এ সবের যাকাত আদায় কর? সে (রাবী) বলল, আমরা বললামঃ না। তিনি বললেন: (যাকাত না দিলে) আল্লাহ তোমাদের আগুনের চুড়ি পরাবেন, এ বিষয়ে কি তোমরা ভয় কর না? ফলে তারা দু'জনে এর যাকাত আদায় করে দিল।
(হাদীসটি আহমদ হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি আহমদ হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّدقَات
فصل
1158 - وَعَن أَسمَاء بنت يزِيد رَضِي الله عَنْهَا قَالَت دخلت أَنا وخالتي على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وعلينا أسورة من ذهب فَقَالَ لنا أتعطيان زَكَاته قَالَت فَقُلْنَا لَا فَقَالَ أما تخافان أَن يسوركما الله أسورة من نَار أديا زَكَاته
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১১৫৯
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ অনুচ্ছেদ
১১৫৯. মুহাম্মদ ইবন যিয়াদ (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবু উমামা (রা)-কে প্রশ্ন করতে শুনেছি। তিনি জিজ্ঞেস করেছেন: তরবারির বাটের স্বর্ণ কি কান্যের অন্তর্ভুক্ত? তিনি বললেন: হ্যাঁ, কান্যের অন্তর্ভুক্ত। এক ব্যক্তি বললঃ এ বৃদ্ধ লোকটি আহমক, তার বুদ্ধিমত্তা চলে গেছে। আবু উমামা (রা) বললেনঃ আমি তো কেবল শুনেই তোমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করছি।
(তাবারানী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁর সনদে বাকীয়া ইবন ওয়ালীদ নামে একজন দুর্বল বর্ণনাকারী রয়েছেন।)
(তাবারানী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁর সনদে বাকীয়া ইবন ওয়ালীদ নামে একজন দুর্বল বর্ণনাকারী রয়েছেন।)
كتاب الصَّدقَات
فصل
1159 - وَعَن مُحَمَّد بن زِيَاد رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت أَبَا أُمَامَة وَهُوَ يسْأَل عَن حلية السيوف أَمن الْكُنُوز هِيَ قَالَ نعم من الْكُنُوز فَقَالَ رجل هَذَا شيخ أَحمَق قد ذهب عقله فَقَالَ أَبُو أُمَامَة أما إِنِّي مَا أحدثكُم إِلَّا مَا سَمِعت
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ
وَفِي إِسْنَاده بَقِيَّة بن الْوَلِيد
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ
وَفِي إِسْنَاده بَقِيَّة بن الْوَلِيد
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১১৬০
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ অনুচ্ছেদ
১১৬০. হযরত সাওবান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: একদা হিন্দা বিনত হুবায়রা (রা) হাতে স্বর্ণের মোটা আংটি পরিধান করে রাসূলুল্লাহ (সা) এর কাছে আসেন। রাসূলুল্লাহ (সা) তাঁর হাতে আঘাত করতে লাগলেন। এরপর তিনি ফাতিমা (রা)-এর কাছে প্রবেশ করে রাসূলুল্লাহ কর্তৃক কৃতকর্মের বিষয়ে অভিযোগ করলেন। ফাতিমা (রা) তাঁর গলার স্বর্ণের হারটি খুলে বললেনঃ আবু হাসান এটি তাকে উপহার দিয়েছেন। একবার রাসূলুল্লাহ (সা) তার কাছে প্রবেশ করে জিজ্ঞেস করলেন: এটা কি তোমাকে আনন্দ দেয় যে, লোক তোমাকে বলবে, তুমি রাসূল (সা) তনয়া আর তোমার গলায় আগুনের হার? এরপর তিনি না বসেই বেরিয়ে যান। সেমতে ফাতিমা (রা) হারটি বাজারে পাঠিয়ে দেন। তারপর তা বিক্রি করে উক্ত দামে একটি দাস ক্রয় করেন।
রাবী বলেন: এক বর্ণনায় عبدا (দাস) শব্দটি রয়েছে এবং তিনি (রাবী) অনুরূপ অর্থের একটি শব্দ উল্লেখ করেন। এরপর ফাতিমা (রা) তাকে মুক্ত করে দেন। এ সংবাদ নবী-এর কাছে পৌঁছলে তিনি (খুশি হয়ে) বললেন: আলহামদু লিল্লাহ-সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই জন্য, যিনি ফাতিমাকে জাহান্নাম থেকে নাজাত দিলেন।
(নাসাঈ সহীহ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
রাবী বলেন: এক বর্ণনায় عبدا (দাস) শব্দটি রয়েছে এবং তিনি (রাবী) অনুরূপ অর্থের একটি শব্দ উল্লেখ করেন। এরপর ফাতিমা (রা) তাকে মুক্ত করে দেন। এ সংবাদ নবী-এর কাছে পৌঁছলে তিনি (খুশি হয়ে) বললেন: আলহামদু লিল্লাহ-সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই জন্য, যিনি ফাতিমাকে জাহান্নাম থেকে নাজাত দিলেন।
(নাসাঈ সহীহ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّدقَات
فصل
1160 - وَعَن ثَوْبَان رَضِي الله عَنهُ قَالَ جَاءَت هِنْد بنت هُبَيْرَة رَضِي الله عَنْهَا إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَفِي يَدهَا فتخ من ذهب أَي خَوَاتِيم ضخام فَجعل رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يضْرب يَدهَا فَدخلت على فَاطِمَة رَضِي الله عَنْهَا تَشْكُو إِلَيْهَا الَّذِي صنع بهَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فانتزعت فَاطِمَة
سلسلة فِي عُنُقهَا من ذهب قَالَت هَذِه أهداها أَبُو حسن فَدخل رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ يَا فَاطِمَة أيغرك أَن يَقُول النَّاس ابْنة رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَفِي يدك سلسلة من نَار ثمَّ خرج وَلم يقْعد فَأرْسلت فَاطِمَة رَضِي الله عَنْهَا بالسلسلة إِلَى السُّوق فباعتها واشترت بِثمنِهَا غُلَاما وَقَالَ مرّة عبدا وَذكر كلمة مَعْنَاهَا فأعتقته فَحدث بذلك النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ الْحَمد لله الَّذِي أنجى فَاطِمَة من النَّار
رَوَاهُ النَّسَائِيّ بِإِسْنَاد صَحِيح
سلسلة فِي عُنُقهَا من ذهب قَالَت هَذِه أهداها أَبُو حسن فَدخل رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ يَا فَاطِمَة أيغرك أَن يَقُول النَّاس ابْنة رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَفِي يدك سلسلة من نَار ثمَّ خرج وَلم يقْعد فَأرْسلت فَاطِمَة رَضِي الله عَنْهَا بالسلسلة إِلَى السُّوق فباعتها واشترت بِثمنِهَا غُلَاما وَقَالَ مرّة عبدا وَذكر كلمة مَعْنَاهَا فأعتقته فَحدث بذلك النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ الْحَمد لله الَّذِي أنجى فَاطِمَة من النَّار
رَوَاهُ النَّسَائِيّ بِإِسْنَاد صَحِيح
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১১৬১
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ অনুচ্ছেদ
১১৬১. হযরত আসমা বিনতে ইয়াযীদ (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যে মহিলা গলায় সোনার অলংকার পরিধান করবে, কিয়ামতের দিন তার গলদেশে অনুরূপ আগুনের অলংকার পরিয়ে দেওয়া হবে। আর যে মহিলা তার কানে সোনার বালা পরিধান করবে, কিয়ামতের দিন তার কানে আগুনের বালা পরিয়ে দেওয়া হবে।
(আবূ দাউদ ও নাসাঈ বিশুদ্ধ সনদে এ হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
(আবূ দাউদ ও নাসাঈ বিশুদ্ধ সনদে এ হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّدقَات
فصل
1161 - وَعَن أَسمَاء بنت يزِيد رَضِي الله عَنْهَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ أَيّمَا امْرَأَة تقلدت قلادة من ذهب قلدت فِي عُنُقهَا مثلهَا من النَّار يَوْم الْقِيَامَة وَأَيّمَا امْرَأَة جعلت فِي أذنها خرصا من ذهب جعل فِي أذنها مثله من النَّار يَوْم الْقِيَامَة
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ بِإِسْنَاد جيد
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ بِإِسْنَاد جيد
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১১৬২
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ অনুচ্ছেদ
১১৬২. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যে ব্যক্তি পাঁজরে আগুনের আংটি পরিধান করতে চায়, সে যেন স্বর্ণের আংটি পরিধান করে। আর যে ব্যক্তি আগুনের হার পরিধান করতে চায়, সে যেন স্বর্ণের হার পরিধান করে। আর যে ব্যক্তি আগুনের চুড়ি পরিধান করতে চায়, সে যেন স্বর্ণের চুড়ি পরিধান করে। অলংকার পরিধান করতে চাইলে তোমরা রূপার অলংকার পরিধান করতে পার।
(আবূ দাউদ বিশুদ্ধ সনদে উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
[গ্রন্থকার বলেন]: উল্লিখিত হাদীসসমূহে যে অলংকার পরিধানজনিত কারণে জাহান্নামের শাস্তির ভয় দেখানো হয়েছে, তা কয়েকটি ব্যাখ্যাসাপেক্ষ:
১. উল্লিখিত হাদীসসমূহের বিধান রহিত। কেননা বিশুদ্ধ বর্ণনামতে নারী সমাজের জন্য স্বর্ণের অলংকার পরিধান করা জায়েয আছে।
২. যারা অলংকারের যাকাত আদায় করে না, উপরোক্ত হাদীসসমূহ তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এর প্রমাণ স্বরূপ আমর ইবন শু'আয়ব, হযরত আয়েশা ও আসমা (রা) বর্ণিত হাদীসসমূহ রয়েছে। নারী সমাজের অলংকারে যাকাতের বিধান কার্যকর হওয়ার ব্যাপারে মতবিরোধ রয়েছে। উমর ইবন খাত্তাব (রা)-এর নিকট অলংকারের যাকাত দেওয়া ওয়াজিব। অনুরূপ আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস, আবদুল্লাহ ইবন মাস'উদ, আবদুল্লাহ ইবন আমর, সাঈদ ইবন মুসায়্যিব, আতা, সাঈদ ইবন জুবায়র (রা), আবদুল্লাহ ইবন শাদ্দাদ, মায়মূন ইবন মিহরান, ইবন সীরীন, মুজাহিদ, জাবির ইবন যায়দ, যুহরী, সুফয়ান সাওরী, আবূ হানীফা (র) ও তাঁর শিষ্যবর্গের মাযহাব। আল্লামা মুনযিরী (র)-ও এ অভিমত পোষণ করেন।
নারীদের অলংকারে যাকাত নেই বলে যাঁরা অভিমত দিয়েছেন, তাঁরা হলেন: আবদুল্লাহ ইবন উমর, জাবির ইবন আবদুল্লাহ, আসমা বিনত আবূ বকর, আয়েশা (রা), শাবী, কাসিম ইবন মুহাম্মদ, মালিক, আহমদ,
ইসহাক, আবু উবায়দ (র)। ইমাম মুনযিরী (র) বলেনঃ ইমাম শাফিঈ (র) ইরাকে অবস্থানকালে উপরোক্ত মত পোষণ করতেন। মিসরে এসে তিনি নীরবতা পালন করেন। তিনি বলেনঃ আমি ইস্তিখারার মাধ্যমে এই মাযহাব অবলম্বন করেছি।
[খাতাবী (র) বলেন]: অলংকারের যাকাত দান ওয়াজিব, এই অভিমত পোষণকারীদের পক্ষে কুরআনুল কারীমের প্রকাশ্য আয়াত বিদ্যমান। হাদীসসমূহ তাঁদের অভিমতের পক্ষে সাহায্য করছে। আর যাঁরা দ্বিমত পোষণ করেন, তাঁদের অভিমত চিন্তার উপর নির্ভরশীল। অবশ্য তাঁদের পক্ষেও কিছু সংখ্যক হাদীস রয়েছে। তবে যাকাত আদায় করাই শ্রেয়। আল্লহ সর্বজ্ঞ।
৩. যে মহিলা সৌন্দর্য প্রদর্শনের লক্ষ্যে অলংকার ব্যবহার করে, তাদের জন্য এ সকল সতর্কতামূলক হাদীস। নাসাঈ ও আবু দাউদ-এর বর্ণনায় এটাই বুঝা যায়। যেমন, রিবঈ ইবন খারাশ তাঁর স্ত্রী হতে, তিনি হুযায়ফা (রা)-এর বোন হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ বলেছেন: হে নারী সমাজ। রূপার অলংকার পরিধানে তোমাদের অসুবিধা কোথায়? মনে রেখ, তোমাদের মধ্যকার যারা সোনার অলংকার পরিধান করবে এবং সৌন্দর্য প্রদর্শন করবে, অবশ্যই সে অলংকার দ্বারা তাদের শাস্তি দেওয়া হবে। হুযায়ফা (রা)-এর বোনের নাম ফাতিমা। ইমাম নাসাঈ-এর কোন কোন বর্ণনা সূত্রে এরূপ রয়েছে যে, রিবঈ হতে, তিনি তাঁর স্ত্রী হতে, তিনি হুযায়ফা (রা)-এর বোন হতে বর্ণনা করেন। উল্লেখ্য, হুযায়ফা (রা)-এর কয়েকটি বোন ছিলেন। তাঁরা রাসূলুল্লাহ (সা) সাহচর্য পেয়েছেন।
ইমাম নাসাঈ (র) এই মর্মে একটি অনুচ্ছেদ বর্ণনা করেছেনঃ بَاب الْكَرَاهَة للنِّسَاء فِي إِظْهَار حلي الذَّهَب এরপর তিনি হযরত উকবা ইবন আমির (রা)-এর হাদীস বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) তাঁর পরিবারবর্গকে অলংকার ও রেশমী বস্তু পরিধান করতে নিষেধ করতেন এবং বলতেন: তোমরা যদি জান্নাতে অলংকার ও রেশমী বস্তু পরিধান করতে চাও, তাহলে এ দু'টি তোমরা দুনিয়ায় পরিধান করো না। উপরোক্ত হাদীসটি হাকিম (র)-ও বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন: এই হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ। উক্ত মাসআলার ব্যাপারে ইমাম নাসাঈ (র)-এর অভিমত সাওবান ও আসমা (রা) বর্ণিত হাদীসের মর্মের অনুরূপ।
৪. যারা সোনার মোটা চুড়ি ও শাখা পরিধান করে, তাদের মধ্যে দু'টি দোষ পরিলক্ষিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর তা হল: ১. অহংকার এবং ২. বাহ্যিক প্রদর্শনীমূলক অহমিকা। হাদীসের অবশিষ্টাংশ উপরোক্ত অর্থেই নেওয়া হয়েছে। এ নিষেধের সম্ভাবনার মধ্যেও একটি সুযোগ রয়েছে। অল্প স্বর্ণ ব্যবহার জায়েয, এ পর্যায়ে ইমাম নাসাঈ (র) হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা) স্বর্ণের অলংকার পরিধান করতে নিষেধ করেছেন, তবে অল্প পরিমাণ স্বর্ণ ব্যবহারে কোন আপত্তি নেই। অনুরূপভাবে নাসাঈ (র) আবূ কিলাবা সূত্রে হযরত মু'আবিয়া ইবন আবূ সুফয়ান (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা) চিতা বাঘের উপর আরোহণ করা থেকে এবং স্বর্ণ ব্যবহার করা হতে নিষেধ করেছেন। তবে অল্প পরিমাণ ব্যবহারে কোন আপত্তি নেই। মূলত আবূ কিলাবা (র) মু'আবিয়া (রা) থেকে সরাসরি শোনেন নি। তবে নাসাঈ (র) কাতাদা থেকে, তিনি আবু কাতাদা (রা) থেকে, তিনি আবুশ-শায়খ হতে বর্ণনা করেন যে, মু'আবিয়া (রা) রাসূলুল্লাহ থেকে শুনেছেন। এরপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেন। উক্ত সূত্রটি মুত্তাসিল। আবুশ শায়খ বিশ্বস্ত ও বিখ্যাত মুহাদ্দিস। ইমাম তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন হিব্বানের 'সহীহ' গ্রন্থে হযরত আবদুল্লাহ ইবন বুরায়দা হতে, তিনি তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন:
একদা এক ব্যক্তি লোহার আংটি পরে রাসূলুল্লাহ (সা) এর নিকট আসে। রাসূলুল্লাহ (সা) তাকে বলেনঃ তোমার হাতে আগুনের অলংকার দেখছি কেন? এরপর তিনি অবশিষ্ট হাদীস বর্ণনা করেন। পরে সে ব্যক্তি বলল: আমি কিসের আংটি ব্যবহার করব? তিনি বললেন: রূপার আংটি। তবে তা যেন পূর্ণ এক মিসকাল না হয়। আল্লাহ সর্বজ্ঞ।
(আবূ দাউদ বিশুদ্ধ সনদে উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
[গ্রন্থকার বলেন]: উল্লিখিত হাদীসসমূহে যে অলংকার পরিধানজনিত কারণে জাহান্নামের শাস্তির ভয় দেখানো হয়েছে, তা কয়েকটি ব্যাখ্যাসাপেক্ষ:
১. উল্লিখিত হাদীসসমূহের বিধান রহিত। কেননা বিশুদ্ধ বর্ণনামতে নারী সমাজের জন্য স্বর্ণের অলংকার পরিধান করা জায়েয আছে।
২. যারা অলংকারের যাকাত আদায় করে না, উপরোক্ত হাদীসসমূহ তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এর প্রমাণ স্বরূপ আমর ইবন শু'আয়ব, হযরত আয়েশা ও আসমা (রা) বর্ণিত হাদীসসমূহ রয়েছে। নারী সমাজের অলংকারে যাকাতের বিধান কার্যকর হওয়ার ব্যাপারে মতবিরোধ রয়েছে। উমর ইবন খাত্তাব (রা)-এর নিকট অলংকারের যাকাত দেওয়া ওয়াজিব। অনুরূপ আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস, আবদুল্লাহ ইবন মাস'উদ, আবদুল্লাহ ইবন আমর, সাঈদ ইবন মুসায়্যিব, আতা, সাঈদ ইবন জুবায়র (রা), আবদুল্লাহ ইবন শাদ্দাদ, মায়মূন ইবন মিহরান, ইবন সীরীন, মুজাহিদ, জাবির ইবন যায়দ, যুহরী, সুফয়ান সাওরী, আবূ হানীফা (র) ও তাঁর শিষ্যবর্গের মাযহাব। আল্লামা মুনযিরী (র)-ও এ অভিমত পোষণ করেন।
নারীদের অলংকারে যাকাত নেই বলে যাঁরা অভিমত দিয়েছেন, তাঁরা হলেন: আবদুল্লাহ ইবন উমর, জাবির ইবন আবদুল্লাহ, আসমা বিনত আবূ বকর, আয়েশা (রা), শাবী, কাসিম ইবন মুহাম্মদ, মালিক, আহমদ,
ইসহাক, আবু উবায়দ (র)। ইমাম মুনযিরী (র) বলেনঃ ইমাম শাফিঈ (র) ইরাকে অবস্থানকালে উপরোক্ত মত পোষণ করতেন। মিসরে এসে তিনি নীরবতা পালন করেন। তিনি বলেনঃ আমি ইস্তিখারার মাধ্যমে এই মাযহাব অবলম্বন করেছি।
[খাতাবী (র) বলেন]: অলংকারের যাকাত দান ওয়াজিব, এই অভিমত পোষণকারীদের পক্ষে কুরআনুল কারীমের প্রকাশ্য আয়াত বিদ্যমান। হাদীসসমূহ তাঁদের অভিমতের পক্ষে সাহায্য করছে। আর যাঁরা দ্বিমত পোষণ করেন, তাঁদের অভিমত চিন্তার উপর নির্ভরশীল। অবশ্য তাঁদের পক্ষেও কিছু সংখ্যক হাদীস রয়েছে। তবে যাকাত আদায় করাই শ্রেয়। আল্লহ সর্বজ্ঞ।
৩. যে মহিলা সৌন্দর্য প্রদর্শনের লক্ষ্যে অলংকার ব্যবহার করে, তাদের জন্য এ সকল সতর্কতামূলক হাদীস। নাসাঈ ও আবু দাউদ-এর বর্ণনায় এটাই বুঝা যায়। যেমন, রিবঈ ইবন খারাশ তাঁর স্ত্রী হতে, তিনি হুযায়ফা (রা)-এর বোন হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ বলেছেন: হে নারী সমাজ। রূপার অলংকার পরিধানে তোমাদের অসুবিধা কোথায়? মনে রেখ, তোমাদের মধ্যকার যারা সোনার অলংকার পরিধান করবে এবং সৌন্দর্য প্রদর্শন করবে, অবশ্যই সে অলংকার দ্বারা তাদের শাস্তি দেওয়া হবে। হুযায়ফা (রা)-এর বোনের নাম ফাতিমা। ইমাম নাসাঈ-এর কোন কোন বর্ণনা সূত্রে এরূপ রয়েছে যে, রিবঈ হতে, তিনি তাঁর স্ত্রী হতে, তিনি হুযায়ফা (রা)-এর বোন হতে বর্ণনা করেন। উল্লেখ্য, হুযায়ফা (রা)-এর কয়েকটি বোন ছিলেন। তাঁরা রাসূলুল্লাহ (সা) সাহচর্য পেয়েছেন।
ইমাম নাসাঈ (র) এই মর্মে একটি অনুচ্ছেদ বর্ণনা করেছেনঃ بَاب الْكَرَاهَة للنِّسَاء فِي إِظْهَار حلي الذَّهَب এরপর তিনি হযরত উকবা ইবন আমির (রা)-এর হাদীস বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) তাঁর পরিবারবর্গকে অলংকার ও রেশমী বস্তু পরিধান করতে নিষেধ করতেন এবং বলতেন: তোমরা যদি জান্নাতে অলংকার ও রেশমী বস্তু পরিধান করতে চাও, তাহলে এ দু'টি তোমরা দুনিয়ায় পরিধান করো না। উপরোক্ত হাদীসটি হাকিম (র)-ও বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন: এই হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ। উক্ত মাসআলার ব্যাপারে ইমাম নাসাঈ (র)-এর অভিমত সাওবান ও আসমা (রা) বর্ণিত হাদীসের মর্মের অনুরূপ।
৪. যারা সোনার মোটা চুড়ি ও শাখা পরিধান করে, তাদের মধ্যে দু'টি দোষ পরিলক্ষিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর তা হল: ১. অহংকার এবং ২. বাহ্যিক প্রদর্শনীমূলক অহমিকা। হাদীসের অবশিষ্টাংশ উপরোক্ত অর্থেই নেওয়া হয়েছে। এ নিষেধের সম্ভাবনার মধ্যেও একটি সুযোগ রয়েছে। অল্প স্বর্ণ ব্যবহার জায়েয, এ পর্যায়ে ইমাম নাসাঈ (র) হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা) স্বর্ণের অলংকার পরিধান করতে নিষেধ করেছেন, তবে অল্প পরিমাণ স্বর্ণ ব্যবহারে কোন আপত্তি নেই। অনুরূপভাবে নাসাঈ (র) আবূ কিলাবা সূত্রে হযরত মু'আবিয়া ইবন আবূ সুফয়ান (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা) চিতা বাঘের উপর আরোহণ করা থেকে এবং স্বর্ণ ব্যবহার করা হতে নিষেধ করেছেন। তবে অল্প পরিমাণ ব্যবহারে কোন আপত্তি নেই। মূলত আবূ কিলাবা (র) মু'আবিয়া (রা) থেকে সরাসরি শোনেন নি। তবে নাসাঈ (র) কাতাদা থেকে, তিনি আবু কাতাদা (রা) থেকে, তিনি আবুশ-শায়খ হতে বর্ণনা করেন যে, মু'আবিয়া (রা) রাসূলুল্লাহ থেকে শুনেছেন। এরপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেন। উক্ত সূত্রটি মুত্তাসিল। আবুশ শায়খ বিশ্বস্ত ও বিখ্যাত মুহাদ্দিস। ইমাম তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন হিব্বানের 'সহীহ' গ্রন্থে হযরত আবদুল্লাহ ইবন বুরায়দা হতে, তিনি তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন:
একদা এক ব্যক্তি লোহার আংটি পরে রাসূলুল্লাহ (সা) এর নিকট আসে। রাসূলুল্লাহ (সা) তাকে বলেনঃ তোমার হাতে আগুনের অলংকার দেখছি কেন? এরপর তিনি অবশিষ্ট হাদীস বর্ণনা করেন। পরে সে ব্যক্তি বলল: আমি কিসের আংটি ব্যবহার করব? তিনি বললেন: রূপার আংটি। তবে তা যেন পূর্ণ এক মিসকাল না হয়। আল্লাহ সর্বজ্ঞ।
كتاب الصَّدقَات
فصل
1162 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من أحب أَن يحلق جَبينه حَلقَة من نَار فليحلقه حَلقَة من ذهب وَمن أحب أَن يطوق جَبينه طوقا من نَار فليطوقه طوقا من ذهب وَمن أحب أَن يسور جَبينه بِسوار من نَار فليسوره بِسوار من ذهب وَلَكِن عَلَيْكُم بِالْفِضَّةِ فالعبوا بهَا
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد بِإِسْنَاد صَحِيح
قَالَ المملي رَحمَه الله وَهَذِه الْأَحَادِيث الَّتِي ورد فِيهَا الْوَعيد على تحلي النِّسَاء بِالذَّهَب تحْتَمل وُجُوهًا من التَّأْوِيل
أَحدهَا أَن ذَلِك مَنْسُوخ فَإِنَّهُ قد ثَبت إِبَاحَة تحلي النِّسَاء بِالذَّهَب
الثَّانِي أَن هَذَا فِي حق من لَا يُؤَدِّي زَكَاته دون من أَدَّاهَا وَيدل على هَذَا حَدِيث عَمْرو بن شُعَيْب وَعَائِشَة وَأَسْمَاء
وَقد اخْتلف الْعلمَاء فِي ذَلِك فَروِيَ عَن عمر بن الْخطاب رَضِي الله عَنهُ أَنه أوجب فِي الْحلِيّ الزَّكَاة وَهُوَ مَذْهَب عبد الله بن عَبَّاس وَعبد الله بن مَسْعُود وَعبد الله بن عَمْرو وَسَعِيد بن الْمسيب وَعَطَاء وَسَعِيد بن جُبَير وَعبد الله بن شَدَّاد وَمَيْمُون بن مهْرَان وَابْن سِيرِين وَمُجاهد وَجَابِر بن زيد وَالزهْرِيّ وسُفْيَان الثَّوْريّ وَأبي حنيفَة وَأَصْحَابه وَاخْتَارَهُ ابْن الْمُنْذر
وَمِمَّنْ أسقط الزَّكَاة فِيهِ عبد الله بن عمر وَجَابِر بن عبد الله وَأَسْمَاء ابْنة أبي بكر وَعَائِشَة وَالشعْبِيّ وَالقَاسِم بن
مُحَمَّد وَمَالك وَأحمد وَإِسْحَاق وَأَبُو عُبَيْدَة
قَالَ الْمُنْذر وَقد كَانَ الشَّافِعِي قَالَ بِهَذَا إِذا هُوَ بالعراق ثمَّ وقف عَنهُ بِمصْر وَقَالَ هَذَا مِمَّا أستخير الله تَعَالَى فِيهِ
وَقَالَ الْخطابِيّ الظَّاهِر من الْآيَات يشْهد لقَوْل من أوجبهَا والأثر يُؤَيّدهُ وَمن أسقطها ذهب إِلَى النّظر وَمَعَهُ طرف من الْأَثر وَالِاحْتِيَاط أَدَاؤُهَا وَالله أعلم
الثَّالِث أَنه فِي حق من تزينت بِهِ وأظهرته وَيدل لهَذَا مَا رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَأَبُو دَاوُد عَن ربعي بن خرَاش عَن امْرَأَته عَن أُخْت لِحُذَيْفَة أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يَا معشر النِّسَاء مَا لَكِن فِي الْفضة مَا تحلين بِهِ أما إِنَّه لَيْسَ مِنْكُن امْرَأَة تتحلى ذَهَبا وتظهره إِلَّا عذبت بِهِ وَأُخْت حُذَيْفَة اسْمهَا فَاطِمَة
وَفِي بعض طرقه عِنْد النَّسَائِيّ عَن ربعي عَن امْرَأَة عَن أُخْت لِحُذَيْفَة رَضِي الله عَنْهَا وَكَانَ لَهُ أَخَوَات قد أدركن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَقَالَ النَّسَائِيّ بَاب الْكَرَاهَة للنِّسَاء فِي إِظْهَار حلي الذَّهَب ثمَّ صَدره بِحَدِيث عقبَة بن عَامر أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَانَ يمْنَع أَهله الْحِلْية وَالْحَرِير وَيَقُول إِن كُنْتُم تحبون حلية الْجنَّة وحريرها فَلَا تلبسوهما فِي الدُّنْيَا وَهَذَا الحَدِيث رَوَاهُ الْحَاكِم أَيْضا وَقَالَ صَحِيح على شَرطهمَا ثمَّ رأى النَّسَائِيّ فِي الْبَاب حَدِيث ثَوْبَان الْمَذْكُور وَحَدِيث أَسمَاء
الرَّابِع من الِاحْتِمَالَات أَنه إِنَّمَا منع مِنْهُ فِي حَدِيث الأسورة والفتخات لما رأى من غلظه فَإِنَّهُ مَظَنَّة الْفَخر وَالْخُيَلَاء وَبَقِيَّة الْأَحَادِيث مَحْمُولَة على هَذَا وَفِي هَذَا الِاحْتِمَال شَيْء وَيدل عَلَيْهِ مَا رَوَاهُ النَّسَائِيّ عَن عبد الله بن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نهى عَن لبس الذَّهَب إِلَّا مقطعا وروى أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ أَيْضا عَن أبي قلَابَة عَن مُعَاوِيَة بن أبي سُفْيَان رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نهى عَن ركُوب النمار وَعَن لبس الذَّهَب إِلَّا مقطعا وَأَبُو قلَابَة لم يسمع من مُعَاوِيَة وَلَكِن روى النَّسَائِيّ أَيْضا عَن قَتَادَة عَن أبي قَتَادَة عَن أبي شيخ أَنه سمع مُعَاوِيَة فَذكر نَحوه وَهَذَا مُتَّصِل وَأَبُو شيخ ثِقَة مَشْهُور
وَفِي التِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وصحيح ابْن حبَان عَن عبد الله بن بُرَيْدَة عَن أَبِيه قَالَ
جَاءَ رجل إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَعَلِيهِ خَاتم من حَدِيد فَقَالَ مَا لي أرى عَلَيْك حلية أهل النَّار فَذكر الحَدِيث إِلَى أَن قَالَ من أَي شَيْء أتخذه قَالَ من ورق لَا تتمه مِثْقَالا
وَالله أعلم
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد بِإِسْنَاد صَحِيح
قَالَ المملي رَحمَه الله وَهَذِه الْأَحَادِيث الَّتِي ورد فِيهَا الْوَعيد على تحلي النِّسَاء بِالذَّهَب تحْتَمل وُجُوهًا من التَّأْوِيل
أَحدهَا أَن ذَلِك مَنْسُوخ فَإِنَّهُ قد ثَبت إِبَاحَة تحلي النِّسَاء بِالذَّهَب
الثَّانِي أَن هَذَا فِي حق من لَا يُؤَدِّي زَكَاته دون من أَدَّاهَا وَيدل على هَذَا حَدِيث عَمْرو بن شُعَيْب وَعَائِشَة وَأَسْمَاء
وَقد اخْتلف الْعلمَاء فِي ذَلِك فَروِيَ عَن عمر بن الْخطاب رَضِي الله عَنهُ أَنه أوجب فِي الْحلِيّ الزَّكَاة وَهُوَ مَذْهَب عبد الله بن عَبَّاس وَعبد الله بن مَسْعُود وَعبد الله بن عَمْرو وَسَعِيد بن الْمسيب وَعَطَاء وَسَعِيد بن جُبَير وَعبد الله بن شَدَّاد وَمَيْمُون بن مهْرَان وَابْن سِيرِين وَمُجاهد وَجَابِر بن زيد وَالزهْرِيّ وسُفْيَان الثَّوْريّ وَأبي حنيفَة وَأَصْحَابه وَاخْتَارَهُ ابْن الْمُنْذر
وَمِمَّنْ أسقط الزَّكَاة فِيهِ عبد الله بن عمر وَجَابِر بن عبد الله وَأَسْمَاء ابْنة أبي بكر وَعَائِشَة وَالشعْبِيّ وَالقَاسِم بن
مُحَمَّد وَمَالك وَأحمد وَإِسْحَاق وَأَبُو عُبَيْدَة
قَالَ الْمُنْذر وَقد كَانَ الشَّافِعِي قَالَ بِهَذَا إِذا هُوَ بالعراق ثمَّ وقف عَنهُ بِمصْر وَقَالَ هَذَا مِمَّا أستخير الله تَعَالَى فِيهِ
وَقَالَ الْخطابِيّ الظَّاهِر من الْآيَات يشْهد لقَوْل من أوجبهَا والأثر يُؤَيّدهُ وَمن أسقطها ذهب إِلَى النّظر وَمَعَهُ طرف من الْأَثر وَالِاحْتِيَاط أَدَاؤُهَا وَالله أعلم
الثَّالِث أَنه فِي حق من تزينت بِهِ وأظهرته وَيدل لهَذَا مَا رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَأَبُو دَاوُد عَن ربعي بن خرَاش عَن امْرَأَته عَن أُخْت لِحُذَيْفَة أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يَا معشر النِّسَاء مَا لَكِن فِي الْفضة مَا تحلين بِهِ أما إِنَّه لَيْسَ مِنْكُن امْرَأَة تتحلى ذَهَبا وتظهره إِلَّا عذبت بِهِ وَأُخْت حُذَيْفَة اسْمهَا فَاطِمَة
وَفِي بعض طرقه عِنْد النَّسَائِيّ عَن ربعي عَن امْرَأَة عَن أُخْت لِحُذَيْفَة رَضِي الله عَنْهَا وَكَانَ لَهُ أَخَوَات قد أدركن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَقَالَ النَّسَائِيّ بَاب الْكَرَاهَة للنِّسَاء فِي إِظْهَار حلي الذَّهَب ثمَّ صَدره بِحَدِيث عقبَة بن عَامر أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَانَ يمْنَع أَهله الْحِلْية وَالْحَرِير وَيَقُول إِن كُنْتُم تحبون حلية الْجنَّة وحريرها فَلَا تلبسوهما فِي الدُّنْيَا وَهَذَا الحَدِيث رَوَاهُ الْحَاكِم أَيْضا وَقَالَ صَحِيح على شَرطهمَا ثمَّ رأى النَّسَائِيّ فِي الْبَاب حَدِيث ثَوْبَان الْمَذْكُور وَحَدِيث أَسمَاء
الرَّابِع من الِاحْتِمَالَات أَنه إِنَّمَا منع مِنْهُ فِي حَدِيث الأسورة والفتخات لما رأى من غلظه فَإِنَّهُ مَظَنَّة الْفَخر وَالْخُيَلَاء وَبَقِيَّة الْأَحَادِيث مَحْمُولَة على هَذَا وَفِي هَذَا الِاحْتِمَال شَيْء وَيدل عَلَيْهِ مَا رَوَاهُ النَّسَائِيّ عَن عبد الله بن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نهى عَن لبس الذَّهَب إِلَّا مقطعا وروى أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ أَيْضا عَن أبي قلَابَة عَن مُعَاوِيَة بن أبي سُفْيَان رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نهى عَن ركُوب النمار وَعَن لبس الذَّهَب إِلَّا مقطعا وَأَبُو قلَابَة لم يسمع من مُعَاوِيَة وَلَكِن روى النَّسَائِيّ أَيْضا عَن قَتَادَة عَن أبي قَتَادَة عَن أبي شيخ أَنه سمع مُعَاوِيَة فَذكر نَحوه وَهَذَا مُتَّصِل وَأَبُو شيخ ثِقَة مَشْهُور
وَفِي التِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وصحيح ابْن حبَان عَن عبد الله بن بُرَيْدَة عَن أَبِيه قَالَ
جَاءَ رجل إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَعَلِيهِ خَاتم من حَدِيد فَقَالَ مَا لي أرى عَلَيْك حلية أهل النَّار فَذكر الحَدِيث إِلَى أَن قَالَ من أَي شَيْء أتخذه قَالَ من ورق لَا تتمه مِثْقَالا
وَالله أعلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১৬৩
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ অনুচ্ছেদ
১১৬৩. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: একদা আমি রাসূলুল্লাহ (সা) এর নিকট বসেছিলাম। এ সময় এক মহিলা রাসূলুল্লাহ (সা) এর কাছে এসে বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! দুইটি সোনার চুড়ি। তিনি বললেন: দু'টি আগুনের চুড়ি। মহিলাটি বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! সোনার বেড়ি। তিনি বললেনঃ আগুনের বেড়ি। মহিলাটি বলল: দু'টি সোনার বালা। তিনি বললেন: দু'টি আগুনের বালা। রাবী বলেন: সে একটি সোনার চুরি পরিহিত ছিল। এরপর সে তা হাত থেকে খুলে ফেলে দেয়।
كتاب الصَّدقَات
فصل
1163 - وَرُوِيَ أَيْضا عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ كنت قَاعِدا عِنْد النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَأَتَتْهُ امْرَأَة فَقَالَت يَا رَسُول الله سِوَارَيْنِ من ذهب قَالَ سِوَارَيْنِ من نَار
قَالَت يَا رَسُول الله طوق من ذهب قَالَ طوق من نَار
قَالَت قرطين من ذهب قَالَ قرطين من نَار قَالَ وَكَانَ عَلَيْهَا سوار من ذهب فرمت بِهِ
قَالَت يَا رَسُول الله طوق من ذهب قَالَ طوق من نَار
قَالَت قرطين من ذهب قَالَ قرطين من نَار قَالَ وَكَانَ عَلَيْهَا سوار من ذهب فرمت بِهِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১৬৪
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ-ভীতির সাথে সদকা করার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তাতে সীমালংঘন ও খিয়ানত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন। যে আত্মবিশ্বাসী নয়, তার আমল বর্জন মুস্তাহাব এবং টোল আদায়কারী, উশরের অতিরিক্ত আদায়কারী এবং নেতৃবর্গ সম্পর্কে
১১৬৪. হযরত রাফি' ইবন খাদীজ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে যাকাত উসূলকারী তার পরিবার-পরিজনের কাছে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত আল্লাহর পথে জিহাদকারীর ন্যায়।
(আহমদ নিজ শব্দযোগে, আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ এবং ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন, এ হাদীসটি হাসান। তাবারানী 'কাবীর' গ্রন্থে হযরত আবদুর রহমান ইবন 'আওফ সূত্রে নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেন: রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, কোন ব্যক্তিকে যখন যাকাত উসূলকারী নিযুক্ত করা হয়, এরপর সে তার হিস্সা গ্রহণ করে এবং তার উপর প্রদত্ত হক আদায় করে, সে ঘরে না ফেরা পর্যন্ত আল্লাহর পথে জিহাদকারীর ন্যায়।)
(আহমদ নিজ শব্দযোগে, আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ এবং ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন, এ হাদীসটি হাসান। তাবারানী 'কাবীর' গ্রন্থে হযরত আবদুর রহমান ইবন 'আওফ সূত্রে নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেন: রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, কোন ব্যক্তিকে যখন যাকাত উসূলকারী নিযুক্ত করা হয়, এরপর সে তার হিস্সা গ্রহণ করে এবং তার উপর প্রদত্ত হক আদায় করে, সে ঘরে না ফেরা পর্যন্ত আল্লাহর পথে জিহাদকারীর ন্যায়।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْغِيب فِي الْعَمَل على الصَّدَقَة بالتقوى والترهيب من التَّعَدِّي فِيهَا والخيانة واستحباب ترك الْعَمَل لمن لَا يَثِق بِنَفسِهِ وَمَا جَاءَ فِي المكاسين والعشارين والعرفاء
1164 - عَن رَافع بن خديج رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول الْعَامِل على الصَّدَقَة بِالْحَقِّ لوجه الله تَعَالَى كالغازي فِي سَبِيل الله عز وَجل حَتَّى يرجع إِلَى أَهله
رَوَاهُ أَحْمد وَاللَّفْظ لَهُ وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث حسن وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير عَن عبد الرَّحْمَن بن عَوْف وَلَفظه قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الْعَامِل إِذا اسْتعْمل فَأخذ الْحق وَأعْطى الْحق لم يزل كالمجاهد فِي سَبِيل الله حَتَّى يرجع إِلَى بَيته
رَوَاهُ أَحْمد وَاللَّفْظ لَهُ وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث حسن وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير عَن عبد الرَّحْمَن بن عَوْف وَلَفظه قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الْعَامِل إِذا اسْتعْمل فَأخذ الْحق وَأعْطى الْحق لم يزل كالمجاهد فِي سَبِيل الله حَتَّى يرجع إِلَى بَيته
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১১৬৫
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ-ভীতির সাথে সদকা করার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তাতে সীমালংঘন ও খিয়ানত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন। যে আত্মবিশ্বাসী নয়, তার আমল বর্জন মুস্তাহাব এবং টোল আদায়কারী, উশরের অতিরিক্ত আদায়কারী এবং নেতৃবর্গ সম্পর্কে
১১৬৫. হযরত আবূ মূসা আশ'আরী (রা) থেকে নবী (সা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: আমানতদার মুসলিম ভাণ্ডার রক্ষক ঐ ব্যক্তি, যে নির্দেশমত যাকাত উসূল করে এবং পুরোপুরিভাবে ভাণ্ডারে সন্তুষ্ট চিত্তে জমা দেয়। এরপর যাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে সে বণ্টন করে, তবে সে যেন যাকাত দানকারীদের একজন।
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম ও আবু দাউদ বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম ও আবু দাউদ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْغِيب فِي الْعَمَل على الصَّدَقَة بالتقوى والترهيب من التَّعَدِّي فِيهَا والخيانة واستحباب ترك الْعَمَل لمن لَا يَثِق بِنَفسِهِ وَمَا جَاءَ فِي المكاسين والعشارين والعرفاء
1165 - وَعَن أبي مُوسَى الْأَشْعَرِيّ رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه قَالَ إِن الخازن الْمُسلم الْأمين الَّذِي ينْقل مَا أَمر بِهِ فيعطيه كَامِلا موفرا طيبَة بِهِ نَفسه فيدفعه إِلَى الَّذِي أَمر بِهِ أحد المتصدقين
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد
হাদীস নং: ১১৬৬
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ-ভীতির সাথে সদকা করার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তাতে সীমালংঘন ও খিয়ানত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন। যে আত্মবিশ্বাসী নয়, তার আমল বর্জন মুস্তাহাব এবং টোল আদায়কারী, উশরের অতিরিক্ত আদায়কারী এবং নেতৃবর্গ সম্পর্কে
১১৬৬. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে নবী সূত্রে বর্ণিত। যাকাত উসূলের বিনিময়ে উপার্জন হলো সর্বোত্তম উপার্জন, যদি সে কল্যাণকামী হয়।
(আহমদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাঁর বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত।)
(আহমদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাঁর বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْغِيب فِي الْعَمَل على الصَّدَقَة بالتقوى والترهيب من التَّعَدِّي فِيهَا والخيانة واستحباب ترك الْعَمَل لمن لَا يَثِق بِنَفسِهِ وَمَا جَاءَ فِي المكاسين والعشارين والعرفاء
1166 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ خير الْكسْب كسب الْعَامِل إِذا نصح
رَوَاهُ أَحْمد وَرُوَاته ثِقَات
رَوَاهُ أَحْمد وَرُوَاته ثِقَات
তাহকীক: