আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

৮. অধ্যায়ঃ সদকা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ৩৪০ টি

হাদীস নং: ১৪২৭
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ খাদ্যদান ও পানিপান করানোর প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং এগুলো থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে
ভীতি প্রদর্শন
১৪২৭. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ সা. বলেছেন : সাতটি কাজের সওয়াব বান্দার মৃত্যুর পর কবরে অবস্থানকালেও তার নামে অব্যাহত থাকে : কেউ যদি ইলম শিক্ষা দেয় অথবা খাল খনন করে অথবা কূপ খনন করে অথবা বৃক্ষ রোপণ করে অথবা মসজিদ নির্মাণ করে অথবা কুরআন শরীফ দান করে যায় অথবা এমন সন্তান রেখে যায় যে তার মৃত্যুর পর তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে।
(হাদীসটি বায্‌যার ও আবু নুয়ায়ম হিলয়া নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। আবু নুয়ায়ম বলেন, আবু কাতাদা সূত্রে বর্ণিত হাদীসটি গরীব। আযরামী থেকে এটি কেবল আবু নুয়ায়মই একা রিওয়ায়াত করেন।
[ হাফিয বলেন ] পূর্বেও দেখা গিয়েছে যে, এ হাদীসটি ইবন মাজাহ হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন, কিন্তু ইবন মাজাহর বর্ণনায় বৃক্ষ রোপণ ও কূপ খননের উল্লেখ নেই বরং তার স্থলে
সাদকা ও মুসাফিরখানার কথা বলা হয়েছে। ইবন খুযায়মাও এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন কিন্তু তিনি কুরআন শরীফ দানের উল্লেখ করেন নি, বরং তাঁর বর্ণনায় আছে, অথবা কোন খাল সে খনন করলো।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْغِيب فِي إطْعَام الطَّعَام وَسقي المَاء والترهيب من مَنعه
1427- وَعَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم سبع تجْرِي للْعَبد بعد مَوته وَهُوَ فِي قَبره من علم علما أَو كرى نَهرا أَو حفر بِئْرا أَو غرس نخلا أَو بنى مَسْجِدا أَو ورث مُصحفا أَو ترك ولدا يسْتَغْفر لَهُ بعد مَوته

رَوَاهُ الْبَزَّار وَأَبُو نعيم فِي الْحِلْية وَقَالَ هَذَا حَدِيث غَرِيب من حَدِيث قَتَادَة تفرد بِهِ أَبُو نعيم عَن الْعَزْرَمِي
قَالَ الْحَافِظ تقدم أَن ابْن مَاجَه رَوَاهُ من حَدِيث أبي هُرَيْرَة بِإِسْنَاد حسن لَكِن لم يذكر ابْن مَاجَه غرس النّخل وَلَا حفر الْبِئْر وَذكر موضعهما الصَّدَقَة وَبَيت ابْن السَّبِيل
وَرَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه لم يذكر فِيهِ الْمُصحف وَقَالَ أَو نَهرا أكراه
يَعْنِي حفره
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪২৮
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ খাদ্যদান ও পানিপান করানোর প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং এগুলো থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে
ভীতি প্রদর্শন
১৪২৮. হযরত আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে রাসুলুল্লাহ্ সা. থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন: পানি পান করানোর চেয়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিদান লাভের মত কোন সাদকা নেই। -বায়হাকী
كتاب الصَّدقَات
التَّرْغِيب فِي إطْعَام الطَّعَام وَسقي المَاء والترهيب من مَنعه
1428- وَرُوِيَ عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَيْسَ صَدَقَة أعظم أجرا من مَاء

رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪২৯
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ খাদ্যদান ও পানিপান করানোর প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং এগুলো থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে
ভীতি প্রদর্শন
১৪২৯. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত যে, একদা সা'দ (রা) রাসূলুল্লাহ সা.-এর এর নিকট এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আমার মা ইন্তিকাল করেছেন। কিন্তু তিনি কোন ওসীয়ত করে যেতে পারেন নি। আমি যদি তাঁর পক্ষ থেকে কোন সাদকা করি তবে কি এটা তাঁর কোন উপকারে আসবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আর তুমি এক্ষেত্রে পানির সুব্যবস্থা করে দাও।
(হাদীসটি তাবারানী 'আওসাতে' বর্ণনা করেছেন। হাদীসের সকল বর্ণনাকারী সহীহ গ্রন্থের হাদীস বর্ণনায় গ্রহণযোগ্য।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْغِيب فِي إطْعَام الطَّعَام وَسقي المَاء والترهيب من مَنعه
1429- وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ أَن سَعْدا أَتَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ يَا رَسُول الله إِن أُمِّي توفيت وَلم توص أفينفعها أَن أَتصدق عَنْهَا قَالَ نعم وَعَلَيْك بِالْمَاءِ

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَرُوَاته مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪৩০
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ খাদ্যদান ও পানিপান করানোর প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং এগুলো থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে
ভীতি প্রদর্শন
১৪৩০. হযরত সা'দ ইবন উবাদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আমার মা ইন্তিকাল করেছেন। তাঁর জন্য কোন সদকাটি উত্তম হবে? তিনি বললেন, পানি। সা'দ তখন একটি কূপ খনন করে দিলেন এবং বললেন, এটি সা'দের মায়ের জন্যে।
(হাদীসটি আবু দাউদ বর্ণনা করেছেন। উপরের বর্ণনাটির পাঠ তাঁরই। ইবন মাজাহ ও ইব্‌ন খুযায়মাও তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এটি বর্ণনা করেছেন; তবে ইবন খুযায়মা বলেছেন, হাদীসটি যদি সহীহ হয়। ইব্‌ন হিব্বানও তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এটি বর্ণনা করেন। তাঁর বর্ণনাটি নিম্নরূপঃ
আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ। কোন্ সাদ্‌কাটি উত্তম? তিনি বললেন, পানি পান করানো। হাকিম ও ইবন হিব্বান অনুরূপ বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের মাপকাঠিতে সহীহ্।
[ হাফিয (র) বলেন ] হাদীসটি সবার নিকট মুনকাতি পর্যায়ের। কেননা সবাই এটি সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব সুত্রে সাদ থেকে বর্ণনা করেছেন। অথচ সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব সা'দ-এর সাক্ষাত লাভ করেননি। কেননা সা'দ ১৫ অথবা ১৪ হিজরীতে সিরিয়ায় ইন্তিকাল করেছেন। আর সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাবের জন্মই হয়েছে ১৫ হিজরীতে। এ হাদীসটি আবূ দাউদ, নাসাঈ প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ হাসান বসরী সূত্রে সা'দ থেকে বর্ণনা করেন। কিন্তু হাসান বসরীও সা'দকে পাননি। কেননা হাসান বসরীর জন্মই হয়েছে ২১ হিজরীতে। আবু দাউদ প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ এ হাদীসটি আবু ইসহাক সুবায়ীর সূত্রে জনৈক ব্যক্তির মাধ্যমে সা'দ থেকে বর্ণনা করেছেন। আল্লাহই ভাল জানেন।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْغِيب فِي إطْعَام الطَّعَام وَسقي المَاء والترهيب من مَنعه
1430- وَعَن سعد بن عبَادَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قلت يَا رَسُول الله إِن أُمِّي مَاتَت فَأَي
الصَّدَقَة أفضل قَالَ المَاء فحفر بِئْرا وَقَالَ هَذِه لأم سعد

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه إِلَّا أَنه قَالَ إِن صَحَّ الْخَبَر وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَلَفظه قلت يَا رَسُول الله أَي الصَّدَقَة أفضل قَالَ سقِِي المَاء
وَالْحَاكِم بِنَحْوِ ابْن حبَان وَقَالَ صَحِيح على شَرطهمَا
قَالَ المملي الْحَافِظ رَحمَه الله بل هُوَ مُنْقَطع الْإِسْنَاد عِنْد الْكل فَإِنَّهُم كلهم رَوَوْهُ عَن سعيد بن الْمسيب عَن سعد وَلم يُدْرِكهُ فَإِن سَعْدا توفّي بِالشَّام سنة خمس عشرَة وَقيل سنة أَربع عشرَة ومولد سعيد بن الْمسيب سنة خمس عشرَة وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُد أَيْضا وَالنَّسَائِيّ وَغَيرهمَا عَن الْحسن الْبَصْرِيّ عَن سعد وَلم يُدْرِكهُ أَيْضا فَإِن مولد الْحسن سنة إِحْدَى وَعشْرين وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُد أَيْضا وَغَيره عَن أبي إِسْحَاق السبيعِي عَن رجل عَن سعد وَالله أعلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪৩১
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ খাদ্যদান ও পানিপান করানোর প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং এগুলো থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে
ভীতি প্রদর্শন
১৪৩১. হযরত জাবির (রা) সূত্রে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কুয়া খনন করে পানির ব্যবস্থা করল, তা থেকে কোন পিপাসার্ত প্রাণ- চাই সে মানুষ হোক বা জিন্ন অথবা পাখিই হোক, পানি পান করালে আল্লাহ্ তাকে কিয়ামতের দিন পুরষ্কৃত করবেন।
(হাদীসটি ইমাম বুখারী তাঁর 'তারীখে' ও ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহে' বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْغِيب فِي إطْعَام الطَّعَام وَسقي المَاء والترهيب من مَنعه
1431- وَعَن جَابر رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من حفر مَاء لم تشرب مِنْهُ كبد حرى من جن وَلَا إنس وَلَا طَائِر إِلَّا آجره الله يَوْم الْقِيَامَة

رَوَاهُ البُخَارِيّ فِي تَارِيخه وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪৩২
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ খাদ্যদান ও পানিপান করানোর প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং এগুলো থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে
ভীতি প্রদর্শন
১৪৩২. আলী ইবনুল হাসান ইবন শকীক (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনুল মুবারক (র)-কে জনৈক ব্যক্তি বলেছিলেনঃ হে আবু আবদুর রহমান। সাত বছর হয় আমার হাঁটুতে একটি বিষ ফোঁড়া বেরিয়েছে। আমি বিভিন্ন পদ্ধতির চিকিৎসা গ্রহণ করেছি এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েছি; কিন্তু কোন ফল পাইনি। আবদুল্লাহ্ ইবনুল মুবারক তখন বললেন, তুমি এমন একটি স্থানের সন্ধান কর সেখানে মানুষের পানির খুব অভাব এবং সেখানে একটি কূপ খনন করে দাও। আমার আশা যে, সেখানে পানির ঝর্ণার ব্যবস্থা হয়ে যাবে আর এদিকে তোমার রক্তক্ষরণও বন্ধ হয়ে যাবে। লোকটি তাই করল এবং তার রোগ নিরাময় হয়ে গেল।
(ঘটনাটি বায়হাকী বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, যে এ ধরনের একটি ঘটনা আমাদের উস্তাদ হাকিম আবূ আবদুল্লাহ (র)-এর জীবনেও ঘটেছিল। কেননা তাঁর মুখে একবার ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছিল। তিনি বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা করলেন। কিন্তু এ ক্ষতটি কোনক্রমেই দূর হলো না, বরং এভাবে প্রায় একটি বছর গড়িয়ে চলল। একদিন তিনি ইমাম আবু উসমান সাবুনীকে শুক্রবারে অনুষ্ঠিত তাঁর বিশেষ মজলিসে দু'আ করতে অনুরোধ জানালেন। ইমাম তাঁর জন্য দু'আ করলেন এবং লোকেরা ঘন ঘন আমীন আমীন বলল। পরবর্তী শুক্রবারে জনৈক মহিলা ঐ মজলিসে একটি চিরকুট নিক্ষেপ করল, যাতে লিখা ছিল যে, মহিলাটি বাড়িতে ফিরে গিয়ে শুক্রবার দিবাগত রাতে হাকিম আবু আবদুল্লাহর জন্য বিশেষভাবে দু'আ করেছিল। তারপর ঐ রাতে সে রাসূলুল্লাহ্ সা.-কে স্বপ্নে দেখল, তিনি যেন বলছেন: আবু আবদুল্লাহকে বল, সে যেন মুসলমানদের জন্য পানির সুব্যবস্থা করে দেয়। আমি চিরকূটটি নিয়ে আবু আবদুল্লাহর নিকট আসলাম। তিনি বাড়ির সম্মুখে একটি পানির হাউয তৈরি করার নির্দেশ দিলেন। এর নির্মাণ কাজ শেষ হলে তিনি এতে পানি ও বরফ ফেলতে নির্দেশ দিলেন। আর লোকেরা এখান থেকে পানি পান করতে লাগল। তারপর এক সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পূর্বেই তাঁর নিরাময় হওয়ার লক্ষণ দেখা দিল এবং ক্ষতটি শুকিয়ে গেল। তাঁর চেহারা পূর্বের তুলানায় অধিকতর সুন্দর হয়ে উঠল। এরপরও তিনি অনেক বছর বেঁচে ছিলেন।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْغِيب فِي إطْعَام الطَّعَام وَسقي المَاء والترهيب من مَنعه
1432- وَعَن عَليّ بن الْحسن بن شَقِيق قَالَ سَمِعت ابْن الْمُبَارك وَسَأَلَهُ رجل يَا أَبَا عبد الرَّحْمَن قرحَة خرجت فِي ركبتي مُنْذُ سبع سِنِين وَقد عَالَجت بأنواع العلاج وَسَأَلت الْأَطِبَّاء فَلم أنتفع بِهِ
قَالَ اذْهَبْ فَانْظُر موضعا يحْتَاج النَّاس المَاء فاحفر هُنَاكَ بِئْرا فَإِنِّي أَرْجُو أَن تنبع هُنَاكَ عين ويمسك عَنْك الدَّم فَفعل الرجل فبرأ

رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ وَقَالَ وَفِي هَذَا الْمَعْنى حِكَايَة شَيخنَا الْحَاكِم أبي عبد الله رَحمَه الله فَإِنَّهُ قرح وَجهه وعالجه بأنواع المعالجة فَلم يذهب وَبَقِي فِيهِ قَرِيبا من سنة فَسَأَلَ الْأُسْتَاذ الإِمَام أَبَا عُثْمَان الصَّابُونِي أَن يَدْعُو لَهُ فِي مَجْلِسه يَوْم الْجُمُعَة فَدَعَا لَهُ وَأكْثر النَّاس التَّأْمِين فَلَمَّا كَانَ يَوْم الْجُمُعَة الْأُخْرَى أَلْقَت امْرَأَة فِي الْمجْلس رقْعَة بِأَنَّهَا عَادَتْ إِلَى بَيتهَا وَاجْتَهَدت فِي الدُّعَاء للْحَاكِم أبي عبد الله تِلْكَ اللَّيْلَة فرأت فِي منامها رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَأَنَّهُ يَقُول لَهَا قولي لأبي عبد الله يُوسع المَاء على الْمُسلمين فَجئْت بالرقعة إِلَى الْحَاكِم فَأمر
بسقاية بنيت على بَاب دَاره وَحين فرغوا من بنائها أَمر بصب المَاء فِيهَا وَطرح الجمد فِي المَاء وَأخذ النَّاس فِي الشّرْب فَمَا مر عَلَيْهِ أُسْبُوع حَتَّى ظهر الشِّفَاء وزالت تِلْكَ القروح وَعَاد وَجهه إِلَى أحسن مَا كَانَ وعاش بعد ذَلِك سِنِين
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪৩৩
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ অনুচ্ছেদ
১৪৩৩. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন : তিন ব্যক্তির সাথে আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন না কথা বলবেন, আর না তাদের দিকে তাকাবেন এবং না তাদেরকে পবিত্র করবেন। তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি। ঐ ব্যক্তি যে কোন ময়দানে অতিরিক্ত পানির সুবিধা ভোগ করে অথচ পথিক মুসাফিরকে তা থেকে বঞ্চিত রাখে।
অন্য বর্ণনায় এ কথাটিও রয়েছে: আল্লাহ্ তাকে বলবেন, আজ আমি তোকে আমার অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত রাখব যেভাবে তুই ঐ নিয়ামত থেকে লোকদেরকে রঞ্চিত রেখেছিলি। যা তোর স্বহস্ত উপার্জিত ছিল না।
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। পূর্ণ হাদীসটি ইনশা আল্লাহ্ সামনে আসবে।)
كتاب الصَّدقَات
فصل
1433- عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ثَلَاثَة لَا يكلمهم الله يَوْم الْقِيَامَة وَلَا ينظر إِلَيْهِم وَلَا يزكيهم وَلَهُم عَذَاب أَلِيم رجل على فضل مَاء بفلاة يمنعهُ ابْن السَّبِيل

زَاد فِي رِوَايَة يَقُول الله لَهُ الْيَوْم أمنعك فضلي كَمَا منعت فضل مَا لم تعْمل يداك الحَدِيث

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَيَأْتِي بِتَمَامِهِ إِن شَاءَ الله تَعَالَى
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪৩৪
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ অনুচ্ছেদ
১৪৩৪. বুহায়সা নাম্নী জনৈকা মহিলা তাঁর পিতা (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমার পিতা নবী ﷺ-এর নিকট প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ-এর জামার ভিতর নিজের মাথা ঢুকিয়ে দিয়ে চুমু খেতে লাগলেন ও তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন। তারপর বললেন, হে আল্লাহর নবী। কোন জিনিস থেকে লোককে বারণ করা বৈধ নয়? তিনি বললেন, পানি। তিনি আবার প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর নবী। কোন জিনিস মানা করা বৈধ নয়? তিনি বললেন, লবণ। তিনি আবারও বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কোন বস্তু থেকে লোককে বারণ করা বৈধ নয়? রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন: কল্যাণকর কাজ যতই করতে পার ততই মঙ্গল।
(হাদীসটি আবু দাউদ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّدقَات
فصل
1434- وَعَن امْرَأَة يُقَال لَهَا بهيسة عَن أَبِيهَا قَالَت اسْتَأْذن أبي النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَدخل بَينه وَبَين قَمِيصه فَجعل يقبل ويلتزم ثمَّ قَالَ يَا نَبِي الله مَا الشَّيْء الَّذِي لَا يحل مَنعه قَالَ المَاء
قَالَ يَا نَبِي الله مَا الشَّيْء الَّذِي لَا يحل مَنعه قَالَ الْملح
قَالَ يَا نَبِي الله مَا الشَّيْء الَّذِي لَا يحل مَنعه قَالَ أَن تفعل الْخَيْر خير لَك

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪৩৫
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ অনুচ্ছেদ
১৪৩৫. জনৈক মুহাজির সাহাবী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি তিনটি যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর সাথে শরীক ছিলাম। আমি তাঁকে একথা বলতে শুনতাম। তিনটি বস্তুর মধ্যে সকল মুসলমান অংশীদার। ঘাস, পানি ও আগুন।
(আবু দাউদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّدقَات
فصل
1435- و عن رجل من المهاجرين من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم قال : غزوت مع رسول الله صلى الله عليه وسلم ثلاثا اسمعه يقول: المسلمون شركاء في ثلاث: في الكلاء والماء والنار
رواه ابوداؤد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪৩৬
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ অনুচ্ছেদ
১৪৩৬. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছিলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! কোন জিনিস থেকে লোককে বারণ করা জায়েয নেই? তিনি বললেন, পানি, লবণ ও আগুন। আয়েশা (রা) বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ। পানির কথাতো বুঝলাম। কিন্তু লবণ ও আগুনের বিষয়টি কি? রাসূলুল্লাহ্ বললেন, হে হুমায়রা (রাসুলুল্লাহ ﷺ হযরত আয়েশা (রা)-কে আদর করে এ নামে ডাকতেন।) যে ব্যক্তি আগুন দান করল সে যেন এই আগুনে রান্নাকরা সকল খাদ্য সামগ্রী দান করল, আর যে লবণ দান করল, সে যেন এই লবণের স্বাদযুক্ত সকল খাদ্য সামগ্রী দান করল। আর যে ব্যক্তি এমন কোন স্থানে কোন মুসলমানকে সামান্য পানি পান করাল যেখানে পানি সুলভ, সে যেন একটি দাসমুক্ত করল। আর যেখানে পানি দুর্লভ, সেখানে যে ব্যক্তি কোন মুসলমানকে সামান্য পানি পান করাল, সে যেন তাকে জীবন দান করল।
(ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّدقَات
فصل
1436- وَرُوِيَ عَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا أَنَّهَا قَالَت يَا رَسُول الله مَا الشَّيْء الَّذِي لَا يحل مَنعه قَالَ المَاء وَالْملح وَالنَّار
قَالَت قلت يَا رَسُول الله هَذَا المَاء وَقد عَرفْنَاهُ فَمَا بَال الْملح وَالنَّار قَالَ يَا حميراء من أعْطى نَارا فَكَأَنَّمَا تصدق بِجَمِيعِ مَا
أنضجت تِلْكَ النَّار وَمن أعْطى ملحا فَكَأَنَّمَا تصدق بِجَمِيعِ مَا طيبت تِلْكَ الْملح وَمن سقى مُسلما شربة من مَاء حَيْثُ يُوجد المَاء فَكَأَنَّمَا أعتق رَقَبَة وَمن سقى مُسلما شربة من مَاء حَيْثُ لَا يُوجد المَاء فَكَأَنَّمَا أَحْيَاهَا

رَوَاهُ ابْن مَاجَه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪৩৭
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ অনুচ্ছেদ
১৪৩৭. হযরত আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: মুসলমানগণ তিনটি জিনিসে অংশীদার। পানি, ঘাস ও আগুন এবং এগুলোর বিক্রয় মূল্য হারাম। আবু সাঈদ বলেন, পানি দ্বারা এখানে প্রবাহমান পানিই বুঝানো হয়েছে।
(এ হাদীসটিও ইব্‌ন মাজাহ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّدقَات
فصل
1437- وَرُوِيَ عَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الْمُسلمُونَ شُرَكَاء فِي ثَلَاث فِي المَاء والكلإ وَالنَّار وثمنه حرَام
قَالَ أَبُو سعيد يَعْنِي المَاء الْجَارِي

رَوَاهُ ابْن مَاجَه أَيْضا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪৩৮
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ উপকারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, উপকারীকে তার প্রতিদান দেওয়া ও তার জন্য দু'আ করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং অকৃতজ্ঞতার পরিণাম প্রসঙ্গ
১৪৩৮. হযরত আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন আমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তোমাদের নিকট আল্লাহর নামে আশ্রয় চায়, তাকে আশ্রয় প্রদান কর। যে তোমাদের নিকট আল্লাহর নামে কোন কিছু প্রার্থনা করে, তাকে তা দান কর। যে তোমাদের নিকট আল্লাহর নামে ফরিয়াদ করে, তার ফরিয়াদ শোন। আর যে ব্যক্তি তোমাদের কোন উপকার করল, তাকে এর প্রতিদান দাও, যদি প্রতিদান দিতে তোমরা সক্ষম না হও তবে তার জন্য এই পরিমাণ দু'আ কর, তোমাদের মন সাক্ষ্য দেয় যে, তোমরা তার প্রতিদান আদায়ে সক্ষম হয়েছে।
হাদীসটি আবু দাউদ ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দসমূহ নাসাঈ’র। ইবন হিব্বানও তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং হাকিমও এটি বর্ণনা করেন। হাকিম বলেন, হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ। তাবারানীও এটি সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেছেন। তাঁর বর্ণনাটি নিম্নরূপঃ
যে ব্যক্তি তোমাদের কোন উপকার করল, তোমরা তার প্রত্যুপকার কর। যদি প্রত্যুপকারে অক্ষম হও, তবে তার জন্য এমনভাবে দু'আ কর যেন তোমাদের মন সাক্ষ্য দেয় যে, তোমরা তার শুকরিয়া আদায়ে সমর্থ হয়েছ। কেননা আল্লাহ্ নিজে শোকরগুযার এবং শোকর গুযার ব্যক্তিদেরকে তিনি ভালবাসেন।
(অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলা মানুষের সদগুণাবলী ও নেক আমলের কদর করে থাকেন এবং যারাই কোন নিয়ামতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করে, আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। )
كتاب الصَّدقَات
التَّرْغِيب فِي شكر الْمَعْرُوف ومكافأة فَاعله وَالدُّعَاء لَهُ وَمَا جَاءَ فِيمَن لم يشْكر مَا أولي إِلَيْهِ
1438- عَن عبد الله بن عَمْرو رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من استعاذ بِاللَّه فأعيذوه وَمن سألكم بِاللَّه فَأَعْطوهُ وَمن استجار بِاللَّه فأجيروه وَمن أَتَى إِلَيْكُم مَعْرُوفا فكافئوه فَإِن لم تَجدوا فَادعوا لَهُ حَتَّى تعلمُوا أَن قد كافأتموه

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرطهمَا وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط مُخْتَصرا قَالَ من اصْطنع إِلَيْكُم مَعْرُوفا فجازوه فَإِن عجزتم عَن مجازاته فَادعوا لَهُ حَتَّى تعلمُوا أَن قد شكرتم فَإِن الله شَاكر يحب الشَّاكِرِينَ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪৩৯
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ উপকারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, উপকারীকে তার প্রতিদান দেওয়া ও তার জন্য দু'আ করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং অকৃতজ্ঞতার পরিণাম প্রসঙ্গ
১৪৩৯. হযরত জাবির (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: কোন ব্যক্তি কোন দানপ্রাপ্ত হলে সে যদি সক্ষম হয়, তবে যেন সে এর প্রতিদান দেয়। আর সে যদি অপারগ হয়, তবে অন্তত সে যেন দাতার প্রশংসা করে। কেননা যে প্রশংসা করল, সে যেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নিল। আর যে গোপন করল, সে অকৃতজ্ঞ রয়ে গেল। আর যাকে কোন কিছু দেয়া হয়নি অথচ সে মিছামিছি কোন নিয়ামত প্রদত্ত হওয়ার ভাব প্রকাশ করল, সে যেন মিথ্যার দু'টি পোশাক পরিধান করে নিল।
হাদীসটি আবুয যুবায়র সুত্রে জাবির (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন এটি হাসান-গরীব। আবু দাঊদও জনৈক ব্যাক্তি সূত্রে এটি জাবির (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি এও বলেছেন, যে, ঐ ব্যক্তিটি হচ্ছে শুরাহবীল ইবন সা'দ। ইবন হিব্বানও তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এটি শুরাহবীল সূত্রে জাবির (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। তাঁর বর্ণনাটি এরূপঃ
যার কোন উপকার করা হল আর সে প্রশংসা ছাড়া আর কোন বিনিময় দিতে পারল না, সে কৃতজ্ঞ বলেই গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তি তা গোপন করল, সে যেন অকৃতজ্ঞতাই প্রকাশ করল। যে ব্যক্তি মিছামিছি কোন নিয়ামত প্রদত্ত হওয়ার ভাব ধারণ করল, সে যেন মিথ্যার দু'টি পোশাক পরিধান করে নিল।
শুরাহবীল ইবন সাদ সম্পর্কে বর্ণনা সামনে আসছে। আবু দাউদের অপর একটি বিশুদ্ধ বর্ণনায় রয়েছে। যাকে কোন নিয়ামত দান করা হল আর সে এর আলোচনা করল, সে যেন এর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো। আর যে গোপন করল, সে অকৃতজ্ঞ রয়ে গেল।
كتاب الصَّدقَات
التَّرْغِيب فِي شكر الْمَعْرُوف ومكافأة فَاعله وَالدُّعَاء لَهُ وَمَا جَاءَ فِيمَن لم يشْكر مَا أولي إِلَيْهِ
1439- وَعَن جَابر رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من أعطي عَطاء فَوجدَ فليجز بِهِ فَإِن لم يجد فليثن فَإِن من أثنى فقد شكر وَمن كتم فقد كفر وَمن تحلى بِمَا لم يُعْط كَانَ كلابس ثوبي زور

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ عَن أبي الزبير عَنهُ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب وَرَوَاهُ
أَبُو دَاوُد عَن رجل عَن جَابر وَقَالَ هُوَ شُرَحْبِيل بن سعد وَرَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه عَن شُرَحْبِيل عَنهُ وَلَفظه من أولي مَعْرُوفا فَلم يجد لَهُ جَزَاء إِلَّا الثَّنَاء فقد شكره وَمن كتمه فقد كفره وَمن تحلى بباطل فَهُوَ كلابس ثوبي زور
قَالَ الْحَافِظ وشرحبيل بن سعد تَأتي تَرْجَمته
وَفِي رِوَايَة جَيِّدَة لأبي دَاوُد من أبلي فَذكره فقد شكره وَمن كتمه فقد كفره
قَوْله من أبلي أَي من أنعم عَلَيْهِ والإبلاء الإنعام
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪৪০
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ উপকারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, উপকারীকে তার প্রতিদান দেওয়া ও তার জন্য দু'আ করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং অকৃতজ্ঞতার পরিণাম প্রসঙ্গ
১৪৪০. হযরত উসামা ইবন যায়দ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: যার কোন উপকার করা হল আর সে উপকারীকে জাযাকাল্লাহু খায়রান(এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহ্ তোমাকে এর উত্তম প্রতিদান দিন। ) বলে দু'আ দিল, সে যেন পূর্ণমাত্রায় প্রশংসা করল।
অপর বর্ণনায় রয়েছে। যে ব্যক্তি কোন কল্যাণ লাভ করল অথবা কেউ তার উপকার করল, আর সে উপকারীকে 'জাযাকাল্লাহু খায়রান' বলে দিল, সে পূর্ণমাত্রায় প্রশংসা আদায় করে ফেলল।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে, এটি হাসান-গরীব।)
[ হাফিয (যাকীউদ্দীন) বলেন ], তিরমিযীর কোন কোন কপি থেকে এটি বাদ পড়ে গিয়েছে। তাবারানীও তাঁর 'সগীর' নামক গ্রন্থে সংক্ষিপ্তাকারে এভাবে এটি বর্ণনা করেছেন: মানুষ যখন 'জাযাকাল্লাহু খায়রান' বলে দিল, তখন সে পূর্ণমাত্রায়ই প্রশংসা আদায় করে ফেলল।
كتاب الصَّدقَات
التَّرْغِيب فِي شكر الْمَعْرُوف ومكافأة فَاعله وَالدُّعَاء لَهُ وَمَا جَاءَ فِيمَن لم يشْكر مَا أولي إِلَيْهِ
1440- وَعَن أُسَامَة بن زيد رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من صنع إِلَيْهِ مَعْرُوف فَقَالَ لفَاعِله جَزَاك الله خيرا فقد أبلغ فِي الثَّنَاء

وَفِي رِوَايَة من أولي مَعْرُوفا أَو أسدي إِلَيْهِ مَعْرُوف فَقَالَ للَّذي أسداه جَزَاك الله خيرا فقد أبلغ فِي الثَّنَاء

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب
قَالَ الْحَافِظ وَقد أسقط من بعض نسخ التِّرْمِذِيّ وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الصَّغِير مُخْتَصرا إِذا قَالَ الرجل جَزَاك الله خيرا فقد أبلغ فِي الثَّنَاء
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪৪১
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ উপকারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, উপকারীকে তার প্রতিদান দেওয়া ও তার জন্য দু'আ করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং অকৃতজ্ঞতার পরিণাম প্রসঙ্গ
১৪৪১. হযরত আশ'আস ইবন কায়স (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন। মহান আল্লাহর সবচেয়ে কৃতজ্ঞ বান্দা তারাই, যারা মানুষের প্রতি সর্বাধিক কৃতজ্ঞ।
অন্য বর্ণনায় রয়েছে: যারা মানুষের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না, তারা আল্লাহর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।
(হাদীসটি আহমদ বর্ণনা করেছেন। এর সকল বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য। তাবারানী এটি উপরে বর্ণিত উসামা ইবন যায়দের রিওয়ায়াতের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْغِيب فِي شكر الْمَعْرُوف ومكافأة فَاعله وَالدُّعَاء لَهُ وَمَا جَاءَ فِيمَن لم يشْكر مَا أولي إِلَيْهِ
1441- وَعَن الْأَشْعَث بن قيس رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن أشكر النَّاس لله تبَارك وَتَعَالَى أشكرهم للنَّاس
وَفِي رِوَايَة لَا يشْكر الله من لَا يشْكر النَّاس

رَوَاهُ أَحْمد وَرُوَاته ثِقَات وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ من حَدِيث أُسَامَة بن زيد بِنَحْوِ الأولى
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪৪২
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ উপকারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, উপকারীকে তার প্রতিদান দেওয়া ও তার জন্য দু'আ করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং অকৃতজ্ঞতার পরিণাম প্রসঙ্গ
১৪৪২. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: যার কোন উপকার করা হয়, সে যেন এর প্রতিদান দেয়। আর কেউ যদি অক্ষম হয়, তবে যেন অন্তত এর আলোচনা করে। কেননা যে উপকারের আলোচনা করল, সে যেন কৃতজ্ঞতা আদায় করে নিল। আর যে ব্যক্তি মিছেমিছি কোন নিয়ামত প্রকাশের ভাব ধারণ করল, সে যেন মিথ্যার দু'টি পোশাক পরিধান করল।
(হাদীসটি আহমদ বর্ণনা করেছেন। সালিহ ইব্‌ন আবুল আখযার ব্যতীত এর সকল বর্ণনাকারীই নির্ভরযোগ্য।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْغِيب فِي شكر الْمَعْرُوف ومكافأة فَاعله وَالدُّعَاء لَهُ وَمَا جَاءَ فِيمَن لم يشْكر مَا أولي إِلَيْهِ
1442- وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من أُتِي إِلَيْهِ مَعْرُوف فليكافىء بِهِ وَمن لم يسْتَطع فليذكره فَإِن من ذكره فقد شكره وَمن تشبع بِمَا لم يُعْط فَهُوَ كلابس ثوبي زور

رَوَاهُ أَحْمد وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا صَالح بن أبي الْأَخْضَر
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪৪৩
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ উপকারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, উপকারীকে তার প্রতিদান দেওয়া ও তার জন্য দু'আ করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং অকৃতজ্ঞতার পরিণাম প্রসঙ্গ
১৪৪৩. হযরত আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে নবী ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: ঐ ব্যক্তি আল্লাহর কৃতজ্ঞ নয়, যে মানুষের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।
(আবু দাউদ ও তিরমিযী এবং তিনি বলেছেন হাদীসটি সহীহ।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْغِيب فِي شكر الْمَعْرُوف ومكافأة فَاعله وَالدُّعَاء لَهُ وَمَا جَاءَ فِيمَن لم يشْكر مَا أولي إِلَيْهِ
1443- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَا يشْكر الله من لَا يشْكر النَّاس

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ صَحِيح
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪৪৪
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ উপকারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, উপকারীকে তার প্রতিদান দেওয়া ও তার জন্য দু'আ করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং অকৃতজ্ঞতার পরিণাম প্রসঙ্গ
১৪৪৪. হযরত তালহা ইব্‌ন উবায়দুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: যার কোন উপকার করা হল, সে যেন এর আলোচনা করে। যে ব্যক্তি এর আলোচনা করল, সে যেন কৃতজ্ঞতা আদায় করে ফেলল। আর যে গোপন করল, সে অকৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করল।
(হাদীসটি তাবারানী বর্ণনা করেছেন। ইব্‌ন আবিদ দুনিয়া এটি আয়েশা (রা)-এর হাদীস হিসেবে বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْغِيب فِي شكر الْمَعْرُوف ومكافأة فَاعله وَالدُّعَاء لَهُ وَمَا جَاءَ فِيمَن لم يشْكر مَا أولي إِلَيْهِ
1444- وَرُوِيَ عَن طَلْحَة يَعْنِي ابْن عبيد الله رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من أولي مَعْرُوفا فليذكره فَمن ذكره فقد شكره وَمن كتمه فقد كفره

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَرَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا من حَدِيث عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪৪৫
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ উপকারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, উপকারীকে তার প্রতিদান দেওয়া ও তার জন্য দু'আ করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং অকৃতজ্ঞতার পরিণাম প্রসঙ্গ
১৪৪৫. হযরত নু'মান ইবন বশীর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অল্প নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না, সে অধিকটিরও শুকরিয়া আদায় করে না। আর যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না, সে আল্লাহর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না। আল্লাহর নিয়ামতের আলোচনা করা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনেরই শামিল। আর একে গোপন করা অকৃতজ্ঞতারই নামান্তর। জামায়াতে অবস্থান করা রহমত লাভের কারণ। আর জামায়াত থেকে বিচ্ছিন্নতা আযাবের কারণ হয়।
(হাদীসটি আবদুল্লাহ্ ইবন আহমদ নির্দোষ সনদে তাঁর 'যাওয়াইদ' নামক কিতাবে বর্ণনা করেছেন, ইবন আবিদ-দুনিয়াও এটি 'ইসতিনাউল মারূফ' নামক কিতাবে সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْغِيب فِي شكر الْمَعْرُوف ومكافأة فَاعله وَالدُّعَاء لَهُ وَمَا جَاءَ فِيمَن لم يشْكر مَا أولي إِلَيْهِ
1445 - وَعَن النُّعْمَان بن بشير رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من لم يشْكر الْقَلِيل لم يشْكر الْكثير وَمن لم يشْكر النَّاس لم يشْكر الله والتحدث بِنِعْمَة الله شكر وَتركهَا كفر وَالْجَمَاعَة رَحْمَة والفرقة عَذَاب

رَوَاهُ عبد الله بن أَحْمد فِي زوائده بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ وَرَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا فِي كتاب اصطناع الْمَعْرُوف بِاخْتِصَار
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪৪৬
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ উপকারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, উপকারীকে তার প্রতিদান দেওয়া ও তার জন্য দু'আ করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং অকৃতজ্ঞতার পরিণাম প্রসঙ্গ
১৪৪৬. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুহাজিরগণ এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আনসারগণ তো সকল পুণ্য নিয়ে গেল। অধিক সম্পদ থাকা অবস্থায় মুক্তহস্তে দান এবং অল্প সম্পদ থাকলে এর দ্বারাই অন্যের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শনে এদের চাইতে উত্তম কোন সম্প্রদায় আমরা আর দেখিনি। তারা আমাদের সকল প্রয়োজন পূরণ করে দিয়েছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তোমরা কি তাদের প্রশংসা ও তাদের জন্য দু'আ কর না? তারা বলল, জ্বী হ্যাঁ। তিনি বললেন, এটিই ওটির বিনিময়।
(হাদীসটি আবু দাউদ ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দসমূহ নাসাঈর।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْغِيب فِي شكر الْمَعْرُوف ومكافأة فَاعله وَالدُّعَاء لَهُ وَمَا جَاءَ فِيمَن لم يشْكر مَا أولي إِلَيْهِ
1446- وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ الْمُهَاجِرُونَ يَا رَسُول الله ذهب الْأَنْصَار بِالْأَجْرِ كُله مَا رَأينَا قوما أحسن بذلا لكثير وَلَا أحسن مواساة فِي قَلِيل مِنْهُم وَلَقَد كفونا الْمُؤْنَة
قَالَ أَلَيْسَ تثنون عَلَيْهِم بِهِ وتدعون لَهُم قَالُوا بلَى قَالَ فَذَاك بِذَاكَ

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَاللَّفْظ لَهُ
tahqiq

তাহকীক: