আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

৮. অধ্যায়ঃ সদকা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ৩৪০ টি

হাদীস নং: ১১২৭
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায় : সাদকাঃ
যাকাত আদায়ের অনুপ্রেরণা এবং তা অপরিহার্য হওয়ার গুরুত্ব
১১২৭. হযরত জারীর ইবন আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সালাত কায়েম করা, যাকাত আদায় করা এবং সকল মুসলমানের কল্যাণ কামনা করা ইত্যাদি বিষয়ের উপর আমি রাসূলুল্লাহ (সা) এর হাতে বায়আত হয়েছে।
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম এবং অপরাপর হাদীস গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الصَّدقَات
كتاب الصَّدقَات:
التَّرْغِيب فِي أَدَاء الزَّكَاة وتأكيد وُجُوبهَا
1127 - وَعَن جرير بن عبد الله رَضِي الله عَنهُ قَالَ بَايَعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم على إقَام الصَّلَاة وإيتاء الزَّكَاة والنصح لكل مُسلم

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَغَيرهمَا
হাদীস নং: ১১২৮
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায় : সাদকাঃ
যাকাত আদায়ের অনুপ্রেরণা এবং তা অপরিহার্য হওয়ার গুরুত্ব
১১২৮. হযরত উবায়দ ইবন উমায়র লায়সী তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা) বিদায় হজ্জের ভাষণে বলেছেন: নিশ্চয়ই মুসল্লীগণ আল্লাহর ওলী। যে ব্যক্তি আল্লাহ কর্তৃক ফরযরূপে ধার্যকৃত পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে, রমযানের সিয়াম পালন করে এবং তার সিয়ামের সওয়াবের আশা করে, সওয়াবের আশায় সন্তুষ্ট চিত্তে যাকাত আদায় করে এবং আল্লাহ কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত কবীরা গুনাহ থেকে বিরত থাকে। এক সাহাবী বলল: ইয়া রাসূলাল্লাহ! কবীরা গুনাহ কয়টি? তিনি বললেন: নয়টি। সর্বাপেক্ষা জঘন্য হচ্ছে আল্লাহর সাথে শরীক করা, অন্যায়ভাবে কোন মুমিন ব্যক্তিকে হত্যা করা, যুদ্ধের ময়দান থেকে পালিয়ে যাওয়া, সতী-সাধ্বী নারীর প্রতি মিথ্যা অপবাদ দেওয়া, যাদু করা, ইয়াতীমের সম্পদ (অন্যায়ভাবে) ভক্ষণ করা, সুদ খাওয়া, মুসলিম পিতামাতার সাথে অসদাচরণ করা, তোমাদের জীবিত ও মৃতদের কিবলা সম্মানিত বায়তুল্লাহ শরীফকে হালাল মনে করা। কাজেই যে ব্যক্তি জীবদ্দশায় এ সব কবীরা গুনাহ করল না, বরং সালাত কায়েম করল এবং যাকাত আদায় করল, সে হবে জান্নাতে মুহাম্মদ-এর সংগী, যার দরজার কপাটসমূহ হবে স্বর্ণের পাত খচিত।
(তাবারানীর 'কাবীর' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে এবং এর সকল রাবী বিশ্বস্ত। তবে কারো কারো ব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে। আবু দাউদ আংশিক হাদীস বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّدقَات
كتاب الصَّدقَات:
التَّرْغِيب فِي أَدَاء الزَّكَاة وتأكيد وُجُوبهَا
1128 - وَعَن عبيد بن عُمَيْر اللَّيْثِيّ رَضِي الله عَنهُ عَن أَبِيه قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي حجَّة الْوَدَاع إِن أَوْلِيَاء الله المصلون وَمن يُقيم الصَّلَوَات الْخمس الَّتِي كتبهن الله عَلَيْهِ ويصوم رَمَضَان ويحتسب صَوْمه ويؤتي الزَّكَاة محتسبا طيبَة بهَا نَفسه ويجتنب الْكَبَائِر الَّتِي نهى الله عَنْهَا فَقَالَ رجل من أَصْحَابه يَا رَسُول الله وَكم الْكَبَائِر قَالَ تسع أعظمهن الْإِشْرَاك بِاللَّه وَقتل الْمُؤمن بِغَيْر حق والفرار من الزَّحْف وَقذف المحصنة وَالسحر وَأكل مَال الْيَتِيم وَأكل الرِّبَا وعقوق الْوَالِدين الْمُسلمين وَاسْتِحْلَال الْبَيْت الْعَتِيق الْحَرَام قبلتكم أَحيَاء وأمواتا لَا يَمُوت رجل لم يعْمل هَؤُلَاءِ الْكَبَائِر وَيُقِيم الصَّلَاة ويؤتي الزَّكَاة إِلَّا رافق مُحَمَّدًا صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي بحبوحة جنَّة أَبْوَابهَا مصاريع الذَّهَب

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَرُوَاته ثِقَات وَفِي بَعضهم كَلَام وَعند أبي دَاوُد بعضه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১২৯
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায় : সাদকাঃ
যাকাত আদায়ের অনুপ্রেরণা এবং তা অপরিহার্য হওয়ার গুরুত্ব
১১২৯. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তুমি যখন যাকাত আদায় করলে, তাহলে প্রকারান্তরে তোমার উপর যা অপরিহার্য ছিল, তা-ই কেবল পূরণ করলে। যে ব্যক্তি হারাম সম্পদ জমা করে সদকা করবে, তাতে তার কোন সওয়াব হবে না, বরং এ হবে তার জন্য গুনাহ।
(হাদীসটি ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান উভয়ে তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থে এবং হাকিম বর্ণনা করেন। হাকিম বলেন: হাদীসটি সহীহ সনদে বর্ণিত।)
كتاب الصَّدقَات
كتاب الصَّدقَات:
التَّرْغِيب فِي أَدَاء الزَّكَاة وتأكيد وُجُوبهَا
1129 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِذا أدّيت الزَّكَاة فقد قضيت مَا عَلَيْك وَمن جمع مَالا حَرَامًا ثمَّ تصدق بِهِ لم يكن لَهُ فِيهِ أجر وَكَانَ إصره عَلَيْهِ

رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
হাদীস নং: ১১৩০
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায় : সাদকাঃ
যাকাত আদায়ের অনুপ্রেরণা এবং তা অপরিহার্য হওয়ার গুরুত্ব
১১৩০. হযরত যির ইবন হুবায়শ (রা) থেকে বর্ণিত। হযরত ইবন মাসউদ (রা)-এর কাছে তাঁর গোলাম কুরআন তিলাওয়াত করছিল। এমন সময় হাযরামা নামে এক ব্যক্তি এসে এসে বলল: হে আবু আবদুর রহমান! ইসলামে কোন্ জিনিসের মর্যাদা সর্বোত্তম? তিনি বললেন: সালাত। সে বলল: তারপর কোনটি? তিনি বললেন: যাকাত।
(তাবারানী তাঁর 'কাবীর' গ্রন্থে ত্রুটিমুক্ত সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
[গ্রন্থকার বলেন]: উক্ত অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত অনেকগুলো হাদীস 'সালাত অধ্যায়ে' বর্ণিত হয়েছে। অপরাপর হাদীসগুলোও সাওম এবং হজ্জ অধ্যায়ে ইন্‌শাআল্লাহ বর্ণিত হবে।
كتاب الصَّدقَات
كتاب الصَّدقَات:
التَّرْغِيب فِي أَدَاء الزَّكَاة وتأكيد وُجُوبهَا
1130 - وَعَن زر بن حُبَيْش أَن ابْن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ كَانَ عِنْده غُلَام يقْرَأ فِي الْمُصحف وَعِنْده أَصْحَابه فجَاء رجل يُقَال لَهُ حضرمة فَقَالَ يَا أَبَا عبد الرَّحْمَن أَي دَرَجَات الْإِسْلَام أفضل قَالَ الصَّلَاة
قَالَ ثمَّ أَي قَالَ الزَّكَاة

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ
قَالَ المملي وَتقدم فِي كتاب الصَّلَاة أَحَادِيث تدل لهَذَا الْبَاب وَتَأْتِي أَحَادِيث أخر فِي كتاب الصَّوْم وَالْحج إِن شَاءَ الله تَعَالَى
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১৩১
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ যাকাত অনাদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন ও অলংকারের যাকাত
১১৩১. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: কোন সোনা ও রূপার মালিক যদি এগুলোর হক (যাকাত) আদায় না করে, তবে কিয়ামতের দিন তার জন্য আগুনের শয্যা বিছানো হবে। তারপর জাহান্নামের আগুনে ঐ সব (সোনা ও রূপা) উত্তপ্ত করে তা দিয়ে তার পাঁজরে, ললাটে ও পিঠে দাগ দেওয়া হবে। এরপর যখন এর তাপ কমে যাবে, তখন পুনরায় তা উত্তপ্ত করা হবে। এভাবে চলতে থাকবে দিনভর, যার পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছর, যে পর্যন্ত না বান্দাদের মধ্যে ফায়সালা হবে। এরপর দেখান হবে তার পথ হয় জান্নাতের দিকে, না হয় জাহান্নামের দিকে। বলা হয়ঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! উট সম্বন্ধে বিধান কি? তিনি বললেন: উটের হক হল, পানিপান করার দিন তা দোহন করা। উটের মালিক যদি এর হক আদায় না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে এক প্রশস্ত প্রান্তরে অধঃমুখী করে শায়িত করা হবে। তারপর ঐ উট পূর্বের চেয়েও অধিক মোটা তাজা অবস্থায় মালিকের নিকট উপস্থিত হবে। এমন কি তার বাচ্চাও বাদ পড়বে না এবং স্বীয় খুরের দ্বারা উটের মালিক যদি তার হক আদায় না করে থাকে, তবে তাকে পায়ে দলন করতে থাকবে ও মুখে কাটতে থাকবে। মালিককে দলিত করে একটি চলে গেলে অপরটি আসবে। এমন করে এ দলন প্রক্রিয়া চলতে থাকবে ঐ দিন পর্যন্ত, যে দিনের পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছর। এরপর লোকদের ফায়সালা হবে। পথ দেখানো হবে তাকে হয় জান্নাতের দিকে, নতুবা জাহান্নামের দিকে। প্রশ্ন করা হল : ইয়া রাসূলাল্লাহ! গরু ও ছাগলের হক কি? তিনি বললেন: গরু ও ছাগলের মালিক যদি তাদের হক আদায় না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে একটি প্রশস্ত সমতল প্রান্তরে শুইয়ে দেওয়া হবে। এরপর গরু-ছাগল তাকে তাদের খুরদ্বারা দলিত মথিত এবং শিংদ্বারা আঘাত করতে থাকবে। সে দিন সে সেগুলোর কোন একটিও অনুপস্থিত দেখতে পাবে না এবং তাদের মধ্যে গরু ও ছাগলের শিংবিহীন, উল্টো শিং এবং ভাংগা শিং বিশিষ্টও থাকবে না। (দলন ও আঘাতের পর) এদের প্রথম দলটি যখন চলে যাবে, তখন দ্বিতীয় দলটি এসে যাবে। ঐ দিনটি পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান হবে। অবশেষে যখন লোকদের বিচার অনুষ্ঠান শেষ হবে, তখন তাকে পথ প্রদর্শন করা হবে হয় জান্নাতের দিকে, নতুবা জাহান্নামের দিকে। জিজ্ঞেস করা হল: ইয়া রাসূলাল্লাহ! ঘোড়ার হক কি? উত্তরে তিনি বললেন: ঘোড়া তিন প্রকার। ঘোড়া কারো জন্য পাপ স্বরূপ হবে। আর কারো জন্য হবে আবরণ, আবার কারো জন্য তা হবে পুণ্য। যার ঘোড়া পাপ স্বরূপ হবে, এ হলো সে ব্যক্তি, যে তার ঘোড়া প্রতিপালন করছে লোকদের মাঝে অহংকার প্রকাশ এবং মুসলমানদের শত্রুতা পোষণের জন্যে। এ ঘোড়াই হবে তার জন্য পাপের কারণ। যে ঘোড়া কারো জন্য আবরণ স্বরূপ হবে, এ হলো সে ব্যক্তির ঘোড়া, যে তার ঘোড়াকে আল্লাহর পথে জিহাদ করার জন্য প্রস্তুত রেখেছে এবং পিঠ ও ঘাড়ের সাথে সংশ্লিষ্ট আল্লাহর হকের কথাও সে ভুলে যায়নি। এ ঘোড়াই হবে তার জন্য ঢাল স্বরূপ। আর যে ঘোড়া মালিকের জন্য পূণ্য স্বরূপ হবে, তা হলো ঐ ব্যক্তির ঘোড়া, যে তার ঘোড়াকে আল্লাহর পথে মুসলমানদের উদ্দেশ্যে বাগান বা সবুজ তৃণভূমিতে বেঁধে রেখেছে। ঘোড়াটি ঐ চারণ ভূমি থেকে যে পরিমাণ ভক্ষণ করবে, এর বিনিময়ে তাকে পূণ্য দেওয়া হবে। অনুরূপভাবে এর মল-মূত্রের বিনিময়েও তাকে পূণ্য দেওয়া হবে। আর ঘোড়াটি রশি ছিঁড়ে এক বা দুটি টিলা অতিক্রম করলে, তার প্রতিটি পদচিহ্ন ও গোবরের বিনিময়েও তাকে সওয়াব দেওয়া হবে। যদি মালিক ঘোড়াটি নিয়ে কোন নদী-নালা অতিক্রম করে এবং মালিক ঘোড়াটিকে পানিপান করানোর ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও ঘোড়াটি কিছু পানিপান করে, তবে যে পরিমাণ পানিপান করেছে, সে পরিমাণ নেকী তাকে দেওয়া হবে। এরপর জিজ্ঞেস করা হলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! গাধা সম্পর্কে কোন বিধান আছে কি? উত্তরে তিনি বললেনঃ গাধা সম্পর্কে আমার নিকট কোন আদেশ অবতীর্ণ হয়নি। যে আয়াতে ক্ষুদ্র ও ব্যাপকতা স্থান পেয়েছে, তা হল এইঃ
فَمن يعْمل مِثْقَال ذرة خيرا يره وَمن يعْمل مِثْقَال ذرة شرا يره
"কেউ অণু পরিমাণ সৎকাজ করলে তা দেখবে এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকাজ করলে তাও দেখতে পাবে।" (সূরা যিলযালঃ ৭-৮)।
(বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। শব্দমালা মুসলিমের এবং নাসাঈ শরীফে এটি সংক্ষেপে উদ্ধৃত হয়েছে।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْهِيب من منع الزَّكَاة وَمَا جَاءَ فِي زَكَاة الْحلِيّ
1131 - عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا من صَاحب ذهب وَلَا فضَّة لَا يُؤَدِّي مِنْهَا حَقّهَا إِلَّا إِذا كَانَ يَوْم الْقِيَامَة صفحت لَهُ صفايح من نَار فأحمي عَلَيْهَا فِي نَار جَهَنَّم فيكوى بهَا جنبه وجبينه وظهره كلما بردت أُعِيدَت لَهُ فِي يَوْم كَانَ مِقْدَاره خمسين ألف سنة حَتَّى يقْضى بَين الْعباد فَيرى سَبيله إِمَّا إِلَى الْجنَّة وَإِمَّا إِلَى النَّار
قيل يَا رَسُول الله فالإبل قَالَ وَلَا صَاحب إبل لَا يُؤَدِّي مِنْهَا حَقّهَا وَمن حَقّهَا حلبها يَوْم وردهَا إِلَّا إِذا كَانَ يَوْم الْقِيَامَة بطح لَهَا بقاع قرقر أوفر مَا كَانَت لَا يفقد مِنْهَا فصيلا وَاحِدًا تطؤه بأخفافها وتعضه بأفواهها كلما مر عَلَيْهِ أولاها رد عَلَيْهِ أخراها فِي يَوْم كَانَ مِقْدَاره خمسين ألف سنة حَتَّى يقْضى بَين الْعباد فَيرى سَبيله إِمَّا إِلَى الْجنَّة وَإِمَّا إِلَى النَّار
قيل يَا رَسُول الله فالبقر وَالْغنم قَالَ وَلَا صَاحب بقر وَلَا غنم لَا يُؤَدِّي مِنْهَا حَقّهَا إِلَّا إِذا كَانَ يَوْم الْقِيَامَة بطح لَهَا بقاع قرقر أوفر مَا كَانَت لَا يفقد مِنْهَا شَيْئا لَيْسَ مِنْهَا عقصاء وَلَا جلحاء وَلَا عضباء تنطحه بقرونها وتطؤه بأظلافها كلما مر عَلَيْهِ أَولهَا رد عَلَيْهِ آخرهَا فِي يَوْم كَانَ مِقْدَاره خمسين ألف سنة حَتَّى يقْضى بَين الْعباد فَيرى سَبيله إِمَّا إِلَى الْجنَّة وَإِمَّا إِلَى النَّار
قيل يَا رَسُول الله فالخيل قَالَ الْخَيل ثَلَاثَة هِيَ لرجل وزر وَهِي لرجل ستر وَهِي لرجل أجر فَأَما الَّتِي هِيَ لَهُ وزر فَرجل ربطها رِيَاء وفخرا ونواء لاهل الْإِسْلَام فَهِيَ لَهُ وزر وَأما الَّتِي هِيَ لَهُ ستر فَرجل ربطها فِي سَبِيل الله ثمَّ لم ينس حق الله فِي ظُهُورهَا وَلَا رقابها فَهِيَ لَهُ ستر وَأما الَّتِي هِيَ لَهُ أجر فَرجل ربطها فِي سَبِيل الله لاهل الْإِسْلَام فِي مرج أَو رَوْضَة فَمَا أكلت من ذَلِك المرج أَو الرَّوْضَة من شَيْء إِلَّا كتب لَهُ عدد مَا أكلت حَسَنَات وَكتب لَهُ عدد أرواثها وَأَبْوَالهَا حَسَنَات وَلَا تقطع طولهَا فاستنت شرفا أَو شرفين إِلَّا كتب لَهُ عدد آثارها وأرواثها حَسَنَات وَلَا مر بهَا صَاحبهَا على نهر فَشَرِبت مِنْهُ وَلَا يُرِيد أَن يسقيها إِلَّا كتب الله تَعَالَى لَهُ عدد مَا شربت حَسَنَات
قيل يَا رَسُول الله فالحمر قَالَ مَا أنزل عَليّ فِي الْحمر إِلَّا هَذِه الْآيَة الفاذة الجامعة {فَمن يعْمل مِثْقَال ذرة خيرا يره وَمن يعْمل مِثْقَال ذرة شرا يره} الزلزلة 7 8

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَاللَّفْظ لَهُ وَالنَّسَائِيّ مُخْتَصرا
হাদীস নং: ১১৩২
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ যাকাত অনাদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন ও অলংকারের যাকাত
১১৩২. নাসাঈ শরীফে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার সম্পদের যাকাত আদায় করে না, কিয়ামতের দিন তা বিষধর আগুনের সাপ হয়ে তাকে ঘিরে ফেলবে। তারপর তার কপাল, পাঁজর ও পিঠে পঞ্চাশ হাজার বছর পর্যন্ত দংশন করবে, এমন কি মানুষের মধ্যে ফায়সালা অনুষ্ঠিত হয়ে যাবে।
كتاب الصَّدقَات
التَّرْهِيب من منع الزَّكَاة وَمَا جَاءَ فِي زَكَاة الْحلِيّ
1132 - وَفِي رِوَايَة للنسائي قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا من رجل لَا يُؤَدِّي زَكَاة مَاله إِلَّا جَاءَ يَوْم الْقِيَامَة شجاعا من نَار فيكوى بهَا جَبهته وجنبه وظهره فِي يَوْم كَانَ مِقْدَاره خمسين ألف سنة حَتَّى يقْضى بَين النَّاس
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১৩৩
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ যাকাত অনাদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন ও অলংকারের যাকাত
১১৩৩. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ যে উটের মালিক তার হক (যাকাত) আদায় করবে না, কিয়ামতের দিন সে উট পূর্বের চেয়ে অধিক মোটা-তাজা হয়ে মালিকের নিকট উপস্থিত হবে। এরপর তাকে একটি প্রশস্ত সমতল মাঠে বসান হবে এবং ঐ উট তার পায়ের খুরদ্বারা তাকে পদদলিত করবে। যদি কোন গরুর মালিক তার হক আদায় না করে, তবে কিয়ামতের দিন সে গরু পূর্বের চেয়েও অধিক মোটা-তাজা অবস্থায় মালিকের নিকট উপস্থিত হবে। এরপর তাকে একটি প্রশস্ত সমতল মাঠে বসান হবে এবং গরু তাকে শিংদ্বারা আক্রমণ করবে ও পদদলিত করবে। সে গরুগুলোর কোনটি শিংবিহীন এবং শিংভাঙ্গা হবে না। যদি সোন-রূপা সঞ্চয়কারী কোন ব্যক্তি এর হক আদায় না করে, তবে তার এ সঞ্চয় কিয়ামতের দিন তার মাথার উপর তিলকবিশিষ্ট বিষধর সাপরূপে মালিকের নিকট উপস্থিত হবে এবং মুখ হা করে তাকে ধাওয়া করবে। যখন সাপটি তার নিকট আসবে, তখন সে পালাবে। তখন তা তাকে ডেকে বলবে: তোমার সঞ্চিত সম্পদ তুমি গ্রহণ কর, যা তুমি লুকিয়ে রেখেছিলে। আমার তার কোন প্রয়োজন নেই। মালিক যখন দেখবে যে, এর কবল থেকে বাঁচার কোন উপায় নেই, তখন সে সাপটির মুখে হাত ঢুকিয়ে দেবে। ফলে সাপটি তার হাত ষাঁড়ের মত কামড় দিয়ে ধরবে।
(মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْهِيب من منع الزَّكَاة وَمَا جَاءَ فِي زَكَاة الْحلِيّ
1133 - وَعَن جَابر رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول مَا من صَاحب إبل لَا يفعل فِيهَا حَقّهَا إِلَّا جَاءَت يَوْم الْقِيَامَة أَكثر مَا كَانَت وَقعد لَهَا بقاع قرقر تستن عَلَيْهِ بقوائمها وأخفافها
وَلَا صَاحب بقر لَا يفعل فِيهَا حَقّهَا إِلَّا جَاءَت يَوْم الْقِيَامَة أوفر مَا كَانَت وَقعد لَهَا بقاع قرقر فتنطحه بقرونها وتطؤه بأظلافها لَيْسَ فِيهَا جماء وَلَا منكسر قرنها وَلَا صَاحب كنز لَا يفعل فِيهِ حَقه إِلَّا جَاءَ كنزه يَوْم الْقِيَامَة شجاعا أَقرع يتبعهُ فاتحا فَاه فَإِذا أَتَاهُ فر مِنْهُ فيناديه خُذ كَنْزك الَّذِي خبأته فَأَنا عَنهُ غَنِي فَإِذا رأى أَن لَا بُد لَهُ مِنْهُ سلك يَده فِي فِيهِ فيقضمها قضم الْفَحْل

رَوَاهُ مُسلم
হাদীস নং: ১১৩৪
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ যাকাত অনাদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন ও অলংকারের যাকাত
১১৩৪. হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাস'উদ (রা) থেকে রাসূলুল্লাহ (সা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার সম্পদের যাকাত আদায় করে না, কিয়ামতের দিন তার সম্পদকে তার জন্য চুলপড়া (ন্যাড়া মাথাবিশিষ্ট) সাপ সদৃশ করা হবে, এমন কি তা তার গলাদেশে বেড়ী স্বরূপ করা হবে। এরপর নবী (সা) আমাদের কাছে তাঁর বাণীর সত্যতার পক্ষে এই আয়াত তিলওয়াত করেনঃ وَلَا يَحسبن الَّذين يَبْخلُونَ بِمَا آتَاهُم الله من فَضله “আল্লাহ তাদের যা দান করেছেন, সে বিষয়ে যারা কৃপণতা করে..... আয়াতের শেষ পর্যন্ত।
(ইবন মাজাহ নিজ শব্দযোগে, নাসাঈ সহীহ সনদে এবং ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْهِيب من منع الزَّكَاة وَمَا جَاءَ فِي زَكَاة الْحلِيّ
1134 - وَعَن عبد الله بن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مَا من أحد لَا يُؤَدِّي زَكَاة مَاله إِلَّا مثل لَهُ يَوْم الْقِيَامَة شجاعا أَقرع حَتَّى يطوق بِهِ عُنُقه ثمَّ قَرَأَ علينا النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مصداقه من كتاب الله {وَلَا يَحسبن الَّذين يَبْخلُونَ بِمَا آتَاهُم الله من فَضله} آل عمرَان 81 الْآيَة

رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَاللَّفْظ لَهُ وَالنَّسَائِيّ بِإِسْنَاد صَحِيح وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه
হাদীস নং: ১১৩৫
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ যাকাত অনাদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন ও অলংকারের যাকাত
১১৩৫. হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: সাধ্যানুসারে দরিদ্র লোকদের দরিদ্রতা দূরীকরণ, ক্ষুধার্তকে অন্নদান এবং বস্ত্রহীনকে বস্ত্রের সংস্থান করার জন্য আল্লাহ তা'আলা বিত্তবান মুসলমানদের উপর যাকাত ফরয করেছেন। সাবধান! আল্লাহ তাদের কঠোর হিসাব নেবেন এবং মর্মন্তুদ শাস্তি দেবেন।
(তাবারানীর 'আওসাত' ও 'সগীর' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এ হাদীস সাবিত ইবন মুহাম্মদ একা বর্ণনা করেছেন।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেন:] সাবিত বিশ্বস্ত ও সত্যবাদী। বুখারী ও অন্যান্য রাবীগণ তাঁর থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন, অন্য বর্ণনাকারীগণ ত্রুটিমুক্ত। বুখারী আলী (রা) থেকে মাওকুফ সনদে এটি বর্ণনা করেন। আর এটা সামঞ্জস্যপূর্ণ
كتاب الصَّدقَات
التَّرْهِيب من منع الزَّكَاة وَمَا جَاءَ فِي زَكَاة الْحلِيّ
1135 - وَعَن عَليّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن الله فرض على أَغْنِيَاء الْمُسلمين فِي أَمْوَالهم بِقدر الَّذِي يسع فقراءهم وَلنْ يجْهد الْفُقَرَاء إِذا جَاعُوا وعروا إِلَّا بِمَا يصنع أغنياؤهم أَلا وَإِن الله يحاسبهم حسابا شَدِيدا ويعذبهم عذَابا أَلِيمًا

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَالصَّغِير وَقَالَ تفرد بِهِ ثَابت بن مُحَمَّد الزَّاهِد
قَالَ الْحَافِظ وثابت ثِقَة صَدُوق روى عَنهُ البُخَارِيّ وَغَيره وَبَقِيَّة رُوَاته لَا بَأْس بهم وَرُوِيَ مَوْقُوفا على عَليّ رَضِي الله عَنهُ وَهُوَ أشبه
হাদীস নং: ১১৩৬
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ যাকাত অনাদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন ও অলংকারের যাকাত
১১৩৬. মাসরূক (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত আবদুল্লাহ (রা) বলেছেন: জেনে শুনে সুদখোর, সুদদাতা, এর দু'জন সাক্ষী, এর দু'জন লেখক, সৌন্দর্যের জন্য উল্কী অংকনকারী এবং যে অংকন করায়, যাকাতদানে প্রতারণাকারী, হিজরতের পর কাফিররূপে প্রত্যাবর্তনকারী প্রমুখ ব্যক্তিগণ কিয়ামত পর্যন্ত মুহাম্মদ -এর যবানীতে অভিশপ্ত।
(ইবন খুযায়মা নিজ শব্দযোগে 'সহীহ' গ্রন্থে এবং আহমদ, আবু ইয়ালা, ইবন হিব্বান হারিস ইবন আওয়ার সূত্রে হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْهِيب من منع الزَّكَاة وَمَا جَاءَ فِي زَكَاة الْحلِيّ
1136 - وَعَن مَسْرُوق رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ عبد الله آكل الرِّبَا وموكله وشاهداه إِذا علماه والواشمة والمؤتشمة ولاوي الصَّدَقَة وَالْمُرْتَدّ أَعْرَابِيًا بعد الْهِجْرَة ملعونون على لِسَان مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَوْم الْقِيَامَة

رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ وَرَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو يعلى وَابْن حبَان فِي صَحِيحه عَن الْحَارِث الْأَعْوَر عَن ابْن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ
لاوي الصَّدَقَة هُوَ المماطل بهَا الْمُمْتَنع من أَدَائِهَا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১৩৭
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ যাকাত অনাদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন ও অলংকারের যাকাত
১১৩৭. ইস্পাহানী সূত্রে হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ সুদখোর, সুদদাতা, এর সাক্ষী, এর লেখক, উল্কী অংকনকারী এবং যে অংকন করায়, যে যাকাত আদায় করে না, যে ব্যক্তি তালাকের চুক্তিতে বিয়ে করে এবং যে এরূপ বিয়ে দেয়, রাসূলুল্লাহ (সা) তাদের প্রতি অভিসম্পাত করেছেন।
كتاب الصَّدقَات
التَّرْهِيب من منع الزَّكَاة وَمَا جَاءَ فِي زَكَاة الْحلِيّ
1137 - وروى الْأَصْبَهَانِيّ عَن عَليّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ لعن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم آكل الرِّبَا وموكله وَشَاهده وكاتبه والواشمة والمستوشمة ومانع الصَّدَقَة والمحلل والمحلل لَهُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১৩৮
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ যাকাত অনাদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন ও অলংকারের যাকাত
১১৩৮. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: দরিদ্র লোকেরা কিয়ামতের দিন ধনীদের ধ্বংস কামনা করে বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি তাদের উপর আমাদের যে হক নির্ধারণ করেছেন, (সে হক আদায় না করে) তারা সে বিষয়ে আমাদের প্রতি যুলম করেছে। আল্লাহ তা'আলা বলবেন: আমার সম্মান ও আমার মাহাত্ম্যের শপথ! আমি তোমাদের (নি'আমত দিয়ে) কাছে টেনে নেব, আর তাদেরকে (নি'আমত থেকে বঞ্চিত করে) দূরে সরিয়ে দেব। এরপর রাসূলুল্লাহ (সা) এই আয়াত তিলাওয়াত করেন: وَالَّذِينَ فِي أَمْوَالِهِمْ حَقٌّ مَّعْلُومٌ لِّلسَّائِلِ وَالْمَحْرُومِ
"আর তাদের সম্পদে রয়েছে প্রার্থী ও বঞ্চিতের নির্ধারিত অধিকার।" (সূরা মাআরিজঃ ২৪-২৫)
(তাবারানীর 'সগীর' ও 'আওসাত' গ্রন্থ এবং আবু শায়খ ইবন হিব্বান 'কিতাবুস সওয়াব' গ্রন্থে উভয়ে হারিস ইবন নুমান থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেন। আবু হাতিম বলেনঃ সে শক্তিশালী রাবী নয়। ইমাম বুখারী তাকে মুনকিরুল হাদীস বলেছেন।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْهِيب من منع الزَّكَاة وَمَا جَاءَ فِي زَكَاة الْحلِيّ
1138 - وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ويل للأغنياء من الْفُقَرَاء يَوْم الْقِيَامَة يَقُولُونَ رَبنَا ظلمونا حقوقنا الَّتِي فرضت لنا عَلَيْهِم فَيَقُول الله عز وَجل وَعِزَّتِي وَجَلَالِي لأدنينكم ولأباعدنهم
ثمَّ تَلا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم {وَالَّذين فِي أَمْوَالهم حق مَعْلُوم للسَّائِل والمحروم}
المعارج 42 52

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الصَّغِير والأوسط وَأَبُو الشَّيْخ ابْن حبَان فِي كتاب الثَّوَاب كِلَاهُمَا من رِوَايَة الْحَارِث بن النُّعْمَان
قَالَ أَبُو حَاتِم لَيْسَ بِقَوي وَقَالَ البُخَارِيّ مُنكر الحَدِيث
হাদীস নং: ১১৩৯
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ যাকাত অনাদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন ও অলংকারের যাকাত
১১৩৯. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: আমার কাছে প্রথমত তিনজন জান্নাতী এবং তিনজন জাহান্নামী লোক পেশ করা হবে। প্রথম তিনজন জান্নাতী হলোঃ ১. শহীদ, ক্রীতদাস, ২. যে তার মুনিবের আনুগত্য যথাযথভাবে করেছে এবং তার মুনিবকে সদুপদেশ দিয়েছে এবং ৩. যে তার পরিবার-পরিজন নিয়ে পবিত্র জীবন (কারো কাছে ভিক্ষার হাত সম্প্রসারিত না করে) কাটিয়েছে। আর প্রথম তিনজন জাহান্নামী লোক হলঃ ১. স্বৈরশাসক, ২. ধনী ব্যক্তি যে তার সম্পদের মধ্য থেকে আল্লাহর হক (যাকাত) আদায় করে না এবং ৩. অহংকারী ফকীর।
(ইবন খুযায়মার 'সহীহ' গ্রন্থে এবং ইবন হিব্বান পৃথক পৃথকভাবে দু'স্থানে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْهِيب من منع الزَّكَاة وَمَا جَاءَ فِي زَكَاة الْحلِيّ
1139 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم عرض عَليّ أول ثَلَاثَة يدْخلُونَ الْجنَّة وَأول ثَلَاثَة يدْخلُونَ النَّار فَأَما أول ثَلَاثَة يدْخلُونَ الْجنَّة فالشهيد وَعبد مَمْلُوك أحسن عبَادَة ربه ونصح لسَيِّده وعفيف متعفف ذُو عِيَال وَأما أول ثَلَاثَة يدْخلُونَ النَّار فأمير مسلط وَذُو ثروة من مَال لَا يُؤَدِّي حق الله فِي مَاله وفقير فخور

رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَابْن حبَان مفرقا فِي موضِعين
হাদীস নং: ১১৪০
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ যাকাত অনাদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন ও অলংকারের যাকাত
১১৪০. হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদেরকে সালাত কায়েম করতে এবং যাকাত আদায় করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাজেই যে ব্যক্তি যাকাত আদায় করে না, তার সালাত নেই (অর্থাৎ তার সালাত আদায় হয় না)।
(তাবারানীর 'কাবীর' গ্রন্থে কয়েকটি সনদে এ হাদীসটি মাওকুফরূপে বর্ণিত হয়েছে। তবে একটি সনদে এ হাদীসটি সহীহ। ইস্পাহানীর এক বর্ণনায় আছেঃ "যে ব্যক্তি সালাত কায়েম করে অথচ যাকাত আদায় করে না, সে মুসলিম নয় এবং তার আমল তার কোন উপকারে আসবে না।")
كتاب الصَّدقَات
التَّرْهِيب من منع الزَّكَاة وَمَا جَاءَ فِي زَكَاة الْحلِيّ
1140 - وَعَن عبد الله بن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ قَالَ أمرنَا بإقام الصَّلَاة وإيتاء الزَّكَاة وَمن لم يزك فَلَا صَلَاة لَهُ

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير مَوْقُوفا هَكَذَا بأسانيد أَحدهمَا صَحِيح والأصبهاني
وَفِي رِوَايَة للأصبهاني قَالَ من أَقَامَ الصَّلَاة وَلم يُؤْت الزَّكَاة فَلَيْسَ بِمُسلم يَنْفَعهُ عمله
হাদীস নং: ১১৪১
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ যাকাত অনাদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন ও অলংকারের যাকাত
১১৪১. হযরত সাওবান (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি (যাকাত আদায় না করে) বিপুল ধন-সম্পদ সঞ্চিত রেখে মারা যায়, কিয়ামতের দিন তা মাথায় টাকপড়া, চোখের উপরে দুটো কালো তিলক বিশিষ্ট বিষধর সাপে পরিণত করা হবে। সে তাকে বলবে: তুমি কে? সে বলবে: আমি তোমার পেছনে রেখে আসা সঞ্চিত ধন। ফলে তা তার হাত গ্রাস করে কামড়াতে থাকবে এবং এভাবে তার সারা শরীরে দংশন করবে।
(বাযযার হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং তিনি বলেন: এ হাদীসটি উত্তম সনদে বর্ণিত। তাবারানী এবং ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান উভয়ে তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْهِيب من منع الزَّكَاة وَمَا جَاءَ فِي زَكَاة الْحلِيّ
1141 - وَعَن ثَوْبَان رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من ترك بعده كنزا مثل لَهُ يَوْم الْقِيَامَة شُجَاع أَقرع لَهُ زَبِيبَتَانِ يتبعهُ فَيَقُول من أَنْت فَيَقُول أَنا كَنْزك الَّذِي خلفت فَلَا يزَال يتبعهُ حَتَّى يلقمه يَده فيقضمها ثمَّ يتبعهُ سَائِر جسده

رَوَاهُ الْبَزَّار وَقَالَ إِسْنَاده حسن وَالطَّبَرَانِيّ وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا
tahqiq

তাহকীক:

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১১৪২
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ যাকাত অনাদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন ও অলংকারের যাকাত
১১৪২. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি তার মালের যাকাত আদায় করে না, কিয়ামতের দিন তার সম্পদগুলো মাথায় টাকপড়া, মাথায় দুটি তিলক বিশিষ্ট বিষধর সাপের পরিণত হবে। অতঃপর তাকে আক্রমণ করবে বা আঘাত করবে এবং বলতে থাকবে, আমি তোমার সেই সঞ্চিত সম্পদরাশি, আমি তোমার সেই সঞ্চিত ধনরাশি।
(হাদীসটি সহীহ সনদে নাসাঈ শরীফে বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْهِيب من منع الزَّكَاة وَمَا جَاءَ فِي زَكَاة الْحلِيّ
1142 - وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن الَّذِي لَا يُؤَدِّي زَكَاة مَاله يخيل إِلَيْهِ مَاله يَوْم الْقِيَامَة شجاعا أَقرع لَهُ زَبِيبَتَانِ قَالَ فَيلْزمهُ أَو يطوقه يَقُول أَنا كَنْزك
أَنا كَنْزك

رَوَاهُ النَّسَائِيّ بِإِسْنَاد صَحِيح
হাদীস নং: ১১৪৩
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ যাকাত অনাদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন ও অলংকারের যাকাত
১১৪৩. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) সূত্রে নবী (সা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: আল্লাহ তা'আলা যাকে ধন-সম্পদ দিয়েছেন অথচ সে তার যাকাত আদায় করে না, কিয়ামতের দিন তার সম্পদকে মাথায় টাকবিশিষ্ট সাপে পরিণত করা হবে, যার চোখের উপর স্থাপিত থাকবে দুটো কালো তিলক (অর্থাৎ তা অতিশয় বিষধর হবে)। তা তার গলার বেড়ী স্বরূপ হবে। তা তাকে উভয়ে গালে দংশন করতে থাকবে। এরপর সে বলবে: আমি তোমার সম্পদ, আমি তোমার সঞ্চিত ধন। এরপর তিনি এই আয়াত তিলাওয়াত করেনঃ وَلَا يَحسبن الَّذين يَبْخلُونَ الْآيَة
যারা কৃপণতা করে, তারা যেন ধারণা না করে যে......" শেষ পর্যন্ত।
(বুখারী, নাসাঈ ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْهِيب من منع الزَّكَاة وَمَا جَاءَ فِي زَكَاة الْحلِيّ
1143 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَقرع لَهُ زَبِيبَتَانِ يطوقه يَوْم الْقِيَامَة ثمَّ يَأْخُذ بِلِهْزِمَتَيْهِ يَعْنِي شدقيه ثمَّ يَقُول أَنا مَالك أَنا كَنْزك ثمَّ تَلا هَذِه الْآيَة {وَلَا يَحسبن الَّذين يَبْخلُونَ} قَالَ من آتَاهُ الله مَالا فَلم يؤد
زَكَاته مثل لَهُ يَوْم الْقِيَامَة شجاعا آل عمرَان 081 الْآيَة

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَالنَّسَائِيّ وَمُسلم
হাদীস নং: ১১৪৪
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ যাকাত অনাদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন ও অলংকারের যাকাত
১১৪৪. হযরত উমারা ইবন হাম (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: আল্লাহ তা'আলা ইসলামে চারটি বিষয় (ফরয) করেছেন। কাজেই যে ব্যক্তি তিনটিও পালন করবে, তা ততক্ষণ পর্যন্ত কার্যকর হবে না, যতক্ষণ না সবগুলো আদায় করে। আর তা হলঃ ১. সালাত, ২. যাকাত, ৩. রমযানের সিয়াম এবং ৪. বায়তুল্লাহ শরীফ-এর হজ্জ পালন করা।
(আহমদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে ইবনে লাহীয়া নামে তাঁর সনদে একজন বিতর্কিত রাবী রয়েছেন। না'ঈম ইবন যিয়াদ হাযরামী থেকেও মুরসাল সনদে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْهِيب من منع الزَّكَاة وَمَا جَاءَ فِي زَكَاة الْحلِيّ
1144 - وَعَن عمَارَة بن حزم رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَربع فرضهن الله فِي الْإِسْلَام فَمن جَاءَ بِثَلَاث لم يغنين عَنهُ شَيْئا حَتَّى يَأْتِي بِهن جَمِيعًا الصَّلَاة وَالزَّكَاة وَصِيَام رَمَضَان وَحج الْبَيْت

رَوَاهُ أَحْمد وَفِي إِسْنَاده ابْن لَهِيعَة وَرَوَاهُ أَيْضا عَن نعيم بن زِيَاد الْحَضْرَمِيّ مُرْسلا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১৪৫
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ যাকাত অনাদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন ও অলংকারের যাকাত
১১৪৫. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ (সা) এর জন্য চোখের পলকের মত দ্রুত চলে এমন একটি দ্রুতগামী ঘোড়া আনা হল। তিনি এবং জিবরাঈল (আ) তাতে চড়ে এমন এক কওমের কাছে আসেন, যারা দিনে চাষ করছে এবং ঐ দিনেই ফসল কাটছে। তারা ফসল কাটছে, আবার সাথে সাথে তদ্রুপই তা পূর্ববৎ হচ্ছে। তিনি বললেনঃ হে জিবরাঈল। এরা কারা? তিনি বললেন: এরা আল্লাহর পথের মুজাহিদ। তাদের সওয়াব সাতশ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তারা যা ব্যয় করেছে, তা তাদের জন্য সঞ্চিত হয়েছে। তারপর তিনি এমন এক কওমের কাছে আসলেন, যাদের মাথা পাথর দিয়ে চূর্ণ করা হচ্ছিল। বিরামহীনভাবে নতুন মাথা তৈরি করে তা আবার চূর্ণ করা হচ্ছিল। তিনি বললেনঃ হে জিবরাঈল! এরা কারা? তিনি বললেন: তারা সালাত আদায় করাকে বোঝা মনে করত। এরপর তিনি সামনে ও পেছনে পাট্টি বাধা একদল লোকের কাছে আসলেন। তারা ক্ষুধার্ত প্রাণীর দৌড়ের ন্যায় (জাহান্নামীদের খাদ্য) দারি, যাককুম ও রদফের দিকে দৌড়াবে। তিনি বললেনঃ হে জিবরাঈল! এরা কারা? তিনি বললেন: তারা ঐ সকল লোক, যারা তাদের সম্পদের যাকাত আদায় করত না, আল্লাহ তাদের প্রতি যুলম করবেন না। আল্লাহ বান্দার প্রতি সামান্য যুলমও করেন না। মিরাজের দীর্ঘ বর্ণনায় ও সালাত ফরয হওয়ার বিষয়ে এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।
(বাযযার রবী ইবন আনাস থেকে, তিনি আবুল আলীয়া থেকে অথবা অন্য কেউ থেকে হযরত আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْهِيب من منع الزَّكَاة وَمَا جَاءَ فِي زَكَاة الْحلِيّ
1145 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أُتِي بفرس يَجْعَل كل خطْوَة مَعَه أقْصَى بَصَره فَسَار وَسَار مَعَه جِبْرِيل عَلَيْهِ السَّلَام فَأتى على قوم يزرعون فِي يَوْم ويحصدون فِي يَوْم كلما حصدوا عَاد كَمَا كَانَ فَقَالَ يَا جِبْرِيل من هَؤُلَاءِ قَالَ هَؤُلَاءِ المجاهدون فِي سَبِيل الله تضَاعف لَهُم الْحَسَنَة بسبعمائة ضعف وَمَا أَنْفقُوا من شَيْء فَهُوَ يخلفه ثمَّ أَتَى على قوم ترضخ رؤوسهم بالصخر كلما رضخت عَادَتْ كَمَا كَانَت وَلَا يفتر عَنْهُم من ذَلِك شَيْء
قَالَ يَا جِبْرِيل من هَؤُلَاءِ قَالَ هَؤُلَاءِ الَّذين تثاقلت رؤوسهم عَن الصَّلَاة ثمَّ أَتَى على قوم على أدبارهم رقاع وعَلى أقبالهم رقاع يسرحون كَمَا تسرح الْأَنْعَام إِلَى الضريع والزقوم ورضف جَهَنَّم
قَالَ مَا هَؤُلَاءِ يَا جِبْرِيل قَالَ هَؤُلَاءِ الَّذين لَا يؤدون صدقَات أَمْوَالهم وَمَا ظلمهم الله وَمَا الله بظلام للعبيد
الحَدِيث بِطُولِهِ فِي قصَّة الْإِسْرَاء وَفرض الصَّلَاة

رَوَاهُ الْبَزَّار عَن الرّبيع بن أنس عَن أبي الْعَالِيَة أَو غَيره عَن أبي هُرَيْرَة
হাদীস নং: ১১৪৬
অধ্যায়ঃ সদকা
পরিচ্ছেদঃ যাকাত অনাদায়ের প্রতি ভীতি প্রদর্শন ও অলংকারের যাকাত
১১৪৬. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আমি উমর ইবন খাত্তাব (রা) সূত্রে নবী (সা) থেকে একটি হাদীস শুনেছি, তবে আমি তাঁর থেকে এ হাদীস শুনিনি অথচ আমি তাঁদের সবার চেয়ে অধিক রাসূলুল্লাহ (সা) এর সাহচর্য লাভ করেছি। উমর (রা) বলেছেন: যাকাত আদায় না করার কারণেই কেবল স্থল ভাগে ও সমুদ্র পথে সম্পদ ধ্বংস হয়।
(তাবারানীর 'আওসাত' গ্রন্থে বর্ণিত এ হাদীসটি গরীব।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْهِيب من منع الزَّكَاة وَمَا جَاءَ فِي زَكَاة الْحلِيّ
1146 - وَرُوِيَ عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت من عمر بن الْخطاب رَضِي الله عَنهُ حَدِيثا عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا سمعته مِنْهُ وَكنت أَكْثَرهم لُزُوما لرَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ عمر قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا تلف مَال فِي بر وَلَا بَحر إِلَّا بِحَبْس الزَّكَاة

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَهُوَ حَدِيث غَرِيب