আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
৬. অধ্যায়ঃ নফল - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৮৭ টি
হাদীস নং: ১০২৩
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ সালাতুল হাজাত ও তাতে দু'আর অনুপ্রেরণা
১০২৩. হযরত উসমান ইবন হুনায়ফ (রা) থেকে বর্ণিত। এক অন্ধলোক রাসূলুল্লাহ (সা) এর কাছে এসে বলল: ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার চোখের জ্যোতি ফিরে পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দু'আ করুন। অথবা তিনি বলেন: আমি আপনার কাছে দু'আ চাচ্ছি, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার চোখের জ্যোতি লোপ পাওয়ায় আমার কষ্ট হচ্ছে। তখন তিনি বলেনঃ তুমি উযূ করে দুই রাকাআত সালাত আদায় করে বলবে:
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك وأتوجه إِلَيْك بنبيي مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نَبِي الرَّحْمَة يَا مُحَمَّد إِنِّي أتوجه إِلَى رَبِّي بك أَن يكْشف لي عَن بَصرِي
"হে আল্লাহ। আমি তোমার কাছে নিবেদন করছি, তোমার রহমতের নবী মুহাম্মদ (সা) এর মাধ্যমে, আমি তোমার অভিমুখী হলাম। হে মুহাম্মদ! আমি আপনার মাধ্যমে আমার প্রতিপালকের অভিমুখী হলাম। তিনি যেন আমার চোখের পর্দা সরিয়ে দেন। হে আল্লাহ! আমার ব্যাপারে তাঁর শাফাআত কবুল কর। আমার নিজের ব্যাপারে তুমি তাঁর শাফায়াত কবুল কর।" এরপর সে চোখের জ্যোতি ফিরে পেয়ে চলে গেল।
(তিরমিযী, হাদীসটি বর্ণনা করেন। এ হাদীসটি হাসান-সহীহ-গরীব। নাসাঈ নিজ শব্দযোগে, ইবন মাজাহ ও ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেন। হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং বলেনঃ এ হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ। তবে ইমাম তিরমিযীর বর্ণনায় ثمَّ صلي رَكْعَتَيْنِ উল্লিখিত নেই। তবে তিনি বলেছেন: তিনি তাকে উত্তমরূপে উযূ করার নির্দেশ দেন। এরপর তিনি দু'আ করেন। তারপর অনুরূপ উল্লেখ করেন। তবে তিনি 'দাওয়াত' অধ্যায়ে এবং তাবারানী হাদীসের প্রথমাংশে একটি ঘটনার বিবরণ দেন।
আর তা হল এইঃ জনৈক ব্যক্তি উসমান (রা)-এর কাছে কোন প্রয়োজনে যাতায়াত করত। কিন্তু উসমান (রা) তার প্রতি তাকাতেন না এবং তার চাহিদা পূরণের চিন্তাও করতেন না। এরপর লোকটি উসমান ইবন হুনায়ফ (রা)-এর কাছে গেল এবং তার নিকট ঘটনাটি অভিযোগ আকারে বর্ণনা করল। তখন উসমান ইবন হুনায়ফ বললেন: তুমি উযূখানায় যাও এবং উত্তমরূপে উযূ করে নাও। এরপর মসজিদে গিয়ে দুই রাক'আত সালাত আদায় করে নাও। তারপর তুমি বলঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك وأتوجه إِلَيْك بنبينا مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نَبِي الرَّحْمَة يَا مُحَمَّد إِنِّي أتوجه بك إِلَى رَبِّي فَيَقْضِي حَاجَتي
হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করি, তোমার দিকে আমাদের রহমতের নবী মুহাম্মদ (সা) কে মাধ্যম করে তোমার অভিমুখী হলাম। হে মুহাম্মদ! আমি আপনার মাধ্যমে আপনার প্রতিপালকের অভিমুখী হলাম। তিনি যেন আমার চাহিদা পূরণ করেন।"
তুমি তোমার দু'আর মধ্যে প্রয়োজনের কথা বল। পরে আমার কাছে আস, আমি তোমার সাথে যাব। এরপর লোকটি চলে গেল এবং সে যেভাবে শিক্ষা দিল লোকটি সেভাবে করল। পরে লোকটি উসমান (রা)-এর কাছে গেলে দারোয়ান তার হাত ধরে উসমান (রা)-এর নিকট নিয়ে গেল। তিনি তাকে উত্তম বিছানায় বসালেন এবং বললেনঃ তোমার কি প্রয়োজন? লোকটি তার প্রয়োজনের কথা বলল। তখন তিনি তা পূরণ করে দিলেন। এরপর তিনি বললেনঃ তুমি আমার কাছে কেবল এইমাত্র তোমার প্রয়োজনের বিষয়ে উল্লেখ করলে। যখনই তোমার কোন প্রয়োজন হয়, তখন তুমি আমার কাছে আসবে। পরে লোকটি উসমান (রা)-এর নিকট থেকে চলে গেল এবং উসমান ইবন হুনায়ফের সংগে সাক্ষাত করল। সে বলল: আল্লাহ তোমাকে উত্তম প্রতিদান দিন। (এ যাবত) তিনি প্রয়োজনের চিন্তা করেন নি। আপনি যখন তার সাথে আমার বিষয়ে কথা বললেন, তখন তিনি আমার প্রয়োজন পূরণ করলেন। তখন উসমান ইবন হুনায়ফ বললেনঃ আল্লাহর শপথ! আমি তার সাথে তোমার ব্যাপারে কোন কথা বলিনি; বরং আমি রাসুলুল্লাহ (সা) কে দেখেছি, একজন অসহায় ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা) এর কাছে এসে চোখের জ্যোতি চলে যাবার ব্যাপারে অভিযোগ করল। তখন রাসূলুল্লাহ তাকে বললেনঃ তুমি ধৈর্য ধর। সে বলল: ইয়া রাসূলাল্লাহ। আমাকে হাত ধরে নেয়ার কেউ নেই, ব্যাপারটি আমার কাছে খুবই পীড়াদায়ক। রাসূলুল্লাহ (সা) তাকে বললেনঃ তুমি উযুখানায় যাও এবং উযূ করে দুই রাক'আত সালাত আদায় করে নাও। এরপর তুমি এই দু'আ পাঠ কর। উসমান ইবন হুনায়ফ বললেন: আমরা সকলে ঐ বৈঠকে ছিলাম এবং আমাদের পরস্পরের বাক্যালাপ দীর্ঘ ছিল। এমন সময় ঐ লোকটি ফিরে এলো। মনে হল কখনো তার চোখে কোন ব্যধি ছিল না।
(তাবারানী বিভিন্ন সূত্রে বর্ণনা করে বলেন, হাদীসটি সহীহ।)
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك وأتوجه إِلَيْك بنبيي مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نَبِي الرَّحْمَة يَا مُحَمَّد إِنِّي أتوجه إِلَى رَبِّي بك أَن يكْشف لي عَن بَصرِي
"হে আল্লাহ। আমি তোমার কাছে নিবেদন করছি, তোমার রহমতের নবী মুহাম্মদ (সা) এর মাধ্যমে, আমি তোমার অভিমুখী হলাম। হে মুহাম্মদ! আমি আপনার মাধ্যমে আমার প্রতিপালকের অভিমুখী হলাম। তিনি যেন আমার চোখের পর্দা সরিয়ে দেন। হে আল্লাহ! আমার ব্যাপারে তাঁর শাফাআত কবুল কর। আমার নিজের ব্যাপারে তুমি তাঁর শাফায়াত কবুল কর।" এরপর সে চোখের জ্যোতি ফিরে পেয়ে চলে গেল।
(তিরমিযী, হাদীসটি বর্ণনা করেন। এ হাদীসটি হাসান-সহীহ-গরীব। নাসাঈ নিজ শব্দযোগে, ইবন মাজাহ ও ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেন। হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং বলেনঃ এ হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ। তবে ইমাম তিরমিযীর বর্ণনায় ثمَّ صلي رَكْعَتَيْنِ উল্লিখিত নেই। তবে তিনি বলেছেন: তিনি তাকে উত্তমরূপে উযূ করার নির্দেশ দেন। এরপর তিনি দু'আ করেন। তারপর অনুরূপ উল্লেখ করেন। তবে তিনি 'দাওয়াত' অধ্যায়ে এবং তাবারানী হাদীসের প্রথমাংশে একটি ঘটনার বিবরণ দেন।
আর তা হল এইঃ জনৈক ব্যক্তি উসমান (রা)-এর কাছে কোন প্রয়োজনে যাতায়াত করত। কিন্তু উসমান (রা) তার প্রতি তাকাতেন না এবং তার চাহিদা পূরণের চিন্তাও করতেন না। এরপর লোকটি উসমান ইবন হুনায়ফ (রা)-এর কাছে গেল এবং তার নিকট ঘটনাটি অভিযোগ আকারে বর্ণনা করল। তখন উসমান ইবন হুনায়ফ বললেন: তুমি উযূখানায় যাও এবং উত্তমরূপে উযূ করে নাও। এরপর মসজিদে গিয়ে দুই রাক'আত সালাত আদায় করে নাও। তারপর তুমি বলঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك وأتوجه إِلَيْك بنبينا مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نَبِي الرَّحْمَة يَا مُحَمَّد إِنِّي أتوجه بك إِلَى رَبِّي فَيَقْضِي حَاجَتي
হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করি, তোমার দিকে আমাদের রহমতের নবী মুহাম্মদ (সা) কে মাধ্যম করে তোমার অভিমুখী হলাম। হে মুহাম্মদ! আমি আপনার মাধ্যমে আপনার প্রতিপালকের অভিমুখী হলাম। তিনি যেন আমার চাহিদা পূরণ করেন।"
তুমি তোমার দু'আর মধ্যে প্রয়োজনের কথা বল। পরে আমার কাছে আস, আমি তোমার সাথে যাব। এরপর লোকটি চলে গেল এবং সে যেভাবে শিক্ষা দিল লোকটি সেভাবে করল। পরে লোকটি উসমান (রা)-এর কাছে গেলে দারোয়ান তার হাত ধরে উসমান (রা)-এর নিকট নিয়ে গেল। তিনি তাকে উত্তম বিছানায় বসালেন এবং বললেনঃ তোমার কি প্রয়োজন? লোকটি তার প্রয়োজনের কথা বলল। তখন তিনি তা পূরণ করে দিলেন। এরপর তিনি বললেনঃ তুমি আমার কাছে কেবল এইমাত্র তোমার প্রয়োজনের বিষয়ে উল্লেখ করলে। যখনই তোমার কোন প্রয়োজন হয়, তখন তুমি আমার কাছে আসবে। পরে লোকটি উসমান (রা)-এর নিকট থেকে চলে গেল এবং উসমান ইবন হুনায়ফের সংগে সাক্ষাত করল। সে বলল: আল্লাহ তোমাকে উত্তম প্রতিদান দিন। (এ যাবত) তিনি প্রয়োজনের চিন্তা করেন নি। আপনি যখন তার সাথে আমার বিষয়ে কথা বললেন, তখন তিনি আমার প্রয়োজন পূরণ করলেন। তখন উসমান ইবন হুনায়ফ বললেনঃ আল্লাহর শপথ! আমি তার সাথে তোমার ব্যাপারে কোন কথা বলিনি; বরং আমি রাসুলুল্লাহ (সা) কে দেখেছি, একজন অসহায় ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা) এর কাছে এসে চোখের জ্যোতি চলে যাবার ব্যাপারে অভিযোগ করল। তখন রাসূলুল্লাহ তাকে বললেনঃ তুমি ধৈর্য ধর। সে বলল: ইয়া রাসূলাল্লাহ। আমাকে হাত ধরে নেয়ার কেউ নেই, ব্যাপারটি আমার কাছে খুবই পীড়াদায়ক। রাসূলুল্লাহ (সা) তাকে বললেনঃ তুমি উযুখানায় যাও এবং উযূ করে দুই রাক'আত সালাত আদায় করে নাও। এরপর তুমি এই দু'আ পাঠ কর। উসমান ইবন হুনায়ফ বললেন: আমরা সকলে ঐ বৈঠকে ছিলাম এবং আমাদের পরস্পরের বাক্যালাপ দীর্ঘ ছিল। এমন সময় ঐ লোকটি ফিরে এলো। মনে হল কখনো তার চোখে কোন ব্যধি ছিল না।
(তাবারানী বিভিন্ন সূত্রে বর্ণনা করে বলেন, হাদীসটি সহীহ।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الْحَاجة ودعائها
1023 - عَن عُثْمَان بن حنيف رَضِي الله عَنهُ أَن أعمى أَتَى إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ يَا رَسُول الله ادْع الله أَن يكْشف لي عَن بَصرِي قَالَ أَو أدعك قَالَ يَا رَسُول الله إِنَّه قد شقّ عَليّ ذهَاب بَصرِي
قَالَ فَانْطَلق فَتَوَضَّأ ثمَّ صل رَكْعَتَيْنِ ثمَّ قل اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك وأتوجه إِلَيْك بنبيي مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نَبِي الرَّحْمَة يَا مُحَمَّد إِنِّي أتوجه إِلَى رَبِّي بك أَن يكْشف لي عَن بَصرِي اللَّهُمَّ شفعه فِي وشفعني فِي نَفسِي
فَرجع وَقد كشف الله عَن بَصَره
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح غَرِيب وَالنَّسَائِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط البُخَارِيّ وَمُسلم وَلَيْسَ عِنْد التِّرْمِذِيّ ثمَّ صل رَكْعَتَيْنِ إِنَّمَا قَالَ فَأمره أَن يتَوَضَّأ فَيحسن وضوءه ثمَّ يَدْعُو بِهَذَا الدُّعَاء فَذكره بِنَحْوِهِ
وَرَوَاهُ فِي الدَّعْوَات وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَذكر فِي أَوله قصَّة
وَهُوَ أَن رجلا كَانَ يخْتَلف إِلَى عُثْمَان بن عَفَّان رَضِي الله عَنهُ فِي حَاجَة لَهُ وَكَانَ عُثْمَان لَا يلْتَفت إِلَيْهِ وَلَا ينظر فِي حَاجته فلقي عُثْمَان بن حنيف فَشَكا ذَلِك إِلَيْهِ فَقَالَ لَهُ عُثْمَان بن حنيف ائْتِ الميضأة فَتَوَضَّأ ثمَّ ائْتِ الْمَسْجِد فصل فِيهِ رَكْعَتَيْنِ ثمَّ قل اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك وأتوجه إِلَيْك بنبينا مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نَبِي الرَّحْمَة يَا مُحَمَّد إِنِّي أتوجه بك إِلَى رَبِّي فَيَقْضِي حَاجَتي وتذكر حَاجَتك ورح إِلَيّ حَتَّى أروح مَعَك فَانْطَلق الرجل فَصنعَ مَا قَالَ لَهُ ثمَّ أَتَى بَاب عُثْمَان فجَاء البواب حَتَّى أَخذ بِيَدِهِ فَأدْخلهُ على عُثْمَان بن عَفَّان فأجلسه مَعَه على الطنفسة وَقَالَ مَا حَاجَتك فَذكر حَاجته فقضاها لَهُ ثمَّ قَالَ مَا ذكرت حَاجَتك حَتَّى كَانَت هَذِه السَّاعَة وَقَالَ مَا كَانَت لَك من حَاجَة فائتنا ثمَّ إِن الرجل خرج من عِنْده فلقي عُثْمَان بن حنيف فَقَالَ لَهُ جَزَاك الله خيرا مَا كَانَ ينظر فِي حَاجَتي وَلَا يلْتَفت إِلَيّ حَتَّى كَلمته فِي فَقَالَ عُثْمَان بن حنيف وَالله مَا كَلمته وَلَكِن شهِدت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَأَتَاهُ رجل ضَرِير فَشَكا إِلَيْهِ ذهَاب بَصَره فَقَالَ لَهُ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَو تصبر فَقَالَ يَا رَسُول الله إِنَّه لَيْسَ لي قَائِد وَقد شقّ عَليّ فَقَالَ لَهُ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ائْتِ الميضأة فَتَوَضَّأ ثمَّ صل رَكْعَتَيْنِ ثمَّ ادْع بِهَذِهِ الدَّعْوَات فَقَالَ عُثْمَان بن حنيف فوَاللَّه مَا تفرقنا وَطَالَ بِنَا الحَدِيث حَتَّى دخل علينا الرجل كَأَنَّهُ لم يكن بِهِ ضرّ قطّ
قَالَ الطَّبَرَانِيّ بعد ذكر طرقه والْحَدِيث صَحِيح
قَالَ فَانْطَلق فَتَوَضَّأ ثمَّ صل رَكْعَتَيْنِ ثمَّ قل اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك وأتوجه إِلَيْك بنبيي مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نَبِي الرَّحْمَة يَا مُحَمَّد إِنِّي أتوجه إِلَى رَبِّي بك أَن يكْشف لي عَن بَصرِي اللَّهُمَّ شفعه فِي وشفعني فِي نَفسِي
فَرجع وَقد كشف الله عَن بَصَره
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح غَرِيب وَالنَّسَائِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط البُخَارِيّ وَمُسلم وَلَيْسَ عِنْد التِّرْمِذِيّ ثمَّ صل رَكْعَتَيْنِ إِنَّمَا قَالَ فَأمره أَن يتَوَضَّأ فَيحسن وضوءه ثمَّ يَدْعُو بِهَذَا الدُّعَاء فَذكره بِنَحْوِهِ
وَرَوَاهُ فِي الدَّعْوَات وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَذكر فِي أَوله قصَّة
وَهُوَ أَن رجلا كَانَ يخْتَلف إِلَى عُثْمَان بن عَفَّان رَضِي الله عَنهُ فِي حَاجَة لَهُ وَكَانَ عُثْمَان لَا يلْتَفت إِلَيْهِ وَلَا ينظر فِي حَاجته فلقي عُثْمَان بن حنيف فَشَكا ذَلِك إِلَيْهِ فَقَالَ لَهُ عُثْمَان بن حنيف ائْتِ الميضأة فَتَوَضَّأ ثمَّ ائْتِ الْمَسْجِد فصل فِيهِ رَكْعَتَيْنِ ثمَّ قل اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك وأتوجه إِلَيْك بنبينا مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نَبِي الرَّحْمَة يَا مُحَمَّد إِنِّي أتوجه بك إِلَى رَبِّي فَيَقْضِي حَاجَتي وتذكر حَاجَتك ورح إِلَيّ حَتَّى أروح مَعَك فَانْطَلق الرجل فَصنعَ مَا قَالَ لَهُ ثمَّ أَتَى بَاب عُثْمَان فجَاء البواب حَتَّى أَخذ بِيَدِهِ فَأدْخلهُ على عُثْمَان بن عَفَّان فأجلسه مَعَه على الطنفسة وَقَالَ مَا حَاجَتك فَذكر حَاجته فقضاها لَهُ ثمَّ قَالَ مَا ذكرت حَاجَتك حَتَّى كَانَت هَذِه السَّاعَة وَقَالَ مَا كَانَت لَك من حَاجَة فائتنا ثمَّ إِن الرجل خرج من عِنْده فلقي عُثْمَان بن حنيف فَقَالَ لَهُ جَزَاك الله خيرا مَا كَانَ ينظر فِي حَاجَتي وَلَا يلْتَفت إِلَيّ حَتَّى كَلمته فِي فَقَالَ عُثْمَان بن حنيف وَالله مَا كَلمته وَلَكِن شهِدت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَأَتَاهُ رجل ضَرِير فَشَكا إِلَيْهِ ذهَاب بَصَره فَقَالَ لَهُ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَو تصبر فَقَالَ يَا رَسُول الله إِنَّه لَيْسَ لي قَائِد وَقد شقّ عَليّ فَقَالَ لَهُ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ائْتِ الميضأة فَتَوَضَّأ ثمَّ صل رَكْعَتَيْنِ ثمَّ ادْع بِهَذِهِ الدَّعْوَات فَقَالَ عُثْمَان بن حنيف فوَاللَّه مَا تفرقنا وَطَالَ بِنَا الحَدِيث حَتَّى دخل علينا الرجل كَأَنَّهُ لم يكن بِهِ ضرّ قطّ
قَالَ الطَّبَرَانِيّ بعد ذكر طرقه والْحَدِيث صَحِيح
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১০২৪
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ সালাতুল হাজাত ও তাতে দু'আর অনুপ্রেরণা
১০২৪. হযরত আবদুল্লাহ ইবন আবূ আওফা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: আল্লাহর নিকট যদি কারো কিছুর প্রয়োজন হয়, অথবা তিনি বলেন: বনী আদমের যদি কারো কাছে কিছু প্রয়োজন হয়, তবে সে যেন উত্তমরূপে উযূ করে দুই রাক'আত সালাত আদায় করে। এরপর আল্লাহর প্রশংসা করে এবং আমার প্রতি দরূদ পাঠ করে সে যেন এরূপ বলেঃ
لَا إِلَه إِلَّا الله الْحَلِيم الْكَرِيم سُبْحَانَ الله رب الْعَرْش الْعَظِيم الْحَمد لله رب الْعَالمين أَسأَلك مُوجبَات رحمتك وعزائم مغفرتك وَالْغنيمَة من كل بر والسلامة من كل إِثْم لَا تدع لي ذَنبا إِلَّا غفرته وَلَا هما إِلَّا فرجته وَلَا حَاجَة هِيَ لَك رضَا إِلَّا قضيتها يَا أرْحم الرَّاحِمِينَ
"আল্লাহ ব্যতীত কোন আর ইলাহ নেই, যিনি সহনশীল ও পরম দয়ালু। আল্লাহর জন্য পবিত্রতা, যিনি মহান আরশের রব। আল্লাহর জন্য যাবতীয় প্রশংসা, যিনি সারা জাহানের প্রতিপালক। হে আল্লাহ! আমি তোমার অবধারিত রহমতের, তোমার সুদৃঢ় ক্ষমার, প্রত্যেক নেকীর প্রতিদানের, প্রত্যেক অপরাধ থেকে হিফাযতের প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! তুমি আমার যাবতীয় অপরাধ ক্ষমা করে দাও, আমাকে যাবতীয় দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দাও, তোমার সন্তুষ্টি আছে এ জাতীয় প্রয়োজন পূরণ করে দাও, ইয়া আরহামার রাহিমীন।"
(তিরমিযী ইবন মাজাহ ও উভয়ে ফায়েদ ইবন আবদুর রহমান ইবন আবূ ওয়ারকা হতে হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইবন মাজাহ-এর বর্ণনায় يَا أرْحم الرَّاحِمِينَ বাক্যের পরে রয়েছেঃ "সে ইহ-পারলৌকিক ব্যাপারে আল্লাহর নিকট ইচ্ছামত প্রার্থনা করবে।" কেননা তা অবধারিত হবে। হাকিম সংক্ষেপে বর্ণনা করে, বলেন: আমি এখানে শাহেদ (شَاهد) রূপে বর্ণনা করলাম। ফায়েদ হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি। হাকিমের বর্ণনায় আরো আছেঃ
وعزائم مغفرتك والعصمة من كل ذنب
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেন:] বর্ণনাকারী ফায়েদ পরিত্যক্ত। তবে তাঁর থেকে নির্ভরযোগ্য মুহাদ্দিসগণ বর্ণনা করেছেন । ইবন আদী বলেন, ফায়েদ দুর্বল হলেও মুহাদ্দিসগণ তাঁর থেকে হাদীস লিখে রাখতেন।
لَا إِلَه إِلَّا الله الْحَلِيم الْكَرِيم سُبْحَانَ الله رب الْعَرْش الْعَظِيم الْحَمد لله رب الْعَالمين أَسأَلك مُوجبَات رحمتك وعزائم مغفرتك وَالْغنيمَة من كل بر والسلامة من كل إِثْم لَا تدع لي ذَنبا إِلَّا غفرته وَلَا هما إِلَّا فرجته وَلَا حَاجَة هِيَ لَك رضَا إِلَّا قضيتها يَا أرْحم الرَّاحِمِينَ
"আল্লাহ ব্যতীত কোন আর ইলাহ নেই, যিনি সহনশীল ও পরম দয়ালু। আল্লাহর জন্য পবিত্রতা, যিনি মহান আরশের রব। আল্লাহর জন্য যাবতীয় প্রশংসা, যিনি সারা জাহানের প্রতিপালক। হে আল্লাহ! আমি তোমার অবধারিত রহমতের, তোমার সুদৃঢ় ক্ষমার, প্রত্যেক নেকীর প্রতিদানের, প্রত্যেক অপরাধ থেকে হিফাযতের প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! তুমি আমার যাবতীয় অপরাধ ক্ষমা করে দাও, আমাকে যাবতীয় দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দাও, তোমার সন্তুষ্টি আছে এ জাতীয় প্রয়োজন পূরণ করে দাও, ইয়া আরহামার রাহিমীন।"
(তিরমিযী ইবন মাজাহ ও উভয়ে ফায়েদ ইবন আবদুর রহমান ইবন আবূ ওয়ারকা হতে হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইবন মাজাহ-এর বর্ণনায় يَا أرْحم الرَّاحِمِينَ বাক্যের পরে রয়েছেঃ "সে ইহ-পারলৌকিক ব্যাপারে আল্লাহর নিকট ইচ্ছামত প্রার্থনা করবে।" কেননা তা অবধারিত হবে। হাকিম সংক্ষেপে বর্ণনা করে, বলেন: আমি এখানে শাহেদ (شَاهد) রূপে বর্ণনা করলাম। ফায়েদ হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি। হাকিমের বর্ণনায় আরো আছেঃ
وعزائم مغفرتك والعصمة من كل ذنب
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেন:] বর্ণনাকারী ফায়েদ পরিত্যক্ত। তবে তাঁর থেকে নির্ভরযোগ্য মুহাদ্দিসগণ বর্ণনা করেছেন । ইবন আদী বলেন, ফায়েদ দুর্বল হলেও মুহাদ্দিসগণ তাঁর থেকে হাদীস লিখে রাখতেন।
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الْحَاجة ودعائها
1024 - وَعَن عبد الله بن أبي أوفى رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من كَانَت لَهُ إِلَى الله حَاجَة أَو إِلَى أحد من بني آدم فَليَتَوَضَّأ وليحسن الْوضُوء وَليصل رَكْعَتَيْنِ ثمَّ ليثن على الله وَليصل على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ثمَّ ليقل لَا إِلَه إِلَّا الله الْحَلِيم الْكَرِيم سُبْحَانَ الله رب الْعَرْش الْعَظِيم الْحَمد لله رب الْعَالمين أَسأَلك مُوجبَات رحمتك وعزائم مغفرتك وَالْغنيمَة من كل بر والسلامة من كل إِثْم لَا تدع لي ذَنبا إِلَّا غفرته وَلَا هما إِلَّا فرجته وَلَا حَاجَة هِيَ لَك رضَا إِلَّا قضيتها يَا أرْحم الرَّاحِمِينَ
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه كِلَاهُمَا من رِوَايَة فَايِد بن عبد الرَّحْمَن بن أبي الورقاء عَنهُ وَزَاد ابْن مَاجَه بعد قَوْله
يَا أرْحم الرَّاحِمِينَ ثمَّ يسْأَل من أَمر الدُّنْيَا وَالْآخِرَة مَا شَاءَ فَإِنَّهُ يقدر
وَرَوَاهُ الْحَاكِم بِاخْتِصَار ثمَّ قَالَ أخرجته شَاهدا وفايد مُسْتَقِيم الحَدِيث وَزَاد بعد قَوْله وعزائم مغفرتك والعصمة من كل ذَنْب
قَالَ الْحَافِظ فَايِد مَتْرُوك روى عَنهُ الثِّقَات وَقَالَ ابْن عدي مَعَ ضعفه يكْتب حَدِيثه
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه كِلَاهُمَا من رِوَايَة فَايِد بن عبد الرَّحْمَن بن أبي الورقاء عَنهُ وَزَاد ابْن مَاجَه بعد قَوْله
يَا أرْحم الرَّاحِمِينَ ثمَّ يسْأَل من أَمر الدُّنْيَا وَالْآخِرَة مَا شَاءَ فَإِنَّهُ يقدر
وَرَوَاهُ الْحَاكِم بِاخْتِصَار ثمَّ قَالَ أخرجته شَاهدا وفايد مُسْتَقِيم الحَدِيث وَزَاد بعد قَوْله وعزائم مغفرتك والعصمة من كل ذَنْب
قَالَ الْحَافِظ فَايِد مَتْرُوك روى عَنهُ الثِّقَات وَقَالَ ابْن عدي مَعَ ضعفه يكْتب حَدِيثه
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০২৫
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ সালাতুল হাজাত ও তাতে দু'আর অনুপ্রেরণা
১০২৫. ইস্পাহানী হযরত আনাস (রা) থেকে নিজ শব্দযোগ বর্ণনা করেন, নবী (সা) বলেছেনঃ হে আলী! আমি কি তোমাকে বিপদ ও চিন্তার সময় তোমার প্রতিপালকের কাছে দু'আ শেখাব, যা আল্লাহর ইচ্ছায় কবুল হবে এবং তোমার বিপদ কেটে যাবে? তা হলঃ তুমি উযূ করে দুই রাক'আত সালাত আদায় করে নেবে, এরপর আল্লাহর প্রশংসা এবং তোমার নবীর প্রতি দরূদ পাঠ করবে। তুমি তোমার নিজের ও মুমিন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার জন্য মাগফিরাত কামনা করবে। তারপর তুমি বলবেঃ
اللَّهُمَّ أَنْت تحكم بَين عِبَادك فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ لَا إِلَه إِلَّا الله الْعلي الْعَظِيم لَا إِلَه إِلَّا الله الْحَلِيم الْكَرِيم سُبْحَانَ الله رب السَّمَوَات السَّبع وَرب الْعَرْش الْعَظِيم الْحَمد لله رب الْعَالمين اللَّهُمَّ كاشف الْغم مفرج الْهم مُجيب دَعْوَة الْمُضْطَرين إِذا دعوك رَحْمَن الدُّنْيَا وَالْآخِرَة ورحيمهما فارحمني فِي حَاجَتي هَذِه بقضائها ونجاحها رَحْمَة تغنيني بهَا عَن رَحْمَة من سواك
"হে আল্লাহ! তুমি তোমার বান্দাদের মধ্যকার মতবিরোধজনিত বিষয়ের বিচার করবে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই, তিনি সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী ও মহান, সহনশীল ও দয়াবান। আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই, তিনি সাত আসমান ও মহিমান্বিত আরশের অধিপতি, আল্লাহরই পবিত্রতা। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। হে আল্লাহ! চিন্তা দূরকারী, বিপদ থেকে মুক্তিদানকারী, বিপদগ্রস্তগণ যখন তোমাকে ডাকে,
তুমি তাদের ডাকে সাড়া দানকারী। ইহ-পরকালে উভয় জাহানের তুমিই পরম দয়ালু ও দয়াবান। কাজেই। তুমি আমার এই প্রয়োজনের মুহূর্তে আমার চাহিদা পূরণে এবং সফলতায় এমন দয়া কর, যা অন্যের দয়া ব্যতিরেকে একমাত্র তোমারই দয়ায় আমাকে ধন্য করবে।"
اللَّهُمَّ أَنْت تحكم بَين عِبَادك فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ لَا إِلَه إِلَّا الله الْعلي الْعَظِيم لَا إِلَه إِلَّا الله الْحَلِيم الْكَرِيم سُبْحَانَ الله رب السَّمَوَات السَّبع وَرب الْعَرْش الْعَظِيم الْحَمد لله رب الْعَالمين اللَّهُمَّ كاشف الْغم مفرج الْهم مُجيب دَعْوَة الْمُضْطَرين إِذا دعوك رَحْمَن الدُّنْيَا وَالْآخِرَة ورحيمهما فارحمني فِي حَاجَتي هَذِه بقضائها ونجاحها رَحْمَة تغنيني بهَا عَن رَحْمَة من سواك
"হে আল্লাহ! তুমি তোমার বান্দাদের মধ্যকার মতবিরোধজনিত বিষয়ের বিচার করবে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই, তিনি সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী ও মহান, সহনশীল ও দয়াবান। আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই, তিনি সাত আসমান ও মহিমান্বিত আরশের অধিপতি, আল্লাহরই পবিত্রতা। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। হে আল্লাহ! চিন্তা দূরকারী, বিপদ থেকে মুক্তিদানকারী, বিপদগ্রস্তগণ যখন তোমাকে ডাকে,
তুমি তাদের ডাকে সাড়া দানকারী। ইহ-পরকালে উভয় জাহানের তুমিই পরম দয়ালু ও দয়াবান। কাজেই। তুমি আমার এই প্রয়োজনের মুহূর্তে আমার চাহিদা পূরণে এবং সফলতায় এমন দয়া কর, যা অন্যের দয়া ব্যতিরেকে একমাত্র তোমারই দয়ায় আমাকে ধন্য করবে।"
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الْحَاجة ودعائها
1025 - وَرَوَاهُ الْأَصْبَهَانِيّ من حَدِيث أنس رَضِي الله عَنهُ وَلَفظه أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يَا عَليّ أَلا أعلمك دُعَاء إِذا أَصَابَك غم أَو هم تَدْعُو بِهِ رَبك فيستجاب لَك بِإِذن الله ويفرج عَنْك تَوَضَّأ وصل رَكْعَتَيْنِ وَاحْمَدْ الله وأثن عَلَيْهِ وصل على نبيك واستغفر لنَفسك وَلِلْمُؤْمنِينَ وَالْمُؤْمِنَات ثمَّ قل اللَّهُمَّ أَنْت تحكم بَين عِبَادك فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ لَا إِلَه إِلَّا الله الْعلي الْعَظِيم لَا إِلَه إِلَّا الله الْحَلِيم الْكَرِيم سُبْحَانَ الله رب السَّمَوَات السَّبع وَرب الْعَرْش الْعَظِيم الْحَمد لله رب الْعَالمين اللَّهُمَّ كاشف الْغم مفرج الْهم مُجيب دَعْوَة الْمُضْطَرين إِذا دعوك رَحْمَن الدُّنْيَا وَالْآخِرَة ورحيمهما فارحمني فِي حَاجَتي هَذِه بقضائها ونجاحها رَحْمَة تغنيني بهَا عَن رَحْمَة من سواك
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০২৬
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ সালাতুল হাজাত ও তাতে দু'আর অনুপ্রেরণা
১০২৬. হযরত ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (সা) বলেছেন: তুমি দিনে হোক কি রাতে, বারো রাকাআত সালাত আদায় করবে এবং প্রতি দুই রাক'আতে তাশাহ্হুদ পাঠ করবে। তখন আল্লাহর প্রশংসা করবে এবং নবী-এর প্রতি দরূপ পাঠ করবে। এরপর সিজদা অবস্থায় তুমি সাতবার সূরা ফাতিহা পাঠ করবে এবং সাতবার আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে। তুমি আরো দশবার বলবেঃ
لاَ إِلهَ إِلاَّ الله وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
"আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। তিনি এক। তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁরই সমস্ত রাজত্ব। তাঁরই সমস্ত প্রশংসা। তিনি সর্ববিষয়ে শক্তিমান।" এরপর তুমি এই দু'আ পাঠ করবে:
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك بمعاقد الْعِزّ من عرشك ومنتهى الرَّحْمَة من كتابك واسمك الْأَعْظَم وَجدك الْأَعْلَى وكلماتك التَّامَّة
"হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে তোমার আরশের সম্মানের খাতিরে, তোমার নিকট লেখা রহমতের চূড়ান্ত দয়ায়, তোমার মহান নামের, তোমার মাহাত্ম্যের খাতিরে এবং তোমার পূর্ণ কালেমাসমূহের খাতিরে কামনা করি।"
এরপর তুমি তোমার প্রয়োজনের কথা বলবে। পরে মাথা তুলে ডানে-বামে সালাম ফিরিয়ে নেবে। তোমরা নির্বোধদের এই দু'আ শিক্ষা দিও না। কেননা তারাও এরদ্বারা দু'আ করলে তা কবুল হবে।
(হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আহমদ ইবন হারব বলেন, আমি হাদীসটি পরীক্ষা করে যথাযথ পেয়েছি। ইবরাহীম ইবন আলী দাবিলী বলেন: আমি হাদীসটি যথাযথ পেয়েছি। হাকিম বলেন: আবূ যাকরিয়া আমাদের কাছে অনুরূপ বলেছেন। হাকিম বলেন: আমি নিজেই তা পরীক্ষা করে যথাযথ ফল পেয়েছি। হাদীসটি আমির ইবন খাদ্দাশ এককভাবে বর্ণনা করেন। তিনি একজন বিশ্বস্ত রাবী।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] আমির ইবন খাদ্দাশ নিশাপুরের অধিবাসী। আমাদের উস্তাদ হাফিয আবুল হাসান বলেছেন: আমিরের বর্ণনা অজানা। তাঁর থেকে উমর ইবন হারুন বালখী এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বর্জিত ও অভিযুক্ত। ইবন মাহদী ব্যতীত কেউ তাঁর প্রশংসা করেছেন বলে আমার জানা নেই। একমাত্র অভিজ্ঞতার মাধ্যমে এই জাতীয় বর্ণনাকারীর উপর নির্ভর করা যায়, কেবল সনদের বিচার করলে চলে না। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।
لاَ إِلهَ إِلاَّ الله وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
"আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। তিনি এক। তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁরই সমস্ত রাজত্ব। তাঁরই সমস্ত প্রশংসা। তিনি সর্ববিষয়ে শক্তিমান।" এরপর তুমি এই দু'আ পাঠ করবে:
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك بمعاقد الْعِزّ من عرشك ومنتهى الرَّحْمَة من كتابك واسمك الْأَعْظَم وَجدك الْأَعْلَى وكلماتك التَّامَّة
"হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে তোমার আরশের সম্মানের খাতিরে, তোমার নিকট লেখা রহমতের চূড়ান্ত দয়ায়, তোমার মহান নামের, তোমার মাহাত্ম্যের খাতিরে এবং তোমার পূর্ণ কালেমাসমূহের খাতিরে কামনা করি।"
এরপর তুমি তোমার প্রয়োজনের কথা বলবে। পরে মাথা তুলে ডানে-বামে সালাম ফিরিয়ে নেবে। তোমরা নির্বোধদের এই দু'আ শিক্ষা দিও না। কেননা তারাও এরদ্বারা দু'আ করলে তা কবুল হবে।
(হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আহমদ ইবন হারব বলেন, আমি হাদীসটি পরীক্ষা করে যথাযথ পেয়েছি। ইবরাহীম ইবন আলী দাবিলী বলেন: আমি হাদীসটি যথাযথ পেয়েছি। হাকিম বলেন: আবূ যাকরিয়া আমাদের কাছে অনুরূপ বলেছেন। হাকিম বলেন: আমি নিজেই তা পরীক্ষা করে যথাযথ ফল পেয়েছি। হাদীসটি আমির ইবন খাদ্দাশ এককভাবে বর্ণনা করেন। তিনি একজন বিশ্বস্ত রাবী।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] আমির ইবন খাদ্দাশ নিশাপুরের অধিবাসী। আমাদের উস্তাদ হাফিয আবুল হাসান বলেছেন: আমিরের বর্ণনা অজানা। তাঁর থেকে উমর ইবন হারুন বালখী এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বর্জিত ও অভিযুক্ত। ইবন মাহদী ব্যতীত কেউ তাঁর প্রশংসা করেছেন বলে আমার জানা নেই। একমাত্র অভিজ্ঞতার মাধ্যমে এই জাতীয় বর্ণনাকারীর উপর নির্ভর করা যায়, কেবল সনদের বিচার করলে চলে না। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الْحَاجة ودعائها
1026 - وَعَن ابْن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ اثْنَتَيْ عشرَة رَكْعَة تصليهن من ليل أَو نَهَار وتتشهد بَين كل رَكْعَتَيْنِ فَإِذا تشهدت فِي آخر صَلَاتك فأثن على الله عز وَجل وصل على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم واقرأ وَأَنت ساجد فَاتِحَة الْكتاب سبع مَرَّات وَآيَة الْكُرْسِيّ سبع مَرَّات وَقل لاَ إِلهَ إِلاَّ الله وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ عشر مَرَّات ثمَّ قل اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك بمعاقد الْعِزّ من عرشك ومنتهى الرَّحْمَة من كتابك واسمك الْأَعْظَم وَجدك الْأَعْلَى وكلماتك التَّامَّة ثمَّ سل حَاجَتك ثمَّ ارْفَعْ رَأسك ثمَّ سلم يَمِينا وَشمَالًا وَلَا تعلموها السُّفَهَاء فَإِنَّهُم يدعونَ بهَا فيستجابون
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ قَالَ أَحْمد بن حَرْب قد جربته فَوَجَدته حَقًا وَقَالَ إِبْرَاهِيم بن عَليّ الدبيلي قد جربته فَوَجَدته حَقًا وَقَالَ الْحَاكِم قَالَ لنا أَبُو زَكَرِيَّا قد جربته فَوَجَدته حَقًا
قَالَ الْحَاكِم قد جربته فَوَجَدته حَقًا
تفرد بِهِ عَامر بن خِدَاش وَهُوَ ثِقَة مَأْمُون انْتهى
قَالَ الْحَافِظ أما عَامر بن خِدَاش هَذَا هُوَ النَّيْسَابُورِي
قَالَ شَيخنَا الْحَافِظ أَبُو الْحسن كَانَ صَاحب مَنَاكِير وَقد تفرد بِهِ عَن عمر بن هَارُون الْبَلْخِي وَهُوَ مَتْرُوك مُتَّهم أثنى
عَلَيْهِ ابْن مهْدي وَحده فِيمَا أعلم والاعتماد فِي مثل هَذَا على التجربة لَا على الْإِسْنَاد وَالله أعلم
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ قَالَ أَحْمد بن حَرْب قد جربته فَوَجَدته حَقًا وَقَالَ إِبْرَاهِيم بن عَليّ الدبيلي قد جربته فَوَجَدته حَقًا وَقَالَ الْحَاكِم قَالَ لنا أَبُو زَكَرِيَّا قد جربته فَوَجَدته حَقًا
قَالَ الْحَاكِم قد جربته فَوَجَدته حَقًا
تفرد بِهِ عَامر بن خِدَاش وَهُوَ ثِقَة مَأْمُون انْتهى
قَالَ الْحَافِظ أما عَامر بن خِدَاش هَذَا هُوَ النَّيْسَابُورِي
قَالَ شَيخنَا الْحَافِظ أَبُو الْحسن كَانَ صَاحب مَنَاكِير وَقد تفرد بِهِ عَن عمر بن هَارُون الْبَلْخِي وَهُوَ مَتْرُوك مُتَّهم أثنى
عَلَيْهِ ابْن مهْدي وَحده فِيمَا أعلم والاعتماد فِي مثل هَذَا على التجربة لَا على الْإِسْنَاد وَالله أعلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০২৭
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ সালাতুল হাজাত ও তাতে দু'আর অনুপ্রেরণা
১০২৭. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: একদা জিবরাঈল (আ) আমাদের কাছে কতিপয় দু'আ নিয়ে আসেন। তিনি বললেন: আপনার উপর যখন পার্থিব বিপদাপদ চেপে বসে, তখন আপনি তা পেছনে রেখে আপনার চাহিদা পূরণের জন্য এরূপ দু'আ করুনঃ
يَا بديع السَّمَوَات وَالْأَرْض يَا ذَا الْجلَال وَالْإِكْرَام يَا صريخ المستصرخين يَا غياث المستغيثين يَا كاشف السوء يَا أرْحم الرَّاحِمِينَ يَا مُجيب دَعْوَة الْمُضْطَرين يَا إِلَه الْعَالمين بك أنزل حَاجَتي وَأَنت أعلم بهَا فاقضها
"হে আসমান-যমীনের স্রষ্টা, হে মহিমময় মহানুভব, হে বিপদে আহ্বানকারীর আহ্বানে সাড়াদানকারী, হে ফরিয়াদকারীর ফরিয়াদের জবাব দানকারী। হে বিপদ বিদূরিতকারী, হে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়াবান, বিপদগ্রস্তদের দু'আ কবুলকারী, হে জগৎসমূহের ইলাহ, আমি তোমার কাছেই চাহিদা পূরণের আবেদন জানাই। তুমি আমার চাহিদা সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত, কাজেই তুমি আমার চাহিদা পূরণ কর।"
(ইস্পাহানী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাঁর সনদে ইমাঈল ইবন আয়্যাশ নামে একজন রাবী রয়েছেন। তাঁর বর্ণনা গ্রহণের জন্য অনেক বর্ণনা বিদ্যমান রয়েছে।)
يَا بديع السَّمَوَات وَالْأَرْض يَا ذَا الْجلَال وَالْإِكْرَام يَا صريخ المستصرخين يَا غياث المستغيثين يَا كاشف السوء يَا أرْحم الرَّاحِمِينَ يَا مُجيب دَعْوَة الْمُضْطَرين يَا إِلَه الْعَالمين بك أنزل حَاجَتي وَأَنت أعلم بهَا فاقضها
"হে আসমান-যমীনের স্রষ্টা, হে মহিমময় মহানুভব, হে বিপদে আহ্বানকারীর আহ্বানে সাড়াদানকারী, হে ফরিয়াদকারীর ফরিয়াদের জবাব দানকারী। হে বিপদ বিদূরিতকারী, হে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়াবান, বিপদগ্রস্তদের দু'আ কবুলকারী, হে জগৎসমূহের ইলাহ, আমি তোমার কাছেই চাহিদা পূরণের আবেদন জানাই। তুমি আমার চাহিদা সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত, কাজেই তুমি আমার চাহিদা পূরণ কর।"
(ইস্পাহানী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাঁর সনদে ইমাঈল ইবন আয়্যাশ নামে একজন রাবী রয়েছেন। তাঁর বর্ণনা গ্রহণের জন্য অনেক বর্ণনা বিদ্যমান রয়েছে।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الْحَاجة ودعائها
1027 - وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم جَاءَنِي جِبْرِيل عَلَيْهِ السَّلَام بدعوات فَقَالَ إِذا نزل بك أَمر من أَمر دنياك فقدمهن ثمَّ سل حَاجَتك يَا بديع السَّمَوَات وَالْأَرْض يَا ذَا الْجلَال وَالْإِكْرَام يَا صريخ المستصرخين يَا غياث المستغيثين يَا كاشف السوء يَا أرْحم الرَّاحِمِينَ يَا مُجيب دَعْوَة الْمُضْطَرين يَا إِلَه الْعَالمين بك أنزل حَاجَتي وَأَنت أعلم بهَا فاقضها
رَوَاهُ الْأَصْبَهَانِيّ وَفِي إِسْنَاده إِسْمَاعِيل بن عَيَّاش
وَله شَوَاهِد كَثِيرَة
رَوَاهُ الْأَصْبَهَانِيّ وَفِي إِسْنَاده إِسْمَاعِيل بن عَيَّاش
وَله شَوَاهِد كَثِيرَة
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০২৮
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ ইসতিখারার সালাতের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তা বর্জন প্রসঙ্গে
১০২৮. হযরত সা'দ ইবন আবি ওয়াক্কাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: বনী আদমের সৌভাগ্য হল আল্লাহর নামে ইসতিখারা করা।
(আহমদ, আবূ ইয়ালা ও হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাকিম আরো বলেছেন: বনী আদমের দুর্ভাগ্য হল আল্লাহর নামে ইসতিখারা বর্জন করা। তিনি বলেন: এ হাদীসটি সহীহ সনদে বর্ণিত। আর ইমাম তিরমিযী নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেন: বনী আদমের সৌভাগ্য হল আল্লাহর নামে অধিক ইসতিখারা করা এবং আল্লাহর ফয়সালার উপর সন্তুষ্ট থাকা। আর বনী আদমের দুর্ভাগ্য হল আল্লাহর নামে ইসতিখারা বর্জন করা এবং আল্লাহর ফয়সালার উপর অসন্তুষ্ট থাকা। ইমাম তিরমিযী বলেন: এ হাদীসটি গরীব। মুহাম্মাদ ইবন আবু হামীদ ব্যতীত আমি অন্য কারো বর্ণনায় এ হাদীস পাইনি। তবে এ হাদীসটির সনদ হাদীস বিশেষশুদের নিকট শক্তিশালী নয়। বাযযার নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: লোকের সৌভাগ্য হল তার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে ইসতিখারা করা এবং তাঁর ফয়সালায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করা। আর লোকের দুর্ভাগ্য হল ইসতিখারা বর্জন করা এবং তাঁর ফয়সালার উপর অসন্তুষ্ট থাকা।
আবুশ শায়খ ইবন হিব্বান 'সওয়াব' অধ্যায়ে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইস্পাহানী ও বাযযার অনুরূপ বর্ণনা করেন।)
(আহমদ, আবূ ইয়ালা ও হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাকিম আরো বলেছেন: বনী আদমের দুর্ভাগ্য হল আল্লাহর নামে ইসতিখারা বর্জন করা। তিনি বলেন: এ হাদীসটি সহীহ সনদে বর্ণিত। আর ইমাম তিরমিযী নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেন: বনী আদমের সৌভাগ্য হল আল্লাহর নামে অধিক ইসতিখারা করা এবং আল্লাহর ফয়সালার উপর সন্তুষ্ট থাকা। আর বনী আদমের দুর্ভাগ্য হল আল্লাহর নামে ইসতিখারা বর্জন করা এবং আল্লাহর ফয়সালার উপর অসন্তুষ্ট থাকা। ইমাম তিরমিযী বলেন: এ হাদীসটি গরীব। মুহাম্মাদ ইবন আবু হামীদ ব্যতীত আমি অন্য কারো বর্ণনায় এ হাদীস পাইনি। তবে এ হাদীসটির সনদ হাদীস বিশেষশুদের নিকট শক্তিশালী নয়। বাযযার নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: লোকের সৌভাগ্য হল তার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে ইসতিখারা করা এবং তাঁর ফয়সালায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করা। আর লোকের দুর্ভাগ্য হল ইসতিখারা বর্জন করা এবং তাঁর ফয়সালার উপর অসন্তুষ্ট থাকা।
আবুশ শায়খ ইবন হিব্বান 'সওয়াব' অধ্যায়ে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইস্পাহানী ও বাযযার অনুরূপ বর্ণনা করেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الاستخارة وَمَا جَاءَ فِي تَركهَا
1028 - عَن سعد بن أبي وَقاص رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من سَعَادَة ابْن آدم استخارته الله عز وَجل
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو يعلى وَالْحَاكِم وَزَاد وَمن شقوة ابْن آدم تَركه استخارة الله
وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد كَذَا قَالَ وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَلَفظه من سَعَادَة ابْن آدم كَثْرَة استخارة الله تَعَالَى وَرضَاهُ بِمَا قضى الله لَهُ وَمن شقاوة ابْن آدم تَركه استخارة الله تَعَالَى وَسخطه بِمَا قضى الله لَهُ
وَقَالَ حَدِيث غَرِيب لَا نعرفه إِلَّا من حَدِيث مُحَمَّد بن أبي حميد وَلَيْسَ بِالْقَوِيّ عِنْد أهل الحَدِيث وَرَوَاهُ الْبَزَّار وَلَفظه أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من سَعَادَة الْمَرْء استخارته ربه وَرضَاهُ بِمَا قضى وَمن شقاء الْمَرْء تَركه الاستخارة وَسخطه بعد الْقَضَاء
وَرَوَاهُ أَبُو الشَّيْخ ابْن حبَان فِي كتاب الثَّوَاب والأصبهاني بِنَحْوِ الْبَزَّار
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو يعلى وَالْحَاكِم وَزَاد وَمن شقوة ابْن آدم تَركه استخارة الله
وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد كَذَا قَالَ وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَلَفظه من سَعَادَة ابْن آدم كَثْرَة استخارة الله تَعَالَى وَرضَاهُ بِمَا قضى الله لَهُ وَمن شقاوة ابْن آدم تَركه استخارة الله تَعَالَى وَسخطه بِمَا قضى الله لَهُ
وَقَالَ حَدِيث غَرِيب لَا نعرفه إِلَّا من حَدِيث مُحَمَّد بن أبي حميد وَلَيْسَ بِالْقَوِيّ عِنْد أهل الحَدِيث وَرَوَاهُ الْبَزَّار وَلَفظه أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من سَعَادَة الْمَرْء استخارته ربه وَرضَاهُ بِمَا قضى وَمن شقاء الْمَرْء تَركه الاستخارة وَسخطه بعد الْقَضَاء
وَرَوَاهُ أَبُو الشَّيْخ ابْن حبَان فِي كتاب الثَّوَاب والأصبهاني بِنَحْوِ الْبَزَّار
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০২৯
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ ইসতিখারার সালাতের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তা বর্জন প্রসঙ্গে
১০২৯. হযরত জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা) কুরআনের সূরার ন্যায় সকল বিষয়ে আমাদেরকে ইসতিখারা শিক্ষা দিতেন। তিনি বলতেন: তোমরা যখন কোন বিষয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়বে, তখন দুই রাক'আত নফল সালাত আদায় করবে। তারপর এই দু'আ পাঠ করবে:
اللَّهُمَّ إِنِّي أستخيرك بعلمك وأستقدرك بقدرتك
وَأَسْأَلك من فضلك الْعَظِيم فَإنَّك تقدر وَلَا أقدر وَتعلم وَلَا أعلم وَأَنت علام الغيوب اللَّهُمَّ إِن كنت تعلم أَن هَذَا الْأَمر خير لي فِي ديني ومعاشي وعاقبة أَمْرِي أَو قَالَ عَاجل أَمْرِي وآجله فاقدره لي ويسره لي ثمَّ بَارك لي فِيهِ وَإِن كنت تعلم أَن هَذَا الْأَمر شَرّ لي فِي ديني ومعاشي وعاقبة أَمْرِي أَو قَالَ عَاجل أَمْرِي وآجله فاصرفه عني واصرفني عَنهُ واقدر لي الْخَيْر حَيْثُ كَانَ ثمَّ أرضني بِهِ
"হে আল্লাহ! আমি তোমার জ্ঞানের ভিত্তিতে তোমার নিকট কল্যাণ কামনা করি এবং তোমার শক্তি হতে শক্তি চাই। তোমার মহা অনুগ্রহ প্রত্যাশা করি। সকল শক্তি তোমার, আমার কোন শক্তি নেই। তুমিই সব কিছু জান, আমি কিছুই জানি না, তুমি অদৃশ্য বিষয়ে সর্বাধিক পরিজ্ঞাত। হে আল্লাহ! আমার দীন, জীবন বিধান এবং পরিণাম হিসেবে যদি তুমি এই কাজ আমার জন্য কল্যাণকর মনে কর, তবে আমাকে তার শক্তি দাও। আর তুমি যদি মনে কর যে, এই কাজ আমার ধর্ম, আমার জীবন ও পরিণাম হিসেবে অকল্যাণকর, তবে আমার থেকে তা দূরে রাখ এবং তা থেকে আমাকে দূরে রাখ, আমার জন্য যেখানে কল্যাণ নিহিত আছে, তাতে আমাকে শক্তি দাও এবং তার মাধ্যমে আমাকে সন্তুষ্ট কর।" তারপর সে তার চাহিদার কথা বলবে।
(বুখারী, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
اللَّهُمَّ إِنِّي أستخيرك بعلمك وأستقدرك بقدرتك
وَأَسْأَلك من فضلك الْعَظِيم فَإنَّك تقدر وَلَا أقدر وَتعلم وَلَا أعلم وَأَنت علام الغيوب اللَّهُمَّ إِن كنت تعلم أَن هَذَا الْأَمر خير لي فِي ديني ومعاشي وعاقبة أَمْرِي أَو قَالَ عَاجل أَمْرِي وآجله فاقدره لي ويسره لي ثمَّ بَارك لي فِيهِ وَإِن كنت تعلم أَن هَذَا الْأَمر شَرّ لي فِي ديني ومعاشي وعاقبة أَمْرِي أَو قَالَ عَاجل أَمْرِي وآجله فاصرفه عني واصرفني عَنهُ واقدر لي الْخَيْر حَيْثُ كَانَ ثمَّ أرضني بِهِ
"হে আল্লাহ! আমি তোমার জ্ঞানের ভিত্তিতে তোমার নিকট কল্যাণ কামনা করি এবং তোমার শক্তি হতে শক্তি চাই। তোমার মহা অনুগ্রহ প্রত্যাশা করি। সকল শক্তি তোমার, আমার কোন শক্তি নেই। তুমিই সব কিছু জান, আমি কিছুই জানি না, তুমি অদৃশ্য বিষয়ে সর্বাধিক পরিজ্ঞাত। হে আল্লাহ! আমার দীন, জীবন বিধান এবং পরিণাম হিসেবে যদি তুমি এই কাজ আমার জন্য কল্যাণকর মনে কর, তবে আমাকে তার শক্তি দাও। আর তুমি যদি মনে কর যে, এই কাজ আমার ধর্ম, আমার জীবন ও পরিণাম হিসেবে অকল্যাণকর, তবে আমার থেকে তা দূরে রাখ এবং তা থেকে আমাকে দূরে রাখ, আমার জন্য যেখানে কল্যাণ নিহিত আছে, তাতে আমাকে শক্তি দাও এবং তার মাধ্যমে আমাকে সন্তুষ্ট কর।" তারপর সে তার চাহিদার কথা বলবে।
(বুখারী, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الاستخارة وَمَا جَاءَ فِي تَركهَا
1029 - وَعَن جَابر بن عبد الله رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ كَانَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يعلمنَا الاستخارة فِي الْأُمُور كلهَا كَمَا يعلمنَا السُّورَة من الْقُرْآن يَقُول إِذا هم أحدكُم بِالْأَمر فليركع رَكْعَتَيْنِ من غير الْفَرِيضَة ثمَّ ليقل اللَّهُمَّ إِنِّي أستخيرك بعلمك وأستقدرك بقدرتك
وَأَسْأَلك من فضلك الْعَظِيم فَإنَّك تقدر وَلَا أقدر وَتعلم وَلَا أعلم وَأَنت علام الغيوب اللَّهُمَّ إِن كنت تعلم أَن هَذَا الْأَمر خير لي فِي ديني ومعاشي وعاقبة أَمْرِي أَو قَالَ عَاجل أَمْرِي وآجله فاقدره لي ويسره لي ثمَّ بَارك لي فِيهِ وَإِن كنت تعلم أَن هَذَا الْأَمر شَرّ لي فِي ديني ومعاشي وعاقبة أَمْرِي أَو قَالَ عَاجل أَمْرِي وآجله فاصرفه عني واصرفني عَنهُ واقدر لي الْخَيْر حَيْثُ كَانَ ثمَّ أرضني بِهِ
قَالَ ويسمي حَاجته
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
وَأَسْأَلك من فضلك الْعَظِيم فَإنَّك تقدر وَلَا أقدر وَتعلم وَلَا أعلم وَأَنت علام الغيوب اللَّهُمَّ إِن كنت تعلم أَن هَذَا الْأَمر خير لي فِي ديني ومعاشي وعاقبة أَمْرِي أَو قَالَ عَاجل أَمْرِي وآجله فاقدره لي ويسره لي ثمَّ بَارك لي فِيهِ وَإِن كنت تعلم أَن هَذَا الْأَمر شَرّ لي فِي ديني ومعاشي وعاقبة أَمْرِي أَو قَالَ عَاجل أَمْرِي وآجله فاصرفه عني واصرفني عَنهُ واقدر لي الْخَيْر حَيْثُ كَانَ ثمَّ أرضني بِهِ
قَالَ ويسمي حَاجته
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه