আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
৬. অধ্যায়ঃ নফল - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৮৭ টি
হাদীস নং: ৯৪৩
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামুল লায়লের প্রতি অনুপ্রেরণা
৯৪৩. হযরত আবদুল্লাহ ইবন আবু কায়স (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত আয়েশা (রা) বলেছেন: তোমরা কখনও কিয়ামুল-লায়ল পরিত্যাগ করবে না। কেননা রাসূলুল্লাহ (সা) তা কখনো পরিত্যাগ করেননি। এমন কি যখন তিনি রোগাক্রান্ত হয়ে পড়তেন অথবা অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়তেন, তখনও তিনি বসে সালাত আদায় করতেন।
(আবু দাউদ ও ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
(আবু দাউদ ও ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي قيام اللَّيْل
943 - وَعَن عبد الله بن أبي قيس رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَت عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا لَا
تدع قيام اللَّيْل فَإِن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَانَ لَا يَدعه وَكَانَ إِذا مرض أَو كسل صلى قَاعِدا
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه
تدع قيام اللَّيْل فَإِن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَانَ لَا يَدعه وَكَانَ إِذا مرض أَو كسل صلى قَاعِدا
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৪৪
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামুল লায়লের প্রতি অনুপ্রেরণা
৯৪৪. একদা তারিক ইবন শিহাব (র) হযরত সালমান (রা) কী কাজ করেন তা জানার জন্য তাঁর কাছে রাত কাটান। তিনি বললেনঃ তিনি শেষরাতে সালাত আদায় করেন, তবে কেউ তাঁকে দেখেনি বলে তিনি ধারণা করেন। তিনি তার কাছে তা উল্লেখ করলেন। সালমান (রা) বললেনঃ তোমরা পাঁচ ওয়াক্ত সালাত সংরক্ষণ কর। কেননা তা হচ্ছে যাবতীয় গুনাহের কাফফারা, যতক্ষণ পর্যন্ত সে কবীরা গুনাহ না করে। কোন লোক যখন ইশার সালাত আদায় করে, তার প্রারম্ভিক পর্যায়ে রয়েছে তিনটি মনযিল। তা হল: ১. তার অপকার হবে, উপকার হবে না, ২. উপকার হবে, অপকার হবে না এবং ৩. উপকারও হবে না এবং অপকারও হবে না। প্রথম ব্যক্তি রাতের অন্ধকারে মানুষের ঘুমকে সুযোগ মনে করে নাফরমানীর কাজে লিপ্ত হয়। এই লোকটি গুনাহের কাজ করল, কোন সওয়াব পেল না। দ্বিতীয় ব্যক্তি হল, যে রাতের অন্ধকার ও মানুষের ঘুমের সুযোগে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করেছে। এই ব্যক্তি সওয়াবের কাজ করল, গুনাহের কাজ করল না। তৃতীয় ব্যক্তি হল, যার সওয়াবও হল না গুনাহও হল না, সে হল ঐ ব্যক্তি, যে শুধু ফরয সালাত আদায় করল এরপর ঘুমিয়ে পড়ল। তুমি কাজ দ্রুততর করা থেকে বেঁচে থাকবে। কেননা নেক আমলে মধ্যম পন্থা ও সার্বক্ষণিকতা অবলম্বন করা উচিত।
[الحقحقة] দ্রুতগমন করা, কেউ কেউ বলেন, সফরে দ্রুত চলার চেষ্টা করা এবং সওয়ারীকে উৎপীড়ন করা এবং সওয়ারী দুর্বল করা অথবা থমকে দেওয়া। কেউ কেউ অন্যান্য অর্থও করেছেন।
[الحقحقة] দ্রুতগমন করা, কেউ কেউ বলেন, সফরে দ্রুত চলার চেষ্টা করা এবং সওয়ারীকে উৎপীড়ন করা এবং সওয়ারী দুর্বল করা অথবা থমকে দেওয়া। কেউ কেউ অন্যান্য অর্থও করেছেন।
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي قيام اللَّيْل
944 - وَعَن طَارق بن شهَاب أَنه بَات عِنْد سلمَان رَضِي الله عَنهُ لينْظر مَا اجْتِهَاده
قَالَ فَقَامَ يُصَلِّي من آخر اللَّيْل فَكَأَنَّهُ لم ير الَّذِي كَانَ يظنّ فَذكر ذَلِك لَهُ فَقَالَ سلمَان حَافظُوا على هَذِه الصَّلَوَات الْخمس
فَإِنَّهُنَّ كَفَّارَات لهَذِهِ الْجِرَاحَات مَا لم تصب المقتلة فَإِذا صلى النَّاس الْعشَاء صدرُوا عَن ثَلَاث منَازِل
مِنْهُم من عَلَيْهِ وَلَا لَهُ وَمِنْهُم من لَهُ وَلَا عَلَيْهِ وَمِنْهُم من لَا لَهُ وَلَا عَلَيْهِ
فَرجل اغتنم ظلمَة اللَّيْل وغفلة النَّاس فَركب فرسه فِي الْمعاصِي فَذَلِك عَلَيْهِ وَلَا لَهُ
وَمن لَهُ وَلَا عَلَيْهِ فَرجل اغتنم ظلمَة اللَّيْل وغفلة النَّاس فَقَامَ يُصَلِّي فَذَلِك لَهُ وَلَا عَلَيْهِ
وَمن لَا لَهُ وَلَا عَلَيْهِ فَرجل صلى ثمَّ نَام فَلَا لَهُ وَلَا عَلَيْهِ
إياك والحقحقة وَعَلَيْك بِالْقَصْدِ وداومه
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير مَوْقُوفا بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ وَرَفعه جمَاعَة
الْحَقْحَقَةُ بحاءين مهملتين مفتوحتين وقافين الأولى سَاكِنة وَالثَّانيَِة مَفْتُوحَة هُوَ أَشد السّير وَقيل هُوَ أَن يجْتَهد فِي السّير ويلح فِيهِ حَتَّى تعطب رَاحِلَته أَو تقف وَقيل غير ذَلِك
قَالَ فَقَامَ يُصَلِّي من آخر اللَّيْل فَكَأَنَّهُ لم ير الَّذِي كَانَ يظنّ فَذكر ذَلِك لَهُ فَقَالَ سلمَان حَافظُوا على هَذِه الصَّلَوَات الْخمس
فَإِنَّهُنَّ كَفَّارَات لهَذِهِ الْجِرَاحَات مَا لم تصب المقتلة فَإِذا صلى النَّاس الْعشَاء صدرُوا عَن ثَلَاث منَازِل
مِنْهُم من عَلَيْهِ وَلَا لَهُ وَمِنْهُم من لَهُ وَلَا عَلَيْهِ وَمِنْهُم من لَا لَهُ وَلَا عَلَيْهِ
فَرجل اغتنم ظلمَة اللَّيْل وغفلة النَّاس فَركب فرسه فِي الْمعاصِي فَذَلِك عَلَيْهِ وَلَا لَهُ
وَمن لَهُ وَلَا عَلَيْهِ فَرجل اغتنم ظلمَة اللَّيْل وغفلة النَّاس فَقَامَ يُصَلِّي فَذَلِك لَهُ وَلَا عَلَيْهِ
وَمن لَا لَهُ وَلَا عَلَيْهِ فَرجل صلى ثمَّ نَام فَلَا لَهُ وَلَا عَلَيْهِ
إياك والحقحقة وَعَلَيْك بِالْقَصْدِ وداومه
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير مَوْقُوفا بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ وَرَفعه جمَاعَة
الْحَقْحَقَةُ بحاءين مهملتين مفتوحتين وقافين الأولى سَاكِنة وَالثَّانيَِة مَفْتُوحَة هُوَ أَشد السّير وَقيل هُوَ أَن يجْتَهد فِي السّير ويلح فِيهِ حَتَّى تعطب رَاحِلَته أَو تقف وَقيل غير ذَلِك
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৯৪৫
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামুল লায়লের প্রতি অনুপ্রেরণা
৯৪৫. হযরত সামুরা ইবন জুন্দুব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) আমাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন: পৃথিবীতে দুইটি বস্তু ছাড়া হাসাদ করা যায় না। ১. এক ব্যক্তি কেবল ঐ ব্যক্তির উপর হাসাদ করতে পারে, যাকে আল্লাহ তা'আলা বিপুল ধন-সম্পদ দান করেছেন। আর সে তা থেকে আল্লাহর পথে ব্যয় করে। ফলে তার ব্যয় করার মত সম্পদ বেড়ে যায়। (তা দেখে) অপরজন বলে, যদি আমার সম্পদ থাকত, তাহলে আমি এই লোকটির মত আল্লাহর পথে ব্যয় করতাম, আরো উত্তম ব্যয় করতাম। দ্বিতীয় ব্যক্তি যে হাসাদ করল, তা জায়েয। ২. অপর ব্যক্তি যে কুরআন তিলাওয়াত করে এবং কিয়ামুল-লায়ল করে, অথচ তার পাশেই রয়েছে এমন এক ব্যক্তি, যে কুরআন তিলাওয়াত করতে জানে না। সে উক্ত ব্যক্তির কিয়ামুল-লায়ল ও কুরআন তিলাওয়াতের উপর হাসাদ করে বলছে, আল্লাহ তা'আলা তাকে কুরআনের যে ইলম দান করেছেন, অদ্রুপ যদি আমাকে দান করতেন, তাহলে আমিও কিয়ামুল-লায়ল করতাম, যেরূপ তিনি কিয়ামুল-লায়ল করছেন।
(তাবারানী তাঁর 'কাবীর' গ্রন্থে সাধারণ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
[الحسد] শব্দটির অর্থ হল: কারো ধন-সম্পদ ধ্বংসের আকাঙ্ক্ষা করা। এ ধরনের কাজ সর্বসম্মতিক্রমে হারাম। এটি গীবত অর্থে ব্যবহৃত হয়। এর অর্থ হল। কারো ধন-দৌলত ধ্বংসের প্রত্যাশা না করে তার ন্যায় ধন-সম্পদ কামনা করা। এ হাদীসে এটাই উদ্দেশ্যে। গীবতকারীর অবস্থা যদি এই হয়, তাহলে তা হবে প্রশংসনীয়। আর যদি তা হয় তিরস্কৃত, তাহলে তার কামনাও হবে তিরস্কৃত এবং তার এ আশায় রয়েছে গুনাহ।
(তাবারানী তাঁর 'কাবীর' গ্রন্থে সাধারণ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
[الحسد] শব্দটির অর্থ হল: কারো ধন-সম্পদ ধ্বংসের আকাঙ্ক্ষা করা। এ ধরনের কাজ সর্বসম্মতিক্রমে হারাম। এটি গীবত অর্থে ব্যবহৃত হয়। এর অর্থ হল। কারো ধন-দৌলত ধ্বংসের প্রত্যাশা না করে তার ন্যায় ধন-সম্পদ কামনা করা। এ হাদীসে এটাই উদ্দেশ্যে। গীবতকারীর অবস্থা যদি এই হয়, তাহলে তা হবে প্রশংসনীয়। আর যদি তা হয় তিরস্কৃত, তাহলে তার কামনাও হবে তিরস্কৃত এবং তার এ আশায় রয়েছে গুনাহ।
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي قيام اللَّيْل
945 - وَعَن سَمُرَة بن جُنْدُب رَضِي الله عَنهُ قَالَ كَانَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول لنا لَيْسَ فِي الدُّنْيَا حسد إِلَّا فِي اثْنَتَيْنِ الرجل يغبط الرجل أَن يُعْطِيهِ الله المَال الْكثير فينفق مِنْهُ فيكثر النَّفَقَة يَقُول الآخر لَو كَانَ لي مَال لأنفقت مثل مَا ينْفق هَذَا وَأحسن فَهُوَ يحسده وَرجل يقْرَأ الْقُرْآن فَيقوم اللَّيْل وَعِنْده رجل إِلَى جنبه لَا يعلم الْقرَان فَهُوَ يحسده على قِيَامه وعَلى مَا علمه الله عز وَجل من الْقُرْآن فَيَقُول لَو عَلمنِي الله مثل هَذَا لقمت مثل مَا يقوم
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَفِي سَنَده لين
الْحَسَد يُطلق وَيُرَاد بِهِ تمني زَوَال النِّعْمَة عَن الْمَحْسُود وَهَذَا حرَام بالِاتِّفَاقِ وَيُطلق وَيُرَاد بِهِ الْغِبْطَة وَهُوَ تمني حَالَة كحالة المغبط من غير تمني زَوَالهَا عَنهُ وَهُوَ المُرَاد فِي هَذَا الحَدِيث وَفِي نَظَائِره فَإِن كَانَت الْحَالة الَّتِي عَلَيْهَا المغبط محمودة فَهُوَ تمن مَحْمُود وَإِن كَانَت مذمومة فَهُوَ تمن مَذْمُوم يَأْثَم عَلَيْهِ المتمني
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَفِي سَنَده لين
الْحَسَد يُطلق وَيُرَاد بِهِ تمني زَوَال النِّعْمَة عَن الْمَحْسُود وَهَذَا حرَام بالِاتِّفَاقِ وَيُطلق وَيُرَاد بِهِ الْغِبْطَة وَهُوَ تمني حَالَة كحالة المغبط من غير تمني زَوَالهَا عَنهُ وَهُوَ المُرَاد فِي هَذَا الحَدِيث وَفِي نَظَائِره فَإِن كَانَت الْحَالة الَّتِي عَلَيْهَا المغبط محمودة فَهُوَ تمن مَحْمُود وَإِن كَانَت مذمومة فَهُوَ تمن مَذْمُوم يَأْثَم عَلَيْهِ المتمني
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৪৬
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামুল লায়লের প্রতি অনুপ্রেরণা
৯৪৬. হযরত আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: দুটো বস্তু ছাড়া হাসাদ নেই। এক ব্যক্তিকে আল্লাহ তা'আলা কুরআনী ইলম দান করেছেন, আর সে দিনরাত তা সালাতে তিলাওয়াত করে। আরেক ব্যক্তিকে আল্লাহ তা'আলা বিপুল ধন-সম্পদ দান করেছেন। আর সে দিনরাত তা তাঁর উদ্দেশ্যে ব্যয় করে।
(মুসলিম ও অন্যান্য হাদীস গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
(মুসলিম ও অন্যান্য হাদীস গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي قيام اللَّيْل
946 - وَعَن عبد الله رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا حسد إِلَّا فِي اثْنَتَيْنِ رجل آتَاهُ الله الْقُرْآن فَهُوَ يقوم بِهِ آنَاء اللَّيْل وآناء النَّهَار
وَرجل آتَاهُ الله مَالا فَهُوَ يُنْفِقهُ آنَاء اللَّيْل وآناء النَّهَار
رَوَاهُ مُسلم وَغَيره
وَرجل آتَاهُ الله مَالا فَهُوَ يُنْفِقهُ آنَاء اللَّيْل وآناء النَّهَار
رَوَاهُ مُسلم وَغَيره
হাদীস নং: ৯৪৭
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামুল লায়লের প্রতি অনুপ্রেরণা
৯৪৭. হযরত ইয়াযীদ ইবন আখনাস (রা) থেকে বর্ণিত, যিনি রাসূলুল্লাহ (সা) এর সাহাবী ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন। দুটো বিষয় ব্যতীত প্রতিযোগিতা করা যায় না। এক ব্যক্তিকে আল্লাহ তা'আলা কুরআনী ইলম দান করেছেন এবং সে দিনরাত তা (সালাতে) তিলাওয়াত করে। এক ব্যক্তি বলছে, অমুক ব্যক্তিকে আল্লাহ তা'আলা যা দান করেছেন, তা যদি আমাকে দান করতেন, তাহলে সে যেভাবে কিয়ামুল-লায়ল করছে, আমি তা তদ্রুপ করতাম। আরেক ব্যক্তিকে আল্লাহ তা'আলা বিপুল ধন-সম্পদ দান করেছেন, আর সে তা থেকে দান-সদকা করছে। এক ব্যক্তিও পূর্বোক্ত কথা বলছে।
(তাবারানীর 'কাবীর' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীসের রাবীগণ বিশ্বস্ত ও প্রসিদ্ধ। আবু ইয়ালা হযরত আবু সাঈদ (রা) হতে অনুরূপ শব্দে উত্তম সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
(তাবারানীর 'কাবীর' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীসের রাবীগণ বিশ্বস্ত ও প্রসিদ্ধ। আবু ইয়ালা হযরত আবু সাঈদ (রা) হতে অনুরূপ শব্দে উত্তম সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي قيام اللَّيْل
947 - وَعَن يزِيد بن الْأَخْنَس وَكَانَت لَهُ صُحْبَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَا تنافس إِلَّا فِي اثْنَتَيْنِ رجل أعطَاهُ الله قُرْآنًا فَهُوَ يقوم بِهِ آنَاء اللَّيْل وَالنَّهَار فَيَقُول رجل لَو أَن الله أَعْطَانِي مَا أعْطى فلَانا فأقوم بِهِ كَمَا يقوم وَرجل أعطَاهُ الله مَالا فَهُوَ ينْفق مِنْهُ وَيتَصَدَّق فَيَقُول رجل مثل ذَلِك
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَرُوَاته ثِقَات مَشْهُورُونَ وَرَوَاهُ أَبُو يعلى من حَدِيث أبي سعيد نَحوه بِإِسْنَاد جيد
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَرُوَاته ثِقَات مَشْهُورُونَ وَرَوَاهُ أَبُو يعلى من حَدِيث أبي سعيد نَحوه بِإِسْنَاد جيد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৪৮
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামুল লায়লের প্রতি অনুপ্রেরণা
৯৪৮. হযরত ফুযালা ইবন উবায়দ ও তামীম দারী (রা) থেকে নবী (সা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে দশ আয়াত তিলাওয়াত করবে, তাকে 'কিনতার' দেওয়া হবে। কিনতার হল পৃথিবীর ও তন্মধ্যস্থ বন্ধু থেকে উত্তম। কিয়ামতের দিন তোমার রব বলবেন: প্রত্যেক পাতা থেকে কুরআনের আয়াত তিলাওয়াত কর, এর জন্য রয়েছে মর্যাদা। এমন কি সে শেষ আয়াত পর্যন্ত তিলাওয়াত করবে। আল্লাহ তাঁর বান্দার উদ্দেশ্যে বলবেন: তিলাওয়াত বন্ধ কর। বান্দা বলবেঃ হে আমার রব! আপনি তো সর্বাধিক জ্ঞাত। তিনি বলবেনঃ এই চিরস্থায়ী বাসস্থান এবং এই চিরস্থায়ী নি'আমত গ্রহণ কর।
(তাবারানী 'কাবীর' ও 'আওসাত' গ্রন্থে হাসান সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইসমাঈল ইবন আয়্যাশ একজন সিরীয় মুহাদ্দিস। তাঁর বর্ণনা অধিকাংশের নিকট গ্রহণীয়।)
(তাবারানী 'কাবীর' ও 'আওসাত' গ্রন্থে হাসান সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইসমাঈল ইবন আয়্যাশ একজন সিরীয় মুহাদ্দিস। তাঁর বর্ণনা অধিকাংশের নিকট গ্রহণীয়।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي قيام اللَّيْل
948 - وَعَن فضَالة بن عبيد وَتَمِيم الدَّارِيّ رَضِي الله عَنْهُمَا عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من قَرَأَ عشر آيَات فِي لَيْلَة كتب لَهُ قِنْطَار وَالْقِنْطَار خير من الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا فَإِذا كَانَ يَوْم الْقِيَامَة يَقُول رَبك عز وَجل اقْرَأ وارق بِكُل آيَة دَرَجَة حَتَّى يَنْتَهِي إِلَى آخر آيَة مَعَه يَقُول الله عز وَجل للْعَبد اقبض فَيَقُول العَبْد بِيَدِهِ يَا رب أَنْت أعلم يَقُول بِهَذِهِ الْخلد وبهذه النَّعيم
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط بِإِسْنَاد حسن وَفِيه إِسْمَاعِيل بن عَيَّاش عَن الشاميين وَرِوَايَته عَنْهُم مَقْبُولَة عِنْد الْأَكْثَرين
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط بِإِسْنَاد حسن وَفِيه إِسْمَاعِيل بن عَيَّاش عَن الشاميين وَرِوَايَته عَنْهُم مَقْبُولَة عِنْد الْأَكْثَرين
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৯৪৯
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামুল লায়লের প্রতি অনুপ্রেরণা
৯৪৯. হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবনুল আস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সালাতে দশ আয়াত তিলাওয়াত করবে, তাকে গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। যে ব্যক্তি সালাতে একশ আয়াত তিলাওয়াত করবে, তাকে কানিতীন (আনুগত্যশীল) বলে লেখা হবে। আর যে ব্যক্তি সালাতে এক হাজার আয়াত তিলাওয়াত করবে, তাকে মুকানতারীনের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
(আবু দাউদ ও ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তাঁরা উভয়ে আবূ সারিয়া হতে, তিনি আবু হুজায়রা হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন। ইবন খুযায়মা বলেনঃ এ হাদীসটি যদি সহীহ হয়, তবে আমি আবু সারিয়ার বিশ্বস্ততা ও ত্রুটি সম্পর্কে জানি না। ইবন হিব্বানও তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এ পদ্ধতিতে বর্ণনা করেন। তবে তিনি বলেছেন: যে ব্যক্তি সালাতে দু'শো আয়াত তিলাওয়াত করবে, তাকে মুকান্তারীনের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] تبَارك الَّذِي بِيَدِهِ الْملك إِلَى آخر (সূরা মূলক) থেকে শেষ পর্যন্ত তিলাওয়াতে রয়েছে এক হাজার আয়াত। আল্লাহ সর্বজ্ঞ।
(আবু দাউদ ও ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তাঁরা উভয়ে আবূ সারিয়া হতে, তিনি আবু হুজায়রা হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন। ইবন খুযায়মা বলেনঃ এ হাদীসটি যদি সহীহ হয়, তবে আমি আবু সারিয়ার বিশ্বস্ততা ও ত্রুটি সম্পর্কে জানি না। ইবন হিব্বানও তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এ পদ্ধতিতে বর্ণনা করেন। তবে তিনি বলেছেন: যে ব্যক্তি সালাতে দু'শো আয়াত তিলাওয়াত করবে, তাকে মুকান্তারীনের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] تبَارك الَّذِي بِيَدِهِ الْملك إِلَى آخر (সূরা মূলক) থেকে শেষ পর্যন্ত তিলাওয়াতে রয়েছে এক হাজার আয়াত। আল্লাহ সর্বজ্ঞ।
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي قيام اللَّيْل
949 - وَعَن عبد الله بن عَمْرو بن الْعَاصِ رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من قَامَ بِعشر آيَات لم يكْتب من الغافلين وَمن قَامَ بِمِائَة آيَة كتب من القانتين وَمن قَامَ بِأَلف آيَة كتب من المقنطرين
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه كِلَاهُمَا من رِوَايَة أبي سَرِيَّة عَن أبي حجيرة عَن عبد الله بن عَمْرو وَقَالَ ابْن خُزَيْمَة إِن صَحَّ الْخَبَر فَإِنِّي لَا أعرف أَبَا سَرِيَّة بعدالة وَلَا جرح وَرَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه من هَذِه الطَّرِيق أَيْضا إِلَّا أَنه قَالَ وَمن قَامَ بِمِائَتي آيَة كتب من المقنطرين
قَوْله من المقنطرين أَي مِمَّن كتب لَهُ قِنْطَار من الْأجر
قَالَ الْحَافِظ من سُورَة تبَارك الَّذِي بِيَدِهِ الْملك إِلَى آخر الْقُرْآن ألف آيَة وَالله أعلم
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه كِلَاهُمَا من رِوَايَة أبي سَرِيَّة عَن أبي حجيرة عَن عبد الله بن عَمْرو وَقَالَ ابْن خُزَيْمَة إِن صَحَّ الْخَبَر فَإِنِّي لَا أعرف أَبَا سَرِيَّة بعدالة وَلَا جرح وَرَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه من هَذِه الطَّرِيق أَيْضا إِلَّا أَنه قَالَ وَمن قَامَ بِمِائَتي آيَة كتب من المقنطرين
قَوْله من المقنطرين أَي مِمَّن كتب لَهُ قِنْطَار من الْأجر
قَالَ الْحَافِظ من سُورَة تبَارك الَّذِي بِيَدِهِ الْملك إِلَى آخر الْقُرْآن ألف آيَة وَالله أعلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৫০
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামুল লায়লের প্রতি অনুপ্রেরণা
৯৫০. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন কিনতার হল বার হাজার স্বর্ণ মুদ্রা (আওকীয়া)। আর আওকীয়া হল আসমান-যমীনের মধ্যস্থ বস্তু অপেক্ষা উত্তম।
(ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي قيام اللَّيْل
950 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ القنطار اثْنَا عشر ألف أُوقِيَّة الْأُوقِيَّة خير مِمَّا بَين السَّمَاء وَالْأَرْض
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৫১
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামুল লায়লের প্রতি অনুপ্রেরণা
৯৫১. হযরত আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যে ব্যক্তি রাতে দশ আয়াত তিলাওয়াত করবে, তাকে গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। যে ব্যক্তি একশ' আয়াত তিলাওয়াত করবে, তাকে রাতে দাঁড়িয়ে সালাত আদায়ের সওয়াব দেওয়া হবে। যে ব্যক্তি দুশো আয়াত তিলাওয়াত করবে, তাকে কানেতীনের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যে ব্যক্তি চারশো আয়াত তিলাওয়াত করবে, তাকে আবেদীনের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যে ব্যক্তি পাঁচশ আয়াত তিলাওয়াত করবে, তাকে হাফিযীনের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যে ব্যক্তি ছয়শো আয়াত তিলাওয়াত করবে, তাকে খাশিঈনের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যে ব্যক্তি আটশো আয়াত তিলাওয়াত করবে, তাকে মুখবিতীনের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আর যে ব্যক্তি এক হাজার আয়াত তিলাওয়াত করবে। তাকে কিতার দান করা হবে। কিন্তার হল বারশো আওকীয়া, আওকীয়া হল আসমান-যমীনের মধ্যস্থ বস্তুরাজি অপেক্ষা উত্তম। অথবা তিনি বলেছেন: যার উপর সূর্যালোক পড়ে, তা থেকে উত্তম। আর যে ব্যক্তি দুই হাজার আয়াত তিলাওয়াত করবে, সে হবে মুজিবীনদের অন্তর্ভুক্ত।
(তাবারানী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
[الموجب] এর অর্থ হল, এমন কাজ আঞ্জাম দেওয়া, যা জান্নাত অবধারিত করে দেয় এবং এমন কাজও, যা জাহান্নাম অবধারিত করে দেয়। এটি এ অর্থেও ব্যবহৃত হয়।
(তাবারানী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
[الموجب] এর অর্থ হল, এমন কাজ আঞ্জাম দেওয়া, যা জান্নাত অবধারিত করে দেয় এবং এমন কাজও, যা জাহান্নাম অবধারিত করে দেয়। এটি এ অর্থেও ব্যবহৃত হয়।
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي قيام اللَّيْل
951 - وَرُوِيَ عَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من قَرَأَ عشر آيَات فِي لَيْلَة لم يكْتب من الغافلين وَمن قَرَأَ مائَة آيَة كتب لَهُ قنوت لَيْلَة وَمن قَرَأَ مِائَتي آيَة كتب من القانتين وَمن قَرَأَ أَرْبَعمِائَة آيَة كتب من العابدين وَمن قَرَأَ خَمْسمِائَة آيَة كتب من الحافظين وَمن قَرَأَ سِتّمائَة آيَة كتب من الخاشعين وَمن قَرَأَ ثَمَانمِائَة آيَة كتب من المخبتين وَمن قَرَأَ ألف آيَة أصبح لَهُ قِنْطَار وَالْقِنْطَار ألف وَمِائَتَا أُوقِيَّة وَالْأُوقِية خير مِمَّا بَين السَّمَاء وَالْأَرْض أَو قَالَ خير مِمَّا طلعت عَلَيْهِ الشَّمْس وَمن قَرَأَ ألفي آيَة كَانَ من الموجبين
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ
الْمُوجب الَّذِي أَتَى بِفعل يُوجب لَهُ الْجنَّة وَيُطلق أَيْضا على من أَتَى بِفعل يُوجب لَهُ النَّار
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ
الْمُوجب الَّذِي أَتَى بِفعل يُوجب لَهُ الْجنَّة وَيُطلق أَيْضا على من أَتَى بِفعل يُوجب لَهُ النَّار
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৯৫২
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামুল লায়লের প্রতি অনুপ্রেরণা
৯৫২. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে নবী (সা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত সালাত সংরক্ষণ করে, সে গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত হবে না। যে ব্যক্তি রাতে একশ আয়াত তিলাওয়াত করবে, সে গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত হবে না। অথবা তিনি বলেছেন তাকে কানিতীনের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
(ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং হাকিম নিজ শব্দযোগে হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইবন খুযামার রিওয়ায়াতে আছে, তিনি বলেছেন: যে ব্যক্তি রাতে সালাতে একশ আয়াত তিলাওয়াত করবে, তাকে গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। আর যে ব্যক্তি রাতে সালাতে দুশো আয়াত তিলাওয়াত করবে, তাকে মুখলিসদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।)
হাকিম বলেনঃ এ হাদীসটি মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ। তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাতে দশ আয়াত তিলাওয়াত করবে, তাকে গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।
(ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং হাকিম নিজ শব্দযোগে হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইবন খুযামার রিওয়ায়াতে আছে, তিনি বলেছেন: যে ব্যক্তি রাতে সালাতে একশ আয়াত তিলাওয়াত করবে, তাকে গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। আর যে ব্যক্তি রাতে সালাতে দুশো আয়াত তিলাওয়াত করবে, তাকে মুখলিসদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।)
হাকিম বলেনঃ এ হাদীসটি মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ। তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাতে দশ আয়াত তিলাওয়াত করবে, তাকে গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي قيام اللَّيْل
952 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من حَافظ على هَؤُلَاءِ الصَّلَوَات المكتوبات لم يكن من الغافلين وَمن قَرَأَ فِي لَيْلَة مائَة آيَة لم يكْتب من الغافلين أَو كتب من القانتين
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَلَفظه وَهُوَ رِوَايَة لِابْنِ خُزَيْمَة أَيْضا قَالَ من صلى فِي لَيْلَة بِمِائَة آيَة لم يكْتب من الغافلين وَمن صلى فِي لَيْلَة بِمِائَتي آيَة كتب من القانتين المخلصين
وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح على شَرط مُسلم
وَفِي رِوَايَة لَهُ قَالَ فِيهَا على شَرط مُسلم أَيْضا من قَرَأَ عشر آيَات فِي لَيْلَة لم يكْتب من الغافلين
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَلَفظه وَهُوَ رِوَايَة لِابْنِ خُزَيْمَة أَيْضا قَالَ من صلى فِي لَيْلَة بِمِائَة آيَة لم يكْتب من الغافلين وَمن صلى فِي لَيْلَة بِمِائَتي آيَة كتب من القانتين المخلصين
وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح على شَرط مُسلم
وَفِي رِوَايَة لَهُ قَالَ فِيهَا على شَرط مُسلم أَيْضا من قَرَأَ عشر آيَات فِي لَيْلَة لم يكْتب من الغافلين
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৫৩
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ তন্দ্রাবস্থায় মানুষের সালাত আদায় ও কিরাআত পাঠ করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৯৫৩. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (সা) বলেছেন: তোমাদের কারো যখন সালাতে তন্দ্রা আসে, তখন তন্দ্রা চলে না যাওয়া পর্যন্ত যেন ঘুমিয়ে থাকে । কেননা তোমাদের কেউ যখন সালাতে তন্দ্রাভিভূত হয়ে পড়ে, তখন সম্ভবত সে ইসতিগফার করে (কিন্তু) প্রকারান্তরে সে নিজকে গালমন্দ করে।
(মালিক, বুখারী ও মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। নাসাঈ নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেন:
তোমাদের কেউ যখন সালাতে তন্দ্রাভিভূত হয়ে পড়ে, তখন সে যেন সালাত থেকে বিরত থাকে। কেননা সম্ভবত সে অজান্তে নিজকে বদদু'আ করে বসে।)
(মালিক, বুখারী ও মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। নাসাঈ নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেন:
তোমাদের কেউ যখন সালাতে তন্দ্রাভিভূত হয়ে পড়ে, তখন সে যেন সালাত থেকে বিরত থাকে। কেননা সম্ভবত সে অজান্তে নিজকে বদদু'আ করে বসে।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْهِيب من صَلَاة الْإِنْسَان وقراءته حَال النعاس
953 - عَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ
إِذا نعس أحدكُم فِي الصَّلَاة فليرقد حَتَّى يذهب عَنهُ النّوم فَإِن أحدكُم إِذا صلى وَهُوَ ناعس لَعَلَّه يذهب يسْتَغْفر فيسب نَفسه
رَوَاهُ مَالك وَالْبُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه وَالنَّسَائِيّ وَلَفظه إِذا نعس أحدكُم وَهُوَ يُصَلِّي فلينصرف فَلَعَلَّهُ يَدْعُو على نَفسه وَهُوَ لَا يدْرِي
إِذا نعس أحدكُم فِي الصَّلَاة فليرقد حَتَّى يذهب عَنهُ النّوم فَإِن أحدكُم إِذا صلى وَهُوَ ناعس لَعَلَّه يذهب يسْتَغْفر فيسب نَفسه
رَوَاهُ مَالك وَالْبُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه وَالنَّسَائِيّ وَلَفظه إِذا نعس أحدكُم وَهُوَ يُصَلِّي فلينصرف فَلَعَلَّهُ يَدْعُو على نَفسه وَهُوَ لَا يدْرِي
হাদীস নং: ৯৫৪
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ তন্দ্রাবস্থায় মানুষের সালাত আদায় ও কিরাআত পাঠ করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৯৫৪. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (সা) বলেছেন: তোমাদের কেউ যখন সালাতে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে, তখন সে যেন ঘুমিয়ে পড়ে, যতক্ষণ সে যা পাঠ করে, তা বুঝতে পারে।
(বুখারী ও নাসাঈ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে নাসাঈ শরীফে আরো বলা হয়েছেঃ তোমাদের কেউ যখন সালাতে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে, তখন সে যেন সালাতে থেকে বিরত থাকে এবং ঘুমিয়ে পড়ে।)
(বুখারী ও নাসাঈ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে নাসাঈ শরীফে আরো বলা হয়েছেঃ তোমাদের কেউ যখন সালাতে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে, তখন সে যেন সালাতে থেকে বিরত থাকে এবং ঘুমিয়ে পড়ে।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْهِيب من صَلَاة الْإِنْسَان وقراءته حَال النعاس
954 - وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِذا نعس أحدكُم فِي الصَّلَاة فلينم حَتَّى يعلم مَا يَقْرَؤُهُ
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَالنَّسَائِيّ إِلَّا أَنه قَالَ إِذا نعس أحدكُم فِي صلَاته فلينصرف وليرقد
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَالنَّسَائِيّ إِلَّا أَنه قَالَ إِذا نعس أحدكُم فِي صلَاته فلينصرف وليرقد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৫৫
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ তন্দ্রাবস্থায় মানুষের সালাত আদায় ও কিরাআত পাঠ করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৯৫৫. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তোমাদের কেউ যখন রাতে সালাতে দাঁড়ায় এবং কিরাআত জিহ্বায় আটকে যায় এবং সে কী বলে তা সে জানে না, এমতাবস্থায় সে যেন ঘুমিয়ে পড়ে।
(মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইবন মাজাহ (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইবন মাজাহ (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْهِيب من صَلَاة الْإِنْسَان وقراءته حَال النعاس
955 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا قَامَ أحدكُم من اللَّيْل فاستعجم الْقُرْآن على لِسَانه فَلم يدر مَا يَقُول فليضطجع
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه رَحِمهم الله تَعَالَى
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه رَحِمهم الله تَعَالَى
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৫৬
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ ফজরের সময় ঘুমান এবং কিয়ামুল লায়ল বর্জনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৯৫৬. হযরত ইবন মাস'উদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা) এর কাছে এক ব্যক্তির কথা আলোচনা করা হল, যে ফর্সা হওয়া পর্যন্ত ঘুমিয়েছিল। তিনি বললেন: শয়তান তার দুই কানে পেশাব করে দিয়েছে। অথবা তিনি বলেছেন: তার কানে পেশাব করে দিয়েছে।
(বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইবন মাজাহ তাঁর বর্ণনায় দ্বিবচন ব্যবহার করেছেন। আহমদ বিশুদ্ধ সনদে হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন: নবী (সা) নিঃসন্দেহে একবচন শব্দ فِي أُذُنه বলেছেন। ইমাম ইবন মাজাহ-এর হাদীসের শেষাংশে হাসান বলেনঃ আল্লাহর শপথ! শয়তানের পেশাব খুবই ভারি।)
(বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইবন মাজাহ তাঁর বর্ণনায় দ্বিবচন ব্যবহার করেছেন। আহমদ বিশুদ্ধ সনদে হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন: নবী (সা) নিঃসন্দেহে একবচন শব্দ فِي أُذُنه বলেছেন। ইমাম ইবন মাজাহ-এর হাদীসের শেষাংশে হাসান বলেনঃ আল্লাহর শপথ! শয়তানের পেশাব খুবই ভারি।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْهِيب من نوم الْإِنْسَان إِلَى الصَّباح وَترك قيام شَيْء من اللَّيْل
956 - عَن ابْن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ قَالَ ذكر عِنْد النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم رجل نَام لَيْلَة حَتَّى أصبح قَالَ ذَاك رجل بَال الشَّيْطَان فِي أُذُنَيْهِ أَو قَالَ فِي أُذُنه
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَقَالَ فِي أُذُنَيْهِ على التَّثْنِيَة من غير شكّ وَرَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد صَحِيح عَن أبي هُرَيْرَة وَقَالَ فِي أُذُنه على الْإِفْرَاد من غير شكّ وَزَاد فِي آخِره
قَالَ الْحسن إِن بَوْله وَالله ثقيل
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَقَالَ فِي أُذُنَيْهِ على التَّثْنِيَة من غير شكّ وَرَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد صَحِيح عَن أبي هُرَيْرَة وَقَالَ فِي أُذُنه على الْإِفْرَاد من غير شكّ وَزَاد فِي آخِره
قَالَ الْحسن إِن بَوْله وَالله ثقيل
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৫৭
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ ফজরের সময় ঘুমান এবং কিয়ামুল লায়ল বর্জনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৯৫৭. তাবারানী 'আওসাত' গ্রন্থে হযরত ইবন মাস'উদ (রা) হতে নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: বান্দা যখন রাতে সালাত আদায়ের ইচ্ছা করে, তখন একজন ফিরিশতা এসে তাকে বলে, তুমি দাঁড়িয়ে যাও, কেননা তুমি সকাল করেছ। কাজেই তোমার রবের স্মরণার্থে সালাত আদায় কর। অন্যদিকে শয়তান এসে বলে, রাত অতি দীর্ঘ, তুমি এত তাড়াতাড়ি উঠে গেলে। যখন সে সালাত আদায় করে, তখন আনন্দ অনুভব করে, শরীর হালকা হয় এবং চোখ জুড়ায়। আর যদি সে শয়তানের অনুগত হয়, তখন সকাল হয়ে যায়, এমন কি শয়তান তার কানে পেশাব করে দেয়।
كتاب النَّوَافِل
التَّرْهِيب من نوم الْإِنْسَان إِلَى الصَّباح وَترك قيام شَيْء من اللَّيْل
957 - وروى الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط حَدِيث ابْن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ وَلَفظه قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا أَرَادَ العَبْد الصَّلَاة من اللَّيْل أَتَاهُ ملك فَقَالَ لَهُ قُم فقد أَصبَحت فصل وَاذْكُر رَبك فيأتيه الشَّيْطَان فَيَقُول عَلَيْك ليل طَوِيل وسوف تقوم فَإِن قَامَ فصلى أصبح
نشيطا خَفِيف الْجِسْم قرير الْعين وَإِن هُوَ أطَاع الشَّيْطَان حَتَّى أصبح بَال فِي أُذُنه
نشيطا خَفِيف الْجِسْم قرير الْعين وَإِن هُوَ أطَاع الشَّيْطَان حَتَّى أصبح بَال فِي أُذُنه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৫৮
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ ফজরের সময় ঘুমান এবং কিয়ামুল লায়ল বর্জনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৯৫৮. হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবনুল আস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) আমাকে বলেছেনঃ হে আবদুল্লাহ! তুমি ঐ ব্যক্তির মত হয়ো না, যে রাতে ঘুম থেকে উঠল, অথচ কিয়ামুল লায়ল করল না।
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ এবং অপরাপর হাদীস গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে।)
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ এবং অপরাপর হাদীস গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْهِيب من نوم الْإِنْسَان إِلَى الصَّباح وَترك قيام شَيْء من اللَّيْل
958 - وَعَن عبد الله بن عَمْرو بن الْعَاصِ رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ لي رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَا عبد الله لَا تكن مثل فلَان كَانَ يقوم اللَّيْل فَترك قيام اللَّيْل
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالنَّسَائِيّ وَغَيرهم
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالنَّسَائِيّ وَغَيرهم
হাদীস নং: ৯৫৯
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ ফজরের সময় ঘুমান এবং কিয়ামুল লায়ল বর্জনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৯৫৯. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তোমাদের কেউ যখন ঘুমিয়ে পড়ে, তখন শয়তান তার মাথার পেছন দিকে তিনটি গিরা দেয় এবং প্রত্যেক গিরায় মোহরাংকিত করে বলেঃ এখনও অনেক রাত আছে, কাজেই তুমি নিশ্চিন্তে ঘুমাও। যখন সে জেগে আল্লাহর যিকর করে, অমনি একটি গিরা খুলে যায়। এরপর যখন সে উযূ করে, তখন আরেকটি গিরা খুলে যায়। আর যখন সে সালাত আদায় করে, তখন অপর গিরা খুলে যায়। ফলে সে সুস্থতা লাভ করে এবং আনন্দ অনুভব করে। অন্যথায় সে অপবিত্র চিত্ত নিয়ে আলস্য সহকারে দিন যাপন করে।
(মালিক, বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে ইবন মাজাহ বলেছেন: সে সুস্থ ও প্রফুল্ল হয় এবং কল্যণ লাভ করে, নতুবা সে অপবিত্র মন নিয়ে আলস্য অবস্থায় দিন যাপন করে। ফলে সে কল্যাণ লাভ করে না। পূর্ববর্তী অধ্যায়ে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
(মালিক, বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে ইবন মাজাহ বলেছেন: সে সুস্থ ও প্রফুল্ল হয় এবং কল্যণ লাভ করে, নতুবা সে অপবিত্র মন নিয়ে আলস্য অবস্থায় দিন যাপন করে। ফলে সে কল্যাণ লাভ করে না। পূর্ববর্তী অধ্যায়ে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْهِيب من نوم الْإِنْسَان إِلَى الصَّباح وَترك قيام شَيْء من اللَّيْل
959 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يعْقد الشَّيْطَان على قافية رَأس أحدكُم إِذا هُوَ نَام ثَلَاث عقد يضْرب على كل عقدَة عَلَيْك ليل طَوِيل فارقد فَإِن اسْتَيْقَظَ فَذكر الله انْحَلَّت عقدَة فَإِن تَوَضَّأ انْحَلَّت عقدَة فَإِن صلى انْحَلَّت عقدَة فَأصْبح نشيطا طيب النَّفس وَإِلَّا أصبح خَبِيث النَّفس كسلان
رَوَاهُ مَالك وَالْبُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَعِنْده فَيُصْبِح نشيطا طيب النَّفس قد أصَاب خيرا وَإِن لم يفعل أصبح كسلان خَبِيث النَّفس لم يصب خيرا وَتقدم فِي الْبَاب قبله
رَوَاهُ مَالك وَالْبُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَعِنْده فَيُصْبِح نشيطا طيب النَّفس قد أصَاب خيرا وَإِن لم يفعل أصبح كسلان خَبِيث النَّفس لم يصب خيرا وَتقدم فِي الْبَاب قبله
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৬০
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ ফজরের সময় ঘুমান এবং কিয়ামুল লায়ল বর্জনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৯৬০. হযরত জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: উম্মু সুলায়মান ইবন দাউদ (আ) সুলায়মান (আ)-এর উদ্দেশ্যে বলেছেন: হে বৎস! তুমি রাতে অধিক নিদ্রা যাবে না। কেননা রাতে অধিক নিদ্রা মানুষকে কিয়ামতের দিন ফকীর বানিয়ে দেবে।
(ইবন মাজাহ ও বায়হাকী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে এর সনদটি হাসান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।)
(ইবন মাজাহ ও বায়হাকী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে এর সনদটি হাসান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْهِيب من نوم الْإِنْسَان إِلَى الصَّباح وَترك قيام شَيْء من اللَّيْل
960 - وَرُوِيَ عَن جَابر بن عبد الله رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَت أم سُلَيْمَان بن دَاوُد لِسُلَيْمَان يَا بني لَا تكْثر النّوم بِاللَّيْلِ فَإِن كَثْرَة النّوم بِاللَّيْلِ تتْرك الرجل فَقِيرا يَوْم الْقِيَامَة
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالْبَيْهَقِيّ وَفِي إِسْنَاده احْتِمَال للتحسين
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالْبَيْهَقِيّ وَفِي إِسْنَاده احْتِمَال للتحسين
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৬১
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ ফজরের সময় ঘুমান এবং কিয়ামুল লায়ল বর্জনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৯৬১. হযরত জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) থেকেই বর্ণিত। নবী (সা) বলেছেন: কোন মুসলিম নর-নারী যখন ঘুমায়, তখন তার (মাথার) উপর গিরা দেওয়া হয়। যদি সে উযূ করে এবং (রাতে) সালাত আদায় করে, তবে সে হৃষ্ট চিত্তের অধিকারী হয় এবং প্রভৃত কল্যাণ লাভ করে এবং তার সকল গিরা খুলে যায়। আর যদি সে আল্লাহর বিনা যিকরে সকাল করে, তবে তার উপর থাকে গিরা। ফলে সে সকাল করে ভারাক্রান্ত ও আলস্য মন নিয়ে এবং সে কল্যাণ লাভ করে না।
ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান উভয়ে তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থে নিজ শব্দযোগে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইবন খুযায়মার শব্দমালা ইতোপূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান উভয়ে তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থে নিজ শব্দযোগে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইবন খুযায়মার শব্দমালা ইতোপূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
كتاب النَّوَافِل
التَّرْهِيب من نوم الْإِنْسَان إِلَى الصَّباح وَترك قيام شَيْء من اللَّيْل
961 - وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ أَيْضا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مَا من مُسلم ذكر وَلَا أُنْثَى ينَام إِلَّا وَعَلِيهِ جرير مَعْقُود فَإِن هُوَ تَوَضَّأ وَقَامَ إِلَى الصَّلَاة أصبح نشيطا قد أصَاب خيرا وَقد انْحَلَّت عقده كلهَا وَإِن اسْتَيْقَظَ وَلم يذكر الله أصبح وعقده عَلَيْهِ وَأصْبح ثقيلا كسلان وَلم يصب خيرا
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَاللَّفْظ لِابْنِ حبَان وَتقدم لفظ ابْن خُزَيْمَة
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَاللَّفْظ لِابْنِ حبَان وَتقدم لفظ ابْن خُزَيْمَة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৬২
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ ফজরের সময় ঘুমান এবং কিয়ামুল লায়ল বর্জনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৯৬২. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন: আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেক অশ্লীলভাষী, পেটুক, বাজারে সজোরে চিৎকারকারী, মৃত জন্তুর ন্যায় রাত যাপনকারী, দিনে গাধার ভূমিকা পালনকারী, দুনিয়ার কাজে বিভোর আলিম এবং পরকালের কাজে মূর্খ ব্যক্তির প্রতি ক্ষুব্ধ।
ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং ইস্পাহানী এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং ইস্পাহানী এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
كتاب النَّوَافِل
التَّرْهِيب من نوم الْإِنْسَان إِلَى الصَّباح وَترك قيام شَيْء من اللَّيْل
962 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن الله يبغض كل
جعظري جواظ صخاب فِي الْأَسْوَاق جيفة بِاللَّيْلِ حمَار بِالنَّهَارِ عَالم بِأَمْر الدُّنْيَا جَاهِل بِأَمْر الْآخِرَة
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه والأصبهاني
جعظري جواظ صخاب فِي الْأَسْوَاق جيفة بِاللَّيْلِ حمَار بِالنَّهَارِ عَالم بِأَمْر الدُّنْيَا جَاهِل بِأَمْر الْآخِرَة
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه والأصبهاني